পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৪৬। ইব্‌রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদ যুদ্ধের দিন বলেছেন, এই তো জিবরীল, তাঁর ঘোড়ার মাথায় হাত রেখে (লাগাম হাতে) এসে পৌঁছেছেন; তাঁর পরিধানে রয়েছে সমরাস্ত্র।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ ‏ "‏ هَذَا جِبْرِيلُ آخِذٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ عَلَيْهِ أَدَاةُ الْحَرْبِ ‏"‏‏.‏

حدثنا ابراهيم بن موسى، اخبرنا عبد الوهاب، حدثنا خالد، عن عكرمة، عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ قال قال النبي صلى الله عليه وسلم يوم احد ‏ "‏ هذا جبريل اخذ براس فرسه عليه اداة الحرب ‏"‏‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

On the day of Uhud. the Prophet (ﷺ) said, "This is Gabriel holding the head of his horse and equipped with war material.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৪৭। মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রহীম (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আট বছর পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদ যুদ্ধের শহীদদের জন্য (কবরস্থানে গিয়ে) এমনভাবে দোয়া করলেন যেমন কোনো বিদায় গ্রহনকারী জীবিত ও মৃতদের জন্য দোয়া করেন। তারপর তিনি (সেখান থেকে ফিরে এসে) মিম্বরে উঠে বললেন, আমি তোমাদের অগ্রে প্রেরিত এবং আমিই তোমাদের সাক্ষীদাতা। এরপর হাউযে কাওসারের পাড়ে তোমাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হবে। আমার এ জায়গা থেকেই আমি হাউযে কাওসার দেখতে পাচ্ছি। তোমরা শির্‌কে লিপ্ত হয়ে যাবে আমি এ আশংকা করি না। তবে আমার আশংকা হয় যে, তোমরা দুনিয়ার আরাম-আয়েশে অত্যধিক আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার এ দেখাই ছিল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে শেষবারের মত দেখা।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَيْوَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَتْلَى أُحُدٍ بَعْدَ ثَمَانِي سِنِينَ، كَالْمُوَدِّعِ لِلأَحْيَاءِ وَالأَمْوَاتِ، ثُمَّ طَلَعَ الْمِنْبَرَ فَقَالَ ‏ "‏ إِنِّي بَيْنَ أَيْدِيكُمْ فَرَطٌ، وَأَنَا عَلَيْكُمْ شَهِيدٌ، وَإِنَّ مَوْعِدَكُمُ الْحَوْضُ، وَإِنِّي لأَنْظُرُ إِلَيْهِ مِنْ مَقَامِي هَذَا، وَإِنِّي لَسْتُ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا، وَلَكِنِّي أَخْشَى عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا أَنْ تَنَافَسُوهَا ‏"‏‏.‏ قَالَ فَكَانَتْ آخِرَ نَظْرَةٍ نَظَرْتُهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الرحيم، اخبرنا زكرياء بن عدي، اخبرنا ابن المبارك، عن حيوة، عن يزيد بن ابي حبيب، عن ابي الخير، عن عقبة بن عامر، قال صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم على قتلى احد بعد ثماني سنين، كالمودع للاحياء والاموات، ثم طلع المنبر فقال ‏ "‏ اني بين ايديكم فرط، وانا عليكم شهيد، وان موعدكم الحوض، واني لانظر اليه من مقامي هذا، واني لست اخشى عليكم ان تشركوا، ولكني اخشى عليكم الدنيا ان تنافسوها ‏"‏‏.‏ قال فكانت اخر نظرة نظرتها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated `Uqba bin Amir:

Allah's Messenger (ﷺ) offered the funeral prayers of the martyrs of Uhud eight years after (their death), as if bidding farewell to the living and the dead, then he ascended the pulpit and said, "I am your predecessor before you, and I am a witness on you, and your promised place to meet me will be Al- Haud (i.e. the Tank) (on the Day of Resurrection), and I am (now) looking at it from this place of mine. I am not afraid that you will worship others besides Allah, but I am afraid that worldly life will tempt you and cause you to compete with each other for it." That was the last look which I cast on Allah's Messenger (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৪৮। উবায়দুল্লাহ্‌ ইবনু মূসা (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঐ দিন (উহুদ যুদ্ধের দিন) আমরা মুশরিকদের মুকাবিলায় অবতীর্ণ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ‌ (ইবনু জুবাইর) (রাঃ) কে তীরন্দাজ বাহিনীর অধিনায়ক নিযুক্ত করে তাদেরকে (নির্ধারিত এক স্থানে) মোতায়েন করলেন এবং বললেন, যদি তোমরা আমাদেরকে দেখ যে, আমরা তাদের উপর বিজয় লাভ করেছি, তাহলেও তোমরা এখান থেকে সরবে না। অথবা যদি তোমরা তাদেরকে দেখ যে, তারা আমাদের উপর জয় লাভ করেছে, তাহলেও তোমরা এই স্থান পরিত্যাগ করে আমাদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসবে না। এরপর আমরা তাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে তারা পালাতে আরম্ভ করল। এমনকি আমরা দেখতে পেলাম যে, মহিলাগণ দ্রুত দৌড়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিচ্ছে। তারা বস্ত্র পায়ের গোছা থেকে টেনে তুলছে, ফলে পায়ের অলংকারগুলো পর্যন্ত বেরিয়ে পড়ছে। এ সময় তারা (তীরন্দাজ বাহিনীর লোকরা) বলতে লাগলেন, এই গনীমত-গনীমত! তখন আবদুল্লাহ‌ [ইবনু জুবাইর (রাঃ)] বললেন, তোমরা যেন এ স্থান না ছাড় এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তারা এ কথা অগ্রাহ্য করল।

যখন তারা এ কথা অগ্রাহ্য করল, তখন তাদের রোখ ফিরিয়ে দেয়া হল এবং শহীদ হলেন তাদের সত্তর জন সাহাবী। আবূ সুফিয়ান একটি উঁচু স্থানে উঠে বলল, কাওমের মধ্যে মুহাম্মদ জীবিত আছে কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তার কোন উত্তর দিওনা। সে আবার বলল, কাওমের মধ্যে ইবনু আবূ কুহাফা (আবূ বকর) বেঁচে আছে কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তার কোন জবাব দিও না। সে পুনরায় বলল, কওমের মধ্যে ইবনুল খাত্তাব কি জীবিত আছে? তারপর সে বলল, এরা সকলেই নিহত হয়েছে। বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই জবাব দিত। এ সময় উমর (রাঃ) নিজেকে সামলাতে না পেরে বললেন, হে আল্লাহর দুশমন, তুমি মিথ্যা কথা বলছ। যে জিনিসে তোমাকে লাঞ্ছিত করবে আল্লাহ তা বাকি রেখেছেন।

আবূ সুফিয়ান বলল, হুবালের জয়। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা তার উত্তর দাও। তারা বললেন, আমরা কি বলব? তিনি বললেন, তোমরা বল-اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ ’আল্লাহ সুমন্নত ও মহান’। আবূ সুফিয়ান বললلَنَا الْعُزَّى وَلاَ عُزَّى لَكُمْ‏ আমাদের উয্‌যা আছে আছে, তোমাদের উয্‌যা নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তার জবাব দাও। তারা বললেন, আমরা কি জবাব দেব? তিনি বললেন, বল-اللَّهُ مَوْلاَنَا وَلاَ مَوْلَى لَكُمْ ’আল্লাহ আমাদের অভিভাবক, তোমাদের তো কোনো অভিভাবক নেই’। পরিশেষে আবূ সুফিয়ান বলল, আজকের দিন বদর যুদ্ধের বিনিময়ের দিন, যুদ্ধ কূপ থেকে পানি উঠানোর পাত্রের মত (অর্থাৎ একবার এক হাতে আরেকবার অন্য হাতে) (যুদ্ধের ময়দানে) তোমরা নাক-কান কাটা কিছু লাশ দেখতে পাবে। আমি এরূপ করতে আদেশ করিনি। অবশ্য আমি এতে অসন্তুষ্টও নই। আবদুল্লাহ‌ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধের দিন কিছু সংখ্যক সাহাবী সকাল বেলা শরাব পান করেছিলেন।* এরপর তাঁরা শাহাদাত বরণ করেন।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَقِينَا الْمُشْرِكِينَ يَوْمَئِذٍ، وَأَجْلَسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا مِنَ الرُّمَاةِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ وَقَالَ ‏"‏ لاَ تَبْرَحُوا، إِنْ رَأَيْتُمُونَا ظَهَرْنَا عَلَيْهِمْ فَلاَ تَبْرَحُوا وَإِنْ رَأَيْتُمُوهُمْ ظَهَرُوا عَلَيْنَا فَلاَ تُعِينُونَا ‏"‏‏.‏ فَلَمَّا لَقِينَا هَرَبُوا حَتَّى رَأَيْتُ النِّسَاءَ يَشْتَدِدْنَ فِي الْجَبَلِ، رَفَعْنَ عَنْ سُوقِهِنَّ قَدْ بَدَتْ خَلاَخِلُهُنَّ، فَأَخَذُوا يَقُولُونَ الْغَنِيمَةَ الْغَنِيمَةَ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ عَهِدَ إِلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ تَبْرَحُوا‏.‏ فَأَبَوْا، فَلَمَّا أَبَوْا صُرِفَ وُجُوهُهُمْ، فَأُصِيبَ سَبْعُونَ قَتِيلاً، وَأَشْرَفَ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ أَفِي الْقَوْمِ مُحَمَّدٌ فَقَالَ ‏"‏ لاَ تُجِيبُوهُ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ قَالَ ‏"‏ لاَ تُجِيبُوهُ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ إِنَّ هَؤُلاَءِ قُتِلُوا، فَلَوْ كَانُوا أَحْيَاءً لأَجَابُوا، فَلَمْ يَمْلِكْ عُمَرُ نَفْسَهُ فَقَالَ كَذَبْتَ يَا عَدُوَّ اللَّهِ، أَبْقَى اللَّهُ عَلَيْكَ مَا يُخْزِيكَ‏.‏ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ أُعْلُ هُبَلْ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَجِيبُوهُ ‏"‏‏.‏ قَالُوا مَا نَقُولُ قَالَ ‏"‏ قُولُوا اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ لَنَا الْعُزَّى وَلاَ عُزَّى لَكُمْ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَجِيبُوهُ ‏"‏‏.‏ قَالُوا مَا نَقُولُ قَالَ ‏"‏ قُولُوا اللَّهُ مَوْلاَنَا وَلاَ مَوْلَى لَكُمْ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ، وَالْحَرْبُ سِجَالٌ، وَتَجِدُونَ مُثْلَةً لَمْ آمُرْ بِهَا وَلَمْ تَسُؤْنِي‏.‏ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اصْطَبَحَ الْخَمْرَ يَوْمَ أُحُدٍ نَاسٌ ثُمَّ قُتِلُوا شُهَدَاءَ‏.‏

حدثنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن ابي اسحاق، عن البراء ـ رضى الله عنه ـ قال لقينا المشركين يومىذ، واجلس النبي صلى الله عليه وسلم جيشا من الرماة، وامر عليهم عبد الله وقال ‏"‏ لا تبرحوا، ان رايتمونا ظهرنا عليهم فلا تبرحوا وان رايتموهم ظهروا علينا فلا تعينونا ‏"‏‏.‏ فلما لقينا هربوا حتى رايت النساء يشتددن في الجبل، رفعن عن سوقهن قد بدت خلاخلهن، فاخذوا يقولون الغنيمة الغنيمة‏.‏ فقال عبد الله عهد الى النبي صلى الله عليه وسلم ان لا تبرحوا‏.‏ فابوا، فلما ابوا صرف وجوههم، فاصيب سبعون قتيلا، واشرف ابو سفيان فقال افي القوم محمد فقال ‏"‏ لا تجيبوه ‏"‏‏.‏ فقال افي القوم ابن ابي قحافة قال ‏"‏ لا تجيبوه ‏"‏‏.‏ فقال افي القوم ابن الخطاب فقال ان هولاء قتلوا، فلو كانوا احياء لاجابوا، فلم يملك عمر نفسه فقال كذبت يا عدو الله، ابقى الله عليك ما يخزيك‏.‏ قال ابو سفيان اعل هبل‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اجيبوه ‏"‏‏.‏ قالوا ما نقول قال ‏"‏ قولوا الله اعلى واجل ‏"‏‏.‏ قال ابو سفيان لنا العزى ولا عزى لكم‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اجيبوه ‏"‏‏.‏ قالوا ما نقول قال ‏"‏ قولوا الله مولانا ولا مولى لكم ‏"‏‏.‏ قال ابو سفيان يوم بيوم بدر، والحرب سجال، وتجدون مثلة لم امر بها ولم تسوني‏.‏ اخبرني عبد الله بن محمد، حدثنا سفيان، عن عمرو، عن جابر، قال اصطبح الخمر يوم احد ناس ثم قتلوا شهداء‏.‏


Narrated Al-Bara:

We faced the pagans on that day (of the battle of Uhud) and the Prophet (ﷺ) placed a batch of archers (at a special place) and appointed `Abdullah (bin Jubair) as their commander and said, "Do not leave this place; if you should see us conquering the enemy, do not leave this place, and if you should see them conquering us, do not (come to) help us," So, when we faced the enemy, they took to their heels till I saw their women running towards the mountain, lifting up their clothes from their legs, revealing their leg-bangles. The Muslims started saying, "The booty, the booty!" `Abdullah bin Jubair said, "The Prophet (ﷺ) had taken a firm promise from me not to leave this place." But his companions refused (to stay). So when they refused (to stay there), (Allah) confused them so that they could not know where to go, and they suffered seventy casualties. Abu Sufyan ascended a high place and said, "Is Muhammad present amongst the people?" The Prophet (ﷺ) said, "Do not answer him." Abu Sufyan said, "Is the son of Abu Quhafa present among the people?" The Prophet (ﷺ) said, "Do not answer him." `Abu Sufyan said, "Is the son of Al-Khattab amongst the people?" He then added, "All these people have been killed, for, were they alive, they would have replied." On that, `Umar could not help saying, "You are a liar, O enemy of Allah! Allah has kept what will make you unhappy." Abu Sufyan said, "Superior may be Hubal!" On that the Prophet said (to his companions), "Reply to him." They asked, "What may we say?" He said, "Say: Allah is More Elevated and More Majestic!" Abu Sufyan said, "We have (the idol) Al-`Uzza, whereas you have no `Uzza!" The Prophet (ﷺ) said (to his companions), "Reply to him." They said, "What may we say?" The Prophet (ﷺ) said, "Say: Allah is our Helper and you have no helper." Abu Sufyan said, "(This) day compensates for our loss at Badr and (in) the battle (the victory) is always undecided and shared in turns by the belligerents. You will see some of your dead men mutilated, but neither did I urge this action, nor am I sorry for it." Narrated Jabir: Some people took wine in the morning of the day of Uhud and were then killed as martyrs.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৪৯। আবদান (রহঃ) ... সা’দ ইবনু ইব্‌রাহীমের পিতা ইব্‌রাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) এর নিকট কিছু খাবার আনা হল। তিনি তখন রোযা ছিলেন। তিনি বললেন, মুসআব ইবনু উমাইর (রাঃ) ছিলেন আমার থেকেও উত্তম ব্যাক্তি। তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। তাঁকে এমন একটি চাঁদরে কাফন দেয়া হয়েছিল যে, তা দিয়ে মাথা ঢাকলে পা বের হয়ে যেত, আর পা ঢাকলে মাথা বের হয়ে যেত। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় তিনি এ কথাও বলেছিলেন যে, হামযা (রাঃ) আমার চেয়েও উত্তম লোক ছিলেন। তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। এরপর দুনিয়াতে আমাদেরকে যথেষ্ট সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেয়া হয়েছে অথবা বলেছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে দুনিয়ার ধন-সম্পদ দেওয়া হয়েছে। আমার আশংকা হচ্ছে, হয়তো আমাদের নেকীর বদলা এখানেই (দুনিয়াতে) দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর তিনি কাঁদতে লাগলেন, এমনকি আহার্য পরিত্যাগ করলেন।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، إِبْرَاهِيمَ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، أُتِيَ بِطَعَامٍ، وَكَانَ صَائِمًا فَقَالَ قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ، وَهْوَ خَيْرٌ مِنِّي، كُفِّنَ فِي بُرْدَةٍ، إِنْ غُطِّيَ رَأْسُهُ بَدَتْ رِجْلاَهُ، وَإِنْ غُطِّيَ رِجْلاَهُ بَدَا رَأْسُهُ ـ وَأُرَاهُ قَالَ ـ وَقُتِلَ حَمْزَةُ وَهْوَ خَيْرٌ مِنِّي، ثُمَّ بُسِطَ لَنَا مِنَ الدُّنْيَا مَا بُسِطَ، أَوْ قَالَ أُعْطِينَا مِنَ الدُّنْيَا مَا أُعْطِينَا، وَقَدْ خَشِينَا أَنْ تَكُونَ حَسَنَاتُنَا عُجِّلَتْ لَنَا‏.‏ ثُمَّ جَعَلَ يَبْكِي حَتَّى تَرَكَ الطَّعَامَ‏.‏

حدثنا عبدان، حدثنا عبد الله، اخبرنا شعبة، عن سعد بن ابراهيم، عن ابيه، ابراهيم ان عبد الرحمن بن عوف، اتي بطعام، وكان صاىما فقال قتل مصعب بن عمير، وهو خير مني، كفن في بردة، ان غطي راسه بدت رجلاه، وان غطي رجلاه بدا راسه ـ واراه قال ـ وقتل حمزة وهو خير مني، ثم بسط لنا من الدنيا ما بسط، او قال اعطينا من الدنيا ما اعطينا، وقد خشينا ان تكون حسناتنا عجلت لنا‏.‏ ثم جعل يبكي حتى ترك الطعام‏.‏


Narrated Sa`d bin Ibrahim:

A meal was brought to `Abdur-Rahman bin `Auf while he was fasting. He said, "Mus`ab bin `Umar was martyred, and he was better than I, yet he was shrouded in a Burda (i.e. a sheet) so that, if his head was covered, his feet became naked, and if his feet were covered, his head became naked." `Abdur-Rahman added, "Hamza was martyred and he was better than 1. Then worldly wealth was bestowed upon us and we were given thereof too much. We are afraid that the reward of our deeds have been given to us in this life." `Abdur-Rahman then started weeping so much that he left the food.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৫০। আবদুল্লাহ‌ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি উহুদ যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, আপনি কি মনে করেন, আমি যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে আমি কোথায় অবস্থান করব? তিনি বললেন, জান্নাতে। তারপর উক্ত ব্যাক্তি হাতের খেজুরগুলো ছুঁড়ে ফেললেন, এরপর তিনি একাই লড়াই করলেন। অবশেষে তিনি শহীদ হয়ে গেলেন।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فَأَيْنَ أَنَا قَالَ ‏ "‏ فِي الْجَنَّةِ ‏"‏ فَأَلْقَى تَمَرَاتٍ فِي يَدِهِ، ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ‏.‏

حدثنا عبد الله بن محمد، حدثنا سفيان، عن عمرو، سمع جابر بن عبد الله ـ رضى الله عنهما ـ قال قال رجل للنبي صلى الله عليه وسلم يوم احد ارايت ان قتلت فاين انا قال ‏ "‏ في الجنة ‏"‏ فالقى تمرات في يده، ثم قاتل حتى قتل‏.‏


Narrated Jabir bin `Abdullah:

On the day of the battle of Uhud, a man came to the Prophet (ﷺ) and said, "Can you tell me where I will be if I should get martyred?" The Prophet (ﷺ) replied, "In Paradise." The man threw away some dates he was carrying in his hand, and fought till he was martyred .


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৫১। আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে (মদিনায়) হিজরত করেছিলাম। ফলে আল্লাহর কাছে আমাদের পুরস্কার সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আমাদের কতক দুনিয়াতে পুরস্কার ভোগ না করেই অতীত হয়ে গিয়েছেন অথবা চলে গিয়েছেন। মুসআব ইবনু উমাইর (রাঃ) তাদের মধ্যে একজন। তিনি উহুদ যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি একটি ধারাদার পশমী বস্ত্র ব্যতীত আর কিছুই রেখে যাননি। এ দিয়ে আমরা তার মাথা ঢাকলে পা বের হয়ে যেত এবং পা ঢাকলে মাথা বের হয়ে যেত। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন। ইয্‌খির দ্বারা তার পা আবৃত কর। আমাদের কতক এমনও আছেন, যাদের ফল পেকেছে এবং তিনি এখন তা সংগ্রহ করছেন।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ خَبَّابٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ هَاجَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبْتَغِي وَجْهَ اللَّهِ، فَوَجَبَ أَجْرُنَا عَلَى اللَّهِ، وَمِنَّا مَنْ مَضَى أَوْ ذَهَبَ لَمْ يَأْكُلْ مِنْ أَجْرِهِ شَيْئًا، كَانَ مِنْهُمْ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ، لَمْ يَتْرُكْ إِلاَّ نَمِرَةً، كُنَّا إِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رَأْسَهُ خَرَجَتْ رِجْلاَهُ، وَإِذَا غُطِّيَ بِهَا رِجْلاَهُ خَرَجَ رَأْسُهُ، فَقَالَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ غَطُّوا بِهَا رَأْسَهُ، وَاجْعَلُوا عَلَى رِجْلِهِ الإِذْخِرَ ـ أَوْ قَالَ أَلْقُوا عَلَى رِجْلِهِ مِنَ الإِذْخِرِ ‏"‏‏.‏ وَمِنَّا مَنْ قَدْ أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ فَهْوَ يَهْدُبُهَا‏.‏

حدثنا احمد بن يونس، حدثنا زهير، حدثنا الاعمش، عن شقيق، عن خباب ـ رضى الله عنه ـ قال هاجرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم نبتغي وجه الله، فوجب اجرنا على الله، ومنا من مضى او ذهب لم ياكل من اجره شيىا، كان منهم مصعب بن عمير قتل يوم احد، لم يترك الا نمرة، كنا اذا غطينا بها راسه خرجت رجلاه، واذا غطي بها رجلاه خرج راسه، فقال لنا النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ غطوا بها راسه، واجعلوا على رجله الاذخر ـ او قال القوا على رجله من الاذخر ‏"‏‏.‏ ومنا من قد اينعت له ثمرته فهو يهدبها‏.‏


Narrated Khabbab bin Al-Art:

We migrated in the company of Allah's Messenger (ﷺ), seeking Allah's Pleasure. So our reward became due and sure with Allah. Some of us have been dead without enjoying anything of their rewards (here), and one of them was Mus'ab bin 'Umar who was martyred on the day of the battle of Uhud, and did not leave anything except a Namira (i.e. a sheet in which he was shrouded). If we covered his head with it, his feet became naked, and if we covered his feet with it, his head became naked. So the Prophet (ﷺ) said to us, "Cover his head with it and put some Idhkhir (i.e. a kind of grass) over his feet or throw Idhkhir over his feet." But some amongst us have got the fruits of their labor ripened, and they are collecting them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৫২। হাসসান ইবনু হাসসান (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেছেন), তাঁর চাচা [আনাস ইবনু নযর (রাঃ)] বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি [আনাস ইবনু নযর (রাঃ)] বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সর্বপ্রথম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। যদি আল্লাহ তা’আলা আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কোনো যুদ্ধে শরীক করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ দেখবেন, আমি কত প্রাণপণ চেষ্টা করে লড়াই করি। এরপর তিনি উহুদ যুদ্ধের দিন সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হওয়ার পর লোকেরা পরাজিত হলে (পরাজিত হয়ে পলায়ন করতে আরম্ভ করলো) তিনি বললেন। আমি এর জন্য আপনার নিকট ওযরখাহী পেশ করেছি এবং মুশরিকগণ যা করল তা থেকে আমি আমার সম্পর্কহীনতা প্রকাশ করছি। এরপর তিনি তলোয়ার নিয়ে অগ্রসর হলেন। এ সময় সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ) এর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হল। তিনি বললেন, তুমি কোথায় যাচ্ছ হে সা’দ? আমি উহুদের অপর প্রান্ত হতে জান্নাতের সুঘ্রান পাচ্ছি। এরপর তিনি (বীর বিক্রমে) যুদ্ধ করে শাহাদাত বরণ করলেন। তাঁকে চেনা যাচ্ছিল না। অবশেষে তাঁর বোন তাঁর শরীরের একটি তিল অথবা অঙ্গুলীর মাথা দেখে তাঁকে চিনলেন। তাঁর শরীরে আশিটিরও বেশি বর্শা, তরবারি ও তীরের আঘাত ছিল।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

أَخْبَرَنَا حَسَّانُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ عَمَّهُ، غَابَ عَنْ بَدْرٍ فَقَالَ غِبْتُ عَنْ أَوَّلِ قِتَالِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، لَئِنْ أَشْهَدَنِي اللَّهُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيَرَيَنَّ اللَّهُ مَا أُجِدُّ‏.‏ فَلَقِيَ يَوْمَ أُحُدٍ، فَهُزِمَ النَّاسُ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعْتَذِرُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ هَؤُلاَءِ ـ يَعْنِي الْمُسْلِمِينَ ـ وَأَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا جَاءَ بِهِ الْمُشْرِكُونَ‏.‏ فَتَقَدَّمَ بِسَيْفِهِ فَلَقِيَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ أَيْنَ يَا سَعْدُ إِنِّي أَجِدُ رِيحَ الْجَنَّةِ دُونَ أُحُدٍ‏.‏ فَمَضَى فَقُتِلَ، فَمَا عُرِفَ حَتَّى عَرَفَتْهُ أُخْتُهُ بِشَامَةٍ أَوْ بِبَنَانِهِ، وَبِهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ طَعْنَةٍ وَضَرْبَةٍ وَرَمْيَةٍ بِسَهْمٍ‏.‏

اخبرنا حسان بن حسان، حدثنا محمد بن طلحة، حدثنا حميد، عن انس ـ رضى الله عنه ـ ان عمه، غاب عن بدر فقال غبت عن اول قتال النبي صلى الله عليه وسلم، لىن اشهدني الله مع النبي صلى الله عليه وسلم ليرين الله ما اجد‏.‏ فلقي يوم احد، فهزم الناس فقال اللهم اني اعتذر اليك مما صنع هولاء ـ يعني المسلمين ـ وابرا اليك مما جاء به المشركون‏.‏ فتقدم بسيفه فلقي سعد بن معاذ فقال اين يا سعد اني اجد ريح الجنة دون احد‏.‏ فمضى فقتل، فما عرف حتى عرفته اخته بشامة او ببنانه، وبه بضع وثمانون من طعنة وضربة ورمية بسهم‏.‏


Narrated Anas:

His uncle (Anas bin An-Nadr) was absent from the battle of Badr and he said, "I was absent from the first battle of the Prophet (i.e. Badr battle), and if Allah should let me participate in (a battle) with the Prophet, Allah will see how strongly I will fight." So he encountered the day of Uhud battle. The Muslims fled and he said, "O Allah ! I appeal to You to excuse me for what these people (i.e. the Muslims) have done, and I am clear from what the pagans have done." Then he went forward with his sword and met Sad bin Mu'adh (fleeing), and asked him, "Where are you going, O Sad? I detect a smell of Paradise before Uhud." Then he proceeded on and was martyred. No-body was able to recognize him till his sister recognized him by a mole on his body or by the tips of his fingers. He had over 80 wounds caused by stabbing, striking or shooting with arrows.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৫৩। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা কুরআন মজীদকে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করার সময় সূরা আহযাবের একটি আয়াত আমি হারিয়ে ফেলি, যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাঠ করতে শুনতাম। তাই আমরা উক্ত আয়াতটি অনুসন্ধান করতে লাগলাম। অবশেষে তা পেলাম খুযায়মা ইবনু সাবিত আনসারী (রাঃ)-এর কাছে। আয়াতটি হলঃ “মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে, তাদের কেউ কেউ শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ রয়েছে প্রতীক্ষায়। (৩৩ঃ ২৩) এরপর এ আয়াতটিকে আমরা কুরআন মাজীদের ঐ সূরাতে (আহযাবে) সংযুক্ত করে নিলাম।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّهُ سَمِعَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ فَقَدْتُ آيَةً مِنَ الأَحْزَابِ حِينَ نَسَخْنَا الْمُصْحَفَ، كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهَا، فَالْتَمَسْنَاهَا فَوَجَدْنَاهَا مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيِّ ‏(‏مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ ‏)‏ فَأَلْحَقْنَاهَا فِي سُورَتِهَا فِي الْمُصْحَفِ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا ابراهيم بن سعد، حدثنا ابن شهاب، اخبرني خارجة بن زيد بن ثابت، انه سمع زيد بن ثابت ـ رضى الله عنه ـ يقول فقدت اية من الاحزاب حين نسخنا المصحف، كنت اسمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقرا بها، فالتمسناها فوجدناها مع خزيمة بن ثابت الانصاري ‏(‏من المومنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه فمنهم من قضى نحبه ومنهم من ينتظر ‏)‏ فالحقناها في سورتها في المصحف‏.‏


Narrated Zaid bin Thabit:

When we wrote the Holy Qur'an, I missed one of the Verses of Surat-al-Ahzab which I used to hear Allah's Messenger (ﷺ) reciting. Then we searched for it and found it with Khuza`ima bin Thabit Al-Ansari. The Verse was:-- 'Among the Believers are men Who have been true to Their Covenant with Allah, Of them, some have fulfilled Their obligations to Allah (i.e. they have been Killed in Allah's Cause), And some of them are (still) waiting" (33.23) So we wrote this in its place in the Qur'an.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৫৪। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদের উদ্দেশ্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলে যারা তাঁর সঙ্গে বের হয়েছিল, তাদের কিছুসংখ্যক লোক ফিরে এলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ তাদের সম্পর্কে দু’দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একদল বললেন, আমরা তাদের সাথে লড়াই করব। অপরদল বললেন, আমরা তাদের সাথে লড়াই করব না। এ সময় নাযিল হয় (নিম্নবর্ণিত আয়াতখানা) “তোমাদের কী হল যে, তোমরা মুনাফিকদের সম্বন্ধে দু’দল হয়ে গেলে, যখন তাদের কৃতকর্মের দরুন আল্লাহ তাদেরকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। (৪ঃ ৮৮) এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ (মদিনা) পবিত্র স্থান। আগুন যেমন রূপার ময়লা দূর করে দেয়, এমনিভাবে মদিনাও গুনাহ্‌কে দূর করে দেয়।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ،، يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمَّا خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى أُحُدٍ، رَجَعَ نَاسٌ مِمَّنْ خَرَجَ مَعَهُ، وَكَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِرْقَتَيْنِ، فِرْقَةً تَقُولُ نُقَاتِلُهُمْ‏.‏ وَفِرْقَةً تَقُولُ لاَ نُقَاتِلُهُمْ‏.‏ فَنَزَلَتْ ‏(‏فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ وَاللَّهُ أَرْكَسَهُمْ بِمَا كَسَبُوا‏)‏ وَقَالَ ‏"‏ إِنَّهَا طَيْبَةُ تَنْفِي الذُّنُوبَ كَمَا تَنْفِي النَّارُ خَبَثَ الْفِضَّةِ ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو الوليد، حدثنا شعبة، عن عدي بن ثابت، سمعت عبد الله بن يزيد،، يحدث عن زيد بن ثابت ـ رضى الله عنه ـ قال لما خرج النبي صلى الله عليه وسلم الى احد، رجع ناس ممن خرج معه، وكان اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فرقتين، فرقة تقول نقاتلهم‏.‏ وفرقة تقول لا نقاتلهم‏.‏ فنزلت ‏(‏فما لكم في المنافقين فىتين والله اركسهم بما كسبوا‏)‏ وقال ‏"‏ انها طيبة تنفي الذنوب كما تنفي النار خبث الفضة ‏"‏‏.‏


Narrated Zaid bin Thabit:

When the Prophet (ﷺ) set out for (the battle of) Uhud, some of those who had gone out with him, returned. The companions of the Prophet (ﷺ) were divided into two groups. One group said, "We will fight them (i.e. the enemy)," and the other group said, "We will not fight them." So there came the Divine Revelation:-- '(O Muslims!) Then what is the matter within you that you are divided. Into two parties about the hypocrites? Allah has cast them back (to disbelief) Because of what they have earned.' (4.88) On that, the Prophet (ﷺ) said, "That is Taiba (i.e. the city of Medina) which clears one from one's sins as the fire expels the impurities of silver."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে