পরিচ্ছেদঃ ৩১২১. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি

৬৯০৬। মু’আয ইবনু ফাদালা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ ঈমানদারদেরকে সমবেত করবেন তখন তারা উক্তি করবে আমরা আমাদের প্রতিপালকের কাছে কোন সুপারিশ যদি নিয়ে যেতাম; তাহলে তিনি আমাদেরকে এই স্থানটি থেকে বের করে শান্তি প্রদান করতেন। এরপর তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে গিয়ে বলবে, হে আদম (আলাইহিস সালাম)! আপনি কি মানুষের অবস্থা দেখছেন না? অথচ আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। আপনাকে তিনি তাঁর ফেরেশতাগণ দিয়ে সিজদা করিয়েছেন। আর আপনাকে সব জিনিসের নাম শিক্ষা দিয়েছেন সুতরাং আপনি আমাদের প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন, যেন এই স্থানটি থেকে আমাদেরকে তিনি শান্তি প্রদান করেন। আদম (আলাইহিস সালাম) তখন বলবেন, এই কাজের জন্য আমি যোগ্য নই। এবং আদম (আলাইহিস সালাম) তাদের কাছে স্বীয় ভুলের কথা স্মরণ করবেন এবং বলবেন, তোমরা বরং নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। যেহেতু তিনিই আল্লাহর প্রথম রাসুল। যাকে তিনি যমীনবাসীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন।

(এ কথা শুনে) তারা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনিও বলবেন, আমি তোমাদের এই কাজের জন্য যোগ্য নই। তিনি তাঁর কৃত ত্রুটির কথা স্মরণ করে বলবেন, তোমরা বরং আল্লাহর খলীল (বন্ধু) ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তখন তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে চলে আসবে। তিনিও তাদের কাছে স্বীয় কৃত ত্রুটিসমুহর কথা উল্লেখ পূর্বক বলবেন, আমি তোমাদের এই কাজের জন্য যোগ্য নই। তোমরা বরং মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তিনি এমন একজন বান্দা যাকে আল্লাহ তাওরাত প্রদান করেছিলেন এবং তাঁর সাথে তিনি প্রত্যক্ষ বাক্যালাপ করেছিলেন। তারা তখন মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। মূসা (আলাইহিস সালাম)-ও বলবেন, আমি তোমাদের এই কাজের জন্য যোগ্য নই। তাদের কাছে তিনি স্বীয়কৃত ক্রটির কথা উল্লেখ পূর্বক বলবেন, তোমরা বরং ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। যিনি আল্লাহর বান্দা, তাঁর রাসুল, কালেমা ও রুহ।

তখন তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তখন ঈসা (আলাইহিস সালাম) বলবেন, আমি তোমাদের এই কাজের যোগ্য নই। তোমরা বরং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যাও। তিনি এমন একজন বান্দা, যার আগের ও পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই আমার কাছে আসবে। আমি তখন আমার প্রতিপালকের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করব, আমাকে এর অনুমতি দেওয়া হবে। আমি আমার প্রতি পালককে যখন দেখতে পাব, তখনই আমি তাঁর সামনে সিজদায় পড়বো। আল্লাহ তার মরজী অনুসারে যতক্ষন আমাকে সেভাবে রাখার রেখে দেবেন। তারপর আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠান। (যা বলার) বলুন। শোনা হবে। (যা চাওয়ার) চান, দেয়া হবে। (যা সুপারিশ করার) করুন, গ্রহণ করা হবে।

তখন আমার প্রতিপালকের শিখিয়ে দেয়া প্রশংসারাজির দ্বারা আমি তাঁর প্রশংসা করব। তারপর আমি শাফাআত করব। আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এরপর আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। তারপর আমি ফিরে আসব। যখন আমি আমার প্রতিপালককে দেখতে পাব তখন তাঁর জন্য সিজদায় পড়বো। আল্লাহর মরজী অনুসারে যতক্ষন আমাকে এভাবে রাখতে চাইবেন রেখে দিবেন। তারপর আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠান। বলুন, শোনা হবে। চান, দেওয়া হবে। সুপারিশ করুন, গ্রহণ করা হবে। তখন আমার প্রতিপালকের শিখিয়ে দেয়া প্রশংসারাজি দিয়ে আমি তার প্রশংসা করব এবং সুপারিশ করব। তখনো আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারন করা হবে। আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। তারপর আমি আবার ফিরে আসব।

আমি এবারও আমার প্রতিপালককে দেখামাত্র সিজদায় পড়বো। আল্লাহ তা’আলা তাঁর মরজী অনুসারে যতক্ষন ইচ্ছা আমাকে সেই অবস্থায় রেখে দিবেন। তারপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠান। বলুন, শোনা হবে। চান, দেয়া হবে। সুপারিশ করুন, কবুল করা হবে। তখন আমার রব আমাকে শিখিয়ে দেয়া প্রশংসারাজি দ্বারা প্রশংসা করে শাফাআত করব। তখনও একটা সীমা বাতলানো থাকবে। আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। এরপর আমি তার কাছে ফিরে গিয়ে বলব, হে প্রতিপালক! এখন একমাত্র তারাই জাহান্নামে অবশিষ্ট রয়েছে, যাদেরকে কুরআন আটক করে রেখে দিয়েছে এবং যাদের উপর স্থায়ীভাবে জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে, অথচ তার হৃদয়ে একটি যবের ওজন পরিমাণ কল্যাণ ঈমান আছে, তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তারপর বের করা হবে জাহান্নাম থেকে তাদেরকেও, যারা ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে এবং তার হৃদয়ে একটি গমের ওযন পরিমাণ কল্যান (ঈমান) আছে। (সর্বশেষে) জাহান্নাম থেকে তাকে বের করা হবে, যে ব্যাক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে এবং তার হৃদয়ে অণু পরিমাণ মাত্র কল্যাণ (ঈমান) আছে।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ‏}‏

حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ يَجْمَعُ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَذَلِكَ فَيَقُولُونَ لَوِ اسْتَشْفَعْنَا إِلَى رَبِّنَا حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا‏.‏ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ يَا آدَمُ أَمَا تَرَى النَّاسَ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَأَسْجَدَ لَكَ مَلاَئِكَتَهُ وَعَلَّمَكَ أَسْمَاءَ كُلِّ شَىْءٍ، شَفِّعْ لَنَا إِلَى رَبِّنَا حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا‏.‏ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكَ ـ وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ ـ وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا، فَإِنَّهُ أَوَّلُ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ‏.‏ فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ـ وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ ـ وَلَكِنِ ائْتُوا إِبْرَاهِيمَ خَلِيلَ الرَّحْمَنِ‏.‏ فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ـ وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطَايَاهُ الَّتِي أَصَابَهَا ـ وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى عَبْدًا أَتَاهُ اللَّهُ التَّوْرَاةَ وَكَلَّمَهُ تَكْلِيمًا ـ فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ـ وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ ـ وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولَهُ وَكَلِمَتَهُ وَرُوحَهُ‏.‏ فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم عَبْدًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ‏.‏ فَيَأْتُونِي فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي عَلَيْهِ، فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ لَهُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ لِي ارْفَعْ مُحَمَّدُ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ‏.‏ فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا، ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ سَاجِدًا، فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ مُحَمَّدُ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا رَبِّي ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ سَاجِدًا، فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ مُحَمَّدُ، قُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا، ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ وَوَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ ‏"‏‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً، ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ بُرَّةً، ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مَا يَزِنُ مِنَ الْخَيْرِ ذَرَّةً ‏"‏‏.‏

حدثني معاذ بن فضالة، حدثنا هشام، عن قتادة، عن انس، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ يجمع الله المومنين يوم القيامة كذلك فيقولون لو استشفعنا الى ربنا حتى يريحنا من مكاننا هذا‏.‏ فياتون ادم فيقولون يا ادم اما ترى الناس خلقك الله بيده واسجد لك ملاىكته وعلمك اسماء كل شىء، شفع لنا الى ربنا حتى يريحنا من مكاننا هذا‏.‏ فيقول لست هناك ـ ويذكر لهم خطيىته التي اصاب ـ ولكن اىتوا نوحا، فانه اول رسول بعثه الله الى اهل الارض‏.‏ فياتون نوحا فيقول لست هناكم ـ ويذكر خطيىته التي اصاب ـ ولكن اىتوا ابراهيم خليل الرحمن‏.‏ فياتون ابراهيم فيقول لست هناكم ـ ويذكر لهم خطاياه التي اصابها ـ ولكن اىتوا موسى عبدا اتاه الله التوراة وكلمه تكليما ـ فياتون موسى فيقول لست هناكم ـ ويذكر لهم خطيىته التي اصاب ـ ولكن اىتوا عيسى عبد الله ورسوله وكلمته وروحه‏.‏ فياتون عيسى فيقول لست هناكم ولكن اىتوا محمدا صلى الله عليه وسلم عبدا غفر له ما تقدم من ذنبه وما تاخر‏.‏ فياتوني فانطلق فاستاذن على ربي فيوذن لي عليه، فاذا رايت ربي وقعت له ساجدا فيدعني ما شاء الله ان يدعني ثم يقال لي ارفع محمد، وقل يسمع، وسل تعطه، واشفع تشفع‏.‏ فاحمد ربي بمحامد علمنيها، ثم اشفع فيحد لي حدا فادخلهم الجنة، ثم ارجع فاذا رايت ربي وقعت ساجدا، فيدعني ما شاء الله ان يدعني ثم يقال ارفع محمد، وقل يسمع، وسل تعطه، واشفع تشفع، فاحمد ربي بمحامد علمنيها ربي ثم اشفع فيحد لي حدا فادخلهم الجنة، ثم ارجع فاذا رايت ربي وقعت ساجدا، فيدعني ما شاء الله ان يدعني ثم يقال ارفع محمد، قل يسمع، وسل تعطه، واشفع تشفع، فاحمد ربي بمحامد علمنيها، ثم اشفع فيحد لي حدا فادخلهم الجنة، ثم ارجع فاقول يا رب ما بقي في النار الا من حبسه القران ووجب عليه الخلود ‏"‏‏.‏ قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يخرج من النار من قال لا اله الا الله‏.‏ وكان في قلبه من الخير ما يزن شعيرة، ثم يخرج من النار من قال لا اله الا الله‏.‏ وكان في قلبه من الخير ما يزن برة، ثم يخرج من النار من قال لا اله الا الله‏.‏ وكان في قلبه ما يزن من الخير ذرة ‏"‏‏.‏


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah will gather the believers on the Day of Resurrection in the same way (as they are gathered in this life), and they will say, 'Let us ask someone to intercede for us with our Lord that He may relieve us from this place of ours.' Then they will go to Adam and say, 'O Adam! Don't you see the people (people's condition)? Allah created you with His Own Hands and ordered His angels to prostrate before you, and taught you the names of all the things. Please intercede for us with our Lord so that He may relieve us from this place of ours.' Adam will say, 'I am not fit for this undertaking' and mention to them the mistakes he had committed, and add, "But you d better go to Noah as he was the first Apostle sent by Allah to the people of the Earth.' They will go to Noah who will reply, 'I am not fit for this undertaking,' and mention the mistake which he made, and add, 'But you'd better go to Abraham, Khalil Ar-Rahman.' They will go to Abraham who will reply, 'I am not fit for this undertaking,' and mention to them the mistakes he made, and add, 'But you'd better go to Moses, a slave whom Allah gave the Torah and to whom He spoke directly' They will go to Moses who will reply, 'I am not fit for this undertaking,' and mention to them the mistakes he made, and add, 'You'd better go to Jesus, Allah's slave and His Apostle and His Word (Be: And it was) and a soul created by Him.' They will go to Jesus who will say, 'I am not fit for this undertaking, but you'd better go to Muhammad whose sins of the past and the future had been forgiven (by Allah).' So they will come to me and I will ask the permission of my Lord, and I will be permitted (to present myself) before Him. When I see my Lord, I will fall down in (prostration) before Him and He will leave me (in prostration) as long as He wishes, and then it will be said to me, 'O Muhammad! Raise your head and speak, for you will be listened to; and ask, for you will be granted (your request); and intercede, for your intercession will be accepted.' I will then raise my head and praise my Lord with certain praises which He has taught me, and then I will intercede. Allah will allow me to intercede (for a certain kind of people) and will fix a limit whom I will admit into Paradise. I will come back again, and when I see my Lord (again), I will fall down in prostration before Him, and He will leave me (in prostration) as long as He wishes, and then He will say, 'O Muhammad! Raise your head and speak, for you will be listened to; and ask, for you will be granted (your request); and intercede, for your intercession will be accepted.' I will then praise my Lord with certain praises which He has taught me, and then I will intercede. Allah will allow me to intercede (for a certain kind of people) and will fix a limit to whom I will admit into Paradise, I will return again, and when I see my Lord, I will fall down (in prostration) and He will leave me (in prostration) as long as He wishes, and then He will say, 'O Muhammad! Raise your head and speak, for you will be listened to, and ask, for you will be granted (your request); and intercede, for your intercession will be accepted.' I will then praise my Lord with certain praises which He has taught me, and then I will intercede. Allah will allow me to intercede (for a certain kind of people) and will fix a limit to whom I will admit into Paradise. I will come back and say, 'O my Lord! None remains in Hell (Fire) but those whom Qur'an has imprisoned therein and for whom eternity in Hell (Fire) has become inevitable.' " The Prophet (ﷺ) added, "There will come out of Hell (Fire) everyone who says: 'La ilaha illal-lah,' and has in his heart good equal to the weight of a barley grain. Then there will come out of Hell (Fire) everyone who says: ' La ilaha illal-lah,' and has in his heart good equal to the weight of a wheat grain. Then there will come out of Hell (Fire) everyone who says: 'La ilaha illal-lah,' and has in his heart good equal to the weight of an atom (or a smallest ant).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)

পরিচ্ছেদঃ ৩১২১. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি

৬৯০৭। আবুল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর হাত পরিপূর্ণ, রাত দিন খরচ করলেও তাতে ঘাটতি আসে না। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি? আসমান যমীন পয়দা করার পর থেকে তিনি যে কত খরচ করেছেন, এতদসত্ত্বেও তার হাতে যা আছে, তাতে কিঞ্চিতও কমেনি। এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তখন তার আরশ পানির উপর অবস্থান করছিল। তার অপর হাতটিতে রয়েছে পাল্লা, যা কখনও তিনি নিচে নামান আবার কখনও উপরে উঠান।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ‏}‏

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يَدُ اللَّهِ مَلأَى لاَ يَغِيضُهَا نَفَقَةٌ، سَحَّاءُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ـ وَقَالَ ـ أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَغِضْ مَا فِي يَدِهِ ـ وَقَالَ ـ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الْمِيزَانُ يَخْفِضُ وَيَرْفَعُ ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، حدثنا ابو الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ يد الله ملاى لا يغيضها نفقة، سحاء الليل والنهار ـ وقال ـ ارايتم ما انفق منذ خلق السموات والارض، فانه لم يغض ما في يده ـ وقال ـ عرشه على الماء وبيده الاخرى الميزان يخفض ويرفع ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah's Hand is full, and (its fullness) is not affected by the continuous spending, day and night." He also said, "Do you see what He has spent since He created the Heavens and the Earth? Yet all that has not decreased what is in His Hand." He also said, "His Throne is over the water and in His other Hand is the balance (of Justice) and He raises and lowers (whomever He will)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)

পরিচ্ছেদঃ ৩১২১. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি

৬৯০৮। মুকাদ্দাম ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন পৃথিবীটা তাঁর মুঠোতে নিয়ে নেবেন। আসমানকে তাঁর ডান হাতে জড়িয়ে বলবেন; বাদশাহ একমাত্র আমিই। সাঈদ (রহঃ) মালিক (রহঃ) থেকে এমনই বর্ণনা করেছেন। উমর ইবনু হামযা (রহঃ) সালিম (রহঃ) এর মাধ্যমে ইবনু উমর (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন। আবুল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা যমীনকে তার মুঠোয় নিয়ে নেবেন।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ‏}‏

حَدَّثَنَا مُقَدَّمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمِّي الْقَاسِمُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ يَقْبِضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الأَرْضَ وَتَكُونُ السَّمَوَاتُ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ ‏"‏‏.‏ رَوَاهُ سَعِيدٌ عَنْ مَالِكٍ‏.‏ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ حَمْزَةَ سَمِعْتُ سَالِمًا سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا‏.‏ وَقَالَ أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَقْبِضُ اللَّهُ الأَرْضَ ‏"‏‏.‏

حدثنا مقدم بن محمد، قال حدثني عمي القاسم بن يحيى، عن عبيد الله، عن نافع، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال ‏"‏ ان الله يقبض يوم القيامة الارض وتكون السموات بيمينه ثم يقول انا الملك ‏"‏‏.‏ رواه سعيد عن مالك‏.‏ وقال عمر بن حمزة سمعت سالما سمعت ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم بهذا‏.‏ وقال ابو اليمان اخبرنا شعيب، عن الزهري، اخبرني ابو سلمة، ان ابا هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يقبض الله الارض ‏"‏‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection, Allah will grasp the whole Earth by His Hand, and all the Heavens in His right, and then He will say, 'I am the King." Abu Huraira said, "Allah's Messenger (ﷺ) said," Allah will grasp the Earth...' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)

পরিচ্ছেদঃ ৩১২১. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি

৬৯০৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ কিয়ামতের দিনে আসমানগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, পর্বতমালাকে এক আঙ্গুলের ওপর, বৃক্ষরাজিকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং অবশিষ্ট সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ একমাত্র আমিই। এতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত মুবারক পর্যন্ত বের হয়ে উঠল। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা আল্লাহ তা’আলার যথোচিত মর্যাদা উপলব্দি করেনি। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ বলেনঃ এই বর্ণনায় একটু সংযোজন করেছেন, ফুদায়ল ইবনু আয়ায ... আবিদা (রহঃ) সূত্রে আবদুল্লাহ থেকে যে, এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্চার্যান্বিত হয়ে তার সমর্থনে হেসে দিলেন।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ‏}‏

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، سَمِعَ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، وَسُلَيْمَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ يَهُودِيًّا، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ عَلَى إِصْبَعٍ وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالْجِبَالَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالشَّجَرَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالْخَلاَئِقَ عَلَى إِصْبَعٍ، ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ‏.‏ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قَرَأَ ‏(‏وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ‏)‏‏.‏ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَزَادَ فِيهِ فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبِيدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَعَجُّبًا وَتَصْدِيقًا لَهُ‏.‏

حدثنا مسدد، سمع يحيى بن سعيد، عن سفيان، حدثني منصور، وسليمان، عن ابراهيم، عن عبيدة، عن عبد الله، ان يهوديا، جاء الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا محمد ان الله يمسك السموات على اصبع والارضين على اصبع، والجبال على اصبع، والشجر على اصبع، والخلاىق على اصبع، ثم يقول انا الملك‏.‏ فضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى بدت نواجذه ثم قرا ‏(‏وما قدروا الله حق قدره‏)‏‏.‏ قال يحيى بن سعيد وزاد فيه فضيل بن عياض عن منصور عن ابراهيم عن عبيدة عن عبد الله فضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم تعجبا وتصديقا له‏.‏


Narrated `Abdullah:

A Jew came to the Prophet (ﷺ) and said, "O Muhammad! Allah will hold the heavens on a Finger, and the mountains on a Finger, and the trees on a Finger, and all the creation on a Finger, and then He will say, 'I am the King.' " On that Allah's Messenger (ﷺ) smiled till his premolar teeth became visible, and then recited:-- 'No just estimate have they made of Allah such as due to him....(39.67) `Abdullah added: Allah's Apostle smiled (at the Jew's statement) expressing his wonder and belief in what was said.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)

পরিচ্ছেদঃ ৩১২১. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি

৬৯১০। উমর ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহলে কিতাবদের থেকে জনৈক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, হে আবুল কাসিম! (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ তা’আলা আসমানসমূহকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, গাছ ও কাদামাটিকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং বাকি সৃষ্টিরাজিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ একমাত্র আমিই, বাদশাহ একমাত্র আমিই। বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি দেখতে পেলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে ফেললেন। এমনকি তার মাড়ির দাঁতগুলো প্রকাশিত হয়ে ওঠলো। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ আর তারা আল্লাহ পাকের মহানত্বের যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি করেনি।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ‏}‏

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ عَلْقَمَةَ، يَقُولُ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَقَالَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالشَّجَرَ وَالثَّرَى عَلَى إِصْبَعٍ، وَالْخَلاَئِقَ عَلَى إِصْبَعٍ، ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَنَا الْمَلِكُ‏.‏ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قَرَأَ ‏(‏وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ‏)‏

حدثنا عمر بن حفص بن غياث، حدثنا ابي، حدثنا الاعمش، سمعت ابراهيم، قال سمعت علقمة، يقول قال عبد الله جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم من اهل الكتاب فقال يا ابا القاسم ان الله يمسك السموات على اصبع، والارضين على اصبع، والشجر والثرى على اصبع، والخلاىق على اصبع، ثم يقول انا الملك انا الملك‏.‏ فرايت النبي صلى الله عليه وسلم ضحك حتى بدت نواجذه ثم قرا ‏(‏وما قدروا الله حق قدره‏)‏


Narrated `Abdullah:

A man from the people of the scripture came to the Prophet (ﷺ) and said, "O Abal-Qasim! Allah will hold the Heavens upon a Finger, and the Earth on a Finger and the land on a Finger, and all the creation on a Finger, and will say, 'I am the King! I am the King!' " I saw the Prophet (after hearing that), smiling till his premolar teeth became visible, and he then recited: -- 'No just estimate have they made of Allah such as due to him... (39.67)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে