পরিচ্ছেদঃ ৩২/২৪. বিভিন্ন এলাকা বিজয়ের মাধ্যমে ধনাঢ্য হওয়ার পর আনসারদের দেয়া বৃক্ষ ও ফলের উপহার মুহাজিরগণ কর্তৃক ফিরিয়ে দেয়া।
১১৫৯. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কাহ হতে মদীনাহ্ হিজরতের সময় মুহাজিরদের হাতে কোন কিছু ছিল না। অন্যদিকে আনসারগণ ছিলেন জমি ও ভূসম্পত্তির অধিকারী। তাই আনসারগণ এ শর্তে মুহাজিরদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিলেন যে, প্রতি বছর তারা (মুহাজিররা)-এর উৎপন্ন ফল ও ফসলের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ তাদের (আনসারদের) দিবেন আর তারা এ কাজে শ্রম দিবে ও দায়-দায়িত্ব নিবে। আনাসের মা উম্মু সুলাইম (রাঃ) ছিলেন ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ত্বলহার মা। আনাসের মা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (ফল ভােগ করার জন্য) কয়েকটি খেজুর গাছ দিয়েছিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেগুলো তাঁর আযাদকৃত বাদী ’উসমান ইবনু যায়দের মা উম্মু আয়মানকে দান করে দিয়েছিলেন। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, আনাস (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারে ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে মদীনায় ফিরে এলে মুহাজিরগণ আনসারদেরকে তাদের দানের সম্পত্তি ফিরিয়ে দিলেন; যেগুলো ফল ও ফসল ভােগ করার জন্য তারা মুহাজিরদের দান করেছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও তাঁর (আনাসের) মাকে তার খেজুর গাছগুলো ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু আয়মানকে ঐ গাছগুলোর পরিবর্তে নিজ বাগানের কিছু অংশ দান করলেন।
رد المهاجرين إِلى الأنصار منائحهم من الشجر والثمر حين استغنوا عنها بالفتوح
حديث أنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ الْمَدِينَةَ مِنْ مَكَّةَ، وَلَيْسَ بِأَيْدِيهِمْ، يَعْني شَيْئًا؛ وَكَانَتِ الأَنْصَارُ أَهْلَ الأَرْضِ وَالْعَقَارِ فَقَاسَمَهُمُ الأَنْصَارُ عَلَى أَنْ يُعْطُوهُمْ ثِمَارَ أَمْوَالِهِمْ كُلَّ عَامٍ، وَيَكْفُوهُمُ الْعَمَلَ وَالْمَئُونَةَ؛ وَكَانَتْ أُمُّهُ، أُمُّ أَنَسٍ، أُمُّ سُلَيْمٍ، كَانَتْ أُمَّ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، فَكَانَتْ أَعْطَتْ أُمُّ أَنَسٍ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِذَاقًا، فَأَعْطَاهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّ أَيْمَنَ مَوْلاَتَهُ، أُمَّ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا فَرَغَ مِنْ قَتْلِ أَهْلِ خَيْبَرَ، فَانْصَرَفَ إِلَى الْمَدِينَةِ، رَدَّ الْمُهَاجِرُونَ إِلَى الأَنْصَارِ مَنَائِحَهُمُ الَّتِي كَانُوا مَنَحُوهُمْ مِنْ ثِمَارِهِمْ، فَرَدَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُمِّهِ عِذَاقَهَا، وَأَعْطَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّ أَيْمَنَ مَكَانَهُنَّ مِنْ حَائِطِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৩২/২৪. বিভিন্ন এলাকা বিজয়ের মাধ্যমে ধনাঢ্য হওয়ার পর আনসারদের দেয়া বৃক্ষ ও ফলের উপহার মুহাজিরগণ কর্তৃক ফিরিয়ে দেয়া।
১১৬০. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খেজুর গাছ হাদিয়া দিতেন। অতঃপর যখন তিনি বানী নাযীর এবং বানী কুরাইযার উপর জয়লাভ করলেন তখন আমার পরিবারের লোকরা আমাকে নির্দেশ দিল, যেন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে তাদের দেয়া সবগুলো খেজুর গাছ অথবা কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ তাঁর নিকট থেকে ফেরত গ্রহণের ব্যাপারে নিবেদন করি। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ গাছগুলো উম্মে আইমান (রাঃ)-কে দান করেছিলেন। উম্মে আইমান (রাঃ) আসলেন এবং আমার গলায় কাপড় লাগিয়ে বললেন, এটা কক্ষনো হতে পারে না। সেই আল্লাহর কসম! যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি ঐ গাছগুলো তোমাকে আর দেবেন না। তিনি এগুলো আমাকে দিয়ে দিয়েছেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) যেমন তিনি বলেছেন। এদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছিলেন, তুমি ঐ গাছগুলোর বদলে আমার নিকট থেকে এত এত পাবে। কিন্তু উম্মে আইমান (রাঃ) বলছিলেন, আল্লাহর কসম! এটা কক্ষনো হতে পারে না। অবশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দিলেন। বর্ণনাকারী আনাস (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর দশগুণ অথবা যেমন তিনি বলেছেন।
رد المهاجرين إِلى الأنصار منائحهم من الشجر والثمر حين استغنوا عنها بالفتوح
حديث أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ الرَجُلُ يَجْعَلُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّخَلاَتِ، حَتَّى افْتَتَحَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرَ وَإِنَّ أَهْلِي أَمَرُونِي أَنْ آتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْأَلَهُ الَّذِينَ كَانُوا أَعْطَوْهُ أَوْ بَعْضَهُ؛ وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَعْطَاهُ أُمَّ أَيْمَنَ؛ فَجَاءَتْ أُمُّ أَيْمَنَ فَجَعَلتِ الثَّوْبَ فِي عُنُقِي، تَقُولُ: كَلاَّ وَالَّذِي لا إِلهَ إِلاَّ هُوَ لاَ يُعْطِيكَهُمْ وَقَدْ أَعْطَانِيَها أَوْ كَمَا قَالَتْ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَكِ كَذَا وَتَقُولُ: كَلاَّ وَاللهِ حَتَّى أَعْطَاهَا عَشَرَةَ أَمْثَالِهِ، أَوْ كَمَا قَالَ