পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৭৯৭। ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধের দিন তিনি (ইবনু উমর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য) নিজেকে পেশ করার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমুতি দেননি। তখন তাঁর বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। তবে খন্দকের যুদ্ধের দিন তিনি (যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য) নিজেকে পেশ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি দিলেন। তখন তাঁর বয়স পনের বছর।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَرَضَهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَهْوَ ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فَلَمْ يُجِزْهُ، وَعَرَضَهُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَهْوَ ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ فَأَجَازَهُ‏.‏

حدثنا يعقوب بن ابراهيم، حدثنا يحيى بن سعيد، عن عبيد الله، قال اخبرني نافع، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ان النبي صلى الله عليه وسلم عرضه يوم احد وهو ابن اربع عشرة فلم يجزه، وعرضه يوم الخندق وهو ابن خمس عشرة فاجازه‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

That the Prophet (ﷺ) inspected him on the day of Uhud while he was fourteen years old, and the Prophet (ﷺ) did not allow him to take part in the battle. He was inspected again by the Prophet (ﷺ) on the day of Al- Khandaq (i.e. battle of the Trench) while he was fifteen years old, and the Prophet (ﷺ) allowed him to take Part in the battle.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৭৯৮। কুতায়বা (রহঃ) ... সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, পরিখা খননের কাজে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তাঁরা পরিখা খনন করেছিলেন আর আমরা কাঁধে করে মাটি বহন করেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাদের জন্য দোয়া করে) বলেছিলেন, হে আল্লাহ, আখিরাতের শান্তিই প্রকৃত শান্তি। আপনি মুহাজির এবং আনসারদের ক্ষমা করে দেন।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنِي قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَنْدَقِ، وَهُمْ يَحْفِرُونَ، وَنَحْنُ نَنْقُلُ التُّرَابَ عَلَى أَكْتَادِنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الآخِرَهْ، فَاغْفِرْ لِلْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ ‏"‏‏.‏

حدثني قتيبة، حدثنا عبد العزيز، عن ابي حازم، عن سهل بن سعد ـ رضى الله عنه ـ قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في الخندق، وهم يحفرون، ونحن ننقل التراب على اكتادنا، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اللهم لا عيش الا عيش الاخره، فاغفر للمهاجرين والانصار ‏"‏‏.‏


Narrated Sahl bin Sa`d:

We were with Allah's Messenger (ﷺ) in the Trench, and some were digging the trench while we were carrying the earth on our shoulders. Allah's Messenger (ﷺ) said, 'O Allah! There is no life except the life of the Hereafter, so please forgive the Emigrants and the Ansar."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৭৯৯। আবদুল্লাহ‌ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে পরিখা খননের স্থানে উপস্থিত হন। এ সময় মুহাজির এবং আনসারগণ ভোরে তীব্র শীতের মধ্যে পরিখা খনন করছিলেন। তাদের কোনো গোলাম ছিলনা যারা তাদের পক্ষ হতে এ কাজ করে দেবে। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের অনাহার ও কষ্ট ক্লেশ দেখতে পান, তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আখিরাতের শান্তিই প্রকৃত শান্তি; তাই আপনি আনসার ও মুহাজিরদের ক্ষমা করে দিন। সাহাবীগণ এর উত্তরে বললেন, “আমরা সে সব লোক, যারা জিহাদের আত্মনিয়োগ করার ব্যাপারে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বায়আত গ্রহণ করেছি, যতদিন আমরা জীবিত থাকি ততদিন পর্যন্ত।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ حُمَيْدٍ، سَمِعْتُ أَنَسًا ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْخَنْدَقِ، فَإِذَا الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ يَحْفِرُونَ فِي غَدَاةٍ بَارِدَةٍ، فَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ عَبِيدٌ يَعْمَلُونَ ذَلِكَ لَهُمْ، فَلَمَّا رَأَى مَا بِهِمْ مِنَ النَّصَبِ وَالْجُوعِ قَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ إِنَّ الْعَيْشَ عَيْشُ الآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ ‏"‏ فَقَالُوا مُجِيبِينَ لَهُ نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدَا عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِينَا أَبَدَا

حدثنا عبد الله بن محمد، حدثنا معاوية بن عمرو، حدثنا ابو اسحاق، عن حميد، سمعت انسا ـ رضى الله عنه ـ يقول خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم الى الخندق، فاذا المهاجرون والانصار يحفرون في غداة باردة، فلم يكن لهم عبيد يعملون ذلك لهم، فلما راى ما بهم من النصب والجوع قال ‏ "‏ اللهم ان العيش عيش الاخره فاغفر للانصار والمهاجره ‏"‏ فقالوا مجيبين له نحن الذين بايعوا محمدا على الجهاد ما بقينا ابدا


Narrated Anas:

Allah's Messenger (ﷺ) went out towards the Khandaq (i.e. Trench) and saw the Emigrants and the Ansar digging the trench in the cold morning. They had no slaves to do that (work) for them. When the Prophet saw their hardship and hunger, he said, 'O Allah! The real life is the life of the Hereafter, so please forgive Ansar and the Emigrants." They said in reply to him, "We are those who have given the Pledge of allegiances to Muhammad for to observe Jihad as long as we live."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০০। আবূ মা’মার (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনসার ও মুহাজিরগণ মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করেছিলেন এবং নিজ নিজ পিঠে মাটি বহন করেছিলেন। আর (আনন্দ কন্ঠে) আবৃত্তি করেছিলেন, “আমরা তো সে সব লোক যারা ইসলামের ব্যাপারে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বায়আত গ্রহণ করেছি, যতদিন আমরা জীবিত থাকি ততদিনের জন্য”। বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের এ কথার উত্তরে বলতেন, হে আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণ ব্যতিত আর কোন কল্যাণ নেই, তাই আনসার ও মুহাজিরদের কাজে বরকত দান করুন। বর্ণনাকারী [আনাস (রাঃ)] বর্ণনা করেছেন যে, (পরিখা খননের সময়) তাদেরকে এক মুষ্টি ভরে যব দেওয়া হত। তা বাসি, স্বাদবিকৃত চর্বিতে মিশিয়ে খানা পাকিয়ে ক্ষুধার্ত কাওমের সামনে পরিবেশন করা হত। অথচ এ খাদ্য ছিল একেবারে স্বাদহীন ও ভীষণ দুর্গন্ধময়।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ جَعَلَ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ يَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ حَوْلَ الْمَدِينَةِ، وَيَنْقُلُونَ التُّرَابَ عَلَى مُتُونِهِمْ وَهُمْ يَقُولُونَ نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدَا عَلَى الإِسْلاَمِ مَا بَقِينَا أَبَدَا قَالَ يَقُولُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يُجِيبُهُمُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ إِنَّهُ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُ الآخِرَهْ، فَبَارِكْ فِي الأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ ‏"‏‏.‏ قَالَ يُؤْتَوْنَ بِمِلْءِ كَفَّى مِنَ الشَّعِيرِ فَيُصْنَعُ لَهُمْ بِإِهَالَةٍ سَنِخَةٍ تُوضَعُ بَيْنَ يَدَىِ الْقَوْمِ، وَالْقَوْمُ جِيَاعٌ، وَهْىَ بَشِعَةٌ فِي الْحَلْقِ وَلَهَا رِيحٌ مُنْتِنٌ‏.‏

حدثنا ابو معمر، حدثنا عبد الوارث، عن عبد العزيز، عن انس ـ رضى الله عنه ـ قال جعل المهاجرون والانصار يحفرون الخندق حول المدينة، وينقلون التراب على متونهم وهم يقولون نحن الذين بايعوا محمدا على الاسلام ما بقينا ابدا قال يقول النبي صلى الله عليه وسلم وهو يجيبهم ‏ "‏ اللهم انه لا خير الا خير الاخره، فبارك في الانصار والمهاجره ‏"‏‏.‏ قال يوتون بملء كفى من الشعير فيصنع لهم باهالة سنخة توضع بين يدى القوم، والقوم جياع، وهى بشعة في الحلق ولها ريح منتن‏.‏


Narrated Anas:

Al-Muhajirun (i.e. the Emigrants) and the Ansar were digging the trench around Medina and were carrying the earth on their backs while saying, "We are those who have given the pledge of allegiance to Muhammad for Islam as long as we live." The Prophet (ﷺ) said in reply to their saying, "O Allah! There is no goodness except the goodness of the Hereafter; so please grant Your Blessing to the Ansar and the Emigrants." The people used to bring a handful of barley, and a meal used to be prepared thereof by cooking it with a cooking material (i.e. oil, fat and butter having a change in color and smell) and it used to be presented to the people (i.e. workers) who were hungry, and it used to stick to their throats and had a nasty smell.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০১। খাল্লাদ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) ... আয়মান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ) এর নিকট গেলে তিনি বললেন, খন্দক যুদ্ধের দিন আমরা পরিখা খনন করেছিলাম। এ সময় একখন্ড কঠিন পাথর বেরিয়ে আসলে (যা ভাঙ্গা যাচ্ছিল না) সকলেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, খন্দকের মাঝে একখন্ড শক্ত পাথর বেরিয়েছে (আমরা তা ভাংতে পারছি না)। এ কথা শুনে তিনি বললেন, আমি নিজে খন্দকে অবতরণ করব। এরপর তিনি দাঁড়ালেন। এ সময় তাঁর পেটে একটি পাথর বাঁধা ছিল।

আর আমরাও তিন দিন পর্যন্ত অনাহারী ছিলাম। কোনো কিছুর স্বাদও গ্রহণ করিনি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা কোদাল হাতে নিয়ে প্রস্তরখন্ডে আঘাত করলেন। ফলে তৎক্ষণাৎ তা চূর্ণ হয়ে বালুকারাশিতে পরিণত হল। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুমতি দিন। (তিনি অনুমতি দিলে বাড়ি পৌঁছে) আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে আমি এমন কিছু দেখলাম যা আমি সহ্য করতে পারছি না। তোমার নিকট কোনো খাবার আছে কি?

সে বলল, আমার কাছে কিছু যব ও একটি বকরীর বাচ্চা আছে। তখন বকরীর বাচ্চাটি আমি যবেহ করলাম। এবং সে (আমার স্ত্রী) যব পিষে দিল। এরপর মাংস ডেকচিতে দিয়ে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলাম। এ সময় আটা খামির হচ্ছিল এবং ডেকচি চুলার উপর ছিল ও মাংস প্রায় রান্না হয়ে আসছিল। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার (বাড়িতে) সামান্য কিছু খাবার আছে। আপনি একজন বা দুইজন সাথে নিয়ে চলুন। তিনি বললেন, কি পরিমাণ খাবার আছে? আমি তার নিকট সব খুলে বললে তিনি বললেন, এ তো অনেক উত্তম। এরপর তিনি আমাকে ডেকে বললেন, তুমি তোমার স্ত্রীকে গিয়ে বল, সে যেন আমি না আসা পর্যন্ত উনান থেকে ডেকচি ও রুটি না নামায়।

এরপর তিনি বললেন, উঠ! (জাবির তোমাদের খাবার দাওয়াত দিয়েছে) মুহাজিরগণ উঠলেন (এবং চলতে লাগলেন)। জাবির (রাঃ) তার স্ত্রীর নিকট গিয়ে বললেন, তোমার সর্বনাশ হোক! (এখন কি হবে?) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো মুহাজির, আনসার এবং তাঁদের অন্য সাথীদের নিয়ে চলে আসছেন। তিনি (জাবিরের স্ত্রী) বললেন, তিনি কি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন? আমি বললাম, হ্যাঁ।

এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উপস্থিত হয়ে) বললেন, তোমরা সকলেই প্রবেশ কর এবং ভিড় করনা। এ বলে তিনি রুটি টুকরো করে এর উপর মাংস দিয়ে তিনি সাহাবীগণের নিকট তা বিতরণ করতে শুরু করলেন। (এগুলো পরিবেশন করার সময়) তিনি ডেকচি এবং উনান ঢেকে রেখেছিলেন। এমনি করে তিনি রুটি টুকরো করে হাত ভরে বিতরণ করতে লাগলেন। এতে সকলে পেট ভরে খাবার পরেও কিছু বাকী রয়ে গেল। তাই তিনি (জাবিরের স্ত্রীকে) বললেন, এ তুমি খাও এবং অন্যকে হাদিয়া দাও। কেননা লোকদেরও ক্ষুধা পেয়েছে।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْتُ جَابِرًا ـ رضى الله عنه ـ فَقَالَ إِنَّا يَوْمَ الْخَنْدَقِ نَحْفِرُ فَعَرَضَتْ كُدْيَةٌ شَدِيدَةٌ، فَجَاءُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا هَذِهِ كُدْيَةٌ عَرَضَتْ فِي الْخَنْدَقِ، فَقَالَ ‏"‏ أَنَا نَازِلٌ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ قَامَ وَبَطْنُهُ مَعْصُوبٌ بِحَجَرٍ، وَلَبِثْنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ لاَ نَذُوقُ ذَوَاقًا، فَأَخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمِعْوَلَ فَضَرَبَ، فَعَادَ كَثِيبًا أَهْيَلَ أَوْ أَهْيَمَ، فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي إِلَى الْبَيْتِ‏.‏ فَقُلْتُ لاِمْرَأَتِي رَأَيْتُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا، مَا كَانَ فِي ذَلِكَ صَبْرٌ، فَعِنْدَكِ شَىْءٌ قَالَتْ عِنْدِي شَعِيرٌ وَعَنَاقٌ‏.‏ فَذَبَحْتُ الْعَنَاقَ وَطَحَنَتِ الشَّعِيرَ، حَتَّى جَعَلْنَا اللَّحْمَ فِي الْبُرْمَةِ، ثُمَّ جِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَالْعَجِينُ قَدِ انْكَسَرَ، وَالْبُرْمَةُ بَيْنَ الأَثَافِيِّ قَدْ كَادَتْ أَنْ تَنْضَجَ فَقُلْتُ طُعَيِّمٌ لِي، فَقُمْ أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرَجُلٌ أَوْ رَجُلاَنِ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَمْ هُوَ ‏"‏‏.‏ فَذَكَرْتُ لَهُ، قَالَ ‏"‏ كَثِيرٌ طَيِّبٌ ‏"‏‏.‏ قَالَ ‏"‏ قُلْ لَهَا لاَ تَنْزِعُ الْبُرْمَةَ وَلاَ الْخُبْزَ مِنَ التَّنُّورِ حَتَّى آتِيَ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ قُومُوا ‏"‏‏.‏ فَقَامَ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ قَالَ وَيْحَكِ جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ وَمَنْ مَعَهُمْ‏.‏ قَالَتْ هَلْ سَأَلَكَ قُلْتُ نَعَمْ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ ادْخُلُوا وَلاَ تَضَاغَطُوا ‏"‏‏.‏ فَجَعَلَ يَكْسِرُ الْخُبْزَ وَيَجْعَلُ عَلَيْهِ اللَّحْمَ، وَيُخَمِّرُ الْبُرْمَةَ وَالتَّنُّورَ إِذَا أَخَذَ مِنْهُ، وَيُقَرِّبُ إِلَى أَصْحَابِهِ ثُمَّ يَنْزِعُ، فَلَمْ يَزَلْ يَكْسِرُ الْخُبْزَ وَيَغْرِفُ حَتَّى شَبِعُوا وَبَقِيَ بَقِيَّةٌ قَالَ ‏"‏ كُلِي هَذَا وَأَهْدِي، فَإِنَّ النَّاسَ أَصَابَتْهُمْ مَجَاعَةٌ ‏"‏‏.‏

حدثنا خلاد بن يحيى، حدثنا عبد الواحد بن ايمن، عن ابيه، قال اتيت جابرا ـ رضى الله عنه ـ فقال انا يوم الخندق نحفر فعرضت كدية شديدة، فجاءوا النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا هذه كدية عرضت في الخندق، فقال ‏"‏ انا نازل ‏"‏‏.‏ ثم قام وبطنه معصوب بحجر، ولبثنا ثلاثة ايام لا نذوق ذواقا، فاخذ النبي صلى الله عليه وسلم المعول فضرب، فعاد كثيبا اهيل او اهيم، فقلت يا رسول الله اىذن لي الى البيت‏.‏ فقلت لامراتي رايت بالنبي صلى الله عليه وسلم شيىا، ما كان في ذلك صبر، فعندك شىء قالت عندي شعير وعناق‏.‏ فذبحت العناق وطحنت الشعير، حتى جعلنا اللحم في البرمة، ثم جىت النبي صلى الله عليه وسلم والعجين قد انكسر، والبرمة بين الاثافي قد كادت ان تنضج فقلت طعيم لي، فقم انت يا رسول الله ورجل او رجلان‏.‏ قال ‏"‏ كم هو ‏"‏‏.‏ فذكرت له، قال ‏"‏ كثير طيب ‏"‏‏.‏ قال ‏"‏ قل لها لا تنزع البرمة ولا الخبز من التنور حتى اتي ‏"‏‏.‏ فقال ‏"‏ قوموا ‏"‏‏.‏ فقام المهاجرون والانصار، فلما دخل على امراته قال ويحك جاء النبي صلى الله عليه وسلم بالمهاجرين والانصار ومن معهم‏.‏ قالت هل سالك قلت نعم‏.‏ فقال ‏"‏ ادخلوا ولا تضاغطوا ‏"‏‏.‏ فجعل يكسر الخبز ويجعل عليه اللحم، ويخمر البرمة والتنور اذا اخذ منه، ويقرب الى اصحابه ثم ينزع، فلم يزل يكسر الخبز ويغرف حتى شبعوا وبقي بقية قال ‏"‏ كلي هذا واهدي، فان الناس اصابتهم مجاعة ‏"‏‏.‏


Narrated Jabir:

We were digging (the trench) on the day of (Al-Khandaq ( i.e. Trench )) and we came across a big solid rock. We went to the Prophet (ﷺ) and said, "Here is a rock appearing across the trench." He said, "I am coming down." Then he got up, and a stone was tied to his belly for we had not eaten anything for three days. So the Prophet (ﷺ) took the spade and struck the big solid rock and it became like sand. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Allow me to go home." (When the Prophet (ﷺ) allowed me) I said to my wife, "I saw the Prophet (ﷺ) in a state that I cannot treat lightly. Have you got something (for him to eat?" She replied, "I have barley and a she goat." So I slaughtered the she-kid and she ground the barley; then we put the meat in the earthenware cooking pot. Then I came to the Prophet (ﷺ) when the dough had become soft and fermented and (the meat in) the pot over the stone trivet had nearly been well-cooked, and said, "I have got a little food prepared, so get up O Allah's Messenger (ﷺ), you and one or two men along with you (for the food)." The Prophet (ﷺ) asked, "How much is that food?" I told him about it. He said, "It is abundant and good. Tell your wife not to remove the earthenware pot from the fire and not to take out any bread from the oven till I reach there." Then he said (to all his companions), "Get up." So the Muhajirn (i.e. Emigrants) and the Ansar got up. When I came to my wife, I said, "Allah's Mercy be upon you! The Prophet came along with the Muhajirin and the Ansar and those who were present with them." She said, "Did the Prophet (ﷺ) ask you (how much food you had)?" I replied, "Yes." Then the Prophet (ﷺ) said, "Enter and do not throng." The Prophet (ﷺ) started cutting the bread (into pieces) and put the cooked meat over it. He covered the earthenware pot and the oven whenever he took something out of them. He would give the food to his companions and take the meat out of the pot. He went on cutting the bread and scooping the meat (for his companions) till they all ate their fill, and even then, some food remained. Then the Prophet (ﷺ) said (to my wife), "Eat and present to others as the people are struck with hunger."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়মান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০২। আম্‌র ইবনু আলী (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন পরিখা খনন করা হচ্ছিল তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভীষণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখতে পেলাম। তখন আমি আমার স্ত্রীর কাছে ফিরে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার কাছে কোনো কিছু আছে কি? আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দারুণ ক্ষুধার্ত দেখেছি। (এ কথা শুনে) তিনি একটি চামড়ার পাত্র এনে তা থেকে এক সা’ পরিমাণ যব বের করে দিলেন। আমাদের গৃহপালিত একটি বকরীর বাচ্চা ছিল। আমি সেটি যবেহ‌ করলাম এবং মাংস কেটে কেটে ডেকচিতে ভরলাম। আর সে (আমার স্ত্রী) যব পিষে দিল। আমি আমার কাজ শেষ করে চললাম।

তখন সে (স্ত্রী) বলল, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের নিকট লজ্জিত করবেন না। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে চুপে চুপে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আমাদের একটি বকরীর বাচ্চা যবেহ করেছি এবং আমাদের ঘরে এক সা’ যব ছিল। তা আমার স্ত্রী পিষে দিয়েছে। আপনি আরো কয়েকজন কে সাথে নিয়ে আসুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চ স্বরে সবাইকে বললেন, হে পরিখা খননকারীগণ! জাবির খানার ব্যবস্থা করেছে। এসো, তোমরা সকলেই চল।

