মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী ১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) - Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৩৯

পরিচ্ছেদঃ বৃষ্টি প্রার্থনার নামায

৫৩৯) আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টি প্রার্থনার নামায আদায়ের জন্য (ময়দানে) বের হলেন। (সেখানে গিয়ে) তিনি স্বীয় চাদর উল্টিয়ে দিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ থেকে অপর বর্ণনায় আছে, তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করেছেন।

باب الاِسْتِسْقَاءِ وَخُرُوجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الاِسْتِسْقَاءِ

৫৩৯ـ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: خَرَجَ النَّبِيُّ يَسْتَسْقِي وَحَوَّلَ رِدَاءَهُ. وَفِيْ رِوَايَةٍ عَنْهُ قَالَ: وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ.

৫৩৯ـ عن عبد الله بن زيد قال: خرج النبي يستسقي وحول رداءه. وفي رواية عنه قال: وصلى ركعتين.

Going out of the Prophet (pbuh) to offer Istisqa' prayer


Narrated `Abdullah bin Zaid:

The Prophet (ﷺ) went towards the Musalla and invoked Allah for rain. He faced the Qibla and wore his cloak inside out, and offered two rak`at.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪০

পরিচ্ছেদঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দু’আঃ ইউসূফ (আঃ)এর যামানার অনাবৃষ্টির অনুরূপ অনাবৃষ্টিতে তাদেরকে আক্রান্ত কর

৫৪০) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাযের শেষ রাকআতে রুকূ হতে মাথা উঠাতেন তখন বলতেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আইয়্যাশ বিন আবী রাবীআকে মুক্ত করুন। হে আল্লাহ! আপনি সালামা বিন হিশামকে মুক্ত করুন। হে আল্লাহ! আপনি ওয়ালীদ বিন ওয়ালীদকে মুক্ত করুন, হে আল্লাহ! আপনি দুর্বল অসহায় মু’মিনদেরকে (কাফেরদের জুলুম-নির্যাতন থেকে) মুক্ত করুন’’।

 হে আল্লাহ! তুমি মুযার গোত্রকে শক্তভাবে পাকড়াও কর। ইউসূফ (আঃ)এর যামানার দুর্ভিক্ষের অনুরূপ দুর্ভিক্ষ তাদের উপর চাপিয়ে দাও। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন এ কথাও বলেছেনঃ তুমি গিফার গোত্রকে আল্লাহ ক্ষমা করেছেন এবং আসলাম গোত্রকে শান্তি ও নিরাপদে রেখেছেন।

باب دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ‏"‏

৫৪০- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ يَقُولُ اللَّهُمَّ أَنْجِ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ اللَّهُمَّ أَنْجِ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ اللَّهُمَّ أَنْجِ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ

৫৪০- عن ابي هريرة ان النبي صلى الله عليه وسلم كان اذا رفع راسه من الركعة الاخرة يقول اللهم انج عياش بن ابي ربيعة اللهم انج سلمة بن هشام اللهم انج الوليد بن الوليد اللهم انج المستضعفين من المومنين اللهم اشدد وطاتك على مضر اللهم اجعلها سنين كسني يوسف وان النبي صلى الله عليه وسلم قال غفار غفر الله لها واسلم سالمها الله

Invocation of the Prophet (pbuh)


Narrated Abu Huraira;:

Whenever the Prophet (ﷺ) lifted his head from the bowing in the last rak`a he used to say: "O Allah! Save `Aiyash bin Abi Rabi`a. O Allah! Save Salama bin Hisham. O Allah! Save Walid bin Walid. O Allah! Save the weak faithful believers. O Allah! Be hard on the tribes of Mudar and send (famine) years on them like the famine years of (Prophet) Joseph ." The Prophet (ﷺ) further said, "Allah forgive the tribes of Ghifar and save the tribes of Aslam."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪১

পরিচ্ছেদঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দু’আঃ ইউসূফ (আঃ)এর যামানার অনাবৃষ্টির অনুরূপ অনাবৃষ্টিতে তাদেরকে আক্রান্ত কর

৫৪১) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দেখলেন মানুষেরা ইসলামের কথা শুনছেনা তখন তিনি এই বলে বদ্ দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! সাত বছর পর্যন্ত তাদের উপর দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিন যেমনভাবে ইউসূফ (আঃ)এর যামানায় সাত বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অনাবৃষ্টি তাদেরকে এমনভাবে আক্রমণ করল যে, তাদের সকল সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেল। দুর্ভিক্ষের তাড়নায় তারা চামড়া, মৃত জন্তু এবং পচা ও গলিত জানোয়ারের গোশত খেতে লাগল। তাদের কেউ যখন আকাশের দিকে দৃষ্টি দিত তখন ক্ষুধার কারণে শুধু ধোঁয়া দেখতে পেত। আবু সুফিয়ান তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আগমণ করে বললঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি আল্লাহর আনুগত্য করার ও আত্মীয় স্বজনের প্রতি সম্পর্ক বজায় রাখার আদেশ করে থাক। অথচ তোমার জাতির লোকেরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তুমি তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ কর। তাদের অবস্থার বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

﴿فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ (১০) يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ (১১) رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ (১২) أَنَّى لَهُمْ الذِّكْرَى وَقَدْ جَاءَهُمْ رَسُولٌ مُبِينٌ (১৩) ثُمَّ تَوَلَّوْا عَنْهُ وَقَالُوا مُعَلَّمٌ مَجْنُونٌ﴾

‘‘অতএব তুমি অপেক্ষা কর সেই দিনের যেদিন আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে। এবং তা আচ্ছন্ন করে ফেলবে মানব জাতিকে। এটা হবে এক যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। তখন তারা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এই শাস্তি হতে মুক্তি দিন, আমরা ঈমান আনয়ন করবো। তারা কি করে উপদেশ গ্রহণ করবে? তাদের কাছে তো এসেছে সুস্পষ্ট একজন রাসূল। অতঃপর তারা তাঁকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে বলেছেঃ সে তো শেখানো কথা বলছে, সে তো একজন পাগল। আমি আযাব একটু খানি সরিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু এরপরও তোমরা পূর্বের ন্যায় আচরণ করবে। যে দিন আমি তাদেরকে কঠিনভাবে পাকড়াও করব। (সূরা দুখানঃ ১০-১৬) ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ বদরের যুদ্ধের দিনটি ছিল তাদেরকে কঠোরভাবে পাকড়াও করার দিন। সুতরাং কুরআন মজীদে যে ধোঁয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে তা এসে গেছে, কঠিন আঘাতও এসে গেছে। মক্কার কাফেরদেরকে হত্যা ও গ্রেফতার করা হবে বলে যে কথা বলা হয়েছে তাও বাস্তবায়িত হয়েছে। পারস্যদের বিরুদ্ধে রোমকরা বিজয়ী হবে বলে যে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তাও বাস্তবায়িত হয়েছে।

باب دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ‏"‏

৫৪১ ـ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ لَمَّا رَأَى مِنَ النَّاسِ إِدْبَارًا، قَالَ اللَّهُمَّ سَبْعٌ كَسَبْعِ يُوسُفَ. فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ حَصَّتْ كُلَّ شَيْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْجُلُودَ وَالْمَيْتَةَ وَالْجِيَفَ، وَيَنْظُرَ أَحَدُهُمْ إِلَى السَّمَاءِ، فَيَرَى الدُّخَانَ مِنَ الْجُوعِ، فَأَتَاهُ أَبُو سُفْيَانَ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّكَ تَأْمُرُ بِطَاعَةِ اللَّهِ وَبِصِلَةِ الرَّحِمِ، وَإِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللَّهَ لَهُمْ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: ﴿فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ﴾ إِلَى قَوْلِهِ: ﴿إِنَّكُمْ عَائِدُونَ يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ﴾ فَالْبَطْشَةُ يَوْمَ بَدْرٍ، وَقَدْ مَضَتِ الدُّخَانُ، وَالْبَطْشَةُ وَاللِّزَامُ وَآيَةُ الرُّومِ (بخارى:১০০৭)

