পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - হজ্ব এবং উমরার ফযীলত
৭০৮. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক ’উমরাহ’র পর আর এক ’উমরাহ উভয়ের মধ্যবতী সময়ের (গুনাহের) জন্য কাফফারা। আর জান্নাতই হলো হাজে মাবরূরের প্রতিদান।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا, وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلَّا الْجَنَّةَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (1773)، ومسلم (1349)، وأصح ما قيل في معنى «المبرور» هو: الذي لا يخالطه إثم. قلت: وفي الحديث دلالة على استحباب تكرار العمرة خلافا لمن قال بكراهية ذلك. والله أعلم
মাবরূর শব্দের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হচ্ছে, যে হজ্বের মধ্যে কোন প্রকার গুনাহর সংমিশ্রণ ঘটেনি। উক্ত হাদীসে বারংবার উমরা করা মুস্তাহাব প্রমাণিত হচ্ছে, আর যারা এটাকে অপছন্দনীয় বলে মনে করেন তাদের বিরোধিতা করছে উক্ত হাদীস। আল্লাহই ভাল জানেন।
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah said, “The performance of 'Umrah is an expiation for all the sins committed (between this 'Umrah and the previous one), and the reward for Hajj Mabrur (the one accepted by Allah or the one which was performed without doing any wrong) is nothing save Paradise.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - উমরার বিধান
৭০৯. আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মহিলাদের জন্য কি জিহাদ বাধ্যতামূলক? তিনি বলেন, হাঁ, তাদের উপরও জিহাদ ফরয, তবে তাতে অস্ত্ৰবাজি নাই। তা হচ্ছে হজ্জ ও উমরা। -শব্দ বিন্যাস ইবনু মাজাহর, সহীহ সানাদে। এর মূল রয়েছে বুখারীতে।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! عَلَى النِّسَاءِ جِهَادٌ? قَالَ: «نَعَمْ, عَلَيْهِنَّ جِهَادٌ، لَا قِتَالَ فِيهِ: الْحَجُّ, وَالْعُمْرَةُ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَابْنُ مَاجَهْ وَاللَّفْظُ لَهُ, وَإِسْنَادُهُ صَحِيحٌ
وَأَصْلُهُ فِي الصَّحِيحِ
-
صحيح. رواه أحمد (6/ 165)، وابن ماجه (2901)، وقول الحافظ أن اللفظ لابن ماجه لا فائدة فيه إذ هو عند أحمد بنفس اللفظ، نعم. هو عند أحمد في مواطن أخر بألفاظ أخر
البخاري رقم (1520)، عن عائشة أم المؤمنين رضي الله عنها؛ أنها قالت: يا رسول الله! نرى الجهاد أفضل العمل، أفلا نجاهد؟ قال: «لا. ولكن أفضل الجهاد حج مبرور». وفي رواية أخرى (1761): «لكن أحسن الجهاد وأجمله: الحج، حج مبرور». وله ألفاظ أخر عنده وعند أحمد وغيرهما، وقد فصلت ذلك في الأصل
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্, (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম ‘আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করবো না? তিনি বললেন, না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হল, হাজে মাবরূর। অপর একটি রিওয়ায়াতে আছে, সবোত্তম এবং সবচেয়ে সুন্দর জিহাদ হচ্ছে হাজ্জ্ব, হাজে মাবরূর।
A’ishah (RAA) narrated, ‘I once asked the Messenger of Allah (ﷺ) ‘O Messenger of Allah! Is Jihad incumbent upon women? He replied, “Yes. They have to take part in Jihad in which no fighting takes place, which is:
Hajj and 'Umrah." Related by Ahmad and Ibn Majah and the wording is his. It is reported with a sound chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - উমরার বিধান
৭১০. জাবির বিন ’আবদুল্লাহ থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, একজন বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাকে জানান যে ’উমরাহ পালন আমার উপর কি ওয়াজিব। (আবশ্যক)? তিনি বললেন-না, তবে যদি তুমি কর তা তোমার জন্য কল্যাণের কাজ হবে। -এর মাওকুফ হওয়াটা বেশি যুক্তিযুক্ত। ইবনু ’আদী অন্য একটি দুর্বল সানাদে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন।[1]
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: أَتَى النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - أَعْرَابِيٌّ. فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَخْبِرْنِي عَنِ الْعُمْرَةِ, أَوَاجِبَةٌ هِيَ? فَقَالَ: «لَا، وَأَنْ تَعْتَمِرَ [ص: 206] خَيْرٌ لَكَ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَالتِّرْمِذِيُّ, وَالرَّاجِحُ وَقْفُهُ
وَأَخْرَجَهُ ابْنُ عَدِيٍّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ ضَعِيفٍ
-
ضعيف مرفوعا وموقوفا. رواه أحمد (3/ 316)، والترمذي (931)
ضعيف جدا. رواه ابن عدي (7/ 2507) وفي سنده متروك
ইবনু হাযম মুহাল্লা (৭/৩৬) গ্রন্থে বলেছেন। এর সানাদে হাজ্জাজ বিন আরত্বআ রয়েছে, তার দ্বারা দলিল সাব্যস্ত হয় না। ইমাম বাইহাক্বী তাঁর সুনান আল সুগরা ২/১৪৩ গ্রন্থে বলেন, মাওকুফ হিসেবে এটি মাহফুয, আর এটি মারফু হিসেবে দুর্বল সানাদে বর্ণিত। ইমাম যাহাবী আল মুহাযযিব ৪/১৭২৯ গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে ইয়াহইয়া দুর্বল হাদীস বর্ণনাকারী যদিও তাকে সহীহ রিজালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। ইমাম সনআনী সুবুলুস সালাম ২/৮৭ গ্রন্থে বলেন, ইমাম আহমাদ ও ইমাম তিরমিযীর সানাদেও হাজ্জাজ বিন আরত্বআ রয়েছে, আর সে দুর্বলদের অন্তর্ভুক্ত।
Jabir bin 'Abdullah (RAA) narrated, A Bedouin came to the Prophet (ﷺ) and said, ‘O Messenger of Allah! Tell me about 'Umrah! Is it compulsory? He replied (ﷺ), “No (it is not compulsory), but it is better for you to perform it.” Related by Ahmad and at-Tirmidhi. Scholars are of the opinion that it is Mawquf.
Ibn 'Adi narrated with a weak chain of narrators
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - উমরার বিধান
৭১১. জাবির (রাঃ) হতে মারফূ’রূপে, তাতে আছে, “হাজ্জ ও ’উমরাহ উভয় ফরয কাজ”।[1]
عَنْ جَابِرٍ مَرْفُوعًا: «الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ فَرِيضَتَانِ
-
ضعيف. رواه ابن عدي في «الكامل» (4/ 1468) وضعفه
The authority of Jabir (RAA) in a Hadith Marfu’ (connected to the Prophet (ﷺ), “Hajj and 'Umrah are compulsory."
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - হাজ্ব ওয়াজিব হওয়ার শর্তাবলী
৭১২. আনাস (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলা হল: হে আল্লাহর রসূল! সাবীল কি জিনিস? তিনি বললেন, পাথেয় ও বাহন। -হাকিম একে সহীহ বলেছেন। এর সানাদের মুরসাল হওয়াই যুক্তিযুক্ত।[1]
وَعَنْ أَنَسٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ, مَا السَّبِيلُ قَالَ: «الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ». رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ, وَالرَّاجِحُ إِرْسَالُهُ
-
ضعيف. رواه الدارقطني (2/ 216)، والحاكم (1/ 442) من طريق قتادة، عن أنس مرفوعا، وهذا وهم، إذا الصواب كما قال ابن عبد الهادي في «التنقيح» نقلا عن «الإرواء» (4/ 161): «الصواب عن قتادة، عن الحسن، عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسلا، وأما رفعه عن أنس فهو وهم
আলবানী ইরওয়াউল গালীল (৯৮৮) গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। বিন বায তাঁর মাজমুআ ফাতাওয়া ১৬/৩৮৬ গ্রন্থে একে হাসান লিগাইরিহী বলেছেন। ইমাম আবূ দাউদ তাঁর মারাসীলে ২৩৪ নম্বরে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
Anas (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) was asked, ‘What is as-Sabil?’ The Messenger of Allah (ﷺ) replied, "Provision of food and means to make the journey." Related by Ad-Daraqutni and rendered authentic by Al-Hakim.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - হাজ্ব ওয়াজিব হওয়ার শর্তাবলী
৭১৩. তিরমিযীও ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন-কিন্তু তাঁর সানাদ য’ঈফ।[1]
وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ أَيْضًا, وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ
-
ضعيف جدا. رواه الترمذي (813) في سنده متروك، وقد روي الحديث عن جماعة آخرين من الصحابة رضي الله عنهم، وكلها واهية لا تصلح للاعتبار، وبيان ذلك في الأصل
শাইখ আলবানী যঈফ তিরমিযী ২৯৯৮ গ্রন্থে বলেন, এটি অত্যন্ত দুর্বল, তবে العج والثج কথাটি অন্য হাদীস দ্বারা সুসাব্যস্ত। ইমাম যায়লায়ী নাসবুর রায়াহ ৩/৯ গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে হুসাইন ইবনুল মাখারিক হচ্ছে দুর্বল।
At-Tirmidhi reported the same hadith on the authority of Ibn ’Umar but with a weak chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - বাচ্চার হজ্জ্বের বিধান
৭১৪. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রাওহা’[1] নামক স্থানে একদল যাত্রীর সাক্ষাত হলে তাদেরকে বললেন, তোমরা কে? তারা বললো, (আমরা) মুসলিম। তারপর তারা জিজ্ঞেস করল, আপনি কে? তিনি বললেন-(আমি) আল্লাহর রসূল! এ সময় জনৈকা মহিলা তার বাচ্চা তুলে ধরে বললো, এর কি হাজ্জ আছে? তিনি বললেন, হাঁ, তবে তার নেকী তুমি পাবে।[2]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - لَقِيَ رَكْبًا بِالرَّوْحَاءِ فَقَالَ: «مَنِ الْقَوْمُ?» قَالُوا: الْمُسْلِمُونَ. فَقَالُوا: مَنْ أَنْتَ? قَالَ: «رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم» فَرَفَعَتْ إِلَيْهِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا. فَقَالَتْ: أَلِهَذَا حَجٌّ قَالَ: «نَعَمْ، وَلَكِ أَجْرٌ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1336)، والروحاء: مكان على ستة وثلاثين ميلا من المدينة
[2] মুসলিম ১৩৩৬, নাসায়ী ২৬৪৫, ২৬৪৬, ২৬৪৭, আবূ দাউদ ১৭৩৬, ১৯০১, আহমাদ ২১৭৭, ২৬০৫, মুওয়াত্তা মালেক ১৬৩১
Ibn ’Abbas (RAA) narrated, The Messenger of Allah (ﷺ) came across some riders at ar-Rauha’ (a place near Madinah). He asked them, “Who are you?" They replied, ‘Who are you?’ He replied, "I am the Messenger of Allah." A woman then lifted up a boy, and asked the Prophet, Will this boy be rewarded for Hajj? The Messenger of Allah (ﷺ) replied, “Yes, and you too will be Rewarded.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - কুরবানী করতে অপারগ ব্যক্তির হজ্বের বিধান
৭১৫. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, ফযল ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) একই বাহনে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে আরোহণ করেছিলেন। এরপর খাশ’আম গোত্রের জনৈকা মহিলা উপস্থিত হল। তখন ফযল (রাঃ) সেই মহিলার দিকে তাকাতে থাকে এবং মহিলাটিও তার দিকে তাকাতে থাকে। আর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফলের চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে দিতে থাকে। মহিলাটি বললো, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর বান্দার উপর ফরযকৃত হাজ্জ আমার বয়োঃবৃদ্ধ পিতার উপর ফরয হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনের উপর স্থির থাকতে পারেন না, আমি কি তাঁর পক্ষ হতে হাজ্জ আদায় করবো? তিনি বললেনঃ হাঁ (আদায় কর)। ঘটনাটি বিদায় হাজের সময়ের। শব্দ বুখারীর।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: كَانَ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم. فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ مَنْ خَثْعَمَ، فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ، وَجَعَلَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الْآخَرِ. فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ, إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا, لَا يَثْبُتُ عَلَى الرَّاحِلَةِ, أَفَأَحُجُّ عَنْهُ? قَالَ: «نَعَمْ»، وَذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, وَاللَفْظُ لِلْبُخَارِيِّ
-
صحيح. رواه البخاري (1513)، ومسلم (1334)
lbn ’Abbas (RAA) narrated that ‘Al-Fadl Ibn ’Abbas was riding behind the Messenger of Allah (ﷺ) when a woman from the tribe of Khath‘am came along, and al-Fadl started looking at her and she also started looking at him. The Messenger of Allah (ﷺ) kept on turning al-Fadl’s face to the other side. She said, ‘O Messenger of Allah! Allah has prescribed Hajj for His servants, and it has become due on my father who is an old man, who cannot sit stable on his mount. Shall I perform Hajj on his behalf?’ The Prophet (ﷺ) replied, “Yes, you may." This incident took place during the Farewell Pilgrimage of the Prophet (ﷺ). Agreed upon, and the wording is from Al·Bukhari’.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - হজ্জের মান্নত করে আদায় করার পূর্বৈই মৃত্যুবরণকারীর বিধান
