পরিচ্ছেদঃ ১১. কেউ যিনায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় মু’মিন থাকে না
২৬২৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিনাকারী যিনায় লিপ্ত থাকাবস্থায় মুমিন থাকে না, চোর চুরি করার সময় মুমিন থাকে না। তবে তওবা করার সুযোগ আছে।
সহীহ ইবনু মা-জাহ (৩৯৩৬), বুখারী ও মুসলিম।
ইবনু আব্বাস, আয়িশাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ সূত্রে গারীব।
অধিকন্তু আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “বান্দা যখন যিনায় লিপ্ত থাকে, তখন ঈমান তার থেকে বেরিয়ে যায় এবং ছায়ার মতো তার মাথার উপর অবস্থান করে। তারপর সে যখন সেই দুষ্কর্ম হতে সরে আসে তখন ঈমানও তার মাঝে ফিরে আসে।”
আবূ জাফর মুহাম্মাদ ইবনু আলী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, “অপরাধী ব্যক্তি এ ধরনের পরিস্থিতে ঈমানের স্তর হতে বেরিয়ে ইসলামের স্তরে নেমে আসে”।
একাধিক সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি যিনা ও চুরি সম্পর্কে বলেনঃ “যে ব্যক্তি যিনা ও চুরির অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে এবং তার উপর হদ (নির্ধারিত শাস্তি) কার্যকর করা হয়েছে, তাতে তার গুনাহর কাফফারা হয়ে গেছে। আর কেউ এ অপরাধে লিপ্ত হলে এবং আল্লাহ তা’আলা তা গোপন রাখলে এটা আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। তিনি চাইলে কিয়ামত দিবসে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন, ক্ষমাও করতে পারেন"।
সহীহঃ সহীহাহ (২৩১৭), বুখারী ও মুসলিম।
তাছাড়া এ হাদীসটি আলী ইবনু আবূ তালিব, উবাদাহ ইবনুস সামিত ও খুযাইমাহ (রাযিঃ) প্রমুখগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَكِنِ التَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ " . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . - وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا زَنَى الْعَبْدُ خَرَجَ مِنْهُ الإِيمَانُ فَكَانَ فَوْقَ رَأْسِهِ كَالظُّلَّةِ فَإِذَا خَرَجَ مِنْ ذَلِكَ الْعَمَلِ عَادَ إِلَيْهِ الإِيمَانُ " . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ فِي هَذَا خَرَجَ مِنَ الإِيمَانِ إِلَى الإِسْلاَمِ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الزِّنَا وَالسَّرِقَةِ " مَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَأُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدُّ فَهُوَ كَفَّارَةُ ذَنْبِهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ " . رَوَى ذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ وَخُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The adulterer is not a believer while he is committing adultery, and the thief is not a believer while he is stealing, but there is a chance for repentance; (if he repents, Allah will accept the repentance)."
পরিচ্ছেদঃ ১১. কেউ যিনায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় মু’মিন থাকে না
২৬২৬। আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তি হাদযোগ্য অপরাধ করলে এবং দুনিয়াতেই তার উপর হাদ্দ কার্যকর হলে আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাকে পরকালে আবার শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে অবশ্যই ন্যায়বিচারক। আর কোন ব্যক্তি হাদ্দযোগ্য অপরাধ করলে, আল্লাহ তা’আলা তার অপরাধ গোপন রাখলে এবং ক্ষমা করলে তিনি তাকে ক্ষমা করার পর আবার শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে অবশ্যই অধিক দয়াপরবশ।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৬০৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। বিশেষজ্ঞ আলিমগণও ও মতই পোষণ করেন। তাদের কেউ যেনা, চুরি, ইত্যাদি অপরাধের দরুন তাকে কাফির বলে ফতোয়া দিয়েছেন বলে আমাদের জানা নাই।
باب مَا جَاءَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ
حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، - وَاسْمُهُ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ الْكُوفِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَصَابَ حَدًّا فَعُجِّلَ عُقُوبَتُهُ فِي الدُّنْيَا فَاللَّهُ أَعْدَلُ مِنْ أَنْ يُثَنِّيَ عَلَى عَبْدِهِ الْعُقُوبَةَ فِي الآخِرَةِ وَمَنْ أَصَابَ حَدًّا فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ وَعَفَا عَنْهُ فَاللَّهُ أَكْرَمُ مِنْ أَنْ يَعُودَ فِي شَيْءٍ قَدْ عَفَا عَنْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَهَذَا قَوْلُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ نَعْلَمُ أَحَدًا كَفَّرَ أَحَدًا بِالزِّنَا أَوِ السَّرِقَةِ وَشُرْبِ الْخَمْرِ .
Narrated Ali bin Abu Talib:
that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever is penalized (for a crime) then his punishment has been hastened for him in the world, for Allah is more just than to double the punishment upon His slave in the Hereafter. And whoever does a punishable act and then Allah covers it for him and forgives him, then Allah is more kind than to recount something which He has already forgiven."