৫৪১ ـ عن عبد الله بن مسعود قال: ان النبي لما راى من الناس ادبارا، قال اللهم سبع كسبع يوسف. فاخذتهم سنة حصت كل شيء حتى اكلوا الجلود والميتة والجيف، وينظر احدهم الى السماء، فيرى الدخان من الجوع، فاتاه ابو سفيان، فقال: يا محمد، انك تامر بطاعة الله وبصلة الرحم، وان قومك قد هلكوا فادع الله لهم، قال الله تعالى: ﴿فارتقب يوم تاتي السماء بدخان مبين﴾ الى قوله: ﴿انكم عاىدون يوم نبطش البطشة الكبرى انا منتقمون﴾ فالبطشة يوم بدر، وقد مضت الدخان، والبطشة واللزام واية الروم (بخارى:১০০৭)

Invocation of the Prophet (pbuh)


Narrated Masruq:

We were with `Abdullah and he said, "When the Prophet (ﷺ) saw the refusal of the people to accept Islam he said, "O Allah! Send (famine) years on them for (seven years) like the seven years (of famine during the time) of (Prophet) Joseph." So famine overtook them for one year and destroyed every kind of life to such an extent that the people started eating hides, carcasses and rotten dead animals. Whenever one of them looked towards the sky, he would (imagine himself to) see smoke because of hunger.
So Abu Sufyan went to the Prophet (ﷺ) and said, "O Muhammad! You order people to obey Allah and to keep good relations with kith and kin. No doubt the people of your tribe are dying, so please pray to Allah for them." So Allah revealed: "Then watch you For the day that The sky will bring forth a kind Of smoke Plainly visible ... Verily! You will return (to disbelief) On the day when We shall seize You with a mighty grasp. (44.10-16) Ibn Mas`ud added, "Al-Batsha (i.e. grasp) happened in the battle of Badr and no doubt smoke, Al-Batsha, Al-Lizam, and the verse of Surat Ar-Rum have all passed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪২

পরিচ্ছেদঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দু’আঃ ইউসূফ (আঃ)এর যামানার অনাবৃষ্টির অনুরূপ অনাবৃষ্টিতে তাদেরকে আক্রান্ত কর

৫৪২) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৃষ্টি প্রার্থনা করার সময় আমি কখনও তাঁর চেহারা মুবারকের দিকে তাকাতাম। মিম্বার থেকে নামার পূর্বেই ঝর্ণাগুলোতে (প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে) প্রচন্ডভাবে পানি প্রবাহিত হতে দেখতাম। তখন আবু তালেবের একটি কবিতা আমার মনে পড়ে যেত। আবু তালেবের সেই কবিতাটি হলঃ

وَأَبْيَضَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ + ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلأرَامِلِ

‘‘মুহাম্মাদ শ্বেতকায় সুন্দর। তাঁর পবিত্র চেহারার উসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়, তিনি ইয়াতীমদের আশ্রয়স্থল এবং বিধবাদের হেফাজতকারী’’।

টিকাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেহারার উসীলা দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনার অর্থ হল, তাঁর দু’আর উসীলা দেয়া। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবী বা অন্য কোন সৎ লোকের ব্যক্তিসত্তার উসীলা দিয়ে কোন কিছু চাওয়া বৈধ নয়। হাদীছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আব্বাস (রাঃ)এর উসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনার অর্থ হল তাদের দু’আর উসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে আনাস (রাঃ)এর হাদীছে।

باب دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ‏"‏

৫৪২ـ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ: رُبَّمَا ذَكَرْتُ قَوْلَ الشَّاعِرِ، وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى وَجْهِ النَّبِيِّ يَسْتَسْقِي، فَمَا يَنْزِلُ حَتَّى يَجِيشَ كُلُّ مِيزَابٍ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِيْ طَالِبٍ:
وَأَبْيَضَ يَسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِه + ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ للأَرَامِلِ

৫৪২ـ عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: ربما ذكرت قول الشاعر، وانا انظر الى وجه النبي يستسقي، فما ينزل حتى يجيش كل ميزاب، وهو قول ابي طالب: وابيض يستسقى الغمام بوجهه + ثمال اليتامى عصمة للارامل

