পরিচ্ছেদঃ ২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা এর পূর্বে আলী ইবনু আবূ তালিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ) কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১১। আহমাদ ইবনু উসমান (রহঃ) ... বারা’ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) এর সঙ্গে ইয়ামানে পাঠালেন। বারা (রাঃ) বলেন, তারপর কিছুদিন পরেই তিনি খালিদ (রাঃ) এর স্থলে আলী (রাঃ) কে পাঠিয়ে বলে দিয়েছেন যে, খালিদ (রাঃ) এর সাথীদেরকে বলবে, তাদের মধ্যে যে তোমার সাথে (ইয়ামানের দিকে) যেতে ইচ্ছা করে সে যেন তোমার সাথ চলে যায়, আর যে (মদিনায়) ফিরে যেতে চায় সে যেন ফিরে যায়। (রাবী বলেন) তখন আমি আলী (রাঃ) এর সাথে ইয়ামানগামীদের মধ্যে থাকলাম। ফলে আমি গনীমত হিসেবে অনেক পরিমান আওকিয়া লাভ করলাম।
باب بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ ـ رضى الله عنه ـ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانُ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ الْبَرَاءَ ـ رضى الله عنه ـ. بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَى الْيَمَنِ، قَالَ ثُمَّ بَعَثَ عَلِيًّا بَعْدَ ذَلِكَ مَكَانَهُ فَقَالَ مُرْ أَصْحَابَ خَالِدٍ، مَنْ شَاءَ مِنْهُمْ أَنْ يُعَقِّبَ مَعَكَ فَلْيُعَقِّبْ، وَمَنْ شَاءَ فَلْيُقْبِلْ. فَكُنْتُ فِيمَنْ عَقَّبَ مَعَهُ، قَالَ فَغَنِمْتُ أَوَاقٍ ذَوَاتِ عَدَدٍ.
Narrated Al-Bara:
Allah's Messenger (ﷺ) sent us to Yemen along with Khalid bin Al-Walid. Later on he sent `Ali bin Abi Talib in his place. The Prophet (ﷺ) said to `Ali, "Give Khalid's companions the choice of either staying with you (in Yemen) or returning to Medina." I was one of those who stayed with him (i.e. `Ali) and got several Awaq (of gold from the war booty.
পরিচ্ছেদঃ ২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা এর পূর্বে আলী ইবনু আবূ তালিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ) কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১২। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ) কে খুমুস (গনীমতের এক পঞ্চমাংশ) নিয়ে আসার জন্য খালিদ (রাঃ) এর কাছে পাঠালেন। (রাবী, বুরায়দা বলেন, কোন কারনে) আমি আলী (রাঃ) এর প্রতি নারাজ ছিলাম, আর তিনি গোসলও করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ফিরে আসলে আমি তাঁর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, হে বুরায়দা! তুমি কি আলীর প্রতি অসন্তুষ্ট? আমি উত্তর করলাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তার উপর অসন্তুষ্ট থেকোনা। কারন খুমসের ভিতরে তার প্রাপ্য অধিকার এ অপেক্ষাও বেশি রয়েছে।
باب بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ ـ رضى الله عنه ـ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ مَنْجُوفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا إِلَى خَالِدٍ لِيَقْبِضَ الْخُمُسَ وَكُنْتُ أُبْغِضُ عَلِيًّا، وَقَدِ اغْتَسَلَ، فَقُلْتُ لِخَالِدٍ أَلاَ تَرَى إِلَى هَذَا فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " يَا بُرَيْدَةُ أَتُبْغِضُ عَلِيًّا ". فَقُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " لاَ تُبْغِضْهُ فَإِنَّ لَهُ فِي الْخُمُسِ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ".
Narrated Buraida:
The Prophet (ﷺ) sent `Ali to Khalid to bring the Khumus (of the booty) and I hated `Ali, and `Ali had taken a bath (after a sexual act with a slave-girl from the Khumus). I said to Khalid, "Don't you see this (i.e. `Ali)?" When we reached the Prophet (ﷺ) I mentioned that to him. He said, "O Buraida! Do you hate `Ali?" I said, "Yes." He said, "Do you hate him, for he deserves more than that from the Khumlus."
পরিচ্ছেদঃ ২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা এর পূর্বে আলী ইবনু আবূ তালিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ) কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১৩। কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সিলম বৃক্ষের পাতা দ্বারা পরিশোধিত এক প্রকার (রঙিন) চামড়ার থলে করে সামান্য কিছু তাজা স্বর্ণ পাঠিয়েছিলেন। তখনও এগুলো থেকে সংযুক্ত খনিজ মাটিও পরিষ্কার করা হয়নি। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার ব্যাক্তির মধ্যে স্বর্ণখন্ডটি বন্টন করে দিলেন। তারা হলেন, উয়ায়না ইবনু বাদর, আকরা ইবনু হারিস, যায়দ আল-খায়ল এবং চতুর্থজন আলকামা কিংবা আমির ইবনু তুফাইল (রাঃ)। তখন সাহাবীগনের মধ্য থেকে একজন বললেন, এ স্বর্নের ব্যাপারে তাঁদের অপেক্ষা আমরাই অধিক হকদার ছিলাম। (রাবী) বলেন, কথাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছল। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি আমার উপর আস্থা রাখ না অথচ আমি আসমান অধিবাসীদের আস্থাভাজন, সকাল-বিকাল আমার কাছে আসমানের সংবাদ আসছে।
এমন সময়ে এক ব্যাক্তি উঠে দাঁড়ালো। লোকটির চোখ দু’টি ছিল কোটরাগত, চোয়ালের হাড় যেন বেরিয়ে পড়ছে, উঁচু কপালধারী, তার দাড়ি ছিল অতিশয় ঘন, মাথাটি ন্যাড়া, পরনের লুঙ্গি ছিল উপরের দিক উঠান। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্ কে ভয় করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার জন্য আফসোস! আল্লাহ্ কে ভয় করার ব্যাপারে দুনিয়াবাসীদের মধ্যে আমি কি বেশি হকদার নই? আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, লোকটি (এ কথা বলে) চলে যেতে লাগলে খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি লোকটির গর্দান উড়িয়ে দেবনা? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, হতে পারে সে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে। (বাহ্যত মুসলিম)।
খালিদ (রাঃ) বললেন, অনেক সালাত আদায়কারী এমন আছে যারা মুখে এমন এমন কথা উচ্চারন করে যা তাদের অন্তরে নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে মানুষের দিল ছিদ্র করে, পেট ফেঁড়ে (ঈমানের উপস্থিতি) দেখার জন্য বলা হয়নি। তারপর তিনি লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন। তখন লোকটি পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তিনি বললেন, এ ব্যাক্তির বংশ থেকে এমন এক জাতির উদ্ভব ঘটবে যারা শ্রুতিমধুর কন্ঠে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করবে অথচ আল্লাহর বাণী তাদের গলদেশের নিচে নামবেনা। তারা দ্বীন থেকে এভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে নিক্ষেপকৃত জন্তুর দেহ থেকে তীর বেরিয়ে যায়। (বর্ননাকারী বলেন) আমার মনে হয় তিনি এ কথাও বলেছেন, যদি আমি তাদেরকে হাতে পাই, তাহলে অবশ্যই আমি তাদের সামুদ জাতির মতো হত্যা করে দেবো।
باب بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ ـ رضى الله عنه ـ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ شُبْرُمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ بَعَثَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ـ رضى الله عنه ـ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْيَمَنِ بِذُهَيْبَةٍ فِي أَدِيمٍ مَقْرُوظٍ لَمْ تُحَصَّلْ مِنْ تُرَابِهَا، قَالَ فَقَسَمَهَا بَيْنَ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ بَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ، وَأَقْرَعَ بْنِ حَابِسٍ وَزَيْدِ الْخَيْلِ، وَالرَّابِعُ إِمَّا عَلْقَمَةُ وَإِمَّا عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ كُنَّا نَحْنُ أَحَقَّ بِهَذَا مِنْ هَؤُلاَءِ. قَالَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَلاَ تَأْمَنُونِي وَأَنَا أَمِينُ مَنْ فِي السَّمَاءِ، يَأْتِينِي خَبَرُ السَّمَاءِ صَبَاحًا وَمَسَاءً ". قَالَ فَقَامَ رَجُلٌ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ، مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ، نَاشِزُ الْجَبْهَةِ، كَثُّ اللِّحْيَةِ، مَحْلُوقُ الرَّأْسِ، مُشَمَّرُ الإِزَارِ، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، اتَّقِ اللَّهَ. قَالَ " وَيْلَكَ أَوَلَسْتُ أَحَقَّ أَهْلِ الأَرْضِ أَنْ يَتَّقِيَ اللَّهَ ". قَالَ ثُمَّ وَلَّى الرَّجُلُ، قَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلاَ أَضْرِبُ عُنُقَهُ قَالَ " لاَ، لَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ يُصَلِّي ". فَقَالَ خَالِدٌ وَكَمْ مِنْ مُصَلٍّ يَقُولُ بِلِسَانِهِ مَا لَيْسَ فِي قَلْبِهِ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لَمْ أُومَرْ أَنْ أَنْقُبَ قُلُوبَ النَّاسِ، وَلاَ أَشُقَّ بُطُونَهُمْ " قَالَ ثُمَّ نَظَرَ إِلَيْهِ وَهْوَ مُقَفٍّ فَقَالَ " إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمٌ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ رَطْبًا، لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ ". وَأَظُنُّهُ قَالَ " لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ ثَمُودَ ".
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:
`Ali bin Abi Talib sent a piece of gold not yet taken out of its ore, in a tanned leather container to Allah's Messenger (ﷺ) . Allah's Messenger (ﷺ) distributed that amongst four Persons: 'Uyaina bin Badr, Aqra bin H`Abis, Zaid Al-Khail and the fourth was either Alqama or Amir bin at-Tufail. On that, one of his companions said, "We are more deserving of this (gold) than these (persons)." When that news reached the Prophet (ﷺ) , he said, "Don't you trust me though I am the truth worthy man of the One in the Heavens, and I receive the news of Heaven (i.e. Divine Inspiration) both in the morning and in the evening?" There got up a man with sunken eyes, raised cheek bones, raised forehead, a thick beard, a shaven head and a waist sheet that was tucked up and he said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Be afraid of Allah." The Prophet (ﷺ) said, "Woe to you! Am I not of all the people of the earth the most entitled to fear Allah?" Then that man went away. Khalid bin Al-Wahd said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Shall I chop his neck off?" The Prophet (ﷺ) said, "No, for he may offer prayers." Khalid said, "Numerous are those who offer prayers and say by their tongues (i.e. mouths) what is not in their hearts." Allah's Messenger (ﷺ) said, "I have not been ordered (by Allah) to search the hearts of the people or cut open their bellies." Then the Prophet looked at him (i.e. that man) while the latter was going away and said, "From the offspring of this (man there will come out (people) who will recite the Qur'an continuously and elegantly but it will not exceed their throats. (They will neither understand it nor act upon it). They would go out of the religion (i.e. Islam) as an arrow goes through a game's body." I think he also said, "If I should be present at their time I would kill them as the nations a Thamud were killed."
পরিচ্ছেদঃ ২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা এর পূর্বে আলী ইবনু আবূ তালিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ) কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১৪। মাক্কী ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) কে তাঁর কৃত ইহরামের উপর কায়েম থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুহাম্মদ ইবনু বকর ইবনু জুরায়জ- আতা (রহঃ)- জাবির (রাঃ) এর সূত্রে আরও বর্ননা করেন যে, জাবির (রাঃ) বলেছেনঃ আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) (ইয়ামানে ছিলেন এরপর তিনি তাঁর) আদায়কৃত কর খুমুস নিয়ে (মক্কায়) আসলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, হে আলী! তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? তিনি উত্তর করলেন, নবী যেটির ইহরাম বেঁধেছেন (আমিও সেটির ইহরাম বেঁধেছি)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলে তুমি কুরবানীর পশু পাঠিয়ে দাও এবং এখন যেভাবে আছ সেভাবে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় অবস্থান করতে থাক। বর্ননাকারী [জাবির (রাঃ)] বলেন, সে সময় আলী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য কুরবানীর পশু পাঠিয়েছিলেন।
باب بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ ـ رضى الله عنه ـ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا أَنْ يُقِيمَ عَلَى إِحْرَامِهِ. زَادَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ فَقَدِمَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رضى الله عنه بِسِعَايَتِهِ، قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " بِمَ أَهْلَلْتَ يَا عَلِيُّ ". قَالَ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَأَهْدِ وَامْكُثْ حَرَامًا كَمَا أَنْتَ ". قَالَ وَأَهْدَى لَهُ عَلِيٌّ هَدْيًا.
Narrated 'Ata:
Jabir said, "The Prophet (ﷺ) ordered `Ali to keep the state of Ihram." Jabir added, "Ali bin Abi Talib returned (from Yemen) when he was a governor (of Yemen). The Prophet (ﷺ) said to him, 'With what intention have you assumed the state of Ihram?' `Ali said, "I have assumed Ihram with an intention as that of the Prophet." Then the Prophet (ﷺ) said (to him), 'Offer a Hadi and keep the state of Ihram in which you are now.' `Ali slaughtered a Hadi on his behalf."
পরিচ্ছেদঃ ২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা এর পূর্বে আলী ইবনু আবূ তালিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ) কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১৫। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... বকর (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু উমর (রাঃ) এর কাছে এ কথা উল্লেখ করা হল, আনাস (রাঃ) লোকদের কাছে বর্ননা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জ (হজ্জ) এবং উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন। তখন ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জের (হজ্জের) জন্য ইহরাম বেঁধেছেন, তাঁর সাথে আমরাও হাজ্জের (হজ্জের) জন্য ইহরাম বাঁধি। যখন আমরা মক্কায় উপনীত হই, তিনি বললেন, তোমাদের যার সঙ্গে কুরবানীর পশু নেই, সে যেন তার হাজ্জের (হজ্জ) ইহরাম উমরার ইহরামে পরিনত করে ফেলে। অবশ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিলো। এরপর আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হাজ্জের (হজ্জের) উদ্দেশ্যে ইয়ামান থেকে আসলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাকে) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? কারন আমাদের সাথে তোমার স্ত্রী (ফাতিমা) রয়েছে। তিনি উত্তর দিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেটির ইহরাম বেঁধেছেন, আমি সেটিরই ইহরাম বেঁধেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে এ অবস্থায়ই থাক, কারন আমাদের কাছে কুরবানীর জন্তু আছে।
باب بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ ـ رضى الله عنه ـ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، أَنَّهُ ذَكَرَ لاِبْنِ عُمَرَ أَنَّ أَنَسًا حَدَّثَهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ، فَقَالَ أَهَلَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ، وَأَهْلَلْنَا بِهِ مَعَهُ، فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ قَالَ " مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً ". وَكَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَدْىٌ، فَقَدِمَ عَلَيْنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنَ الْيَمَنِ حَاجًّا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " بِمَ أَهْلَلْتَ فَإِنَّ مَعَنَا أَهْلَكَ ". قَالَ أَهْلَلْتُ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم. قَالَ " فَأَمْسِكْ، فَإِنَّ مَعَنَا هَدْيًا ".
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) assumed the state of Ihram for Umra and Hajj, and we to assumed it for Hajj with him. When we arrived at Mecca, the Prophet (ﷺ) said, "Whoever does not possess a Hadi should regard his Ihram for Umra only." The Prophet (ﷺ) had a Hadi with him. `Ali bin Abi Talib came to us from Yemen with the intention of performing Hajj. The Prophet (ﷺ) said (to him), "With what intention have you assumed the Ihram, for your wife is with us?" `Ali said, "I assumed the lhram with the same intention as that of the Prophet (ﷺ) ." The Prophet (ﷺ) said, "Keep on the state of lhram, as we have got the Hadi."