পরিচ্ছেদঃ ৩১৫৮. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরী কর তাও (৩৭ঃ ৯৬)। আমি প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে (৫৪ঃ ৪৯)। ছবি নির্মাতাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে জীবন দাও। তোমাদের প্রতিপালক যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হন। তিনিই দিনতে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যেন এদের একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে। আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি যা তাঁর আজ্ঞাধীন, তা তিনিই সৃষ্টি করেছেন। জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। মহিমাময় জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ (৭ঃ ৫৪) ইবন উয়ায়না (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ খালক্কে আমর থেকে পৃথক করে বর্ণনা করেছেন। কেননা তার বাণী হলোঃ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। নবী (সাঃ) ঈমানকেও আমল বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ যার (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন আমলীট সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, তাঁরা রাস্তায় জিহাদ করা। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ এটা তাদের কাজেরই প্রতিদান। আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আমাদের কিছু সংক্ষিপ্ত বিষয়ের নির্দেশ দিন, যেগুলো মেনে চললে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি তাদের আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, রাসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান, নামায কায়েম করা এবং যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। এসবকেই তিনি আমলরূপে উল্লেখ করেছেন
৭০৪৫। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহহাব (রহঃ) ... যাহদাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জারমের এ গোত্রটির সাথে আশআরী গোত্রের গভীর ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্ব ছিল। এক সময় আমরা আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তার কাছে খাবার আনা হল। এতে মুরগীর মাংসও ছিল। এ সময় তার নিকট বনী তায়মুলাহর এক ব্যাক্তি ছিল। সে (দেখতে) যেন আযাদকৃত গোলাম (অনারব)। তাকেও আবূ মূসা (রাঃ) খেতে ডাকলেন। সে বলল, আমি এ মুরগীকে এমন কিছু জিনিস খেতে দেখেছি, যার ফলে এটি খেতে আমি ঘৃণা করি। এই জন্য কসম করেছি, আমি, তা আর খাব না।
আবূ মূসা (রাঃ) বললেনঃ তুমি এদিকে এসো, এ সম্পর্কে আমি তোমাকে একটি হাদীস শোনাব। আমি এক সময় আশআরী গোত্রের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বাহন চাওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের বাহন দেব না। আর তোমাদের দেওয়ার মত আমার কাছে বাহন নেই। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গনীমতের কিছু উট আনা হলে তিনি আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন এবং বললেনঃ আশ’আরীদের দলটি কোথায়? তারপর তিনি পাঁচটি মোটা তাজা ও উত্তম উট আমাদের দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন।
আমরা এগুলো নিয়ে ফিরার পথে বলতে লাগলাম, আমরা যে কি করলাম! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কসম করে বললেন, আমাদের বাহন দেবেন না এবং তাঁর কাছে দেওয়ার মত বাহন নেই। তারপরও তো তিনি আমাদের বাহন দিয়ে দিলেন। হয়ত আমরা তাকে তাঁর কসম সম্পর্কে অজ্ঞাত অবস্থায় পেয়েছিলাম। আল্লাহর কসম! আমরা কখনো সফলকাম হবো না। তাই আমরা তাঁর কাছে আবার গেলাম এবং তা তাকে বললাম। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের বাধা দেইনি, বরং দিয়েছেন আল্লাহ। আল্লাহর কসম! আমি কোন বিষয়ে কসম করি যদি তার বিপরীতে মঙ্গল দেখতে পাই, তবে তা করে নেই এবং (কাফফারা দিয়ে) কসম থেকে বের হয়ে আসি।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ} {إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ}. وَيُقَالُ لِلْمُصَوِّرِينَ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ. {إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ}. قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ بَيَّنَ اللَّهُ الْخَلْقَ مِنَ الأَمْرِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ}. وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الإِيمَانَ عَمَلاً. قَالَ أَبُو ذَرٍّ وَأَبُو هُرَيْرَةَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ: «إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِهِ. وَقَالَ: {جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ}». وَقَالَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الأَمْرِ إِنْ عَمِلْنَا بِهَا دَخَلْنَا الْجَنَّةَ. فَأَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ وَالشَّهَادَةِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ كُلَّهُ عَمَلاً
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، وَالْقَاسِمِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ زَهْدَمٍ، قَالَ كَانَ بَيْنَ هَذَا الْحَىِّ مِنْ جُرْمٍ وَبَيْنَ الأَشْعَرِيِّينَ وُدٌّ وَإِخَاءٌ، فَكُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ الطَّعَامُ فِيهِ لَحْمُ دَجَاجٍ، وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ كَأَنَّهُ مِنَ الْمَوَالِي، فَدَعَاهُ إِلَيْهِ فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ، فَحَلَفْتُ لاَ آكُلُهُ. فَقَالَ هَلُمَّ فَلأُحَدِّثْكَ عَنْ ذَاكَ، إِنِّي أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلُهُ قَالَ " وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ ". فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِنَهْبِ إِبِلٍ فَسَأَلَ عَنَّا فَقَالَ " أَيْنَ النَّفَرُ الأَشْعَرِيُّونَ ". فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى، ثُمَّ انْطَلَقْنَا قُلْنَا مَا صَنَعْنَا حَلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَحْمِلُنَا، وَمَا عِنْدَهُ مَا يَحْمِلُنَا، ثُمَّ حَمَلَنَا، تَغَفَّلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمِينَهُ، وَاللَّهِ لاَ نُفْلِحُ أَبَدًا، فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا لَهُ فَقَالَ " لَسْتُ أَنَا أَحْمِلُكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ، إِنِّي وَاللَّهِ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، إِلاَّ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ، وَتَحَلَّلْتُهَا ".
Narrated Zahdam:
There were good relations and brotherhood between this tribe of Jurm and the Ash`ariyyin. Once, while we were sitting with Abu Musa Al-Ash`ari, there was brought to him a meal which contained chicken meat, and there was sitting beside him, a man from the tribe of Bani Taimul-lah who looked like one of the Mawali. Abu Musa invited the man to eat but the man said, "I have seen chicken eating some dirty things, and I have taken an oath not to eat chicken." Abu Musa said to him, "Come along, let me tell you something in this regard. Once I went to the Prophet (ﷺ) with a few men from Ash`ariyyin and we asked him for mounts. The Prophet (ﷺ) said, By Allah, I will not mount you on anything; besides I do not have anything to mount you on.' Then a few camels from the war booty were brought to the Prophet, and he asked about us, saying, 'Where are the group of Ash`ariyyin?' So he ordered for five fat camels to be given to us and then we set out. We said, 'What have we done? Allah's Messenger (ﷺ) took an oath that he would not give us anything to ride and that he had nothing for us to ride, yet he provided us with mounts. We made Allah's Messenger (ﷺ) forget his oath! By Allah, we will never be successful.' So we returned to him and reminded him of his oath. He said, 'I have not provided you with the mount, but Allah has done so. By Allah, I may take an oath to do something, but on finding something else which is better, I do that which is better and make the expiation for my oath.' "
পরিচ্ছেদঃ ৩১৫৮. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরী কর তাও (৩৭ঃ ৯৬)। আমি প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে (৫৪ঃ ৪৯)। ছবি নির্মাতাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে জীবন দাও। তোমাদের প্রতিপালক যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হন। তিনিই দিনতে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যেন এদের একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে। আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি যা তাঁর আজ্ঞাধীন, তা তিনিই সৃষ্টি করেছেন। জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। মহিমাময় জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ (৭ঃ ৫৪) ইবন উয়ায়না (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ খালক্কে আমর থেকে পৃথক করে বর্ণনা করেছেন। কেননা তার বাণী হলোঃ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। নবী (সাঃ) ঈমানকেও আমল বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ যার (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন আমলীট সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, তাঁরা রাস্তায় জিহাদ করা। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ এটা তাদের কাজেরই প্রতিদান। আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আমাদের কিছু সংক্ষিপ্ত বিষয়ের নির্দেশ দিন, যেগুলো মেনে চললে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি তাদের আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, রাসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান, নামায কায়েম করা এবং যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। এসবকেই তিনি আমলরূপে উল্লেখ করেছেন
৭০৪৬। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আবূ জামরা দুবায়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বললাম। তিনি বললেন, আবদুল কায়সের প্রতিনিধিদল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, আমাদের এবং আপনাদের মাঝখানে মুযার গোত্রের মুশরিকদের বসবাস। যদ্দরুন আমরা সম্মানিত মাস (আশহুরে হুরম) ছাড়া আর কোন সময় আপনার কাছে আসতে পারি না। সুতরাং আমাদের সংক্ষিপ্ত কিছু বিষয়ের নির্দেশ দিন, যা মেনে চললে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করব এবং আমরা যাদের রেখে এসেছি তাদেরও আহবান জানাতে পারব।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাদের চারটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। আর চারটি বিষয় থেকে নিষেধ করছি। আমি তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার। আর তোমরা জানো কি, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কাকে বলে? তা হল, সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করা, যাকাত দেয়া, গনীমতের মালের এক পঞ্চমাংশ দেওয়া। তোমাদের চারটি বিষয় থেকে নিষেধ করছি, (তা হলো) লাউয়ের খোল দ্বারা তৈরি পাত্রে, খেজুর গাছের মূল খোদাই করে তৈরি পাত্রে, আলকাতরা জাতীয় (রাসায়নিক) দ্রব্য দিয়ে প্রলেপ দেওয়া পাত্রে, মাটির সবুজ ঘটিতে তোমরা পান করবে না।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ} {إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ}. وَيُقَالُ لِلْمُصَوِّرِينَ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ. {إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ}. قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ بَيَّنَ اللَّهُ الْخَلْقَ مِنَ الأَمْرِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ}. وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الإِيمَانَ عَمَلاً. قَالَ أَبُو ذَرٍّ وَأَبُو هُرَيْرَةَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ: «إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِهِ. وَقَالَ: {جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ}». وَقَالَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الأَمْرِ إِنْ عَمِلْنَا بِهَا دَخَلْنَا الْجَنَّةَ. فَأَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ وَالشَّهَادَةِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ كُلَّهُ عَمَلاً