Invocation of the Prophet (pbuh)


Narrated `Abdullah bin Dinar:

My father said, "I heard Ibn `Umar reciting the poetic verses of Abu Talib: And a white (person) (i.e. the Prophet) who is requested to pray for rain and who takes care of the orphans and is the guardian of widows." Salim's father (Ibn `Umar) said, "The following poetic verse occurred to my mind while I was looking at the face of the Prophet (p.b.u.h) while he was praying for rain. He did not get down till the rain water flowed profusely from every roof-gutter: And a white (person) who is requested to pray for rain and who takes care of the orphans and is the guardian of widows . . . And these were the words of Abu Talib."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪৩

পরিচ্ছেদঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দু’আঃ ইউসূফ (আঃ)এর যামানার অনাবৃষ্টির অনুরূপ অনাবৃষ্টিতে তাদেরকে আক্রান্ত কর

৫৪৩) উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, অনাবৃষ্টি দেখা দিলে তিনি আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)এর মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন। তিনি বলতেনঃ হে আল্লাহ! আপনার নবী জীবিত থাকতে আমরা তাঁর মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করলে আপনি আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করতেন। এখন আপনার নবীর চাচার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করছি। আপনি আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করুন। অতঃপর তাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করা হত।

টিকাঃ এখানে নবীর মাধ্যমে বা নবীর চাচার মাধ্যমে বৃষ্টি চাওয়ার অর্থ হল বৃষ্টির জন্য দু’আ করার আবেদন করা। যেমনটি অন্যান্য বর্ণনায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে। এ নয় যে, তাদের সম্মানের উসীলা দিয়ে বৃষ্টি চাইতেন। সম্মানের উসীলা দেয়া যদি জায়েয হত, তাহলে তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বাদ দিয়ে কখনই আব্বাস (রাঃ) এর কাছে যেতেন না। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মান মৃত্যুর পর শেষ হয়ে যায় নি। কাজেই এখানে উসীলা অর্থ দু’আর উসীলা দেয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’আ করেছেন এবং আব্বাস (রাঃ)ও সবার সাথে দু’আ করেছেন। ইতিপূর্বে বর্ণিত হাদীছে এসেছে জুমআর দিন একজন গ্রাম্য লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আরজ করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টির আবেদন করুন।

باب دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ‏"‏

৫৪৩ ـ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ : أنّه كَانَ إِذَا قَحَطُوا اسْتَسْقَى بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِالْمُطَّلِبِ ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِينَا،ا وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا، قَالَ: فَيُسْقَوْنَ. (بخارى:১০১০)

৫৪৩ ـ عن عمر بن الخطاب : انه كان اذا قحطوا استسقى بالعباس بن عبدالمطلب ، فقال: اللهم انا كنا نتوسل اليك بنبينا فتسقينا،ا وانا نتوسل اليك بعم نبينا فاسقنا، قال: فيسقون. (بخارى:১০১০)

Invocation of the Prophet (pbuh)


Narrated Anas:

Whenever drought threatened them, `Umar bin Al-Khattab, used to ask Al-Abbas bin `Abdul Muttalib to invoke Allah for rain. He used to say, "O Allah! We used to ask our Prophet to invoke You for rain, and You would bless us with rain, and now we ask his uncle to invoke You for rain. O Allah ! Bless us with rain." And so it would rain.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪৪

পরিচ্ছেদঃ জামে মসজিদে বৃষ্টির জন্য দুআ করা

৫৪৪) জুমআর দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন তখন একজন লোক মসজিদে প্রবেশ করা এবং তাঁর কাছে বৃষ্টির জন্য দুআ করার আবেদন সংক্রান্ত হাদীছটি একাধিকবার অতিক্রান্ত হয়েছে। এই বর্ণনায় শুধু এতটুকু অতিরিক্ত হয়েছে যে, এক সপ্তাহ পর্যন্ত আমরা সূর্য দেখতে পাইনি। অতঃপর পরের জুমআয় একই দরজা দিয়ে একজন লোক মসজিদে প্রবেশ করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখোমখি হয়ে দাঁড়িয়ে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা-ঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করুন তিনি যেন বৃষ্টি বন্ধ করে দেন। আনাস (রাঃ) বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখনই উভয় হাত উঠিয়ে বললেনঃ اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا ولَا عَلَيْنَا হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি বর্ষণ করুন, আমাদের উপরে নয়। হে আল্লাহ! টিলা পাহাড়, ময়দান, উপত্যকা এবং গাছপালা উৎপন্ন হওয়ার স্থানে বর্ষণ করুন। আনাস বলেনঃ তখন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল। আমরা রৌদ্রে চলাফেরা করতে লাগলাম।

باب الاِسْتِسْقَاءِ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ

৫৪৪ـ حَدِيْثُ أَنَسٍ فِي الرَّجُلِ الَّذِيْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ، وَالنَّبِيُّ قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَسَأَلَهُ الدُّعَاءَ بِالْغَيْثِ تَكَرَّرَ كَثِيْراً، وَفِيْ هذِهِ الرِّوَايَةِ: فَمَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سِتًّا، ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ ذَلِكَ الْبَابِ فِي الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَتِ الأَمْوَالُ، وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ يُمْسِكْهَا عَنَّا، قَالَ: فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلا عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ وَبُطُونِ الأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ. قَالَ: فَأَقْلَعَتْ، وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشَّمْسِ

৫৪৪ـ حديث انس في الرجل الذي دخل المسجد، والنبي قاىم يخطب، فساله الدعاء بالغيث تكرر كثيرا، وفي هذه الرواية: فما راينا الشمس ستا، ثم دخل رجل من ذلك الباب في الجمعة المقبلة، ورسول الله قاىم يخطب، فاستقبله قاىما، فقال: يا رسول الله، هلكت الاموال، وانقطعت السبل، فادع الله يمسكها عنا، قال: فرفع رسول الله يديه، ثم قال اللهم حوالينا ولا علينا، اللهم على الاكام والظراب وبطون الاودية ومنابت الشجر. قال: فاقلعت، وخرجنا نمشي في الشمس

Istisqa' in the main mosque (of the town)


Anas further said, "By Allah! We could not see the sun for a week. Next Friday a person entered through the same gate and at that time Allah's Messenger (ﷺ) was delivering the Friday's Khutba. The man stood in front of him and said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! The livestock are dying and the roads are cut off, please pray to Allah to withhold rain.' " Anas added, "Allah's Messenger (ﷺ) I raised both his hands and said, 'O Allah! Round about us and not on us. O Allah! On the plateaus, on the mountains, on the hills, in the valleys and on the places where trees grow.' So the rain stopped and we came out walking in the sun."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪৫

পরিচ্ছেদঃ জুমআর খুতবায় কিবলামুখী না হয়ে বৃষ্টির জন্য দুআ করা

৫৪৫) আনাস (রাঃ) হতে আরও বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উভয় হাত উঠিয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি প্রদান করুন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি প্রদান করুন।

باب الاِسْتِسْقَاءِ فِي خُطْبَةِ الْجُمُعَةِ غَيْرَ مُسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةِ

৫৪৫ ـ وَعَنْهُ : أَنَّه رَفَعَ يَدَيْهِ، فَقَالَ اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا

৫৪৫ ـ وعنه : انه رفع يديه، فقال اللهم اغثنا، اللهم اغثنا، اللهم اغثنا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪৬

পরিচ্ছেদঃ বৃষ্টির জন্য দুআ করার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে মানুষের দিকে পিঠ ফিরালেন?

৫৪৬) আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টির নামায আদায়ের জন্য (ময়দানে) বের হলেন। অতঃপর তিনি মানুষের দিকে স্বীয় পিঠ ফিরালেন এবং কিবলামুখী হয়ে দু’আ করলেন। তারপর তিনি স্বীয় চাদর উল্টিয়ে দিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ বলেনঃ অতঃপর তিনি আমাদেরকে নিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। তাতে তিনি আওয়াজ করে কিরাআত পাঠ করলেন।

باب كَيْفَ حَوَّلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ظَهْرَهُ إِلَى النَّاسِ

৫৪৬- عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بِنْ زَيْدٍ قَالَ خَرَجَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَسْقِي قَالَ فَحَوَّلَ إِلَى النَّاسِ ظَهْرَهُ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ يَدْعُو ثُمَّ حَوَّلَ رِدَاءَهُ ثُمَّ صَلَّى لَنَا رَكْعَتَيْنِ جَهَرَ فِيهِمَا بِالْقِرَاءَةِ

৫৪৬- عن عبد الله بن زيد قال خرج النبي صلى الله عليه وسلم يستسقي قال فحول الى الناس ظهره واستقبل القبلة يدعو ثم حول رداءه ثم صلى لنا ركعتين جهر فيهما بالقراءة

How the Prophet (pbuh) turned his back towards the people [while offering the Salat (prayer) for rain]


Narrated `Abbad bin Tamim from his uncle:

"I saw the Prophet (ﷺ) on the day when he went out to offer the Istisqa' prayer. He turned his back towards the people and faced the Qibla and asked Allah for rain. Then he turned his cloak inside out and led us in a two rak`at prayer and recited the Qur'an aloud in them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪৭

পরিচ্ছেদঃ বৃষ্টির জন্য দুআ করার সময় ইমামের হাত উঠানো

৫৪৭) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ইস্তেস্কার দু’আ ব্যতীত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর অন্য কোন দু’আয় হাত উঠাতেন না। তাতে এ পরিমাণ হাত উঠাতেন যে তাঁর বগলের সাদা অংশ দেখা যেত।

টিকাঃ এ হাদীছে শুধু বৃষ্টি প্রার্থনার দু’আর সময়ে হাত উঠানোর পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। ইস্তেস্কার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পদ্ধতিতে হাত উঠিয়েছেন, অন্য কোন দু’আয় সেভাবে হাত উঠান নি। অনেক স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাত উঠিয়ে দু’আ করার কথা সহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। একাকী দুআতে হাত তুলা মুস্তাহাব। তবে ফরয নামাযান্তে সম্মিলিত দুআ ও যিকির, জুমআর নামাযের পর, দুই ঈদের নামাযের পর, ওয়াজ মাহফিল শেষে আখেরী মুনাজাত এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে হাত তুলে সম্মিলিত দুআ করা বিদআত। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম থেকে উপরোক্ত ক্ষেত্রসমূহে সম্মিলিত দুআ প্রমাণিত নয়। তবে জুমআর খুতবা অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাত তুলে দুআ করেছেন বলে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

باب رَفْعِ الإِمَامِ يَدَهُ فِي الاِسْتِسْقَاءِ

৫৪৭ـ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ لا يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ دُعَائِهِ إِلا فِي الاسْتِسْقَاءِ، وَإِنَّهُ يَرْفَعُ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ إِبْطَيْهِ

৫৪৭ـ عن انس قال: كان النبي لا يرفع يديه في شيء من دعاىه الا في الاستسقاء، وانه يرفع حتى يرى بياض ابطيه

The raising of both hands by the Imam during Istisqa' while invoking Allah for rain


Narrated Anas bin Malik:

The Prophet (ﷺ) never raised his hands for any invocation except for that of Istisqa' and he used to raise them so much that the whiteness of his armpits became visible.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪৮

পরিচ্ছেদঃ বৃষ্টির সময় কী বলবে?

৫৪৮) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বৃষ্টি বর্ষণ হতে দেখতেন তখন বলতেনঃ হে আল্লাহ! উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করো।

باب مَا يُقَالُ إِذَا أَمْطَرَتْ

৫৪৮ـ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ إِذَا رَأَى الْمَطَرَ قَالَ:اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا.

৫৪৮ـ عن عاىشة رضي الله عنها: ان رسول الله كان اذا راى المطر قال:اللهم صيبا نافعا.

What should be said (or what to say) if it rains


Narrated Aisha:

Whenever Allah's Messenger (ﷺ) saw the rain, he used to say, "O Allah! Let it be a strong fruitful rain."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৪৯

পরিচ্ছেদঃ যখন বাতাস প্রবাহিত হবে

৫৪৯) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যখন প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু হত তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেহারা মুবারকে তার (ভয়ের) আলামত দেখা যেত।

টিকাঃ প্রচন্ড বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেহারা মুবারকে ভয়ের লক্ষণ দেখা যাওয়ার কারণ হল আল্লাহ তাআলা আ’দ জাতিকে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ার মাধ্যমে ধ্বংস করেছিলেন। ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আযাবের কথা মনে করতেন। তাই চেহারা মুবারকে ভয়ের লক্ষণ দেখা যেত।

باب إِذَا هَبَّتِ الرِّيحُ

৫৪৯ ـ عَنْ أَنَسٍ يَقُولُ: كَانَتِ الرِّيحُ الشَّدِيدَةُ إِذَا هَبَّتْ، عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِ النَّبِيِّ

৫৪৯ ـ عن انس يقول: كانت الريح الشديدة اذا هبت، عرف ذلك في وجه النبي

If the wind blows (what should one do or say?)


Narrated Anas:

Whenever a strong wind blew, anxiety appeared on the face of the Prophet (fearing that wind might be a sign of Allah's wrath).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৫০

পরিচ্ছেদঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীঃ পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বাতাসের মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে

৫৫০) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বাতাসের মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা বাতাসের মাধ্যমে আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে।

باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نُصِرْتُ بِالصَّبَا ‏"‏

৫৫০ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ نُصِرْتُ بِالصَّبَا وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُورِ.

৫৫০ـ عن ابن عباس رضي الله عنهما: ان النبي قال نصرت بالصبا واهلكت عاد بالدبور.

"I was granted victory with As-Saba"


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "I was granted victory with As-Saba and the nation of 'Ad was destroyed by Ad- Dabur (westerly wind).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৫১

পরিচ্ছেদঃ ভূমিকম্পের ব্যাপারে এবং কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

৫৫১) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের শাম এবং ইয়ামানে বরকত দান করুন’’। সাহাবীগণ বললেনঃ আমাদের নজদের জন্যও (বরকতের দু’আ করুন)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার বললেনঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের শাম এবং ইয়ামানে বরকত দান করুন। সাহাবীগণ বললেনঃ আমাদের নজদের জন্যও (বরকতের দু’আ করুন)। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ সেখানে (নজদে) ভূমিকম্প হবে এবং ফিতনা প্রকাশিত হবে। সেখানেই শয়তানের শিং (দল) বের হবে।


টিকাঃ হাদীছে যে নজদের বর্ণনা এসেছে তা হেজাজের নজদ নয়। তা ইরাকের নজদ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বের দিকে ইঙ্গিত করে দেখিয়েছেন যে, সেখান থেকেই সকল প্রকার ফিতনা বের হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবায়িত হয়েছে। যুগে যুগে সকল প্রকার ফিতনা ইরাক থেকেই বের হয়েছে। আজ পর্যন্তও ইরাক বিভিন্ন প্রকার ফিতনার কবলে নিমজ্জিত। কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তেও বড় বড় ফিতনা ঐ সমস্ত অঞ্চল থেকে বের হবে।

বিদআতীরা বলে থাকে, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব (রঃ) যে নজদ অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেছেন অত্র হাদীছে সে নজদ উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, তাঁর দাওয়াত ও সংস্কারকে তারা গোমরাহীর দাওয়াত বলে আখ্যা দিয়ে থাকে।

প্রকৃতপক্ষে তাঁর দাওয়াত ছিল নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াত। এ দাওয়াতের উপরই বর্তমান সৌদি আরব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আল্লাহ তাঁর দাওয়াতকে বরকতময় করেছেন। আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর দাওয়াতের প্রভাব বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহর কাছে দুআ করি, তিনি যেন এ দাওয়াতকে কিয়ামত পর্যন্ত চালু রাখেন।

باب مَا قِيلَ فِي الزَّلاَزِلِ وَالآيَاتِ

৫৫১ـ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ قَالَ: قَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَامِنَا وَفِي يَمَنِنَا قَالَ: قَالُوا: وَفِي نَجْدِنَا. قَالَ: قَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَامِنَا وَفِي يَمَنِنَا قَالَ: قَالُوا: وَفِي نَجْدِنَا. قَالَ: قَالَ هُنَاكَ الزَّلازِلُ وَالْفِتَنُ وَبِهَا يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ. (بخارى:১০৩৭)

৫৫১ـ عن ابن عمر رضي الله عنهما عن النبي قال: قال اللهم بارك لنا في شامنا وفي يمننا قال: قالوا: وفي نجدنا. قال: قال اللهم بارك لنا في شامنا وفي يمننا قال: قالوا: وفي نجدنا. قال: قال هناك الزلازل والفتن وبها يطلع قرن الشيطان. (بخارى:১০৩৭)

Earthquakes and (other) signs (of the Day of Judgement)


Narrated Ibn `Umar:

(The Prophet) said, "O Allah! Bless our Sham and our Yemen." People said, "Our Najd as well." The Prophet again said, "O Allah! Bless our Sham and Yemen." They said again, "Our Najd as well." On that the Prophet (ﷺ) said, "There will appear earthquakes and afflictions, and from there will come out the side of the head of Satan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
৫৫২

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানে না বৃষ্টি কখন হবে

৫৫২) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ গায়েবের চাবি পাঁচটি, আল্লাহ ছাড়া কেউ তা জানে না। আগামীকাল কি হবে আল্লাহ ছাড়া তা কেউ জানে না। মাতৃগর্ভে কি আছে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। ব্যক্তি আগামীকাল কি অর্জন করবে তা অবগত নয়। কোন ব্যক্তিই জানে না কোন্ যমিনে সে মৃত্যু বরণ করবে। বৃষ্টি কখন হবে তা কেউ জানে না।

টিকাঃ যদি প্রশ্ন করা হয় আজকাল ডাক্তারগণও তো বলে দিতে পারে মাতৃগর্ভে ছেলে সন্তান আছে? না মেয়ে সন্তান? উত্তর হল সন্তানের গঠন পূর্ণ হওয়ার পরই ডাক্তারগণ যন্ত্রের সাহায্যে তা বলতে পারে। গঠন পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তা বলতে পারেনা। তাছাড়া ডাক্তারগণ শুধু ছেলে না মেয়ে এটি বলতে পারে। সন্তান সৌভাগ্যবান হবে না হতভাগ্য হবে? তার চরিত্র ভাল হবে না মন্দ হবে এ সমস্ত বিষয় আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। মেঘ দেখে আমরা বলতে পারি বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু বৃষ্টি হবেই নিশ্চিতরূপে এ কথা কেউ বলতে পারবেনা।

باب لاَ يَدْرِي مَتَى يَجِيءُ الْمَطَرُ إِلاَّ اللَّهُ

৫৫২ـ وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ مِفْتَاحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ لا يَعْلَمُهَا إِلا اللَّهُ: لا يَعْلَمُ أَحَدٌ مَا يَكُونُ فِي غَدٍ، وَلا يَعْلَمُ أَحَدٌ مَا يَكُونُ فِي الأَرْحَامِ، وَلا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا، وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ، وَمَا يَدْرِي أَحَدٌ مَتَى يَجِيءُ الْمَطَرُ. (بخارى:১০৩৯)

৫৫২ـ وعنه قال: قال رسول الله مفتاح الغيب خمس لا يعلمها الا الله: لا يعلم احد ما يكون في غد، ولا يعلم احد ما يكون في الارحام، ولا تعلم نفس ماذا تكسب غدا، وما تدري نفس باي ارض تموت، وما يدري احد متى يجيء المطر. (بخارى:১০৩৯)

Except Allah nobody nobody knows when it will rain


Narrated Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Keys of the unseen knowledge are five which nobody knows but Allah . . . nobody knows what will happen tomorrow; nobody knows what is in the womb; nobody knows what he will gain tomorrow; nobody knows at what place he will die; and nobody knows when it will rain."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৫. কিতাবুল ইস্তিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) (كتاب الاستسقاء) Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে