পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২৪৯৫. আবদ ইবন হুমায়দ ও আব্বাস ইবন মুহাম্মদী দূরী (রহঃ) ..... সাহল ইবন মুআয ইবন আনাস তার পিতা মুআয ইবন আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্রোধ কার্যকরী করার ক্ষমতা থাকা সত্বেও যদি তার ক্রোধ সংবরণ করে তবে আল্লাহ তা’আলা সকল মানুষের সমক্ষে তাকে ডাকবেন এবং যে কোন হূরকে সে চায় তা গ্রহণের তাকে ইখতিয়ার দিবেন। হাসান, রওযুন নাযীর ৪৮১, ৮৫৪, তা’লিকুর রাগীব ৩/২৭৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৯৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو مَرْحُومٍ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يُنَفِّذَهُ دَعَاهُ اللَّهُ عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُخَيِّرَهُ فِي أَىِّ الْحُورِ شَاءَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، وعباس بن محمد الدوري، قالا حدثنا عبد الله بن يزيد المقرى، حدثنا سعيد بن ابي ايوب، حدثني ابو مرحوم عبد الرحيم بن ميمون، عن سهل بن معاذ بن انس، عن ابيه، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من كظم غيظا وهو يقدر على ان ينفذه دعاه الله على رءوس الخلاىق يوم القيامة حتى يخيره في اى الحور شاء ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Sahl bin Mu'ad bin Anas narrated from his father, that the Prophet (s.a.w) said:
"Whoever suppresses his rage, while he is able to exact it, Allah will call him before the heads of creation [on the Day of Judgement] so that he can chose whichever of the Hur he wishes."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪০/ কিয়ামত (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 40/ Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২৪৯৬. সালমা ইবন শাবীব (রহঃ) ....... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার মাঝে এই তিনটি গুন আছে আল্লাহ তা’আলা তার মাঝে স্বীয় রহমতের বাজু প্রসারিত করবেন এবং তাকে জান্নাতে দাখেল করবেন। গুনগুলো হলঃ দুর্বলদের সাথে নরম ব্যবহার, পিতা-মাতার উপর মায়া প্রদর্শন এবং দাসদের প্রতি সদ্ব্যহার। মাওযূ, যঈফা ৯২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৯৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-গারীব।

بَابٌ

حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْغِفَارِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ نَشَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ كَنَفَهُ وَأَدْخَلَهُ جَنَّتَهُ رِفْقٌ بِالضَّعِيفِ وَشَفَقَةٌ عَلَى الْوَالِدَيْنِ وَإِحْسَانٌ إِلَى الْمَمْلُوكِ ‏"‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْمُنْكَدِرِ هُوَ أَخُو مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ ‏.‏

حدثنا سلمة بن شبيب، حدثنا عبد الله بن ابراهيم الغفاري المدني، حدثني ابي، عن ابي بكر بن المنكدر، عن جابر بن عبد الله، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ثلاث من كن فيه نشر الله عليه كنفه وادخله جنته رفق بالضعيف وشفقة على الوالدين واحسان الى المملوك ‏"‏ قال هذا حديث حسن غريب ‏.‏ وابو بكر بن المنكدر هو اخو محمد بن المنكدر ‏.‏


Abu Bakr bin Al-Munkadir narrated from Jabir that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"There are three (characteristics) for which whomever has them,Allah will expose His side,and admit him to Paradise:Being courteous to the guest,kind to parents,and doing good for slaves."


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪০/ কিয়ামত (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 40/ Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২৪৯৭ হান্নাদ (রহঃ) ...... আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ

হে আমার বান্দাগণ, তোমরা তো সবাই পথ হারা যাকে আমি হেদায়েত করি সে ব্যতীত। তোমরা আমার কাছে হেদায়েত চাও তোমাদের আমি হেদায়েত করব। তোমরা তো সবাই অভাবী আমি যাকে ধনবান করেছি সে ছাড়া। তোমরা আমার কাছেই প্রার্থনা কর আমি তোমাদের রিযক দান করব। তোমরা তো সবাই গুনাহগার যাকে আমি রক্ষা করি, সে ছাড়া। সুতরাং তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি এই কথা জানে আমি ক্ষমার শক্তি রাখি এবং যে আমার কাছেই ক্ষমা চায়, আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।

আর আমি পরওয়া করি না। যদি তোমাদের প্রথম এবং শেষ জন, জীবীত ও মৃত, স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল সকলেই মিলে আমার বান্দাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী তাকওয়ার অধিকারী ব্যক্তির হৃদয়ের মত হয় যায় তা একটি মশার পাখনা পরিমাণও আমার রাজ্যে বৃদ্ধি ঘটাবে না। আর তোমাদের প্রথম ও শেষ ব্যক্তি, স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল, জীবীত ও মৃত সকলেই মিলে যদি আমার বান্দাদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট হৃদয়াধিকারী ব্যক্তির মত হয়ে যায় তবে তা একটি মশার পাখনা পরিমাণও আমার রাজ্যে হ্রাস ঘটাবে না।

তোমাদের প্রথম ও শেষ ব্যক্তি, স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল, জীবীত ও মৃত সকলেই মিলে যদি একই ময়দানে একত্রিত হয় আর প্রত্যেকেই যদি তার কামনা-বাসনার চুড়ান্ত মত আমার কাছে প্রার্থনা করে আর আমি প্রত্যেককেই তার প্রার্থনানুসারে দেই তবে তা আমার রাজ্যের কিছুই কমাতে পারবে না। কেবল ততটুকুই পারবে তোমাদের কেউ যদি সমুদ্র অতিক্রম করে আর তাতে একটি সুচ ঢুকায় এরপর তা উঠিয়ে নেয় তবে যতটুকু সমুদ্রের পানিতে হ্রাস ঘটবে। কারণ আমি তো দানশীল, অভাবমুক্ত ও মহান। যা ইচ্ছা তা করি। আমার দান হল আমার কথা, আমার আযাব হল নির্দেশ। আমার ব্যাপার তো হল যখন কিছুর ইরাদা করি তখন বলি ’’হও’’ আর তা হয়ে যায়।

এই বর্ণনাটি যঈফ, তবে হাদিসের অধিকাংশই সহিহ, মুসলিম, ইবনু মজাহ ৪২৫৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৯৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান। কোন কোন রাবী এ হাদীসটিকে শাহর ইবন হাওশাব ... মা’দীকারিব ... আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছন।

بَابٌ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ ضَالٌّ إِلاَّ مَنْ هَدَيْتُهُ فَسَلُونِي الْهُدَى أَهْدِكُمْ وَكُلُّكُمْ فَقِيرٌ إِلاَّ مَنْ أَغْنَيْتُ فَسَلُونِي أَرْزُقْكُمْ وَكُلُّكُمْ مُذْنِبٌ إِلاَّ مَنْ عَافَيْتُ فَمَنْ عَلِمَ مِنْكُمْ أَنِّي ذُو قُدْرَةٍ عَلَى الْمَغْفِرَةِ فَاسْتَغْفَرَنِي غَفَرْتُ لَهُ وَلاَ أُبَالِي وَلَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَحَيَّكُمْ وَمَيِّتَكُمْ وَرَطْبَكُمْ وَيَابِسَكُمُ اجْتَمَعُوا عَلَى أَتْقَى قَلْبِ عَبْدٍ مِنْ عِبَادِي مَا زَادَ ذَلِكَ فِي مُلْكِي جَنَاحَ بَعُوضَةٍ وَلَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَحَيَّكُمْ وَمَيِّتَكُمْ وَرَطْبَكُمْ وَيَابِسَكُمُ اجْتَمَعُوا عَلَى أَشْقَى قَلْبِ عَبْدٍ مِنْ عِبَادِي مَا نَقَصَ ذَلِكَ مِنْ مُلْكِي جَنَاحَ بَعُوضَةٍ وَلَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَحَيَّكُمْ وَمَيِّتَكُمْ وَرَطْبَكُمْ وَيَابِسَكُمُ اجْتَمَعُوا فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَسَأَلَ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْكُمْ مَا بَلَغَتْ أُمْنِيَّتُهُ فَأَعْطَيْتُ كُلَّ سَائِلٍ مِنْكُمْ مَا سَأَلَ مَا نَقَصَ ذَلِكَ مِنْ مُلْكِي إِلاَّ كَمَا لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ مَرَّ بِالْبَحْرِ فَغَمَسَ فِيهِ إِبْرَةً ثُمَّ رَفَعَهَا إِلَيْهِ ذَلِكَ بِأَنِّي جَوَادٌ مَاجِدٌ أَفْعَلُ مَا أُرِيدُ عَطَائِي كَلاَمٌ وَعَذَابِي كَلاَمٌ إِنَّمَا أَمْرِي لِشَيْءٍ إِذَا أَرَدْتُهُ أَنْ أَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ مَعْدِيكَرِبَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو الاحوص، عن ليث، عن شهر بن حوشب، عن عبد الرحمن بن غنم، عن ابي ذر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يقول الله تعالى يا عبادي كلكم ضال الا من هديته فسلوني الهدى اهدكم وكلكم فقير الا من اغنيت فسلوني ارزقكم وكلكم مذنب الا من عافيت فمن علم منكم اني ذو قدرة على المغفرة فاستغفرني غفرت له ولا ابالي ولو ان اولكم واخركم وحيكم وميتكم ورطبكم ويابسكم اجتمعوا على اتقى قلب عبد من عبادي ما زاد ذلك في ملكي جناح بعوضة ولو ان اولكم واخركم وحيكم وميتكم ورطبكم ويابسكم اجتمعوا على اشقى قلب عبد من عبادي ما نقص ذلك من ملكي جناح بعوضة ولو ان اولكم واخركم وحيكم وميتكم ورطبكم ويابسكم اجتمعوا في صعيد واحد فسال كل انسان منكم ما بلغت امنيته فاعطيت كل ساىل منكم ما سال ما نقص ذلك من ملكي الا كما لو ان احدكم مر بالبحر فغمس فيه ابرة ثم رفعها اليه ذلك باني جواد ماجد افعل ما اريد عطاىي كلام وعذابي كلام انما امري لشيء اذا اردته ان اقول له كن فيكون ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن ‏.‏ وروى بعضهم هذا الحديث عن شهر بن حوشب عن معديكرب عن ابي ذر عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏


Abu Dharr narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Allah,Most High said: 'O My Slaves! All of you are astray except whom I guide, so ask Me for guidance and I shall guide you. All of you are poor except whom I enrich, so ask Me and I shall provide you. All of you are sinners except whom I have pardoned, so whoever among you knows that I am the One able to forgive, and seeks My forgiveness, I shall forgive him, without concern for Me (and it will not affect Me). If the first of you and the last of you, the living among you and the dead among you, the fresh among you and the dry among you were to gather together to help the heart with the most Taqwa among My slaves, that would not add a mosquito's wing to My sovereignty. If the first of you and the last of you, the living among you and the dead among you, the fresh among you and the dry among you were to gather together to help the worst heart of My slaves, that would not diminish a mosquito's wing to My sovereignty. ll forgive him, without concern for Me (and it will not affect Me). If the first of you and the last of you, the living among you and the dead among you, the fresh among you and the dry among you were to gather together upon one plateau, and each person among them were to ask for his utmost desire, and I were to give each what he asked for, that would not diminish from My sovereignty, except as if one of you were to pass by an ocean and dip a needle into it and then remove it. That is because I am the Most Liberal without need, the Most Generous, doing as I will. I give by My speech and I punish by My speech, whenever I will something I only say: "Be" and it shall be.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪০/ কিয়ামত (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 40/ Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২৪৯৮. উবায়দ ইবন আসবাত ইবন মুহাম্মদ কুরাশী (রহঃ) ..... ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক-দুইবার বা পাঁচ-সাত বার নয় বরং এর চেয়েও বেশীবার আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, বানূ ইসরাঈলের কিফল নামে এক ব্যক্তি ছিল। সে কোনরূপ গুনাহের কাজকে ছাড়তো না। একবার এক মহিলা (অভাবে পড়ে) তার কাছে এলে সে ব্যভিচারের শর্তে তাকে ষাট দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) দেয়। সে যখন ঐ মহিলার সঙ্গে বদকাজ করতে উদ্যত হল তখন মহিলাটি (আল্লাহর ভয়ে) প্রকম্পিত হয়ে কেঁদে ফেলল। লোকটি বললঃ কাঁদছ কেন? তোমাকে কি আমি যবরদস্তি করছি?

মহিলাটি বললঃ না, তবে এ গুনাহর কাজ আমি কখনো করিনি। আচ কেবল অভাবের তাড়নায় এতে বাধ্য হচ্ছি। লোকটি বললঃ অভাবের তাড়নায় পড়েই তুমি এসেছ অথচ তা কখনো করনি? যাও, তোমাকে ছেড়ে দিলাম। দীনারগুলোও তোমারই। সে আরো বললঃ আল্লাহর কসমঃ এরপর আর আমি কখনও আল্লাহর নাফরমানী করব না। পরে এ রাতে বিফল মারা যায়। সকালে তার ঘরের দরজায় লেখা ছিল, ’’আল্লাহ তা’আলা বিফলকে মাফ করে দিয়েছেন।’’ যঈফ, যঈফা ৪০৮৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৯৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান। শায়বান (রহঃ) প্রমুখ এটিকে আ’মাশ (রহঃ)-এর বরাতে মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন। কোন কোন রাবী আ’মাশ (রহঃ) থেকে তা বর্ণনা করেছেন। তবে তারা এটিকে মারফু করেননি। আবূ বকর ইবন আয়্যাশও এটিকে আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তাতে ভুল করে ফেলেছেন। তিনি তার সনদে বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন আবদিল্লাহ-সাঈদ ইবন যুবায়র-ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু। এটি মাহফুজ বা সংরক্ষিত নয়।

আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ রাযী হলেন কুফী। তাঁর পিতামহী ছিলেন আলী ইবন আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর দাসী। আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ রাযী (রহঃ) এর বরাতে উবায়দা যাব্বী, হাজ্জাজ ইবন আরতাত প্রমুখ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।

بَابٌ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ، عَنْ سَعْدٍ، مَوْلَى طَلْحَةَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُحَدِّثُ حَدِيثًا لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مَرَّاتٍ وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ كَانَ الْكِفْلُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ لاَ يَتَوَرَّعُ مِنْ ذَنْبٍ عَمِلَهُ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَأَعْطَاهَا سِتِّينَ دِينَارًا عَلَى أَنْ يَطَأَهَا فَلَمَّا قَعَدَ مِنْهَا مَقْعَدَ الرَّجُلِ مِنِ امْرَأَتِهِ أُرْعِدَتْ وَبَكَتْ فَقَالَ مَا يُبْكِيكِ أَأَكْرَهْتُكِ قَالَتْ لاَ وَلَكِنَّهُ عَمَلٌ مَا عَمِلْتُهُ قَطُّ وَمَا حَمَلَنِي عَلَيْهِ إِلاَّ الْحَاجَةُ فَقَالَ تَفْعَلِينَ أَنْتِ هَذَا وَمَا فَعَلْتِهِ اذْهَبِي فَهِيَ لَكِ ‏.‏ وَقَالَ لاَ وَاللَّهِ لاَ أَعْصِي اللَّهَ بَعْدَهَا أَبَدًا ‏.‏ فَمَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ فَأَصْبَحَ مَكْتُوبًا عَلَى بَابِهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لِلْكِفْلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ قَدْ رَوَاهُ شَيْبَانُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ نَحْوَ هَذَا وَرَفَعُوهُ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ فَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ فَأَخْطَأَ فِيهِ وَقَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَهُوَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيُّ هُوَ كُوفِيٌّ وَكَانَتْ جَدَّتُهُ سُرِّيَّةً لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَرَوَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ عُبَيْدَةُ الضَّبِّيُّ وَالْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

حدثنا عبيد بن اسباط بن محمد القرشي، حدثنا ابي، حدثنا الاعمش، عن عبد الله بن عبد الله الرازي، عن سعد، مولى طلحة عن ابن عمر، قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يحدث حديثا لو لم اسمعه الا مرة او مرتين حتى عد سبع مرات ولكني سمعته اكثر من ذلك سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ كان الكفل من بني اسراىيل لا يتورع من ذنب عمله فاتته امراة فاعطاها ستين دينارا على ان يطاها فلما قعد منها مقعد الرجل من امراته ارعدت وبكت فقال ما يبكيك ااكرهتك قالت لا ولكنه عمل ما عملته قط وما حملني عليه الا الحاجة فقال تفعلين انت هذا وما فعلته اذهبي فهي لك ‏.‏ وقال لا والله لا اعصي الله بعدها ابدا ‏.‏ فمات من ليلته فاصبح مكتوبا على بابه ان الله قد غفر للكفل ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ قد رواه شيبان وغير واحد عن الاعمش نحو هذا ورفعوه وروى بعضهم عن الاعمش فلم يرفعه ‏.‏ وروى ابو بكر بن عياش هذا الحديث عن الاعمش فاخطا فيه وقال عن عبد الله بن عبد الله عن سعيد بن جبير عن ابن عمر وهو غير محفوظ وعبد الله بن عبد الله الرازي هو كوفي وكانت جدته سرية لعلي بن ابي طالب وروى عن عبد الله بن عبد الله الرازي عبيدة الضبي والحجاج بن ارطاة وغير واحد من كبار اهل العلم ‏.‏


Ibn 'Umar said:
"I heard the Prophet (s.a.w) narrating a hadith, not just once or twice, even seven times, but I heard him saying it more than that. I heard him saying: 'There was a man called Al-Kifl among the children of Isra'il who did not restrain himself from committing sins. A woman came to him and he gave her sixty Dinar so he could sleep with her. When he sat up from her, as a man sits up from a woman, she began to tremble and cry, so he said: "Why are you crying, did I do something to harm you?" She said: "No. But it is because of what I did, I only did so out of need." He said: "You did this without having done (it before), so leave me, and it (the money) is for you." And then he said: "By Allah! I will never disobey Allah after that." He died during the night and morning came with: " Indeed Allah has forgiven Al-Kifl" written upon his door."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪০/ কিয়ামত (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 40/ Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে