পরিচ্ছেদঃ ১২. সূরা হুদ

৩১০৯। আবূ রাযীন (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! জীব সৃষ্টি করার আগে আমাদের প্রতিপালক কোথায় ছিলেন? তিনি বলেনঃ তিনি আমা’ (হালকা মেঘমালা)-এর মধ্যে ছিলেন। এর নিচেও বাতাস ছিল না এবং উপরেও বাতাস ছিল না। তিনি পানির উপর তার আরশ তৈরী করেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৭১)

আহমাদ (রহঃ) বলেনঃ ইয়াযীদ (রাহঃ) বলেছেন, ’আমা’ শব্দের অর্থ তার সাথে কিছুই ছিল না। হাম্মাদ ইবনু সালামা ও ওয়াকী ইবনু হুদুস এরকমই বলেন। শুবা, আবূ আওয়ানা ও হুশাইম (রাবীর নামের উচ্চারণ) ওয়াকী ইবনু উদুস বলেছেন। আবূ রাযীন এর নাম লাকীত ইবনু আমির। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ كَانَ رَبُّنَا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ خَلْقَهُ قَالَ ‏ "‏ كَانَ فِي عَمَاءٍ مَا تَحْتَهُ هَوَاءٌ وَمَا فَوْقَهُ هَوَاءٌ وَخَلَقَ عَرْشَهُ عَلَى الْمَاءِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ قَالَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ الْعَمَاءُ أَىْ لَيْسَ مَعَهُ شَيْءٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَكِيعُ بْنُ حُدُسٍ وَيَقُولُ شُعْبَةُ وَأَبُو عَوَانَةَ وَهُشَيْمٌ وَكِيعُ بْنُ عُدُسٍ وَهُوَ أَصَحُّ وَأَبُو رَزِينٍ اسْمُهُ لَقِيطُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا حماد بن سلمة، عن يعلى بن عطاء، عن وكيع بن حدس، عن عمه ابي رزين، قال قلت يا رسول الله اين كان ربنا قبل ان يخلق خلقه قال ‏ "‏ كان في عماء ما تحته هواء وما فوقه هواء وخلق عرشه على الماء ‏"‏ ‏.‏ قال احمد بن منيع قال يزيد بن هارون العماء اى ليس معه شيء ‏.‏ قال ابو عيسى هكذا روى حماد بن سلمة وكيع بن حدس ويقول شعبة وابو عوانة وهشيم وكيع بن عدس وهو اصح وابو رزين اسمه لقيط بن عامر قال وهذا حديث حسن ‏.‏


Narrated Waki' bin Hudus:
from his uncle Abu Razin who said: "I said: 'O Messenger of Allah! Where was our Lord before He created His creation?' He said: 'He was (above) the clouds - no air was under him, no air was above him, and He created His Throne upon the water.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১২. সূরা হুদ

৩১১০। আবূ মূসা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা যালিম-অত্যাচারীকে অবকাশ দেন অথবা সুযোগ দেন। অবশেষে তিনি যখন তাকে পাকড়াও করেন তখন আর রেহাই দেন না। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিলাওয়াত করলেন (অনুবাদ):

"এরূপই তোমার প্রতিপালকের শাস্তি। তিনি জনপদসমূহকে শাস্তিদান করেন যখন তারা সীমালঙ্ঘন করে। নিশ্চয় তার শাস্তি মর্মস্তুদ, কঠিন"(সূরা হুদ ১০২)।

সহীহঃ বুখারী (৪৬৮৬), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আবূ উসামাও বুরাইদ হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন এবং তাতে ইউমলী’ শব্দ বলেছেন। ইবরাহীম ইবনু সাঈদ আল-জাওহারী-আবূ উসামাহ হতে, তিনি বুরাইদ ইবনু আবদুল্লাহ হতে, তিনি তার দাদা আবূ বুরদাহ হতে, তিনি আবূ মূসা (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। এতে সন্দেহমুক্তভাবে ইউমলী’ শব্দ উল্লেখ আছে।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يُمْلِي وَرُبَّمَا قَالَ يُمْهِلُ لِلظَّالِمِ حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ ‏:‏ ‏(‏ كَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ نَحْوَهُ وَقَالَ يُمْلِي ‏.‏