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার আসার পূর্বে তোমাদের ডেকচি নামাবে না এবং খামির থেকে রুটিও তৈরি করবে না। আমি (বাড়িতে) আসলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবা-ই-কিরাম সহ তাশরীফ আনলেন, এরপর আমি আমার স্ত্রীর নিকট আসলে সে বলল, আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন। (তুমি এ কি করলে? এতগুলো লোক নিয়ে আসলে? অথচ খাদ্য একেবারে নগন্য) আমি বললাম, তুমি যা বলেছ আমি তাই করেছি। এরপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে আটার খামির বের করে দিলে তিনি তাতে মুখের লালা মিশিয়ে দিলেন এবং বরকতের জন্য দোয়া করলেন।

এরপর তিনি ডেকচির দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তাতে মুখের লালা মিশিয়ে এর জন্য বরকতের দোয়া করলেন। তারপর বললেন, (হে জাবির) রুটি প্রস্তুতকারিনীকে ডাকো। সে আমার কাছে বসে রুটি প্রস্তুত করুক এবং ডেকচি থেকে পেয়ালা ভরে মাংস পরিবেশন করুক। তবে চুলা থেকে ডেকচি নামাবে না। তাঁরা (আগন্তুক সাহাবা-ই-কিরাম) ছিলেন সংখ্যায় এক হাজার। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, তাঁরা সকলেই তৃপ্তি সহকারে খেয়ে অবশিষ্ট খাদ্য রেখে চলে গেলেন। অথচ আমাদের ডেকচি পূর্বের ন্যায় তখনও টগবগ করছিল এবং আমাদের আটার খামির থেকেও পূর্বের মত রুটি তৈরি হচ্ছিল।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَمَّا حُفِرَ الْخَنْدَقُ رَأَيْتُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَمَصًا شَدِيدًا، فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأَتِي فَقُلْتُ هَلْ عِنْدَكِ شَىْءٌ فَإِنِّي رَأَيْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصًا شَدِيدًا‏.‏ فَأَخْرَجَتْ إِلَىَّ جِرَابًا فِيهِ صَاعٌ مِنْ شَعِيرٍ، وَلَنَا بُهَيْمَةٌ دَاجِنٌ فَذَبَحْتُهَا، وَطَحَنَتِ الشَّعِيرَ فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغِي، وَقَطَّعْتُهَا فِي بُرْمَتِهَا، ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لاَ تَفْضَحْنِي بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبِمَنْ مَعَهُ‏.‏ فَجِئْتُهُ فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَبَحْنَا بُهَيْمَةً لَنَا وَطَحَنَّا صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ كَانَ عِنْدَنَا، فَتَعَالَ أَنْتَ وَنَفَرٌ مَعَكَ‏.‏ فَصَاحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ يَا أَهْلَ الْخَنْدَقِ، إِنَّ جَابِرًا قَدْ صَنَعَ سُورًا فَحَىَّ هَلاً بِكُمْ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تُنْزِلُنَّ بُرْمَتَكُمْ، وَلاَ تَخْبِزُنَّ عَجِينَكُمْ حَتَّى أَجِيءَ ‏"‏‏.‏ فَجِئْتُ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْدُمُ النَّاسَ حَتَّى جِئْتُ امْرَأَتِي، فَقَالَتْ بِكَ وَبِكَ‏.‏ فَقُلْتُ قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي قُلْتِ‏.‏ فَأَخْرَجَتْ لَهُ عَجِينًا، فَبَصَقَ فِيهِ وَبَارَكَ، ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بُرْمَتِنَا فَبَصَقَ وَبَارَكَ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ ادْعُ خَابِزَةً فَلْتَخْبِزْ مَعِي وَاقْدَحِي مِنْ بُرْمَتِكُمْ وَلاَ تُنْزِلُوهَا‏"‏، وَهُمْ أَلْفٌ، فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لَقَدْ أَكَلُوا حَتَّى تَرَكُوهُ وَانْحَرَفُوا، وَإِنَّ بُرْمَتَنَا لَتَغِطُّ كَمَا هِيَ، وَإِنَّ عَجِينَنَا لَيُخْبَزُ كَمَا هُوَ‏.‏

حدثني عمرو بن علي، حدثنا ابو عاصم، اخبرنا حنظلة بن ابي سفيان، اخبرنا سعيد بن ميناء، قال سمعت جابر بن عبد الله ـ رضى الله عنهما ـ قال لما حفر الخندق رايت بالنبي صلى الله عليه وسلم خمصا شديدا، فانكفات الى امراتي فقلت هل عندك شىء فاني رايت برسول الله صلى الله عليه وسلم خمصا شديدا‏.‏ فاخرجت الى جرابا فيه صاع من شعير، ولنا بهيمة داجن فذبحتها، وطحنت الشعير ففرغت الى فراغي، وقطعتها في برمتها، ثم وليت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت لا تفضحني برسول الله صلى الله عليه وسلم وبمن معه‏.‏ فجىته فساررته فقلت يا رسول الله ذبحنا بهيمة لنا وطحنا صاعا من شعير كان عندنا، فتعال انت ونفر معك‏.‏ فصاح النبي صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ يا اهل الخندق، ان جابرا قد صنع سورا فحى هلا بكم ‏"‏‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا تنزلن برمتكم، ولا تخبزن عجينكم حتى اجيء ‏"‏‏.‏ فجىت وجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم يقدم الناس حتى جىت امراتي، فقالت بك وبك‏.‏ فقلت قد فعلت الذي قلت‏.‏ فاخرجت له عجينا، فبصق فيه وبارك، ثم عمد الى برمتنا فبصق وبارك ثم قال ‏"‏ ادع خابزة فلتخبز معي واقدحي من برمتكم ولا تنزلوها‏"‏، وهم الف، فاقسم بالله لقد اكلوا حتى تركوه وانحرفوا، وان برمتنا لتغط كما هي، وان عجيننا ليخبز كما هو‏.‏


Narrated Jabir bin `Abdullah:

