পরিচ্ছেদঃ ১. সূরা আল-ফাতিহার ফযীলত
২৮৭৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ)-এর নিকট গেলেন এবং তাকে ডাকলেনঃ হে উবাই। উবাই (রাযিঃ) তখন নামাযরত ছিলেন। তিনি তার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন কিন্তু জবাব দিলেন না। তবে তিনি সংক্ষেপে নামায শেষ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট গেলেন এবং বললেনঃ আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওয়া ’আলাইকাস সালাম। হে উবাই! আমি তোমাকে ডাকলে কিসে তোমাকে জবাব দিতে বাধা দিল?
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো নামাযরত ছিলাম। তিনি বললেন? আমার নিকট আল্লাহ তা’আলা যে ওয়াহী প্রেরণ করেছেন, তার মধ্যে তুমি কি এ হুকুম পাওনি “রাসূল যখন তোমাদের এমন কিছুর দিকে ডাকে যা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে, তখন আল্লাহ তা’আলা ও রাসূলের ডাকে সাড়া দিবে”— (সূরা আল-আনফাল ২৪)?
তিনি বললেন, হ্যাঁ। আর কখনো এরূপ করব না ইনশাআল্লাহ। তিনি বললেনঃ তুমি কি চাও যে, আমি এমন একটি সূরা তোমাকে শিখিয়ে দেই যার মত কোন সূরা তাওরাত, ইনজীল, যাবুর এমনকি কুরআনেও অবতীর্ণ হয়নি? তিনি বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্ন করলেনঃ তুমি নামাযে কি পাঠ কর? বর্ণনাকারী বলেনঃ তিনি (উবাই) উম্মুল কুরআন (ফাতিহা) পাঠ করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যার হাতে আমার প্রাণ, সেই সত্তার শপথ! এ সূরার মত (মর্যাদা সম্পন্ন) কোন সূরা তাওরাত, ইনজীল, যাবুর, এমনকি কুরআনেও অবতীর্ণ করা হয়নি। আর এটি বারবার পঠিত সাতটি আয়াত সম্বলিত সূরা এবং মহাসম্মানিত কুরআন যা আমাকে দেয়া হয়েছে।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১৩১০), মিশকাত তাহকীক সানী (২১৪২), তা’লীকুর রাগীব (২/২১৬)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আর তাতে উবাই ইবনু কাব-এর স্থলে সাঈদ ইবনু মু’আল্লার নাম উল্লেখ আছে।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أُبَىُّ " . وَهُوَ يُصَلِّي فَالْتَفَتَ أُبَىٌّ وَلَمْ يُجِبْهُ وَصَلَّى أُبَىٌّ فَخَفَّفَ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ مَا مَنَعَكَ يَا أُبَىُّ أَنْ تُجِيبَنِي إِذْ دَعَوْتُكَ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ فِي الصَّلاَةِ . قَالَ " أَفَلَمْ تَجِدْ فِيمَا أَوْحَى اللَّهُ إِلَىَّ أَنِ (استَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ ) " . قَالَ بَلَى وَلاَ أَعُودُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ . قَالَ " تُحِبُّ أَنْ أُعَلِّمَكَ سُورَةً لَمْ يَنْزِلْ فِي التَّوْرَاةِ وَلاَ فِي الإِنْجِيلِ وَلاَ فِي الزَّبُورِ وَلاَ فِي الْفُرْقَانِ مِثْلُهَا " . قَالَ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَيْفَ تَقْرَأُ فِي الصَّلاَةِ " . قَالَ فَقَرَأَ أُمَّ الْقُرْآنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا أُنْزِلَتْ فِي التَّوْرَاةِ وَلاَ فِي الإِنْجِيلِ وَلاَ فِي الزَّبُورِ وَلاَ فِي الْفُرْقَانِ مِثْلُهَا وَإِنَّهَا سَبْعٌ مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُعْطِيتُهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَفِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) came out to Ubayy bin Ka'b, and the Messenger of Allah (ﷺ) said: "O Ubayy!" And he was performing Salat, so Ubayy turned around but he did not respond to him, so Ubayy finished his Salat quickly. Then he turned to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: 'As-Salamu 'Alaikum, O Messenger of Allah!' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Wa 'Alaikum As-Salam - what prevented you from responding to me when I called you Ubayy?' He said: 'O Messenger of Allah! I was performing Salat.' So he said: 'Do you not find among what Allah revealed to me: Respond to Allah and to the Messenger when they call you to what gives you life?' He said: 'Of course, I shall not repeat that, if Allah wills.' He said: 'Would you like for me to teach you a Surah the likes of which has neither been revealed in the Tawrah, nor the Injil, nor the Zabur, nor in the entire Qur'an?' He said: "Yes, O Messenger of Allah!' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'What do you recite in your Salat?' He said: 'I recite Umm Al-Qur'an.' So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'By the One in Whose Hand is my soul! The like of it has neither been revealed in the Tawrah, nor the Injil nor the Zabur, nor in the Furqan. It is the seven oft-repeated, and the Magnificent Qur'an which I was given.'"
পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-বাকরাহ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
২৮৭৬। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এক অভিযানে) একটি ক্ষুদ্র বাহিনী পাঠান। তারা সংখ্যায় খুব অধিক ছিল না। তিনি তাদেরকে কুরআন তিলাওয়াত করতে বলেন। সুতরাং প্রত্যেকেই যার যা মুখস্ত ছিল তা তিলাওয়াত করে শুনায়।
অবশেষে তিনি এদের মধ্যে সবচাইতে কম বয়সী এক ব্যক্তির নিকটে আসলেন। তিনি তাকে প্রশ্ন করলেনঃ হে আদমি! তোমার নিকটে কি আছে? সে বলল, আমার এই এই সূরা ও সূরা আল-বাকারা মুখস্ত আছে। তিনি আবার প্রশ্ন করেনঃ তোমার সূরা আল-বাকারা মুখস্ত আছে? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ যাও, তুমিই এই বাহিনীর দলপতি।
দলের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি বলল ইয়া রাসূলুল্লাহ, আল্লাহর শপথ আমি সূরা আল-বাকারা এই ভয়ে হেফয করিনি যে, আমি এটা নিয়ে (রাতের নামাযে) দাড়াতে পারব না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তা তিলাওয়াত কর। কেননা যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করতে শিখে, তা পাঠ করে এবং এটা নিয়ে নামাযে দাঁড়ায় তার জন্য কুরআনের নমুনা হল কস্তুরী ভর্তি চামড়ার থলের মত যার খুশবু সবখানে ছড়িয়ে পড়ছে। আর যে ব্যক্তি তা শিখে ঘুমিয়ে আছে তার উদাহরণ হল মুখবন্ধ কস্তুরীর থলের মত।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (২১৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। লাইস ইবনু সা’দ-সাঈদ আল-মাকবুরী হতে তিনি আবূ আহমাদের মুক্তদাস আতা (রাহঃ) হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে মুরসাল হিসেবেও উপরোক্ত হাদীসের মতই বর্ণিত আছে। এই সূত্রে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْثًا وَهُمْ ذُو عَدَدٍ فَاسْتَقْرَأَهُمْ فَاسْتَقْرَأَ كُلَّ رَجُلٍ مِنْهُمْ مَا مَعَهُ مِنَ الْقُرْآنِ فَأَتَى عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ مِنْ أَحْدَثِهِمْ سِنًّا فَقَالَ " مَا مَعَكَ يَا فُلاَنُ " . قَالَ مَعِي كَذَا وَكَذَا وَسُورَةُ الْبَقَرَةِ . قَالَ " أَمَعَكَ سُورَةُ الْبَقَرَةِ " . فَقَالَ نَعَمْ . قَالَ " فَاذْهَبْ فَأَنْتَ أَمِيرُهُمْ " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا مَنَعَنِي أَنْ أَتَعَلَّمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ إِلاَّ خَشْيَةَ أَلاَّ أَقُومَ بِهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ فَاقْرَءُوهُ وَأَقْرِئُوهُ فَإِنَّ مَثَلَ الْقُرْآنِ لِمَنْ تَعَلَّمَهُ فَقَرَأَهُ وَقَامَ بِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ مَحْشُوٍّ مِسْكًا يَفُوحُ بِرِيحِهِ كُلُّ مَكَانٍ وَمَثَلُ مَنْ تَعَلَّمَهُ فَيَرْقُدُ وَهُوَ فِي جَوْفِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ وُكِئَ عَلَى مِسْكٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
وَقَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ عَنِ اللَّيْثِ فَذَكَرَهُ .
Narrated Abu Hurairah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) sent an expedition force [comprised] of many, and he asked each what he could recite, so each one of them mentioned what he could recite - meaning what he had memorized of the Qur'an. He came to one of the youngest men among them and said: 'What have you memorized O so-and-so?' He said: 'I memorized this and that and Surat Al-Baqarah.' He said: 'You memorized Surat Al-Baqarah?' He said: "Yes.' He said: "Then go, for you are their commander.' A man among their chief said: 'By Allah [O Messenger of Allah]! Nothing prevented me from learning Surat Al-Baqarah except fearing that I would not be able to stand with (in voluntary night prayer).' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Learn the Qur'an to recite it, for indeed the parable of the Qur'an for the one who recites it and stands with it (in prayer) is that of a bag full of musk whose scent fills the air all around. And the parable of the one who learns it then sleeps while it is in his memory is that of a bag containing musk that is tied shut.'"
পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-বাকরাহ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
২৮৭৭। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের ঘরসমূহ কবরস্থানে পরিণত করো না। যে ঘরে সূরা আল-বাকরাহ তিলাওয়াত করা হয় তাতে শাইতান প্রবেশ করে না।
সহীহঃ আহকা-মুল জানা-য়িয (২১২), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ وَإِنَّ الْبَيْتَ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ الْبَقَرَةُ لاَ يَدْخُلُهُ الشَّيْطَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Do not turn your houses into graves. Indeed Ash-Shaitan does not enter the house in which Surat Al-Baqarah is recited."
পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-বাকরাহ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
২৮৭৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিটি বস্তুরই চূড়া আছে। কুরআনের উচু চূড়া হল সূরা আল-বাকারা। এতে এমন একটি আয়াত আছে যা কুরআনের আয়াতসমূহের প্রধান। তা হল আয়াতুল কুরসী।
যঈফ, যঈফা (১৩৪৮), তা’লীকুর রাগীব (২/২১৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র হাকীম ইবনু জুবাইরের সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। শুবা তার সমালোচনা করেছেন এবং তাকে দুর্বল রাবী আখ্যায়িত করেছেন।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِكُلِّ شَيْءٍ سَنَامٌ وَإِنَّ سَنَامَ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَفِيهَا آيَةٌ هِيَ سَيِّدَةُ آىِ الْقُرْآنِ هِيَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ . وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ وَضَعَّفَهُ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ): "For everything there is a hump (pinnacle) and the hump (pinnacle) of the Qur'an is Surat Al-Baqarah, in it there is an Ayah which is the master of the Ayat in the Qur'an; [it is] Ayat Al-Kursi."
পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-বাকরাহ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
২৮৭৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালবেলা সূরা আল-মু’মিন-এর হা-মী-ম হতে ইলাইহিল মাসীর (১, ২, ও ৩ নং আয়াত) পর্যন্ত এবং আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে সে এর উসীলায় সন্ধ্যা পর্যন্ত (আল্লাহ্ তা’আলার) হিফাযাতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় তা পাঠ করবে সে ব্যক্তি এর উসীলায় সকাল পর্যন্ত হিফাযাতে থাকবে।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২১৪৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। কোন কোন হাদীসবেত্তা আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর ইবনু আবূ মুলাইকার স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন। যুরারা ইবনু মুসআব হলেন আবূ মুসআবের দাদা
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ أَبُو سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حم الْمُؤْمِنَ إِلَى : (إِلَيْهِ الْمَصِيرُ ) وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهُمَا حِينَ يُمْسِيَ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُصْبِحَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ الْمُلَيْكِيِّ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ . وَزُرَارَةُ بْنُ مُصْعَبٍ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَهُوَ جَدُّ أَبِي مُصْعَبٍ الْمَدَنِيِّ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever recites Ha Mim Al-Mu'min - up to - To Him is the return (40:1-3) and Ayat Al-Kursi when he reaches (gets up in) the morning, he will be protected by them until the evening. And whoever recites them when he reaches the evening, he will be protected by them until the morning."
পরিচ্ছেদঃ ৩. (আয়াতুল কুরসীর ফযীলত)
২৮৮০। আবূ আইয়ুব আল-আনসার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তার খেজুর বাগানে একটি ছোট মাচান ছিল। তিনি তাতে শুকনো খেজুর রাখতেন। রাতে শাইতান জিন এসে মাচান হতে খেজুর নিয়ে যেত। তিনি এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নালিশ করলেন। তিনি বললেন; যাও, তুমি যখন এটিকে দেখবে তখন বলবে, বিসমিল্লাহ্, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডাকে তুমি সাড়া দাও।
বর্ণনাকারী বলেন, জিন আসতেই তিনি তাকে ধরে ফেললেন। সে তখন কসম করে বলল যে, সে আর কখনও আসবে না। কাজেই তিনি তাকে ছেড়ে দিলেন। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ -এর নিকট আসলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার বন্দী কি করেছে? তিনি বললেন, সে শপথ করেছে যে, সে আর কখনও আসবে না। তিনি বললেনঃ সে মিথ্যা বলেছে এবং সে তো মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তাকে আবার ধরলেন। এবারও সে শপথ করল যে, সে আর কখনো আসবে না। তিনি তাকে ছেড়ে দিলেন। তারপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ কি হে! তোমার বন্দীর কি খবর? তিনি বললেন, সে কসম করে বলেছে যে, সে আর আসবে না, (কাজেই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি)। তিনি বললেনঃ সে এবারও মিথ্যা বলেছে, আর সে মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত।
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আবারো তাকে ধরে ফেললেন এবং বললেন, আমি তোকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট না নিয়ে ছাড়ছি না। সে বলল, আমি আপনাকে একটি বিষয় স্মরণ করাতে চাই। আপনি আপনার ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবেন। তাহলে শাইতান বা অন্য কিছু এতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এবার তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার বন্দী কি করেছে? বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে জিনের কথা ব্যক্ত করলেন। তিনি বললেনঃ সে মিথ্যাবাদী হলেও এ কথাটা সত্য বলেছে।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (২/২১২), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَخِيهِ، عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ كَانَتْ لَهُ سَهْوَةٌ فِيهَا تَمْرٌ فَكَانَتْ تَجِيءُ الْغُولُ فَتَأْخُذُ مِنْهُ قَالَ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَاذْهَبْ فَإِذَا رَأَيْتَهَا فَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ أَجِيبِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " . قَالَ فَأَخَذَهَا فَحَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَأَرْسَلَهَا فَجَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ حَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَقَالَ " كَذَبَتْ وَهِيَ مُعَاوِدَةٌ لِلْكَذِبِ " . قَالَ فَأَخَذَهَا مَرَّةً أُخْرَى فَحَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَأَرْسَلَهَا فَجَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ حَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ . فَقَالَ " كَذَبَتْ وَهِيَ مُعَاوِدَةٌ لِلْكَذِبِ " . فَأَخَذَهَا فَقَالَ مَا أَنَا بِتَارِكِكِ حَتَّى أَذْهَبَ بِكِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ إِنِّي ذَاكِرَةٌ لَكَ شَيْئًا آيَةَ الْكُرْسِيِّ اقْرَأْهَا فِي بَيْتِكَ فَلاَ يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ وَلاَ غَيْرُهُ . قَالَ فَجَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَتْ . قَالَ " صَدَقَتْ وَهِيَ كَذُوبٌ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ .
Narrated 'Abdur-Rahman bin Abi Laila:
that Abu Ayyub Al-Ansari had a store house in which he kept dates. A ghoul would come and take from it, so he complained about that to the Prophet (ﷺ). So he said: "Go, and when you see her say: 'In the Name of Allah, answer to the Messenger of Allah (ﷺ).'" He said: "So I caught her, and she swore that she would not return, so I released her." He went to the Prophet (ﷺ) and he said: "What did your captive do?" He said: "She swore not to return." He said: "She has lied, and she will come again to lie." He said: "I caught her another time and she swore that she would not return, so I released her, and went to the Prophet (ﷺ)." He said: "What did your captive do?" He said: "She swore that she would not return." So he said: "She lied and she will come again to lie." So he caught her and said: "I shall not let you go until you accompany me to the Prophet (ﷺ)." She said: "I shall tell you something: If you recite Ayat Al-Kursi in your home, then no Shaitan, nor any other shall come near you." So he went to the Prophet (ﷺ) and he said: "What did your captive do?" He said: "I informed him of what she said, and he said: 'She told the truth and she is a continuous liar.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আল-বাকারার শেষ আয়াতের ফযীলত
২৮৮১। আবূ মাসউদ আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা আল-বাক্কারার শেষ দুই আয়াত রাতের বেলা তিলাওয়াত করবে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১২৬৩)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ الآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Mas'ud Al-Ansari:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever recites the last two Ayat of Surat Al-Baqarah during the night, they shall suffice him."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আল-বাকারার শেষ আয়াতের ফযীলত
২৮৮২। নুমান ইবনু বাশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আসমান-যামীন সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে একটি কিতাব লিখেছেন। সেই কিতাব হতে তিনি দুটি আয়াত নাযিল করছেন। সেই দু’টি আয়াতের মাধ্যমেই সূরা আল-বাকারা সমাপ্ত করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করা হয় শাইতান সেই ঘরের নিকট আসতে পারে না।
সহীহঃ রাওযুন নায়ীর (৮৮৬), তা’লীকুর রাগীব (২/২১৯), মিশকাত (২১৪৫)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَرْمِيِّ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الْجَرْمِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِأَلْفَىْ عَامٍ أَنْزَلَ مِنْهُ آيَتَيْنِ خَتَمَ بِهِمَا سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَلاَ يُقْرَآنِ فِي دَارٍ ثَلاَثَ لَيَالٍ فَيَقْرَبُهَا شَيْطَانٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Narrated An-Nu'man bin Bashir:
that the Prophet (ﷺ) said: "Indeed Allah wrote in a book two thousand years before He created the heavens and the earth, and He sent down two Ayat from it to end Surat Al-Baqarah with. If they are recited for three nights in a home, no Shaitan shall come near it."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আল-ইমরানের ফযীলত
২৮৮৩। নাওওয়াস ইবনু সাম’আন (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিবসে কুরআন ও কুরআনের ধারক-বাহকগণ যারা দুনিয়াতে তদনুযায়ী আমল করবে এমন ভাবে হাযির হবে যে, সূরা আল-বাকারাহ ও আল ইমরান তাদের আগে আগে থাকবে। নাওওয়াস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সূরা দুটি আগমনের তিনটি উদাহরণ দিয়েছেন, আমি সেগুলো এখনও ভুলিনি। তিনি বলেনঃ
(১) এ সূরা দুটি ছায়ার মত আসবে, আর এতদুভয়ের মাঝে থাকবে আলো।
(২) অথবা এ দুটি কালো মেঘ খণ্ডের ন্যায়
(৩) অথবা ডানা বিস্তার করে ছায়াদানকারী পাখীর ন্যায় আসবে এবং তাদের সাথীর পক্ষ হয়ে বিতর্ক করবে।
সহীহঃ মুসলিম (২/১৯৭)।
বুরাইদাহ ও আবূ উমামাহ্ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং এই সূত্রে গারীব। আলিমগণের মতে এ হাদীসের তাৎপর্য এই যে, কিয়ামতের দিবসে উক্ত সূরা দুটির সাওয়াব এভাবে এসে হাযির হবে।কোন কোন আলিম এই হাদীস এবং এমন বক্তব্য সম্বলিত অন্যান্য হাদীসের ব্যাখ্যায় এ কথাই বলেছেন।
নাওওয়াস ইবনু সাম’আন (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কুরআন এবং যারা দুনিয়াতে কুরআনের উপর আমল করত তারা হাযির হবে" এ বাক্য দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, "আমলের সাওয়াবই হাযির হবে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو عَبْدِ الْمَلِكِ الْعَطَّارِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ نَوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَأْتِي الْقُرْآنُ وَأَهْلُهُ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ بِهِ فِي الدُّنْيَا تَقْدُمُهُ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَآلُ عِمْرَانَ " . قَالَ نَوَّاسٌ وَضَرَبَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَةَ أَمْثَالٍ مَا نَسِيتُهُنَّ بَعْدُ قَالَ " تَأْتِيَانِ كَأَنَّهُمَا غَيَايَتَانِ وَبَيْنَهُمَا شَرْقٌ أَوْ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ سَوْدَاوَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا ظُلَّةٌ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُجَادِلاَنِ عَنْ صَاحِبِهِمَا " . وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ يَجِيءُ ثَوَابُ قِرَاءَتِهِ كَذَا فَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ وَمَا يُشْبِهُ هَذَا مِنَ الأَحَادِيثِ أَنَّهُ يَجِيءُ ثَوَابُ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ . وَفِي حَدِيثِ النَّوَّاسِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا يَدُلُّ عَلَى مَا فَسَّرُوا إِذْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَأَهْلُهُ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ بِهِ فِي الدُّنْيَا " . فَفِي هَذَا دِلاَلَةٌ أَنَّهُ يَجِيءُ ثَوَابُ الْعَمَلِ .
Narrated An-Nawwas bin Sam'an:
that the Prophet (ﷺ) said: "The Qur'an shall come, and its people who acted according to it in the world. Surat Al-Baqarah and Al 'Imran shall be in front of it. An-Nawwas said: "The Messenger of Allah (ﷺ) stated three parables about them which I have not since forgotten, he said: "They will come as if they are two shades between which there is illumination, or as if they are two shady clouds, or as if they are shadows of lines of birds arguing on behalf of their people."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আল-ইমরানের ফযীলত
২৮৮৪। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল-হুমাইদী হতে, বর্ণনা করেন যে, ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসঃ “আসমান-যামীনের মধ্যে আয়াতুল কুরসীর চাইতে মহান আর কোন কিছুই আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি করেননি, এর ব্যাখায় সুফিয়ান ইবনু উয়াইনাহ বলেন, আয়াতুল কুরসী হল আল্লাহ তা’আলার কালাম, আর আল্লাহ তা’আলার কালাম তো নিঃসন্দেহে আসমান-যামীনের সকল সৃষ্টির চাইতে মহান।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، فِي تَفْسِيرِ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ مَا خَلَقَ اللَّهُ مِنْ سَمَاءٍ وَلاَ أَرْضٍ أَعْظَمَ مِنْ آيَةِ الْكُرْسِيِّ . قَالَ سُفْيَانُ لأَنَّ آيَةَ الْكُرْسِيِّ هُوَ كَلاَمُ اللَّهِ وَكَلاَمُ اللَّهِ أَعْظَمُ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ مِنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ .
Narrated 'Abdullah bin Mas'ud:
"Allah has not created in the heavens nor in the earth what is more magnificent than Ayat Al-Kursi." Sufyan said: "Because Ayat Al-Kursi is the Speech of Allah, and Allah's Speech is greater than Allah's creation of the heavens and the earth."
পরিচ্ছেদঃ ৬. সূরা আল-কাহফের ফযীলত
২৮৮৫। আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাযিঃ) বলেন, একদা এক লোক সূরা আল-কাহফ তিলাওয়াত করছিল। সে লোকটি হঠাৎ দেখতে পেল, তার পশুটি লাফাচ্ছে। সে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মেঘমালা বা ছায়ার মত কিছু দেখল। লোকটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে এ ঘটনা বলল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা হল বিশেষ প্রশান্তি যা কুরআনের সাথে বা কুরআনের উপর অবতীর্ণ হয়েছে।
সহীহঃ বুখারী (৫০১১), মুসলিম (২/১৯৩-১৯৪)।
উসাইদ ইবনু হুযাইর (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَقْرَأُ سُورَةَ الْكَهْفِ إِذْ رَأَى دَابَّتَهُ تَرْكُضُ فَنَظَرَ فَإِذَا مِثْلُ الْغَمَامَةِ أَوِ السَّحَابَةِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " تِلْكَ السَّكِينَةُ نَزَلَتْ مَعَ الْقُرْآنِ أَوْ نَزَلَتْ عَلَى الْقُرْآنِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Ishaq:
hearing Al-Bara say: "There was a man reciting [Surat] Al-Kahf when he saw his riding animal stamping his feet, so he looked and there was something like a shadow or cloud, so he went to the Messenger of Allah (ﷺ) and mentioned that to him. The Prophet (ﷺ) said: "That was the tranquility which descends with the Qur'an, or descends because of the Qur'an."
পরিচ্ছেদঃ ৬. সূরা আল-কাহফের ফযীলত
২৮৮৬। আবূদ দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা আল-কাহফের প্রথম তিনটি আয়াত পাঠ করবে তাকে দাজ্জালের ফিতনা হতে বিপদমুক্ত রাখা হবে।
“মান হাফিযা আশারা আয়াতিন” যে ব্যক্তি দশটি আয়াত মুখস্থ করবে এই শব্দে হাদীসটি সহীহঃ সহীহাহ (৫৮২), আর এখানে বর্ণিত “মান কারায়া ছালাছা আয়া তিন” শব্দে হাদীসটি শাজঃ যঈফাহ (১৩৩৬)
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-মুআয ইবনু হিশাম হতে তিনি তার পিতা হতে তিনি আবী কাতাদাহ্ (রহঃ) হতে উপরোক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَرَأَ ثَلاَثَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ " .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Ad-Darda:
that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever recites three Ayat from the beginning of Al-Kahf he is protected from the turmoil of the Dajjal."
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুরা ইয়াসিনের ফযীলত
২৮৮৭। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেকটা বস্তুর কলব (হৃদয়) আছে। কুরআনের কলব হচ্ছে সূরা ইয়াসীন। যে ব্যক্তি এ সূরা একবার পাঠ করবে আল্লাহ তা’আলা এর পরিবর্তে তার জন্য দশবার কুরআন পাঠের সমান সাওয়াব নিরূপণ করবেন।
মাওযু, যঈফা (১৬৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র হুমাইদ ইবনু আবদুর রহমানের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। বসরায় এই সূত্র ব্যতীত কাতাদার রিওয়াত প্রসঙ্গে কিছু জানা নেই। হারূন আবূ মুহাম্মাদ একজন অপরিচিত শাইখ। আবূ মূসা মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না হতে তিনি আহমাদ আবদুর রহমান (রাহঃ) সূত্রে উপরের হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। এ অনুচ্ছেদে আবূ বকর সিদীক (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। সনদের দিক হতে তার সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি সহীহ নয়। এর সনদসূত্র দুর্বল। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَسُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرُّؤَاسِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ هَارُونَ أَبِي مُحَمَّدٍ، عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ قَلْبًا وَقَلْبُ الْقُرْآنِ يس وَمَنْ قَرَأَ يس كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِقِرَاءَتِهَا قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ عَشْرَ مَرَّاتٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَبِالْبَصْرَةِ لاَ يَعْرِفُونَ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَهَارُونُ أَبُو مُحَمَّدٍ شَيْخٌ مَجْهُولٌ .
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بِهَذَا . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَلاَ يَصِحُّ حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ إِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ .
Narrated Anas:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed for everything there is a heart, and the Qur'an's heart is Ya Sin. Whoever recites Ya Sin, then for its recitation, Allah writes for him that he recited the Qur'an ten times."
পরিচ্ছেদঃ ৮. সুরা হা-মীম আদ-দুখানের ফযীলত
২৮৮৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে সূরা হা-মীম আদ-দুখান পাঠ করে, ভোর হওয়া পর্যন্ত তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে ক্ষমা চাইতে থাকে।
মাওযু, মিশকাত (২১৪৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। উমার ইবনু আবূ খাসআম যঈফ। মুহাম্মাদ (ইমাম বুখারী) বলেনঃ উমার একজন মুনকার রাবী।
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي خَثْعَمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حم الدُّخَانَ فِي لَيْلَةٍ أَصْبَحَ يَسْتَغْفِرُ لَهُ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَعُمَرُ بْنُ أَبِي خَثْعَمٍ يُضَعَّفُ . قَالَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever recites Ha Mim Ad-Dukhan during the night, in the morning seventy thousand angels seek forgiveness for him."
পরিচ্ছেদঃ ৮. সুরা হা-মীম আদ-দুখানের ফযীলত
২৮৮৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর রাতে সূরা হা-মীম আদ-দুখান পাঠ করবে তাকে ক্ষমা করা হবে।
যঈফ, যঈফা (৪৬৩২), মিশকাত তাহকীক ছানী (২১৫০)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীর। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। আবূ মিকদাম হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলে আখ্যায়িত। হাসান বাসরী (রাহঃ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে কিছুই শুনেননি। আইউব, ইউনুস ইবনু উবাইদ ও আলী ইবনু যাইদ এরকমই বলেছেন।
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ هِشَامٍ أَبِي الْمِقْدَامِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حم الدُّخَانَ فِي لَيْلَةِ الْجُمُعَةِ غُفِرَ لَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَهِشَامٌ أَبُو الْمِقْدَامِ يُضَعَّفُ وَلَمْ يَسْمَعِ الْحَسَنُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ هَكَذَا قَالَ أَيُّوبُ وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever recites Ha Mum Ad-Dukhan during Friday night, he shall be forgiven."
পরিচ্ছেদঃ ৯. সূরা আল-মুলকের ফযীলত
২৮৯০। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী একটি কবরের উপর তার তাবু খাটান। তিনি জানতেন না যে, তা একটি কবর। তিনি হঠাৎ বুঝতে পারেন যে, কবরে একটি লোক সূরা আল-মুলক পাঠ করছে। সে তা পাঠ করে সমাপ্ত করলো। তারপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি একটি কবরের উপর তাঁবু খাটাই। আমি জানতাম না যে, তা কবর। হঠাৎ বুঝতে পারি যে, একটি লোক সূরা আল-মুলক পাঠ করছে এবং তা সমাপ্ত করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সূরাটি প্রতিরোধকারী নাজাত দানকারী। এটা কবরের আযাব হতে তিলাওয়াতকারীকে নাজাত দান করে।
যঈফ, “হিয়া আল-মানি’আতু" উহা প্রতিরোধকারী অংশটুকু সহীহ, সহীহাহ (১১৪০)।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি এ সূত্রে হাসান গারীব। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। হুরাইম ইবনু মিসআর-ফুযাইল হতে, তিনি লাইস হতে, তিনি তাউস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, এ দুটি সূরায় (আলিফ লাম মীম তানখীল ও সূরা আল-মুলক) কুরআনের প্রতিটি সূরার উপর সত্তর গুণ বেশি সাওয়াব আছে। যঈফ, মাকতু’।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ النُّكْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ضَرَبَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خِبَاءَهُ عَلَى قَبْرٍ وَهُوَ لاَ يَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي ضَرَبْتُ خِبَائِي عَلَى قَبْرٍ وَأَنَا لاَ أَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هِيَ الْمَانِعَةُ هِيَ الْمُنْجِيَةُ تُنْجِيهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"One of the companions of the Prophet (ﷺ) pitched a tent on a grave without knowing that it was a grave. Suddenly he heard a person from the grave reciting Surah al-Mulk till he completed it. So he went to the Prophet (ﷺ) and said: 'Oh Messenger of Allah, I pitched my tent on a grave without realizing that is was a grave. Then suddenly I heard a person from the grave reciting Surah al-Mulk till he completed it.' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'It is the defender, it is the deliverer - it delivers from the punishment of the grave.'"
পরিচ্ছেদঃ ৯. সূরা আল-মুলকের ফযীলত
২৮৯১। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেয়া হয়। এ সূরাটি হল তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল মুলক।
হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব (২/২২৩), মিশকাত (২১৫৩)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা সূরা আল্ মুলক এর কতকগুলি মর্যাদার বিষয় প্রমাণিত বা সাব্যস্ত হয়।
২। যে ব্যক্তি যত্নসহকারে এই সূরাটি পাঠ করবে ও তার উপদেশগুলি মেনে চলবে এবং একনিষ্ঠতা ও আন্তরিকতার সহিত আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের আনুগত্য করবে, সেই ব্যক্তির পাপমোচনের জন্য এই সূরাটি আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে।
৩। যত্নসহকারে এই সূরাটির পঠন পাঠন, অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা, গবেষণা এবং অনুধাবন করার প্রতি এই হাদীসটি উৎসাহ প্রদান করে।
Narrated Abu Hurairah:
that the Prophet (ﷺ) said: "Indeed there is a Surah in the Qur'an of thirty Ayat, which intercedes for a man until he is forgiven. It is [Surah] Tabarak Alladhi Biyadihil-Mulk."
পরিচ্ছেদঃ ৯. সূরা আল-মুলকের ফযীলত
২৮৯২। জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা আলিফ লাম-মীম তানয়ীল ও সূরা “তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল মুলক” না পাঠ করে ঘুমাতেন না।
সহীহঃ সহীহাহ (৫৮৫), আর-রওয (২২৭), মিশকাত তাহকীক সানী (২১৫৫)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীস লাইস ইবনু আবূ সুলাইম হতে একাধিক বর্ণনাকারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মুগীরাহ ইবনু মুসলিম-আবু্য যুবাইর হতে, তিনি জাবির (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
যুহাইর বলেন, আবু্য যুবাইরকে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি এ হাদীসটি কি জাবির (রাযিঃ)-কে আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বলেন, এ হাদীসটি সাফওয়ান বা ইবনু সাফওয়ান আমাকে বর্ণনা করেছেন। আবু্য যুবাইর-জাবির (রাযিঃ) সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হওয়ার বিষয়টি যেন যুহাইর অস্বীকার করলেন। হান্নাদ আবুল আহওয়াস হতে, তিনি লাইস হতে, তিনি আবু্য যুবাইর হতে, তিনি জাবির (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ، - تِرْمِذِيٌّ - حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ : (الم * تَنْزِيلُ ) وَ ( تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ مِثْلَ هَذَا . وَرَوَاهُ مُغِيرَةُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا . وَرَوَى زُهَيْرٌ قَالَ قُلْتُ لأَبِي الزُّبَيْرِ سَمِعْتَ مِنْ جَابِرٍ فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ . فَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ إِنَّمَا أَخْبَرَنِيهِ صَفْوَانُ أَوِ ابْنُ صَفْوَانَ وَكَأَنَّ زُهَيْرًا أَنْكَرَ أَنْ يَكُونَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
قَالَ حَدَّثَنَا هُرَيْمٌ، حَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ تَفْضُلاَنِ عَلَى كُلِّ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ بِسَبْعِينَ حَسَنَةً .
Narrated Jabir:
The Prophet (ﷺ) would not sleep until he recited Alif Lam Mim Tanzil and: Tabarak Alladhi Biyadihil-Mulk." This Hadith was reported similarly by more than one from Laith bin Abi Sulaim. Mughirah bin Muslim reported it from Abu Az-Zubair, from Jabir from the Prophet (ﷺ) and it is similar to this. Zuhair reported it and said: "I said to Abu Az-Zubair: 'Did you hear Jabir mentioning this Hadith?' He said: 'Safwan or Ibn Safwan informed me of it.'" It is as if Zuhair rejected the idea that this Hadith was from Abu Az-Zubair from Jabir. (Another chain) with similar in meaning. (Another chain) that Tawus said: "They are seventy good merits more of virtue in it than every Surah in the Qur'an."
পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আয-যিলযালের ফযীলত
২৮৯৩। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা "ইযা যুলযিলাত” পাঠ করবে তাকে অর্ধেক কুরআনের সমান এবং যে ব্যক্তি “কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরূন" পাঠ করবে তাকে কুরআনের এক-চতুর্থাংশের সমান এবং যে ব্যক্তি সূরা "কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করবে তাকে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান সাওয়াব দেয়া হবে।
সূরা ইযাযুল যিলাত-এর ফাযীলাত ব্যতীত হাদীসটি হাসান। যইফা ১১৪২
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। হাসান ইবনু সালম-এর সূত্রেই শুধুমাত্র আমরা এ হাদীস জেনেছি। এ অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْحَرَشِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سَلْمِ بْنِ صَالِحٍ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ إِذَا زُلْزِلَتْ عُدِلَتْ لَهُ بِنِصْفِ الْقُرْآنِ وَمَنْ قَرَأَْ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) عُدِلَتْ لَهُ بِرُبْعِ الْقُرْآنِ وَمَنْ قَرَأَْ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) عُدِلَتْ لَهُ بِثُلُثِ الْقُرْآنِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هَذَا الشَّيْخِ الْحَسَنِ بْنِ سَلْمٍ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Narrated Anas bin Malik:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever recites Idha Zulzilat, it equals half of the Qur'an for him. Whoever recites: Qul Ya Ayyuhal-Kafirun it equals a fourth of the Qur'an for him. And whoever recites: Qul Huwa Allahu Ahad it equals a third of the Qur'an for him."
পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আয-যিলযালের ফযীলত
২৮৯৪। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূরা ইযা যুলযিলাতিল আরদু কুরআনের অর্ধেকের সমান, কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ এক-তৃতীয়াংশের সমান এবং কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরূন এক-চতুর্থাংশের সমান।
সূরা "ইযাযুল যিলাত”-এর ফাযীলাত ব্যতীত সহীহ।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র ইয়ামান ইবনুল মুগীরার সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا يَمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا زُلْزِلَتْ تَعْدِلُ نِصْفَ الْقُرْآنِ وَقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ وَقُلْْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ تَعْدِلُ رُبُعَ الْقُرْآنِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَمَانِ بْنِ الْمُغِيرَةِ .
Narrated Ibn 'Abbas:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Idha Zulzilat is equal to half of the Qur'an, Qul Huwa Allahu Ahad is equal to a third of the Qur'an, and Yul Ya Ayyuhal-Kafirun is equal to a fourth of the Qur'an."