পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর নামে শপথ করার আবশ্যকীয়তা এবং তিনি ব্যতীত অন্যের নামে শপথ করা নিষেধ
১৩৬০। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে বাহনে চলা অবস্থায় পেলেন যখন তিনি তাঁর পিতার নামে কসম করছিলেন। তিনি তাদেরকে ডেকে বললেন: সাবধান! আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। কেউ কসম করতে চাইলে সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে, নইলে যেন চুপ থাকে।[1]
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا, - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَنَّهُ أَدْرَكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فِي رَكْبٍ, وَعُمَرَ يَحْلِفُ بِأَبِيهِ, فَنَادَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَلَا إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ, فَمَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللَّهِ, أَوْ لِيَصْمُتْ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6646)، ومسلم (1646) (3)
Narrated Ibn 'Umar (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) overtook 'Umar bin al-Khattab when he was with a party of riders of about ten and 'Umar was swearing by his father. Allah's Messenger (ﷺ) called them and said, "Verily! Allah forbids you from swearing by your fathers. Therefore, if anyone swears, he must swear by Allah or keep silent." [Agreed upon]
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর নামে শপথ করার আবশ্যকীয়তা এবং তিনি ব্যতীত অন্যের নামে শপথ করা নিষেধ
১৩৬১। আবূ দাউদ ও নাসায়ীতে আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক মারফূরূপে বৰ্ণিতঃ তোমরা তোমাদের পিতার নামে কসম করবে না, মাতার বা দেব দেবির নামেও না। কেবল আল্লাহর নামেই কসম করবে। আর আল্লাহর নামে কসম করার ব্যাপারে তোমাদের সত্যবাদী থাকতে হবে। (মিথ্যা কসম খাবে না)।[1]
وَفِي رِوَايَةٍ لِأَبِي دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيِّ: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه: «لَا تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ, وَلَا بِأُمَّهَاتِكُمْ, وَلَا بِالْأَنْدَادِ, وَلَا تَحْلِفُوا إِلَّا بِاللَّهِ, وَلَا تَحْلِفُوا بِاللَّهِ إِلَّا وَأَنْتُمْ صَادِقُونَ
-
صحيح. رواه أبو داود (3248)، والنسائي (7/ 5)
In a narration which is Marfu' (attributed to the Prophet) reported by Abu Dawud and an-Nasa'i from Abu Hurairah (RA) it has:
"Do not swear by your fathers, nor by your mothers, nor by the rivals (set up as equals with Allah); and do not swear by Allah except when you are speaking the truth."
পরিচ্ছেদঃ কসম প্রার্থনাকারীর নিয়ত অনুযায়ী কসম প্রযোজ্য হবে
১৩৬২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্বসম করার জন্য তোমাকে যে ব্যক্তি চাপ দেয় বা দাবী জানায় তার উদ্দেশ্যের অনুকূলে তোমাকে ক্বসম করতে হবে। অন্য রিওয়ায়াতে আছে, প্রতিপক্ষের নিয়্যাতের বা উদ্দেশ্যের অনুকূলে (কসম সাব্যস্ত) হবে।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «يَمِينُكَ عَلَى مَا يُصَدِّقُكَ بِهِ صَاحِبُكَ». وَفِي رِوَايَةٍ: «الْيَمِينُ عَلَى نِيَّةِ الْمُسْتَحْلِفِ». أَخْرَجَهُمَا مُسْلِمٌ
-
صحيح رواه مسلم (1653)
Narrated Abu Hurairah (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said: "Your oath will be about that matter which your adversary has required you to swear about so that he will believe you." In another narration: "An oath is to be interpreted according to the intention of the one who requested it (Al-Mustahlif)." [Muslim reported both narrations].
পরিচ্ছেদঃ কসম খাওয়া বিষয়ের চেয়ে অন্য বস্তুর মাঝে অধিক কল্যাণ দেখা গেলে তার বিধান
১৩৬৩। ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন ব্যাপারে যদি শপথ কর আর তা ছাড়া অন্য কিছুর ভিতর কল্যাণ দেখতে পাও, তবে নিজ শপথের কাফফারা আদায় করে তাত্থেকে উত্তমটি গ্রহণ কর।
বুখারীর শব্দে আছে, “ভাল কাজটি কর আর শপথ ভঙ্গের কাফফারা দাও।
আবূ দাউদের এক বর্ণনায় আছে, “শপথ ভঙ্গের কাফফারা দাও, তারপর ভাল কাজটি কর।[1]
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ, فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا, فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ, وَائْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
وَفِي لَفْظٍ لِلْبُخَارِيِّ: فَائْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ, وَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ
وَفِي رِوَايَةٍ لِأَبِي دَاوُدَ: «فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ, ثُمَّ ائْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ». وَإِسْنَادُهَا صَحِيحٌ
-
صحيح. رواه البخاري (6622)، ومسلم (1652)
البخاري (6722)
أبو داود (3278)
Narrated 'Abdur-Rahman bin Samura (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said: "When you swear an oath and then consider something else to be better than it, make atonement for your oath and do the thing that is better." [Agreed upon]. A wording of al-Bukhari has: "Do the thing that is better and make atonement for your oath." In a narration by Abu Dawud: "Make atonement for your oath, then do the thing that is better." [The chains of narrators of both Ahadith are Sahih (authentic)].
পরিচ্ছেদঃ কসমে ইনশাআল্লাহ বলার বিধান
১৩৬৪। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি কেউ ইনশাআল্লাহ বাক্য জুড়ে দিয়ে কোন ক্বসম করে তবে সে ক্বসম ভঙ্গকারী হবে না। (যদিও সে ক্বসমের বিপরীত কাজ করে বসে)।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ حَلَفِ عَلَى يَمِينٍ فَقَالَ: إِنْ شَاءَ اللَّهُ, فَلَا حِنْثَ عَلَيْهِ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ (1) وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه أحمد (2/ 10)، وأبو داود (3261)، والنسائي (7/ 25)، والترمذي (1531)، وابن ماجه (2105)، وابن حبان (1184) قلت: اللفظ للترمذي؛ إلا أنه زاد: «فقد استثنى» بعد قوله: «إن شاء الله»، وإلى هذه الزيادة دون الجملة الأخيرة رواه أبو داود. والنسائي وأحمد. وأما لفظ ابن حبان فهو: «من حلف فقال: إن شاء الله، لم يحنث». ولفظ ابن ماجه: «من حلف واستثنى، إن شاء رجع، وإن شاء ترك، غير حانث». وهو أيضًا لبعضهم، وله ألفاظ أخرى، ذكرتها مفصلة مع طرقها في الأصل
Narrated Ibn 'Umar (RA):
"Allah's Messenger (ﷺ) said: "Whoever swears an oath, and then says: "If Allah Wills", he is not held accountable if he breaks it." [Ahmad and al-Arba'a reported it, and Ibn Hibban graded it Sahih (authentic)].
পরিচ্ছেদঃ নাবী (ﷺ) এর শপথ প্রসঙ্গে
১৩৬৫. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কসম ছিলوَمُقَلِّبِ الْقُلُوبِ বাক্য দ্বারা। অর্থাৎ অন্তরের পরিবর্তনকারীর কসম।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: كَانَتْ يَمِينُ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم: «لَا, وَمُقَلِّبِ الْقُلُوبِ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح رواه البخاري (6628)
Narrated Ibn Umar (RA):
The Prophet's oath (ﷺ) used to be: "No, by Him Who turns (changes) the hearts." [Reported by al-Bukhari].
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা শপথ প্ৰসঙ্গ
১৩৬৬। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! কবীরা গুনাহসমূহ কী? এর পর উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাতে আরো আছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, মিথ্যা শপথ কী? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি (শপথের সাহায্যে) মুসলিমের ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়। অথচ সে এ শপথের ক্ষেত্রে মিথ্যাচারী।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِوٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! مَا الْكَبَائِرُ? … فَذَكَرَ الْحَدِيثَ, وَفِيهِ قُلْتُ: وَمَا الْيَمِينُ الْغَمُوسُ? قَالَ: «الَّذِي يَقْتَطِعُ مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ, هُوَ فِيهَا كَاذِبٌ». أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (6920)
Narrated 'Abdullah bin 'Amr (RA):
A desert Arab came to the Prophet (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger, what are the major sins?" The narrator reported the Hadith and it contains: "The false oath." It contains also: I asked, "What is the false oath?" The Prophet (ﷺ) replied, "It is that (oath) by which one takes possession of the property of a Muslim person, while he is lying." [al-Bukhari reported it].
পরিচ্ছেদঃ উদ্দেশ্যহীন শপথ প্রসঙ্গে
১৩৬৭। ’আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, [لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ] আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে মানুষের উদ্দেশ্যবিহীন উক্তি لَا وَاللَّهِ না আল্লাহর শপথ, بَلَى وَاللَّهِ হ্যাঁ আল্লাহর শপথ ইত্যাদি উপলক্ষে।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: (لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ) [البقرة: 225]
قَالَتْ: هُوَ قَوْلُ الرَّجُلِ: لَا وَاللَّهِ. بَلَى وَاللَّهِ. أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَأَوْرَدَهُ أَبُو دَاوُدَ مَرْفُوعًا
-
صحيح. رواه البخاري (6663)
رواه أبو داود (3254) وأشار أبو داود إلى وقفه، وهو الذي صححه الدارقطني
Narrated 'Aishah (RA) regarding the saying of Allah the Most High:
"Allah will not punish you for what is unintentional in your oaths (2 : 225)." She said: It (was sent down about such phrases as) a person's sayying: 'No, by Allah' and 'Yes, by Allah.' [al-Bukhari reported it (Mauquf, i.e. as a saying of 'Aishah). Abu Dawud reported it as Marfu' (attributed to the Prophet).]
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সুন্দর নাম সমূহ প্রসঙ্গে
১৩৬৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নিরানব্বই অর্থ্যাৎ এক কম একশ’টি নাম হয়েছে, যে ব্যক্তি তা মনে রাখবে সে জান্নাতে প্ৰবেশ করবে।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ لِلَّهِ تِسْعًا وَتِسْعِينَ اسْمًا, مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
وَسَاقَ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ حِبَّانَ الْأَسْمَاءِ, وَالتَّحْقِيقُ أَنَّ سَرْدَهَا إِدْرَاجٌ مِنْ بَعْضِ الرُّوَاةِ
-
صحيح. رواه البخاري (2736) و (7392)، ومسلم (2677) (6) وزادا: «مائة إلا واحدًا» بعد: «اسمًا». وعندهما زيادة أخرى: «وهو وتر يحب الوتر». وفي رواية للبخاري (6410) ومسلم: من حفظها
Narrated Abu Hurairah (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said: "Verily! Allah has ninety-nine Names concerning which he who retains them in his memory will enter Paradise." [Agreed upon]. at-Tirmidhi and Ibn Hibban listed the Names. However, investigations show that their listing is Idraj (an insertion) from one of the narrators [not from the words of the Prophet].
পরিচ্ছেদঃ কল্যানকারীর উদ্দেশ্যে দু’আ করা প্রসঙ্গে
১৩৬৯। উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত; তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার প্রতি কোন কল্যাণ করা হবে আর সে তার ঐ কণ্যাণের বিনিময়ে কল্যাণকারীর উদ্দেশে বলবে (দু’আ করবে) আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন, তবে সে তার চরম গুণ বর্ণনা করলো।[1]
وَعَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ, فَقَالَ لِفَاعِلِهِ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا فَقَدْ أَبْلَغَ فِي الثَّنَاءِ». أَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه الترمذي (2035)، وابن حبان (3404) وقال الترمذي: هذا حديث حسن جيد غريب
Narrated Usama bin Zaid (RA):
Allah's Messenger (ﷺ) said. "If one is done a kindness and [expresses his gratitude] to his benefactor by saying 'May Allah give you a good reward', he has fully expressed his appreciation." [at-Tirmidhi reported it, and Ibn Hibban graded it Sahih (authentic)].
পরিচ্ছেদঃ মানত মানা নিষেধ প্ৰসঙ্গ
১৩৭০। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, মানত কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এর দ্বারা শুধু কৃপণের কিছু মাল বের হয়ে যায়।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا, - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - أَنَّهُ نَهَى عَنِ النَّذْرِ وَقَالَ: «إِنَّهُ لَا يَأْتِي بِخَيْرٍ وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6608)، ومسلم (1639) واللفظ لمسلم. وفي لفظ لهما: «إنه لا يرد شيئًا» وآخره مثله. إلا أنه وقع عند مسلم في رواية: «وإنما يستخرج به من الشحيح». وفي أخرى لهما أيضًا: «إن النذر لا يقدم شيئًا، ولا يؤخر» والباقي مثله
Narrated Ibn 'Umar (RA):
The Prophet (ﷺ) forbade making vows, and said, "It does not bring good. Indeed, it is only a means by which something is extracted from the miserly." [Agreed upon].
পরিচ্ছেদঃ কতক মানত কুফরে লিপ্ত করে
১৩৭১। ’উক্ববাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানতের (পুরণ না করার) কাফফারা ক্বসম ভঙ্গের কাফফারার অনুরূপ।[1]
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «كَفَّارَةُ النَّذْرِ كَفَّارَةُ يَمِينٍ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
وَزَادَ التِّرْمِذِيُّ فِيهِ: إِذَا لَمْ يُسَمِّ
-
صحيح. رواه مسلم (1645)
ضعيف. رواه الترمذي (1528) وفيه محمد بن يزيد الفلسطيني وهو «مجهول» وهذا الزيادة أيضًا عند ابن ماجه (2127) بسند ضعيف
Narrated 'Uqba bin 'Aamir (RA):
Allah's Mssenger (ﷺ) said: "The atonement for a vow (Nadhr) is (the same as) the atonement an oath (Yamin)." [Reported by Muslim]. at-Tirmidhi added, "If he did not specify it." [And he graded it Sahih (authentic)].
পরিচ্ছেদঃ মানতের কতিপয় প্রকারের বিধানাবলী
১৩৭২। আবূ দাউদে ইবন আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক মারফূ’ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি কোন (বস্তুর) নাম উল্লেখ না করে মানত মানবে তার কাফফারা হবে আল্লাহর নামে ক্বসম করে তা ভেঙ্গে ফেলার কাফফারার অনুরূপ। আর যে পাপ কাজ করার মানত করবে তার কাফফারা হবে। আল্লাহর নামে কসম করে তা ভাঙ্গার অনুরূপ কাফফারা। আর যে এমন বস্তুর মানত করবে যা সাধ্যাতীত তার কাফফারা হবে ক্বসম ভঙ্গের কাফফারার অনুরূপ। এর সানাদ সহীহ কিন্তু হাদীস শাস্ত্রের হাফিযগণ হাদীসটির মাওকুফ হওয়াকে অধিক প্রাধান্য দিয়েছেন।[1]
وَلِأَبِي دَاوُدَ: مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا: «مَنْ نَذَرَ نَذْرًا لَمْ يُسَمِّهِ, فَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ, وَمَنْ نَذَرَ نَذْرًا فِي مَعْصِيَةٍ, فَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ, وَمَنْ نَذَرَ نَذْرًا لَا يُطِيقُهُ, فَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ». وَإِسْنَادُهُ صَحِيحٌ; إِلَّا أَنَّ الْحُفَّاظَ رَجَّحُوا وَقْفَهُ
-
ضعيف مرفوعًا. رواه أبو داود (3322) من طريق طلحة بن يحيى الأنصاري عن عبد الله بن سعيد بن أي هند، عن بكير بن عبد الله الأشج، عن كريب، عن ابن عباس مرفوعًا، به. وزاد: «ومن نذر نذرًا أطاقه، فليف به» قلت: هكذا رواه طلحة، وخالفه وكيع، فرواه موقوفًا. رواه عن ابن أبي شيبة (4/ 173) ولا شك أن رواية وكيع هي الصواب خاصة إذا قابلت بين ترجمة الرجلين ولذا قال أبو داود: «روي هذا الحديث وكيع وغيره عن عبد الله بن سعيد أوقفوه علي بن عباس». وكذلك قال أبو زرعة وأبو حاتم (1/ 441 / 1326): الموقوف الصحيح
শাইখ আলবানী যঈফ আবূ দাউদ ৩৩২২, তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ ৩৩৬৯ গ্রন্থদ্বয়ে হাদীসটিকে মারফূ হিসেবে দুর্বল বলেছেন, আর যঈফুল জামে ৫৮৬২ তে দুর্বল বলেছেন। ইরওয়াউল গালীল ৮/২১০ গ্রন্থে বলেন, সঠিক হচ্ছে সানাদটি পৌছেছে ইবনু আব্বাস পর্যন্ত। যঈফ ইবনু মাজাহ ৪১৫ গ্রন্থে বলেন, অত্যন্ত দুর্বল তবে মাওকুফ হিসেবে সহীহ। আত্তালিকাত আর রাযীয়্যাহ ১২/৩ গ্রন্থে বলেন, এটি মাওকূফের দোষে দুষ্ট।
Abu Dawud has from the narration of Ibn Abbas (RA) (who reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying):
"If anyone takes a vow but does not name it, its atonement is the same as that for an oath. If anyone takes a vow to do an act of disobedience, its atonement is the same as that for an oath. If anyone takes a vow which he is unable to fulfill , its atonement is the same as that for an oath." [Its chain of narrators is authentic, but the Hadith scholars held that the strongest view is that it is Mawquf (saying of a Companion)].
পরিচ্ছেদঃ মানতের কতিপয় প্রকারের বিধানাবলী
১৩৭৩। ’আয়িশা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। বুখারীতে আছে, যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করার নযর মানবে সে যেন তাঁর বিরুদ্ধাচরণ না করে। (তথা নযর পূরণ না করে)[1]
وَلِلْبُخَارِيِّ: مِنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ: «وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَ اللَّهَ فَلَا يَعْصِهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6700) وأوله: من نذر أن يطيع الله، فليطعه
al-Bukhari has reported from the Hadith of 'Aishah (RA):
(Allah's Messenger (ﷺ) said) "If anyone vows to disobey Allah, then he must not disobey Him."
পরিচ্ছেদঃ মানতের কতিপয় প্রকারের বিধানাবলী
১৩৭৪। মুসলিমে ইমরান (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে আছে; পাপ কাজের নযর মানলে তা পূরণ করা যাবে না।[1]
وَلِمُسْلِمٍ: مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ: «لَا وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةٍ
-
صحيح. رواه البخاري (6700) وأوله: «من نذر أن يطيع الله، فليطعه
صحيح. رواه مسلم (1641) في حديث طويل، وهو حديث عظيم، فيه أحكام عظيمة، منها جواز سفر المرأة بدون محرم في حالة مخصوصة، كما كنت بينت ذلك في كتابي «أوضح البيان في حكم سفر النسوان
Muslim has reported from the Hadith of 'Imran (RA):
(Allah's Messenger (ﷺ) said) "There is no fulfillment of a vow involving an act of disobedience." [Reported by Muslim].
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর ঘরে (কা’বা) হেঁটে যাওয়ার মানতের বিধান
১৩৭৫। ’উকবাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমার বোন খালি পায়ে হেঁটে বায়তুল্লাহ হাজ্জ করার মানত করেছিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, পায়ে হেঁটেও চলুক, সওয়ারও হোক।[1]
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ حَافِيَةً, فَقَالَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم: «لِتَمْشِ وَلْتَرْكَبْ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, وَاللَّفْظُ لِمُسْلِمٍ
-
صحيح. رواه البخاري (1866)، ومسلم (1644)، وهو نفس لفظ البخاري سوى قوله: «حافية». وعندهما قول عقبة: فأمرتني أن أستفتي لها النبي صلى الله عليه وسلم، فاستفتيته
Narrated 'Uqba bin 'Aamir (RA):
His sister took a vow to walk to Allah's House (for pilgrimage) barefooted. Then, she ordered him to consult Allah's Messenger (ﷺ), so he consulted him for a religious verdict and the Prophet (ﷺ) replied, "Let her walk and ride." [Agreed upon, and the wording is Muslim's].
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর ঘরে (কা’বা) হেঁটে যাওয়ার মানতের বিধান
১৩৭৬। আহমদ, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ-এর বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অবশ্যই তোমার বোনের কোন কষ্ট দ্বারা আল্লাহ কিছু করবেন না। তোমার বোনকে বল সে ওড়না (চাদর) পরে নেয়। সাওয়ার হোক আর তিন দিন রোযা রাখুক।[1]
وَلِلْخَمْسَةِ فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَا يَصْنَعُ بِشَقَاءِ أُخْتِكَ شَيْئًا, مُرْهَا: [فَلْتَخْتَمِرْ] , وَلْتَرْكَبْ, وَلْتَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ
-
منكر. رواه أحمد (4/ 143 و 145 و 149) وأبو داود (3293)، والنسائي (7/ 20)، والترمذي (1544)، وابن ماجه (2134) قال الترمذي: «هذا حديث حسن». قلت: بل ضعيف؛ فإن في سنده عبيد الله بن زحر، وهو «ضعيف. منكر الحديث»، وذكر الذهبي في «الميزان» هذا الحديث من منكراته
ইমাম শাওকানী নাইলুল আওতার ৯/১৪৫ গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে আবদুল্লাহ বিন যুহর সম্পর্কে একদল ইমাম সমালোচনা করেছেন। ইমাম বাইহাকী আস সুনান আল কুবরা ১০/৮০ গ্রন্থে বলেন, এর সানাদের ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। আলবানী যঈফ নাসায়ী ৩৮২৪ এ একে দুর্বল বলেছেন।
Ahmad and al-Arba'a have:
He said, "Verily! Allah, the Most High, will not do anything with the affliction your sister imposes on herself. Command her to cover her head and to ride, and to fast three days."
পরিচ্ছেদঃ মৃত ব্যক্তির মানত পূর্ণ করা প্রসঙ্গ
১৩৭৭। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, সাদ ইবনু ’উবাদাহ (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জানতে চাইলেন যে, আমার মা মারা গেছেন এবং তার উপর মানৎ ছিল, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তার পক্ষ থেকে তা পূর্ণ কর।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: اسْتَفْتَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ - رضي الله عنه - رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فِي نَذْرٍ كَانَ عَلَى أُمِّهِ, تُوُفِّيَتْ قَبْلِ أَنْ تَقْضِيَهُ? فَقَالَ: «اقْضِهِ عَنْهَا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2761)، ومسلم (1638)
Narrated Ibn Abbas (RA):
Sa'd bin Ubada asked Allah's Messenger (ﷺ) for a ruling regarding a vow taken by his mother who had died before fulfilling it, and he said, "Fulfill it on her behalf." [Agreed upon].
পরিচ্ছেদঃ শরীয়ত বিরোধী না হলে নির্দিষ্ট স্থানে মানত পূর্ন করার বৈধতা
১৩৭৮। সাবিত ইবনু যাহহাক (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, কোন এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে বুওয়ানা নামক স্থানে একটা উট যাবাহ করার জন্য নযর মেনেছিল। সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এসে তাকে জিজ্ঞেস করায় তিনি তাকে বললেন, ঐ স্থানে কি কোন ঠাকুরের মূর্তি ছিল যার পূজা করা হতো? সে বললো, না। তিনি বললেন, সেখানে কি মুশরিকদের কোন ঈদের মেলা হত? সে বললো, না; তা হত না। এবারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তোমার নযর পূরণ কর, কেননা কোন পাপ কাজের নযর, আত্নীয়তা ছিন্ন করার নযার, মানুষ যার অধিকারী নয় এমন বস্তুর নযর পূরণ করার বিধান নেই।[1]
وَعَنْ ثَابِتِ بْنِ الضَّحَّاكِ - رضي الله عنه - قَالَ: نَذَرَ رَجُلٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَنْ يَنْحَرَ إِبِلًا بِبُوَانَةَ, فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَسَأَلَهُ: فَقَالَ: «هَلْ كَانَ فِيهَا وَثَنٌ يُعْبَدُ». قَالَ: لَا. قَالَ: «فَهَلْ كَانَ فِيهَا عِيدٌ مِنْ أَعْيَادِهِمْ» فَقَالَ: لَا. فَقَالَ: «أَوْفِ بِنَذْرِكَ; فَإِنَّهُ لَا وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ, وَلَا فِي قَطِيعَةِ رَحِمٍ, وَلَا فِيمَا لَا يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالطَّبَرَانِيُّ وَاللَّفْظُ لَهُ, وَهُوَ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ
-
صحيح. رواه أبو داود (3313)، والطبراني في «الكبير» (2/ 57 - 76/ 1341)
Narrated Thabit bin ad-Dahhak (RA):
that in the time of Allah's Messenger (ﷺ) a man took a vow to slaughter camels at Bawana. So, he came to Allah's Messenger (ﷺ) and asked him (about that). Allah's Messenger (ﷺ) asked, "Did the place contain any idol which was worshiped (during Jahiliyya era)?" He said, "No." He asked "Were any of their (Jahiliyya) festivals observed there?" He said, "No." He then said (to the man), "Fulfill your vow, for there is no fulfillment of a vow to do an act of disobedience to Allah, now to break the ties of relationship, nor to do something over which a human being has no control." [Reported by Abu Dawud and at-Tabarani, and the wording is his (at-Tabarani). It has a sound chain of narrators].
পরিচ্ছেদঃ শরীয়ত বিরোধী না হলে নির্দিষ্ট স্থানে মানত পূর্ন করার বৈধতা
১৩৭৯। আহমদে কারদাম হতে বর্ণিত এর একটি শাহিদ (সমাৰ্থবোধক হাদীস আছে)[1]
وَلَهُ شَاهِدٌ: مِنْ حَدِيثِ كَرْدَمٍ. عِنْدَ أَحْمَدَ
-
وهو صحيح أيضًا. مسند أحمد (3/ 419)
It has a Shahid (supporting narration) from the Hadith of Kardam reported by Ahmad.