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ، قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ الْمُشْرِكِينَ مِنْ مُضَرَ، وَإِنَّا لاَ نَصِلُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي أَشْهُرٍ حُرُمٍ، فَمُرْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الأَمْرِ، إِنْ عَمِلْنَا بِهِ دَخَلْنَا الْجَنَّةَ، وَنَدْعُو إِلَيْهَا مَنْ وَرَاءَنَا. قَالَ " آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ، آمُرُكُمْ بِالإِيمَانِ بِاللَّهِ، وَهَلْ تَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ بِاللَّهِ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَإِقَامُ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَتُعْطُوا مِنَ الْمَغْنَمِ الْخُمُسَ، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ لاَ تَشْرَبُوا فِي الدُّبَّاءِ، وَالنَّقِيرِ، وَالظُّرُوفِ الْمُزَفَّتَةِ، وَالْحَنْتَمَةِ ".
Narrated Ibn `Abbas:
The delegates of `Abdul Qais came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "The pagans of the tribe of Mudar intervene between you and us therefore we cannot come to you except in the Holy months. So please order us to do something good (Religious deeds) by which we may enter Paradise (by acting on them) and we may inform our people whom we have left behind to observe it." The Prophet (ﷺ) said, "I order you to do four things and forbid you from four things: I order you to believe in Allah. Do you know what is meant by belief in Allah? It is to testify that none has the right to be worshipped except Allah, to offer prayers perfectly, to give Zakat, and to give Al-Khumus (one-fifth of the war booty) (in Allah's Cause). And I forbid you four things, (i.e., Do not drink alcoholic drinks) Ad-Dubba, An- Naqir, (pitched water skins), Az-Zuruf, Al-Muzaffat and Al--Hantam (names of utensils used for the preparation of alcoholic drinks)."
পরিচ্ছেদঃ ৩১৫৮. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরী কর তাও (৩৭ঃ ৯৬)। আমি প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে (৫৪ঃ ৪৯)। ছবি নির্মাতাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে জীবন দাও। তোমাদের প্রতিপালক যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হন। তিনিই দিনতে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যেন এদের একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে। আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি যা তাঁর আজ্ঞাধীন, তা তিনিই সৃষ্টি করেছেন। জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। মহিমাময় জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ (৭ঃ ৫৪) ইবন উয়ায়না (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ খালক্কে আমর থেকে পৃথক করে বর্ণনা করেছেন। কেননা তার বাণী হলোঃ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। নবী (সাঃ) ঈমানকেও আমল বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ যার (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন আমলীট সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, তাঁরা রাস্তায় জিহাদ করা। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ এটা তাদের কাজেরই প্রতিদান। আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আমাদের কিছু সংক্ষিপ্ত বিষয়ের নির্দেশ দিন, যেগুলো মেনে চললে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি তাদের আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, রাসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান, নামায কায়েম করা এবং যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। এসবকেই তিনি আমলরূপে উল্লেখ করেছেন
৭০৪৭। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এসব ছবি নির্মাতাকে কিয়ামতের দিন আযাব দেওয়া হবে। তখন তাদেরকে হুকুম করা হবে তোমরা যা তৈরি করেছ তাতে প্রাণ দাও।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ} {إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ}. وَيُقَالُ لِلْمُصَوِّرِينَ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ. {إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ}. قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ بَيَّنَ اللَّهُ الْخَلْقَ مِنَ الأَمْرِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ}. وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الإِيمَانَ عَمَلاً. قَالَ أَبُو ذَرٍّ وَأَبُو هُرَيْرَةَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ: «إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِهِ. وَقَالَ: {جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ}». وَقَالَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الأَمْرِ إِنْ عَمِلْنَا بِهَا دَخَلْنَا الْجَنَّةَ. فَأَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ وَالشَّهَادَةِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ كُلَّهُ عَمَلاً
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَيُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ ".
Narrated Aisha:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The painter of these pictures will be punished on the Day of Resurrection, and it will be said to them, Make alive what you have created.' "
পরিচ্ছেদঃ ৩১৫৮. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরী কর তাও (৩৭ঃ ৯৬)। আমি প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে (৫৪ঃ ৪৯)। ছবি নির্মাতাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে জীবন দাও। তোমাদের প্রতিপালক যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হন। তিনিই দিনতে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যেন এদের একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে। আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি যা তাঁর আজ্ঞাধীন, তা তিনিই সৃষ্টি করেছেন। জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। মহিমাময় জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ (৭ঃ ৫৪) ইবন উয়ায়না (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ খালক্কে আমর থেকে পৃথক করে বর্ণনা করেছেন। কেননা তার বাণী হলোঃ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। নবী (সাঃ) ঈমানকেও আমল বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ যার (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন আমলীট সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, তাঁরা রাস্তায় জিহাদ করা। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ এটা তাদের কাজেরই প্রতিদান। আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আমাদের কিছু সংক্ষিপ্ত বিষয়ের নির্দেশ দিন, যেগুলো মেনে চললে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি তাদের আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, রাসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান, নামায কায়েম করা এবং যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। এসবকেই তিনি আমলরূপে উল্লেখ করেছেন
৭০৪৮। আবু নুমান (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এসব ছবি নির্মাতাকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে। আর তাদের বলা হবে, যা তোমরা সৃষ্টি করেছ, তা জীবিত কর।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ} {إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ}. وَيُقَالُ لِلْمُصَوِّرِينَ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ. {إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ}. قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ بَيَّنَ اللَّهُ الْخَلْقَ مِنَ الأَمْرِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ}. وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الإِيمَانَ عَمَلاً. قَالَ أَبُو ذَرٍّ وَأَبُو هُرَيْرَةَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ: «إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِهِ. وَقَالَ: {جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ}». وَقَالَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الأَمْرِ إِنْ عَمِلْنَا بِهَا دَخَلْنَا الْجَنَّةَ. فَأَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ وَالشَّهَادَةِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ كُلَّهُ عَمَلاً
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَيُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ ".
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "The painters of these pictures will be punished on the Day of Resurrection, and it will be said to them, 'Make alive what you have created."
পরিচ্ছেদঃ ৩১৫৮. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরী কর তাও (৩৭ঃ ৯৬)। আমি প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে (৫৪ঃ ৪৯)। ছবি নির্মাতাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে জীবন দাও। তোমাদের প্রতিপালক যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হন। তিনিই দিনতে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যেন এদের একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে। আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি যা তাঁর আজ্ঞাধীন, তা তিনিই সৃষ্টি করেছেন। জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। মহিমাময় জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ (৭ঃ ৫৪) ইবন উয়ায়না (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ খালক্কে আমর থেকে পৃথক করে বর্ণনা করেছেন। কেননা তার বাণী হলোঃ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। নবী (সাঃ) ঈমানকেও আমল বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ যার (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন আমলীট সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, তাঁরা রাস্তায় জিহাদ করা। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ এটা তাদের কাজেরই প্রতিদান। আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আমাদের কিছু সংক্ষিপ্ত বিষয়ের নির্দেশ দিন, যেগুলো মেনে চললে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি তাদের আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, রাসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান, নামায কায়েম করা এবং যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। এসবকেই তিনি আমলরূপে উল্লেখ করেছেন
৭০৪৯। মুহাম্মাদ ইবনু আলা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ঘোষনা করেছেন। তাদের অপেক্ষা বড় যালিম আর কে হতে পারে যে আমার সৃষ্টির সদৃশ সৃষ্টি করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে? তাহলে তারা একটা শস্যদানা কিংবা যব তৈরি করুক।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ} {إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ}. وَيُقَالُ لِلْمُصَوِّرِينَ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ. {إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ}. قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ بَيَّنَ اللَّهُ الْخَلْقَ مِنَ الأَمْرِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ}. وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الإِيمَانَ عَمَلاً. قَالَ أَبُو ذَرٍّ وَأَبُو هُرَيْرَةَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ: «إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِهِ. وَقَالَ: {جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ}». وَقَالَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الأَمْرِ إِنْ عَمِلْنَا بِهَا دَخَلْنَا الْجَنَّةَ. فَأَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ وَالشَّهَادَةِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ كُلَّهُ عَمَلاً
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذَهَبَ يَخْلُقُ كَخَلْقِي، فَلْيَخْلُقُوا ذَرَّةً، أَوْ لِيَخْلُقُوا حَبَّةً أَوْ شَعِيرَةً ".
Narrated Abu Huraira:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Allah said, 'Who are most unjust than those who try to create something like My creation? I challenge them to create even a smallest ant, a wheat grain or a barley grain.' "