পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা আল-ইখলাসের ফযীলত

২৮৯৬। আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি কি এক রাতে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন তিলাওয়াত করতে অপারগ? যে লোক আল্লাহু ওয়াহিদুস সামাদ (সূরা আল-ইখলাস) পাঠ করল সে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করল।

সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (২/২২৫), মুসলিম, আবূ দারদা হতে।

আবূদ দারদা, আবূ সাঈদ, কাতাদাহ্ ইবনুন নুমান, আবূ হুরাইরাহ, আনাস, ইবনু উমার ও আবূ মাসউদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি যায়িদার রিওয়ায়াতের চাইতে অধিক উত্তমভাবে আর কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। ইসরাঈল ও ফুযাইল ইবনু ইয়ায এটির সমার্থক রিওয়ায়াত করেছেন। শু’বাহ প্রমুখ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণ মানসূরের সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন কিন্তু এতে তারা গড়মিল করেছেন।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ رَبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ امْرَأَةٍ، وَهِيَ امْرَأَةُ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَيَعْجَزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ فِي لَيْلَةٍ ثُلُثَ الْقُرْآنِ مَنْ قَرَأَ اللَّهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ فَقَدْ قَرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَأَبِي سَعِيدٍ وَقَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي مَسْعُودٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَلاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَحْسَنَ مِنْ رِوَايَةِ زَائِدَةَ وَتَابَعَهُ عَلَى رِوَايَتِهِ إِسْرَائِيلُ وَالْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الثِّقَاتِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَنْصُورٍ وَاضْطَرَبُوا فِيهِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، ومحمد بن بشار، قالا حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا زاىدة، عن منصور، عن هلال بن يساف، عن ربيع بن خثيم، عن عمرو بن ميمون، عن عبد الرحمن بن ابي ليلى، عن امراة، وهي امراة ابي ايوب عن ابي ايوب، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ايعجز احدكم ان يقرا في ليلة ثلث القران من قرا الله الواحد الصمد فقد قرا ثلث القران ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي الدرداء وابي سعيد وقتادة بن النعمان وابي هريرة وانس وابن عمر وابي مسعود ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ولا نعرف احدا روى هذا الحديث احسن من رواية زاىدة وتابعه على روايته اسراىيل والفضيل بن عياض وقد روى شعبة وغير واحد من الثقات هذا الحديث عن منصور واضطربوا فيه ‏.‏


Narrated Abu Ayyub:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Would one of you like to recite a third of the Qur'an during a night? Whoever recited: Allaahu Al-Wahid As-Samad then he has recited a third of the Qur'an."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an

পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা আল-ইখলাসের ফযীলত

২৮৯৭। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আসছিলাম। তখন তিনি এক ব্যক্তিকে “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস সামাদ" পাঠ করতে শুনলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওয়াজিব (অবধারিত) হয়ে গেছে। আমি প্রশ্ন করলাম, কি ওয়াজিব হয়ে গেছে? তিনি বললেনঃ জান্নাত।

সহীহঃ আত্তা’লীক (২/২২৪)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীস শুধুমাত্র মালিক ইবনু আনাস (রাহঃ)-এর সূত্রে জেনেছি। ইবনু হুনাইন হলেন উবাইদ ইবনু হুনাইন।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ حُنَيْنٍ، مَوْلًى لآلِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَوْ مَوْلَى زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَقْبَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَ رَجُلاً يَقْرَأُْ ‏(‏قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ * اللَّهُ الصَّمَدُ ‏)‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَجَبَتْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَمَا وَجَبَتْ قَالَ ‏"‏ الْجَنَّةُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَابْنُ حُنَيْنٍ هُوَ عُبَيْدُ بْنُ حُنَيْنٍ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا اسحاق بن سليمان، عن مالك بن انس، عن عبيد الله بن عبد الرحمن، عن ابن حنين، مولى لال زيد بن الخطاب او مولى زيد بن الخطاب عن ابي هريرة، قال اقبلت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فسمع رجلا يقرا ‏(‏قل هو الله احد * الله الصمد ‏)‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وجبت ‏"‏ ‏.‏ قلت وما وجبت قال ‏"‏ الجنة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب لا نعرفه الا من حديث مالك بن انس وابن حنين هو عبيد بن حنين ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
"I went out with the Messenger of Allah and heard a man reciting Qul Huwa Allahu Ahad [Allahus-Samad] so the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'It is obligatory.' I said: 'What is obligatory?' He said: 'Paradise.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an

পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা আল-ইখলাসের ফযীলত

২৮৯৮। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি প্রতিদিন দুইশত বার সূরা কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ পাঠ করবে তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, কিন্তু তার কর্জের বোঝা থাকলে তা ছাড়া।

যঈফ, যঈফা (৩০০), মিশকাত (২১৫৮)

একই সনদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি ঘুমানোর উদ্দেশ্যে বিছানায় গিয়ে ডান কাতে শুয়ে এক শত বার কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে বলবেনঃ হে আমার বান্দা! তোমার ডান দিক দিয়ে জান্নাতে যাও।

যঈফ, মিশকাত (২১৫৯)

আবূ ঈসা বলেনঃ সাবিত হতে আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীসটি সাবিতের ভিন্নভাবেও বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ مَيْمُونٍ أَبُو سَهْلٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ قَرَأَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَتَىْ مَرَّةٍ ‏(‏قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ مُحِيَ عَنْهُ ذُنُوبُ خَمْسِينَ سَنَةً إِلاَّ أَنْ يَكُونَ عَلَيْهِ دَيْنٌ ‏"‏ ‏.‏

وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَنَامَ عَلَى فِرَاشِهِ فَنَامَ عَلَى يَمِينِهِ ثُمَّ قَرَأَْ ‏(‏قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ مِائَةَ مَرَّةٍ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ يَقُولُ لَهُ الرَّبُّ يَا عَبْدِي ادْخُلْ عَلَى يَمِينِكَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ أَيْضًا عَنْ ثَابِتٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن مرزوق البصري، حدثنا حاتم بن ميمون ابو سهل، عن ثابت البناني، عن انس بن مالك، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ من قرا كل يوم ماىتى مرة ‏(‏قل هو الله احد ‏)‏ محي عنه ذنوب خمسين سنة الا ان يكون عليه دين ‏"‏ ‏.‏ وبهذا الاسناد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ من اراد ان ينام على فراشه فنام على يمينه ثم قرا ‏(‏قل هو الله احد ‏)‏ ماىة مرة اذا كان يوم القيامة يقول له الرب يا عبدي ادخل على يمينك الجنة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب من حديث ثابت عن انس وقد روي هذا الحديث من غير هذا الوجه ايضا عن ثابت ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever recited Qul Huwa Allahu Ahad two hundred times everyday, fifty years worth of his sins will be removed - unless he owed a debt."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an

পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা আল-ইখলাসের ফযীলত

২৮৯৯। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূরা ’কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সামান।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৭৮৩), মুসলিম, বুখারী।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏(‏قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا العباس بن محمد الدوري، حدثنا خالد بن مخلد، حدثنا سليمان بن بلال، حدثنا سهيل بن ابي صالح، عن ابيه، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏(‏قل هو الله احد ‏)‏ تعدل ثلث القران ‏"‏ ‏.‏ هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Qul Huwa Allahu Ahad is equal to a third of the Qur'an."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an

পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা আল-ইখলাসের ফযীলত

২৯০০। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা একত্র হও, আমি তোমাদেরকে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করে শুনাব। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, অতএব যাদের একত্র হওয়ার সুযোগ হয়েছে তারা একত্র হল। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ঘর হতে) বেরিয়ে এসে কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সূরাঃ আল-ইখলাস) তিলাওয়াত করলেন, তারপর ভেতরে চলে গেলেন। আমরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ আমি কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তোমাদের সামনে তিলাওয়াত করব। মনে হয় এ বিষয়ে এখন তার নিকট আসমান হতে খবর এসেছে।

তারপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে এসে বললেনঃ আমি বলেছিলাম তোমাদেরকে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করে শুনাব। জেনে রাখ! এ সূরাটিই কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।

সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (২/২২৪), সিফাতুস সালাত (৮৫), বুখারী।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ সূত্রে গারীব। আবূ হাযিম আল-আশজাঈর নাম সালমান।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احْشِدُوا فَإِنِّي سَأَقْرَأُ عَلَيْكُمْ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَحَشَدَ مَنْ حَشَدَ ثُمَّ خَرَجَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَْ ‏(‏قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ ثُمَّ دَخَلَ فَقَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَإِنِّي سَأَقْرَأُ عَلَيْكُمْ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ إِنِّي لأُرَى هَذَا خَبَرًا جَاءَهُ مِنَ السَّمَاءِ ثُمَّ خَرَجَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ إِنِّي قُلْتُ سَأَقْرَأُ عَلَيْكُمْ ثُلُثَ الْقُرْآنِ أَلاَ وَإِنَّهَا تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَأَبُو حَازِمٍ الأَشْجَعِيُّ اسْمُهُ سَلْمَانُ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، حدثنا يزيد بن كيسان، حدثنا ابو حازم، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احشدوا فاني ساقرا عليكم ثلث القران ‏"‏ ‏.‏ قال فحشد من حشد ثم خرج نبي الله صلى الله عليه وسلم فقرا ‏(‏قل هو الله احد ‏)‏ ثم دخل فقال بعضنا لبعض قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فاني ساقرا عليكم ثلث القران ‏"‏ ‏.‏ اني لارى هذا خبرا جاءه من السماء ثم خرج نبي الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ اني قلت ساقرا عليكم ثلث القران الا وانها تعدل ثلث القران ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من هذا الوجه ‏.‏ وابو حازم الاشجعي اسمه سلمان ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Gather and I shall recite to you one third of the Qur'an." He said: "So whoever was to gather did so, then the Messenger of Allah (ﷺ) came out and recited Qul Huwa Allahu Ahad. Then he went back in. Some of them said to each other: "The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'I shall recite to you one third of the Qur'an I thought that this was news from the Heavens. Allah's Prophet (ﷺ) came out and said: "Indeed I said that I would recite to you one third of the Qur'an, and it is indeed equal to one third of the Qur'an."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an

পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা আল-ইখলাসের ফযীলত

২৯০১। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুবা মসজিদে আনসার সম্প্রদায়ের এক লোক তাদের ইমামতি করতেন। তিনি নামাযে সূরা আল-ফাতিহার পর কোন সূরা পাঠ করার ইচ্ছা করলে প্রথমে সূরা কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ পাঠ করতেন এবং এ সূরা শেষ করার পর এর সাথে অন্য সূরা পাঠ করতেন। তিনি প্রতি রাকাআতেই এরূপ করতেন।

তার সাথীরা তার সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করে বললেন, আপনি এ সূরাটি পাঠ করার পর মনে করেন যে, এটা বুঝি যথেষ্ট হয়নি, তাই এর সাথে অন্য আরেকটি সূরাও পাঠ করেন। আপনি হয় এ সূরাটিই পাঠ করবেন, না হয় এটা বাদ দিয়ে অন্য কোন সূরা পাঠ করবেন। তিনি বললেন, আমি এ সূরা বাদ দিতে পারব না। যদি তোমাদের পছন্দ হয় তবে আমি এ সূরাসহ ইমামতি করি, আর পছন্দ না হলে ইমামতি ছেড়ে দেই। কিন্তু তাদের দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে সবচাইতে উত্তম ব্যক্তি। তাই তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ইমাম বানাতে তারা সম্মত হলেন না।

পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এলে তারা বিষয়টি তাকে জানালেন। তিনি বললেনঃ হে অমুক! তোমার সাথীরা তোমাকে যে নির্দেশ দিচ্ছে তা পালন করতে তোমাকে কিসে বাধা দিচ্ছে? আর তোমাকে প্রতি রাকআতে এ সূরা পাঠ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করছে? তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এটি খুব ভালোবাসি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর প্রতি তোমার ভালোবাসাই তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

হাসান সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (২/২৪৪), সিফাতুস সালাত (৮৫), বুখারী মু’আল্লাক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার-সাবিত আল-বুনানী সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসেবে গারীব। মুবারাক ইবনু ফাযালা-সাবিত আল-বুনানী হতে আনাস (রাযিঃ) এর বরাতে বর্ণনা করেছেন যে, “একজন লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ সূরাটিকে ভালোবাসি। তিনি বললেনঃ তোমার এই ভালোবাসাই তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে"।

পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَؤُمُّهُمْ فِي مَسْجِدِ قُبَاءَ فَكَانَ كُلَّمَا افْتَتَحَ سُورَةً يَقْرَأُ لَهُمْ فِي الصَّلاَةِ فَقَرَأَ بِهَا افْتَتَحَ بِـ ‏(‏قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهَا ثُمَّ يَقْرَأُ بِسُورَةٍ أُخْرَى مَعَهَا وَكَانَ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَكَلَّمَهُ أَصْحَابُهُ فَقَالُوا إِنَّكَ تَقْرَأُ بِهَذِهِ السُّورَةِ ثُمَّ لاَ تَرَى أَنَّهَا تُجْزِيكَ حَتَّى تَقْرَأَ بِسُورَةٍ أُخْرَى فَإِمَّا أَنْ تَقْرَأَ بِهَا وَإِمَّا أَنْ تَدَعَهَا وَتَقْرَأَ بِسُورَةٍ أُخْرَى ‏.‏ قَالَ مَا أَنَا بِتَارِكِهَا إِنْ أَحْبَبْتُمْ أَنْ أَؤُمَّكُمْ بِهَا فَعَلْتُ وَإِنْ كَرِهْتُمْ تَرَكْتُكُمْ ‏.‏ وَكَانُوا يَرَوْنَهُ أَفْضَلَهُمْ وَكَرِهُوا أَنْ يَؤُمَّهُمْ غَيْرُهُ فَلَمَّا أَتَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ فَقَالَ ‏"‏ يَا فُلاَنُ مَا يَمْنَعُكَ مِمَّا يَأْمُرُ بِهِ أَصْحَابُكَ وَمَا يَحْمِلُكَ أَنْ تَقْرَأَ هَذِهِ السُّورَةَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُحِبُّهَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ حُبَّهَا أَدْخَلَكَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ ثَابِتٍ ‏.‏

وَرَوَى مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُحِبُّ هَذِهِ السُّورَةَْ ‏(‏قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ حُبَّكَ إِيَّاهَا يُدْخِلُكَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ بِهَذَا ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، حدثنا اسماعيل بن ابي اويس، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن عبيد الله بن عمر، عن ثابت البناني، عن انس بن مالك، قال كان رجل من الانصار يومهم في مسجد قباء فكان كلما افتتح سورة يقرا لهم في الصلاة فقرا بها افتتح بـ ‏(‏قل هو الله احد ‏)‏ حتى يفرغ منها ثم يقرا بسورة اخرى معها وكان يصنع ذلك في كل ركعة فكلمه اصحابه فقالوا انك تقرا بهذه السورة ثم لا ترى انها تجزيك حتى تقرا بسورة اخرى فاما ان تقرا بها واما ان تدعها وتقرا بسورة اخرى ‏.‏ قال ما انا بتاركها ان احببتم ان اومكم بها فعلت وان كرهتم تركتكم ‏.‏ وكانوا يرونه افضلهم وكرهوا ان يومهم غيره فلما اتاهم النبي صلى الله عليه وسلم اخبروه الخبر فقال ‏"‏ يا فلان ما يمنعك مما يامر به اصحابك وما يحملك ان تقرا هذه السورة في كل ركعة ‏"‏ ‏.‏ فقال يا رسول الله اني احبها ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان حبها ادخلك الجنة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب صحيح من هذا الوجه من حديث عبيد الله بن عمر عن ثابت ‏.‏ وروى مبارك بن فضالة، عن ثابت، عن انس، ان رجلا، قال يا رسول الله اني احب هذه السورة ‏(‏قل هو الله احد ‏)‏ فقال ‏"‏ ان حبك اياها يدخلك الجنة ‏"‏ ‏.‏ حدثنا بذلك ابو داود سليمان بن الاشعث حدثنا ابو الوليد حدثنا مبارك بن فضالة بهذا ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
"There was a man from the Ansar who led them (in Salat) at Masjid Quba. Every time he was to recite a Surah for them during Salat, he would begin by reciting Qul Huwa Allahu Ahad until he finished, then he would recite another Surah with it. He did that in each Rak'ah. His companions talked to him and said: 'You recite this Surah. You should either recite it or leave it and recite another Surah.'" He said: "I shall not leave it, if you would like me to lead you with it then I shall do so, and if you do not like it then I shall leave you." And they considered him the best among them, and they did not like the idea of someone else leading them. So when the Prophet (ﷺ) came to them they informed him about what had happened and he (ﷺ) said: "O so-and-so! What prevents you from doing what your companions told you to do, why do recite this Surah in every Rak'ah" He said: "O Messenger of Allah! Indeed I love it." So the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Your love for it shall have you admitted into Paradise."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪২/ কুরআনের ফাযীলাত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 42. Chapters on The Virtues of the Qur'an
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে