পরিচ্ছেদঃ ২০. (কুরআনকে ভিক্ষার উপায় বানানো নিষেধ)

২৯১৭। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি জনৈক কুরআন তিলাওয়াতকারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকটি তখন কুরআন পাঠ করতে করতে (মানুষের নিকট) ভিক্ষা করছিল। তিনি “ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন” পাঠ করে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কুরআন তিলাওয়াতকারী ব্যক্তি যেন এর দ্বারা শুধু আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করে। কেননা অচিরেই এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা কুরআন পাঠের মাধ্যমে মানুষের নিকট ভিক্ষা করবে।

হাসানঃ সহীহাহ (২৫৭)।

মাহমুদ (রাহঃ) বলেন, এই খাইসামা আল-বাসর যার নিকট হতে জাবির আল-জুকী হাদীস বর্ণনা করেছেন ইনি খাইসামা ইবনু আবদুর রাহমান নন। এই খাইসামা হলেন বাসরার শাইখ এবং তার উপনাম আবূ নাসর। তিনি আনাস (রাযিঃ) হতে কিছু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। জাবির আল-জুকী এই খাইসামা হতেও হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এটির সানাদ তেমন শক্তিশালী নয়।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّهُ مَرَّ عَلَى قَاصٍّ يَقْرَأُ ثُمَّ سَأَلَ فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَلْيَسْأَلِ اللَّهَ بِهِ فَإِنَّهُ سَيَجِيءُ أَقْوَامٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَسْأَلُونَ بِهِ النَّاسَ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ مَحْمُودٌ وَهَذَا خَيْثَمَةُ الْبَصْرِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْهُ جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ وَلَيْسَ هُوَ خَيْثَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَخَيْثَمَةُ هَذَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ يُكْنَى أَبَا نَصْرٍ قَدْ رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَحَادِيثَ وَقَدْ رَوَى جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ عَنْ خَيْثَمَةَ هَذَا أَيْضًا أَحَادِيثَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو احمد، حدثنا سفيان، عن الاعمش، عن خيثمة، عن الحسن، عن عمران بن حصين، انه مر على قاص يقرا ثم سال فاسترجع ثم قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ من قرا القران فليسال الله به فانه سيجيء اقوام يقرءون القران يسالون به الناس ‏"‏ ‏.‏ وقال محمود وهذا خيثمة البصري الذي روى عنه جابر الجعفي وليس هو خيثمة بن عبد الرحمن وخيثمة هذا شيخ بصري يكنى ابا نصر قد روى عن انس بن مالك احاديث وقد روى جابر الجعفي عن خيثمة هذا ايضا احاديث ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ليس اسناده بذاك ‏.‏


Narrated Al-Hasan:
that 'Imran bin Husain passed by a reciter reciting then he began begging. So he ('Imran) said: 'Indeed we are from Allah and to Him shall we return.' Then he said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'Whoever recites the Qur'an, then let him ask Allah by it. For indeed there will come a people, who will recite the Qur'an, asking from the people because of it.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an

পরিচ্ছেদঃ ২০. (কুরআনকে ভিক্ষার উপায় বানানো নিষেধ)

২৯১৮। সুহাইব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআনের হারামসমূহকে হালাল মনে করে সে কুরআনের প্রতি ঈমান আনেনি।

যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২২০৩)

আবূ ঈসা বলেনঃ উক্ত হাদীসের সনদ তেমন মজবুত নয়। ওয়াকীর রিওয়ায়াতের বিরোধিতা করা হয়েছে। মুহাম্মাদ বলেনঃ আবূ ফারওয়া ইয়াযীদ ইবনু সিনান আর-রাহাবীর হাদীস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। তবে তার পুত্র মুহাম্মাদ তার সূত্রে যে রিওয়ায়াত করেছেন সেগুলোর বক্তব্য আলাদা। কারণ তিনি তার আব্বার বরাতে অনেক মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।

মুহাম্মাদ ইবনু সিনান তার আব্বার সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং তার সনদে মুজাহিদ-সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব-সুহাইব (রাহঃ) অতিরিক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইয়ামীদের রিওয়ায়াতের সমর্থক কোন রিওয়ায়াত নেই। ইনি একজন দুর্বল রাবী। আর আবূল মুবারাক একজন অপরিচিত ব্যক্তি।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو فَرْوَةَ، يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ عَنْ أَبِي الْمُبَارَكِ، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا آمَنَ بِالْقُرْآنِ مَنِ اسْتَحَلَّ مَحَارِمَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَقَدْ خُولِفَ وَكِيعٌ فِي رِوَايَتِهِ ‏.‏ وَقَالَ مُحَمَّدٌ أَبُو فَرْوَةَ يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ الرُّهَاوِيُّ لَيْسَ بِحَدِيثِهِ بَأْسٌ إِلاَّ رِوَايَةَ ابْنِهِ مُحَمَّدٍ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَرْوِي عَنْهُ مَنَاكِيرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ عَنْ أَبِيهِ هَذَا الْحَدِيثَ فَزَادَ فِي هَذَا الإِسْنَادِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ صُهَيْبٍ وَلاَ يُتَابَعُ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ عَلَى رِوَايَتِهِ وَهُوَ ضَعِيفٌ وَأَبُو الْمُبَارَكِ رَجُلٌ مَجْهُولٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل الواسطي، حدثنا وكيع، حدثنا ابو فروة، يزيد بن سنان عن ابي المبارك، عن صهيب، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ما امن بالقران من استحل محارمه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث ليس اسناده بالقوي وقد خولف وكيع في روايته ‏.‏ وقال محمد ابو فروة يزيد بن سنان الرهاوي ليس بحديثه باس الا رواية ابنه محمد عنه فانه يروي عنه مناكير ‏.‏ قال ابو عيسى وقد روى محمد بن يزيد بن سنان عن ابيه هذا الحديث فزاد في هذا الاسناد عن مجاهد عن سعيد بن المسيب عن صهيب ولا يتابع محمد بن يزيد على روايته وهو ضعيف وابو المبارك رجل مجهول ‏.‏


Narrated Suhaib:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "He does not believe in the Qur'an who makes lawful what it prohibits."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an

পরিচ্ছেদঃ ২০. (কুরআনকে ভিক্ষার উপায় বানানো নিষেধ)

২৯১৯। উকবাহ ইবনু আমির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ প্রকাশ্যে কুরআন পাঠকারী প্রকাশ্যে দান-খাইরাতকারীর সমতুল্য এবং গোপনে কুরআন পাঠকারী গোপনে দান-খাইরাতকারীর সমতুল্য।

সহীহঃ মিশকাত তাহকীক সানী (২২০২), সহীহ আবূ দাউদ (১২০৪)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসের অর্থ হল গোপনে কুরআন পাঠকারীই প্রকাশ্যে পাঠকারীর চাইতে উত্তম। কেননা আলিমদের মতে প্রকাশ্যে (ঐচ্ছিক) দান-খাইরাতের তুলনায় গোপনে দান করা উত্তম। বিশেষজ্ঞ আলিমগণের মতে, হাদীসের তাৎপর্য এই যে, পাঠক যেন অহংকার হতে বেঁচে থাকে। আর যে আমল গোপনে করা হয়, তাতে অহংকারের ততটা আশংকা থাকে না যতটা থাকে প্রকাশ্যে ’আমল করার মধ্যে।

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ الْجَاهِرُ بِالْقُرْآنِ كَالْجَاهِرِ بِالصَّدَقَةِ وَالْمُسِرُّ بِالْقُرْآنِ كَالْمُسِرِّ بِالصَّدَقَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الَّذِي يُسِرُّ بِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ أَفْضَلُ مِنَ الَّذِي يَجْهَرُ بِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ لأَنَّ صَدَقَةَ السِّرِّ أَفْضَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ صَدَقَةِ الْعَلاَنِيَةِ وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لِكَىْ يَأْمَنَ الرَّجُلُ مِنَ الْعُجْبِ لأَنَّ الَّذِي يُسِرُّ الْعَمَلَ لاَ يُخَافُ عَلَيْهِ الْعُجْبُ مَا يُخَافُ عَلَيْهِ مِنْ عَلاَنِيَتِهِ ‏.‏

حدثنا الحسن بن عرفة، حدثنا اسماعيل بن عياش، عن بحير بن سعد، عن خالد بن معدان، عن كثير بن مرة الحضرمي، عن عقبة بن عامر، قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ الجاهر بالقران كالجاهر بالصدقة والمسر بالقران كالمسر بالصدقة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏ ومعنى هذا الحديث ان الذي يسر بقراءة القران افضل من الذي يجهر بقراءة القران لان صدقة السر افضل عند اهل العلم من صدقة العلانية وانما معنى هذا عند اهل العلم لكى يامن الرجل من العجب لان الذي يسر العمل لا يخاف عليه العجب ما يخاف عليه من علانيته ‏.‏


Narrated 'Uqbah bin 'Amir:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The one who recites the Qur'an aloud is like the one who gives charity publicly, and the one who recites the Qur'an quietly is like the one who gives charity secretly."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে