পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধ প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) এর বিশেষ উপদেশ।

১৫৮৫। ইয়াহইয়া ইবনু আকছাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ নারীরাও সম্প্রদায়ের পক্ষে (অঙ্গীকার) গ্রহণ করতে পারে অর্থাৎ মুসলিমদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় প্রদান করতে পারে। এই বিষয়ে উম্মু হানী রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। হাসান, মিশকাত, তাহকীক ছানী ৩৯৭৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গরীব।

আবূল ওয়ালীদ দিমাশকী (রহঃ) ... উম্মু হানী রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার শ্বশুর পক্ষীয় দুই ব্যক্তিকে আমি নিরাপত্তা প্রদান করেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যাকে তুমি নিরাপত্তা প্রদান করেছ আমরাও তাকে নিরাপত্তা দান করলাম। সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ ২৪৬৮, সহীহাহ ২০৪৯, নাসাঈ সংক্ষিপ্তভাবে।

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলিমগণ এতদনুসারে আমল করেছেন। তাঁরা মহিলা কর্তৃক প্রদত্ত নিরাপত্তা দান গ্রহণীয় বলে মত প্রকাশ করেছেন। এ হলো আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। তাঁরা উভয়ই মহিলা ও গোলাম কর্তৃক প্রদত্ত নিরাপত্তা গ্রহণ করেছেন।

আকিল ইবনু আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মাওলা বা আযাদকৃত গোলাম হলেন আবূ মুররা। তিনি উম্মু হানী রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর আযাদকৃত দাস বলেও কথিত আছে। তাঁর নাম হল ইয়াযীদ। উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি দাস কর্তৃক নিরাপত্তা দান জাইয বলে গ্রহণ করেছেন। আলী ইবনু আবূ তালিব ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, মুসলিমদের যিম্মা-দায়িত্ব এক বরাবর। এ বিষয়ে সাধারণতম লোকটিও প্রয়াস চালাবে। আলিমগণের নিকট হাদীসটির তাৎপর্য হলো মুসলিমদের পক্ষ থেকে এক ব্যক্তিও যদি নিরাপত্তা প্রদান করে তবে সকলের পক্ষ থেকেই তা গণ্য হবে।

باب مَا جَاءَ فِي وَصِيَّتِهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقِتَالِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ الْمَرْأَةَ لَتَأْخُذُ لِلْقَوْمِ ‏"‏ ‏.‏ يَعْنِي تُجِيرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا فَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَكَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ قَدْ سَمِعَ مِنَ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ وَالْوَلِيدُ بْنُ رَبَاحٍ سَمِعَ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَهُوَ مُقَارِبُ الْحَدِيثِ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ، أَنَّهَا قَالَتْ أَجَرْتُ رَجُلَيْنِ مِنْ أَحْمَائِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قَدْ أَمَّنَّا مَنْ أَمَّنْتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَجَازُوا أَمَانَ الْمَرْأَةِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ أَجَازَا أَمَانَ الْمَرْأَةِ وَالْعَبْدِ ‏.‏ وَأَبُو مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ وَاسْمُهُ يَزِيدُ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ أَجَازَ أَمَانَ الْعَبْدِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ ذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَمَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ مَنْ أَعْطَى الأَمَانَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَهُوَ جِائِزٌ عَلَى كُلِّهِمْ ‏.‏

حدثنا يحيى بن اكثم، حدثنا عبد العزيز بن ابي حازم، عن كثير بن زيد، عن الوليد بن رباح، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ان المراة لتاخذ للقوم ‏"‏ ‏.‏ يعني تجير على المسلمين ‏.‏ وفي الباب عن ام هانى ‏.‏ وهذا حديث حسن غريب وسالت محمدا فقال هذا حديث صحيح ‏.‏ وكثير بن زيد قد سمع من الوليد بن رباح والوليد بن رباح سمع من ابي هريرة وهو مقارب الحديث ‏.‏ حدثنا ابو الوليد الدمشقي، حدثنا الوليد بن مسلم، اخبرني ابن ابي ذىب، عن سعيد المقبري، عن ابي مرة، مولى عقيل بن ابي طالب عن ام هانى، انها قالت اجرت رجلين من احماىي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قد امنا من امنت ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم اجازوا امان المراة وهو قول احمد واسحاق اجازا امان المراة والعبد ‏.‏ وابو مرة مولى عقيل بن ابي طالب ويقال له ايضا مولى ام هانى واسمه يزيد ‏.‏ وقد روي عن عمر بن الخطاب انه اجاز امان العبد ‏.‏ وقد روي عن علي بن ابي طالب وعبد الله بن عمرو عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ ذمة المسلمين واحدة يسعى بها ادناهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى ومعنى هذا عند اهل العلم ان من اعطى الامان من المسلمين فهو جاىز على كلهم ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:

That the Prophet (ﷺ) said: "Indeed a woman grants (assurances of protection) to a people" - meaning it is to be honored - "from the Muslims."

There is something on this topic from Umm Hani, and this Hadith is Hasan Gharib.

I asked Muhammad and he said: "This Hadith is Sahih. Kathir bin Ziad heard from Al-Walid bin Rabah, and Al-Walid bin Rabah heard from Abu Hurairah, and he is Muqarib (average) in Hadith.

Another chain from Umm Hani' who said:
"I granted asylum for two men among my brother-in-laws. So the Messeneger of Allah (ﷺ) said: 'We grant security to whomever you have granted security.'"

[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih.

This is acted upon according to the people of knowledge. They permit assurance of protection by a women. This is the view of Ahmad and Ishaq. They permitted the asylum of a woman and slave

It has been related from other routes from 'Umar bin Al-Khattab that he permitted the asylum granted by a slave.

One of the narrators of this last narration Abu Murrah is the freed slave of 'Aqil bin Abi Talib - they also say that he was freed slave of Umm Hani' - and his name was Yazid.

It has been related from 'Ali bin Abi Talib and 'Abdullah bin 'Amr that the Prophet (ﷺ) said: "The covenants of the Muslims are one, it covers the rest of them."

[Abu 'Eisa said:] According to the people of knowledge, the meaning of this Hadith is that whoever gives assurance of protection among the Muslims, then it is valis to all of them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৪/ অভিযান (كتاب السير عن رسول الله صلى الله عليه وسلم) 24/ The Book on Military Expeditions

পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধ প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) এর বিশেষ উপদেশ।

১৬২৩। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বুরায়দা তৎ পিতা বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে কোন বাহিনীর আমির বানিয়ে পাঠানোর সময় তাকে বিশেষ করে নিজের ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বনের এবং সঙ্গী মুসলিমদের কল্যাণ কামনার উপদেশ দিতেন। বলতেন, বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহর পথে লড়াই করবে। যারা আল্লাহকে অস্বীকার করেছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাও। গনীমতের মাল আত্মসাত করবে না। বিশ্বাস ঘাতকতা করবে না। নিহত শত্রুর অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেটে বিকৃত করবে না। শিশু হত্যা করবে না। মুশরকি শত্রুদের সম্মুখীন যখন হবে তাদেরকে তিনটি বিষয়ে একটি গ্রহণের আহবান জানাবে। যে কোনটির প্রতি তারা সাড়া দিবে তোমরা তা গ্রহণ করবে এবং তাদের বিষয়ে বিরত থাকবে।

প্রথমে তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান জানাবে এবং তাদের দেশ থেকে মুহাজিরীনের অঞ্চল (দারুল ইসলাম) হিজরত করতে বলবে। তাদের অবহিত করবে যদি তারা তা করে তবে মুহাজিরগণ যে অধিকার ভোগ করে তারাও তা ভোগ করবে; মুহাজিরগণের উপর যে দায়িত্ব বর্তায় তাদের উপরও সে দায়িত্ব বর্তাবে। যদি তারা স্থান পরিবর্তনে অস্বীকৃতি জানায় তবে তাদের অবহিত করবে যে, তারা মরু অঞ্চলে (গ্রামাঞ্চলে) বসবাসরত সাধারণ মুসলিমদের মত গণ্য হবে। মরুবাসীদের উপর যা প্রযোজ্য হয় তাদের উপরও তা প্রযোজ্য হবে। জিহাদে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ব্যতীরেখে গনীমত ও ফাই সম্পদে তাদের কোন অধিকার থাকবে না।

এই বিষয় গ্রহণ করতেও যদি তারা অস্বীকার করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে এবং এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। কোন কেল্লা অবরোধ করলে যদি তারা (কেল্লাবাসী) চায় যে তুমি তাদের আল্লাহর যিম্মা ও তাঁর নবীর যিম্মা দিলে তারা আত্মসমর্পণ করবে তবে তাদেরকে আল্লাহর যিম্মায় ও তাদের রাসূলের যিম্মায় প্রদান করবে না। বরং তাদেরকে তোমার ও তোমার সঙ্গীদের যিম্মায় আত্মসমর্পণ করতে বলবে। কেননা আল্লাহর যিম্মা ও রাসূলের যিম্মায় ত্রুটি অপেক্ষা তোমাদের নিজেদের যিম্মায় ও তোমাদের সঙ্গীদের যিম্মায় অঙ্গীকারে ত্রুটি ঘটা অধিকতর ভাল। যদি কোন কেল্লা অবরোধ কালে কেল্লাবাসীরা আল্লাহর হুকুমের উপর আত্মসমর্পণ করতে চায় তবে তোমরা তা স্বীকার করবে না বরং তোমরা হুকুমে আত্মসমর্পণ করতে বলবে। কেননা তুমি জাননা তাদের বিষয়ে আল্লাহর হুকুম-এ ঠিক পৌছাতে পারবে কিনা। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৮৫৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে নু’মান ইবনু মুকাররিন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।

মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) আলকামা ইবনু মারছাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এতে আরো আছে যে, তারা যদি (ইসলাম) তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তবে তাদের থেকে জিযইয়া নিবে। তা যদি অস্বীকার করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে। সহীহ।

ওয়াকী’ প্রমুখ (রহঃ) সুফইয়ান (রহঃ) থেকে তদ্রুপ রিওয়ায়াত করেছেন। মুহাম্মদ বাশশার ছাড়া অন্যরাও আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রহঃ) থেকে এটি বর্ণনা করেছেন এবং তাতে জিযইয়া-এর কথা উল্লেখ রয়েছে।

باب مَا جَاءَ فِي وَصِيَّتِهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقِتَالِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ أَمِيرًا عَلَى جَيْشٍ أَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا وَقَالَ ‏ "‏ اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا فَإِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلاَثِ خِصَالٍ أَوْ خِلاَلٍ أَيَّتَهَا أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمُ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ وَالتَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَخْبِرْهُمْ إِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَإِنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ وَإِنْ أَبَوْا أَنْ يَتَحَوَّلُوا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُوا كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يَجْرِي عَلَيْهِمْ مَا يَجْرِي عَلَى الأَعْرَابِ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْغَنِيمَةِ وَالْفَىْءِ شَيْءٌ إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدُوا فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ عَلَيْهِمْ وَقَاتِلْهُمْ وَإِذَا حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّهِ فَلاَ تَجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَلاَ ذِمَّةَ نَبِيِّهِ وَاجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ وَذِمَمَ أَصْحَابِكَ لأَنَّكُمْ إِنْ تُخْفِرُوا ذِمَّتَكُمْ وَذِمَمَ أَصْحَابِكُمْ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ رَسُولِهِ وَإِذَا حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَأَرَادُوكَ أَنْ تُنْزِلَهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ فَلاَ تُنْزِلُوهُمْ وَلَكِنْ أَنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي أَتُصِيبُ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ أَمْ لاَ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ نَحْوَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ ‏.‏ وَحَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَزَادَ فِيهِ ‏ "‏ فَإِنْ أَبَوْا فَخُذْ مِنْهُمُ الْجِزْيَةَ فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ عَلَيْهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَاهُ وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُفْيَانَ، ‏.‏ وَرَوَى غَيْرُ، مُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، وَذَكَرَ، فِيهِ أَمْرَ الْجِزْيَةِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، عن سفيان، عن علقمة بن مرثد، عن سليمان بن بريدة، عن ابيه، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا بعث اميرا على جيش اوصاه في خاصة نفسه بتقوى الله ومن معه من المسلمين خيرا وقال ‏ "‏ اغزوا بسم الله وفي سبيل الله قاتلوا من كفر بالله ولا تغلوا ولا تغدروا ولا تمثلوا ولا تقتلوا وليدا فاذا لقيت عدوك من المشركين فادعهم الى احدى ثلاث خصال او خلال ايتها اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ادعهم الى الاسلام والتحول من دارهم الى دار المهاجرين واخبرهم ان فعلوا ذلك فان لهم ما للمهاجرين وعليهم ما على المهاجرين وان ابوا ان يتحولوا فاخبرهم انهم يكونوا كاعراب المسلمين يجري عليهم ما يجري على الاعراب ليس لهم في الغنيمة والفىء شيء الا ان يجاهدوا فان ابوا فاستعن بالله عليهم وقاتلهم واذا حاصرت حصنا فارادوك ان تجعل لهم ذمة الله وذمة نبيه فلا تجعل لهم ذمة الله ولا ذمة نبيه واجعل لهم ذمتك وذمم اصحابك لانكم ان تخفروا ذمتكم وذمم اصحابكم خير من ان تخفروا ذمة الله وذمة رسوله واذا حاصرت اهل حصن فارادوك ان تنزلهم على حكم الله فلا تنزلوهم ولكن انزلهم على حكمك فانك لا تدري اتصيب حكم الله فيهم ام لا ‏"‏ ‏.‏ او نحو هذا ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن النعمان بن مقرن ‏.‏ وحديث بريدة حديث حسن صحيح ‏.‏ حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابو احمد، عن سفيان، عن علقمة بن مرثد، نحوه بمعناه وزاد فيه ‏ "‏ فان ابوا فخذ منهم الجزية فان ابوا فاستعن بالله عليهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هكذا رواه وكيع وغير واحد عن سفيان، ‏.‏ وروى غير، محمد بن بشار عن عبد الرحمن بن مهدي، وذكر، فيه امر الجزية ‏.‏