When the Trench was dug, I saw the Prophet (ﷺ) in the state of severe hunger. So I returned to my wife and said, "Have you got anything (to eat), for I have seen Allah's Messenger (ﷺ) in a state of severe hunger." She brought out for me, a bag containing one Sa of barley, and we had a domestic she animal (i.e. a kid) which I slaughtered then, and my wife ground the barley and she finished at the time I finished my job (i.e. slaughtering the kid). Then I cut the meat into pieces and put it in an earthenware (cooking) pot, and returned to Allah's Messenger (ﷺ) . My wife said, "Do not disgrace me in front of Allah's Apostle and those who are with him." So I went to him and said to him secretly, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have slaughtered a she-animal (i.e. kid) of ours, and we have ground a Sa of barley which was with us. So please come, you and another person along with you." The Prophet (ﷺ) raised his voice and said, "O people of Trench ! Jabir has prepared a meal so let us go." Allah's Messenger (ﷺ) said to me, "Don't put down your earthenware meat pot (from the fireplace) or bake your dough till I come." So I came (to my house) and Allah's Messenger (ﷺ) too, came, proceeding before the people. When I came to my wife, she said, "May Allah do so-and-so to you." I said, "I have told the Prophet (ﷺ) of what you said." Then she brought out to him (i.e. the Prophet (ﷺ) the dough, and he spat in it and invoked for Allah's Blessings in it. Then he proceeded towards our earthenware meat-pot and spat in it and invoked for Allah's Blessings in it. Then he said (to my wife). Call a lady-baker to bake along with you and keep on taking out scoops from your earthenware meat-pot, and do not put it down from its fireplace." They were onethousand (who took their meals), and by Allah they all ate, and when they left the food and went away, our earthenware pot was still bubbling (full of meat) as if it had not decreased, and our dough was still being baked as if nothing had been taken from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০৩। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যখন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল উঁচু অঞ্চল ও নীচু অঞ্চল হতে এবং তোমাদের চক্ষু বিস্ফোরিত হয়েছিল .... (৩৩ঃ ১০) তিনি বলেন, এ আয়াতখানা খন্দকের যুদ্ধে নাযিল হয়েছে।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها ‏(‏إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الأَبْصَارُ‏)‏ قَالَتْ كَانَ ذَاكَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ‏.‏

حدثني عثمان بن ابي شيبة، حدثنا عبدة، عن هشام، عن ابيه، عن عاىشة، رضى الله عنها ‏(‏اذ جاءوكم من فوقكم ومن اسفل منكم واذ زاغت الابصار‏)‏ قالت كان ذاك يوم الخندق‏.‏


Narrated `Aisha:

As regards the following Qur'anic Verse:-- "When they came on you from above and from below you (from east and west of the valley) and when the eyes grew wild and the hearts reached up to the throats....." (33.10) That happened on the day of Al-Khandaq (i.e. Trench).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০৪। মুসলিম ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দক যুদ্ধের দিন মাটি বহন করেছিলেন। এমনকি মাটি তাঁর পেট ঢেকে ফেলেছিল অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) তাঁর পেট ধূলায় আছন্ন হয়ে গিয়েছিল। এ সময় তিনি বলছিলেন, আল্লাহর কসম! আল্লাহ হেদায়েত না করলে আমরা হেদায়েত পেতাম না, দান সদকা করতাম না, এবং সালাত (নামায/নামাজ)ও আদায় করতাম না। সুতরাং (হে আল্লাহ!) আমাদের প্রতি রহমত নাযিল করুন এবং আমাদের কে শত্রুর সাথে মুকাবিলা করার সময় দৃঢ়পদ রাখুন। নিশ্চয়ই মক্কাবাসীরা আমাদের প্রতি বিদ্রোহ করেছে। যখনই তারা ফিতনার প্রয়াস পেয়েছে তখনই আমরা উপেক্ষা করেছি। শেষের কথাগুলো বলার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চ স্বরে “উপেক্ষা করেছি”, “উপেক্ষা করেছি” বলে উঠেছেন।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَنْقُلُ التُّرَابَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى أَغْمَرَ بَطْنَهُ أَوِ اغْبَرَّ بَطْنُهُ يَقُولُ وَاللَّهِ لَوْلاَ اللَّهُ مَا اهْتَدَيْنَا وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا وَثَبِّتِ الأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا إِنَّ الأُلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا إِذَا أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ أَبَيْنَا أَبَيْنَا‏.‏

حدثنا مسلم بن ابراهيم، حدثنا شعبة، عن ابي اسحاق، عن البراء ـ رضى الله عنه ـ قال كان النبي صلى الله عليه وسلم ينقل التراب يوم الخندق حتى اغمر بطنه او اغبر بطنه يقول والله لولا الله ما اهتدينا ولا تصدقنا ولا صلينا فانزلن سكينة علينا وثبت الاقدام ان لاقينا ان الالى قد بغوا علينا اذا ارادوا فتنة ابينا ورفع بها صوته ابينا ابينا‏.‏


Narrated Al-Bara:

The Prophet (ﷺ) was carrying earth on the day of Al-Khandaq till his `Abdomen was fully covered with dust, and he was saying, "By Allah, without Allah we would not have been guided, neither would we have given in charity, nor would we have prayed. So (O Allah), please send Sakina (i.e. calmness) upon us, and make our feet firm if we meet the enemy as the enemy have rebelled against us, and if they intended affliction, (i.e. want to frighten us and fight against us then we would not flee but withstand them)." The Prophet (ﷺ) used to raise his voice saying, "Abaina! Abaina! (i.e. would not, we would not).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০৫। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে পুবালি বায়ু দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে, আর আদ জাতিকে পশ্চিমা বায়ু দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رَضِيَ الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ نُصِرْتُ بِالصَّبَا وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُورِ ‏"‏‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى بن سعيد، عن شعبة، قال حدثني الحكم، عن مجاهد، عن ابن عباس ـ رضي الله عنهما ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ نصرت بالصبا واهلكت عاد بالدبور ‏"‏‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "I have been made victorious by As-Saba (i.e. an easterly wind) and the Ad nation was destroyed by Ad-Dabur (i.e. a westerly wind).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০৬। আহ্‌মাদ ইবনু উসমান (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আহযাব (খন্দক) যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিখা খনন করছিলেন। আমি তাঁকে খন্দকের মাটি বহন করতে দেখেছি। এমনকি ধূলাবালি পড়ার কারণে তাঁর পেটের চামড়া ঢাকা পড়ে গেছে। তিনি অধিক পশম বিশিষ্ট ছিলেন। সে সময় আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মাটি বহন করা অবস্থায় ইবনু রাওয়াহার কবিতা আবৃত্তি করতে শুনেছি। তিনি বলেছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি যদি হেদায়েত না করতেন তাহলে আমরা হেদায়েত পেতাম না, আমরা সদকা করতাম না এবং আমরা সালাত (নামায/নামাজ)ও আদায় করতাম না। সুতরাং আমাদের প্রতি আপনার রহমত নাযিল করুন এবং দুশমনের মুকাবিলা করার সময় আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন। অবশ্য মক্কাবাসীরাই আমাদের প্রতি ভীতি প্রদর্শন করেছেন। তারা ফিতনা বিস্তার করতে চাইলে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। বর্ণনাকারী (বারা) বলেন, শেষ পঙক্তিটি আবৃত্তি করার সময় তিনি তা প্রলম্বিত করে পড়তেন।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يُحَدِّثُ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الأَحْزَابِ، وَخَنْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَيْتُهُ يَنْقُلُ مِنْ تُرَابِ الْخَنْدَقِ حَتَّى وَارَى عَنِّي الْغُبَارُ جِلْدَةَ بَطْنِهِ، وَكَانَ كَثِيرَ الشَّعَرِ، فَسَمِعْتُهُ يَرْتَجِزُ بِكَلِمَاتِ ابْنِ رَوَاحَةَ، وَهْوَ يَنْقُلُ مِنَ التُّرَابِ يَقُولُ اللَّهُمَّ لَوْلاَ أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا وَثَبِّتِ الأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا إِنَّ الأُلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا وَإِنْ أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا قَالَ ثُمَّ يَمُدُّ صَوْتَهُ بِآخِرِهَا‏.‏

حدثني احمد بن عثمان، حدثنا شريح بن مسلمة، قال حدثني ابراهيم بن يوسف، قال حدثني ابي، عن ابي اسحاق، قال سمعت البراء، يحدث قال لما كان يوم الاحزاب، وخندق رسول الله صلى الله عليه وسلم رايته ينقل من تراب الخندق حتى وارى عني الغبار جلدة بطنه، وكان كثير الشعر، فسمعته يرتجز بكلمات ابن رواحة، وهو ينقل من التراب يقول اللهم لولا انت ما اهتدينا ولا تصدقنا ولا صلينا فانزلن سكينة علينا وثبت الاقدام ان لاقينا ان الالى قد بغوا علينا وان ارادوا فتنة ابينا قال ثم يمد صوته باخرها‏.‏


Narrated Al-Bara:

When it was the day of Al-Ahzab (i.e. the clans) and Allah's Messenger (ﷺ) dug the trench, I saw him carrying earth out of the trench till dust made the skin of his `Abdomen out of my sight and he was a hairy man. I heard him reciting the poetic verses composed by Ibn Rawaha while he was carrying the earth, "O Allah! Without You we would not have been guided, nor would we have given in charity, nor would we have prayed. So, (O Allah), please send Sakina (i.e. calmness) upon us and make our feet firm if we meet the enemy, as they have rebelled against us. And if they intend affliction (i.e. want to frighten us, and fight against us) then we would not (flee but withstand them)." The Prophet (ﷺ) would then prolong his voice at the last words.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০৭। আবদা ইবনু আবদুল্লাহ‌ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রথম আমি যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি তা ছিল খন্দকের যুদ্ধ।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنِي عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ـ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ ـ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَوَّلُ يَوْمٍ شَهِدْتُهُ يَوْمُ الْخَنْدَقِ‏.‏

حدثني عبدة بن عبد الله، حدثنا عبد الصمد، عن عبد الرحمن ـ هو ابن عبد الله بن دينار ـ عن ابيه، ان ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ قال اول يوم شهدته يوم الخندق‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

The first day (i.e. Ghazwa) I participated in, was the day of Al-Khandaq (i.e. Trench).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০৮। ইব্‌রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি হাফসা (রাঃ) এর নিকট গেলাম। সে সময় তাঁর চুলের বেণি থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল। আমি তাঁকে বললাম, আপনি তো দেখেছেন, নেতৃত্বের ব্যাপারে লোকজন কি কান্ড করেছে। ইমারত ও নেতৃত্বের কিছুই আমাকে দেওয়া হয়নি। তখন তিনি বললেন, আপনি গিয়ে তাদের সাথে যোগ দিন। কেননা তাঁরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি তাদের থেকে দূরে সরে থাকার কারণে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আমি আশংকা করছি। হাফসা (রাঃ) তাঁকে (এ কথা) বলতে থাকেন। (অবশেষে) তিনি (সেখানে) গেলেন। এরপর লোকজন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মুআবিয়া (রাঃ) বক্তৃতা দিয়ে বললেন, ইমারত ও খিলাফতের ব্যাপারে কারো কিছু বলার ইচ্ছা থাকলে সে আমাদের সামনে মাথা উঁচু করুক।

এ ব্যপারে আমরাই তাঁর ও তাঁর পিতার চাইতে অধিক হকদার। তখন হাবীব ইবনু মাসলামা (রহঃ) তাঁকে বললেন, আপনি এ কথার জবাব দেননি কেন? তখন আবদুল্লাহ‌ (ইবনু উমর) বললেন, আমি তখন আমার গায়ের চাঁদর ঠিক করলাম এবং এ কথা বলার ইচ্ছা করলাম যে, এ বিষয়ে ঐ ব্যাক্তিই অধিক হকদার যে ইসলামের জন্য আপনার ও আপনার পিতার সাথে লড়াই করেছেন। তবে আমার এ কথায় (মুসলিমদের মাঝে) অনৈক্য সৃষ্টি হবে, অযথা রক্তপাত হবে এবং আমার এ কথার অপব্যাখ্যা করা হবে এ আশংকায় এবং আল্লাহ জান্নাতে যে নিয়ামত তৈরি করে রেখেছেন তার কথা স্মরণ করে আমি উক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকি। তখন হাবীব (রহঃ) বললেন, এভাবেই আপনি (ফিতনা থেকে) রক্ষা পেয়েছেন এবং বেঁচে গিয়েছেন।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى حَفْصَةَ وَنَسْوَاتُهَا تَنْطُفُ، قُلْتُ قَدْ كَانَ مِنْ أَمْرِ النَّاسِ مَا تَرَيْنَ، فَلَمْ يُجْعَلْ لِي مِنَ الأَمْرِ شَىْءٌ‏.‏ فَقَالَتِ الْحَقْ فَإِنَّهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ، وَأَخْشَى أَنْ يَكُونَ فِي احْتِبَاسِكَ عَنْهُمْ فُرْقَةٌ‏.‏ فَلَمْ تَدَعْهُ حَتَّى ذَهَبَ، فَلَمَّا تَفَرَّقَ النَّاسُ خَطَبَ مُعَاوِيَةُ قَالَ مَنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَتَكَلَّمَ فِي هَذَا الأَمْرِ فَلْيُطْلِعْ لَنَا قَرْنَهُ، فَلَنَحْنُ أَحَقُّ بِهِ مِنْهُ وَمِنْ أَبِيهِ‏.‏ قَالَ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَهَلاَّ أَجَبْتَهُ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَحَلَلْتُ حُبْوَتِي وَهَمَمْتُ أَنْ أَقُولَ أَحَقُّ بِهَذَا الأَمْرِ مِنْكَ مَنْ قَاتَلَكَ وَأَبَاكَ عَلَى الإِسْلاَمِ‏.‏ فَخَشِيتُ أَنْ أَقُولَ كَلِمَةً تُفَرِّقُ بَيْنَ الْجَمْعِ، وَتَسْفِكُ الدَّمَ، وَيُحْمَلُ عَنِّي غَيْرُ ذَلِكَ، فَذَكَرْتُ مَا أَعَدَّ اللَّهُ فِي الْجِنَانِ‏.‏ قَالَ حَبِيبٌ حُفِظْتَ وَعُصِمْتَ‏.‏ قَالَ مَحْمُودٌ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ وَنَوْسَاتُهَا‏.‏

حدثني ابراهيم بن موسى، اخبرنا هشام، عن معمر، عن الزهري، عن سالم، عن ابن عمر، قال واخبرني ابن طاوس، عن عكرمة بن خالد، عن ابن عمر، قال دخلت على حفصة ونسواتها تنطف، قلت قد كان من امر الناس ما ترين، فلم يجعل لي من الامر شىء‏.‏ فقالت الحق فانهم ينتظرونك، واخشى ان يكون في احتباسك عنهم فرقة‏.‏ فلم تدعه حتى ذهب، فلما تفرق الناس خطب معاوية قال من كان يريد ان يتكلم في هذا الامر فليطلع لنا قرنه، فلنحن احق به منه ومن ابيه‏.‏ قال حبيب بن مسلمة فهلا اجبته قال عبد الله فحللت حبوتي وهممت ان اقول احق بهذا الامر منك من قاتلك واباك على الاسلام‏.‏ فخشيت ان اقول كلمة تفرق بين الجمع، وتسفك الدم، ويحمل عني غير ذلك، فذكرت ما اعد الله في الجنان‏.‏ قال حبيب حفظت وعصمت‏.‏ قال محمود عن عبد الرزاق ونوساتها‏.‏


Narrated `Ikrima bin Khalid:

Ibn `Umar said, "I went to Hafsa while water was dribbling from her twined braids. I said, 'The condition of the people is as you see, and no authority has been given to me.' Hafsa said, (to me), 'Go to them, and as they (i.e. the people) are waiting for you, and I am afraid your absence from them will produce division amongst them.' " So Hafsa did not leave Ibn `Umar till we went to them. When the people differed. Muawiya addressed the people saying, "'If anybody wants to say anything in this matter of the Caliphate, he should show up and not conceal himself, for we are more rightful to be a Caliph than he and his father." On that, Habib bin Masalama said (to Ibn `Umar), "Why don't you reply to him (i.e. Muawiya)?" `Abdullah bin `Umar said, "I untied my garment that was going round my back and legs while I was sitting and was about to say, 'He who fought against you and against your father for the sake of Islam, is more rightful to be a Caliph,' but I was afraid that my statement might produce differences amongst the people and cause bloodshed, and my statement might be interpreted not as I intended. (So I kept quiet) remembering what Allah has prepared in the Gardens of Paradise (for those who are patient and prefer the Hereafter to this worldly life)." Habib said, "You did what kept you safe and secure (i.e. you were wise in doing so).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮০৯। আবূ নূআইম (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, এখন থেকে আমরাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। তারা আর আমাদের প্রতি আক্রমণ করতে পারবে না।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الأَحْزَابِ ‏ "‏ نَغْزُوهُمْ وَلاَ يَغْزُونَنَا ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو نعيم، حدثنا سفيان، عن ابي اسحاق، عن سليمان بن صرد، قال قال النبي صلى الله عليه وسلم يوم الاحزاب ‏ "‏ نغزوهم ولا يغزوننا ‏"‏‏.‏


Narrated Sulaiman bin Surd:

On the day of Al-Ahzab (i.e. clans) the Prophet (ﷺ) said, (After this battle) we will go to attack them(i.e. the infidels) and they will not come to attack us."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮১০। আবদুল্লাহ‌ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আহযাব যুদ্ধের দিন কাফেরদের সম্মিলিত বাহিনী মদিনা ছেড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, এখন থেকে আমরাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। তারা আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে পারবে না। আর আমরা তাদের এলাকায় গিয়েই আক্রমণ করব।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يَقُولُ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ حِينَ أَجْلَى الأَحْزَابُ عَنْهُ ‏ "‏ الآنَ نَغْزُوهُمْ وَلاَ يَغْزُونَنَا، نَحْنُ نَسِيرُ إِلَيْهِمْ ‏"‏‏.‏

حدثني عبد الله بن محمد، حدثنا يحيى بن ادم، حدثنا اسراىيل، سمعت ابا اسحاق، يقول سمعت سليمان بن صرد، يقول سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول حين اجلى الاحزاب عنه ‏ "‏ الان نغزوهم ولا يغزوننا، نحن نسير اليهم ‏"‏‏.‏


Narrated Sulaiman bin Surd:

When the clans were driven away, I heard the Prophet (ﷺ) saying, "From now onwards we will go to attack them (i.e. the infidels) and they will not come to attack us, but we will go to them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮১১। ইসহাক (রহঃ) ... আলী (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন (কাফের মুশরিকদের প্রতি) বদদোয়া করে বলেছেন, আল্লাহ তাদের ঘরবাড়ি ও কবর আগুন দ্বারা ভরপুর করে দিন। কেননা তারা আমাদেরকে (যুদ্ধে ব্যস্ত করে) মধ্যবর্তী সালাত (নামায/নামাজ) থেকে বিরত রেখেছে, এমনকি সূর্য অস্ত গিয়েছে।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ ‏ "‏ مَلأَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَقُبُورَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُونَا عَنْ صَلاَةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ ‏"‏‏.‏

حدثنا اسحاق، حدثنا روح، حدثنا هشام، عن محمد، عن عبيدة، عن علي ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال يوم الخندق ‏ "‏ ملا الله عليهم بيوتهم وقبورهم نارا كما شغلونا عن صلاة الوسطى حتى غابت الشمس ‏"‏‏.‏


Narrated `Ali:

On the day of Al-Khandaq (i.e. Trench), the Prophet (ﷺ) said '(Let) Allah fill their (i.e. the infidels') houses and graves with fire just as they have prevented us from offering the Middle Prayer (i.e. `Asr prayer) till the sun had set."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮১২। মককী ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, খন্দক যুদ্ধের দিন সূর্যাস্তের পর উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এসে কুরাইশ কাফেরদের গালি দিতে আরম্ভ করলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজ সূর্যাস্তের পূর্বে আমি (আসর) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে পারিনি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! আমিও আজ এ সালাত আদায় করতে পারিনি। [জাবির ইবনু আবদুল্লাহ‌ (রাঃ) বলেন] এরপর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বুতহান উপত্যকায় গেলাম। এরপর তিনি সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। আমরাও সালাতের জন্য উযূ করলাম। এরপর তিনি সূর্যাস্তের পর প্রথমে আসরের সালাত এবং পরে মাগরিবের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ جَاءَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ بَعْدَ مَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ جَعَلَ يَسُبُّ كُفَّارَ قُرَيْشٍ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كِدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ حَتَّى كَادَتِ الشَّمْسُ أَنْ تَغْرُبَ‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ وَاللَّهِ مَا صَلَّيْتُهَا ‏"‏ فَنَزَلْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بُطْحَانَ، فَتَوَضَّأَ لِلصَّلاَةِ وَتَوَضَّأْنَا لَهَا، فَصَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَ مَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، ثُمَّ صَلَّى بَعْدَهَا الْمَغْرِبَ‏.‏

حدثنا المكي بن ابراهيم، حدثنا هشام، عن يحيى، عن ابي سلمة، عن جابر بن عبد الله، ان عمر بن الخطاب ـ رضى الله عنه ـ جاء يوم الخندق بعد ما غربت الشمس جعل يسب كفار قريش قال يا رسول الله ما كدت ان اصلي حتى كادت الشمس ان تغرب‏.‏ قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ والله ما صليتها ‏"‏ فنزلنا مع النبي صلى الله عليه وسلم بطحان، فتوضا للصلاة وتوضانا لها، فصلى العصر بعد ما غربت الشمس، ثم صلى بعدها المغرب‏.‏


Narrated Jabir bin `Abdullah:

`Umar bin Al-Khattab came on the day of Al-Khandaq after the sun had set and he was abusing the infidels of Quraish saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I was unable to offer the (`Asr) prayer till the sun was about to set." The Prophet (ﷺ) said, "By Allah, I have not offered this (i.e. `Asr) prayer." So we came down along with the Prophet (ﷺ) to Buthan where he performed ablution for the prayer and then we performed the ablution for it. Then he offered the `Asr prayer after the sun had set, and after it he offered the Maghrib prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮১৩। মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আহযাব যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কুরাইশ কাফেরদের খবর আমাদের নিকট এনে দিতে পারবে কে? যুবায়র (রাঃ) বললেন, আমি পারব। তিনি [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আবার বললেন, কুরাইশদের খবর আমাদের নিকট কে এনে দিতে পারবে? তখনও যুবায়র (রাঃ) বললেন, আমি পারব। তিনি পুনরায় বললেন, কুরাইশদের খবর আমাদের নিকট কে এনে দিতে পারবে? এবারও যুবায়র (রাঃ) বললেন, আমি পারব। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক নবীরই হাওয়ারী (বিশেষ সাহায্যকারী) ছিল। আমার হাওয়ারী হল যুবায়র।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الأَحْزَابِ ‏"‏ مَنْ يَأْتِينَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ مَنْ يَأْتِينَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ مَنْ يَأْتِينَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَارِيًّا، وَإِنَّ حَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن كثير، اخبرنا سفيان، عن ابن المنكدر، قال سمعت جابرا، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم الاحزاب ‏"‏ من ياتينا بخبر القوم ‏"‏‏.‏ فقال الزبير انا‏.‏ ثم قال ‏"‏ من ياتينا بخبر القوم ‏"‏‏.‏ فقال الزبير انا‏.‏ ثم قال ‏"‏ من ياتينا بخبر القوم ‏"‏‏.‏ فقال الزبير انا‏.‏ ثم قال ‏"‏ ان لكل نبي حواريا، وان حواري الزبير ‏"‏‏.‏


Narrated Jabir:

On the day of Al-Ahzab (i.e. clans), Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Who will bring us the news of the people (i.e. the clans of Quraish infidels)?" Az-Zubair said, "I." The Prophet (ﷺ) again said, "Who will bring us the news of the people?" AzZubair said, "I." The Prophet (ﷺ) again said, "Who will bring us the news of the people?" Az-Zubair said, "I." The Prophet (ﷺ) then said, "Every prophet has his Hawari (i.e. disciplespecial helper); my disciple is Az-Zubair.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮১৪। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (খন্দকের যুদ্ধের সময়) বলতেন, এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনিই তাঁর বাহিনীকে মর্যাদা দিয়েছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই শত্রুদের সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করেছেন। তারপর আর কিছুই কি থাকবে না অথবা এরপর আর ভয়ের কোন কারণ নেই।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ ‏ "‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ، أَعَزَّ جُنْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَغَلَبَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ، فَلاَ شَىْءَ بَعْدَهُ ‏"‏‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا الليث، عن سعيد بن ابي سعيد، عن ابيه، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول ‏ "‏ لا اله الا الله وحده، اعز جنده، ونصر عبده وغلب الاحزاب وحده، فلا شىء بعده ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) used to say, "None has the right to be worshipped except Allah Alone (Who) honored His Warriors and made His Slave victorious, and He (Alone) defeated the (infidel) clans; so there is nothing after Him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮১৫। মুহাম্মদ (ইবনু সালাম) (রহঃ) ... আবদুল্লাহ‌ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফেরদের সম্মিলিত বাহিনীর প্রতি বদদোয়া করে বলেছেন, কিতাব নাযিলকারী ও হিসেব গ্রহণে তৎপর হে আল্লাহ! আপনি কাফেরদের সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করুন। হে আল্লাহ! তাদেরকে পরাজিত এবং ভীত ও কম্পিত করে দিন।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا الْفَزَارِيُّ، وَعَبْدَةُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى ـ رضى الله عنهما ـ يَقُولُ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الأَحْزَابِ فَقَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد، اخبرنا الفزاري، وعبدة، عن اسماعيل بن ابي خالد، قال سمعت عبد الله بن ابي اوفى ـ رضى الله عنهما ـ يقول دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم على الاحزاب فقال ‏ "‏ اللهم منزل الكتاب، سريع الحساب، اهزم الاحزاب، اللهم اهزمهم وزلزلهم ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin Abi `Aufa:

Allah's Messenger (ﷺ) invoked evil upon the clans saying, "Allah, the Revealer of the Holy Book (i.e. the Qur'an), the Quick Taker of the accounts! Please defeat the clans. O Allah! Defeat them and shake them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল

৩৮১৬। মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধ, হাজ্জ (হজ্জ) বা উমরা থেকে ফিরে এসে প্রথমে তিনবার তাকবীর বলতেন। এরপর বলতেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ্‌ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব এবং প্রশংসা একমাত্র তাঁরই। সব বিষয়ে তিনই সর্বশক্তিমান। আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনকারী, তাঁরই কাছে তওবাকারী, তাঁরই ইবাদতকারী। আমরা আমাদের প্রভুর নিকটেই সিজদা নিবেদনকারী, তাঁরই প্রশংসা বর্ণনাকারী। আল্লাহ তাঁর ওয়াদা পূরণ করেছেন। তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই কাফেরদের সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করেছেন।

باب غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ وَهْىَ الأَحْزَابُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ، وَنَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَفَلَ مِنَ الْغَزْوِ، أَوِ الْحَجِّ، أَوِ الْعُمْرَةِ، يَبْدَأُ فَيُكَبِّرُ ثَلاَثَ مِرَارٍ ثُمَّ يَقُولُ ‏ "‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ، آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونُ سَاجِدُونَ، لِرَبِّنَا حَامِدُونَ، صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن مقاتل، اخبرنا عبد الله، اخبرنا موسى بن عقبة، عن سالم، ونافع، عن عبد الله ـ رضى الله عنه ـ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان اذا قفل من الغزو، او الحج، او العمرة، يبدا فيكبر ثلاث مرار ثم يقول ‏ "‏ لا اله الا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد، وهو على كل شىء قدير، ايبون تاىبون عابدون ساجدون، لربنا حامدون، صدق الله وعده، ونصر عبده، وهزم الاحزاب وحده ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah:

Whenever Allah's Messenger (ﷺ) returned from a Ghazwa, Hajj or `Umra, he used to start (saying), "Allahu- Akbar," thrice and then he would say, "None has the right to be worshipped except Allah alone Who has no partners. To Him belongs the Kingdom, all praises are for Him, and He is able to do all things (i.e. Omnipotent). We are returning with repentance (to Allah) worshipping, prostrating, and praising our Lord. Allah has fulfilled His Promise, made His Slave victorious, and He (Alone) defeated the clans (of infidels) ."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে