পরিচ্ছেদঃ ১. একা একা নামায পড়ার তুলনায় জামা'আতে নামায পড়ার ফযীলত
রেওয়ায়ত ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ একা নামায পড়া অপেক্ষা জামাআতে নামায পড়ায় সাতাইশ গুণ ফযীলত বেশি।
بَاب فَضْلِ صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ عَلَى صَلَاةِ الْفَذِّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صَلَاةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلَاةَ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً
Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Prayer in congregation is better than the prayer of a man by himself by twenty-seven degrees."
পরিচ্ছেদঃ ১. একা একা নামায পড়ার তুলনায় জামা'আতে নামায পড়ার ফযীলত
রেওয়ায়ত ২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের একজনের একা একা নামায পড়া হইতে জামা’আতে নামায পড়া পঁচিশ গুণ উত্তম।
بَاب فَضْلِ صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ عَلَى صَلَاةِ الْفَذِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صَلَاةُ الْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاةِ أَحَدِكُمْ وَحْدَهُ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Said ibn al- Musayyab from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Prayer in congregation is better than the prayer of one of you on his own by twenty-five parts."
পরিচ্ছেদঃ ১. একা একা নামায পড়ার তুলনায় জামা'আতে নামায পড়ার ফযীলত
রেওয়ায়ত ৩. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ আমি মনস্থ করিয়াছি কিছু কাঠ যোগাড় করার নির্দেশ প্রদান করি। তারপর নামাযের জন্য আযান বলার হুকুম করি। তারপর নামাযের জন্য আযান দেওয়া হউক। পরে কোন একজনকে (নামায়ে) ইমামতি করার জন্য ঠিক করিয়া দেই। তারপর যেসব লোক নামাযের জন্য বাহির হয় নাই তাহাদের নিকট যাই ও তাহাদের গৃহে আগুন ধরাইয়া দেই। আল্লাহর কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ, যদি তাহদের এক ব্যক্তি জানিতে পারিত যে, ভাল মোটা হাড্ডি জুটিবে অথবা দুইটি ভাল ক্ষুর পাইবে তবে সে অবশ্য ইশার নামাযে হাজির হইত।
بَاب فَضْلِ صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ عَلَى صَلَاةِ الْفَذِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ
Yahya related to me from Malik from Abu'zZinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "By Him in whose hand myself is! I had in mind to order firewood to be collected, then to order the prayer to be called, and to appoint a man to lead the people in prayer, and then to come up behind certain men and burn their houses down about them! By Him in whose hand myself is! If one of them knew that he would find a meaty bone or two good legs of meat, he would be present at isha.''
পরিচ্ছেদঃ ১. একা একা নামায পড়ার তুলনায় জামা'আতে নামায পড়ার ফযীলত
রেওয়ায়ত ৪. যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) বলিয়াছেনঃ নামাযের মধ্যে তোমাদের গৃহের নামাযই উত্তম, কেবল ফরয নামায ব্যতীত।
بَاب فَضْلِ صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ عَلَى صَلَاةِ الْفَذِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ صَلَاتُكُمْ فِي بُيُوتِكُمْ إِلَّا صَلَاةَ الْمَكْتُوبَةِ
Yahya related to me from Malik from Abu'n-Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah from Yusr ibn Said that Zayd ibn Thabit said, "The most excellent prayer is your prayer in your house, except for the prescribed prayers."
পরিচ্ছেদঃ ২. ইশা ও ফজর-এর নামায প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ আমাদের আর মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্য হইল ইশা ও ফজরের নামাযে উপস্থিত হওয়া। তাহারা ঐ দুই নামাযে হাজির হইতে পারে না অথবা অনুরূপ কোন বাক্য বলিয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسْلَمِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْمُنَافِقِينَ شُهُودُ الْعِشَاءِ وَالصُّبْحِ لَا يَسْتَطِيعُونَهُمَا أَوْ نَحْوَ هَذَا
Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn Harmala al- Aslami from Said ibn al-Musayyab that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "What separates us from the hypocrites is being present at isha and subh. They cannot do it," or words to that effect.
পরিচ্ছেদঃ ২. ইশা ও ফজর-এর নামায প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি যখন কোন পথ দিয়া যাইতেছিল, তখন পথিমধ্যে কাটাযুক্ত (বৃক্ষের) শাখা দেখিতে পাইয়া সে উহা অপসারিত করিল। আল্লাহ্ তা’আলা তাহার এই কার্য গ্রহণ করিলেন এবং তাহার গুনাহ্ মাফ করিয়া দিলেন। [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আরও বলিয়াছেন, শহীদ পাঁচ প্রকারঃ (১) প্লেগাক্রান্ত (বা মহামারীতে মৃত), (২) পেটের পীড়ায় মৃত, (৩) যে পানিতে ডুবিয়া মরিয়াছে, (৪) ভূমিকম্পে কিছু চাপা পড়িয়া যাহার মৃত্যু হইয়াছে এবং (৫) আল্লাহর পথে যে ব্যক্তি শহীদ হইয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ إِذْ وَجَدَ غُصْنَ شَوْكٍ عَلَى الطَّرِيقِ فَأَخَّرَهُ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ وَقَالَ الشُّهَدَاءُ خَمْسَةٌ الْمَطْعُونُ وَالْمَبْطُونُ وَالْغَرِقُ وَصَاحِبُ الْهَدْمِ [ ص: 110 ] وَالشَّهِيدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَالَ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الْأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لَاسْتَهَمُوا وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لَاسْتَبَقُوا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا
Yahya related to me from Malik from Sumayy, the mawla of Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman from Abu Salih from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If a man who is walking along a road finds a branch of thorns on the road and removes it, Allah thanks him for doing it and forgives him."
He also said, "Martyrs are five:
the one killed by a plague, the one killed by a disease of the belly, the one who drowns, the one killed by a collapsing building, and the martyr in the path of Allah.'
He also said, "If people knew what there was in the call to prayer and the first row, and they could find no other way except to draw lots for it, they would draw lots for it. And if they knew what there was in doing dhuhr at its time, they would race each other to it. And if they knew what there was in the prayers of isha and maghrib, they would come to them even if they had to crawl .
পরিচ্ছেদঃ ২. ইশা ও ফজর-এর নামায প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭. আবু বকর ইবন সুলায়মান ইবন আবি হাসমা (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) একদিন সুলায়মান ইবন আবি হাসমাকে ফজরের নামাযে উপস্থিত পান নাই। উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বাজারের দিকে গমন করিলেন। আর সুলায়মানের বাসগৃহ বাজার ও মসজিদের মাঝপথে অবস্থিত। তিনি সুলায়মানের জননী শিফা’-এর নিকট গমন করিলেন। তারপর তাহাকে বলিলেনঃ আমি ফজরের নামাযে সুলায়মানকে দেখিলাম না যে? তিনি (উত্তরে) বলিলেনঃ সে রাত্রে জাগ্রত থাকিয়া নামায পড়িয়াছিল, পরে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। (ইহা শুনিয়া) উমর (রাঃ) বললেনঃ ফজরের নামাযের জামাআতে হাজির হওয়া আমার নিকট সারারাত (নফল) নামায পড়া হইতে পছন্দনীয়।
আবদুর রহমান ইবন আবি আমরা আনসারী (রহঃ) হইতে বর্ণিত— উসমান ইবন আফফান (রাঃ) একবার ইশার নামাযে আসিলেন এবং মসজিদে অল্প মুসল্লি দেখিতে পাইলেন। তারপর তিনি অধিক লোক আসার অপেক্ষায় মসজিদের শেষভাগে শুইলেন। অত:পর তাহার নিকট ইবন আবি আমরা আসিলেন এবং তাহার কাছে বসিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি কে? তিনি পরিচয় দিলেন। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি কি পরিমাণ কুরআন কণ্ঠস্থ করিয়াছ? তিনি তাহা জানাইলেন। তারপর উসমান (রাঃ) বলিলেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাযে উপস্থিত হয়, সে যেন অধরাত্রি নামায পড়িল, আর যে ফজরের নামায পড়িল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নামায় পড়িল।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَدَ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ غَدَا إِلَى السُّوقِ - وَمَسْكَنُ سُلَيْمَانَ بَيْنَ السُّوقِ وَالْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ - فَمَرَّ عَلَى الشِّفَاءِ أُمِّ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهَا لَمْ أَرَ سُلَيْمَانَ فِي الصُّبْحِ فَقَالَتْ إِنَّهُ بَاتَ يُصَلِّي فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ . فَقَالَ عُمَرُ لأَنْ أَشْهَدَ صَلاَةَ الصُّبْحِ فِي الْجَمَاعَةِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَقُومَ لَيْلَةً
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى صَلاَةِ الْعِشَاءِ فَرَأَى أَهْلَ الْمَسْجِدِ قَلِيلاً فَاضْطَجَعَ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ النَّاسَ أَنْ يَكْثُرُوا فَأَتَاهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ مَنْ هُوَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ فَأَخْبَرَهُ . فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَنْ شَهِدَ الْعِشَاءَ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ لَيْلَةٍ وَمَنْ شَهِدَ الصُّبْحَ فَكَأَنَّمَا قَامَ لَيْلَةً
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abu Bakr ibn Sulayman ibn Abi Hathma that Umar ibn al-Khattab missed Sulayman ibn Abi Hathma in the subh prayer. In the morning he went to the market, and Sulayman's house was between the market and the Prophet's mosque. He passed ash-Shifa, Sulayman's mother, and said to her, "I did not see Sulayman at subh." She replied, "He spent the night in prayer and his eyes overcame him. Umar said, "I would rather be present at subh than stand the whole night in prayer.
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Muhammad ibn Ibrahim that Abd ar-Rahman ibn Abi Amra al-Ansari said that Uthman ibn Affan came to the isha prayer and seeing only a few people in the mosque, he lay down at the back of the mosque to wait for the number of people to increase. Ibn Abi Amra went and sat down beside him and Uthman asked him who he was, so he told him. Uthman said, "What have you memorised of the Qur'an?", and he told him. Uthman said, "If someone is present at isha, it is as if he had stood in prayer for half a night, and if some one is present at subh, it is as if he had stood in prayer for a whole night.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ইমামের সঙ্গে নামায পুনরায় পড়া
রেওয়ায়ত ৮. বুসূর ইবন মিহজন (রহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মজলিসে ছিলেন। তখন নামাযের আযান দেওয়া হইল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিস হইতে উঠিলেন এবং নামায পড়িলেন। (নামাযের পর) পুনরায় মজলিসে প্রত্যাবর্তন করিলেন। মিহজন (কিন্তু) তাহার স্থানে বসা রহিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে প্রশ্ন করিলেনঃ লোকের সাথে নামায পড়িতে তোমাকে কোন জিনিস বারণ করিল? তুমি কি মুসলিম নও? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (আমি মুসলিম), তবে আমি আমার ঘরে নামায পড়িয়া আসিয়াছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে বলিলেনঃ তুমি নামায (ঘরে) পড়িয়া থাকিলেও যখন (মসজিদে) আস তখন পুনরায় লোকের সাথে নামায পড়িবে।
بَاب إِعَادَةِ الصَّلَاةِ مَعَ الْإِمَامِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي الدِّيلِ يُقَالُ لَهُ بُسْرُ بْنُ مِحْجَنٍ عَنْ أَبِيهِ مِحْجَنٍ أَنَّهُ كَانَ فِي مَجْلِسٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُذِّنَ بِالصَّلَاةِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى ثُمَّ رَجَعَ وَمِحْجَنٌ فِي مَجْلِسِهِ لَمْ يُصَلِّ مَعَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ النَّاسِ أَلَسْتَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ فَقَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَكِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ فِي أَهْلِي فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جِئْتَ فَصَلِّ مَعَ النَّاسِ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from a man of the Bani'd-Dil called Busr ibn Mihjan from his father Mihjan that he was in a gathering with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and the call to prayer was made. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, rose and prayed and then returned. Mihjan remained sitting and did not pray with him. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "What prevented you from praying with the people? Aren't you a muslim?" He said, "Of course, Messenger of Allah, but I have already prayed with my family." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When you come, pray with the people, even if you have prayed already."
পরিচ্ছেদঃ ৩. ইমামের সঙ্গে নামায পুনরায় পড়া
রেওয়ায়ত ৯. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ)-কে প্রশ্ন করিলঃ আমি ঘরে নামায পড়ি, যদি পরে ইমামের সহিত নামায পাই, তবে কি আমি পুনরায় তাহার সহিত নামায পড়িব? (জবাবে) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) তাহাকে বলিলেনঃ হ্যাঁ। সেই ব্যক্তি বলিলঃ কোন নামাযকে আমি (ফরয) গণ্য করিব? ইবন উমর (রাঃ) বললেনঃ উহা কি আমার বলার বিষয়? সে হইল আল্লাহর ব্যাপার, তিনি যে নামাযকে (ফরয) গণ্য করিতে পারেন।
بَاب إِعَادَةِ الصَّلَاةِ مَعَ الْإِمَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ إِنِّي أُصَلِّي فِي بَيْتِي ثُمَّ أُدْرِكُ الصَّلَاةَ مَعَ الْإِمَامِ أَفَأُصَلِّي مَعَهُ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ نَعَمْ فَقَالَ الرَّجُلُ أَيَّتَهُمَا أَجْعَلُ صَلَاتِي فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ أَوَ ذَلِكَ إِلَيْكَ إِنَّمَا ذَلِكَ إِلَى اللَّهِ يَجْعَلُ أَيَّتَهُمَا شَاءَ
Yahya related to me from Malik from Nafi that a man asked Abdullah ibn Umar, "Sometimes I pray in my house, and then catch the prayer with the imam. Should I pray with him?" Abdullah ibn Umar said to him, "Yes," and the man said, "Which of them do I make my prayer?" Abdullah ibn Umar said, "Is that up to you? It is up to Allah. He will decide on whichever of them He wishes."
পরিচ্ছেদঃ ৩. ইমামের সঙ্গে নামায পুনরায় পড়া
রেওয়ায়ত ১০. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন, আমি ঘরে নামায পড়ি, মসজিদে আসিয়া পরে যদি ইমামকে নামাযে পাই তবে আমি কি তাহার সহিত নামায পড়িব? সাঈদ (রহঃ) বললেনঃ হ্যাঁ। সেই ব্যক্তি তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করিলেনঃ উভয় নামাযের কোনটিকে আমি (ফরয) নামায গণ্য করি? সাঈদ (রহঃ) তাহাকে বলিলেনঃ তাহা কি তুমি করিবে? উহা তো আল্লাহর কাজ।
بَاب إِعَادَةِ الصَّلَاةِ مَعَ الْإِمَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَقَالَ إِنِّي أُصَلِّي فِي بَيْتِي ثُمَّ آتِ الْمَسْجِدَ فَأَجِدُ الْإِمَامَ يُصَلِّي أَفَأُصَلِّي مَعَهُ فَقَالَ سَعِيدٌ نَعَمْ فَقَالَ الرَّجُلُ فَأَيُّهُمَا صَلَاتِي فَقَالَ سَعِيدٌ أَوَ أَنْتَ تَجْعَلُهُمَا إِنَّمَا ذَلِكَ إِلَى اللَّهِ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that a man asked Said ibn al-Musayyab, "I pray in my house, and then I come to the mosque and find the imam praying. Should I pray with him?" Said said, "Yes," and the man said, "Which of them is my prayer?" Said said, "Are you the one to decide that? That is up to Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৩. ইমামের সঙ্গে নামায পুনরায় পড়া
রেওয়ায়ত ১১. বনু আসাদ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আবূ আইয়ুব আনুসারী (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করিলেন, আমি আমার ঘরে নামায পড়ি, তারপর মসজিদে আসি, তখন যদি ইমামকে নামাযে পাই তবে কি আমি তাহার সহিত নামায পড়িব? আবু আইয়ূব (রাঃ) বলিলেনঃ তুমি তাহার সহিত নামায পড়, কেননা যে ব্যক্তি এইরূপ করিবে সে জামাআতের সওয়াব অথবা জামাআতের তুল্য সওয়াব পাইবে।
بَاب إِعَادَةِ الصَّلَاةِ مَعَ الْإِمَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَفِيفٍ السَّهْمِيِّ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ فَقَالَ إِنِّي أُصَلِّي فِي بَيْتِي ثُمَّ آتِ الْمَسْجِدَ فَأَجِدُ الْإِمَامَ يُصَلِّي أَفَأُصَلِّي مَعَهُ فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ نَعَمْ فَصَلِّ مَعَهُ فَإِنَّ مَنْ صَنَعَ ذَلِكَ فَإِنَّ لَهُ سَهْمَ جَمْعٍ أَوْ مِثْلَ سَهْمِ جَمْعٍ
Yahya related to me from Malik from Afif as-Sahmi that a man from the tribe of Bani Asad asked Abu Ayyub al-Ansari. "Sometimes I pray in my house, and then come to the mosque and find the imam praying. Should I pray with him?" Abu Ayyub said, "Yes, pray with him, for some one who does so has the reward of the group, or the equivalent of the reward of the group."
পরিচ্ছেদঃ ৩. ইমামের সঙ্গে নামায পুনরায় পড়া
রেওয়ায়ত ১২. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিব এবং ফজরের নামায পড়ে, অতঃপর ঐ নামাযদ্বয় ইমামের সাথে পায়, তবে সেই নামায (ইমামের সঙ্গে) পুনরায় তাহাকে পড়িতে হইবে না।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি নামায ঘরে পড়িয়াছে, তাহার ইমামের সহিত (পুনরায়) নামায পড়াতে কোন ক্ষতি নাই। তবে মাগরিবের নামায ইহার ব্যতিক্রম, কারণ মাগরিবের নামায পুনরায় পড়িলে জোড় নামায হইয়া যাইবে।
بَاب إِعَادَةِ الصَّلَاةِ مَعَ الْإِمَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ مَنْ صَلَّى الْمَغْرِبَ أَوْ الصُّبْحَ ثُمَّ أَدْرَكَهُمَا مَعَ الْإِمَامِ فَلَا يَعُدْ لَهُمَا قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى بَأْسًا أَنْ يُصَلِّيَ مَعَ الْإِمَامِ مَنْ كَانَ قَدْ صَلَّى فِي بَيْتِهِ إِلَّا صَلَاةَ الْمَغْرِبِ فَإِنَّهُ إِذَا أَعَادَهَا كَانَتْ شَفْعًا
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to say, "Someone who prays maghrib or subh and then catches them with the imam should not repeat them."
Malik said, "I do not see any harm in someone who has already prayed in his house praying with the imam, except for maghrib, because if he repeats it, he makes it even."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জামা'আতের নামাযে পালনীয় বিধি
রেওয়ায়ত ১৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেহ (ইমাম নিযুক্ত হইয়া) লোকদের নামায পড়াইলে, সে যেন নামায সংক্ষিপ্ত পড়ে, কেননা তাহাদের মধ্যে আছে রুগ্ন, দুর্বল ও বৃদ্ধ ব্যক্তি। আর কেহ একা নামায পড়িলে সে যত ইচ্ছা লম্বা করিতে পারিবে।
بَاب الْعَمَلِ فِي صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ بِالنَّاسِ فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِيهِمْ الضَّعِيفَ وَالسَّقِيمَ وَالْكَبِيرَ وَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِنَفْسِهِ فَلْيُطَوِّلْ مَا شَاءَ
Yahya related to me from Malik from Abu'z Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When you lead people in the prayer, make it short, because there are among them some people who are weak, ill and old. But when you pray on your own, make it as long as you wish."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জামা'আতের নামাযে পালনীয় বিধি
রেওয়ায়ত ১৪. নাফি (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমি (পাঞ্জেগানা) নামাযসমূহের কোন এক নামাযে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর পশ্চাতে দাঁড়াইয়াছিলাম। তাহার সহিত আমি ভিন্ন আর কেহ ছিল না। তখন আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পিছনে হাত বাড়াইয়া আমাকে ধরিয়া ডান পার্শ্বে তাহার বরাবরে দাঁড় করাইয়া দিলেন।
بَاب الْعَمَلِ فِي صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّهُ قَالَ قُمْتُ وَرَاءَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فِي صَلَاةٍ مِنْ الصَّلَوَاتِ وَلَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ غَيْرِي فَخَالَفَ عَبْدُ اللَّهِ بِيَدِهِ فَجَعَلَنِي حِذَاءَهُ
Yahya related to me from Malik that Nafi said, "I stood behind Abdullah ibn Umar in one of the prayers when there was no one else with him, and he reached behind with his hand and placed me beside him."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জামা'আতের নামাযে পালনীয় বিধি
রেওয়ায়ত ১৫. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত- এক ব্যক্তি ’আকিক’ নামক স্থানে লোকের ইমামতি করিত। উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) লোক প্রেরণ করিয়া তাহাকে ইমামতি করিতে নিষেধ করিলেন।
মালিক (রহঃ) বললেনঃ তাহাকে তিনি নিষেধ করিয়াছেন এই কারণে যে, তাহার পিতার পরিচয় ছিল না।
بَاب الْعَمَلِ فِي صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَؤُمُّ النَّاسَ بِالْعَقِيقِ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَنَهَاهُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا نَهَاهُ لِأَنَّهُ كَانَ لَا يُعْرَفُ أَبُوهُ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that a man used to lead the people in prayer in al-Aqiq (a place near Madina), and Umar ibn Abd al-Aziz sent a message to him forbidding him to do so.
Malik said, "He only forbade him because his father was not known."
পরিচ্ছেদঃ ৫. ইমামের বসিয়া নামায পড়া
রেওয়ায়ত ১৬. আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হইতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ঘোড়ায় আরোহণ করিয়াছিলেন। অতঃপর ঘোড়া হইতে পড়িয়া তাহার ডান পার্শ্বের (কিছু অংশ) ছড়িয়া গিয়াছিল। ফলে (পাঞ্জেগানা) নামাযসমূহের কোন এক নামায তিনি বসিয়া পড়িয়াছেন। আমরাও তাহার পিছনে বসিয়া নামায পড়িলাম। নামায শেষে তিনি বলিলেনঃ অনুসরণের জন্যই ইমাম নিযুক্ত করা হইয়াছে। কাজেই ইমাম দাঁড়াইয়া নামায পড়িলে তোমরাও দাঁড়াইয়া নামায পড়, ইমাম রুকুতে গেলে তোমরাও রুকুতে যাও, ইমাম মাথা উঠাইলে তোমরাও মাথা তোল। ইমাম যখন (سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ) বলেন, তোমরা বল (رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) আর ইমাম বসিয়া নামায পড়িলে তোমরা সকলেই বসিয়া নামায পড়।
بَاب صَلَاةِ الْإِمَامِ وَهُوَ جَالِسٌ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ فَرَسًا فَصُرِعَ فَجُحِشَ شِقُّهُ الْأَيْمَنُ فَصَلَّى صَلَاةً مِنْ الصَّلَوَاتِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Anas ibn Malik that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, fell off his horse when riding, and his right side was scraped, so he did one of the prayers sitting, and we prayed behind him sitting. When he left, he said, "The imam is appointed to be followed. If he prays standing, then pray standing, and when he goes into ruku, go into ruku, and when he rises, rise, and when he says, 'Allah hears whoever praises him,' say, 'Our Lord, praise belongs to You,' and if he prays sitting, then all of you pray sitting."
পরিচ্ছেদঃ ৫. ইমামের বসিয়া নামায পড়া
রেওয়ায়ত ১৭. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) বসিয়া নামায করিলেন। যখন (নামায সমাপ্ত করিয়া) ফিরিলেন তিনি বলিলেনঃ ইমাম অবশ্য অনুসরণ করার জন্যই নিযুক্ত করা হইয়াছে। তাই ইমাম রুকূ করিলে তোমাও রুকূ কর, ইমাম উঠিলে তোমরাও উঠ, আর ইমাম বসিয়া নামায পড়িলে তোমরাও সকলে বসিয়া নামায পড়।
بَاب صَلَاةِ الْإِمَامِ وَهُوَ جَالِسٌ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ شَاكٍ فَصَلَّى جَالِسًا وَصَلَّى وَرَاءَهُ قَوْمٌ قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنْ اجْلِسُوا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed while he was ill. He prayed sitting, and some people prayed behind him standing, and he indicated to them to sit down. When he left, he said, 'The imam is only appointed to be followed. When he goes into ruku, go into ruku and when he rises, rise and if he prays sitting, pray sitting .' "
পরিচ্ছেদঃ ৫. ইমামের বসিয়া নামায পড়া
রেওয়ায়ত ১৮. উরওয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার অসুস্থাবস্থায় ঘর হইতে বাহির হইলেন এবং মসজিদে আগমন করিলেন। আবু বকর (রাঃ)-কে লোকের ইমামতি করিতে দেখিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখিয়া আবূ বকর (রাঃ) পিছু হটতে চেষ্টা করিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার প্রতি ইশারা করিলেন- তুমি যেইভাবে আছ সেইভাবে থাক। অতঃপর তিনি আবু বকর (রাঃ)-এর পার্শ্বে বসিলেন। আবু বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম –এর নামাযকে অনুসরণ করিয়া নামায পড়িতেছিলেন, আর অন্য মুসল্লিগণ নামায পড়িতেছিলেন আবু বকর (রাঃ)-এর নামাযকে অনুসরণ করিয়া।
بَاب صَلَاةِ الْإِمَامِ وَهُوَ جَالِسٌ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي مَرَضِهِ فَأَتَى فَوَجَدَ أَبَا بَكْرٍ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فَاسْتَأْخَرَ أَبُو بَكْرٍ فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ كَمَا أَنْتَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ وَكَانَ النَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came out during his illness, and approached and found Abu Bakr standing, leading the people in prayer. Abu Bakr began to go back, but the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, indicated to him to stay where he was. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, sat by the side of Abu Bakr, and Abu Bakr prayed following the prayer of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, who was sitting, and the people prayed following the prayer of Abu Bakr.
পরিচ্ছেদঃ ৬. বসিয়া নামায আদায়কারীর নামাযের তুলনায় দাঁড়াইয়া নামায আদায়কারীর নামাযের ফযীলত
রেওয়ায়ত ১৯. আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ তোমাদের কাহারও নামায যাহা সে বসা অবস্থায় পড়িয়াছে (সওয়াবের বেলায়) তাহার দাঁড়াইয়া পড়া নামাযের অর্ধেকের সমতুল্য।
بَاب فَضْلِ صَلَاةِ الْقَائِمِ عَلَى صَلَاةِ الْقَاعِدِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ مَوْلًى لِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَوْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ وَهُوَ قَاعِدٌ مِثْلُ نِصْفِ صَلَاتِهِ وَهُوَ قَائِمٌ
Yahya related to me from Malik from Ismail ibn Muhammad ibn Said ibn Abi Waqqas from a mawla of Amr ibn al-As or of Abdullah ibn Amr ibn al-As that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "The prayer of one of you sitting down is only equal to half the prayer of one of you when he is standing."
পরিচ্ছেদঃ ৬. বসিয়া নামায আদায়কারীর নামাযের তুলনায় দাঁড়াইয়া নামায আদায়কারীর নামাযের ফযীলত
রেওয়ায়ত ২০. আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রাঃ) বর্ণনা করেন- আমরা যখন মদীনায় আসিলাম তখন মদীনার মহামারীরূপী প্রচণ্ড জ্বর আমাদেরও আক্রমণ করিয়া বসিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিকট আগমন করিলেন, তখন তাহারা (সাহাবীগণ) তাহদের নফল নামায বসিয়া পড়িতেছিলেন। (ইহা দেখিয়া) তিনি ইরশাদ করিলেনঃ বসিয়া নামায আদায়কারীর নামায (সওয়াবের বেলায়) দাঁড়াইয়া আদায়কারীর নামাযের অর্ধেকের মত।
بَاب فَضْلِ صَلَاةِ الْقَائِمِ عَلَى صَلَاةِ الْقَاعِدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهُ قَالَ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ نَالَنَا وَبَاءٌ مِنْ وَعْكِهَا شَدِيدٌ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النَّاسِ وَهُمْ يُصَلُّونَ فِي سُبْحَتِهِمْ قُعُودًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةُ الْقَاعِدِ مِثْلُ نِصْفِ صَلَاةِ الْقَائِمِ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Abdullah ibn Amr ibn al As said, "When we arrived at Madina we were struck down by a severe epidemic which debilitated us greatly. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came out to the people while they were praying nawafil prayers sitting down. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'The prayer of the one sitting is equal to only half the prayer of the one standing.' "