পরিচ্ছেদঃ ৫. জাহান্নামীদের খাদ্যদ্রব্যের বর্ণনা

২৫৮৬। আবূদ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামীদের উপর ক্ষুধা চাপিয়ে দেয়া হবে। ফলে তারা অন্যান্য শাস্তির মতই ক্ষুধার যন্ত্রণায়ও নিপিড়িত হবে। তারা কাতর কণ্ঠে ফারিয়াদ করবে এবং কাটাযুক্ত গুলোর খাবার দিয়ে তাদের ফারিয়াদ পূর্ণ করা হবে। এ খাবার না তাদেরকে মোটাতাজা করবে, না তাদের ক্ষুধা দূর করবে।

তারা আবার খাবারের জন্য ফারিয়াদ করবে। তাদের তখন এমন খাবার দেয়া হবে যা তাদের গলায় আটকে যাবে। তারা তখন মনে করবে দুনিয়াতে পানি পান করে গলায় আটকানো খাবার বের করার কথা। সুতরাং তারা পানীয়ের জন্য ফারিয়াদ জানাবে এবং তাদেরকে লোহার কাঁটাযুক্ত গরম পানি দেয়া হবে। এটা তাদের মুখের নিকটে নেয়ামাত্র তা তাদের মুখমণ্ডল পুড়ে ফেলবে এবং যখন উহা তাদের পেটে প্রবেশ করবে তখন তা তাদের নাড়িভুড়ি গলিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিবে। তখন তারা (পরস্পর) বলবে, জাহান্নামের তত্ত্ববধায়ককে ডাকো। সে তাদের বলবে, “তোমাদের নিকটে কি রাসূলগণ সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ নিয়ে আসেননি? তারা বলবে, হ্যাঁ এসেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক বলবে, তোমরা ডাকতে থাক কিন্তু কাফিরের ডাক নিস্ফল" (সূরাঃ মু’মিন- ৫০)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারা বলাবলি করবে, তোমরা মালিককে (জাহান্নামের প্রধান তত্ত্ববধায়ককে) ডাকো। তারা বলবে, “হে মালিক! আপনার রব যেন আমাদের মৃত্যু ঘটান" (সূরাঃ যুখরুফ- ৭৮)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাদের জবাব দেয়া হবে, “তোমরা এভাবেই থাকবে (মৃত্যু আসবে না)" (৪৩ঃ ৭৮)।

আমাশ (রাহঃ) বলেন, আমি জেনেছি যে, তাদের এ আহবান ও মালিকের জবাবদানের মাঝখানে এক হাজার বছর চলে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এরপর তারা (পরস্পর) বলবে, তোমাদের রবকে ডাকো, কেননা তোমাদের রবের চাইতে উত্তম আর কেউ নেই। তারা বলবে, “হে আমাদের রব। দুর্ভাগ্য আমাদের পরাজিত করেছে এবং আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়। হে আমাদের আল্লাহ! আমাদেরকে এখান হতে বের করে নিন। আমরা যদি আবার এরূপ করি, তাহলে অবশ্যই আমরা যালিম" (সূরাঃ মু’মিনূন- ১০৬, ১০৭)।

তিনি বলেন, তাদের জবাব দেয়া হবে, “এখানেই তোরা লাঞ্ছিত অবস্থায় থাক, আর কোন কথা বলবে না”— (সূরা আল-মু’মিনূনঃ ১০৮)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন হতে তারা সব ধরনের কল্যাণলাভ থেকে হতাশ হয়ে যাবে এবং এ ভয়ংকর অবস্থায় গর্দভের ন্যায় চিৎকার দিতে থাকবে।

(য’ঈফ; মিশকাত- হাঃ নং- ৫৬৮৬; তা’লীকুর রাগীব- হাঃ নং- ৪/২৩৬)

’আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান (রাহ.) বলেনঃ রাবীগণ এ হাদীস মারফুরূপে বর্ণনা করেননি। আবূ ঈসা বলেনঃ আমাশ হতে তিনি শিমর ইবনু আতিয়া হতে তিনি শাহর ইবনু হাওশাব হতে তিনি উম্মুদ দারদা (রাযি.) হতে তিনি আবূদ দারদা (রাযি.) হতে, এ সূত্রে হাদীসটি তার উক্তি হিসেবেই আমরা জেনেছি। মূলত এটি মারফু হাদীস নয়। কুতুবাহ ইবনু আবদুল আযীয হাদীসের ইমামগণের মতে নির্ভরযোগ্য রাবী।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا قُطْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يُلْقَى عَلَى أَهْلِ النَّارِ الْجُوعُ فَيَعْدِلُ مَا هُمْ فِيهِ مِنَ الْعَذَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ مِنْ ضَرِيعٍ لاَ يُسْمِنُ وَلاَ يُغْنِي مِنْ جُوعٍ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالطَّعَامِ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ ذِي غُصَّةٍ فَيَذْكُرُونَ أَنَّهُمْ كَانُوا يُجِيزُونَ الْغُصَصَ فِي الدُّنْيَا بِالشَّرَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالشَّرَابِ فَيُرْفَعُ إِلَيْهِمُ الْحَمِيمُ بِكَلاَلِيبِ الْحَدِيدِ فَإِذَا دَنَتْ مِنْ وُجُوهِهِمْ شَوَتْ وُجُوهَهُمْ فَإِذَا دَخَلَتْ بُطُونَهُمْ قَطَّعَتْ مَا فِي بُطُونِهِمْ فَيَقُولُونَ ادْعُوا خَزَنَةَ جَهَنَّمَ فَيَقُولُونَ أَلَمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالُوا فَادْعُوا وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلاَّ فِي ضَلاَلٍ ‏.‏ قَالَ فَيَقُولُونَ ادْعُوا مَالِكًا فَيَقُولُونَ‏:‏ ‏(‏يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ‏)‏ قَالَ فَيُجِيبُهُمْ‏:‏ ‏(‏إِنَّكُمْ مَاكِثُونَ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الأَعْمَشُ نُبِّئْتُ أَنَّ بَيْنَ دُعَائِهِمْ وَبَيْنَ إِجَابَةِ مَالِكٍ إِيَّاهُمْ أَلْفَ عَامٍ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَيَقُولُونَ ادْعُوا رَبَّكُمْ فَلاَ أَحَدَ خَيْرٌ مِنْ رَبِّكُمْ فَيَقُولُونَ‏:‏ ‏(‏رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ * رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ ‏)‏ قَالَ فَيُجِيبُهُمْ‏:‏ ‏(‏اخْسَؤُوا فِيهَا وَلاَ تُكَلِّمُونِ ‏)‏ قَالَ فَعِنْدَ ذَلِكَ يَئِسُوا مِنْ كُلِّ خَيْرٍ وَعِنْدَ ذَلِكَ يَأْخُذُونَ فِي الزَّفِيرِ وَالْحَسْرَةِ وَالْوَيْلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالنَّاسُ لاَ يَرْفَعُونَ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى إِنَّمَا نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَوْلَهُ وَلَيْسَ بِمَرْفُوعٍ ‏.‏ وَقُطْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ هُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا عاصم بن يوسف، حدثنا قطبة بن عبد العزيز، عن الاعمش، عن شمر بن عطية، عن شهر بن حوشب، عن ام الدرداء، عن ابي الدرداء، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يلقى على اهل النار الجوع فيعدل ما هم فيه من العذاب فيستغيثون فيغاثون بطعام من ضريع لا يسمن ولا يغني من جوع فيستغيثون بالطعام فيغاثون بطعام ذي غصة فيذكرون انهم كانوا يجيزون الغصص في الدنيا بالشراب فيستغيثون بالشراب فيرفع اليهم الحميم بكلاليب الحديد فاذا دنت من وجوههم شوت وجوههم فاذا دخلت بطونهم قطعت ما في بطونهم فيقولون ادعوا خزنة جهنم فيقولون الم تك تاتيكم رسلكم بالبينات قالوا بلى ‏.‏ قالوا فادعوا وما دعاء الكافرين الا في ضلال ‏.‏ قال فيقولون ادعوا مالكا فيقولون‏:‏ ‏(‏يا مالك ليقض علينا ربك ‏)‏ قال فيجيبهم‏:‏ ‏(‏انكم ماكثون ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قال الاعمش نبىت ان بين دعاىهم وبين اجابة مالك اياهم الف عام ‏.‏ قال ‏"‏ فيقولون ادعوا ربكم فلا احد خير من ربكم فيقولون‏:‏ ‏(‏ربنا غلبت علينا شقوتنا وكنا قوما ضالين * ربنا اخرجنا منها فان عدنا فانا ظالمون ‏)‏ قال فيجيبهم‏:‏ ‏(‏اخسووا فيها ولا تكلمون ‏)‏ قال فعند ذلك يىسوا من كل خير وعند ذلك ياخذون في الزفير والحسرة والويل ‏"‏ ‏.‏ قال عبد الله بن عبد الرحمن والناس لا يرفعون هذا الحديث ‏.‏ قال ابو عيسى انما نعرف هذا الحديث عن الاعمش عن شمر بن عطية عن شهر بن حوشب عن ام الدرداء عن ابي الدرداء قوله وليس بمرفوع ‏.‏ وقطبة بن عبد العزيز هو ثقة عند اهل الحديث ‏.‏


Abu Ad-Darda' narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The inhabitants of the Fire will suffer from a hunger equal to the punishment they experience, so they will seek relief, and be given to eat of Dari; which will neither nourish nor avail against hunger. So they will (again) seek food to relieve (their hunger), and they will be given to eat of a food that causes one to choke. Then they will remember that they used remedy for choking in the world by drinking something. So they will seek relief from drink. Then they will be given Hamim with meat hooks, so when it comes toward their faces it melts their faces, and when it enters their insides it cuts up what is inside of them. So (some of them) say: 'Call the keepers of Hell' so they say: Did there not come to you your Messengers with clear signs? They say: 'Yes!' They say: 'Then call as you like.' And the invocation of the disbelievers is nothing but in vain." He said: "They will say: 'Call Malik.' So they say: O Malik! Let your Lord make an end of us!'" He said: "So he answers them: Verily you shall abide forever. Al-A'mash said: "I was informed that there is a thousand years between their calling him, and Malik's answering them." He said: "They say: 'Call your Lord, for there is none better than your Lord.' So they will say: Our Lord! Our wretchedness over came us, and we were (an) erring people. Our Lord! Bring us out of this. If we ever return (to evil), indeed we shall be wrong doers."He said: "So the reply to them is: You remain in it in ignominy! And do not speak to Me." He said: "So with that, they loose hope of any good, and with that they are taken to moaning, despair and severe ruin."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৩৭/ জাহান্নামের বিবরণ (كتاب صفة جهنم عن رسول الله ﷺ) 37. The Book on the Description of Hellfire

পরিচ্ছেদঃ ৫. জাহান্নামীদের খাদ্যদ্রব্যের বর্ণনা

২৫৮৭। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.) হতে বর্ণিত আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম "সেখানে তারা থাকবে বীভৎস চেহারায়”— (সূরা আল-মু’মিনূনঃ ১০৪) আয়াত প্রসঙ্গে বলেনঃ তাদের মুখমণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হবে, উপরের ঠোট কুঞ্চিত হয়ে মাথার মাঝখানে এসে যাবে এবং নীচের ঠোট নাভীর সাথে আছাড় খাবে।

(য’ঈফ; মিশকাত— হাঃ নং- ৫৬৮৪)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। আবূল হাইসামের নাম সুলাইমান ইবনু আমর ইবনু আবদুল উতওয়ারী। তিনি ইয়াতীম হিসেবে আবূ সাঈদ (রাযি.)-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হন।

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ أَبِي شُجَاعٍ، عَنْ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ ‏(‏وَهُمْ فِيهَا كَالِحُونَ‏)‏ قَالَ ‏"‏ تَشْوِيهِ النَّارُ فَتَقَلَّصُ شَفَتُهُ الْعُلْيَا حَتَّى تَبْلُغَ وَسَطَ رَأْسِهِ وَتَسْتَرْخِي شَفَتُهُ السُّفْلَى حَتَّى تَضْرِبَ سُرَّتَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَأَبُو الْهَيْثَمِ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيُّ وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏

حدثنا سويد، اخبرنا عبد الله بن المبارك، عن سعيد بن يزيد ابي شجاع، عن ابي السمح، عن ابي الهيثم، عن ابي سعيد الخدري، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏(‏وهم فيها كالحون‏)‏ قال ‏"‏ تشويه النار فتقلص شفته العليا حتى تبلغ وسط راسه وتسترخي شفته السفلى حتى تضرب سرته ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏ وابو الهيثم اسمه سليمان بن عمرو بن عبد العتواري وكان يتيما في حجر ابي سعيد ‏.‏


Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"And therein they will grimace in displace lips. -He will be grilled by the Fire until his upper lip is folded up reaching the middle of his head, And his bottom lip pains down, until it hits his navel."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৩৭/ জাহান্নামের বিবরণ (كتاب صفة جهنم عن رسول الله ﷺ) 37. The Book on the Description of Hellfire
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে