পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-বাকরাহ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
২৮৭৬। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এক অভিযানে) একটি ক্ষুদ্র বাহিনী পাঠান। তারা সংখ্যায় খুব অধিক ছিল না। তিনি তাদেরকে কুরআন তিলাওয়াত করতে বলেন। সুতরাং প্রত্যেকেই যার যা মুখস্ত ছিল তা তিলাওয়াত করে শুনায়।
অবশেষে তিনি এদের মধ্যে সবচাইতে কম বয়সী এক ব্যক্তির নিকটে আসলেন। তিনি তাকে প্রশ্ন করলেনঃ হে আদমি! তোমার নিকটে কি আছে? সে বলল, আমার এই এই সূরা ও সূরা আল-বাকারা মুখস্ত আছে। তিনি আবার প্রশ্ন করেনঃ তোমার সূরা আল-বাকারা মুখস্ত আছে? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ যাও, তুমিই এই বাহিনীর দলপতি।
দলের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি বলল ইয়া রাসূলুল্লাহ, আল্লাহর শপথ আমি সূরা আল-বাকারা এই ভয়ে হেফয করিনি যে, আমি এটা নিয়ে (রাতের নামাযে) দাড়াতে পারব না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তা তিলাওয়াত কর। কেননা যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করতে শিখে, তা পাঠ করে এবং এটা নিয়ে নামাযে দাঁড়ায় তার জন্য কুরআনের নমুনা হল কস্তুরী ভর্তি চামড়ার থলের মত যার খুশবু সবখানে ছড়িয়ে পড়ছে। আর যে ব্যক্তি তা শিখে ঘুমিয়ে আছে তার উদাহরণ হল মুখবন্ধ কস্তুরীর থলের মত।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (২১৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। লাইস ইবনু সা’দ-সাঈদ আল-মাকবুরী হতে তিনি আবূ আহমাদের মুক্তদাস আতা (রাহঃ) হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে মুরসাল হিসেবেও উপরোক্ত হাদীসের মতই বর্ণিত আছে। এই সূত্রে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْثًا وَهُمْ ذُو عَدَدٍ فَاسْتَقْرَأَهُمْ فَاسْتَقْرَأَ كُلَّ رَجُلٍ مِنْهُمْ مَا مَعَهُ مِنَ الْقُرْآنِ فَأَتَى عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ مِنْ أَحْدَثِهِمْ سِنًّا فَقَالَ " مَا مَعَكَ يَا فُلاَنُ " . قَالَ مَعِي كَذَا وَكَذَا وَسُورَةُ الْبَقَرَةِ . قَالَ " أَمَعَكَ سُورَةُ الْبَقَرَةِ " . فَقَالَ نَعَمْ . قَالَ " فَاذْهَبْ فَأَنْتَ أَمِيرُهُمْ " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا مَنَعَنِي أَنْ أَتَعَلَّمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ إِلاَّ خَشْيَةَ أَلاَّ أَقُومَ بِهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ فَاقْرَءُوهُ وَأَقْرِئُوهُ فَإِنَّ مَثَلَ الْقُرْآنِ لِمَنْ تَعَلَّمَهُ فَقَرَأَهُ وَقَامَ بِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ مَحْشُوٍّ مِسْكًا يَفُوحُ بِرِيحِهِ كُلُّ مَكَانٍ وَمَثَلُ مَنْ تَعَلَّمَهُ فَيَرْقُدُ وَهُوَ فِي جَوْفِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ وُكِئَ عَلَى مِسْكٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
وَقَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ عَنِ اللَّيْثِ فَذَكَرَهُ .
Narrated Abu Hurairah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) sent an expedition force [comprised] of many, and he asked each what he could recite, so each one of them mentioned what he could recite - meaning what he had memorized of the Qur'an. He came to one of the youngest men among them and said: 'What have you memorized O so-and-so?' He said: 'I memorized this and that and Surat Al-Baqarah.' He said: 'You memorized Surat Al-Baqarah?' He said: "Yes.' He said: "Then go, for you are their commander.' A man among their chief said: 'By Allah [O Messenger of Allah]! Nothing prevented me from learning Surat Al-Baqarah except fearing that I would not be able to stand with (in voluntary night prayer).' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Learn the Qur'an to recite it, for indeed the parable of the Qur'an for the one who recites it and stands with it (in prayer) is that of a bag full of musk whose scent fills the air all around. And the parable of the one who learns it then sleeps while it is in his memory is that of a bag containing musk that is tied shut.'"
পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-বাকরাহ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
২৮৭৭। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের ঘরসমূহ কবরস্থানে পরিণত করো না। যে ঘরে সূরা আল-বাকরাহ তিলাওয়াত করা হয় তাতে শাইতান প্রবেশ করে না।
সহীহঃ আহকা-মুল জানা-য়িয (২১২), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ وَإِنَّ الْبَيْتَ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ الْبَقَرَةُ لاَ يَدْخُلُهُ الشَّيْطَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Do not turn your houses into graves. Indeed Ash-Shaitan does not enter the house in which Surat Al-Baqarah is recited."
পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-বাকরাহ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
২৮৭৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিটি বস্তুরই চূড়া আছে। কুরআনের উচু চূড়া হল সূরা আল-বাকারা। এতে এমন একটি আয়াত আছে যা কুরআনের আয়াতসমূহের প্রধান। তা হল আয়াতুল কুরসী।
যঈফ, যঈফা (১৩৪৮), তা’লীকুর রাগীব (২/২১৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র হাকীম ইবনু জুবাইরের সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। শুবা তার সমালোচনা করেছেন এবং তাকে দুর্বল রাবী আখ্যায়িত করেছেন।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِكُلِّ شَيْءٍ سَنَامٌ وَإِنَّ سَنَامَ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَفِيهَا آيَةٌ هِيَ سَيِّدَةُ آىِ الْقُرْآنِ هِيَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ . وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ وَضَعَّفَهُ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ): "For everything there is a hump (pinnacle) and the hump (pinnacle) of the Qur'an is Surat Al-Baqarah, in it there is an Ayah which is the master of the Ayat in the Qur'an; [it is] Ayat Al-Kursi."
পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-বাকরাহ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
২৮৭৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালবেলা সূরা আল-মু’মিন-এর হা-মী-ম হতে ইলাইহিল মাসীর (১, ২, ও ৩ নং আয়াত) পর্যন্ত এবং আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে সে এর উসীলায় সন্ধ্যা পর্যন্ত (আল্লাহ্ তা’আলার) হিফাযাতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় তা পাঠ করবে সে ব্যক্তি এর উসীলায় সকাল পর্যন্ত হিফাযাতে থাকবে।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২১৪৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। কোন কোন হাদীসবেত্তা আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর ইবনু আবূ মুলাইকার স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন। যুরারা ইবনু মুসআব হলেন আবূ মুসআবের দাদা
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ أَبُو سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حم الْمُؤْمِنَ إِلَى : (إِلَيْهِ الْمَصِيرُ ) وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهُمَا حِينَ يُمْسِيَ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُصْبِحَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ الْمُلَيْكِيِّ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ . وَزُرَارَةُ بْنُ مُصْعَبٍ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَهُوَ جَدُّ أَبِي مُصْعَبٍ الْمَدَنِيِّ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever recites Ha Mim Al-Mu'min - up to - To Him is the return (40:1-3) and Ayat Al-Kursi when he reaches (gets up in) the morning, he will be protected by them until the evening. And whoever recites them when he reaches the evening, he will be protected by them until the morning."