পরিচ্ছেদঃ বিবাহিত ব্যক্তির উপর ‘রজম’ প্রয়োগ।
১৪৩৯। নাসর ইবনু আলী প্রমুখ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ ও শিবল রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত যে, তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলেন। এমন সময় তাঁর নিকট দুই ব্যক্তি বিবাদ করতে করতে এল। একজন তাঁর নিকট দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব দিয়ে ফায়সালা করে দিবেন। তার চাইতে অধিকতর বোধসম্পন্ন তার সঙ্গীটি বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি অবশ্যই আল্লাহর কিতাব অনুসারে আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিবেন। আর আমাকে কথা বলতে অনুমতি দিন। আমার ছেলে এই ব্যক্তির কাছে মজদুর হিসাবে ছিল। অনন্তর সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করে বসেছে। লোকেরা আমাকে অবহিত করল যে, আমার পুত্রের উপর ’রজম’ প্রযোজ্য। ফলে আমি এর বদলে একশত বকরী ও একজন খাদিম ফিদয়া রূপে দিয়ে দেই। পরে আলেমদের মত কিছু লোকের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়। তারা মত দিলেন, আমার ছেলের উপর প্রযোজ্য হল এক শত কোড়া এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন দন্ড। আর রজম হল এই ব্যক্তির স্ত্রীর উপর।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, অবশ্যই তোমাদের মাঝে আমি আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করে দিব। একশত ছাগল ও খাদিম তোমাদের নিকট প্রত্যাবৃত্ত হবে। তোমার পুত্রের উপর শাস্তি হল, এক শত কোড়া ও এক বছরের জন্য নির্বাসন দন্ড। হে উনায়স, তুমি ভোরে এর স্ত্রীর কাছে যাবে। যদি সে তার অপরাধ স্বীকার করে তবে তাকে ’রজম’ দন্ড দেবে। পরে তিনি ভোরে ঐ মহিলাটির কাছে গেলে সে অপরাধ স্বীকার করে। ফলে তিনি তাকে ’রজম’ করেন।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৪৯, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইসহাক ইবনু মূসা আল-আনসারী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
কুতায়বা (রহঃ) ... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে মালিক (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ মর্মে (১৪৩৯ নং) হাদীস বর্ণিত আছে। এই বিষয়ে আবূ বকর, উবাদা ইবনুস সামিত, আবূ হুরায়রা, আবূ সাঈদ, ইবনু আব্বাস, জাবির ইবনু সামুরা, হাযযাল, বুরায়দা, সালামা ইবনুল মুহাববাক, আবূ বারযা ও ইমরান ইবনু হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।
মালিক ইবনু আনাস, মা’মার (রহঃ) প্রমুখ যুহরী থেকে উবায়দুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ-আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিত রাদিয়াল্লাহু আনহুম সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। উক্ত সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বললেনঃ দাসী যদি যিনা করে তবে তাকে দুররা মার। চতুর্থ বারও যদি সে যিনায় লিপ্ত হয় তবে একটি দড়ির বিনিময়ে হলেও তাকে বিক্রি করে দিবে।
সুফইয়ান ইবনু উয়ায়না (রহঃ) অনুরূপভাবে এটিকে যুহরী সূত্রে উবায়দুল্লাহর মাধ্যমে আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ ও শিবল রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণনা করেন; তারা বললেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম। ইবনু উয়াইনা দুটি হাদীসকেই আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ ও শিবল রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইবনু উয়াইনা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়াতে ওয়াহম বা বিভ্রান্তি ঘটেছে। এ বিভ্রান্তি সয়ং সুফইয়ান ইবনু উয়ায়না (রহঃ) থেকে ঘটেছে। তিনি একটি রিওয়ায়াতকে আর একটি রিওয়ায়াতের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেছেন।
সাহীহ হল যুবায়দী, ইউনুস ইবনু উবায়দ ও যুহরী ভ্রাতুষ্পুত্র-যুহরী সূত্রে উবায়দুল্লাহর মাধ্যমে আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যদি দাসী যিনা করে (অপর সূত্র) এবং যুহরী-উবায়দুল্লাহ থেকে, তিনি শিবল ইবনু খালিদ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মালিক আওসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যদি দাসী যিনা করে...। হাদীস বিশারদগণের মতে এটি সহীহ।
শিবল ইবনু খালিদ (রহঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাত পান নাই। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মালিক আওসী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। এটি সহীহ। ইবনু উয়ায়নার রিওয়ায়াতটি ’মাহফুজ’ নয়। তার থেকে এও বর্ণিত আছে যে, তিনি নামোল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন শিবল ইবনু হামিদ, অথচ তা হল ভুল। আসলে তিনি শিবল ইবনু খালিদ এবং তাকে শিবল ইবনু খুলায়দও বলা হয়।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ عَلَى الثَّيِّبِ .
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، سَمِعَهُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، وَشِبْلٍ، أَنَّهُمْ كَانُوا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَاهُ رَجُلاَنِ يَخْتَصِمَانِ فَقَامَ إِلَيْهِ أَحَدُهُمَا وَقَالَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمَّا قَضَيْتَ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ . فَقَالَ خَصْمُهُ وَكَانَ أَفْقَهَ مِنْهُ أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَائْذَنْ لِي فَأَتَكَلَّمَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا فَزَنَا بِامْرَأَتِهِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ فَفَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَخَادِمٍ ثُمَّ لَقِيتُ نَاسًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَزَعَمُوا أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ وَإِنَّمَا الرَّجْمُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ الْمِائَةُ شَاةٍ وَالْخَادِمُ رَدٌّ عَلَيْكَ وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا " . فَغَدَا عَلَيْهَا فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا .
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ بِمَعْنَاهُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَهَزَّالٍ وَبُرَيْدَةَ وَسَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ وَأَبِي بَرْزَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا رَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَمَعْمَرٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
وَرَوَوْا بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِذَا زَنَتِ الأَمَةُ فَاجْلِدُوهَا فَإِنْ زَنَتْ فِي الرَّابِعَةِ فَبِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ " . وَرَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَشِبْلٍ قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . هَكَذَا رَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَشِبْلٍ وَحَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَهَمٌ وَهِمَ فِيهِ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ أَدْخَلَ حَدِيثًا فِي حَدِيثٍ . وَالصَّحِيحُ مَا رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا زَنَتِ الأَمَةُ فَاجْلِدُوهَا " . وَالزُّهْرِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ شِبْلِ بْنِ خَالِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ الأَوْسِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا زَنَتِ الأَمَةُ " . وَهَذَا الصَّحِيحُ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ . - وَشِبْلُ بْنُ خَالِدٍ لَمْ يُدْرِكِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا رَوَى شِبْلٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ الأَوْسِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهَذَا الصَّحِيحُ وَحَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ شِبْلُ بْنُ حَامِدٍ وَهُوَ خَطَأٌ إِنَّمَا هُوَ شِبْلُ بْنُ خَالِدٍ وَيُقَالُ أَيْضًا شِبْلُ بْنُ خُلَيْدٍ .
Narrated 'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Uthbah:
That he heard from Abu Hurairah, Zaid bin Khalid, and Shibl, that they were with the Prophet (ﷺ) and two men came to him disputing. So one of them stood before him and said: "I ask you by Allah, O Messenger of Allah! Only that you would judge between us by the book of Allah." So his disputant said - and he was more eloquent that him: "I agree of O Messenger of Allah! Judge between us by the Book of Allah, and allow me to speak. My son was a servant for this man and he committed adultery with his wife. So they told me that my son was to be stoned. I paid him one hundred female sheep and a female slave. Then I met some people from the people of knowledge and they said that my son was to be lashed one hundred times, and to be banished for a year and that stoning is only for this man's wife." So the Prophet (ﷺ) said: "By the One in Whose Hand is my soul! I will judge between you two by the Book of Allah. The one hundred female sheep and the female slave should be returned to you. For your son is one hundred lashes and banishment for a year. O Unais! Go to this Man's wife, and if she confesses then stone her." He went to her and she confessed, so he stoned her.
পরিচ্ছেদঃ বিবাহিত ব্যক্তির উপর ‘রজম’ প্রয়োগ।
১৪৪০। কুতায়বা (রহঃ) ... উবাদা ইবনু সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার নিকট থেকে এ বিধান গ্রহণ কর; আল্লাহ তা’আলা এদের (ব্যভিচারীদের) জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছেন। বিবাহিত ব্যক্তি যদি বিবাহিতার সাথে তা করে তবে দন্ড হল একশ বেত্রাঘাত, এরপর প্রস্তরাঘাতে হত্যা আর অবিবাহিত ব্যক্তি যদি অবিবাহিত ব্যক্তির সাথে তা করে তবে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৫০, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলী ইবনু আবূ তালিব, উবাই ইবনু কা’ব, আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহুম সহ সাহাবীদের মধ্যে কতক আলিমের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা বললেন, বিবাহিতদেরকে দুররা মারা হবে এবং রজমও করা হবে। এ-ই কতক আলিমের মাযহাব। আর ইমাম ইসহাক (রহঃ)-ও-এরও অভিমত।
আবূ বকর, উমার প্রমুখ রাদিয়াল্লাহু আনহুম সহ সাহাবীদের মধ্যে কতক আলিমের অভিমত হল অবিবাহিতদের কেবল রজম করা হবে, দুররা মারা হবে না। মাইয ও অন্যান্যদের ঘটনার প্রসঙ্গে একাধিক রিওয়ায়াতেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি ’রজম’-এর নির্দেশ দিয়েছেন। রজম-এর পূর্বে দুররা মারার নির্দেশ দেননি। কতক আলিমের এতদনুসারে আমল রয়েছে। এ হল ইমাম সুফইয়ান ছাওরী, ইবনুল মুবারক, শাফিঈ ও আহমাদ (রহঃ)-এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ عَلَى الثَّيِّبِ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلاً الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ ثُمَّ الرَّجْمُ وَالْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْىُ سَنَةٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَغَيْرُهُمْ قَالُوا الثَّيِّبُ تُجْلَدُ وَتُرْجَمُ . وَإِلَى هَذَا ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَغَيْرُهُمَا الثَّيِّبُ إِنَّمَا عَلَيْهِ الرَّجْمُ وَلاَ يُجْلَدُ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلُ هَذَا فِي غَيْرِ حَدِيثٍ فِي قِصَّةِ مَاعِزٍ وَغَيْرِهِ أَنَّهُ أَمَرَ بِالرَّجْمِ وَلَمْ يَأْمُرْ أَنْ يُجْلَدَ قَبْلَ أَنْ يُرْجَمَ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ .
Narrated 'Ubadah bin As-Samit:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Take from me. For Allah has a way made for them : For the married person who commits adultery with a married person is one hundred lashes, then stoning. And for the virgin who commits adultery with a virgin is one hundred lashes and banishment for a year."