Narrated Sulaiman bin Buraidah:

From his father who said: "When the Messenger of Allah (sawS) sent a commander of an army, he would exhort him concerning himself to have Taqwa of Allah, and he would exhort him to be good to those who are with him among the Muslims. He would say: 'Fight in the Name of Allah, in the cause of Allah. Fight those who disbelieve in Allah, and do not steal from the spoils of war or be treacherous, nor mutilate, and do not kill a child. When you meet your enemy among the idolaters, then call them to one of the three options or choices, whichever of them they respond to then accept it from them, and refrain from them. Call them to Islam, and to relocate from their land to the land of Emigrants. Inform them that if they do that, then they will have similar to what those who emigrated have, and from them will be required similar to what is required from those who have emigrated. And if they refuse to relocate, then inform them that they will be like the Bedouins among the Muslim, and they will be treated the same as Bedouins are treated. There is no war spoils or Fay' for them, unless they fight along with the Muslims. If they refuse then seek aid from Allah against them and fight them. And if you lay siege to a fortress and they want you to grant them covenant from Allah and a covenant of His Prophet, then do not grant them the covenant of Allah nor the covenant of His Prophet. Rather grant them your own covenant and the covenant of your companions, it will be better than breaking Allah's covenant and the covenant of His Messenger. And if you lay siege to the people of a fortress and they want you to lift the siege for negotiating upon the judgement of Allah, then do not stop, but rather make them surrender to your judgement, for you do not know if you will come upon the judgement of Allah regarding them or not.' Or similar to that."

[Abu 'Eisa said:] There is something on this topic from An-Nu'man bin Muqarrin, and the Hadith of Buraidah is a Hasan Sahih Hadith .

Muhammad bin Bash-shar narrated to us (he said):
"Abu Ahmad narrated to us from Sufyan (who said): "Alqamah bin Marthad narrated to us' - and it is similar in its meaning, but he added in it: "if they refuse, then take the Jizyah from them, and it they refuse then seek aid from Allah against them."

[Abu 'Eisa said:] This is how it was reported from Waki' and others from Sufyan. And other than Muhammad bin Bash-shar reported it from 'Abdur-Rahman bin Mahdi, and he mentioned the matter of the Jizyah in it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৪/ অভিযান (كتاب السير عن رسول الله صلى الله عليه وسلم) 24/ The Book on Military Expeditions

পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধ প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) এর বিশেষ উপদেশ।

১৬২৪। হাসান ইবনু আলী খাল্লাল (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সময় ছাড়া অতর্কিত হামলা চালাতেন না। আযানের আওয়ায শুনলে বিরত হয়ে যেতেন। তা না হলে হামলা করতেন। একদিন তিনি (এমতাবস্থায় আযানের শব্দ) শোনার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন আল্লাহ আকবর আল্লাহ আকবর। তিনি বললেন দ্বীনে ফিতরাতের উপর এ প্রতিষ্ঠত। লোকটি বলল, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, তিনি বললেন, জাহান্নাম থেকে তুমি নাজাত পেয়ে গেলে। সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ ২৩৬৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাসান (রহঃ) বলেন, ওয়ালীদ-হাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) সূত্র উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي وَصِيَّتِهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقِتَالِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يُغِيرُ إِلاَّ عِنْدَ صَلاَةِ الْفَجْرِ فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلاَّ أَغَارَ فَاسْتَمَعَ ذَاتَ يَوْمٍ فَسَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ عَلَى الْفِطْرَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ خَرَجْتَ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏
قَالَ الْحَسَنُ وَحَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الخلال، حدثنا عفان، حدثنا حماد بن سلمة، حدثنا ثابت، عن انس بن مالك، قال كان النبي صلى الله عليه وسلم لا يغير الا عند صلاة الفجر فان سمع اذانا امسك والا اغار فاستمع ذات يوم فسمع رجلا يقول الله اكبر الله اكبر ‏.‏ فقال ‏"‏ على الفطرة ‏"‏ ‏.‏ فقال اشهد ان لا اله الا الله ‏.‏ فقال ‏"‏ خرجت من النار ‏"‏ ‏.‏ قال الحسن وحدثنا ابو الوليد، حدثنا حماد بن سلمة، بهذا الاسناد مثله ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
That the Prophet (ﷺ) would not attack except near the time of Fajr, so if he heard the Adhan he would refrain, and if not, then he would attack. So he listened one day and heard a man saying: "Allahu Akbar, Allahu Akbar," so he said: "Upon the Fitrah." Then he said: "I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah." So he said: "You have departed from the Fire."

Another chain with similar narrations.

[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৪/ অভিযান (كتاب السير عن رسول الله صلى الله عليه وسلم) 24/ The Book on Military Expeditions
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে