৩৭৫২

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)

৩৭৫২। হাসসান ইবনু হাসসান (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেছেন), তাঁর চাচা [আনাস ইবনু নযর (রাঃ)] বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি [আনাস ইবনু নযর (রাঃ)] বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সর্বপ্রথম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। যদি আল্লাহ তা’আলা আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কোনো যুদ্ধে শরীক করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ দেখবেন, আমি কত প্রাণপণ চেষ্টা করে লড়াই করি। এরপর তিনি উহুদ যুদ্ধের দিন সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হওয়ার পর লোকেরা পরাজিত হলে (পরাজিত হয়ে পলায়ন করতে আরম্ভ করলো) তিনি বললেন। আমি এর জন্য আপনার নিকট ওযরখাহী পেশ করেছি এবং মুশরিকগণ যা করল তা থেকে আমি আমার সম্পর্কহীনতা প্রকাশ করছি। এরপর তিনি তলোয়ার নিয়ে অগ্রসর হলেন। এ সময় সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ) এর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হল। তিনি বললেন, তুমি কোথায় যাচ্ছ হে সা’দ? আমি উহুদের অপর প্রান্ত হতে জান্নাতের সুঘ্রান পাচ্ছি। এরপর তিনি (বীর বিক্রমে) যুদ্ধ করে শাহাদাত বরণ করলেন। তাঁকে চেনা যাচ্ছিল না। অবশেষে তাঁর বোন তাঁর শরীরের একটি তিল অথবা অঙ্গুলীর মাথা দেখে তাঁকে চিনলেন। তাঁর শরীরে আশিটিরও বেশি বর্শা, তরবারি ও তীরের আঘাত ছিল।

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَاءَ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ وَلَقَدْ كُنْتُمْ تَمَنَّوْنَ الْمَوْتَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} وَقَوْلِهِ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ}، {وَلاَ تَحْسِبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} الآيَةَ

أَخْبَرَنَا حَسَّانُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ عَمَّهُ، غَابَ عَنْ بَدْرٍ فَقَالَ غِبْتُ عَنْ أَوَّلِ قِتَالِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، لَئِنْ أَشْهَدَنِي اللَّهُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيَرَيَنَّ اللَّهُ مَا أُجِدُّ‏.‏ فَلَقِيَ يَوْمَ أُحُدٍ، فَهُزِمَ النَّاسُ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعْتَذِرُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ هَؤُلاَءِ ـ يَعْنِي الْمُسْلِمِينَ ـ وَأَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا جَاءَ بِهِ الْمُشْرِكُونَ‏.‏ فَتَقَدَّمَ بِسَيْفِهِ فَلَقِيَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ أَيْنَ يَا سَعْدُ إِنِّي أَجِدُ رِيحَ الْجَنَّةِ دُونَ أُحُدٍ‏.‏ فَمَضَى فَقُتِلَ، فَمَا عُرِفَ حَتَّى عَرَفَتْهُ أُخْتُهُ بِشَامَةٍ أَوْ بِبَنَانِهِ، وَبِهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ طَعْنَةٍ وَضَرْبَةٍ وَرَمْيَةٍ بِسَهْمٍ‏.‏

اخبرنا حسان بن حسان حدثنا محمد بن طلحة حدثنا حميد عن انس رضى الله عنه ان عمه غاب عن بدر فقال غبت عن اول قتال النبي صلى الله عليه وسلم لىن اشهدني الله مع النبي صلى الله عليه وسلم ليرين الله ما اجد فلقي يوم احد فهزم الناس فقال اللهم اني اعتذر اليك مما صنع هولاء يعني المسلمين وابرا اليك مما جاء به المشركون فتقدم بسيفه فلقي سعد بن معاذ فقال اين يا سعد اني اجد ريح الجنة دون احد فمضى فقتل فما عرف حتى عرفته اخته بشامة او ببنانه وبه بضع وثمانون من طعنة وضربة ورمية بسهم


Narrated Anas:

His uncle (Anas bin An-Nadr) was absent from the battle of Badr and he said, "I was absent from the first battle of the Prophet (i.e. Badr battle), and if Allah should let me participate in (a battle) with the Prophet, Allah will see how strongly I will fight." So he encountered the day of Uhud battle. The Muslims fled and he said, "O Allah ! I appeal to You to excuse me for what these people (i.e. the Muslims) have done, and I am clear from what the pagans have done." Then he went forward with his sword and met Sad bin Mu'adh (fleeing), and asked him, "Where are you going, O Sad? I detect a smell of Paradise before Uhud." Then he proceeded on and was martyred. No-body was able to recognize him till his sister recognized him by a mole on his body or by the tips of his fingers. He had over 80 wounds caused by stabbing, striking or shooting with arrows.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى)