পরিচ্ছেদঃ ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন

৩৯২৭। উবায়দুল্লাহ্ ইবনু মূসা (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলকা’দা মাসে উমরা আদায় করার ইচ্ছায় মক্কা অভিমুখে রওয়ানা করেন। মক্কাবাসীরা তাঁকে মক্কা নগরীতে প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানালো। অবশেষে তিনি তাদের সঙ্গে এ কথার উপর সন্ধি-চুক্তি সম্পাদন করেন যে, (আগামী বছর উমরা পালন করতে এসে) তিনি মাত্র তিন দিন মক্কায় অবস্থান করবেন। মুসলিমগণ সন্ধিপত্র লেখার সময় এভাবে লিখেছিলেন, আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ আমাদের সঙ্গে এ চুক্তি সম্পাদন করেছেন। ফলে তারা (কথাটির উপর আপত্তি উঠিয়ে) বললো, আমরা তো এ কথা (মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল) স্বীকার করিনি। যদি আমরা আপনাকে আল্লাহর রাসূল বলে স্বীকারই করতাম তা হলে মক্কা প্রবেশে মোটেই বাধা দিতাম না। বরং আপনি তো মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ। তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল এবং মুহাম্মদ ইবনু ’আবদুল্লাহ (উভয়টই)। তারপর তিনি আলী (রাঃ)-কে বললেন, "রাসূলুল্লাহ" শব্দটি মুছে ফেল। আলী (রাঃ) উত্তর করলেন, আল্লাহর কসম, আমি কখনো এ কথা মুছতে পারবো না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন নিজেই চুক্তিপত্রটি হাতে নিলেন। তিনি (আক্ষরিকভাবে) লিখতে জানতেন না, তিনি লিখিয়ে দিলেন যে, মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ এ চুক্তিপত্র সম্পাদন করে দিয়েছে যে, তিনি কোষবদ্ধ তরবারি ব্যতীত অন্য কোন অস্ত্র নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করবেন না। মক্কার অধিবাসীদের কেউ তাঁর সাথে যেতে চাইলেও তিনি তাকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন না। তাঁর সাথীদের কেউ মক্কায় (পুনরায়) অবস্থান করতে চাইলে তিনি তাকে বাধা দেবেন না। (পরবর্তী বছর সন্ধি অনুসারে) যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং নির্দিষ্ট মেয়াদ অতিক্রম হল তখন মুশরিকরা আলীর কাছে এসে বললো, আপনার সাথী [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে বলুন যে, নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তাই তিনি যেন আমাদের নিকট থেকে চলে যান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে মতে প্রত্যাবর্তন করলেন।

এ সময়ে হামযা (রাঃ)-এর কন্যা চাচা চাচা বলে ডাকতে ডাকতে তার পেছনে ছুটলো। আলী (রাঃ) তার হাত ধরে তুলে নিয়ে ফাতিমা (রাঃ) কে দিয়ে বললেন, তোমার চাচার কন্যাকে নাও। ফাতিমা (রাঃ) বাচ্চাটিকে তুলে নিলেন। (কাফেলা মদিনা পৌঁছার পর) বাচ্চাটি নিয়ে আলী, যায়িদ (ইবনু হারিসা) ও জা’ফর [ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)]-এর মধ্যে ঝগড়া আরম্ভ হয়ে গেল। আলী (রাঃ) বললেন, আমি তাকে (প্রথমে) কোলে নিয়েছি এবং সে আমার চাচার কন্যা (তাই সে আমার কাছে থাকবে)! জাফর দাবি করলেন, সে আমার চাচার কন্যা এবং তার খালা হল আমার স্ত্রী। যায়িদ [ইবনু হারিসা (রাঃ)] বললেন, সে আমার ভাইয়ের কন্যা (অর্থাৎ সবাই নিজ নিজ সম্পর্কের ভিত্তিতে নিজের কাছে রাখার অধিকার পেশ করলো)।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেয়েটিকে তার খালার জন্য (অর্থাৎ জাফরের পক্ষে) ফায়সালা দিয়ে বললেন (আদর ও লালন-পালনের ব্যাপারে) খালা মায়ের সমপর্যায়ের। এরপর তিনি আলীর দিকে লক্ষ্য করে করে বললেন, তুমি আমার এবং আমি তোমার। জাফর (রাঃ) কে বললেন, তুমি দৈহিক গঠন এবং চারিত্রিক গুণে আমার মতো। আর যায়িদ (রাঃ) কে বললেন, তুমি আমাদের ঈমানী ভাই ও আযাদকৃত গোলাম। আলী (রাঃ) [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে] বললেন, আপনি হামযার মেয়েটিকে বিয়ে করছেন না কেন? তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] উত্তরে বললেন, সে আমার দুধ-ভাই (হামযা)-এর মেয়ে।

باب عُمْرَةُ الْقَضَاءِ ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمَّا اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي ذِي الْقَعْدَةِ، فَأَبَى أَهْلُ مَكَّةَ أَنْ يَدَعُوهُ يَدْخُلُ مَكَّةَ، حَتَّى قَاضَاهُمْ عَلَى أَنْ يُقِيمَ بِهَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، فَلَمَّا كَتَبُوا الْكِتَابَ كَتَبُوا، هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ‏.‏ قَالُوا لاَ نُقِرُّ بِهَذَا، لَوْ نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ مَا مَنَعْنَاكَ شَيْئًا، وَلَكِنْ أَنْتَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَنَا رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ ‏"‏ امْحُ رَسُولَ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ لاَ وَاللَّهِ لاَ أَمْحُوكَ أَبَدًا‏.‏ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْكِتَابَ، وَلَيْسَ يُحْسِنُ يَكْتُبُ، فَكَتَبَ هَذَا مَا قَاضَى مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ لاَ يُدْخِلُ مَكَّةَ السِّلاَحَ، إِلاَّ السَّيْفَ فِي الْقِرَابِ، وَأَنْ لاَ يَخْرُجَ مِنْ أَهْلِهَا بِأَحَدٍ، إِنْ أَرَادَ أَنْ يَتْبَعَهُ، وَأَنْ لاَ يَمْنَعَ مِنْ أَصْحَابِهِ أَحَدًا، إِنْ أَرَادَ أَنْ يُقِيمَ بِهَا‏.‏ فَلَمَّا دَخَلَهَا وَمَضَى الأَجَلُ أَتَوْا عَلِيًّا فَقَالُوا قُلْ لِصَاحِبِكَ اخْرُجْ عَنَّا، فَقَدْ مَضَى الأَجَلُ‏.‏ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَتَبِعَتْهُ ابْنَةُ حَمْزَةَ تُنَادِي يَا عَمِّ يَا عَمِّ‏.‏ فَتَنَاوَلَهَا عَلِيٌّ، فَأَخَذَ بِيَدِهَا وَقَالَ لِفَاطِمَةَ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ ـ دُونَكِ ابْنَةَ عَمِّكِ‏.‏ حَمَلَتْهَا فَاخْتَصَمَ فِيهَا عَلِيٌّ وَزَيْدٌ وَجَعْفَرٌ‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ أَنَا أَخَذْتُهَا وَهْىَ بِنْتُ عَمِّي‏.‏ وَقَالَ جَعْفَرٌ ابْنَةُ عَمِّي وَخَالَتُهَا تَحْتِي‏.‏ وَقَالَ زَيْدٌ ابْنَةُ أَخِي‏.‏ فَقَضَى بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِخَالَتِهَا وَقَالَ ‏"‏ الْخَالَةُ بِمَنْزِلَةِ الأُمِّ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ لِعَلِيٍّ ‏"‏ أَنْتَ مِنِّي وَأَنَا مِنْكَ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ لِجَعْفَرٍ ‏"‏ أَشْبَهْتَ خَلْقِي وَخُلُقِي ‏"‏‏.‏ وَقَالَ لِزَيْدٍ ‏"‏ أَنْتَ أَخُونَا وَمَوْلاَنَا ‏"‏‏.‏ وَقَالَ عَلِيٌّ أَلاَ تَتَزَوَّجُ بِنْتَ حَمْزَةَ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ ‏"‏‏.‏

حدثني عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن ابي اسحاق، عن البراء ـ رضى الله عنه ـ قال لما اعتمر النبي صلى الله عليه وسلم في ذي القعدة، فابى اهل مكة ان يدعوه يدخل مكة، حتى قاضاهم على ان يقيم بها ثلاثة ايام، فلما كتبوا الكتاب كتبوا، هذا ما قاضى عليه محمد رسول الله‏.‏ قالوا لا نقر بهذا، لو نعلم انك رسول الله ما منعناك شيىا، ولكن انت محمد بن عبد الله‏.‏ فقال ‏"‏ انا رسول الله، وانا محمد بن عبد الله ‏"‏‏.‏ ثم قال لعلي ‏"‏ امح رسول الله ‏"‏‏.‏ قال علي لا والله لا امحوك ابدا‏.‏ فاخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم الكتاب، وليس يحسن يكتب، فكتب هذا ما قاضى محمد بن عبد الله لا يدخل مكة السلاح، الا السيف في القراب، وان لا يخرج من اهلها باحد، ان اراد ان يتبعه، وان لا يمنع من اصحابه احدا، ان اراد ان يقيم بها‏.‏ فلما دخلها ومضى الاجل اتوا عليا فقالوا قل لصاحبك اخرج عنا، فقد مضى الاجل‏.‏ فخرج النبي صلى الله عليه وسلم فتبعته ابنة حمزة تنادي يا عم يا عم‏.‏ فتناولها علي، فاخذ بيدها وقال لفاطمة ـ عليها السلام ـ دونك ابنة عمك‏.‏ حملتها فاختصم فيها علي وزيد وجعفر‏.‏ قال علي انا اخذتها وهى بنت عمي‏.‏ وقال جعفر ابنة عمي وخالتها تحتي‏.‏ وقال زيد ابنة اخي‏.‏ فقضى بها النبي صلى الله عليه وسلم لخالتها وقال ‏"‏ الخالة بمنزلة الام ‏"‏‏.‏ وقال لعلي ‏"‏ انت مني وانا منك ‏"‏‏.‏ وقال لجعفر ‏"‏ اشبهت خلقي وخلقي ‏"‏‏.‏ وقال لزيد ‏"‏ انت اخونا ومولانا ‏"‏‏.‏ وقال علي الا تتزوج بنت حمزة‏.‏ قال ‏"‏ انها ابنة اخي من الرضاعة ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Bara:

When the Prophet (ﷺ) went out for the `Umra in the month of Dhal-Qa'da, the people of Mecca did not allow him to enter Mecca till he agreed to conclude a peace treaty with them by virtue of which he would stay in Mecca for three days only (in the following year). When the agreement was being written, the Muslims wrote: "This is the peace treaty, which Muhammad, Apostle of Allah has concluded." The infidels said (to the Prophet), "We do not agree with you on this, for if we knew that you are Apostle of Allah we would not have prevented you for anything (i.e. entering Mecca, etc.), but you are Muhammad, the son of `Abdullah." Then he said to `Ali, "Erase (the name of) 'Apostle of Allah'." `Ali said, "No, by Allah, I will never erase you (i.e. your name)." Then Allah's Messenger (ﷺ) took the writing sheet...and he did not know a better writing..and he wrote or got it the following written! "This is the peace treaty which Muhammad, the son of `Abdullah, has concluded: "Muhammad should not bring arms into Mecca except sheathed swords, and should not take with him any person of the people of Mecca even if such a person wanted to follow him, and if any of his companions wants to stay in Mecca, he should not forbid him." (In the next year) when the Prophet (ﷺ) entered Mecca and the allowed period of stay elapsed, the infidels came to `Ali and said "Tell your companion (Muhammad) to go out, as the allowed period of his stay has finished." So the Prophet (ﷺ) departed (from Mecca) and the daughter of Hamza followed him shouting "O Uncle, O Uncle!" `Ali took her by the hand and said to Fatima, "Take the daughter of your uncle." So she made her ride (on her horse). (When they reached Medina) `Ali, Zaid and Ja`far quarreled about her. `Ali said, "I took her for she is the daughter of my uncle." Ja`far said, "She is the daughter of my uncle and her aunt is my wife." Zaid said, "She is the daughter of my brother." On that, the Prophet (ﷺ) gave her to her aunt and said, "The aunt is of the same status as the mother." He then said to `Ali, "You are from me, and I am from you," and said to Ja`far, "You resemble me in appearance and character," and said to Zaid, "You are our brother and our freed slave." `Ali said to the Prophet 'Won't you marry the daughter of Hamza?" The Prophet (ﷺ) said, "She is the daughter of my foster brother."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন

৩৯২৮। মুহাম্মদ ইবনু রাফি’ ও মুহাম্মদ ইবনু হুসাইন ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, উমরা পালনের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কা অভিমুখে) রওয়ানা করলে কুরায়শী কাফেররা তাঁর এবং বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ালো। কাজেই তিনি হুদায়বিয়া নামক স্থানেই কুরবানীর জন্তু যবেহ করলেন এবং মাথা মুন্ডন করলেন (হালাল হয়ে গেলেন), আর তিনি তাদের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি সম্পাদন করলেন যে, আগামী বছর তিনি উমরা পালনের জন্য আসবেন। কিন্তু তরবারি ব্যতীত অন্য কোন অস্ত্র সাথে আনবেন না এবং মক্কাবাসীরা যে ক’দিন ইচ্ছা করবে এর বেশি দিন তিনি সেখানে অবস্থান করবেন না। সে মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (পরবর্তী বছর উমরা পালন করতে আসলে) সম্পাদিত চুক্তিনামা অনুসারে তিনি মক্কায় প্রবেশ করলেন। তারপর তিন দিন অবস্থান করলে মক্কাবাসীরা তাঁকে চলে যেতে বলল। তাই তিনি (মক্কা থেকে) চলে গেলেন।

باب عُمْرَةُ الْقَضَاءِ ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا سُرَيْجٌ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مُعْتَمِرًا، فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ، فَنَحَرَ هَدْيَهُ، وَحَلَقَ رَأْسَهُ بِالْحُدَيْبِيَةِ، وَقَاضَاهُمْ عَلَى أَنْ يَعْتَمِرَ الْعَامَ الْمُقْبِلَ، وَلاَ يَحْمِلَ سِلاَحًا عَلَيْهِمْ إِلاَّ سُيُوفًا، وَلاَ يُقِيمَ بِهَا إِلاَّ مَا أَحَبُّوا، فَاعْتَمَرَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ، فَدَخَلَهَا كَمَا كَانَ صَالَحَهُمْ، فَلَمَّا أَنْ أَقَامَ بِهَا ثَلاَثًا أَمَرُوهُ أَنْ يَخْرُجَ، فَخَرَجَ‏.‏

حدثني محمد بن رافع، حدثنا سريج، حدثنا فليح، ح وحدثني محمد بن الحسين بن ابراهيم، قال حدثني ابي، حدثنا فليح بن سليمان، عن نافع، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج معتمرا، فحال كفار قريش بينه وبين البيت، فنحر هديه، وحلق راسه بالحديبية، وقاضاهم على ان يعتمر العام المقبل، ولا يحمل سلاحا عليهم الا سيوفا، ولا يقيم بها الا ما احبوا، فاعتمر من العام المقبل، فدخلها كما كان صالحهم، فلما ان اقام بها ثلاثا امروه ان يخرج، فخرج‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) set out with the intention of performing `Umra, but the infidels of Quraish intervened between him and the Ka`ba, so the Prophet (ﷺ) slaughtered his Hadi (i.e. sacrificing animals and shaved his head at Al-Hudaibiya and concluded a peace treaty with them (i.e. the infidels) on condition that he would perform the `Umra the next year and that he would not carry arms against them except swords, and would not stay (in Mecca) more than what they would allow. So the Prophet (ﷺ) performed the `Umra in the following year and according to the peace treaty, he entered Mecca, and when he had stayed there for three days, the infidels ordered him to leave, and he left.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন

৩৯২৯। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং উরওয়া ইবনু যুবায়র (রাঃ) মসজিদে নববীতে প্রবেশ করেই দেখলাম আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আয়িশা (রাঃ) এর হুজরার কিনারেই বসে আছেন। উরওয়া (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক’টি উমরা আদায় করেছিলেন? উত্তরে তিনি বললেন, চারটি। এ সময় আমরা (ঘরের ভিতরে) আয়িশা (রাঃ) এর মিসওয়াক করার আওয়াজ শুনতে পেলাম। উরওয়া (রাঃ) বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন! আবূ আবদুর রহমান [ইবনু উমর (রাঃ)] কি বলছেন, তা আপনি শুনেছেন কি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারটি উমরা করেছেন? আয়িশা (রাঃ) উত্তর দিলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কয়টি উমরা আদায় করেছিলেন তার সবটিতেই তিনি (ইবনু উমর) তাঁর সাথে ছিলেন। [তাই ইবনু উমর (রাঃ) ঠিকই বলবেন] তবে তিনি রজব মাসে কখনো উমরা আদায় করেননি।

باب عُمْرَةُ الْقَضَاءِ ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ جَالِسٌ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ ثُمَّ قَالَ كَمِ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَرْبَعًا ‏(‏إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ‏)‏ ثُمَّ سَمِعْنَا اسْتِنَانَ، عَائِشَةَ قَالَ عُرْوَةُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَلاَ تَسْمَعِينَ مَا يَقُولُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ‏.‏ فَقَالَتْ مَا اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عُمْرَةً إِلاَّ وَهْوَ شَاهِدُهُ، وَمَا اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ قَطُّ‏.‏

حدثني عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، عن منصور، عن مجاهد، قال دخلت انا وعروة بن الزبير المسجد، فاذا عبد الله بن عمر ـ رضى الله عنهما ـ جالس الى حجرة عاىشة ثم قال كم اعتمر النبي صلى الله عليه وسلم قال اربعا ‏(‏احداهن في رجب‏)‏ ثم سمعنا استنان، عاىشة قال عروة يا ام المومنين الا تسمعين ما يقول ابو عبد الرحمن ان النبي صلى الله عليه وسلم اعتمر اربع عمر‏.‏ فقالت ما اعتمر النبي صلى الله عليه وسلم عمرة الا وهو شاهده، وما اعتمر في رجب قط‏.‏


Narrated Mujahid:

`Urwa and I entered the Mosque and found `Abdullah bin `Umar sitting beside the dwelling place of `Aisha. `Urwa asked (Ibn `Umar), "How many `Umras did the Prophet (ﷺ) perform?" Ibn `Umar replied, "Four, one of which was in Rajab." Then we heard `Aisha brushing her teeth whereupon `Urwa said, "O mother of the believers! Don't you hear what Abu `Abdur-Rahman is saying? He is saying that the Prophet performed four `Umra, one of which was in Rajab." `Aisha said, "The Prophet (ﷺ) did not perform any `Umra but he (i.e. Ibn `Umar) witnessed it. And he (the Prophet (ﷺ) ) never did any `Umra in (the month of) Rajab."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুজাহিদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন

৩৯৩০। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উমরাতুল কাযা আদায় করছিলেন তখন আমরা তাঁকে মুশরিক ও তাদের যুবকদের থেকে (তাঁর চতুর্দিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে) আড়াল করে রেখেছিলাম যেন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কোন প্রকার কষ্ট বা আঘাত দিতে না পারে।

باب عُمْرَةُ الْقَضَاءِ ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، سَمِعَ ابْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولُ لَمَّا اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَتَرْنَاهُ مِنْ غِلْمَانِ الْمُشْرِكِينَ وَمِنْهُمْ، أَنْ يُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا سفيان، عن اسماعيل بن ابي خالد، سمع ابن ابي اوفى، يقول لما اعتمر رسول الله صلى الله عليه وسلم سترناه من غلمان المشركين ومنهم، ان يوذوا رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Ibn Abi `Aufa:

When Allah's Messenger (ﷺ) performed the `Umra (which he performed in the year following the treaty of Al-Hudaibiya) we were screening Allah's Messenger (ﷺ) from the infidels and their boys lest they should harm him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন

৩৯৩১। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ (উমরাতুল ’কাযা আদায়ের উদ্দেশ্যে মক্কা) আগমন করলে মুশরিকরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল যে, তোমাদের সামনে এমন একদল লোক আসছে, ইয়াসরিবের জ্বর যাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছে। এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে প্রথম তিন সাওত বা চক্করে দেহ হেলিয়ে দুলিয়ে চলার জন্য এবং দু’ রুকনের মধ্যবর্তী স্থানে স্বাভাবিকভাবে চলতে নির্দেশ দেন। অবশ্য তিনি তাঁদেরকে সবকটি চক্করেই হেলে দুলে চলার আদেশ করতেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি তাঁর অনুভূতিই কেবল তাঁকে এ হুকুম দেওয়া থেকে বিরত রেখেছিল।

অন্য এক সনদে ইবনু সালমা (রহঃ) আইয়ূব ও সাঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ)-এর মাধ্যমে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, সন্ধি সম্পাদনের মাধ্যমে নিরাপত্তা লাভের পরবর্তী বছর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কায়) আগমন করলেন তখন মুশরিকরা যেন সাহাবীদের দৈহিক-বল অবলোকন করতে পারে এজন্য তিনি তাঁদের বলেছেন, তোমরা হেলেদুলে তাওয়াফ করো। এ সময় মুশরিকরা কুআয়কিআন পাহাড়ের দিক থেকে মুসলিমদেরকে দেখছিল।*

باب عُمْرَةُ الْقَضَاءِ ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ ـ هُوَ ابْنُ زَيْدٍ ـ عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ إِنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيْكُمْ وَفْدٌ وَهَنَهُمْ حُمَّى يَثْرِبَ‏.‏ وَأَمَرَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَرْمُلُوا الأَشْوَاطَ الثَّلاَثَةَ، وَأَنْ يَمْشُوا مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ، وَلَمْ يَمْنَعْهُ أَنْ يَأْمُرَهُمْ أَنْ يَرْمُلُوا الأَشْوَاطَ كُلَّهَا إِلاَّ الإِبْقَاءُ عَلَيْهِمْ‏.‏ وَزَادَ ابْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِعَامِهِ الَّذِي اسْتَأْمَنَ قَالَ ارْمُلُوا لِيَرَى الْمُشْرِكُونَ قُوَّتَهُمْ، وَالْمُشْرِكُونَ مِنْ قِبَلِ قُعَيْقِعَانَ‏.‏

حدثنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد ـ هو ابن زيد ـ عن ايوب، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ قال قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم واصحابه فقال المشركون انه يقدم عليكم وفد وهنهم حمى يثرب‏.‏ وامرهم النبي صلى الله عليه وسلم ان يرملوا الاشواط الثلاثة، وان يمشوا ما بين الركنين، ولم يمنعه ان يامرهم ان يرملوا الاشواط كلها الا الابقاء عليهم‏.‏ وزاد ابن سلمة عن ايوب عن سعيد بن جبير عن ابن عباس قال لما قدم النبي صلى الله عليه وسلم لعامه الذي استامن قال ارملوا ليرى المشركون قوتهم، والمشركون من قبل قعيقعان‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

When Allah's Messenger (ﷺ) and his companions arrived (at Mecca), the pagans said, "There have come to you a group of people who have been weakened by the fever of Yathrib (i.e. Medina)." So the Prophet (ﷺ) ordered his companions to do Ramal (i.e. fast walking) in the first three rounds of Tawaf around the Ka`ba and to walk in between the two corners (i.e. the black stone and the Yemenite corner). The only cause which prevented the Prophet (ﷺ) from ordering them to do Ramal in all the rounds of Tawaf, was that he pitied them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন

৩৯৩২। মুহাম্মদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ্ এবং সাফা ও মারওয়া এর মধ্যখানে এ জন্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’সায়ী’ করেছিলেন, যেন মুশরিকদেরকে তাঁর শৌর্য-বীর্য অবলোকন করাতে পারেন।

باب عُمْرَةُ الْقَضَاءِ ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ إِنَّمَا سَعَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِيُرِيَ الْمُشْرِكِينَ قُوَّتَهُ‏.‏

حدثني محمد، عن سفيان بن عيينة، عن عمرو، عن عطاء، عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ قال انما سعى النبي صلى الله عليه وسلم بالبيت وبين الصفا والمروة ليري المشركين قوته‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) hastened in going around the Ka`ba and between the Safa and Marwa in order to show the pagans his strength. Ibn `Abbas added, "When the Prophet (ﷺ) arrived (at Mecca) in the year of peace (following that of Al-Hudaibiya treaty with the pagans of Mecca), he (ordered his companions) to do Ramal in order to show their strength to the pagans and the pagans were watching (the Muslims) from (the hill of) Quaiqan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন

৩৯৩৩। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় মায়মূনা (রাঃ) কে বিয়ে করেছেন এবং (ইহরাম খোলার পরে) হালাল অবস্থায় তিনি তাঁর সাথে বাসর যাপন করেন। মায়মূনা (রাঃ) (মক্কার নিকটেই) সারিফ নামক স্থানে ইন্তেকাল করেছেন।

[ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন] অপর একটি সনদে ইবনু ইসহাক-ইবনু আবূ নাজীহ্ ও আবান ইবনু সালিহ-আতা ও মুজাহিদ (রহঃ)-ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে অতিরিক্ত এতটুকু বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরাতুল কাযা আদায়ের সফরে মায়মূনা (রাঃ) কে বিয়ে করেছিলেন।

باب عُمْرَةُ الْقَضَاءِ ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَيْمُونَةَ وَهْوَ مُحْرِمٌ، وَبَنَى بِهَا وَهْوَ حَلاَلٌ وَمَاتَتْ بِسَرِفَ‏.‏
وَزَادَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ، وَأَبَانُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَطَاءٍ، وَمُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَيْمُونَةَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا وهيب، حدثنا ايوب، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال تزوج النبي صلى الله عليه وسلم ميمونة وهو محرم، وبنى بها وهو حلال وماتت بسرف‏.‏ وزاد ابن اسحاق حدثني ابن ابي نجيح، وابان بن صالح، عن عطاء، ومجاهد، عن ابن عباس، قال تزوج النبي صلى الله عليه وسلم ميمونة في عمرة القضاء‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) married Maimuna while he was in the state of lhram but he consummated that marriage after finishing that state. Maimuna died at Saraf (i.e. a place near Mecca).

Ibn `Abbas added:
The Prophet married Maimuna during the `Umrat-al-Qada' (i.e. the `Umra performed in lieu of the `Umra which the Prophet (ﷺ) could not perform because the pagans, prevented him to perform that `Umra).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে