পরিচ্ছেদঃ ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন

২৯১১। সাঈদ ইবনু উফাইর (রহঃ) ... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁকে মারওয়াম ইবনু হাকাম ও মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) রেওয়ায়ত করেছেন যে, যখন হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল মুসলিম হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল যে, তাদের মাল ও বন্দী উভয়ই ফেরত দেওয়া হোক। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, আমার নিকট সত্য কথা অধিক প্রিয়। তোমরা দু’য়ের মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ কর। হয় বন্দী, নয় মাল। আর আমি তো তাদের (হাওয়াযিন গোত্রের) প্রতিক্ষা করেছিলাম আর তায়েফ থেকে ফেরার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ দিন থেকে বেশী সময় তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। অবশেষে যখন তাদের কাছে স্পষ্ট হল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু’টোর মধ্যে যে কোন একটই ফেরত দিবেন, তখন তারা বলল, আমরা আমাদের বন্দীদের ফেরত লাভই অধিক পছন্দ করি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের সামনে দাঁড়ালেন।

প্রথমে তিনি আল্লাহ তা’আলা যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন। তারপর বললেন, তোমাদের এ সকল ভাই তাওবা করে আমার নিকট এসেছে। আর আমি সমীচীন মনে করিছি যে, তাদের বন্দীদের ফেরত দিব। যে ব্যাক্তি সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে চায়, সে যেন তা করে আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যাক্তি চায় যে, তার অংশ বহাল থাকুক, সে যেন অপেক্ষা করে (কিংবা) আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে প্রথম যে গনীমতের মাল দান করেছেন, আমি তাকে তা থেকে দিয়ে দিব, তাও করতে পারে। সমবেত লোকেরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সন্তুষ্টিচিত্তে সেটি গ্রহণ করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি সঠিক জানতে পারিনি, তোমাদের মধ্যে কে এতে সম্মতি দিয়েছে, আর কে দেয়নি। কাজেই, তোমরা ফিরে যাও এবং নিজ নিজ প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাকে তোমাদের সিদ্ধান্ত জানাও। লোকেরা চলে গেল। আর তাদের প্রতিনিধিরা নিজেদের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ফেরত এল এবং তাঁকে জানাল যে, তারা সন্তুষ্টিচিত্তে (বন্দী দানের ব্যাপারে) সম্মতি দিয়েছে। (ইবনু শিহাব বললেন) হাওয়াযিনের বন্দীগণ সম্পর্কিত বিবরণ আমাদের নিকট এরূপই পৌঁছেছে।

بَابُ وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِينَ مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ وَزَعَمَ عُرْوَةُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، وَمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِينَ، فَسَأَلُوهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَسَبْيَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَحَبُّ الْحَدِيثِ إِلَىَّ أَصْدَقُهُ، فَاخْتَارُوا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ إِمَّا السَّبْىَ وَإِمَّا الْمَالَ، وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِهِمْ ‏"‏‏.‏ وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْتَظَرَ آخِرَهُمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، حِينَ قَفَلَ مِنَ الطَّائِفِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلاَّ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ‏.‏ قَالُوا فَإِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُسْلِمِينَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ هَؤُلاَءِ قَدْ جَاءُونَا تَائِبِينَ، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ، مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُطَيِّبَ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ النَّاسُ قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَهُمْ‏.‏ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّا لاَ نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ فِي ذَلِكَ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ، فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ ‏"‏ فَرَجَعَ النَّاسُ، فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوا فَأَذِنُوا‏.‏ فَهَذَا الَّذِي بَلَغَنَا عَنْ سَبْىِ هَوَازِنَ‏.‏

حدثنا سعيد بن عفير، قال حدثني الليث، قال حدثني عقيل، عن ابن شهاب، قال وزعم عروة ان مروان بن الحكم، ومسور بن مخرمة، اخبراه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال حين جاءه وفد هوازن مسلمين، فسالوه ان يرد اليهم اموالهم وسبيهم فقال لهم رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احب الحديث الى اصدقه، فاختاروا احدى الطاىفتين اما السبى واما المال، وقد كنت استانيت بهم ‏"‏‏.‏ وقد كان رسول الله صلى الله عليه وسلم انتظر اخرهم بضع عشرة ليلة، حين قفل من الطاىف، فلما تبين لهم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم غير راد اليهم الا احدى الطاىفتين‏.‏ قالوا فانا نختار سبينا، فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم في المسلمين فاثنى على الله بما هو اهله ثم قال ‏"‏ اما بعد، فان اخوانكم هولاء قد جاءونا تاىبين، واني قد رايت ان ارد اليهم سبيهم، من احب ان يطيب فليفعل، ومن احب منكم ان يكون على حظه حتى نعطيه اياه من اول ما يفيء الله علينا فليفعل ‏"‏‏.‏ فقال الناس قد طيبنا ذلك يا رسول الله لهم‏.‏ فقال لهم رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انا لا ندري من اذن منكم في ذلك ممن لم ياذن، فارجعوا حتى يرفع الينا عرفاوكم امركم ‏"‏ فرجع الناس، فكلمهم عرفاوهم، ثم رجعوا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبروه انهم قد طيبوا فاذنوا‏.‏ فهذا الذي بلغنا عن سبى هوازن‏.‏


Narrated Marwan bin Al-Hakim and Miswar bin Makhrama:

When the Hawazin delegation came to Allah's Messenger (ﷺ) after they had embraced Islam and requested him to return their properties and war prisoners to them, Allah's Messenger (ﷺ) said, "To me the best talk is the truest, so you may choose either of two things; the war prisoners or the wealth, for I have delayed their distribution." Allah's Messenger (ﷺ) had waited for them for over ten days when he returned from Ta'if. So, when those people came to know that Allah's Messenger (ﷺ) was not going to return to them except one of the two things the said, "We choose our war Prisoners 'Allah's Messenger (ﷺ) stood up amongst the Muslims, and after glorifying Allah as He deserved, he said, "Now then, these brothers of yours have come to us with repentance, and I see it logical that I should return their captives to them, so whoever of you likes to do that as a favor then he can do it, and whoever amongst you likes to stick to his share, let him give up his prisoners and we will compensate him from the very first Fai' (i.e. war booty received without fight) which Allah will give us." On that, all the people said. 'O Allah's Messenger (ﷺ)s We have agreed willingly to do so (return the captives)" Then Allah's Messenger (ﷺ) said to them "I do not know who amongst you has agreed to this and who has not. You should return and let your leaders inform me of your agreement." The people returned and their leaders spoke to them, and then came to Allah's Apostle and said, "All the people have agreed willingly to do so and have given the permission to return the war prisoners (without Compensation)" (Az-Zuhri, the sub-narrator states) This is what has been related to us about the captives of Hawazin.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)

পরিচ্ছেদঃ ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন

২৯১২। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহহাব (রহঃ) ... যাহদাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আবূ মূসা (রাঃ) এর কাছে ছিলাম, এ সময় মুরগীর (মাংস) সম্বন্ধে আলোচনা উঠল। তথায় তাইমুল্লাহ গোত্রের এমন লাল বর্ণের এক ব্যাক্তিও উপস্থিত ছিল, যেন সে মাওয়ালী (রোমক কৃতদাস) এর একজন। তাকে খাওয়ার জন্য ডাকলেন। তখন সে বলে উঠল, আমি মুরগীকে এমন বস্তু খেতে দেখেছি, যাতে আমার ঘৃণা জন্মেছে। তাই আমি শপথ করেছি যে, তা খাব না। আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, আস, আমি তোমাকে এ সম্পর্কে হাদীস শোনাচ্ছি। আমি কয়েকজন আশআরী ব্যাক্তির পক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সাওয়ারী চাইতে যাই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সাওয়ারী দিব না এবং আমার কাছে তোমাদের দেওয়ার মত কোন সাওয়ারীও নেই। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গনীমতের কয়েকটি উট আনা হল।

তখন তিনি আমাদের খোজ নিলেন এবং বললেন, সেই আশ’আরী লোকেরা কোথায়? তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচু সাদা চুলওয়ালা পাঁচটি উট আমাদের দিতে বললেন। যখন আমরা উট নিয়ে রওয়ানা হলাম বললাম, আমরা কী করলাম? আমাদের মঙ্গল হবে না। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ফিরে এলাম এবং বললাম, আমরা আপনার নিকট সাওয়ারীর জন্য আবেদন করেছিলাম, তখন আপনি শপথ করে বলেছিলেন, আমাদের সাওয়ারী দিবেন না। আপনি তা ভুলে গিয়েছিলেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাদের সাওয়ারী দেইনি বরং আল্লাহ তা’আলাই তোমাদের সাওয়ারী দান করেছেন। আল্লাহর কসম, আমার অবস্থা এই যে, ইনশাআল্লাহর আমি কোন বিষয়ে আমি কসম করি এবং তার বিপরীতটি মঙ্গলজনক মনে করি, তখন সেই মঙ্গলজনকটি আমি করি এবং কাফফারা দিয়ে কসম থেকে মুক্ত হই।

بَابُ وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِينَ مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ عَاصِمٍ الْكُلَيْبِيُّ ـ وَأَنَا لِحَدِيثِ الْقَاسِمِ، أَحْفَظُ ـ عَنْ زَهْدَمٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى، فَأُتِيَ ذَكَرَ دَجَاجَةً وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ أَحْمَرُ كَأَنَّهُ مِنَ الْمَوَالِي، فَدَعَاهُ لِلطَّعَامِ فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا، فَقَذِرْتُهُ، فَحَلَفْتُ لاَ آكُلُ‏.‏ فَقَالَ هَلُمَّ فَلأُحَدِّثْكُمْ عَنْ ذَاكَ، إِنِّي أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلُهُ فَقَالَ ‏"‏ وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ، وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ ‏"‏‏.‏ وَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَهْبِ إِبِلٍ، فَسَأَلَ عَنَّا فَقَالَ ‏"‏ أَيْنَ النَّفَرُ الأَشْعَرِيُّونَ ‏"‏‏.‏ فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى، فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قُلْنَا مَا صَنَعْنَا لاَ يُبَارَكُ لَنَا، فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا إِنَّا سَأَلْنَاكَ أَنْ تَحْمِلَنَا، فَحَلَفْتَ أَنْ لاَ تَحْمِلَنَا أَفَنَسِيتَ قَالَ ‏"‏ لَسْتُ أَنَا حَمَلْتُكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَتَحَلَّلْتُهَا ‏"‏‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الوهاب، حدثنا حماد، حدثنا ايوب، عن ابي قلابة، قال وحدثني القاسم بن عاصم الكليبي ـ وانا لحديث القاسم، احفظ ـ عن زهدم، قال كنا عند ابي موسى، فاتي ذكر دجاجة وعنده رجل من بني تيم الله احمر كانه من الموالي، فدعاه للطعام فقال اني رايته ياكل شيىا، فقذرته، فحلفت لا اكل‏.‏ فقال هلم فلاحدثكم عن ذاك، اني اتيت النبي صلى الله عليه وسلم في نفر من الاشعريين نستحمله فقال ‏"‏ والله لا احملكم، وما عندي ما احملكم ‏"‏‏.‏ واتي رسول الله صلى الله عليه وسلم بنهب ابل، فسال عنا فقال ‏"‏ اين النفر الاشعريون ‏"‏‏.‏ فامر لنا بخمس ذود غر الذرى، فلما انطلقنا قلنا ما صنعنا لا يبارك لنا، فرجعنا اليه فقلنا انا سالناك ان تحملنا، فحلفت ان لا تحملنا افنسيت قال ‏"‏ لست انا حملتكم، ولكن الله حملكم، واني والله ان شاء الله لا احلف على يمين فارى غيرها خيرا منها الا اتيت الذي هو خير وتحللتها ‏"‏‏.‏


Narrated Zahdam:

Once we were in the house of Abu Musa who presented a meal containing cooked chicken. A man from the tribe of Bani Taim Allah with red complexion as if he were from the Byzantine war prisoners, was present. Abu Musa invited him to share the meal but he (apologised) saying. "I saw chickens eating dirty things and so I have had a strong aversion to eating them, and have taken an oath that I will not eat chickens." Abu Musa said, "Come along, I will tell you about this matter (i.e. how to cancel one's oath). I went to the Prophet (ﷺ) in the company of a group of Al-Ashariyin, asked him to provide us with means of conveyance. He said, 'By Allah, I will not provide you with any means of conveyance and I have nothing to make you ride on.' Then some camels as booty were brought to Allah's Messenger (ﷺ) and he asked for us saying. 'Where are the group of Al-Ash`ariyun?' Then he ordered that we should be given five camels with white humps. When we set out we said, 'What have we done? We will never be blessed (with what we have been given).' So, we returned to the Prophet (ﷺ) and said, 'We asked you to provide us with means of conveyance, but you took an oath that you would not provide us with any means of conveyance. Did you forget (your oath when you gave us the camels)? He replied. 'I have not provided you with means of conveyance, but Allah has provided you with it, and by Allah, Allah willing, if ever I take an oath to do something, and later on I find that it is more beneficial to do something different, I will do the thing which is better, and give expiation for my oath."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যাহদাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)

পরিচ্ছেদঃ ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন

১৯১৩। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদের দিকে একটি সেনাদল পাঠালেন, যাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ)-ও ছিলেন। এ যুদ্ধে গনীমত স্বরূপ তাঁরা বহু সংখ্যক উট লাভ করেন। তাঁদের প্রত্যেকের ভাগে এগারোটি কিংবা বারোটি করে পড়েছিল এবং তাঁদেরকে পুরস্কারস্বরূপ আরো একটি করে উট দেওয়া হয়।

بَابُ وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِينَ مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ سَرِيَّةً فِيهَا عَبْدُ اللَّهِ قِبَلَ نَجْدٍ، فَغَنِمُوا إِبِلاً كَثِيرًا، فَكَانَتْ سِهَامُهُمُ اثْنَىْ عَشَرَ بَعِيرًا أَوْ أَحَدَ عَشَرَ بَعِيرًا، وَنُفِّلُوا بَعِيرًا بَعِيرًا‏.‏

حدثنا عبد الله بن يوسف، اخبرنا مالك، عن نافع، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث سرية فيها عبد الله قبل نجد، فغنموا ابلا كثيرا، فكانت سهامهم اثنى عشر بعيرا او احد عشر بعيرا، ونفلوا بعيرا بعيرا‏.‏


Narrated Nafi` from Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) sent a Sariya towards Najd, and `Abdullah bin `Umar was in the Sariya. They gained a great number of camels as war booty. The share of each one of them was twelve or eleven camels, and they were given an extra camel each.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)

পরিচ্ছেদঃ ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন

১৯১৪। ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক কোন কোন সেনা দলে কোন কোন ব্যাক্তিকে সাধারণ সেনাদের প্রাপ্য অংশের অতিরিক্ত দান করতেন।

بَابُ وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِينَ مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُنَفِّلُ بَعْضَ مَنْ يَبْعَثُ مِنَ السَّرَايَا لأَنْفُسِهِمْ خَاصَّةً سِوَى قِسْمِ عَامَّةِ الْجَيْشِ‏.‏

حدثنا يحيى بن بكير، اخبرنا الليث، عن عقيل، عن ابن شهاب، عن سالم، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان ينفل بعض من يبعث من السرايا لانفسهم خاصة سوى قسم عامة الجيش‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) used to give extra share to some of the members of the Sariya he used to send, in addition to the shares they shared with the army in general.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)

পরিচ্ছেদঃ ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন

১৯১৫। মুহাম্মদ ইবনু আ’লা (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা ইয়ামানে থাকতেই আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত করার সংবাদ পৌঁছে। তখন আমরাও তাঁর নিকট হিজরত করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। আমি এবং আমরা আরো দু’ভাই এর মধ্যে ছিলাম। আমি ছিলাম সর্বকনিষ্ট। তাদের একজন হলেন আবূ বুরদাহ, অপরজন আবূ রুহম। রাবী হয়ত বলেছেন, আমার গোত্রের আরো কতিপয় লোকের মধ্যে; কিংবা বলেছেন, আমার গোত্রের তিপ্পান্ন অথবা বায়ান্ন জন লোকের মধ্যে। তারপর আমরা একটি নৌযানে আরোহণ করলাম। ঘটনাক্রমে আমাদেরকে নৌযানটি হাবশার নাজ্জাশী বাদশাহের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে আমরা জাফর ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের সাথে মিলিত হই।

জাফর (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন এবং এখানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আপনারাও আমাদের সঙ্গে এখানে অবস্থান করুন। তখন আমরা তাঁর সঙ্গে থেকে গেলাম। অবশেষে আমরা সকলে একত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। এমন সময় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌঁছলাম, যখন তিনি খায়বার বিজয় করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (খায়বার লব্ধ গনীমতে) আমাদের জন্য অংশ নির্ধারণ করলেন। (বর্ণনাকারী বলেন), কিংবা তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমাদেরও তা থেকে দিয়েছেন। আমাদের ব্যতীত খায়বার বিজয়ে অনুপস্থিত কাউকেই তা থেকে অংশ দেননি, জাফর (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণের সাথে আমাদের এ নৌযানে আরোহীদের মধ্যে বণ্টন করেছেন।

بَابُ وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِينَ مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ بِالْيَمَنِ فَخَرَجْنَا مُهَاجِرِينَ إِلَيْهِ، أَنَا وَأَخَوَانِ لِي، أَنَا أَصْغَرُهُمْ، أَحَدُهُمَا أَبُو بُرْدَةَ وَالآخَرُ أَبُو رُهْمٍ، إِمَّا قَالَ فِي بِضْعٍ، وَإِمَّا قَالَ فِي ثَلاَثَةٍ وَخَمْسِينَ أَوِ اثْنَيْنِ وَخَمْسِينَ رَجُلاً مِنْ قَوْمِي فَرَكِبْنَا سَفِينَةً، فَأَلْقَتْنَا سَفِينَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالْحَبَشَةِ، وَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَأَصْحَابَهُ عِنْدَهُ فَقَالَ جَعْفَرٌ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَنَا هَا هُنَا، وَأَمَرَنَا بِالإِقَامَةِ فَأَقِيمُوا مَعَنَا‏.‏ فَأَقَمْنَا مَعَهُ، حَتَّى قَدِمْنَا جَمِيعًا، فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، فَأَسْهَمَ لَنَا‏.‏ أَوْ قَالَ فَأَعْطَانَا مِنْهَا‏.‏ وَمَا قَسَمَ لأَحَدٍ غَابَ عَنْ فَتْحِ خَيْبَرَ مِنْهَا شَيْئًا، إِلاَّ لِمَنْ شَهِدَ مَعَهُ، إِلاَّ أَصْحَابَ سَفِينَتِنَا مَعَ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ، قَسَمَ لَهُمْ مَعَهُمْ‏.‏

حدثنا محمد بن العلاء، حدثنا ابو اسامة، حدثنا بريد بن عبد الله، عن ابي بردة، عن ابي موسى ـ رضى الله عنه ـ قال بلغنا مخرج النبي صلى الله عليه وسلم ونحن باليمن فخرجنا مهاجرين اليه، انا واخوان لي، انا اصغرهم، احدهما ابو بردة والاخر ابو رهم، اما قال في بضع، واما قال في ثلاثة وخمسين او اثنين وخمسين رجلا من قومي فركبنا سفينة، فالقتنا سفينتنا الى النجاشي بالحبشة، ووافقنا جعفر بن ابي طالب واصحابه عنده فقال جعفر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعثنا ها هنا، وامرنا بالاقامة فاقيموا معنا‏.‏ فاقمنا معه، حتى قدمنا جميعا، فوافقنا النبي صلى الله عليه وسلم حين افتتح خيبر، فاسهم لنا‏.‏ او قال فاعطانا منها‏.‏ وما قسم لاحد غاب عن فتح خيبر منها شيىا، الا لمن شهد معه، الا اصحاب سفينتنا مع جعفر واصحابه، قسم لهم معهم‏.‏


Narrated Abu Musa:

We got the news of the migration of the Prophet (ﷺ) while we were in Yemen, so we set out migrating to him. We were, I and my two brothers, I being the youngest, and one of my brothers was Abu Burda and the other was Abu Ruhm. We were over fifty (or fifty-three or fifty two) men from our people. We got on board a ship which took us to An-Najashi in Ethiopia, and there we found Ja`far bin Abu Talib and his companions with An-Najaishi. Ja`far said (to us), "Allah's Messenger (ﷺ) has sent us here and ordered us to stay here, so you too, stay with us." We stayed with him till we all left (Ethiopia) and met the Prophet (ﷺ) at the time when he had conquered Khaibar. He gave us a share from its booty (or gave us from its booty). He gave only to those who had taken part in the Ghazwa with him. but he did not give any share to any person who had not participated in Khaibar's conquest except the people of our ship, besides Ja`far and his companions, whom he gave a share as he did them (i.e. the people of the ship).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)

পরিচ্ছেদঃ ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন

২৯১৬। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আমার নিকট বাহরাইনের মাল আসে, তবে আমি তোমাকে (দুই হাত মিলিয়ে) এ পরিমান ও এ পরিমান দান করব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকাল অবধি তা এলো না। তারপর যখন বাহরাইনের মাল এল, তখন আবূ বকর ঘোষণা দানকারীকে এ ঘোষণা দেয়ার আদেশ করলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যার কোন ঋণ বা প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সে যেন আমার নিকট আসে। এরপর আমি তার নিকট গিয়ে বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এত এত ও এত দেয়ার কথা বলেছেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) তিনবার অঞ্জলি ভরে দান করেন। সুফিয়ান (রহঃ) তার দুই হাত একত্র করে অঞ্জলি করে আমাদের বললেন, ইবনু মুনকাদির এরূপই বলেছেন।

জাবির (রাঃ) বলেন, তারপর আমি (জাবির) আবূ বকর (রাঃ) এর নিকট এলাম এবং তার কাছে চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তার কাছে এলাম। তখনও তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তার নিকট তৃতীয়বার এসে বললাম, আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। আবার আমি আপনার নিকট চেয়েছি, তখনও আপনি আমাকে দেননি। পুনরায় আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। এখন আমাকে আপনি দেবেন, না হয় আমার সঙ্গে কার্পণ্য করবেন।

আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তুমি আমাকে বলছ, কার্পণ্য করবেন? আমি যতবারই তোমাকে দিতে অস্বীকার করি না কেন, আমার ইচ্ছা ছিল যে, আমি তোমাকে দেই। সুফিয়ান (রহঃ) বলেন, আমর (রহঃ) মুহাম্মদ ইবনু আলী (রহঃ) সুত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, (তিনি বলেন) আবূ বকর (রাঃ) আমাকে এক অঞ্জলি দিয়ে বললেন, এটা গুনে নাও। আমি গণনা করে দেখলাম, পাঁচ শত। তখন তিনি বললেন, এরুপ আরও দু’বার নিয়ে নাও। আর ইবনুল মুনকাদিরের বর্ণনায় আছে যে, (আবূ বকর (রাঃ) বলেছেন) ’কার্পণ্য অপেক্ষা বড় রোগ কি হতে পারে?’

بَابُ وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِينَ مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، سَمِعَ جَابِرًا ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَوْ قَدْ جَاءَنِي مَالُ الْبَحْرَيْنِ لَقَدْ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ‏"‏‏.‏ فَلَمْ يَجِئْ حَتَّى قُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا جَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ أَمَرَ أَبُو بَكْرٍ مُنَادِيًا فَنَادَى مَنْ كَانَ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَيْنٌ أَوْ عِدَةٌ فَلْيَأْتِنَا‏.‏ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا‏.‏ فَحَثَا لِي ثَلاَثًا ـ وَجَعَلَ سُفْيَانُ يَحْثُو بِكَفَّيْهِ جَمِيعًا، ثُمَّ قَالَ لَنَا هَكَذَا قَالَ لَنَا ابْنُ الْمُنْكَدِرِ ـ وَقَالَ مَرَّةً فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ فَسَأَلْتُ فَلَمْ يُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَلَمْ يُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُهُ الثَّالِثَةَ فَقُلْتُ سَأَلْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، ثُمَّ سَأَلْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، ثُمَّ سَأَلْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، فَإِمَّا أَنْ تُعْطِيَنِي، وَإِمَّا أَنْ تَبْخَلَ عَنِّي‏.‏ قَالَ قُلْتَ تَبْخَلُ عَلَىَّ مَا مَنَعْتُكَ مِنْ مَرَّةٍ إِلاَّ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُعْطِيَكَ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ جَابِرٍ فَحَثَا لِي حَثْيَةً وَقَالَ عُدَّهَا‏.‏ فَوَجَدْتُهَا خَمْسَمِائَةٍ قَالَ فَخُذْ مِثْلَهَا مَرَّتَيْنِ‏.‏ وَقَالَ يَعْنِي ابْنَ الْمُنْكَدِرِ وَأَىُّ دَاءٍ أَدْوَأُ مِنَ الْبُخْلِ

حدثنا علي، حدثنا سفيان، حدثنا محمد بن المنكدر، سمع جابرا ـ رضى الله عنه ـ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لو قد جاءني مال البحرين لقد اعطيتك هكذا وهكذا وهكذا ‏"‏‏.‏ فلم يجى حتى قبض النبي صلى الله عليه وسلم، فلما جاء مال البحرين امر ابو بكر مناديا فنادى من كان له عند رسول الله صلى الله عليه وسلم دين او عدة فلياتنا‏.‏ فاتيته فقلت ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لي كذا وكذا‏.‏ فحثا لي ثلاثا ـ وجعل سفيان يحثو بكفيه جميعا، ثم قال لنا هكذا قال لنا ابن المنكدر ـ وقال مرة فاتيت ابا بكر فسالت فلم يعطني، ثم اتيته فلم يعطني، ثم اتيته الثالثة فقلت سالتك فلم تعطني، ثم سالتك فلم تعطني، ثم سالتك فلم تعطني، فاما ان تعطيني، واما ان تبخل عني‏.‏ قال قلت تبخل على ما منعتك من مرة الا وانا اريد ان اعطيك‏.‏ قال سفيان وحدثنا عمرو عن محمد بن علي عن جابر فحثا لي حثية وقال عدها‏.‏ فوجدتها خمسماىة قال فخذ مثلها مرتين‏.‏ وقال يعني ابن المنكدر واى داء ادوا من البخل


Narrated Jabir:

Allah's Messenger (ﷺ) said (to me), "If the property of Bahrain had come to us, I would have given you so much and so much." But the Bahrain property did not come till the Prophet (ﷺ) had died. When the Bahrain property came. Abu Bakr ordered somebody to announce, "Any person who has money claim on Allah's Messenger (ﷺ) or whom Allah's Messenger (ﷺ) had promised something, should come to us." So, I went to him and said, "Allah's Messenger (ﷺ) had promised to give me so much an so much." Abu Bakr scooped up money with both hands thrice for me." (The sub-narrator Sufyan illustrated this action by scooping up with both hands and said, "Ibn Munkadir, another sub-narrator, used to illustrate it in this way.") Narrated Jabir: Once I went to Abu Bakr and asked for the money but he did not give me, and I went to him again, but he did not give me, so I went to him for the third time and said, "I asked you, but you did not give me; then I asked you (for the second time) and you did not give me; then I asked you (for the third time) but you did not give me. You should either give me or allow yourself to be considered a miser regarding my case." Abu Bakr said, "You tell me that I am a miser with regard to you. But really, whenever I rejected your request, I had the inclination to give you." (In another narration Jabir added:) So, Abu Bakr scooped up money with both hands for me and asked me to count it. I found out that It was five hundred. Abu Bakr told me to take twice that amount.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)

পরিচ্ছেদঃ ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন

২৯১৭। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জি’য়রানা নামক স্থানে গনীমতের মাল বণ্টন করেছিলেন, তখন এক ব্যাক্তি বলল, (বণ্টন) ইনসাফ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’আমি যদি ইনসাফ না করি, তবে তুমি হবে হতভাগ্য।

بَابُ وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِينَ مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْسِمُ غَنِيمَةً بِالْجِعْرَانَةِ إِذْ قَالَ لَهُ رَجُلٌ اعْدِلْ‏.‏ فَقَالَ لَهُ ‏ "‏ شَقِيتَ إِنْ لَمْ أَعْدِلْ ‏"‏‏.‏

حدثنا مسلم بن ابراهيم، حدثنا قرة، حدثنا عمرو بن دينار، عن جابر بن عبد الله ـ رضى الله عنهما ـ قال بينما رسول الله صلى الله عليه وسلم يقسم غنيمة بالجعرانة اذ قال له رجل اعدل‏.‏ فقال له ‏ "‏ شقيت ان لم اعدل ‏"‏‏.‏


Narrated Jabir bin `Abdullah:

While Allah's Messenger (ﷺ) was distributing the booty at Al-Ja'rana, somebody said to him "Be just (in your distribution)." The Prophet (ﷺ) replied, "Verily I would be miserable if I did not act justly."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে