পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ وتقول هل من مزيد "এবং জাহান্নাম বলবে আরো আছে কি?"

সুরা কাফ

رَجْعٌ بَعِيدٌ رَدٌّ فُرُوجٍ فُتُوقٍ وَاحِدُهَا فَرْجٌ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيدِ وَرِيدَاهُ فِي حَلْقِهِ وَالْحَبْلُ حَبْلُ الْعَاتِقِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ مَا تَنْقُصُ الْأَرْضُ مِنْ عِظَامِهِمْ تَبْصِرَةً بَصِيرَةً حَبَّ الْحَصِيدِ الْحِنْطَةُ بَاسِقَاتٍ الطِّوَالُ أَفَعَيِينَا أَفَأَعْيَا عَلَيْنَا حِينَ أَنْشَأَكُمْ وَأَنْشَأَ خَلْقَكُمْ وَقَالَ قَرِينُهُ الشَّيْطَانُ الَّذِي قُيِّضَ لَهُ فَنَقَّبُوا ضَرَبُوا أَوْ أَلْقَى السَّمْعَ لَا يُحَدِّثُ نَفْسَهُ بِغَيْرِهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ رَصَدٌ سَائِقٌ وَشَهِيدٌ الْمَلَكَانِ كَاتِبٌ وَشَهِيدٌ شَهِيدٌ شَاهِدٌ بِالْغَيْبِ مِنْ لُغُوبٍ النَّصَبُ وَقَالَ غَيْرُهُ نَضِيدٌ الْكُفُرَّى مَا دَامَ فِي أَكْمَامِهِ وَمَعْنَاهُ مَنْضُودٌ بَعْضُهُ عَلَى بَعْضٍ فَإِذَا خَرَجَ مِنْ أَكْمَامِهِ فَلَيْسَ بِنَضِيدٍ وَإِدْبَارِ النُّجُومِ وَأَدْبَارِ السُّجُودِ كَانَ عَاصِمٌ يَفْتَحُ الَّتِي فِي ق وَيَكْسِرُ الَّتِي فِي الطُّورِ وَيُكْسَرَانِ جَمِيعًا وَيُنْصَبَانِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَوْمَ الْخُرُوجِ يَوْمَ يَخْرُجُونَ إِلَى الْبَعْثِ مِنْ الْقُبُورِ

رَجْعٌ মানে প্রত্যাবর্তন। فُرُوْجٍ মানে ফাটল। এর একবচন হলো وَرِيْدٌ فِيْ حَلْقِهٰ ঘাড়ের রগ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مَا تَنْقُصُ الْأَرْضُ দ্বারা তাদের ঐ সমস্ত হাড্ডিকে বোঝানো হয়েছে, যেগুলোকে মৃত্তিকা ক্ষয় করে। تَبْصِرَةً জ্ঞানস্বরূপ। حَبَّ الْحَصِيْدِ গম। بَاسِقَاتٍ সমুন্নত ও লম্বা। أَفَعَيِيْنَا আমাদের জন্য কি ক্লান্তিকর ছিল? وَقَالَ قَرِيْنُه ঐ শায়ত্বন যা তার জন্য নির্দিষ্ট হয়েছে। فَنَقَّبُوْا তারা ভ্রমণ করেছে। أَوِ الْقَى السَّمْعَ অর্থ, যে কুরআন শ্রবণ করে নিবিষ্ট চিত্তে, এ ব্যতীত অন্য কোন দিকে তার মনোযোগ নেই। رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ মানে প্রহরী। سَآئِقٌ وَشَهِيْدٌ দু’জন মালাক- একজন লেখক এবং অন্যজন সাক্ষী। شَهِيْدٌ অন্তরের অন্তস্থল থেকে সাক্ষ্যদাতা ব্যক্তিকে شَهِيْدٌ বলা হয়। لُغُوْبٍ ক্লান্তি। মুজাহিদ (রহঃ) ব্যতীত অন্য মুফাসসিরগণ বলেছেন, نَضِيْدٌ ফুলের কলি যা এখনো ফুটেনি। এখানে শব্দটি ভাজ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রস্ফুটিত ফুলের কলিকে نَضِيْدٌ বলা হয় না। কারী আসিম (রহঃ) সূরাহ ’কাফ’-এ বর্ণিত إدْبَارِ السُّجُوْدِ এর হামযার মধ্যে যবর দেন এবং সূরাহ তূর-এ উল্লিখিত إِدْبَارِالنُّجُوْمِ এর হামযার মধ্যে যের দেন। তবে উভয় স্থানে হামযাতে যেরও দেয়া যায় অথবা যবরও দেয়া যায়। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, يَوْمَ الْخُرُوْجِ কবর থেকে বের হওয়ার দিন।


৪৪৮৮। আবদুল্লাহ ইবনু আবূল আসওয়াদ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হলে জাহান্নাম বলবে, আরো আছে কি? পরিশেষে আল্লাহ্ তাঁর পা সেখানে রাখবেন, তখন সে বলবে, আর না, আর না।

باب قوله وتقول هل من مزيد

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا حَرَمِيٌّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يُلْقَى فِي النَّارِ وَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ‏.‏ حَتَّى يَضَعَ قَدَمَهُ فَتَقُولُ قَطِ قَطِ ‏"‏‏.‏

حدثنا عبد الله بن ابي الاسود، حدثنا حرمي، حدثنا شعبة، عن قتادة، عن انس ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ يلقى في النار وتقول هل من مزيد‏.‏ حتى يضع قدمه فتقول قط قط ‏"‏‏.‏


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) said, "The people will be thrown into the (Hell) Fire and it will say: "Are there any more (to come)?' (50.30) till Allah puts His Foot over it and it will say, 'Qati! Qati! (Enough Enough!)'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ وتقول هل من مزيد "এবং জাহান্নাম বলবে আরো আছে কি?"

৪৪৮৯। মুহাম্মদ ইবনু কাযযান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে মারফূ হাদীস হিসাবে বর্ণিত। তবে আবূ সুফয়ান এ হাদীসটিকে অধিকাংশ সময় মওকুফ হাদীস হিসাবে বর্ণনা করেছেন। জাহান্নামকে বলা হবে, তুমি কি পূর্ণ হয়ে গিয়েছ? জাহান্নাম বলবে, আরো আছে কি? তখন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন আপন চরণ তাতে রাখবেন। তখন জাহান্নাম বলবে, আর নয়, আর নয়।

باب قوله وتقول هل من مزيد

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو سُفْيَانَ الْحِمْيَرِيُّ، سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَفَعَهُ وَأَكْثَرُ مَا كَانَ يُوقِفُهُ أَبُو سُفْيَانَ ‏ "‏ يُقَالُ لِجَهَنَّمَ هَلِ امْتَلأْتِ وَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ فَيَضَعُ الرَّبُّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَدَمَهُ عَلَيْهَا فَتَقُولُ قَطِ قَطِ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن موسى القطان، حدثنا ابو سفيان الحميري، سعيد بن يحيى بن مهدي حدثنا عوف، عن محمد، عن ابي هريرة، رفعه واكثر ما كان يوقفه ابو سفيان ‏ "‏ يقال لجهنم هل امتلات وتقول هل من مزيد فيضع الرب تبارك وتعالى قدمه عليها فتقول قط قط ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

(that the Prophet (ﷺ) said) "It will be said to the Hell, 'Are you filled?' It will say, 'Are there any more (to come)?' On that Allah will put His Foot on it, and it will say 'Qati! Qati! (Enough! Enough!).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ وتقول هل من مزيد "এবং জাহান্নাম বলবে আরো আছে কি?"

৪৪৯০। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাত ও জাহান্নাম পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হয়। জাহান্নাম বলে দাম্ভিক ও পরাক্রমশালীদের দ্বারা আমাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। জান্নাত বলে, আমার কি হল? আমাতে কেবল মাত্র দুর্বল এবং নিরীহ লোকেরাই প্রবেশ করছে। তখন আল্লাহ্ তা’আলা জান্নাতকে বলবেন, তুমি আমার রহমত। তোমার দ্বারা আমার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা আমি অনুগ্রহ করব। আর তিনি জাহান্নামকে বলবেন, তুমি হলে আযাব। তোমার দ্বারা আমার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেব। জান্নাত ও জাহান্নাম প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে পরিপূর্ণতা। তবে জাহান্নাম পূর্ণ হবে না যতক্ষণ না তিনি তাঁর কদম মুবারক তাতে রাখবেন। তখন সে বলবে, বাস, বাস, বাস। তখন জাহান্নাম ভরে যাবে এবং এর এক অংশ অপর অংশের সাথে মুড়িয়ে দেয়া হবে। আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টির কারো প্রতি জুলুম করবেন না। অবশ্য আল্লাহ্ তা’আলা জান্নাতের জন্য অন্য মাখলুক পয়দা করবেন।

باب قوله وتقول هل من مزيد

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ تَحَاجَّتِ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ فَقَالَتِ النَّارُ أُوثِرْتُ بِالْمُتَكَبِّرِينَ وَالْمُتَجَبِّرِينَ‏.‏ وَقَالَتِ الْجَنَّةُ مَا لِي لاَ يَدْخُلُنِي إِلاَّ ضُعَفَاءُ النَّاسِ وَسَقَطُهُمْ‏.‏ قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لِلْجَنَّةِ أَنْتِ رَحْمَتِي أَرْحَمُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ مِنْ عِبَادِي‏.‏ وَقَالَ لِلنَّارِ إِنَّمَا أَنْتِ عَذَابٌ أُعَذِّبُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ مِنْ عِبَادِي‏.‏ وَلِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا مِلْؤُهَا، فَأَمَّا النَّارُ فَلاَ تَمْتَلِئُ حَتَّى يَضَعَ رِجْلَهُ فَتَقُولُ قَطٍ قَطٍ قَطٍ‏.‏ فَهُنَالِكَ تَمْتَلِئُ وَيُزْوَى بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ، وَلاَ يَظْلِمُ اللَّهُ ـ عَزَّ وَجَلَّ ـ مِنْ خَلْقِهِ أَحَدًا، وَأَمَّا الْجَنَّةُ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُنْشِئُ لَهَا خَلْقًا ‏"‏‏.‏

حدثنا عبد الله بن محمد، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن همام، عن ابي هريرة، رضى الله عنه قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ تحاجت الجنة والنار فقالت النار اوثرت بالمتكبرين والمتجبرين‏.‏ وقالت الجنة ما لي لا يدخلني الا ضعفاء الناس وسقطهم‏.‏ قال الله تبارك وتعالى للجنة انت رحمتي ارحم بك من اشاء من عبادي‏.‏ وقال للنار انما انت عذاب اعذب بك من اشاء من عبادي‏.‏ ولكل واحدة منهما ملوها، فاما النار فلا تمتلى حتى يضع رجله فتقول قط قط قط‏.‏ فهنالك تمتلى ويزوى بعضها الى بعض، ولا يظلم الله ـ عز وجل ـ من خلقه احدا، واما الجنة فان الله عز وجل ينشى لها خلقا ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "Paradise and the Fire (Hell) argued, and the Fire (Hell) said, "I have been given the privilege of receiving the arrogant and the tyrants.' Paradise said, 'What is the matter with me? Why do only the weak and the humble among the people enter me?' On that, Allah said to Paradise. 'You are My Mercy which I bestow on whoever I wish of my servants.' Then Allah said to the (Hell) Fire, 'You are my (means of) punishment by which I punish whoever I wish of my slaves. And each of you will have its fill.' As for the Fire (Hell), it will not be filled till Allah puts His Foot over it whereupon it will say, 'Qati! Qati!' At that time it will be filled, and its different parts will come closer to each other; and Allah will not wrong any of His created beings. As regards Paradise, Allah will create a new creation to fill it with."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে