পরিচ্ছেদঃ ৩৩/৪৯. সাগরে যুদ্ধের ফযীলত।

১২৪৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু হারাম বিনতু মিলহান (রাঃ)-এর নিকট যাতায়াত করতেন এবং তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খেতে দিতেন। উম্মু হারাম ছিলেন উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ)-এর স্ত্রী। একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে গেলে তিনি তাঁকে আহার করান এবং তাঁর মাথার উকুন বাছতে থাকেন। এক সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি হাসতে হাসতে ঘুম থেকে জাগলেন। উম্মু হারাম বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! হাসির কারণ কী? তিনি বললেন, ’আমার উম্মাতের কিছু ব্যক্তিকে আল্লাহর পথে জিহাদরত অবস্থায় আমার সামনে পেশ করা হয়। তারা এ সমুদ্রের মাঝে এমনভাবে আরোহী যেমন বাদশাহ তখতের উপর, অথবা বলেছেন, বাদশাহর মত তখতে উপবিষ্ট। এ শব্দ বর্ণনায় ইসহাক (রহ.) সন্দেহ করেছেন। উম্মু হারাম (রাঃ) বলেন, ’আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর নিকট দুআ করুন যেন আমাকে তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য দুআ করলেন।

অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সঃ) আবার ঘুমিয়ে পড়েন। অতঃপর হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার হাসার কারণ কী? তিনি বললেন, ’আমার উম্মতের মধ্য থেকে আল্লাহর পথে জিহাদরত কিছু ব্যক্তিকে আমার সামনে পেশ করা হয়। পরবর্তী অংশ প্রথম উক্তির মত। উম্মু হারাম (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আল্লাহর নিকট দুআ করুন, যেন আমাকে তিনি তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বললেন, তুমি তো প্রথম দলের মধ্যেই আছ। অতঃপর মুআবিয়াহ ইবনু আবূ সুফইয়ান (রাঃ)-এর সময় উম্মু হারাম (রাঃ) জিহাদের উদ্দেশে সামুদ্রিক সফরে যান এবং সমুদ্র থেকে যখন বের হন তখন তিনি তাঁর সওয়ারী থেকে ছিটকে পড়েন। এতে তিনি শাহাদাত লাভ করেন।

فضل الغزو في البحر

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَتُطْعِمُهُ، وَكَانَتْ أُمُّ حَرَامٍ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَطْعَمَتْهُ، وَجَعَلَتْ تَفْلِي رَأْسَهُ، فَنَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ: فَقُلْتُ وَمَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللهِ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هذَا الْبَحْرِ، مُلُوكًا عَلَى الأَسِرَّةِ أَوْ مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الأَسِرَّةِ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ ادْعُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَدَعَا لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقُلْتُ: وَمَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غَزَاةً فِي سَبِيلِ اللهِ كَمَا قَالَ فِي الأَوَّلِ قَالَتْ: فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ ادْعُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ، قَالَ: أَنْتِ مِنَ الأَوَّلِينَ فَرَكِبَتِ الْبَحْرَ، فِي زَمَانِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَصُرِعتْ عَنْ دَابَّتِهَا، حِينَ خَرَجَتْ مِنَ الْبَحْرِ، فَهَلَكَتْ

حديث انس بن مالك رضي الله عنه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يدخل على ام حرام بنت ملحان فتطعمه، وكانت ام حرام تحت عبادة بن الصامت، فدخل عليها رسول الله صلى الله عليه وسلم، فاطعمته، وجعلت تفلي راسه، فنام رسول الله صلى الله عليه وسلم، ثم استيقظ وهو يضحك قالت: فقلت وما يضحكك يا رسول الله قال: ناس من امتي عرضوا علي غزاة في سبيل الله يركبون ثبج هذا البحر، ملوكا على الاسرة او مثل الملوك على الاسرة قالت فقلت يا رسول الله ادع الله ان يجعلني منهم فدعا لها رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم وضع راسه، ثم استيقظ وهو يضحك فقلت: وما يضحكك يا رسول الله قال: ناس من امتي عرضوا علي غزاة في سبيل الله كما قال في الاول قالت: فقلت يا رسول الله ادع الله ان يجعلني منهم، قال: انت من الاولين فركبت البحر، في زمان معاوية بن ابي سفيان، فصرعت عن دابتها، حين خرجت من البحر، فهلكت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৩৩/ ইমারাত বা নেতৃত্ব (كتاب الإمارة)