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَقَالَ يُمْلِي وَلَمْ يَشُكَّ فِيهِ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا ابو معاوية، عن بريد بن عبد الله، عن ابي بردة، عن ابي موسى، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ ان الله تبارك وتعالى يملي وربما قال يمهل للظالم حتى اذا اخذه لم يفلته ‏"‏ ‏.‏ ثم قرا ‏:‏ ‏(‏ كذلك اخذ ربك اذا اخذ القرى ‏)‏ الاية ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب وقد رواه ابو اسامة عن بريد نحوه وقال يملي ‏.‏ حدثنا ابراهيم بن سعيد الجوهري، عن ابي اسامة، عن بريد بن عبد الله بن ابي بردة، عن جده ابي بردة، عن ابي موسى، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه وقال يملي ولم يشك فيه ‏.‏


Narrated Abu Musa:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed Allah Blessed and Most High gives respite (Yumli)" and perhaps he said: "(Yumhil)" respite to the wrong-doer until, when He seizes him, and he cannot escape." Then he recited the Ayah: Such is the punishment of your Lord when He seizes the towns while they are doing wrong (11:102).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১২. সূরা হুদ

৩১১১। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “তাদের মধ্যে কেউ হবে হতভাগ্য এবং কেউ হবে ভাগ্যবান” (সূরা হদ ১০৫), এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর নবী। তাহলে আমরা কিসের উপর আমল করব, এমন জিনিসের উপর যে প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে অথবা এমন কোন জিনিসের উপর যে প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি? তিনি বললেনঃ হে উমার! না, বরং এমন জিনিসের উপর যা পূর্বেই চূড়ান্ত হয়ে আছে এবং যার সাথে কলম জারী হয়ে গিয়েছে। তবে প্রত্যেকের করণীয় বিষয় সহজসাধ্য করে রাখা হয়েছে, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

সহীহঃ আযযিলাল (১৬১, ১৬৬)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি এ সূত্রে হাসান গারীব। আমরা এ হাদীস শুধু আবদুল মালিক হতে জেনেছি।

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، هُوَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ مِِنْهُمْ شَقِيٌّ وَسَعِيدٌ ‏)‏ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَعَلَى مَا نَعْمَلُ عَلَى شَيْءٍ قَدْ فُرِغَ مِنْهُ أَوْ عَلَى شَيْءٍ لَمْ يُفْرَغْ مِنْهُ قَالَ ‏"‏ بَلْ عَلَى شَيْءٍ قَدْ فُرِغَ مِنْهُ وَجَرَتْ بِهِ الأَقْلاَمُ يَا عُمَرُ وَلَكِنْ كُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏

حدثنا بندار، محمد بن بشار حدثنا ابو عامر العقدي، هو عبد الملك بن عمرو حدثنا سليمان بن سفيان، عن عبد الله بن دينار، عن ابن عمر، عن عمر بن الخطاب، قال لما نزلت هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ منهم شقي وسعيد ‏)‏ سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت يا نبي الله فعلى ما نعمل على شيء قد فرغ منه او على شيء لم يفرغ منه قال ‏"‏ بل على شيء قد فرغ منه وجرت به الاقلام يا عمر ولكن كل ميسر لما خلق له ‏"‏ ‏.‏ هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه لا نعرفه الا من حديث عبد الملك بن عمرو ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
that 'Umar bin Al-Khattab said: "When this Ayah was revealed: Some among them will be wretches and (others) blessed (11:105). I asked the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'O Prophet of Allah! Based upon what are we then working; something that has already finished or something that has not yet happened?' He said: 'Rather something that has happened, and the Pens have already passed over it O 'Umar! But for everyone, what he has been created for is made easy.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১২. সূরা হুদ

৩১১২। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি মদীনার শেষ প্রান্তে এক মহিলাকে স্পর্শ করেছি এবং আমি তার সাথে সহবাস ব্যতীত সবই করেছি। আমি এখন আপনার নিকট এসেছি। আপনি যা ইচ্ছা আমার ব্যাপারে ফাঈসালা করেন। উমার (রাযিঃ) তাকে বললেন, আল্লাহ তা’আলা তোমার অপরাধ গোপন রেখেছেন। এখন তুমিও যদি তা গোপন রাখতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো কথায় প্রতিউত্তর করলেন না।

লোকটি উঠে চলে যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনেন এবং এই আয়াত পাঠ করে শুনান (অনুবাদ): “তুমি নামায কায়েম কর দিনের দুই প্রান্তভাগে এবং রাতের প্রথমাংশে। সৎকাজসমূহ অন্যায় কাজসমূহকে দুর করে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে তাদের জন্য এটা এক উপদেশ"- ’ (সূরা হুদ ১১৪)। উপস্থিত লোকদের মধ্যে একজন বলল, এটা কি শুধু তার বেলায় প্রযোজ্য? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, বরং সকলের জন্য।

হাসান সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৩৯৮), মুসলিম

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এভাবেই ইসরাঈল সিমাক হতে, তিনি ইবরাহীম হতে, তিনি আলকামাহ ও আসওয়াদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।

সুফইয়ান সাওরী (রাহঃ) সিমাক হতে, তিনি ইবরাহীম হতে, তিনি আবদুর রাহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। সাওরীর রিওয়ায়াত অপেক্ষা এদের রিওয়ায়াত অনেক বেশি সহীহ।

এটিকে সিমাক ইবনু হারব-ইবরাহীম হতে, তিনি আসওয়াদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে শুবাহও একই রকম বর্ণনা করেছেন।

মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া নায়সাবুরী মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ হতে, তিনি সুফইয়ান সাওরী হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি সিমাক হতে, তিনি ইবরাহীম হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।

মাহমূদ ইবনু গাইলান-আল-ফাযল ইবনু মূসা হতে, তিনি রাহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রেও একই মর্মে একই রকম বর্ণনা করেছেন। উক্ত বর্ণনায় অবশ্য আ’মাশের উল্লেখ নেই। এ হাদীস সুলাইমান আত-তাইনী (রাহঃ) আবূ উসমান আন-নাহদী হতে, তিনি ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي عَالَجْتُ امْرَأَةً فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَإِنِّي أَصَبْتُ مِنْهَا مَا دُونَ أَنْ أَمَسَّهَا وَأَنَا هَذَا فَاقْضِ فِيَّ مَا شِئْتَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ لَقَدْ سَتَرَكَ اللَّهُ لَوْ سَتَرْتَ عَلَى نَفْسِكَ ‏.‏ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا فَانْطَلَقَ الرَّجُلُ فَأَتْبَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً فَدَعَاهُ فَتَلاَ عَلَيْهِِمِ ‏:‏ ‏(‏ أَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ هَذَا لَهُ خَاصَّةً قَالَ ‏"‏ لاَ بَلْ لِلنَّاسِ كَافَّةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهَكَذَا رَوَى إِسْرَائِيلُ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ وَالأَسْوَدِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَرَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ وَرِوَايَةُ هَؤُلاَءِ أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ الثَّوْرِيِّ وَرَوَى شُعْبَةُ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَسِمَاكٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ ‏.‏

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الأَعْمَشَ وَقَدْ رَوَى سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا ابو الاحوص، عن سماك بن حرب، عن ابراهيم، عن علقمة، والاسود، عن عبد الله، قال جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال اني عالجت امراة في اقصى المدينة واني اصبت منها ما دون ان امسها وانا هذا فاقض في ما شىت ‏.‏ فقال له عمر لقد سترك الله لو سترت على نفسك ‏.‏ فلم يرد عليه رسول الله صلى الله عليه وسلم شيىا فانطلق الرجل فاتبعه رسول الله صلى الله عليه وسلم رجلا فدعاه فتلا عليهم ‏:‏ ‏(‏ اقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل ان الحسنات يذهبن السيىات ذلك ذكرى للذاكرين ‏)‏ الى اخر الاية فقال رجل من القوم هذا له خاصة قال ‏"‏ لا بل للناس كافة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وهكذا روى اسراىيل عن سماك عن ابراهيم عن علقمة والاسود عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه وروى سفيان الثوري عن سماك عن ابراهيم عن عبد الرحمن بن يزيد عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله ورواية هولاء اصح من رواية الثوري وروى شعبة عن سماك بن حرب عن ابراهيم عن الاسود عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ حدثنا محمد بن يحيى النيسابوري، حدثنا محمد بن يوسف، عن سفيان، عن الاعمش، وسماك، عن ابراهيم، عن عبد الرحمن بن يزيد، عن عبد الله، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه بمعناه ‏.‏ حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا الفضل بن موسى، عن سفيان، عن سماك، عن ابراهيم، عن عبد الرحمن بن يزيد، عن عبد الله بن مسعود، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه بمعناه ولم يذكر فيه الاعمش وقد روى سليمان التيمي هذا الحديث عن ابي عثمان النهدي عن ابن مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated 'Abdullah:
"A man came to the Prophet (ﷺ) and said: 'I fondled a woman who lives on the edge of Al-Madinah, and I did with her what is less than intercourse, and here I am, so judge in my case as you will.' So 'Umar said to him: 'Allah covered you, so you should have covered yourself.' The Messenger of Allah (ﷺ) did not give him any reply. The man left but the Messenger of Allah (ﷺ) sent a man after him to call him. He recited to him: 'And perform Salat, at the two ends of the day and in some hours of the night. Verily, the good deeds remove the evil deeds. That is a reminder for the mindful (11:114) until the end of the Ayah. A man among the people said: 'Is this specific for him?' He (ﷺ) said: 'No. Rather for all of the people.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১২. সূরা হুদ

৩১১৩। মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এক ব্যক্তি এক বেগানা নারীর সাথে যৌন মিলন ছাড়া আর সবই করেছে, তার প্রসঙ্গে আপনার কি মত? তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “তুমি নামায কায়িম কর দিনের দুই প্রান্তভাগে এবং রাতের প্রথমাংশে। সৎ কর্মসমূহ অবশ্যই অসৎ কর্মসমূহ দূর করে দেয়। যারা হিদায়াত গ্রহণ করে তাদের জন্য এটা হিদায়াত" (সূরাঃ হুদ- ১১৪)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ওযু করে এসে নামায আদায়ের হুকুম দেন। মুআয (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এই সুযোগ কি শুধু তার জন্যই না সাধারণভাবে সকল মুমিনের জন্য? তিনি বললেনঃ বরং সাধারণভাবে সকল মু’মিনদের জন্য।

সনদ দুর্বল

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের সনদসূত্র মুত্তাসিল (পরস্পর সংযুক্ত) নয়। আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলা (রাহঃ) মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে সরাসরি কিছু শুনেননি। মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) উমর (রাঃ)-এর খিলাফাত কালে ইন্তেকাল করেন। উমার (রাঃ) যখন ইন্তেকাল করেন তখন আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলা ছয় বছরের বালক। তিনি উমার (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি তাকে দেখেছেন। শুবা (রাহঃ) এ হাদীসটি আবদুল মালিক ইবনু উমাইর হতে আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলা-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلاً لَقِيَ امْرَأَةً وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا مَعْرِفَةٌ فَلَيْسَ يَأْتِي الرَّجُلُ شَيْئًا إِلَى امْرَأَتِهِ إِلاَّ قَدْ أَتَى هُوَ إِلَيْهَا إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يُجَامِعْهَا ‏.‏ قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ أَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ ‏)‏ فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ وَيُصَلِّيَ ‏.‏ قَالَ مُعَاذٌ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَهِيَ لَهُ خَاصَّةً أَمْ لِلْمُؤْمِنِينَ عَامَّةً قَالَ ‏ "‏ بَلْ لِلْمُؤْمِنِينَ عَامَّةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى لَمْ يَسْمَعْ مِنْ مُعَاذٍ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ مَاتَ فِي خِلاَفَةِ عُمَرَ وَقُتِلَ عُمَرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى غُلاَمٌ صَغِيرٌ ابْنُ سِتِّ سِنِينَ وَقَدْ رَوَى عَنْ عُمَرَ وَرَآهُ ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا حسين الجعفي، عن زاىدة، عن عبد الملك بن عمير، عن عبد الرحمن بن ابي ليلى، عن معاذ بن جبل، قال اتى النبي صلى الله عليه وسلم رجل فقال يا رسول الله ارايت رجلا لقي امراة وليس بينهما معرفة فليس ياتي الرجل شيىا الى امراته الا قد اتى هو اليها الا انه لم يجامعها ‏.‏ قال فانزل الله ‏:‏ ‏(‏ اقم الصلاة طرفى النهار وزلفا من الليل ان الحسنات يذهبن السيىات ذلك ذكرى للذاكرين ‏)‏ فامره ان يتوضا ويصلي ‏.‏ قال معاذ فقلت يا رسول الله اهي له خاصة ام للمومنين عامة قال ‏ "‏ بل للمومنين عامة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث ليس اسناده بمتصل عبد الرحمن بن ابي ليلى لم يسمع من معاذ ومعاذ بن جبل مات في خلافة عمر وقتل عمر وعبد الرحمن بن ابي ليلى غلام صغير ابن ست سنين وقد روى عن عمر وراه ‏.‏ وروى شعبة هذا الحديث عن عبد الملك بن عمير عن عبد الرحمن بن ابي ليلى عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسل ‏.‏


Narrated Mu'adh bin Jabal:
"A man came to the Prophet (ﷺ) and said: 'O Messenger of Allah! What do you say about a man who meets a woman and there is no acquaintance between them. So there is nothing that a man who would do with his wife but he does it with her, except that he does not have intercourse with her?'" He said: "So Allah revealed: And perform the Salat, at the two ends of the day and in some hours of the night. Verily, the good deeds remove the evil deeds. That is a reminder for the mindful (11:114). So he ordered him to perform Wudu and Salat." Then Mu'adh said: "I said: 'O Messenger of Allah! Is that specifically for him, or for the believers in general?' He said: 'Rather it is for the believers in general.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১২. সূরা হুদ

৩১১৪৷ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোক এক বেগানা মহিলাকে চুমা দিল, যা তার জন্য হারাম ছিল। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে এর কাফফারা প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করলো। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ): “তুমি নামায কায়েম কর দিনের দুই প্রান্তভাগে এবং রাতের প্রথমাংশে। ন্যায় কাজসমূহ অন্যায় কাজসমূহকে দূর করে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে তাদের জন্য এটা উপদেশ” (সূরা হুদ ১১৪)।

লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এই সুযোগ কি শুধু আমার জন্য? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার জন্যও এবং আমার উম্মাতের মধ্যে যে ব্যক্তি এরূপ কাজ করে বসে তার জন্যও।

সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَصَابَ مِنَ امْرَأَةٍ قُبْلَةَ حَرَامٍ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ كَفَّارَتِهَا فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ أَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ‏)‏ فَقَالَ الرَّجُلُ أَلِيَ هَذِهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ ‏"‏ لَكَ وَلِمَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ أُمَّتِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، عن سليمان التيمي، عن ابي عثمان، عن ابن مسعود، ان رجلا، اصاب من امراة قبلة حرام فاتى النبي صلى الله عليه وسلم فساله عن كفارتها فنزلت ‏:‏ ‏(‏ اقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل ان الحسنات يذهبن السيىات ‏)‏ فقال الرجل الي هذه يا رسول الله فقال ‏"‏ لك ولمن عمل بها من امتي ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn Mas'ud:
that a man unlawfully kissed a woman. So he came to the Prophet (ﷺ) to ask him about its atonement. So (the following) Ayah was revealed: And perform the Salat, at the two ends of the day and in some hours of the night (11:114). The man said: "Is this for me O Messenger of Allah?" He said: "For you and for whoever does that among my Ummah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১২. সূরা হুদ

৩১১৫। আবূল ইয়াসার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা খেজুর ক্রয়ের জন্য আমার নিকট এলে আমি বললাম, ঘরের ভেতর এর চাইতে আরো ভালো খেজুর আছে। অতএব সে আমার সাথে ঘরে প্রবেশ করে। আমি তার প্রতি আকৃষ্ট হলাম এবং তাকে চুমা দিলাম, অতঃপর আমি আবূ বকর (রাযিঃ)-এর নিকট এসে এ ঘটনা তাকে জানালাম। তিনি বললেন, এটা নিজের কাছেই গোপন রাখ, এবং আল্লাহ তা’আলার নিকট তাওবা কর এবং আর কউকে বল না।

কিন্তু আমি ধৈর্য ধারণ করতে পারলাম না। তাই আমি ’উমার (রাযিঃ)-এর নিকট এসে বিষয়টি তাকে জানালাম। তিনি বললেন, এটা নিজের নিকটেই গোপন রাখ, আল্লাহ তা’আলার নিকট তওবা কর এবং এটা আর কারো নিকট বল না। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরতে পারলাম না। তাই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে তার নিকট বিষয়টি প্রকাশ করলাম।

তিনি বললেনঃ তুমি কি আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় জিহাদে গমনকারী ব্যাক্তির অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের সাথে এই অপকর্ম করেছ? এ কথায় অনুতপ্ত হয়ে আবূল ইয়াসার আক্ষেপ করে বলেন যে, তিনি যদি ইতিপূর্বে ইসলাম গ্রহণ না করে এই মুহুর্তে গ্রহণ করতেন। এমনকি তিনি নিজেকে জাহান্নামী বলে ভাবলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘক্ষণ নীরবে দৃষ্টি অবনমিত করে রইলেন। অবশেষে তার প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হলঃ

“তুমি নামায কায়েম কর দিনের দুই প্রান্তভাগে এবং রাতের প্রথমাংশে। সৎকর্মগুলো অসৎকর্মগুলোকে দূর করে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে এটা তাদের জন্য উপদেশ”— (সূরা হুদ ১১৪)। আবূল ইয়াসার (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলে তিনি আমাকে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করে শুনান। তখন তার সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটা তার জন্যই নির্দিষ্ট না সাধারণভাবে সকলের জন্য? তিনি বললেনঃ বরং সাধারণভাবে সকলের জন্য।

হাসান।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। কাইস ইবনুর রাবী’-কে ওয়াকী প্রমুখ হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল বলেছেন। আবূল ইয়াসারের নাম কাব ইবনু আমর। শারীক (রাহঃ) উসমান ইবনু আবদুল্লাহ (রাহঃ) হতে এ হাদীস কাইস ইবনুর রাবী’র মতই বর্ণনা করেছেন। আবূ উমামা, ওয়াসিলা ইবনুল আসকা ও আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي الْيَسَرِ، قَالَ أَتَتْنِي امْرَأَةٌ تَبْتَاعُ تَمْرًا فَقُلْتُ إِنَّ فِي الْبَيْتِ تَمْرًا أَطْيَبَ مِنْهُ ‏.‏ فَدَخَلَتْ مَعِي فِي الْبَيْتِ فَأَهْوَيْتُ إِلَيْهَا فَقَبَّلْتُهَا فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ قَالَ اسْتُرْ عَلَى نَفْسِكَ وَتُبْ وَلاَ تُخْبِرْ أَحَدًا ‏.‏ فَلَمْ أَصْبِرْ فَأَتَيْتُ عُمَرَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ اسْتُرْ عَلَى نَفْسِكَ وَتُبْ وَلاَ تُخْبِرْ أَحَدًا ‏.‏ فَلَمْ أَصْبِرْ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ ‏"‏ أَخَلَفْتَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فِي أَهْلِهِ بِمِثْلِ هَذَا ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى تَمَنَّى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ أَسْلَمَ إِلاَّ تِلْكَ السَّاعَةَ حَتَّى ظَنَّ أَنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ ‏.‏ قَالَ وَأَطْرَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَوِيلاً حَتَّى أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ ‏:‏ ‏(‏أَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو الْيَسَرِ فَأَتَيْتُهُ فَقَرَأَهَا عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَصْحَابُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِهَذَا خَاصَّةً أَمْ لِلنَّاسِ عَامَّةً قَالَ ‏"‏ بَلْ لِلنَّاسِ عَامَّةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ ضَعَّفَهُ وَكِيعٌ وَغَيْرُهُ وَأَبُو الْيَسَرِ هُوَ كَعْبُ بْنُ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ وَرَوَى شَرِيكٌ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ هَذَا الْحَدِيثَ مِثْلَ رِوَايَةِ قَيْسِ بْنِ الرَّبِيعِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ وَوَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا يزيد بن هارون، اخبرنا قيس بن الربيع، عن عثمان بن عبد الله بن موهب، عن موسى بن طلحة، عن ابي اليسر، قال اتتني امراة تبتاع تمرا فقلت ان في البيت تمرا اطيب منه ‏.‏ فدخلت معي في البيت فاهويت اليها فقبلتها فاتيت ابا بكر فذكرت ذلك له قال استر على نفسك وتب ولا تخبر احدا ‏.‏ فلم اصبر فاتيت عمر فذكرت ذلك له فقال استر على نفسك وتب ولا تخبر احدا ‏.‏ فلم اصبر فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له ‏.‏ فقال له ‏"‏ اخلفت غازيا في سبيل الله في اهله بمثل هذا ‏"‏ ‏.‏ حتى تمنى انه لم يكن اسلم الا تلك الساعة حتى ظن انه من اهل النار ‏.‏ قال واطرق رسول الله صلى الله عليه وسلم طويلا حتى اوحى الله اليه ‏:‏ ‏(‏اقم الصلاة طرفى النهار وزلفا من الليل ‏)‏ الى قوله ‏:‏ ‏(‏ذكرى للذاكرين ‏)‏ ‏.‏ قال ابو اليسر فاتيته فقراها على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال اصحابه يا رسول الله الهذا خاصة ام للناس عامة قال ‏"‏ بل للناس عامة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏ وقيس بن الربيع ضعفه وكيع وغيره وابو اليسر هو كعب بن عمرو ‏.‏ قال وروى شريك عن عثمان بن عبد الله هذا الحديث مثل رواية قيس بن الربيع ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي امامة وواثلة بن الاسقع وانس بن مالك ‏.‏


Narrated Musa bin Talhah:
that Abu Al-Yasar said: "A woman came to me selling dates. I said to her: 'There are better dates than these in the house.' So she entered the house with me. I had an urge for her so I began kissing her. I went to Abu Bakr and mentioned that to him, so he said: 'Cover what you have done, repent, do not inform any one, and never do it again.' So I went to 'Umar and mentioned that to him. He said: 'Cover what you have done, repent, do not inform any one, and never do it again.' Then I went to the Prophet (ﷺ) and mentioned it to him." He said: 'Is this how you take care of the wife of someone who is away fighting in Allah's cause?" Such that he had wished he had not accepted Islam until that very time, and he thought that he must be one of the people of the Fire." He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) bowed his head for a long time, until Allah revealed to him: And perform the Salat, at the two ends of the day and in some hours of the night. Verily, the good deeds remove the evil deeds. That is a reminder for the mindful (11:114). Abu Al-Yasar said: "So I went to him and the Messenger of Allah (ﷺ) recited it for me. A companion of his said: "O Messenger of Allah! Is this specific, or is it for the people in general?" He said: "Rather it is for the people in general."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুল ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে