পরিচ্ছেদঃ ৩৫/১. কুরবানীর সময়।
১২৮০. জুনদাব ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সালাত আদায় করেন, অতঃপর খুতবা দেন। অতঃপর যবেহ করেন এবং তিনি বলেনঃ সালাতের পূর্বে যে ব্যক্তি যবেহ করবে তাকে তার স্থলে আর একটি যবেহ করতে হবে এবং যে যবেহ করেনি, আল্লাহর নামে তার যবেহ করা উচিত।
وقتها
حديث جُنْدَبٍ، قَالَ: صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ خَطَبَ ثُمَّ ذَبَحَ، فَقَالَ: مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيَذْبَحْ أُخْرَى مَكَانَهَا، وَمَنْ لَمْ يَذْبَحْ فَلْيذْبَحْ بِاسْمِ اللهِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৫/১. কুরবানীর সময়।
১২৮১. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বুরদাহ (রাঃ) নামক আমার এক মামা সালাত আদায়ের পূর্বেই কুরবানী করেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তোমার বকরী কেবল গাশতের বকরী হল। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার নিকট একটি ঘরে পোষা বকরীর বাচ্চা রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সেটাকে কুরবানী করে নাও। তবে তা তুমি ব্যতীত অন্য কারোর জন্য ঠিক হবে না। এরপর তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পূর্বে যবহ করেছে, সে নিজের জন্যই যবেহ করেছে (কুরবানীর জন্য নয়)। আর যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পর যবেহ করেছে, সে তার কুরবানী পূর্ণ করেছে। আর সে মুসলিমদের নীতি-পদ্ধতি অনুসারেই করেছে।
وقتها
حديث الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: ضَحَّى خَالٌ لِي، يُقَالُ لَهُ أَبُو بُرْدَةَ، قَبْلَ الصَّلاَةِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: شَاتُكَ شَاةُ لَحْمٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ عِنْدِي دَاجِنًا جَذَعَةً مِنَ الْمَعَزِ قَالَ: اذْبَحْهَا، وَلَنْ تَصْلُحَ لِغَيْرِكَ ثُمَّ قَالَ: مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَإِنَّمَا يَذْبَحُ لِنَفْسِهِ، وَمَنْ ذَبَحَ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَقَدْ تَمَّ نُسُكُهُ وَأَصَابَ سُنَّةَ الْمُسْلِمِينَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৫/১. কুরবানীর সময়।
১২৮২. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের পূর্বে যে যবেহ করবে তাকে পুনরায় যবেহ (কুরবানী) করতে হবে। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আজকের এ দিনটিতে মাংস খাবার আকাঙ্ক্ষা করা হয়। সে তার প্রতিবেশীদের অবস্থা উল্লেখ করল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন তার কথার সত্যতা স্বীকার করলেন। সে বলল, আমার নিকট এখন ছয় মাসের এমন একটি মেষ শাবক আছে, যা আমার নিকট দু’টি হৃষ্টপুষ্ট বকরীর চেয়েও অধিক পছন্দনীয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা কুরবানী করার অনুমতি দিলেন। অবশ্য আমি জানি না, এ অনুমতি তাকে ছাড়া অন্যদের জন্যও কি-না?
وقتها
حديث أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَلْيُعِدْ فَقَامَ رَجُلٌ، فَقَالَ: هذَا يَوْمٌ يُشْتَهى فِيهِ اللَّحْمُ وَذَكَرَ مِنْ جِيرَانِهِ فَكَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَّقَهُ قَالَ: وَعِنْدِي جَذَعَةٌ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ شَاتَيْ لَحْمٍ، فَرَخَّصَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلاَ أَدْرِي أَبَلَغَتِ الرُّخْصَةُ مَنْ سِوَاهُ، أَمْ لاَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৫/১. কুরবানীর সময়।
১২৮৩. ’উকবাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কিছু বকরী (ভেড়া) সাহাবীদের মধ্যে বন্টন করতে দিলেন। বন্টন করার পর একটি বকরীর বাচ্চা বাকী থেকে যায়। তিনি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করেন। তখন তিনি বললেন, তুমি নিজে এটাকে কুরবানী করে দাও।
وقتها
حديث عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رضي الله عنه، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُ غَنَمًا يَقْسِمُهَا عَلَى صَحَابَتِهِ، فَبَقِيَ عَتُودٌ، فَذَكَرَهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ضَحِّ أَنْتَ