পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৬৪। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আবূ জাহল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, আমরা তো তোমাকে মিথ্যাবাদী বলি না, বরং তুমি যে জিনিস নিয়ে এসেছ তাকেই আমরা মিথ্যা মনে করি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “কিন্তু তারা তো তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে না, বরং যালিমরা আল্লাহ তা’আলার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে..." (সূরাঃ আল-আনআম- ৩৩)
সনদ দুর্বল
ইসহাক ইবনু মানসূর-আবদুর রহমান ইবনু মাহদী হতে তিনি সুফিয়ান হতে তিনি আবূ ইসহাক-এর সূত্রে নাজিয়া (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবূ জাহল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল.... এরপর এরকমই বর্ণনা করেন। তবে এই সনদে আলী (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই এবং এটাই বেশি সহীহ।
পূর্বের হাদীসের ন্যায় এটিও দুর্বল
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ نَاجِيَةَ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ أَبَا جَهْلٍ، قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّا لاَ نُكَذِّبُكَ وَلَكِنْ نُكَذِّبُ بِمَا جِئْتَ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( إِِنَّهُمْ لاَ يُكَذِّبُونَكَ وَلَكِنَّ الظَّالِمِينَ بِآيَاتِ اللَّهِ يَجْحَدُونَ ) .
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ نَاجِيَةَ، أَنَّ أَبَا جَهْلٍ، قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَلِيٍّ وَهَذَا أَصَحُّ .
Narrated 'Ali:
"Abu Jahl said to the Prophet (ﷺ): 'We do not deny you, but we deny what you came with.' So Allah Most High revealed: It is not you that they deny but is Allah's Ayat which the wrong-doers reject (6:33)."
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৬৫। ’আমর ইবনু দীনার (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল (অনুবাদ) “বল তিনি তোমাদের ঊর্ধ্বদেশ অথবা পাদদেশ হতে তোমাদের উপর শাস্তি প্রেরণ করতে সক্ষম", তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “(হে আল্লাহ) আমি আপনার (মর্যাদাবান) মুখমণ্ডলের (সত্বার) নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি"। পরে আবার অবতীর্ণ হল (অনুবাদ) “অথবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করতে এবং এক দলকে অপর দলের সংঘর্ষের স্বাদ আস্বাদন করাতে সক্ষম”— (সূরা আল-আন’আম ৬৫)। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ দুটিই অপেক্ষাকৃত সহজতর।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (২০৫৮, ২০৫৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : (قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلَى أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِنْ فَوْقِكُمْ أَوْ مِنْ تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ ) قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَعُوذُ بِوَجْهِكَ " . فَلَمَّا نَزَلَتْْ ( أَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَكُمْ بَأْسَ بَعْضٍ ) قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَاتَانِ أَهْوَنُ - أَوْ - هَاتَانِ أَيْسَرُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Jabir bin 'Abdullah:
"When Allah revealed this Ayah: 'Say: He has the power to send torment on you from above or from under your feet...' The Prophet (ﷺ) said: 'I seek refuge in Your Face.' So when (the following) was revealed: 'Or to cover you in confusion in party strife, and make you taste the violence of one another (6:65).' The Prophet (ﷺ) said: 'This is less burdensome' or 'This is easier.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৬৬। সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে, “বল, তিনি তোমাদের উপর তোমাদের উপর হতে অথবা তোমাদের পদতল হতে শাস্তি প্রেরণে সক্ষম” (সূরাঃ আল-আনআম– ৬৫), এ আয়াত অবতীর্ণ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রসঙ্গে বলেনঃ এরূপ সংঘটিত হবেই কিন্তু তার ব্যাখ্যা এখনো বাস্তব লাভ করেনি।
সনদ দুর্বল
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাসিসটি হাসান গারীব।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ الْغَسَّانِيِّ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذِهِ الآيَةِ: (قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلَى أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِنْ فَوْقِكُمْ أَوْ مِنْ تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ ) فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَمَا إِنَّهَا كَائِنَةٌ وَلَمْ يَأْتِ تَأْوِيلُهَا بَعْدُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Narrated Sa'd bin Abi Waqqas:
from the Prophet (ﷺ), regarding this Ayah "Say: He has the power to send torment on you from above or from under your feet...' the Prophet (ﷺ) said "Indeed they shall be, even though they have not occurred as of yet."
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৬৭। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন অবতীর্ণ হলঃ “যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানকে যুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি..."— (সূরা আল-আনআম ৮২), তখন মুসলিমদের নিকট তা খুবই কঠিন মনে হল। তাই তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে নিজের উপর যুলুম করেনি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিষয়টি আসলে তা নয়। এখানে যুলুম অর্থ হল শিরক। তোমরা কি শুনোনি যা লোকমান তার ছেলেকে বলেছিলেনঃ “হে পুত্র! আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে শরীক করবে না। নিশ্চয়ই শিরক অতি বড় যুলুম”— (সূরা লোকমান ১৩)।
সহীহঃ বুখারী (৪৬২৯), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ : لَمَّا نَزَلَتْ: ( الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ ) شَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَأَيُّنَا لاَ يَظْلِمُ نَفْسَهُ . قَالَ " لَيْسَ ذَلِكَ إِنَّمَا هُوَ الشِّرْكُ أَلَمْ تَسْمَعُوا مَا قَالَ لُقْمَانُ لاِبْنِهِ : ( يَا بُنَيَّ لاَ تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ ) " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Abdullah:
"When (the following) was revealed: It is those who believe and confuse not their belief with Zulm (wrong) (6:82) - That bothered some Muslims, so they said: 'O Messenger of Allah! Which of us has not wronged himself?' He said: 'It is not that, it is only Shirk, have you not heard what Luqman said to his son: O my son! Do not commit Shirk with Allah. Verily Shirk is a tremendous Zulm (wrong) (31:13).'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৬৮। মাসরুক (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর নিকটে হেলান দিয়ে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, হে আবূ আয়িশাহ! তিনটি বিষয় এমন যে, কোন ব্যক্তি এগুলোর কোনটি বললে সে আল্লাহ তা’আলার উপর ভীষণ (মিথ্যা) অপবাদ চাপালো। যে ব্যক্তি এ ধারণা পোষণ করে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রভুকে দেখেছেন, সে আল্লাহ তা’আলার উপর ভীষণ অপবাদ আরোপ করল। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “দৃষ্টিসমূহ তাকে প্রত্যক্ষ করতে পারে না, কিন্তু তিনি দৃষ্টিসমূহকে অনুধাবণ করেন। তিনি অতিশয় সূক্ষ্মদশী, সম্যক ওয়াকিফহাল"- (সূরা আল-আন’আম ১০৩); “কোন মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তা’আলা তার সাথে কথা বলবেন ওয়াহীর মাধ্যম ব্যতীত অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতীত”– (সূরা আশ-শূরা ৫১)। আমি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলাম। আমি উঠে সোজা হয়ে বসে বললাম, হে উন্মুল মু’মিনীন থামুন, আমাকে বলার সুযোগ দিন, তাড়াহুড়া করবেন না। আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি? “নিশ্চয়ই সে তাকে আরেকবার দেখেছিল"- (সূরা আন-নাজমঃ ১৩)। সে তো তাকে উজ্জ্বল দিগন্তে দেখেছে"- (সূরা আত-তাকবীর ২৩)।
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমিই সর্বপ্রথম এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তিনি বলেছেনঃ সে তো জিবরীল। আমি তাকে তার আসল আকৃতিতে এ দু’বারই দেখেছি। আমি তাকে আসমান হতে অবতরণ করতে দেখেছি। তার দেহাবয়ব এতো প্রকাণ্ড যে, তা আসমান ও যামীনের মাঝখানের সবটুকু স্থান ঢেকে ফেলেছিল।
(দুই) যে ব্যক্তি এ ধারণা করে যে, আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ করেছেন, তিনি তার কিছুটা গোপন করেছেন, সেও আল্লাহ তা’আলার উপর ভীষণ অপবাদ আরোপ করল। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা (লোকদের নিকট) পৌছে দাও..." (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৬৭)।
(তিন) যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, আগামী কাল কি ঘটবে তিনি (মুহাম্মাদ) তা জানেন, সেও আল্লাহ তা’আলার উপর ভীষণ মিথ্যারোপ করল। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “বল, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আসমান-যামীনে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না”— (সূরা আন-নামল ৬৫)।
সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মাসরুক ইবনুল আজদার ডাকনাম আবূ আয়িশাহ। তিনি হলেন মাসরুক ইবনু আবদুর রহমান।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنْتُ مُتَّكِئًا عِنْدَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ يَا أَبَا عَائِشَةَ ثَلاَثٌ مَنْ تَكَلَّمَ بِوَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ عَلَى اللَّهِ وَاللَّهُ يَقُولُ : ( لَا تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ ) ، ( مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلاَّ وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ) وَكُنْتُ مُتَّكِئًا فَجَلَسْتُ فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْظِرِينِي وَلاَ تُعْجِلِينِي أَلَيْسَ يَقُولُ اللَّهُ : ( وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى )، ( وَلََقَدْ رَآهُ بِالأُفُقِ الْمُبِينِ ) قَالَتْ أَنَا وَاللَّهِ أَوَّلُ مَنْ سَأَلَ عَنْ هَذَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّمَا ذَاكَ جِبْرِيلُ مَا رَأَيْتُهُ فِي الصُّورَةِ الَّتِي خُلِقَ فِيهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " . وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا كَتَمَ شَيْئًا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ عَلَى اللَّهِ يَقُولُ اللَّهُ : ( يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ ) وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ عَلَى اللَّهِ وَاللَّهُ يَقُولُ : (قُلْ لاَ يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ الْغَيْبَ إِلاَّ اللَّهُ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَمَسْرُوقُ بْنُ الأَجْدَعِ يُكْنَى أَبَا عَائِشَةَ وَهُوَ مَسْرُوقُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهَكَذَا كَانَ اسْمُهُ فِي الدِّيوَانِ .
Narrated Masruq:
"I was reclining in the presence of 'Aishah when she said: 'O Abu 'Aishah! There are three things, whoever speaks of one of them, then he has uttered one of the worst lies against Allah. Whoever claims that Muhammad saw his Lord. Then he has uttered one the worst lies against Allah, Allah says: No vision can grasp Him, but His grasp is over all vision, and He is the Most Subtle, Well-Acquainted with all things (6:103). It is not for any human being that Allah should speak to him unless (it be) by revelation or from behind a veil (42:91).' I was reclining so I sat up an said: 'O Mother of the Believers! Take your time with me and do not be hasty with me! Did Allah Most High not say: And indeed he saw him at a second descent (53:13). (And) 'And indeed he saw him in the clear horizon (81:23).' She said 'By Allah! I was the first who asked the Messenger of Allah (ﷺ) about this. He said: "That was only Jibril. I did not see him in the appearance he was created in except for these two times. I saw him descending from the heavens, and due to his tremendous size he filled what was between the heavens and the earth." "And whoever claimed that Muhammad hid anything that Allah revealed to him, then he uttered one of the worst lies against Allah. Allah says: O Messenger! Proclaim what has been sent down to you from your Lord (5:67)." "And whoever claimed that he (ﷺ) knew what would be tomorrow, then he has uttered one of the worst lies against Allah. Allah says: Say: 'None in the heavens and in the earth knows the unseen but Allah (27:65).'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৬৯। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কয়েকজন লোক এসে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যা হত্যা করি তা খাবো আর আল্লাহ তা’আলা যা হত্যা করেন তা খাবো না? তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) ’তোমরা তার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাসী হলে যার উপর আল্লাহ তা’আলার নাম নেয়া হয়েছে তা হতে খাও... তোমরা যদি তাদের কথামত চল তবে অবশ্যই তোমরা মুশরিক হয়ে যাবে" (সূরা আল-আনআম ১১৮-১২১)।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (২০৫৮, ২০৫৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে অন্যভাবেও বর্ণিত হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে আতা ইবনু সায়িব হতে, তিনি সা’ঈদ ইবনু জুবাইর হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْبَصْرِيُّ الْحَرَشِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَكَّائِيُّ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَتَى أُنَاسٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَأْكُلُ مَا نَقْتُلُ وَلاَ نَأْكُلُ مَا يَقْتُلُ اللَّهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ( فَكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كُنْتُمْ بِآيَاتِهِ مُؤْمِنِينَ ) إِلَى قَوْلِهِ : (وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَيْضًا وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً .
Narrated 'Abdullah bin 'Abbas:
"Some people came to the Prophet (ﷺ) and they said: 'O Messenger of Allah! Why is it that we can eat what we kill but we can not eat what Allah has killed?' So Allah revealed: So eat of that on which Allah's Name has been mentioned if you are indeed believers in His Ayat..." up to His saying: ...And if you obey them, then you would indeed be idolaters (6:121)."
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৭০। আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ যে সহীফার (ক্ষুদ্র পুস্তিকা) উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মোহরাংকিত রয়েছে তার দেখা যাকে আনন্দ দেয় সে যেন এ আয়াতগুলো পাঠ করেঃ “বল! এসো, পড়ে শুনাই তোমাদের জন্য রব যা হারাম করেছেন তা। এভাবে আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সর্তক হও" (সূরা আল-আনআম- ১৫১-১৫৩)।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ دَاوُدَ الأَوْدِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى الصَّحِيفَةِ الَّتِي عَلَيْهَا خَاتَمُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَلْيَقْرَأْ هَذِهِ الآيَاتِ : ( قُلْ تَعَالَوْا أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ ) الآيَةَ إِلَى قَوْلِهِ : ( لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Narrated 'Abdullah bin Mas'ud:
"Whoever wishes to look at the Sahifah which Muhammad (ﷺ) placed his seal upon, then let him look at these Ayat, 'Say: Come, I will recite what your Lord has prohibited you from... up to His saying "That you may have Taqwa (6:151-153).'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৭১। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার বাণী “অথবা তোমার প্রতিপালকের কোন নিদর্শন আসবে” (সূরা আন’আম ১৫৮) প্রসঙ্গে বলেন, তা হচ্ছে পশ্চিম দিগন্ত হতে সূর্যোদয়।
সহীহঃ মুসলিম (১/৯৫), আবূ হুরাইরাহ হতে আরো পূর্ণাঙ্গ রূপে।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। কেউ কেউ এটিকে বর্ণনা করেছেন তবে তা মারফু’ হিসেবে নয়।
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّْ : (أَوْ يَأْتِيَ بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ ) قَالَ طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
Narrated 'Atiyyah:
from Abu Sa'eed, from the Prophet (ﷺ), regarding the saying of Allah, Most High: Or some of the Signs of your Lord come (6:158). He (ﷺ) said: "The sun's rising from its setting place."
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৭২। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি নিদর্শন যখন প্রকাশিত হবে “তখন কারো ঈমান আনয়ন তার কোন উপকারে আসবে না-যারা ইতিপূর্বে ঈমান আনেনি বা যারা নিজেদের ঈমান মতো নেক আমল করেনি” (সূরা আন’আম ১৫৮)। সেই তিনটি নিদর্শন হল দাজ্জাল, দাব্বাতুল আরয ও পশ্চিম দিগন্ত হতে সূর্যোদয়।
সহীহঃ মুসলিম (১/৯৫-৯৬)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ হাযিম, তিনি হলেন আল-আশযাঈ আল-কুফী তার নাম সালমান, তিনি আযযাহ আল-আশ জাঈয়্যার মুক্তদাস।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " ثَلاَثٌ إِذَا خَرَجْنَ : (لَمْ يَنْفَعْ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ ) الآيَةَ الدَّجَّالُ وَالدَّابَّةُ وَطُلُوعُ الشَّمْسِ مِنَ الْمَغْرِبِ أَوْ مِنْ مَغْرِبِهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو حَازِمٍ هُوَ الأَشْجَعِيُّ الْكُوفِيُّ وَاسْمُهُ سَلْمَانُ مَوْلَى عَزَّةَ الأَشْجَعِيَّةِ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Prophet (ﷺ) said: "There are three, for which when they appear, a soul will not benefit by its faith, if it did not believe before the Signs: Ad-Dajjal, the Beast, and the rising of the sun from its setting place" - or "from the west."
পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-আন’আম
৩০৭৩। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বারাকাতময় আল্লাহ তা’আলা বলেন, আর তার বাণী সম্পূর্ণ সত্যঃ আমার কোন বান্দা যখন কোন ভালো কাজের ইচ্ছা পোষণ করে তখনই (বলেন) হে ফেরেশতাগণ! তোমরা তার জন্য একটি নেকি লিখো এবং সে যখন কাজটি করে তখন তার দশ গুণ নেকি তার জন্য লিখো। পক্ষান্তরে সে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা পোষণ করলে তবে তোমরা তার কোন গুনাহ লিখো না, যদি সে তা করে তবে একটি মাত্র গুনাহই লিখো এবং যদি সে তা বর্জন করে বা কার্যকর না করে তার জন্য একটি নেকি লিখো। তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন (অনুবাদ) “কেউ কোন সৎকাজ করলে সে তার দশ গুণ পাবে এবং কেউ কোন অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু এর প্রতিফল দেয়া হবে”— (সূরা আন’আমঃ ১৬০)।
সহীহঃ রাওযুন নায়ীর (২/৭৪২), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَقَوْلُهُ الْحَقُّ إِذَا هَمَّ عَبْدِي بِحَسَنَةٍ فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا وَإِذَا هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلاَ تَكْتُبُوهَا فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا بِمِثْلِهَا فَإِنْ تَرَكَهَا وَرُبَّمَا قَالَ لَمْ يَعْمَلْ بِهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً ثُمَّ قَرَأَ : ( مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا ) " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Allah, Blessed and Most High, has said - and His saying is the Truth: 'When My slave considers doing something good then write it as one good for him. If he acts upon it then write ten of the same for him. And when he considers doing something evil, then do not write it. If he acts upon it, then write it. If he leaves it" - and perhaps he said: "if he does not act upon it, then write a good reward for him.'" Then he [the Prophet (ﷺ)] recited: Whoever comes with a good, then he shall have ten the like thereof (6:160).