পরিচ্ছেদঃ সাওম পালন করে রমযানকে গ্ৰহণ করা নিষেধ
৬৫০. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কেউ রমযানের একদিন কিংবা দু’দিন আগে হতে সওম শুরু করবে না। তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সওম পালন করতে পারবে।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا تَقَدَّمُوا رَمَضَانَ بِصَوْمِ يَوْمٍ وَلَا يَوْمَيْنِ, إِلَّا رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صَوْمًا, فَلْيَصُمْهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (1914)، ومسلم (1082) واللفظ لمسلم
Abu Hurairah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
"None of you should fast a day or two before the (beginning of the) mouth of Ramadan, unless it is a day on which one is in the habit of fasting (i.e. voluntary fasting that coincides with that day).” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ (চাঁদ উঠা-না উঠা) সন্দেহের দিনে রোযা রাখার বিধান
৬৫১. ’আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্দেহ-দিনে সওম পালন করল সে অবশ্যই আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরুদ্ধাচরণ করল। এ হাদীসকে বুখারী (রহঃ) মু’আল্লাক হিসেবে এবং পাঁচজনে (আহমদ, আবূ দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ) মাওসুলরুপে একে বর্ণনা করেছেন। আর ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: مَنْ صَامَ الْيَوْمَ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ - صلى الله عليه وسلم. وَذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ تَعْلِيقًا, وَوَصَلَهُ الْخَمْسَةُ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ, وَابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. علقه البخاري (4/ 119 / فتح)، ووصله أبو داود (2334)، والنسائي (4/ 153)، والترمذي (686)، وابن ماجه (1645)، وابن خزيمة (1914)، وابن حبان (3577) من طريق صلة بن زفر قال: كنا عند عمار فأتي بشاة مصلية، فقال: كلوا، فتنحى بعض القوم؛ فقال: إني صائم. فقال عمار: فذكره. وقال الترمذي: «حسن صحيح». قلت: والحديث لم أجده في المسند
’Ammar bin Yasir (RAA) narrated, ‘Whoever fasts the day of doubt he has then disobeyed Abu al-Qasim (the Prophet).’ Related by the five Imams, and Ibn Khuzaimah and Ibn Hibban graded it as Sahih
পরিচ্ছেদঃ রোযা রাখা এবং ভঙ্গ করা চাঁদ দেখার সাথে সম্পর্কিত
৬৫২. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা তা (চাঁদ) দেখবে তখন সওম রাখবে, আবার যখন তা দেখবে তখন সওম ছাড়বে। আর যদি আকাশ মেঘলা থাকে। তবে সময় হিসাব করে (ত্রিশ দিন) পূর্ণ করবে। মুসলিমের হাদীসে আছে : যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে ত্রিশ দিন গণনা কর। বুখারীতে আছেঃ ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا [قَالَ]: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «إِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَصُومُوا, وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا, فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
وَلِمُسْلِمٍ: «فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا [لَهُ] ثَلَاثِينَ
وَلِلْبُخَارِيِّ: فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ
-
صحيح. رواه البخاري (1900)، ومسلم (1080) (8)
Ibn 'Umar (RAA) narrated, ‘I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say, "Start fasting after you have seen it (i.e. the new crescent) and end the fast (at the end of the month) when you see it. If it is overcast and cannot be seen, then estimate its sighting (i.e. presume that Sha‘ban lasted for thirty days)." Agreed upon. Muslim narrated, "If it is too overcast to be seen then presume that it (Sha'ban) lasted for thirty days."In another narration by al-Bukhari, "wait, until thirty days of it (Sha’ban) have passed."
পরিচ্ছেদঃ রোযা রাখা এবং ভঙ্গ করা চাঁদ দেখার সাথে সম্পর্কিত
৬৫৩. বুখারীতে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর হাদীসে আছে– “মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে”।[1]
وَلَهُ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه: فَأَكْمِلُوا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلَاثِينَ
-
صحيح. رواه البخاري (1909)
Al-Bukhari reported on the authority of Abu Hurairah, “Complete the days of Sha’ban as thirty days.”
পরিচ্ছেদঃ সাওম আরম্ভ হওয়ার ব্যাপারে একজনের সাক্ষ্যদানই যথেষ্ট
৬৫৪. ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। লোকেরা আমাকে হিলাল (নতুন চাঁদ) দেখলো। তাই আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সংবাদ দিলাম যে আমি চাঁদ দেখেছি। ফলে তিনি নিজে সওম পালন করলেন এবং লোকেদেরকে সওম পালনের আদেশ দিলেন। —ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: تَرَاءَى النَّاسُ الْهِلَالَ, فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَنِّي رَأَيْتُهُ, فَصَامَ, وَأَمَرَ النَّاسَ بِصِيَامِهِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ
-
صحيح. رواه أبو داود (2342)، وابن حبان (3438)، والحاكم (1/ 423)
Ibn ’Umar (RAA) narrated, ‘The people were trying to sight the new moon (of Ramadan.) and when I reported to the Messenger of Allah (ﷺ) that I had seen it, he fasted and commanded people to fast.’ Related by Abu Dawud, and Al-Hakim and Ibn Hibban graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ সাওম আরম্ভ হওয়ার ব্যাপারে একজনের সাক্ষ্যদানই যথেষ্ট
৬৫৫. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। কোন একজন অশিক্ষিত গ্ৰাম্য লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে এসে বললো, আমি চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন, তুমি কি এ সত্যের সাক্ষ্য দাও যে ’আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই’-সে বললো, হাঁ। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন—তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে ’মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রসূল। লোকটা বললো, হাঁ। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে বিলাল! আগামী কাল সওম পালনের নির্দেশটি লোকেদের মাঝে ঘোষণা করে দাও। -ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন। নাসায়ী এর মুরসাল হওয়াকে অধিকতর প্রাধান্য দিয়েছেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ الْهِلَالَ, فَقَالَ: «أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ?» قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: «أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ» قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: «فَأَذِّنْ فِي النَّاسِ يَا بِلَالُ أَنْ يَصُومُوا غَدًا». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ, وَابْنُ حِبَّانَ وَرَجَّحَ النَّسَائِيُّ إِرْسَالَهُ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2340)، والنسائي (4/ 132)، والترمذي (691)، وابن ماجه (1652)، وابن خزيمة (1923)، وابن حبان (870 / موارد) من طريق سماك بن حرب، عن عكرمة، عن ابن عباس. وسماك مضطرب في روايته عن عكرمة، وقد اختلف عليه فيه، فمرة موصولا، ومرة مرسلا. قلت: والحديث لم أجده في «المسند». «تنبيه»: هذا الحديث والذي قبله حجة لبعض المذاهب -كالمذهب الحنبلي مثلا- في إثبات دخول الشهر بشاهد واحد، وليس لهم حجة في ذلك، ولقد بينت ذلك في كتاب «الإلمام بآداب وأحكام الصيام» ص (15 - 16) الطبعة الأولى
Ibn ‘Abbas (RAA) narrated, ‘A Bedouin came to the Prophet and said, ‘I have sighted the crescent (of Ramadan). He then said to him, "Do you testify that there is none worthy of worship but Allah?” The Bedouin said, ‘Yes.’ He asked him again, "Do you testify that Muhammad is the Messenger of Allah (ﷺ)?" The man replied, ‘Yes.’ The Messenger of Allah (ﷺ) there upon said, "O Bilal! Announce to the people to (start) fasting tomorrow." Related by the five Imams. Ibn Khuzaimah and Ibn Hibban graded it as Sahih. An-Nasa'i said that it is most probably Mursal (a Hadith in which the link between the Successor (Tabi’i) and the Prophet (ﷺ) is missing.
পরিচ্ছেদঃ ২. ই’তিকাফ ও রামাযান মাসে রাতের সালাত - ৩টি মসজিদের যে কোনটিতে ই’তিকাফের উদ্দেশ্যে গমণ বৈধ
৬৫৬। হাফসা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত থাকতে ফরয রোযার নিয়াত করলো না তার রোযা হয়নি। —তিরমিযী ও নাসায়ী এর মাওকুফ হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন; ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান এর মারফূ’ হওয়াকে সঠিক বলেছেন।
আর দারাকুৎনীর মধ্যে আছে– “তার সওম হবে না যে রাতের বেলাতেই (ফরয) সওম পালন ঠিক (নিয়্যাত) না করবে।[1]
وَعَنْ حَفْصَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا, عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ لَمْ يُبَيِّتِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلَا صِيَامَ لَهُ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, وَمَالَ النَّسَائِيُّ وَالتِّرْمِذِيُّ إِلَى تَرْجِيحِ وَقْفِهِ, وَصَحَّحَهُ مَرْفُوعًا ابْنُ خُزَيْمَةَ وَابْنُ حِبَّانَ
وَلِلدَّارَقُطْنِيِّ: لَا صِيَامَ لِمَنْ لَمْ يَفْرِضْهُ مِنَ اللَّيْلِ
-
صحيح. رواه أبو داود (2454)، والنسائي (4/ 196)، والترمذي (730)، وابن ماجه (1700)، وأحمد (6/ 287)، وابن خزيمة (1933)، واللفظ للنسائي، وعن الباقين -عدا ابن ماجه- «يجمع» بدل «يبيت» وهي أيضا رواية للنسائي. وأما ابن ماجه فلفظه كلفظ الدارقطني الآتي، وفي «الأصل» ذكر ما يقوي رفعه، وأيضا ذكر ما صححه مرفوعا
The mother of the believers, Hafsah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever does not form his intention to fast before to fajr, his fasting will not be accepted.” Related by the five Imams, but At-Tirmidhi and An-Nasa’i consider it to be related by Hafsah and not connected to the Prophet (ﷺ). Imam Ad-Daraqutni transmitted, "No fasting is accepted for one who does not form the intention (to fast) the night before.”
পরিচ্ছেদঃ ২. ই’তিকাফ ও রামাযান মাসে রাতের সালাত - ৩টি মসজিদের যে কোনটিতে ই’তিকাফের উদ্দেশ্যে গমণ বৈধ
৬৫৭. ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা আমার নিকট এসে বললেন- তোমার নিকট কোন খাবার আছে? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে আমি এখন সায়িম (সওম পালনকারী)। তারপর অন্য একদিন তিনি আমাদের নিকট আসলে আমরা বললাম, আমাদের জন্য ’হায়স’ উপঢৌকন হিসেবে পাঠানো হয়েছে। তিনি বললেন, তা আমাকে দেখাও, আমি কিন্তু (নফল) সায়িম (রোযাদার) হিসেবে সকাল করেছি, তারপর তিনি খাদ্য গ্ৰহণ করলেন।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - ذَاتَ يَوْمٍ، فَقَالَ: «هَلْ عِنْدَكُمْ شَيْءٌ?» قُلْنَا: لَا. قَالَ: «فَإِنِّي إِذًا صَائِمٌ»، ثُمَّ أَتَانَا يَوْمًا آخَرَ, فَقُلْنَا: أُهْدِيَ لَنَا حَيْسٌ, فَقَالَ: «أَرِينِيهِ, فَلَقَدْ أَصْبَحْتُ صَائِمًا»، فَأَكَلَ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1154) (170)
'A’isha (RAA) narrated, ‘One day the Messenger of Allah (ﷺ) entered my house and said, “ls there anything here (to eat)?" I said, ‘NO,’ He said, “I shall then be fasting (today)." Then he came to us another day and we said to him, 'Someone has offered us some hais as a gift.’ He then said, "Show it to me. I had been fasting since this morning, “and he ate from it ( as it was a voluntary fast and not during the obligatory fasting of Ramadan). Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ সময় হওয়ার সাথে সাথেই তাড়াতাড়ি ইফতার করা মুস্তাহাব
৬৫৮. সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যতদিন শীঘ্ৰ ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।[1]
وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (1757)، ومسلم (1098) وانظر -رعاك الله- إلى قول النبي صلى الله عليه وسلم هذا، وإلى فعل الناس الآن، فإنهم قد ساروا على الحساب الفلكي وزادوا فيه احتياطا، حتى إن إفطار الناس اليوم لا يكون إلا بعد دخول الوقت الشرعي بحوالي عشر دقائق، وعندما تناقش بعضهم -وإن كان ينتسب إلى العلم- تسمع منه ما هو بعيد تماما عن الأدلة، بل وترى التنطع، إذ قد يكون بعضهم في الصحراء ويبصر بعينيه غروب الشمس لكنه لا يفطر إلا على المذياع، فيخالف الشرع مرتين. الأولى: بعصيانه في تأخير الفطر، والثانية: في إفطاره على أذان في غير المكان الذي هو فيه، وأنا أعجب والله من هؤلاء الذين يلزمون -من جملة من يلزمون- ذلك البدوي في الصحراء بالإفطار على الحساب الفلكي الذي ربما لم يسمع عنه ذلك البدوي أصلا، ولا يلزمونه بما جاءت به الشريعة وبما يعرفه البدوي وغيره، ألا وهو قوله صلى الله عليه وسلم: «إذا أقبل الليل من هاهنا، وأدبر النهار من هاهنا، وغربت الشمس فقد أفطر الصائم». متفق عليه. وعلى هذا كان فعل النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه والسلف الصالح، ولذلك كانوا في خير عظيم، وأما نحن فيكفي أن تنظر إلى حالنا لتعلم أين نحن. والله المستعان. وانظر «الإلمام بآداب وأحكام الصيام» ص (21 و 30)
Sahl bin Sa'd (RAA) narrated That the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"People will always be fine (on the right path, or following the Sunnah) as long as they hasten to break their fast (in Ramadan)." Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ সময় হওয়ার সাথে সাথেই তাড়াতাড়ি ইফতার করা মুস্তাহাব
৬৫৯. তিরমিযীতে আবূ হুরাইরা (রাঃ) এর বরাতে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন- আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয় তারা যারা শীঘ ইফতার করে”।[1]
وَلِلتِّرْمِذِيِّ: مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «قَالَ اللَّهُ - عز وجل - أَحَبُّ عِبَادِي إِلَيَّ أَعْجَلُهُمْ فِطْرًا
-
ضعيف: رواه الترمذي (700) وقد بينت علته في «الأصل» وفي «الصيام» للفريابي رقم (33) وبينت هناك ما في كلام الشيخ أحمد شاكر -رحمه الله- في تعليقه على «المسند» (12/ 232) من وهم وتساهل
আলবানী যাঈফুত তারগীব (৬৪৯) বলেন, দুর্বল।
আলবানী যঈফুল জামি’ (৪০৪১) গ্রন্থে বলেন, দুর্বল।
আলবানী সহীহ ইবনু খুযাইমা (২০৬২) গ্রন্থে বলেছেন, তার সানাদ যঈফ।
আলবানী যঈফ তিরমিযীতে (৭০০) বলেছেন, দুর্বল।
আহমাদ শাকির মুসনাদ আহমাদ (১২/২৩২) গ্রন্থে বলেছেন, তার সানাদ সহীহ। যাহাবী মিযানুল ইতিদাল (৪/১১০) গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে মাসলামা বিন আলী রয়েছে যিনি দুর্বল।
Abu Hurairah (RAA) narrated, ‘The Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Allah, the Most Exalted said: “Those among My servants, who hasten to break their fast, are the most beloved (or dearest)to Me.” Related by At-Tirmidhi.
পরিচ্ছেদঃ সাহরীর ব্যাপারে উৎসাহ প্ৰদান
৬৬০. আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহিরীতে বরকত রয়েছে।[1]
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (1923)، ومسلم (1095)
Anas (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Eat the suhur (pre-dawn meal), for there are blessings in this meal.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ যা দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব
৬৬১. সালমান বিন আমির আযযাব্বী (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যখন কেউ ইফতার করবে তখন সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে, যদি সে তা না পায় তাহলে পানি দ্বারা ইফতার করবে। কেননা সেটা পরিবত্রকারী। ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الضَّبِّيِّ - رضي الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ, فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى مَاءٍ, فَإِنَّهُ طَهُورٌ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ وَابْنُ حِبَّانَ وَالْحَاكِمُ
-
ضعيف. وهو مخرج في «الصيام» للفريابي (62)، ولكن صح عن أنس رضي الله عنه، أنه قال: ما رأيت النبي صلى الله عليه وسلم قط يصلي حتى يفطر، ولو على شربة ماء. وهو مخرج في نفس المصدر برقم (67)
আলবানী যাঈফুত তিরমিযী (৬৯৫) গ্রন্থে বলেছেন, দুর্বল।
ইবনু বায হাশিয়্যাতু বুলুগুল মারাম লি ইবনিল বায (৪০৬) গ্রন্থে তার সানাদ সুন্দর।
আলবানী যঈফ ইবনি মাজাহ (৩৩৪) যঈফ বলেছেন।
সুয়ূতী আল জামিউস সগীর (৪৬৪) সহীহ বলেছেন।
আলবানী সিলসিলাতুয যইফা (৬৩৮৩) গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন।
আলবানী যঈফুত তিরমিযী (৬৫৮) গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন।
মুনযিরী আত তারগীব ওয়াত তারহীব (১/১৫১) গ্রন্থে তার সানাদ সহীহ ও হাসান বলেছেন।
আলবানী সহীহুত তিরমিযী (৬৫৮) গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন।
ইবনু হাজার মুহাল্লা (৭/৩১) গ্রন্থে বলেছেন, তার দ্বারা দলীল গ্ৰহন করা যাবে। আলবানী যাঈফুত তারগীব (৬৫১) গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন।
Salman bin ’Amir Ad-Dabbi (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When one of you is breaking his fast, he should eat some dates. If dates are not available, then break it with some water, for water is purifying.’’ Related by the five lmams. Ibn Khuzaimah, Ibn Hibban and al-Hakim graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ লাগাতার (ইফতার না করে) সাওম রাখার বিধান
৬৬২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ইফতার না করে লাগাতার সওম রেখো না। তখন মুসলিমদের মধ্য হতে জনৈক ব্যক্তি বলে উঠলো: হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো ইফতার না করে লাগাতার সওম রাখেন। উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে আমার মত কে আছ? আমি রাত কাটাই তাতেই আমার রব আমাকে খাওয়ান ও পান করান। কিন্তু তাঁরা লাগাতার সওম রাখা থেকে বিরত হলো না। ফলে তাদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও দু’দিন অথবা (বর্ণনাকারী বলেছিলেন) দু’ রাত লাগাতার সওম রাখলেন। এরপর তারা নতুন চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি চাঁদ (আরও কয়েক দিন) দেরী করে উঠত, তাহলে আমিও (লাগাতার সওম রেখে) তোমাদের সওমের সময়কে বাড়িয়ে দিতাম, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য। (বিসাল অর্থ পানাহার না করেই বিরতিহীনভাবে সওম পালন করা)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَنِ الْوِصَالِ, فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: فَإِنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تُوَاصِلُ? قَالَ: «وَأَيُّكُمْ مِثْلِي? إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِي». فَلَمَّا أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا عَنِ الْوِصَالِ وَاصَلَ بِهِمْ يَوْمًا, ثُمَّ يَوْمًا, ثُمَّ رَأَوُا الْهِلَالَ, فَقَالَ: «لَوْ تَأَخَّرَ الْهِلَالُ لَزِدْتُكُمْ»، كَالْمُنَكِّلِ لَهُمْ حِينَ أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. روه البخاري (1965)، ومسلم (1103)
Abu Hurairah (RAA) narrated, The Messenger of Allah (ﷺ) forbade us from practicing wisal in fasting (i.e. fasting continuously without breaking one’s fast in the evening or eating before the following dawn). So a man said to him, ‘But you practice wisal O Messenger of Allah!’ The Prophet Allah (ﷺ) replied, “Which one of you is like me? I am given food and drink during my sleep by Allah." So when people refused to stop wisal, the Prophet fasted day and night continuously along with them for a day and then another day and then they saw the crescent (of the new month of Shawwal). The Prophet said to them, "If the crescent had not appeared, I would have made you fast for a longer period." That was a punishment for them because they refused to stop (practicing Wisal). Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ রোযাদার ব্যক্তির যা পরিত্যাগ করা উচিত
৬৬৩. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক মিথ্যা কথা এবং সে অনুসারে কাজ করা আর মূর্খতা পরিহার করলো না, আল্লাহর নিকট তার পানাহার বর্জনের কোন প্রয়োজন নেই। - শব্দ বিন্যাস আবূ দাউদের।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ, وَالْجَهْلَ, فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ, وَأَبُو دَاوُدَ وَاللَّفْظُ لَهُ
-
صحيح. رواه البخاري (6057)، وأبو داود (2362)، ووهم الحافظ رحمه الله في نسبة هذا اللفظ لأبي داود دون البخاري؛ إذ هو لفظ البخاري حرفا حرفا سوى أنه قال: «حاجة أن يدع» بدون «في» ولا أثر لذلك. وأما أبو داود فليس عنده: «والجهل» وما أظن الحافظ ذكر أبا داود ولا عزه إليه إلا من أجل هذا اللفظ. والله أعلم
Abu Hurairah (BAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever does not give up forged speech and evil actions and does not abandon foolishness, Allah is not in need of his leaving food and drink (i.e. Allah will not accept his FASTING).” Related by Al-Bukhari and Abu Dawud, and the wording is from the latter.
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারের চুম্বন এবং স্বৰ্শ করার বিধান
৬৬৪. ’আয়িশা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমের অবস্থায় চুমু খেতেন এবং গায়ে গা লাগাতেন। তবে তিনি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চেয়ে অধিক সক্ষম ছিলেন। -শব্দ মুসলিমের।
মুসলিম ভিন্ন একটি বর্ণনায় “তিনি রামাযানে এরূপ করেছেন” কথাটি বৃদ্ধি করেছেন।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ, وَيُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ, وَلَكِنَّهُ أَمْلَكُكُمْ لِإِرْبِهِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, وَاللَّفْظُ لِمُسْلِمٍ
وَزَادَ فِي رِوَايَةٍ: فِي رَمَضَانَ
-
صحيح. رواه البخاري (1927)، ومسلم (1106)، (65)
مسلم (1106) (71)
'A’isha (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) would kiss and embrace (his wives) while fasting, for he had the most control of all of you over his desires.’ Agreed upon and the wording is from Muslim, who added in a narration, ‘In Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ সাওম পালনকারীর শিঙ্গা লাগানোর বিধান
৬৬৫. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহরিম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং সায়িম (রোযা রাখা) অবস্থায়ও শিঙ্গা লাগিয়েছেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ, وَاحْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (1938) وتكلم بعضهم في الحديث، لكن كما قال الحافظ في «الفتح» (4/ 178): «الحديث صحيح لا مرية فيه». وانظر رقم (737)
Ibn 'Abbas (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) had himself cupped while he was in a state of Ihram, and had himself cupped while he was fasting.’’ Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ সাওম পালনকারীর শিঙ্গা লাগানোর বিধান
৬৬৬. শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাকী নামক স্থানে এক ব্যক্তির নিকট এলেন যে রামাযান মাসে রক্তমোক্ষণ (শিঙ্গা লাগিয়েছিল) করছিল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: রক্তমোক্ষক ও যার রক্ষমোক্ষণ করা হয়েছে তারা উভয়ে রোযা ভঙ্গ করেছে। -আহমাদ, ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ সাব্যস্ত করেছেন।[1]
وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ - رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَتَى عَلَى رَجُلٍ بِالْبَقِيعِ وَهُوَ يَحْتَجِمُ فِي رَمَضَانَ. فَقَالَ: «أَفْطَرَ الْحَاجِمُ [وَالْمَحْجُومُ]». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ إِلَّا التِّرْمِذِيَّ, وَصَحَّحَهُ أَحْمَدُ, وَابْنُ خُزَيْمَةَ, وَابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه أبو داود (2369)، والنسائي في «الكبرى» (3144)، وابن ماجه (1681)، وأحمد (5/ 283)، وابن حبان (5/ 218 - 219) وما بين الحاصرتين سقط من «أ»، وهذا من سهو الناسخ. والله أعلم. وتصحيح أحمد نقله الحاكم في «المستدرك» (1/ 430) وأما عزوه لابن خزيمة فلا أظنه إلا وهما. والله أعلم. «تنبيه»: قال الذهبي في «التنقيح» (ق / 89 / أ): قوله: بالبقيع. خطأ فاحش، فإن النبي صلى الله عليه وسلم كان يوم التاريخ المذكور في مكة، اللهم إلا أن يريد بالبقيع السوق
Shaddad bin Aus (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) came across a man in Al-Baqi' (in Madinah) who was having himself cupped in Ramadan., and said to him, “The one who cups and the one who is being cupped have both broken their fast." Related by the five Imams except for At-Tirmidhi. Ahmad, Ibn Khuzaimah and Ibn Hibban regarded it as authentic.
পরিচ্ছেদঃ সাওম পালনকারীর শিঙ্গা লাগানোর বিধান
৬৬৭. আনাস বিন মালিক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম দিকে সিঙ্গা লাগান মাকরূহ হবার কারণ ছিল, জাফার বিন আবূ তালিব সওমের অবস্থায় সিঙ্গা লাগিয়েছিলেন আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি বললেন-এরা দুজনেই সওম ভঙ্গ করে ফেলেছে। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সায়িমকে সিঙ্গা লাগানোর ব্যাপারে অবকাশ দিয়েছেন। ফলে আনাস (রাঃ) সায়িম অবস্থায় সিঙ্গা লাগাতেন।
--দারাকুৎনী একে কাবি (মজবুত) সানাদ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।[1]
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضي الله عنه - قَالَ: أَوَّلُ مَا كُرِهَتِ الْحِجَامَةُ لِلصَّائِمِ; أَنَّ جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ اِحْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ, فَمَرَّ بِهِ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: «أَفْطَرَ هَذَانِ» , ثُمَّ رَخَّصَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - بَعْدُ فِي الْحِجَامَةِ لِلصَّائِمِ, وَكَانَ أَنَسٌ يَحْتَجِمُ وَهُوَ صَائِمٌ. رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ وَقَوَّاهُ
-
منكر. رواه الدارقطني (2/ 182 / 7) وقال: «كلهم ثقات، ولا أعلم له علة». قلت: وفي الأصل ذكرت جماعة ممن أنكروا الحديث أحدهم الحافظ نفسه
Anas (RAA) narrated, ‘The first time cupping was dis-liked for the one who is fasting was when Ja’far bin Abi Talib had himself cupped while fasting and the Messenger of Allah (ﷺ) came across him and said, "Those two have broken their fast (meaning Ja'far and the man who was cupping him.)" But later on the Prophet allowed cupping for the one who is fasting. Anas used to have himself cupped while he was fasting. Related by Ad-Daraqutni, who regarded it as a strong hadith.
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারের সুরমা লাগানোর বিধান
৬৬৮. আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সায়িম (রোযা রাখা) অবস্থায় চোখে সুরমা লাগিয়েছেন। ইবনু মাজাহ দুর্বল সানাদে। তিরমিযী বলেছেন-এ অধ্যায়ে এ ব্যাপারে কোন সহীহ বৰ্ণনা নেই।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - اكْتَحَلَ فِي رَمَضَانَ, وَهُوَ صَائِمٌ. رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ بِإِسْنَادٍ ضَعِيفٍ
قَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَا يَصِحُّ فِيهِ شَيْءٌ
-
ضعيف. رواه ابن ماجه (1678)
'A’isha (RAA) narrated, The Messenger of Allah (ﷺ) applied kohl to his eyes while he was fasting.’ Related by Ibn Majah with a weak chain of narrators. According to At-Tirmidhi, nothing authentic has been related from the Prophet concerning this issue, i.e. applying kohl, eye drops etc. to the eye while fasting.
পরিচ্ছেদঃ ভুলে পানাহারকারীর সাওমের বিধান
৬৬৯. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সওম পালনকারী ভুলক্রমে যদি আহার করে বা পান করে ফেলে, তাহলে সে যেন তার সওম পুরা করে নেয়। কেননা আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ نَسِيَ وَهُوَ صَائِمٌ, فَأَكَلَ أَوْ شَرِبَ, فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ, فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وَسَقَاهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (1933)، ومسلم (1155)، واللفظ لمسلم
Abu Hurairah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘Whoever forgets that he is fasting, and eats or drinks is to complete his fast, as it was Allah who fed him and gave him something to drink." Agreed upon.