পরিচ্ছেদঃ ৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধুত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ্ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাকেও তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি য়ে খুনের প্রবর্তন করেছে।
১২০৯। আবদান ও মুহাম্মদ (রহঃ) ... উসামা ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা (যায়নাব) তাঁর খিদমতে লোক পাঠালেন যে, আমার এক পুত্র মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে, তাই আপনি আমাদের এখানে আসুন। তিনি বলে পাঠালেন, (তাকে) সালাম দিবে এবং বলবেঃ আল্লাহরই অধিকারে যা কিছু তিনি নিয়ে যান আর তাঁরই অধিকারে যা কিছু তিনি দান করেন। তাঁর কাছে সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সে যেন সবর করে এবং সাওয়াবের আশায় থাকে। তখন তিনি তাঁর কাছে কসম দিয়ে পাঠালেন, তিনি যেন অবশ্যই আসেন। তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং তাঁর সাথে ছিলেন সা’দ ইবনু উবাদা, মু’আয ইবনু জাবাল, উবাই ইবনু কা’ব, যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) এবং আরও কয়েক জন।
তখন শিশুটিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তুলে দেওয়া হল। তখন তার জান ছঠফট করছিল। রাবী বলেন, আমার ধারনা যে, তিনি এ বলেছিলেন, যেন তার শ্বাস মশকের মত (আওয়াজ হচ্ছিল)। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’ চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। সা’দ (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! একি? তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে রহমত, যা আল্লাহ পাক তাঁর বান্দার অন্তরে আমানত রেখেছেন। আর আল্লাহ পাক তো তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতই দয়া করেন।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: «يُعَذَّبُ الْمَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا}. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ». فَإِذَا لَمْ يَكُنْ مِنْ سُنَّتِهِ، فَهُوَ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: {لاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى}. وَهُوَ كَقَوْلِهِ: {وَإِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ} ذُنُوبًا {إِلَى حِمْلِهَا لاَ يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ} وَمَا يُرَخَّصُ مِنَ الْبُكَاءِ فِي غَيْرِ نَوْحٍ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا». وَذَلِكَ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، وَمُحَمَّدٌ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَرْسَلَتِ ابْنَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِ إِنَّ ابْنًا لِي قُبِضَ فَائْتِنَا. فَأَرْسَلَ يُقْرِئُ السَّلاَمَ وَيَقُولُ " إِنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ وَلَهُ مَا أَعْطَى وَكُلٌّ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمًّى، فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ ". فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ تُقْسِمُ عَلَيْهِ لَيَأْتِيَنَّهَا، فَقَامَ وَمَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَرِجَالٌ، فَرُفِعَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّبِيُّ وَنَفْسُهُ تَتَقَعْقَعُ ـ قَالَ حَسِبْتُهُ أَنَّهُ قَالَ ـ كَأَنَّهَا شَنٌّ. فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ. فَقَالَ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا هَذَا فَقَالَ " هَذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللَّهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ، وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ ".
Narrated Usama bin Zaid:
The daughter of the Prophet (p.b.u.h) sent (a messenger) to the Prophet (ﷺ) requesting him to come as her child was dying (or was gasping), but the Prophet (ﷺ) returned the messenger and told him to convey his greeting to her and say: "Whatever Allah takes is for Him and whatever He gives, is for Him, and everything with Him has a limited fixed term (in this world) and so she should be patient and hope for Allah's reward." She again sent for him, swearing that he should come. The Prophet (ﷺ) got up, and so did Sa`d bin 'Ubada, Mu`adh bin Jabal, Ubai bin Ka`b, Zaid bin Thabit and some other men. The child was brought to Allah's Messenger (ﷺ) while his breath was disturbed in his chest (the sub-narrator thinks that Usama added: ) as if it was a leather water-skin. On that the eyes of the Prophet (p.b.u.h) started shedding tears. Sa`d said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! What is this?" He replied, "It is mercy which Allah has lodged in the hearts of His slaves, and Allah is merciful only to those of His slaves who are merciful (to others).
পরিচ্ছেদঃ ৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধুত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ্ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাকেও তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি য়ে খুনের প্রবর্তন করেছে।
১২১০। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক কন্যা [উম্মে কুলসুম (রাঃ)] এর জানাযায় উপস্থিত হলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের পাশে বসেছিলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন আমি তাঁর চোখ থেকে পানি ঝরতে দেখলাম। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে, যে আজ রাতে স্ত্রী মিলন করেনি? আবূ তালহা (রাঃ) বললেন, আমি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে তুমি (কবরে) অবতরণ কর। রাবী বলেন, তখন তিনি [আবূ তালহা (রাঃ)] তাঁর কবরে অবতরণ করলেন।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: «يُعَذَّبُ الْمَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا}. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ». فَإِذَا لَمْ يَكُنْ مِنْ سُنَّتِهِ، فَهُوَ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: {لاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى}. وَهُوَ كَقَوْلِهِ: {وَإِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ} ذُنُوبًا {إِلَى حِمْلِهَا لاَ يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ} وَمَا يُرَخَّصُ مِنَ الْبُكَاءِ فِي غَيْرِ نَوْحٍ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا». وَذَلِكَ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ شَهِدْنَا بِنْتًا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ عَلَى الْقَبْرِ ـ قَالَ فَرَأَيْتُ عَيْنَيْهِ تَدْمَعَانِ قَالَ ـ فَقَالَ " هَلْ مِنْكُمْ رَجُلٌ لَمْ يُقَارِفِ اللَّيْلَةَ ". فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَنَا. قَالَ " فَانْزِلْ ". قَالَ فَنَزَلَ فِي قَبْرِهَا.
Narrated Anas bin Malik:
We were (in the funeral procession) of one of the daughters of the Prophet (ﷺ) and he was sitting by the side of the grave. I saw his eyes shedding tears. He said, "Is there anyone among you who did not have sexual relations with his wife last night?" Abu Talha replied in the affirmative. And so the Prophet told him to get down in the grave. And so he got down in her grave.
পরিচ্ছেদঃ ৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধুত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ্ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাকেও তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি য়ে খুনের প্রবর্তন করেছে।
১২১১। আবদান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ্ ইবনু আবূ মুলাইকা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কায় উসমান (রাঃ) এর এক কন্যার ওফাত হল। আমরা সেখানে (জানাযায়) শরীক হওয়ার জন্য গেলাম। ইবনু উমর এবং ইবনু আব্বাস (রাঃ)ও সেখানে হাযির হলেন। আমি তা্ঁদের দু’জনের মাঝে বসা ছিলাম, অথবা তিনি বলেছেন, আমি তাঁদের এক জনের পাশে গিয়ে বসলাম, পরে অন্য জন এসে আমার পাশে বসলেন। (কান্নার আওয়াজ শুনে) ইবনু উমর (রাঃ) আমর ইবনু উসমানকে বললেন, তুমি কেন কাঁদতে নিষেধ করছনা? কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যাক্তিকে তার পরিজনদের কান্নার কারণে আযাব দেওয়া হয়। তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, উমর (রাঃ)ও এরকম কিছু বলতেন।
এরপর ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করলেন, উমর (রাঃ) এর সাথে মক্কা থেকে ফিরছিলাম। আমরা বায়দা (নামক স্থানে) পৌঁছলে উমর (রাঃ) বাবলা গাছের ছায়ায় একটি কাফেলা দেখতে পেয়ে আমাকে বললেন, গিয়ে দেখোতো এ কাফেলা কার? ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে সুহাইব (রাঃ) রয়েছেন। আমি তাকে তা জানালাম। তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আস। আমি সুহাইব (রাঃ)-এর নিকটে আবার গেলাম এবং বললাম, চলুন, আমীরুল মু’মিনীনের সঙ্গে সাক্ষাত করুন। এরপর যখন উমর (রাঃ) (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাঃ) তাঁর কাছে এসে এ বলে কাঁদতে লাগলেন, হায় আমার ভাই! হায় আমার বন্ধু! এতে উমর (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি আমার জন্য কাঁদছো? অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যাক্তির জন্য তার আপন জনের কোন কোন কান্নার কারণে অবশ্যই তাকে আযাব দেওয়া হয়।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, উমর (রাঃ)-এর ওফাতের পর আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে আমি উমর (রাঃ)-এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ উমর (রাঃ)-কে রহম করুন। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা বলেননি যে, আল্লাহ ঈমানদার(মৃত) ব্যাক্তিকে, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দিবেন। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে। এরপর আয়িশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট (ইরশাদ হয়েছেঃ) “বোঝা বহনকারী কোন ব্যাক্তি অপরের বোঝা বহন করবেনা”। তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, আল্লাহই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁধান। রাবী ইবনু আবূ মুলাইকা (রহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! (একথা শুনে) ইবনু উমর (রাঃ) কোন মন্তব্য করলেন না।
হাদিস নং - ১২৮৬, ১২৮৭ ও ১২৮৮
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: «يُعَذَّبُ الْمَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا}. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ». فَإِذَا لَمْ يَكُنْ مِنْ سُنَّتِهِ، فَهُوَ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: {لاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى}. وَهُوَ كَقَوْلِهِ: {وَإِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ} ذُنُوبًا {إِلَى حِمْلِهَا لاَ يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ} وَمَا يُرَخَّصُ مِنَ الْبُكَاءِ فِي غَيْرِ نَوْحٍ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا». وَذَلِكَ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ تُوُفِّيَتِ ابْنَةٌ لِعُثْمَانَ ـ رضى الله عنه ـ بِمَكَّةَ وَجِئْنَا لِنَشْهَدَهَا، وَحَضَرَهَا ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهم ـ وَإِنِّي لَجَالِسٌ بَيْنَهُمَا ـ أَوْ قَالَ جَلَسْتُ إِلَى أَحَدِهِمَا. ثُمَّ جَاءَ الآخَرُ، فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِي فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ لِعَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ أَلاَ تَنْهَى عَنِ الْبُكَاءِ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ". فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَدْ كَانَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ بَعْضَ ذَلِكَ، ثُمَّ حَدَّثَ قَالَ صَدَرْتُ مَعَ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ، إِذَا هُوَ بِرَكْبٍ تَحْتَ ظِلِّ سَمُرَةٍ فَقَالَ اذْهَبْ، فَانْظُرْ مَنْ هَؤُلاَءِ الرَّكْبُ قَالَ فَنَظَرْتُ فَإِذَا صُهَيْبٌ، فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ادْعُهُ لِي. فَرَجَعْتُ إِلَى صُهَيْبٍ فَقُلْتُ ارْتَحِلْ فَالْحَقْ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَلَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ دَخَلَ صُهَيْبٌ يَبْكِي يَقُولُ وَاأَخَاهُ، وَاصَاحِبَاهُ. فَقَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ يَا صُهَيْبُ أَتَبْكِي عَلَىَّ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ". قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما فَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَقَالَتْ رَحِمَ اللَّهُ عُمَرَ، وَاللَّهِ مَا حَدَّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ لَيُعَذِّبُ الْمُؤْمِنَ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ. وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ لَيَزِيدُ الْكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ". وَقَالَتْ حَسْبُكُمُ الْقُرْآنُ (وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى). قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عِنْدَ ذَلِكَ وَاللَّهُ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى. قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ وَاللَّهِ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ شَيْئًا.
Narrated `Abdullah bin 'Ubaidullah bin Abi Mulaika:
One of the daughters of `Uthman died at Mecca. We went to attend her funeral procession. Ibn `Umar and Ibn `Abbas were also present. I sat in between them (or said, I sat beside one of them. Then a man came and sat beside me.) `Abdullah bin `Umar said to `Amr bin `Uthman, "Will you not prohibit crying as Allah's Messenger (ﷺ) has said, 'The dead person is tortured by the crying of his relatives.?" Ibn `Abbas said, "`Umar used to say so." Then he added narrating, "I accompanied `Umar on a journey from Mecca till we reached Al-Baida. There he saw some travelers in the shade of a Samura (A kind of forest tree). He said (to me), "Go and see who those travelers are." So I went and saw that one of them was Suhaib. I told this to `Umar who then asked me to call him. So I went back to Suhaib and said to him, "Depart and follow the chief of the faithful believers." Later, when `Umar was stabbed, Suhaib came in weeping and saying, "O my brother, O my friend!" (on this `Umar said to him, "O Suhaib! Are you weeping for me while the Prophet (ﷺ) said, "The dead person is punished by some of the weeping of his relatives?" Ibn `Abbas added, "When `Umar died I told all this to Aisha and she said, 'May Allah be merciful to `Umar. By Allah, Allah's Messenger (ﷺ) did not say that a believer is punished by the weeping of his relatives. But he said, Allah increases the punishment of a non-believer because of the weeping of his relatives." Aisha further added, "The Qur'an is sufficient for you (to clear up this point) as Allah has stated: 'No burdened soul will bear another's burden.' " (35.18). Ibn `Abbas then said, "Only Allah makes one laugh or cry." Ibn `Umar did not say anything after that.
পরিচ্ছেদঃ ৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধুত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ্ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাকেও তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি য়ে খুনের প্রবর্তন করেছে।
১২১২। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ইয়াহূদী মেয়ে লোকের (কবরের) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যার পরিবারের লোকেরা তার জন্য কান্নাকাটি করছিল। তখন তিনি বললেনঃ তারা তো তার জন্য কান্নাকাটি করছে। অথচ তাকে কবরে আযাব দেওয়া হচ্ছে।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: «يُعَذَّبُ الْمَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا}. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ». فَإِذَا لَمْ يَكُنْ مِنْ سُنَّتِهِ، فَهُوَ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: {لاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى}. وَهُوَ كَقَوْلِهِ: {وَإِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ} ذُنُوبًا {إِلَى حِمْلِهَا لاَ يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ} وَمَا يُرَخَّصُ مِنَ الْبُكَاءِ فِي غَيْرِ نَوْحٍ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا». وَذَلِكَ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، سَمِعَتْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ إِنَّمَا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى يَهُودِيَّةٍ يَبْكِي عَلَيْهَا أَهْلُهَا فَقَالَ " إِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ عَلَيْهَا، وَإِنَّهَا لَتُعَذَّبُ فِي قَبْرِهَا ".
Narrated `Aisha:
(the wife of the Prophet) Once Allah's Messenger (ﷺ) passed by (the grave of) a Jewess whose relatives were weeping over her. He said, "They are weeping over her and she is being tortured in her grave."
পরিচ্ছেদঃ ৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধুত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ্ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাকেও তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি য়ে খুনের প্রবর্তন করেছে।
১২১৩। ইসমায়ীল ইবনু খলীল (রহঃ) ... আবূ বুরদার পিতা [আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ)] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন উমর (রাঃ) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাঃ) হায়! আমার ভাই! বলতে লাগলেন। উমর (রাঃ) বললেন, তুমি কি জাননা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জীবিতদের কান্নার কারণে অবশ্যই মৃতদের আযাব দেওয়া হয়?
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: «يُعَذَّبُ الْمَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا}. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ». فَإِذَا لَمْ يَكُنْ مِنْ سُنَّتِهِ، فَهُوَ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: {لاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى}. وَهُوَ كَقَوْلِهِ: {وَإِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ} ذُنُوبًا {إِلَى حِمْلِهَا لاَ يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ} وَمَا يُرَخَّصُ مِنَ الْبُكَاءِ فِي غَيْرِ نَوْحٍ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا». وَذَلِكَ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ ـ وَهْوَ الشَّيْبَانِيُّ ـ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ جَعَلَ صُهَيْبٌ يَقُولُ وَاأَخَاهُ. فَقَالَ عُمَرُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ ".
Narrated Abu Burda:
That his father said, "When `Umar was stabbed, Suhaib started crying: O my brother! `Umar said, 'Don't you know that the Prophet (ﷺ) said: The deceased is tortured for the weeping of the living'?"