পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৩৭. রাসূল (ﷺ)-কে মর্যাদা দেয়া, তাঁকে বিনা প্রয়োজনে এবং বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন ও অবাস্তব ইত্যাদি প্রশ্ন করা পরিত্যাগ করা।

১৫২১. সা’দ বিন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমদের সবচেয়ে বড় অপরাধী সেই ব্যক্তি যে এমন বিষয়ে প্রশ্ন করে যা পূর্বে হারাম ছিল না, কিন্তু তার প্রশ্নের কারণে তা হারাম হয়ে গেছে।

توقيره صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وترك إِكثار سؤاله عما لا ضرورة إِليه أو لا يتعلق به تكليف، وما لا يقع، ونحو ذلك

حديث سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ أَعْظَمَ الْمُسْلِمِينَ جُرْمًا مَنْ سَأَلَ عَنْ شَيْءٍ لَمْ يُحَرَّمْ فَحُرِّمَ مِنْ أَجْلِ مَسْئَلَتِهِ

حديث سعد بن ابي وقاص، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: ان اعظم المسلمين جرما من سال عن شيء لم يحرم فحرم من اجل مسىلته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৩৭. রাসূল (ﷺ)-কে মর্যাদা দেয়া, তাঁকে বিনা প্রয়োজনে এবং বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন ও অবাস্তব ইত্যাদি প্রশ্ন করা পরিত্যাগ করা।

১৫২২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি খুতবা দিলেন যেমনটি আমি আর কখনো শুনিনি। তিনি বললেন, আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে হবে। তোমরা হাসতে খুব কমই এবং অধিক অধিক করে কাঁদতে। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) নিজ নিজ চেহারা আবৃত করে গুনগুন করে কাঁদতে শুরু করলেন, এরপর এক ব্যক্তি (’আবদুল্লাহ ইবনু হুযাইফাহ বা অন্য কেউ) বলল, আমার পিতা কে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’অমুক’। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলঃ (لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَلَكُمْ تَسُؤْكُمْ)।

توقيره صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وترك إِكثار سؤاله عما لا ضرورة إِليه أو لا يتعلق به تكليف، وما لا يقع، ونحو ذلك

حديث أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: خَطَبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خُطْبَةً، مَا سَمِعْت مِثْلَهَا قَطُّ قَالَ: لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا قَالَ: فَغَطَّى أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وُجُوهَهُمْ، لَهُمْ خَنِينٌ فَقَالَ رَجُلٌ: مَنْ أَبِي قَالَ: فُلاَنٌ فَنَزَلَتْ هذِهِ الآيَةُ (لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَلَكُمْ تَسُؤْكُمْ)

حديث انس رضي الله عنه، قال: خطب رسول الله صلى الله عليه وسلم، خطبة، ما سمعت مثلها قط قال: لو تعلمون ما اعلم لضحكتم قليلا ولبكيتم كثيرا قال: فغطى اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم، وجوههم، لهم خنين فقال رجل: من ابي قال: فلان فنزلت هذه الاية (لا تسالوا عن اشياء ان تبدلكم تسوكم)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৩৭. রাসূল (ﷺ)-কে মর্যাদা দেয়া, তাঁকে বিনা প্রয়োজনে এবং বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন ও অবাস্তব ইত্যাদি প্রশ্ন করা পরিত্যাগ করা।

১৫২৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার লোকজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নানা প্রশ্ন করতে লাগল, এমনকি প্রশ্ন করতে করতে তাঁকে বিরক্ত করে ফেললো। এতে তিনি রাগ করলেন এবং মিম্বরে আরোহণ করে বললেনঃ আজ তোমরা যত প্রশ্ন করবে আমি আমাদের সব প্রশ্নেরই বর্ণনা সহকারে জবাব দিব। এ সময় আমি ডানে ও বামে তাকাতে লাগলাম এবং দেখলাম যে, প্রতিটি লোকই নিজের কাপড় দিয়ে মাথা পেচিয়ে কাঁদছেন। এমন সময় একজন লোক, যাকে লোকের সঙ্গে বিবাদের সময় তার বাপের নাম নিয়ে ডাকা হতো না, সে প্রশ্ন করলোঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ হুযাইফাহ। তখন ’উমার (রাঃ) বলতে লাগলেনঃ আমরা আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাসূল হিসেবে গ্রহণ করেই সন্তুষ্ট। আমরা ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি ভাল মন্দের যে দৃশ্য আজ দেখলাম, তা আর কখনও দেখিনি। জান্নাত ও জাহান্নামের সূরত আমাকে এমন স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে যে, যেন এ দু’টি এ দেয়ালের পেছনেই অবস্থিত।

توقيره صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وترك إِكثار سؤاله عما لا ضرورة إِليه أو لا يتعلق به تكليف، وما لا يقع، ونحو ذلك

حديث أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَأَلُوا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى أَحْفَوْهُ الْمَسْئَلَةَ، فَغَضِبَ، فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَقَالَ: لاَ تَسْأَلُونِي الْيَوْمَ عَنْ شَيْءٍ إِلاَّ بَيَّنْتُهُ لَكُمْ فَجَعَلتُ أَنْظُرُ يَمِينًا وَشِمَالاً فَإِذَا كُلُّ رَجُلٍ لاَفٌّ رَأْسَهُ فِي ثَوْبِهِ يَبْكِي فَإِذَا رَجُلٌ كَانَ إِذَا لاَحَى الرِّجَالَ يُدْعَى لِغَيْرِ أَبِيهِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ مَنْ أَبِي قَالَ: حُذَافَةُ ثُمَّ أَنْشَأَ عُمَرُ، فَقَالَ: رَضِينَا بِاللهِ رَبًّا، وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَسُولاً، نَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الْفِتَنِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا رَأَيْتُ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ كَالْيَوْمِ قَطُّ، إِنَّهُ صُوِّرَتْ لِي الْجَنَّةُ وَالنَّارُ حَتَّى رَأَيْتُهُمَا وَرَاءَ الْحَائِطِ

حديث انس رضي الله عنه، قال: سالوا رسول الله صلى الله عليه وسلم، حتى احفوه المسىلة، فغضب، فصعد المنبر، فقال: لا تسالوني اليوم عن شيء الا بينته لكم فجعلت انظر يمينا وشمالا فاذا كل رجل لاف راسه في ثوبه يبكي فاذا رجل كان اذا لاحى الرجال يدعى لغير ابيه فقال: يا رسول الله من ابي قال: حذافة ثم انشا عمر، فقال: رضينا بالله ربا، وبالاسلام دينا، وبمحمد صلى الله عليه وسلم رسولا، نعوذ بالله من الفتن فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما رايت في الخير والشر كاليوم قط، انه صورت لي الجنة والنار حتى رايتهما وراء الحاىط

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৩৭. রাসূল (ﷺ)-কে মর্যাদা দেয়া, তাঁকে বিনা প্রয়োজনে এবং বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন ও অবাস্তব ইত্যাদি প্রশ্ন করা পরিত্যাগ করা।

১৫২৪. আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কয়েকটি অপছন্দনীয় বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। প্রশ্নের সংখ্যা অধিক হয়ে যাওয়ায় তখন তিনি রেগে গিয়ে লোকদেরকে বললেনঃ তোমরা আমার নিকট যা ইচ্ছে প্রশ্ন কর। এক ব্যক্তি বলল, আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা হুযাফাহ। আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ ’তোমার পিতা হল শায়বার দাস সালিম। তখন ’উমার (রাঃ) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারার অবস্থা দেখে বললেনঃ ’হে আল্লাহর রাসূল! আমরা মহিমান্বিত আল্লাহর নিকট তওবা করছি।

توقيره صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وترك إِكثار سؤاله عما لا ضرورة إِليه أو لا يتعلق به تكليف، وما لا يقع، ونحو ذلك

حديث أَبِي مُوسى، قَالَ: سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ أَشْيَاءَ كَرِهَهَا، فَلَمَّا أُكْثِرَ عَلَيْهِ غَضِبَ ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ: سَلُونِي عَمَّا شِئْتُمْ قَالَ رَجُلٌ: مَنْ أَبِي قَالَ: أَبُوكَ حُذَافَةُ فَقَامَ آخَرُ فَقَالَ: مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ: أَبُوكَ سَالِمٌ مَوْلَى شَيْبَةَ فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ مَا فِي وَجْهِهِ، قَالَ: يَا رَسُول اللهِ إِنَّا نَتُوبُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ

حديث ابي موسى، قال: سىل النبي صلى الله عليه وسلم، عن اشياء كرهها، فلما اكثر عليه غضب ثم قال للناس: سلوني عما شىتم قال رجل: من ابي قال: ابوك حذافة فقام اخر فقال: من ابي يا رسول الله فقال: ابوك سالم مولى شيبة فلما راى عمر ما في وجهه، قال: يا رسول الله انا نتوب الى الله عز وجل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে