পরিচ্ছেদঃ ৬৬. জাসসাস ও দাজ্জাল সংক্রান্ত একটি ঘটনা

২২৫৩। ফাতিমা বিনতু কাইস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সময় মিম্বারে উঠে হাসতে হাসতে বললেনঃ আমাকে ’তামীম আদ-দারী একটি খবর শুনিয়েছে। আমি তাতে সন্তুষ্ট হয়েছি এবং আমি তোমাদেরকেও তা শুনাতে পছন্দ করি।

কোন একদিন ফিলিস্তনের কয়েকজন লোক নৌযানে চড়ে সমুদ্র বিহারে যাত্রা করেছিল। হঠাৎ সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গে তারা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং এক অচেনা দ্বীপে এসে পড়ে। তারা সে জায়গাতে এক বিচিত্র ধরনের প্রাণীর সন্ধান পায়, যার চুলগুলো ছিল চারদিকে ছড়ানো। তারা প্রশ্ন করল, তুমি কে? সে উত্তর দিল, আমি জাসসাসা (অনুসন্ধানকারী)। তারা বলল, তুমি আমাদেরকে কিছু অনুসন্ধান দাও। সে বলল, আমি তোমাদেরকে কিছু বলবও না এবং তোমাদের নিকট কিছু জানতেও চাইব না, বরং তোমরা এ জনপদের শেষ সীমানায় যাও। সে স্থানে এমন একজন লোক আছে যে তোমাদেরকে কিছু বলবে এবং তোমাদের নিকট কিছু জানার ইচ্ছা করবে।

তারপর আমরা গ্রামের শেষ সীমানায় পৌছে দেখতে পেলাম, একটি লোক শিকলে বাধা আছে। সে আমাদের বলল, তোমরা (সিরিয়ার) যুগার’ নামক স্থানের ঝর্ণার খবর বল। আমরা বললাম, তা পানিপূর্ণ এবং এখনো সবেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সে বলল, বুহাইরা (তাবারিয়া উপসাগর)-এর কি সংবাদ, তা আমাকে বল। আমরা বললাম, তাও পানিপূর্ণ এবং তা হতে সবেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সে আবার বলল, জর্দান ও ফিলিস্তনের মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত বাইসান’ নামক খেজুর বাগানের খবর বল। তাতে কি ফল উৎপন্ন হয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ।

সে আবার প্রশ্ন করল, নবী প্রসঙ্গে বল, তিনি কি প্রেরিত হয়েছেন? আমরা বললাম, হ্যাঁ। সে বলল, তার নিকট জনগণ ভিড়ছে কেমন? আমরা বললাম, খুবই দ্রুত। বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে সে এমন এক লাফ দিল যে, শৃঙ্খল প্রায় ছিন্ন করে ফেলেছিল। আমরা তাকে প্রশ্ন করলাম, তুমি কে? সে বলল, আমি দাজ্জাল। সে তাইবা ব্যতীত সমস্ত শহরেই প্রবেশ করবে। তাইবা হলো মদীনা মুনাওয়ারা।

সহীহ, “কিচ্ছাতু নুযুলে ঈসা আলাইহিস সালাম” মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং কাতাদা-শাবীর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে গরীব। এ হাদীসটি ফাতিমা বিনতু কাইস (রাঃ) হতে শাবীর সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন।

باب ‏)‏‏)‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَعِدَ الْمِنْبَرَ فَضَحِكَ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ تَمِيمًا الدَّارِيَّ حَدَّثَنِي بِحَدِيثٍ فَفَرِحْتُ فَأَحْبَبْتُ أَنْ أُحَدِّثَكُمْ حَدَّثَنِي أَنَّ نَاسًا مِنْ أَهْلِ فِلَسْطِينَ رَكِبُوا سَفِينَةً فِي الْبَحْرِ فَجَالَتْ بِهِمْ حَتَّى قَذَفَتْهُمْ فِي جَزِيرَةٍ مِنْ جَزَائِرِ الْبَحْرِ فَإِذَا هُمْ بِدَابَّةٍ لَبَّاسَةٍ نَاشِرَةٍ شَعْرَهَا فَقَالُوا مَا أَنْتِ قَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ ‏.‏ قَالُوا فَأَخْبِرِينَا ‏.‏ قَالَتْ لاَ أُخْبِرُكُمْ وَلاَ أَسْتَخْبِرُكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا أَقْصَى الْقَرْيَةِ فَإِنَّ ثَمَّ مَنْ يُخْبِرُكُمْ وَيَسْتَخْبِرُكُمْ ‏.‏ فَأَتَيْنَا أَقْصَى الْقَرْيَةِ فَإِذَا رَجُلٌ مُوثَقٌ بِسِلْسِلَةٍ فَقَالَ أَخْبِرُونِي عَنْ عَيْنِ زُغَرَ ‏.‏ قُلْنَا مَلأَى تَدْفُقُ ‏.‏ قَالَ أَخْبِرُونِي عَنِ الْبُحَيْرَةِ قُلْنَا مَلأَى تَدْفُقُ ‏.‏ قَالَ أَخْبِرُونِي عَنْ نَخْلِ بَيْسَانَ الَّذِي بَيْنَ الأُرْدُنِّ وَفِلَسْطِينَ هَلْ أَطْعَمَ قُلْنَا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَخْبِرُونِي عَنِ النَّبِيِّ هَلْ بُعِثَ قُلْنَا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَخْبِرُونِي كَيْفَ النَّاسُ إِلَيْهِ قُلْنَا سِرَاعٌ ‏.‏ قَالَ فَنَزَّ نَزْوَةً حَتَّى كَادَ ‏.‏ قُلْنَا فَمَا أَنْتَ قَالَ إِنَّهُ الدَّجَّالُ وَإِنَّهُ يَدْخُلُ الأَمْصَارَ كُلَّهَا إِلاَّ طَيْبَةَ ‏.‏ وَطَيْبَةُ الْمَدِينَةُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ عَنِ الشَّعْبِيِّ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا معاذ بن هشام، حدثنا ابي، عن قتادة، عن الشعبي، عن فاطمة بنت قيس، ان نبي الله صلى الله عليه وسلم صعد المنبر فضحك فقال ‏ "‏ ان تميما الداري حدثني بحديث ففرحت فاحببت ان احدثكم حدثني ان ناسا من اهل فلسطين ركبوا سفينة في البحر فجالت بهم حتى قذفتهم في جزيرة من جزاىر البحر فاذا هم بدابة لباسة ناشرة شعرها فقالوا ما انت قالت انا الجساسة ‏.‏ قالوا فاخبرينا ‏.‏ قالت لا اخبركم ولا استخبركم ولكن اىتوا اقصى القرية فان ثم من يخبركم ويستخبركم ‏.‏ فاتينا اقصى القرية فاذا رجل موثق بسلسلة فقال اخبروني عن عين زغر ‏.‏ قلنا ملاى تدفق ‏.‏ قال اخبروني عن البحيرة قلنا ملاى تدفق ‏.‏ قال اخبروني عن نخل بيسان الذي بين الاردن وفلسطين هل اطعم قلنا نعم ‏.‏ قال اخبروني عن النبي هل بعث قلنا نعم ‏.‏ قال اخبروني كيف الناس اليه قلنا سراع ‏.‏ قال فنز نزوة حتى كاد ‏.‏ قلنا فما انت قال انه الدجال وانه يدخل الامصار كلها الا طيبة ‏.‏ وطيبة المدينة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا حديث صحيح غريب من حديث قتادة عن الشعبي وقد رواه غير واحد عن الشعبي عن فاطمة بنت قيس ‏.‏


Fatimah bint Qais narrated that Allah's Prophet(s.a.w) ascended the Minbar, he laughed, and said:
"Verily, Tamim Ad-Dari narrated a story to me, and it made me happy, so I wanted to narrate it to you[what he narrated to me]. Some people among the inhabitants of Palestine traveled by boat in the sea, taking them here and there, until it cast them on an island among the islands at sea. There they found a beast, clothed with its hair flowing out. They said: 'What are you?' It said: 'I am Al-Jassasah.' They said: 'Give us some news.' It said: 'I shall not give you any news, nor do I want any of your news. But go to the furthest village, for there is someone who will give you news and seek your news.' So we went to the furthest village, and there was a man fettered with chains. He said: 'Inform me about the spring of Zughar.' We said: ' It is full and flowing.' He said: 'Inform me about Al-Buhairah.' We said,'It is full and flowing.' He said: 'Inform me about the date groves of Baysan which is between Jordan and Palestine, do they produce food?' We said: 'Yes.' He said: 'Inform me about the Prophet, has he been sent?' We said: 'Yes.' He said: 'Inform me how the people came to him.' We said: 'Quickly.' He leaped up to try and escape.' We said: 'What are you?' He said: 'I am the Dajjal.'" (The Prophet(s.a.w) said) "He will enter all of the lands except At-Taibah, and At-Taibah is Al-Madinah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৩১/ কলহ ও বিপর্যয় (كتاب الفتن عن رسول الله ﷺ) 31. Chapters On Al-Fitan