৭১৬. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, জুহাইনা গোত্রের একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, আমার আম্মা হাজের মান্নত করেছিলেন তবে তিনি হাজ্জ আদায় না করেই ইন্তিকাল করেছেন। আমি কি তার পক্ষ হতে হাজ্জ করতে পারি? আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার পক্ষ হতে তুমি হাজ্জ আদায় করা। তুমি এ ব্যাপারে কি মনে কর যদি তোমার আম্মার উপর ঋণ থাকত তা হলে কি তুমি তা আদায় করতে না? সুতরাং আল্লাহর হক আদায় করে দাও। কেননা আল্লাহর হকই সবচেয়ে বেশী আদায়যোগ্য।[1]
وَعَنْهُ: أَنَّ امْرَأَةً مِنْ جُهَيْنَةَ جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَتْ: إِنَّ أُمِّي نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ, فَلَمْ تَحُجَّ حَتَّى مَاتَتْ, أَفَأَحُجُّ عَنْهَا? قَالَ: «نَعَمْ, حُجِّي عَنْهَا, أَرَأَيْتِ لَوْ كَانَ عَلَى أُمِّكِ دَيْنٌ, أَكُنْتِ قَاضِيَتَهُ اقْضُوا اللَّهَ, فَاللَّهُ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (1852)
Ibn ’Abbas (RAA) narrated, ‘A woman from the tribe of Juhainah came to the Prophet (ﷺ) and said, ‘My mother had vowed to perform Hajj, but she died before fulfilling her vow. Should I perform Hajj on her behalf? The Prophet (ﷺ) said:
"Yes perform Hajj on her behalf. Had there been a debt on your mother, would you have paid it or not? So, pay off her debt to Allah, for He is most deserving of settlement of His debt." Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - নাবালেগ ছেলে এবং দাসের কৃত হজ্ব “ফরজ হজ্ব” হবে না
৭১৭. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে হাজ্জ করল। অতঃপর বয়োঃপ্রাপ্ত হলে (সামর্থবান থাকলে) অন্য আরো একটি হাজ্জ তাকে করতে হবে। কোন দাস তার দাসত্বকালে হাজ্জ করলে তাকে স্বাধীন হবার পর আবার একটি হাজ্জ করতে হবে। ইবনু আবূ শাইবাহ, বায়হাক্বী, এর সবগুলো বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য, তবে তার মারফূ’ হওয়ার বিষয়ে মতভেদ রয়েছে এবং মাওকুফ হওয়াটাই নিরাপদ।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَيُّمَا صَبِيٍّ حَجَّ, ثُمَّ بَلَغَ الْحِنْثَ, فَعَلَيْهِ [أَنْ يَحُجَّ] حَجَّةً أُخْرَى, وَأَيُّمَا عَبْدٍ حَجَّ, ثُمَّ أُعْتِقَ, فَعَلَيْهِ [أَنْ يَحُجَّ] حَجَّةً أُخْرَى». رَوَاهُ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ, وَالْبَيْهَقِيُّ وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ, إِلَّا أَنَّهُ اخْتُلِفَ فِي رَفْعِهِ, وَالْمَحْفُوظُ أَنَّهُ مَوْقُوفٌ
-
صحيح مرفوعا -كما ذهب إلى ذلك الحافظ نفسه في «التلخيص» (2/ 220) - وموقوفا. رواه البيهقي (4/ 325) وزاد: «وأيما أعرابي حج ثم هاجر فعليه حجة أخرى». ولم أجد الحديث في «المطبوع» من المصنف
আত্-তালখীসুল হাবীর ২/২২০, বাইহাকী ৪/৩২৫। ইমাম বায়হাক্বীর বর্ণনায় আরো রয়েছে, যে কোন আরবী ব্যক্তি হাজ্জ করার পর হিজরত করে তাহলে তাকে আবার হাজ্জ করতে হবে।
lbn 'Abbas (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Any minor (child) who performs Hajj must perform it again after coming of age; any slave who performs Hajj and is then freed, must perform his Hajj again." Reported by lbn Shaibah and Al-Baihaqi. lts narrators are authoritative but scholars say that it is Mawquf.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - মাহরাম পুরুষ ব্যতিত মহিলার সফরের বিধান
৭১৮। তাঁর [ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর খুৎবাহতে বলতে শুনেছি: কোন পুরুষ কোন স্ত্রীলোকের একাকী সঙ্গী হবে না, তবে তার সঙ্গে যদি তার মাহরাম (স্বামী ও যাদের সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ এমন লোক) থাকে। আর কোন মহিলা যেন তার মাহরাম ব্যতীত একাকী সফরে না যায়। এটি শুনে এক গুন লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার সহধর্মিনী হাজ্জের জন্য বেরিয়ে গেছে আর আমি অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য লিপিবদ্ধ (নির্বাচিত) হয়েছি। তিনি পুণঃ) বললেন-যাও, তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ পালন কর। -শব্দ মুসলিমের।[1]
وَعَنْهُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَخْطُبُ يَقُولُ: «لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ, وَلَا تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ إِلَّا مَعَ ذِي مَحْرَمٍ»، فَقَامَ رَجُلٌ, فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ, إِنَّ امْرَأَتِي خَرَجَتْ حَاجَّةً, وَإِنِّي اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا, قَالَ: «انْطَلِقْ, فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, وَاللَّفْظُ لِمُسْلِمٍ
-
صحيح. رواه البخاري (1862)، ومسلم (1341)، وانظر الدليل الأول من رسالتي: «أوضح البيان في حكم سفر النسوان
Ibn 'Abbas (RAA) narrated, ‘I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, “A man must never be alone with a woman unless there is a Mahram with her. A woman also may not travel with anyone except with a Mahram (relative).” A man stood up and asked, ‘O Messenger of Allah! My wife has gone for Hajj while I am enlisted for such and such a battle, what should I do?’ The Messenger of Allah (ﷺ) replied, “Go and join your wife in Hajj." Agreed upon, and the wording is from Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - কারও পক্ষ থেকে হজ্ব করার শর্ত
৭১৯। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন: “শুবরুমার পক্ষ থেকে আমি তোমার কাছে হাযির হয়েছি”। রাসূলুল্লাহ (রঃ) জিজ্ঞেস করেন: শুবরুমা কে? সে বললো, আমার ভাই, অথবা বললো, আমার এক নিকটাত্মীয়। তিনি বলেন, তুমি কি কখনও নিজের পক্ষ হতে হজ্জ করেছো? সে বললো, না। তিনি বলেন: তাহলে তোমার নিজের পক্ষ থেকে আগে হজ্জ করো, অতঃপর শুবরুমার পক্ষ থেকে হজ্জ করো। আবূ দাউদ, ইবনু মাজাহ, ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন। আর আহমাদের নিকট হাদীসটির মাককুফ হওয়াটাই অধিক সাব্যস্ত।[1]
وَعَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - سَمِعَ رَجُلًا يَقُولُ: لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ, قَالَ: «مَنْ شُبْرُمَةُ?» قَالَ: أَخٌ [لِي] , أَوْ قَرِيبٌ لِي, قَالَ: «حَجَجْتَ عَنْ نَفْسِكَ» قَالَ: لَا. قَالَ: «حُجَّ عَنْ نَفْسِكَ, ثُمَّ حُجَّ عَنْ شُبْرُمَةَ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالرَّاجِحُ عِنْدَ أَحْمَدَ وَقْفُهُ
-
ضعيف. رواه أبو داود (1811)، وابن ماجه (2903)، وابن حبان (962)، وهذا الحديث اختلف فيه كثيرا، لكن أعله أئمة كبار كأحمد، والطحاوي، والدارقطني، وابن دقيق العيد، وغيرهم، فالقول إن شاء الله قولهم
উক্ত হাদীসের দুর্বলতা নিয়ে অনেক মতানৈক্য রয়েছে। কিন্তু বড় বড় আয়েম্মায়ে কিরামগণ যেমন আহমাদ,তাহাবী, দারাকুতনী, ইবনু দাকীকুল ঈদ এবং অন্যান্যরা উক্ত হাদীসটিকে দূর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আর এটাই নির্ভরযোগ্য কথা।
ইমাম শাওকানী আল ফাতহুর রব্বানী ৮/৪১৪ গ্রন্থে বলেন, এ হাদীসকে ত্রুটিযুক্ত করা হয়েছে মাওকূফ বলে, তবে এটি ত্রুটি নয়, কেননা, আবদাহ বিন সুলাইমান মারফূ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি বিশ্বস্ত বৰ্ণনাকারী। যদিও হাদীসটিকে মাওকুফের দোষে দুষ্ট বলা হয়েছে তথাপি আবদাহ বিন সুলাইমান কর্তৃক হাদীসটি মারফূ’ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। অধিকন্তু তিনি সিকাহ রাবীদের অন্তর্ভুক্ত। শাইখ আলবানী সহীহ আবূ দাউদ ১৮১১, সহীহ ইবনু মাজাহ ২৩৬৪, ইরাওয়াউল গালীল ৯৯৪ গ্ৰন্থত্রয়ে একে সহীহ বলেছেন। ইবনু উসাইমীন আশ শারহুল মুমতি ৭/৩১ গ্রন্থে বলেন, اختلف العلماء فى رفعه ووقفه واختلفوا فى تصحيحه وتضعيفه অর্থাৎ বিদ্বানগণ এ হাদীসের মারফূ’-মাওকূফ এবং সহীহ-যঈফ হওয়ার ব্যাপারে মতানৈক্য করেছেন।
Ibn 'Abbas (RAA) narrated, The Messenger of Allah (ﷺ) heard a man saying, ‘O Allah! Here I am in response to Your call (saying Labbayk on behalf.. ) on behalf of Shubrumah.’ The Messenger of Allah (ﷺ) asked him. "Have you performed your own Hajj?” He replied, ‘No,’ whereupon the Prophet told him, “You must perform Hajj on your own behalf first, and then perform it on behalf of Shubrumah." Related by Abu Dawud and Ibn Majah. Ibn Hibban graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - জীবনে একবার হজ্ব করা আবশ্যক
৭২০। ইবনু ’আব্বাস থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে খেতাব করলেন। (খুতবাহ দিলেন): আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের উপর হাজ্জ ফরয করেছেন। (একথা শুনে) আকরা’ বিন হাবিস দাঁড়িয়ে গেল আর বলল, প্রতিবছরই কি (ফরয) হে আল্লাহর রসূল!। তিনি বললেন-আমি তা বললেই তোমাদের উপর ওয়াজিব (ফরয) হয়ে যেত। হাজ্জ একবারই ফরয। আর যা বাড়তি করবে সেটা নফল হিসেবে পরিগণিত।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَيْكُمُ الْحَجَّ»، فَقَامَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ فَقَالَ: أَفِي كُلِّ عَامٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ? قَالَ: «لَوْ قُلْتُهَا لَوَجَبَتْ, الْحَجُّ مَرَّةٌ, فَمَا زَادَ فَهُوَ تَطَوُّعٌ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, غَيْرَ التِّرْمِذِيِّ
-
صحيح. رواه أبو داود (1721)، والنسائي (5/ 111)، وابن ماجه (2886)، وأحمد (3303) و (3510) والحديث ساقه الحافظ بمعناه. وزاد أحمد فر رواية: «ولو وجبت لم تسمعوا، ولم تطيعوا «. وهي عند النسائي بلفظ:» ثم إذا لا تسمعوني ولا تطيعون
Ibn 'Abbas (RAA) narratedThat the Messenger of Allah (ﷺ) once addressed us and said, “O People! Hajj has been prescribed for you." Al-Aqra’ bin Habis stood up and asked, ‘O Prophet of Allah! Are we to perform Hajj every year?” The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Had I said ‘yes’, it would have become a (yearly) obligation. Hajj is obligatory only once in one’s lifetime. Whatever one does over and above this is supererogatory (a voluntary act) for him." Related by the five Imams except for at-Tirmidhi.
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জে এর ফযীলত ও যাদের উপর হজ্জ ফরয তার বিবরণ - জীবনে একবার হজ্ব করা আবশ্যক
৭২১। মুসলিমে আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত এর মূল হাদীস রয়েছে।[1]
وَأَصْلُهُ فِي مُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه
-
صحيح. رواه مسلم (1337)، عن أبي هريرة، قال: خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: «أيها الناس! قد فرض الله عليكم الحج فحجوا» فقال رجل: أكل عام يا رسول الله؟ فسكت حتى قالها ثلاثا. فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لو قلت: نعم. لوجبت. ولما استطعتم» ثم قال: ذروني ما تركتكم. فإنما هلك من كان قبلكم بكثرة سؤالهم واختلافهم على أنبيائهم. فإذا أمرتكم بشيء فأتوا منه ما استطعتم. وإذا نهيتكم عن شيء فدعوه
عن أبي هريرة، قال: خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: «أيها الناس! قد فرض الله عليكم الحج فحجوا» فقال رجل: أكل عام يا رسول الله؟ فسكت حتى قالها ثلاثا. فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لو قلت: نعم. لوجبت. ولما استطعتم» ثم قال: ذروني ما تركتكم. فإنما هلك من كان قبلكم بكثرة سؤالهم واختلافهم على أنبيائهم. فإذا أمرتكم بشيء فأتوا منه ما استطعتم. وإذا نهيتكم عن شيء فدعوه
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে খুতবা দেওয়ার সময় বলেন, হে লোক সকল, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হাজ্জ্ব ফরয করেছেন, তাই তোমরা হাজ্জ্ব কর। তখন জনৈক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তা কি প্রত্যেক বছর করতে হবে? তিনি চুপ থাকলেন এমনকি তিনি একথাটি তিন বার বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি আমি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে তা ফরয হয়ে যেত। আর তোমরা তা করতে সক্ষম হতে না। অতঃপর তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে বিষয় বলা থেকে বিরত রয়েছি, তা তোমরা আমাকে জিজ্ঞাসা করো না। কেননা তোমাদের ইতিপূর্বের লোকেরা তাদের অধিক প্রশ্ন করা এবং তাদের নাবীদের ব্যাপারে মতানৈক্য করার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। যখন আমি তোমাদের কোন বিষয়ে আদেশ দেই তা তোমরা যথাসাধ্যভাবে করা। আর যদি কোন ব্যাপারে নিষেধ করি তাহলে তা থেকে বিরত থাক।
A similar narration was also related by Muslim on the authority of Abu Hurairah.
পরিচ্ছেদঃ ২. মীকাত (ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত স্থানসমূহ) - যে সমস্ত মীকান্ত (হজ্বের ইহরাম বাঁধার জন্য নির্বাচিত স্থানসমূহ) দলীল দ্বারা সাব্যস্ত
৭২২। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজদবাসীদের জন্য কারনুল মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। হাজ্জ ও ’উমরাহর নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্ৰমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসী সকলের জন্য উক্ত স্থানগুলো মীকাতরূপে গণ্য এবং যারা এ সব মীকাতের ভিতরে (অর্থাৎ মক্কার নিকটবর্তী) স্থানের অধিবাসী, তারা যেখান হতে হাজের নিয়্যাত করে বের হবে (শেখান হতে ইহরাম বাঁধবে)। এমন কি মক্কাবাসী মক্কা হতেই (হাজ্জের) ইহরাম বাঁধবে।[1]
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - وَقَّتَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ: ذَا الْحُلَيْفَةِ, وَلِأَهْلِ الشَّامِ: الْجُحْفَةَ, وَلِأَهْلِ نَجْدٍ: قَرْنَ الْمَنَازِلِ, وَلِأَهْلِ الْيَمَنِ: يَلَمْلَمَ, هُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِنَّ مِمَّنْ أَرَادَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ, وَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ فَمِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ, حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ مَكَّةَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (1524)، ومسلم (1181)
Ibn 'Abbas (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) specified for the people of Madinah, DhulHulaifah (a place 540 km to the north of Makkah) as miqat. For those coming from ash-Sham (including Syria, Jordan and Palestine), he specified al-Juhfah (a place 187 km to the north-west of Makkah and close to Rabigh, where they now perform their Ihram). For those coming from Najd, he specified Qran al-Manazil, (a mountain, 94 km to the east of Makkah, overlooking 'Arafah. For those coming from Yemen, he specified Yalamlam (a mountain 54 km to the south of Makkah. These places are for the people (coming from the above specified countries) as well as for others, who pass by them on their way to perform Hajj or ’Umrah. Those living within those boundaries can assume Ihram from where they set out (for the journey), and even the residents of Makkah, their Miqat would be the place where they are staying in Makkah.’ Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ২. মীকাত (ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত স্থানসমূহ) - “যাতুইরক” মীকাত প্রসঙ্গে
৭২৩. ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরাকীদের জন্য ’যাতু ’ইরুক’-কে ইহরাম বাঁধার স্থান মনোনীত করেছেন।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - وَقَّتَ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ ذَاتَ عِرْقٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ
-
صحيح. رواه أبو داود (1739)، والنسائي (5/ 125)، واللفظ لأبي داود، وأما لفظ النسائي فهو: «وقت رسول الله صلى الله عليه وسلم لأهل المدينة ذا الحليفة، ولأهل الشام ومصر: الجحفة، ولأهل العراق: ذات عرق، ولأهل نجد: قرنا، ولأهل اليمن: يلملم». قلت: والحديث وإن أعل إلا أن له شواهد يصح بها كالحديث التالي
A’ishah (RAA) narrated’ ‘The Messenger of Allah (ﷺ)specified for those coming from Iraq, Dhat ‘Irq (a place 94 km to the north-east of Makkah) as their Miqat.’ Related by Abu Dawud and An-Nasa’i.
পরিচ্ছেদঃ ২. মীকাত (ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত স্থানসমূহ) - “যাতুইরক” মীকাত প্রসঙ্গে
৭২৪. মুসলিমের নিকট জাবির (রাঃ) হতে এ হাদীসের মূল বর্ণিত আছে কিন্তু এর রাবীর হাদীসটি মারফূ’ হবার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছেন।[1]
وَأَصْلُهُ عِنْدَ مُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ جَابِرٍ إِلَّا أَنَّ رَاوِيَهُ شَكَّ فِي رَفْعِهِ
-
صحيح. وهو في مسلم (1183)، وهو من طريق أبي الزبير؛ أنه سمع جابر بن عبد الله يسأل عن المهل؟ فقال: سمعت (أحسبه رفع إلى النبي صلى الله عليه وسلم) فقال: «مهل أهل المدينة من ذي الحليفة، والطريق الآخر: الجحفة، ومهل أهل العراق من ذات عرق، ومهل أهل نجد من قرن، ومهل أهل اليمن من يلملم». قلت: لكن للحديث طرق جديدة بغير هذا الشك الواقع في رواية مسلم، كما عند البيهقي (5/ 27) بسند صحيح، ولذلك قال الحافظ في «الفتح» (3/ 390): «الحديث بمجموع الطرق يقوى
Muslim related a similar narration on the authority of Jabir, but it is most probably Mawquf.
পরিচ্ছেদঃ ২. মীকাত (ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত স্থানসমূহ) - “যাতুইরক” মীকাত প্রসঙ্গে
৭২৫. এবং বুখারীতে আছে, দ্বিতীয় খলিফা উমার (রাঃ) ’যাতু ’ইরক’-কে মীকাত নির্ধারণ করেছেন।[1]
وَفِي الْبُخَارِيِّ: أَنَّ عُمَرَ هُوَ الَّذِي وَقَّتَ ذَاتَ عِرْقٍ
-
صحيح. رواه البخاري (1531)، عن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: لما فتح هذان المصران أتوا عمر، فقالوا: يا أمير المؤمنين إن رسول الله صلى الله عليه وسلم حد لأهل نجد قرنا وهو جور عن طريقنا، وإنا إن أردنا قرنا شق علينا. قال: فانظروا حذوها من طريقكم. فحد لهم ذات عرق. قلت: المراد بالمصرين: الكوفة والبصرة، و «ذات عرق» سميت بذلك لأن فيه عرقا، وهو الجبل الصغير
Al-Bukhari reported that it was Umar, who specified Dhat 'Irq as the miqat (of those coming from Iraq).
পরিচ্ছেদঃ ৬. হজ্জ সম্পাদনে কোন কিছু ছুটে যাওয়া ও শত্রু দ্বারা বাধাগ্রস্থ হওয়া - হজ্ব পূর্ণ করতে গিয়ে কারও কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে
৭২৬. আহমাদ, আবূ দাউদ ও তিরমিযীতে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কার) পূর্বদিকের লোকেদের জন্য ’আকীক’ নামক স্থানকে মীকাতরূপে নির্ধারণ করেছেন।[1]
وَعِنْدَ أَحْمَدَ, وَأَبِي دَاوُدَ, وَالتِّرْمِذِيِّ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - وَقَّتَ لِأَهْلِ الْمَشْرِقِ الْعَقِيقَ
-
ضعيف. رواه أحمد (3205)، وأبو داود (1740)، والترمذي (832) من طريق يزيد بن أبي زياد، عن محمد بن علي بن عبد الله بن عباس، عن جده به. وقال الترمذي: «هذا حديث حسن». قلت: كلا. فيزيد ضعيف، وفي الحديث انقطاع إذ لم يسمع محمد بن علي من جده كما قال مسلم وابن القطان. هذا ولقد صحح الحديث الشيخ شاكر رحمه الله وأجاب عن هاتتين العلتين بما لا يقنع
Ibn ’Abbas narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) specified al-Aqiq (a part of `Dhat Irq) for those coming from the east.’ Related by Ahmad, Abu Dawud and An-Nasa’i.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ইহরামের প্রকারভেদ ও তার গুণ পরিচয়
৭২৭. ’আয়িশা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জাতুল বিদার বছর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বের হই। আমাদের মধ্যে কেউ কেবল ’উমরাহ’র ইহরাম বঁধলেন, আর কেউ হাজ্জ ও ’উমরাহ উভয়টির ইহরাম বাঁধলেন। আর কেউ শুধু হাজ্জ-এর ইহরাম বাঁধলেন এবং আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধলেন। ফলে যারা কেবল ’উমরাহর জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা (’উমরাহ সমাধা করে) হালাল হলেন আর যাঁরা হাজ্জ বা হাজ্জ ও উমরাহ উভয়ের জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা কুরবানীর দিন না আসা পর্যন্ত হালাল হতে পারলেন না।[1]
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ, فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ, وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ, وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ, وَأَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - بِالْحَجِّ, فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَحَلَّ, وَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ, أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَلَمْ يَحِلُّوا حَتَّى كَانَ يَوْمَ النَّحْرِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (1562)، ومسلم (1211) (118) واللفظ لمسلم
A’isha (RAA) narrated, ‘We left Madinah with the Messenger of Allah (ﷺ) to perform the Farewell Hajj. Some of us declared Ihram to perform 'Umrah, while others declared their intentions to perform both Hajj and 'Umrah. Yet others declared their lhram to perform Hajj only. The Prophet (ﷺ) declared Ihram for Hajj only. Those who intended 'Umrah terminated their Ihram as soon as they finished the rituals of 'Umrah. Those who intended to perform Hajj only or to combine Hajj with 'Umrah, did not terminate their Ihram until the Day of Slaughtering (i.e. the day of sacrifice or ’Idul Ad-ha).’ Agreed upon.