পরিচ্ছেদঃ কুমারী ও অকুমারী মহীলাদের অনুমতি গ্রহণ।
১১০৭. ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অকুমারী মহিলাকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতিরেকে বিবাহ দেওয়া যাবে না। কুমারী মহিলাকেও তার সম্মতি ব্যতিরেকে বিবাহ দেওয়া যাবে না। আর চুপ থাকাই তার সম্মতি। - ইবনু মাজাহ ১৮৭১, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১০৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে উমর, ইবনু আব্বাস, আয়িশা, উরস ইবনু আমীরা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। এতদানুসারে আলিমগণের আমল রয়েছে। তাঁরা বলেন, সুস্পষ্ট ভাবে না বলা পর্যন্ত অকুমারী মহিলার বিবাহ হতে পারে না। যদিও তার পিতা তার অনুমতি ব্যতিরেকে তার বিবাহ দিয়ে দেয় এবং সে তা অপছন্দ করে তবে অধিকাংশ উলামার মতে, তার এ বিবাহ বাতিল হবে। পিতা অনুমতি গ্রহণ না করে কুমারী কন্যাকে বিবাহ প্রদানের বিষয়ে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কুফাবাসী এবং অপরাপর অধিকাংশ আলিমের মতে পিতা যদি তার সাবালিকা কুমারী কন্যাকে সম্মতি না নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয় আর সে পিতৃপ্রদত্ত এই বিয়েতে সন্তুষ্ট না হয় তবে এই বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে। মদীনাবাসী কোন কোন আলিম বলেন, কুমারী কন্যা অমত হলেও তাকে পিতা বিয়ে দিয়ে দিলে জায়েজ হবে। ইমাম মালিক ইবনু আনাস, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর এ অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُنْكَحُ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ وَإِذْنُهَا الصُّمُوتُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ وَالْعُرْسِ بْنِ عَمِيرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الثَّيِّبَ لاَ تُزَوَّجُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَإِنْ زَوَّجَهَا الأَبُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَسْتَأْمِرَهَا فَكَرِهَتْ ذَلِكَ فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَزْوِيجِ الأَبْكَارِ إِذَا زَوَّجَهُنَّ الآبَاءُ فَرَأَى أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الأَبَ إِذَا زَوَّجَ الْبِكْرَ وَهِيَ بَالِغَةٌ بِغَيْرِ أَمْرِهَا فَلَمْ تَرْضَ بِتَزْوِيجِ الأَبِ فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ تَزْوِيجُ الأَبِ عَلَى الْبِكْرِ جَائِزٌ وَإِنْ كَرِهَتْ ذَلِكَ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
Abu Hurairah narrated that:
The Prophet said: "A matron should not be given in marriage until she is consulted, and a virgin should not be given in marriage until her permission is sought, and her silence is her permission."
পরিচ্ছেদঃ কুমারী ও অকুমারী মহীলাদের অনুমতি গ্রহণ।
১১০৮. কুতায়বা (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অকুমারী মেয়ে নিজের ব্যপারে তার ওলীর অপেক্ষা অধিক হকদার। কুমারীর বেলায় তার বিষয়ে তার নিকট থেকে অনুমতি নিতে হবে। আর তার চুপ থাকা অনুমতি। - ইবনু মাজাহ ১৮৭০, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১০৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদীসটি হাসান-সাহীহ। শু’বা ও সুফইয়ান ছাওরী (রহঃ) এ হাদীসটি মালিক ইবনু আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। ওলী ছাড়াই বিবাহ জাইয হওয়ার বিষয়ে কেউ কেউ এই হাদীসটিকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন। বস্ত্তত: তাঁরা যে বিষয়ে দলীল গ্রহণ করেছেন এ হাদীসে তা প্রমাণিত হয় না। কেননা ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে একাধিক সনদে নবী (সা)-এর থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, ওলী ব্যতিরেকে বিবাহ হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওয়াফাতের পর ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এরূপ ফতওয়া দিয়েছেন। অকুমারী মেয়ে নিজের বিষয়ে তার ওলী অপেক্ষা অধিকতর হকদার’’ এই হাদীসটির মর্ম অধিকাংশ আলিমের মতে এই যে, ওলী তাকে তার সন্তুষ্টি ও তার স্পষ্ট নির্দেশ ব্যতীত বিবাহ দিতে পারে না। যদি সে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয় তবে খানসা বিনত খিযাম রাদিয়াল্লাহু আনহা এর হাদীসের ভিত্তিতে এই বিয়ে বাতিল। খানসাকে তাঁর পিতা অকুমারী অবস্থায় বিয়ে দিয়েছিলেন, আর তিনি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিবাহ বাতিল করে দেন।
باب مَا جَاءَ فِي اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ . وَقَدِ احْتَجَّ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِجَازَةِ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا احْتَجُّوا بِهِ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " وَهَكَذَا أَفْتَى بِهِ ابْنُ عَبَّاسٍ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ . وَإِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا " . عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْوَلِيَّ لاَ يُزَوِّجُهَا إِلاَّ بِرِضَاهَا وَأَمْرِهَا فَإِنْ زَوَّجَهَا فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ عَلَى حَدِيثِ خَنْسَاءَ بِنْتِ خِذَامٍ حَيْثُ زَوَّجَهَا أَبُوهَا وَهِيَ ثَيِّبٌ فَكَرِهَتْ ذَلِكَ فَرَدَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نِكَاحَهُ .
Ibn Abbas narrated that:
The Messenger of Allah said: "The matron has more right to herself than her Wali, and the virgin is to give permission for herself, and her silence is her permission."