পরিচ্ছেদঃ ইয়াতিম কুমারীকে জবরদস্তিমূলক বিয়ে দেওয়া।
১১০৯. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন (সাবালিকা) ইয়াতীম কুমারী থেকে তার বিবাহের ব্যাপারে সম্মতি গ্রহণ করতে হবে। যদি সে চুপ থাকে তবে তাই তার সম্মতি বলে গণ্য হবে। আর যদি অস্বীকার করে তবে তার উপর তা কার্যকারী হবেনা। - ইরওয়া ১৮৩৪, সহিহ আবু দাউদ ১৮২৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১০৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ মূসা, ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান। আলিমগণের ইয়াতিম কুমারী মেয়ে বিয়ের ব্যপারে মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিমের অভিমত এই যে, কোন ইয়াতীম কুমারী কন্যার যদি বিয়ে দেওয়া হয়, তবে তার নিকাহ বালেগ হওয়া পর্যন্ত স্থগিত তাকবে। সে বালেগ হলে, তার এ বিয়ে বহাল রাখা বা বাতিল করার ইখতিয়ার থাকবে। এ হলো কোন কোন তাবিঈ ও অপরাপর আলিমের বক্তব্য।
কোন কোন আলিম বলেন, সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত ইয়াতীম কুমারী কন্যার বিয়ে জায়েজ নয়। বিবাহের ক্ষেত্রে ইখতিয়ার প্রয়োজ্য নয়। এহলো, সুফইয়ান ছাওরী, শাফিঈ, প্রমূখ আলিমগণের অভিমত। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) বলেন, যখন ইয়তীম কণ্যার বয়স নয় বৎসর হয় আর তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় এবং সে সম্মতি দান করে তবে এই বিয়ে এই বিয়ে জাইজ। সাবালিকা হওয়ার পর আর তার ইখতিয়ার থাকবে না। তাঁরা আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ঘটনাকে দলীল হিসাবে পেশ করেন যে যখন তার বয়স নয় বৎসর হয়, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গে বাসর যাপন করেন। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, মেয়েদের বয়স নয় বছর হলে সে মহিলা।
باب مَا جَاءَ فِي إِكْرَاهِ الْيَتِيمَةِ عَلَى التَّزْوِيجِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْيَتِيمَةُ تُسْتَأْمَرُ فِي نَفْسِهَا فَإِنْ صَمَتَتْ فَهُوَ إِذْنُهَا وَإِنْ أَبَتْ فَلاَ جَوَازَ عَلَيْهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَزْوِيجِ الْيَتِيمَةِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْيَتِيمَةَ إِذَا زُوِّجَتْ فَالنِّكَاحُ مَوْقُوفٌ حَتَّى تَبْلُغَ فَإِذَا بَلَغَتْ فَلَهَا الْخِيَارُ فِي إِجَازَةِ النِّكَاحِ أَوْ فَسْخِهِ . وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يَجُوزُ نِكَاحُ الْيَتِيمَةِ حَتَّى تَبْلُغَ . وَلاَ يَجُوزُ الْخِيَارُ فِي النِّكَاحِ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ إِذَا بَلَغَتِ الْيَتِيمَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَزُوِّجَتْ فَرَضِيَتْ فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ وَلاَ خِيَارَ لَهَا إِذَا أَدْرَكَتْ . وَاحْتَجَّا بِحَدِيثِ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَنَى بِهَا وَهِيَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ . وَقَدْ قَالَتْ عَائِشَةُ إِذَا بَلَغَتِ الْجَارِيَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَهِيَ امْرَأَةٌ .
Abu Hurairah narrated that:
The Messenger of Allah said: "An orphan is to be consulted about herself, then if she is silent that is her permission, and if she refuses, then do not authorize it (the marriage) for her" (meaning: when she attains the age of puberty and refuses it.)