পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪০৭. মুহাম্মদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... বানু হানযালার জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি এক সফরে শদ্দাদ ইবন আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যা পাঠ করতে শিখাতেন আমি কি তা তোমাদের শিখাব? তা হলঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الأَمْرِ وَأَسْأَلُكَ عَزِيمَةَ الرُّشْدِ وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ وَأَسْأَلُكَ لِسَانًا صَادِقًا وَقَلْبًا سَلِيمًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا تَعْلَمُ إِنَّكَ أَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ
হে আল্লাহ! আমি চাই তোমার কাছে দীনী বিষয়ে আবিচলতা, আর চাই হেদায়াতের উপর দৃঢ় সংকল্পতা, আমি যাঞ্চা করি তোমার কাছে নিয়ামতসমূহের শুকরগুযারী এবং তোমার উত্তম ইবাদত আর প্রার্থন করি তোমার কাছে সত্যবাদী যবান আর কলুষমুক্ত অন্তর। পানাহ চাই তোমার কাছে তুমি যা জান সে সব বিষয়ের মন্দ থেকে। আর চাই তোমার কাছে তুমি যা জান সে সব বিষয়ের কল্যান। ক্ষমা চাই তোমার কাছে সে সব পাপের যা তুমি জান। তুমিই তো অদৃশ্য সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত।
মিশকাত ৯৫৫, আল কালিমুত তাইয়্যিব ১০৪/৬৫
তিনি আরো বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম যখন শয্যাগ্রহণ করে আর সে আল্লাহর কিতাবের কোন সূরা পাঠ করে তখন আল্লাহ তা’আলা তার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন। ফলে যে সময় সে জাগ্রত হোক না কেন কষ্টদায়ক কোন জিনিস তার কাছেও পৌছতে পারবে না।
মিশকাত ২৪০৫, তা’লীকুর রাগীব ১/২১০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটিকে এ সূত্রেই কেবল আমরা জানি। রাবী আবুল আলা (রহঃ) এর নাম হল ইয়াযীদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন শিখখীর।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي حَنْظَلَةَ قَالَ صَحِبْتُ شَدَّادَ بْنَ أَوْسٍ رضى الله عنه فِي سَفَرٍ فَقَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا أَنْ نَقُولَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الأَمْرِ وَأَسْأَلُكَ عَزِيمَةَ الرُّشْدِ وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ وَأَسْأَلُكَ لِسَانًا صَادِقًا وَقَلْبًا سَلِيمًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا تَعْلَمُ إِنَّكَ أَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ . قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَأْخُذُ مَضْجَعَهُ يَقْرَأُ سُورَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلاَّ وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ مَلَكًا فَلاَ يَقْرَبُهُ شَيْءٌ يُؤْذِيهِ حَتَّى يَهُبَّ مَتَى هَبَّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالْجُرَيْرِيُّ هُوَ سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ أَبُو مَسْعُودٍ الْجُرَيْرِيُّ وَأَبُو الْعَلاَءِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ .
A man from Banu Hanzalah said:
“I accompanied Shaddad bin Aws [may Allah be pleased with him] on a journey, so he said: ‘Should I not teach you what the Messenger of Allah used to teach us? That you say: “O Allah, I ask You for steadfastness in the affair and I ask You for determination upon guidance, and I ask You to make me grateful for Your favor, and excellence in worshiping You, and I ask You for a truthful tongue and a sound heart, and I seek refuge in You from the evil of what You know, and I ask You for the good of what You know, and I seek Your forgiveness for that which You know. Verily, You are the Knower of all that is hidden (Allāhumma innī as’alukath-thabāta fil-amri, wa as’aluka `azīmatar-rushdi, wa as’aluka shukra ni`matika, wa ḥusna `ibādatika, wa as’aluka lisānan ṣādiqan wa qalban salīman, wa a`ūdhu bika min sharri mā ta`lamu, wa as’aluka min khairi mā ta`lamu, wa astaghfiruka mimmā ta`lamu innaka anta `allāmul-ghuyūb).’” He said: ‘The Messenger of Allah (ﷺ) said: “There is no Muslim who lays down to sleep while reciting a Surat from Allah’s Book, except that Allah entrusts an angel, so that nothing approaches him to harm him until he awakens, whenever he awakens.”