পরিচ্ছেদঃ বিচারকের প্রকার সমূহ
১৩৮৩। বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ক্বাযী (বিচারক) তিন প্রকারের, তার মধ্যে দু’ প্রকার ক্বাযী জাহান্নামী আর এক প্রকার জান্নাতী। যে ক্বাযী সত্য উপলব্ধি করবে এবং তদনুযায়ী ফায়সালাহ করবে সে জান্নাতবাসী হবে, আর এক ক্বাযী সে সত্য উপলব্ধি করবে; কিন্তু তদনুযায়ী ফয়সালাহ করবে না, অন্যায়ের ভিত্তিতে ফায়সালাহ করবে সে জাহান্নামী হবে। আর এক ক্বাযী সত্য উপলব্ধি করতে পারবে না, অথচ অজ্ঞতার ভিত্তিতে লোকের জন্য ফায়সালাহ প্ৰদান করবে সে জাহান্নামী হবে। (তার নীতিভ্ৰষ্টতা তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে)।[1]
عَنْ بُرَيْدَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ: اثْنَانِ فِي النَّارِ, وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ. رَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ, فَقَضَى بِهِ, فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ. وَرَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ, فَلَمْ يَقْضِ بِهِ, وَجَارَ فِي الْحُكْمِ, فَهُوَ فِي النَّارِ. وَرَجُلٌ لَمْ يَعْرِفِ الْحَقَّ, فَقَضَى لِلنَّاسِ عَلَى جَهْلٍ, فَهُوَ فِي النَّارِ». رَوَاهُ الْأَرْبَعَةُ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ
-
صحيح. رواه أبو داود (3573)، والنسائي في «الكبرى» (3/ 461 - 462)، والترمذي (1322)، والحاكم (4/ 90) من طريق عبد الله بن بريدة، عن أبيه، به
Narrated Buraida (RA) Allah's Messenger (ﷺ) said:
"al-Qudat (judges) are of three types, two of whom will go to Hell and one to Paradise. The one who will go to Paradise is a man who knows what is right and gives judgement accordingly. However, a man who knows what is right, and does not give judgement accordingly and acts unjustly in his judgement, will be in the Hell-fire. Likewise, a man who does not know what is right and judges people with ignorance, will be in the Hell-fire." [Reported by al-Arba'a, and al-Hakim graded it Sahih (authentic)].
পরিচ্ছেদঃ বিচারকের পদের মহত্ত
১৩৮৪। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যাকে ক্বাযীর পদ দেয়া হলো তাকে যেন বিনা ছুরিতেই যবাহ করা হলো।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ وَلِيَ الْقَضَاءَ فَقَدْ ذُبِحَ بِغَيْرِ سِكِّينٍ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ (1) وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ, وَابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه أبو داود (3571)، (3572)، والنسائي في «الكبرى» (3/ 462)، والترمذي (1325)، وابن ماجه (2308)، وأحمد (2/ 230 و 365)، وانظر «أخلاق العلماء» للآجري، فقد فصلت فيه القول هناك
Narrated Abu Hurairah (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said: "He who has been appointed a Qadi (judge) has been slaughtered without a knife." [Reported by Ahmad and al-Arba'a. Ibn Khuzaimah and Ibn Hibban graded it Sahih (authentic)].
পরিচ্ছেদঃ বিচারকের পদ প্ৰত্যাশা করার প্রতি সতর্কীকরণ
১৩৮৫। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা নিশ্চয়ই নেতৃত্বের লোভ কর, অথচ ক্বিয়ামাতের দিন তা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কত উত্তম দুগ্ধদায়িনী এবং কত মন্দ দুগ্ধ পানে বাধা দানকারিণী (এটা) (অর্থাৎ এর প্রথম দিক দুগ্ধদানের মত তৃপ্তিকর, আর পরিণাম দুধ ছাড়ানোর মত যন্ত্রণাদায়ক)।[1]
وَعَنْهُ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّكُمْ سَتَحْرِصُونَ عَلَى الْإِمَارَةِ, وَسَتَكُونُ نَدَامَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ, فَنِعْمَ الْمُرْضِعَةُ, وَبِئْسَتِ الْفَاطِمَةُ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (7148)
Narrated [Abu Hurairah (RA)]:
Allah's Messenger (ﷺ) said: "You will eagerly seek out the office of governorship, but it will become a cause of regret on the Day of Resurrection. How excellent it is as a Murdi'ah (wet nurse)! And how evil it is as a Fatimah (one who weans)! [Reported by al-Bukhari].
পরিচ্ছেদঃ চিন্তা-গবেষণা করে ফায়সালায় বিচারকের প্রতিদান রয়েছে তা সঠিক হোক বা ভুল হোক
১৩৮৬। ’আমর ইবনু ’আস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন, কোন বিচারক ইজতিহাদে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছলে তার জন্য আছে দু’টি পুরস্কার। আর বিচারক ইজতিহাদে ভুল করলে তার জন্যও রয়েছে একটি পুরস্কার।[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - رضي الله عنه - أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ, فَاجْتَهَدَ, ثُمَّ أَصَابَ, فَلَهُ أَجْرَانِ. وَإِذَا حَكَمَ, فَاجْتَهَدَ, ثُمَّ أَخْطَأَ, فَلَهُ أَجْرٌ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (7352)، ومسلم (1716)
Narrated 'Amr bin al-'Aas (RA):
He heard Allah's Messenger (ﷺ) say, "When a judge gives a ruling, having tried his best to decide correctly, and is right (in his decision), he will have a double reward; and when he gives a ruling having tried his best to decide correctly, and is wrong (in his decision), he will have a single reward." [Agreed upon].
পরিচ্ছেদঃ রাগান্বিত অবস্থায় বিচারকার্য করা নিষেধ
১৩৮৭। আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, কোন বিচারক রাগের অবস্থাতে দু’জনের মধ্যে বিচার করবে না।[1]
وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «لَا يَحْكُمُ أَحَدٌ بَيْنَ اثْنَيْنِ, وَهُوَ غَضْبَانُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (7158)، ومسلم (1717) عن عبد الرحمن بن أبي بكرة قال: كتب أبي - وكتبت له - إلى عبيد الله بن أبي بكرة، وهو قاض بسجستان: أن لا تحكم (بخاري: لا تقضي) بين اثنين وأنت غضبان، فإني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره. والسياق لمسلم، وللبخاري: «لا يقضين حكم» والباقي مثله سواء
كتب أبي - وكتبت له - إلى عبيد الله بن أبي بكرة، وهو قاض بسجستان: أن لا تحكم (بخاري: لا تقضي) بين اثنين وأنت غضبان، فإني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره
আবূ বাকরাহ (রাঃ) তাঁর ছেলেকে লিখে পাঠালেন- যে তুমি রাগের অবস্থায় বিবাদমান দু’ লোকের মাঝে ফায়সালা করো না; সে সময় তিনি সিজিস্তানের বিচারক ছিলেন। কেননা, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে- এ বলে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। বুখারী ৭১৫৮, মুসলিম ১৭:১৭, তিরমিযী ১৩৩৪, নাসায়ী ৫৪০৬, আবূ দাউদ ৩৫৮৯, ইবনু মাজাহ ২৩১৬, আহমাদ ১৯৮৬৬, ১৯৯৫৪।
Narrated Abu Bakrah (RA):
I heard Allah's Messenger (ﷺ) say, "No judge should give judgement between two people while he is angry." [Agreed upon].
পরিচ্ছেদঃ বিচারকার্যের পদ্ধতি
১৩৮৮। ’আলী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন দু’জন লোক (দুটো পক্ষ) কোন মোকদ্দমা তোমার কাছে আনবে তখন দ্বিতীয় ব্যক্তির (অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য) না শোনা পর্যন্ত প্রথম ব্যক্তির (অভিযোগকারীর) অনুকূলে কোন ফায়সালাহ দেবে না। এ নীতি ধরে ফায়সালাহ করলে তুমি ফায়সালা কিভাবে করতে হয় তার সঠিক ধারা জানতে পারবে।
’আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপদেশ দানের পর হতে আমি বরাবর ক্বাযীর দায়িত্ব সম্পাদন করেছি।[1]
وَعَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا تَقَاضَى إِلَيْكَ رَجُلَانِ, فَلَا تَقْضِ لِلْأَوَّلِ, حَتَّى تَسْمَعَ كَلَامَ الْآخَرِ, فَسَوْفَ تَدْرِي كَيْفَ تَقْضِي». قَالَ عَلِيٌّ: فَمَا زِلْتُ قَاضِيًا بَعْدُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَالتِّرْمِذِيُّ وَحَسَّنَهُ, وَقَوَّاهُ ابْنُ الْمَدِينِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
حسن. رواه أحمد (1/ 90)، وأبو داود (3582)، والترمذي (1331) من طريق سماك بن حرب، عن حنش، عن علي، به. واللفظ للترمذي، وقال: «حديث حسن». وعند أحمد: «ترى» مكان «تدري». ولأبي داود: «فإنه أحرى أن يتبين لك القضاء» وزاد في أوله: «إن الله سيهدي قلبك، ويثبت لسانك». قلت: وللحديث طرق كثيرة، وهي مفصلة بالأصل
Narrated 'Ali (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said: "When two men bring a case before you, do not decide in favor of the first till you hear what the other has to say, then you will know how to judge." 'Ali (RA) said: "Since then, I have continued to judge (in accordance with that)." [Reported by Ahmad, Abu Dawud and at-Tirmidhi. The latter graded it Hasan (good), while Ibn al-Madini graded it Qawi (strong), and Ibn Hibban graded it Sahih (authentic).]
পরিচ্ছেদঃ বিচারকার্যের পদ্ধতি
১৩৮৯। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত এই হাদীসের সহযোগী একটা হাদীস হাকিমে রয়েছে সহীহ সানাদে।[1]
وَلَهُ شَاهِدٌ عِنْدَ الْحَاكِمِ: مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ
-
وهو ضعيف جدا على أحسن أحواله. رواه الحاكم (4/ 89 - 99) وضعفه الحافظ نفسه، انظر رقم (1405)
It has a Shahid (supporting narration) reported by al-Hakim from the Hadith of Ibn 'Abbas.
পরিচ্ছেদঃ বিচারক বাহ্যিক অবস্থা দেখে বিচার করবে আভ্যন্তরীণ অবস্থা দেখে নয়
১৩৯০। উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার কাছে ঝগড়া বিবাদ নিয়ে আসো। হয়ত তোমাদের কেউ অন্যজনের অপেক্ষা প্ৰমাণ পেশের ব্যাপারে অধিক বাকপটু। আর আমি তো যেমন শুনি তার ভিত্তিতেই বিচার করে থাকি। কাজেই আমি যদি কারো জন্য তার অন্য ভাইয়ের হক সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত দেই, ফলে আমি তার জন্য তার ভাইয়ের যে অংশ নির্ধারণ করলাম তা তো কেবল এক টুকরা আগুন।[1]
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -: «إِنَّكُمْ تَخْتَصِمُونَ إِلَيَّ, وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحَنَ بِحُجَّتِهِ مِنْ بَعْضٍ, فَأَقْضِيَ لَهُ عَلَى نَحْوٍ مِمَّا أَسْمَعُ, مِنْهُ فَمَنْ قَطَعْتُ لَهُ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ شَيْئًا, فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (7169)، ومسلم (1713)، وزاد البخاري في أوله: «إنما أنا بشر» وهي رواية لمسلم وعنده سبب الحديث، وزاد في رواية أخرى: فليحملها، أو يزرها
Narrated Umm Salamah (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said: "Indeed, you bring your disputers to me, and perhaps some of you are more eloquent in their plea than others, so that I give judgement on their behalf according to what I hear from them. Therefore, whatever I rule for anyone which by right belongs to his brother, I am only granting him a portion of Hell-fire." [Agreed upon].
পরিচ্ছেদঃ ন্যায্য অধিকার আদায়ে দুর্বলকে সহায়তা করা
১৩৯১। জাবির (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, কি করে পবিত্র করা যাবে ঐ জাতিকে, যাদের দুর্বলদের হাক্ব সবলদের কাছ থেকে (বিচার মূলে) আদায় করা না যাবে।[1]
وَعَنْ جَابِرٍ - رضي الله عنه -[قَالَ]: سَمِعْتُ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «كَيْفَ تُقَدَّسُ أُمَّةٌ, لَا يُؤْخَذُ مِنْ شَدِيدِهِمْ لِضَعِيفِهِمْ». رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه ابن حبان (1554) تنبيه: هذا الحديث وما بعده من شواهد تصححه، وإن كانت أسانيدها لا تخلو من ضعف، وتفصيل ذلك في الأصل
Narrated Jabir (RA):
I heard Allah's Messenger (SAW0 saying, "How could an Ummah (people) be purified (of its sins) where the right of its weak is not taken from its strong." [Reported by Ibn Hibban].
পরিচ্ছেদঃ ন্যায্য অধিকার আদায়ে দুর্বলকে সহায়তা করা
১৩৯২। বুরাইদাহ কর্তৃক বাযযার নামক হাদীসগ্রন্থে একটা হাদীস এ হাদীসের সহায়করূপে বৰ্ণিত হয়েছে।[1]
وَلَهُ شَاهِدٌ: مِنْ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ, عِنْدَ الْبَزَّارِ
-
كشف الأستار (1596) وانظر ما قبله
It has a Shahid (supporting narration) from the Hadith of Buraida, reported by al-Bazzar.
পরিচ্ছেদঃ ন্যায্য অধিকার আদায়ে দুর্বলকে সহায়তা করা
১৩৯৩। আবূ সাঈদ কর্তৃক বর্ণিত। ইবনু মাজাহয় অনুরূপ একটি সমর্থক হাদীস রয়েছে।[1]
وَآخَرُ: مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ عِنْدَ ابْنِ مَاجَه
-
سنن ابن ماجه (4010)
And another [Shahid (supporting chain)] from the Hadith of Abu Sa'id, reported by Ibn Majah.
পরিচ্ছেদঃ বিচারকার্যের গুরুত্ব
১৩৯৪। ’আয়িশা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ন্যায় বিচারক ক্বাযীকে কিয়ামতের দিবসে ডাকা হবে এবং সে ঐ দিন হিসাবের কঠোরতার সম্মুখীন হয়ে আকাঙ্ক্ষা করবে, হায় সে যদি জীবনে দু’জন লোকের মধ্যে ফায়সালাহ না করতো। (তাই মঙ্গল ছিল)। হাদীসটি ইমাম বায়হাক্বী বর্ণনা করেছেন তাতে আছে-যদি এ ক’টি খেজুরের ব্যাপারেও ফায়সালা না করতো।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «يُدْعَى بِالْقَاضِي الْعَادِلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ, فَيَلْقَى مِنْ شِدَّةِ الْحِسَابِ مَا يَتَمَنَّى أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ بَيْنَ اثْنَيْنِ فِي عُمْرِهِ». رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ
وَأَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ, وَلَفْظُهُ: «فِي تَمْرَةٍ
-
ضعيف. رواه ابن حبان (1563)
Narrated 'Aishah (RA):
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "the just Qadi (judge) will be called (forth) on the Day of Resurrection and he will wish he had never given judgement even between two men throughout his life, due to the severity of the account he will face." [Reported by Ibn Hibban. al-Baihaqi reported it with the wording: "...concerning a single tamrah (date fruit).
পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের বিচারকার্যের দায়িত্ব না নেওয়া
১৩৯৫। আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঐ জাতি কক্ষনো মুক্তি লাভ করবে: না যে জাতি নিজেদের নেতৃত্ব স্ত্রীলোকের উপর অর্পণ করবে।[1]
وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ - رضي الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمْ امْرَأَةً». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (4425) عن أبي بكرة قال: لقد نفعني الله بكلمة سمعتها من رسول الله صلى الله عليه وسلم أيام الجمل بعدما كدت أن ألحق بأصحاب الجمل، فأقاتل معهم. قال: لما بلغ رسول الله صلى الله عليه وسلم أن أهل فارس قد ملكوا عليهم بنت كسرى. قال: فذكره
لقد نفعني الله بكلمة سمعتها من رسول الله صلى الله عليه وسلم أيام الجمل بعدما كدت أن ألحق بأصحاب الجمل، فأقاتل معهم. قال: لما بلغ رسول الله صلى الله عليه وسلم أن أهل فارس قد ملكوا عليهم بنت كسرى. قال: فذكره
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত একটি বাণীর দ্বারা আল্লাহ জঙ্গে জামালের (উষ্ট্রের যুদ্ধ) দিন আমার মহা উপকার করেছেন, যে সময় আমি সাহাবায়ে কিরামের সঙ্গে মিলিত হয়ে জামাল যুদ্ধে শারীক হতে প্রায় প্রস্তুত হয়েছিলাম। আবূ বাকরাহ (রাঃ) বলেন, সে বাণীটি হল, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এ খবর পৌছল যে, পারস্যবাসী কিসরা কন্যাকে তাদের বাদশাহ মনোনীত করেছেন। তারপর তিনি উপরোক্ত হাদীসটি বর্ণনা করলেন। বুখারী ৪৪১৫, ৭০৯৯, মুসলিম ২২৬২, নাসায়ী ৫৩৮৮, আহমাদ ১৯৮৮৯, ২৭৭৪৫।
Narrated Abu Bakrah (RA):
The Prophet (ﷺ) said: "A people who make a woman their ruler will never be successful." [Reported by al-Bukhari].
পরিচ্ছেদঃ লোকদের বাধা প্ৰদান করার জন্য বিচারকের দারোয়ান রাখা নিষেধ
১৩৯৬। আবূ মারইয়াম আযদী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ যাকে মুসলিমদের কোন কিছুর ওলী বানিয়ে দেন (পরিচালনা দায়িত্ব অর্পণ করে)। সে যদি মুসলিম জনসাধারণের প্রয়োজন ও অভাবের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দারোয়ান রাখে তবে আল্লাহও তার প্রয়োজনের সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন।[1]
وَعَنْ أَبِي مَرْيَمَ الْأَزْدِيِّ - رضي الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم [أَنَّهُ] قَالَ: «مَنْ وَلَّاهُ اللَّهُ شَيْئًا مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ, فَاحْتَجَبَ عَنْ حَاجَتِهِمْ وَفَقِيرِهِم, احْتَجَبَ اللَّهُ دُونَ حَاجَتِهِ». أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالتِّرْمِذِيُّ
-
صحيح. رواه أبو داود (2948) بنحوه، والترمذي (1333) ولم يسق لفظه، وإنما أحال على معنى لفظ آخر لنفس الحديث
Narrated Abu Maryam al-Azdi (RA):
The Prophet (ﷺ) said: "Whoever is placed by Allah over any matter of the affairs of the Muslims, and then conceals himself (i.e. holds back) from dealing with their needs and their poor (people), Allah will conceal Himself (i.e. hold back) from fulfilling his needs." [Abu Dawud and at-Tirmidhi reported it].
পরিচ্ছেদঃ বিচারকার্যে ঘুষ নেওয়া হারাম
১৩৯৭। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায়সালার ক্ষেত্রে ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্ৰহিতাকে লা’নত করেছেন।[1]
এ হাদীসের অনুরূপ অর্থের একটা সহযোগী হাদীস ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে আবূ দাউদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহয় বর্ণিত হয়েছে।[2]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - الرَّاشِيَ وَالْمُرْتَشِيَ فِي الْحُكْمِ. رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, وَحَسَّنَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
وَلَهُ شَاهِدٌ: مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بنِ عَمْرٍو. عِنْدَ الْأَرْبَعَةِ إِلَّا النَّسَائِيَّ
-
ضعيف بهذا اللفظ. رواه الترمذي (1336)، وأحمد (2/ 387 - 388)، وابن حبان (1196) من طريق عمر بن أبي سلمة، عن أبيه، عن أبي هريرة، به. وقال الترمذي: «حديث أبي هريرة حديث حسن صحيح، وقد روى هذا الحديث عن أبي سلمة بن عبد الرحمن، عن عبد الله بن عمرو، عن النبي صلى الله عليه وسلم. وروي. عن أبي سلمة، عن أبيه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، ولا يصح. وقال: وسمعت عبد الله بن عبد الرحمن - أي: الدارمي - يقول: حديث أبي سلمة، عن عبد الله بن عمرو، عن النبي صلى الله عليه وسلم أحسن شيء في هذا الباب وأصح
قلت: وسبب ضعفه عمر بن أبي سلمة فهو متكلم فيه من قبل حفظه هذا أولا. وثانيا: وهم الحافظ رحمه الله في العزو إذ لم يروه من أصحاب السنن إلا الترمذي. وأما حديث ابن عمرو فهو التالي
صحيح. رواه أبو داود (3580)، والترمذي (1337)، وابن ماجه (2313) بلفظ: «لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم الراشي والمرتشي». وفي رواية ابن ماجه: «لعنة الله على ... » والباقي مثله. وقال الترمذي: حديث حسن صحيح
[2] আবূ দাউদ ৩৫৮৮, আহমাদ ১৫৬৭২। ইবনুল মুলকিন তাঁর তুহফাতুল মুহতাজ (২/৫৭৪) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটি মুসআব বিন সাবিতের কারণে মাওকুফ। ইমাম শাওকানী তাঁর আদদারারী আল মুষীয়া (৩৭৪) গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে মুসআব বিন সাবিত বিন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর নামক দুর্বল রাবী রয়েছে। তিনি সাইলুল জাররার (৪/২৮০) গ্রন্থেও অনুরূপ মন্তব্য করেছেন। শাইখ আলবানী তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ (৩৭১১) গ্রন্থে বলেন, মুসা’আব বিন সাবিত হাদীসের ক্ষেত্রে লীন (দুর্বল)। যঈফ আবূ দাউদ (৩৫৮৮) গ্রন্থেও একে দুর্বল বলা হয়েছে।
Narrated Abu Hurairah (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) cursed the one who bribes and the one who takes bribes to influence the judgement. [Reported by Ahmad and al-Arba'a. at-Tirmidhi graded it Hasan (good), and Ibn Hibban graded it Sahih (authentic).
It has a Shahid (supporting narration) from 'Abdullah bin 'Amr's Hadith, reported by al-Arba'a except an-Nasa'i].
পরিচ্ছেদঃ বিচারকের সামনে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত উভয়পক্ষের বসা
১৩৯৮। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায়াসলাহ দিয়েছেন যে, বাদী ও বিবাদী বিচারকের সামনে বসে থাকবে।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَضَى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَنَّ الْخَصْمَيْنِ يَقْعُدَانِ بَيْنَ يَدَيِ الْحَاكِمِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ
Narrated 'Abdullah bin az-Zubair (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) ruled that the two opposing parties in a dispute should sit in front of the judge. [Reported by Abu Dawud. al-Hakim graded it Sahih (authentic)].
পরিচ্ছেদঃ ১. স্বাক্ষ্য প্ৰদান এবং গ্রহণ - সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহবান করার পূর্বেই যারা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়, তাদের প্রশংসা করা প্রসঙ্গে
১৩৯৯। যায়েদ ইবনু খালিদ জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদেরকে উত্তম সাক্ষীগণের সংবাদ দেব না কি? (অবশ্যই দেব) তারা হচ্ছে, সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহবান করার আগেই যারা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য উপস্থিত হয়।[1]
عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ - رضي الله عنه - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ الشُّهَدَاءِ? الَّذِي يَأْتِي بِشَهَادَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1719)
Narrated Zaid bin Khaled al-Juhani (RA):
The Prophet (ﷺ) said: "Shall I not inform you who is the best witness? He is the one who produces his testimony before he is asked for it." [Reported by Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ১. স্বাক্ষ্য প্ৰদান এবং গ্রহণ - সাক্ষ্য দানের জন্য আহবান না করা হলেও যারা সাক্ষ্য দেয়, তাদের প্রতি নিন্দা করা প্রসঙ্গে
১৪০০। ’ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার যুগের লোকেরাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। অতঃপর তাদের নিকটবর্তী যুগের লোকেরা, অতঃপর তাদের নিকটবর্তী যুগের লোকেরা। অতঃপর তোমাদের পর এমন লোকেরা আসবে, যারা সাক্ষ্য দিতে না ডাকলেও তারা সাক্ষ্য দিবে, যারা খিয়ানত করবে, আমানত রক্ষা করবে না। তারা মান্নত করবে কিন্তু তা পূর্ণ করবে না। তাদের মধ্যে মেদওয়ালাদের প্রকাশ ঘটবে।[1]
وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ خَيْرَكُمْ قَرْنِي, ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ, ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ, ثُمَّ يَكُونُ قَوْمٌ يَشْهَدُونَ وَلَا يُسْتَشْهَدُونَ, وَيَخُونُونَ وَلَا يُؤْتَمَنُونَ, وَيَنْذِرُونَ وَلَا يُوفُونَ, وَيَظْهَرُ فِيهِمُ [ص: 428] السِّمَنُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2651)، ومسلم (2535)
Narrated 'Imran bin Husain (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said: "Verily! The best of you (i.e. Muslims) are my generation, then their immediate followers, then their immediate followers. After them there will be people who will give (false) testimony without being asked (to testify), who will be treacherous and are not to be trusted, who will make vows and will not fulfill them, among whom obesity will appear." [Agreed upon].
পরিচ্ছেদঃ ১. স্বাক্ষ্য প্ৰদান এবং গ্রহণ - যাদের সাক্ষ্য গ্ৰহণ করা যায় না
১৪০১। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন খিয়ানাতকারী, খিয়ানাতকারিণীর ও কোন হিংসুকের সাক্ষ্য তার মুসলিম ভাইয়ের বিপক্ষে এবং কোন চাকরের সাক্ষ্য তার মালিকের পরিবারে পক্ষে গ্ৰহণ করা জায়িয হবে না।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا تَجُوزُ شَهَادَةُ خَائِنٍ, وَلَا خَائِنَةٍ, وَلَا ذِي غِمْرٍ عَلَى أَخِيهِ, وَلَا تَجُوزُ شَهَادَةُ الْقَانِعِ لِأَهْلِ الْبَيْتِ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ
-
حسن. رواه أحمد (2/ 204 و 225 - 226)، وأبو داود (3600) من طريق عمرو بن شعيب، عن أبيه، عن جده. واللفظ لأحمد، وزاد: «وتجوز شهادته لغيرهم» والقانع: الذي ينفع عليه أهل البيت. وفي رواية أبي داود، وأحمد الثانية: «رد شهادة الخائن والخائنة، وذي الغمر على أخيه، ورد شهادة القانع لأهل البيت، وأجازها على غيرهم». وقال أبو داود: الغمر: الحنة والشحناء (وفي نسخة: الحق والبغضاء) والقانع: الأجير التابع مثل الأجير الخاص
Narrated 'Abdullah bin 'Amr (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said: "It is not permissible to accept the testimony of a man or a woman who does not fulfill their trusts, or of one who harbors a grudge against his brother, or the testimony of one who is dependent on a family (to testify) for members of the family." [Reported by Ahmad and Abu Dawud].
পরিচ্ছেদঃ ১. স্বাক্ষ্য প্ৰদান এবং গ্রহণ - যাদের সাক্ষ্য গ্ৰহণ করা যায় না
১৪০২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, কোন অজ্ঞ যাযাবরের সাক্ষ্য স্থায়ী বাসিন্দার বিপক্ষে গৃহীত হবে না।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «لَا تَجُوزُ شَهَادَةُ بَدَوِيٍّ عَلَى صَاحِبِ قَرْيَةٍ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ مَاجَهْ
-
صحيح. رواه أبو داود (3602)، وابن ماجه (2367)
فمن أظهر لنا خيرا أمناه وقربناه وليس إلينا من سريرته شيء الله يحاسبه في سريرته ومن أظهر لنا سوءا لم نأمنه ولم نصدقه وإن قال إن سريرته حسنة
যে ব্যক্তি আমাদের সামনে ভালো প্ৰকাশ করবে তাকে আমরা নিরাপত্তা দান করব এবং নিকটে আনবো, তার অন্তরের বিষয়ে আমাদের কিছু করণীয় নেই। আল্লাহই তার অন্তরের বিষয়ে হিসাব নিবেন। আর যে ব্যক্তি আমাদের সামনে মন্দ ‘আমল প্ৰকাশ করবে, তার প্রতি আমরা তাদের নিরাপত্তা প্ৰদান করব না এবং সত্যবাদী বলে জানব না; যদিও সে বলে যে, তার অন্তর ভালো। বুখারী ২৬৪১, নাসায়ী ৪৭৭৭, আবূ দাউদ ৪৫৩৭, আহমাদ ২৮৮।
Narrated Abu Hurairah (RA):
He heard Allah's Messenger (ﷺ) say. "The testimony of a bedouin against a city dweller is not permissible." [Reported by Abu Dawud and Ibn Majah].