পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৩৪) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার পূর্বেও যে সকল আম্বিয়া ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের উপর এই দায়িত্ব ছিল যে, তাঁরা যা উম্মতের জন্য উত্তম বলে জানবেন, তা তাদেরকে অবহিত করবেন এবং যা তাদের জন্য মন্দ বলে জানবেন, তা হতে তাদেরকে সতর্ক করবেন।[১]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, প্রত্যেক নবীর জন্য জরুরী যে, তিনি তাঁর উম্মতকে সেই কাজ বাতলে দেবেন, যা তিনি তাদের জন্য সবচেয়ে ভাল বলে জানবেন।[২]
عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِىٌّ قَبْلِى إِلاَّ كَانَ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ يَدُلَّ أُمَّتَهُ عَلَى خَيْرِ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ وَيُنْذِرَهُمْ شَرَّ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ
[২] আল-ইহকাম ১/৯০।
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৩৫) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে লোক সকল! জান্নাতের নিকটবর্তীকারী এবং জাহান্নাম থেকে দূরকারী এমন কোন জিনিস নেই, যা আমি তোমাদেরকে করতে আদেশ করিনি। আর জাহান্নামের নিকটবর্তীকারী এবং জান্নাত থেকে দূরকারী এমন কোন জিনিস নেই, যা আমি তোমাদেরকে করতে নিষেধ করিনি।
عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍعَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ لَيْسَ مِنْ شَيْءٍ يُقَرِّبُكُمْ إِلَى الْجَنَّةِ وَيُبَاعِدُكُمْ مِنَ النَّارِ إِلا قَدْ أَمَرْتُكُمْ بِهِ وَلَيْسَ شَيْءٌ يُقَرِّبُكُمْ مِنَ النَّارِ وَيُبَاعِدُكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلا قَدْ نَهَيْتُكُمْ عَنهُ
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৩৬) মুত্ত্বালিব কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’এমন কোন জিনিস নেই, যা আমি তোমাদেরকে আদেশ করিনি, অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে তা আদেশ করেছেন এবং এমন কোন জিনিস নেই, যা আমি তোমাদেরকে নিষেধ করিনি, অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে তা নিষেধ করেছেন।’’ (বাইহাক্বী ১৩৮২৫)
عَن الْمُطَّلِبِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَا تَرَكْتُ شَيْئًا مِمَّا أَمَرَكُمُ اللهُ بِهِ إِلاَّ وَقَدْ أَمَرْتُكُمْ بِهِ وَلاَ تَرَكْتُ شَيْئًا مِمَّا نَهَاكُمُ اللهُ عَنهُ إِلاَّ وَقَدْ نَهَيْتُكُمْ عَنهُ
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৩৭) সাহাবী আবূ যার্র (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন অবস্থায় ছেড়ে গেছেন যে, আকাশে উড়ন্ত পাখীর ইলমও আমাদেরকে দিয়ে গেছেন।
قَالَ أَبُو ذَرٍّ: لَقَدْ تَرَكَنَا مُحَمَّدٌ ﷺ وَمَا يُحَرِّكُ طَائِرٌ جَنَاحَيْهِ فِي السَّمَاءِ إِلَّا أَذْكَرَنَا مِنْهُ عِلْمًا
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৩৮) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, বিদায় হজ্জের সময় এক লক্ষ অথবা এক লক্ষ চল্লিশ হাজার সাহাবার সামনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তোমরা আমার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে, সুতরাং তোমরা কী বলবে? তাঁরা সকলেই বলেছিলেন যে, ’আমরা সাক্ষ্য দেব যে, (আপনার উপর যে গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল তা) পৌঁছে দিয়েছেন, (আমানত) আদায় করে দিয়েছেন এবং (উম্মতের জন্য) হিতাকাঙ্ক্ষী ও নসীহত করেছেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসমানের দিকে আঙ্গুল তুলে এবং লোকেদের দিকে ফিরিয়ে ইঙ্গিত করে তিনবার বললেন, হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? অথবা তিনি তিনবার বললেন, আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাকো।
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَأَنْتُمْ تُسْأَلُونَ عَنى فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ قَالُوْا نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ فَقَالَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ اَللّٰهُمَّ اشْهَدِ اَللّٰهُمَّ اشْهَدْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৩৯) মাসরূক (রহঃ) বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) এর নিকট হেলান দিয়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ তিনি বললেন, ’হে আবূ আয়েশা! যে ব্যক্তি তিনটের মধ্যে একটি কথা বলে, সে আল্লাহর প্রতি বিরাট মিথ্যা আরোপ করেঃ
(১) যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, মুহাম্মাদ তাঁর প্রতিপালক (আল্লাহ) কে দেখেছেন, সে আল্লাহর প্রতি বিরাট মিথ্যা আরোপ করে। যেহেতু আল্লাহ বলেন,
لاَّ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ
দৃষ্টিসমূহ তাঁকে আয়ত্ব করতে পারে না, কিন্তু দৃষ্টিসমূহ তাঁর আয়ত্বে আছে এবং তিনিই সুক্ষদর্শী; সম্যক পরিজ্ঞাত। (আনআমঃ ১০৩)
وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ اللهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِن وَرَاء حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِيَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاء إِنَّهُ عَلِيٌّ حَكِيمٌ
কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় যে, আল্লাহ তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন ওহীর (প্রত্যাদেশ) মাধ্যম ব্যতিরেকে, অন্তরাল ব্যতিরেকে অথবা কোন দূত প্রেরণ ব্যতিরেকে; আর তখন আল্লাহ যা চান তা তাঁর অনুমতিক্রমে অহী (প্রত্যাদেশ) করেন; নিঃসন্দেহে তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়। (শূরাঃ ৫১)
বর্ণনাকারী মাসরূক বলেন, আমি হেলান দিয়ে বসে ছিলাম। এ কথা শুনে সোজা হয়ে বসে বললাম, ’হে উম্মুল মু’মিনীন! একটু থামুন, আমার ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবেন না। আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি যে,
وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى
নিশ্চয়ই সে তাকে আরেকবার দেখেছিল। (নাজমঃ ১৩) অবশ্যই সে তাকে স্পষ্ট দিগন্তে দর্শন করেছে। (তাকভীরঃ ২৩)
মা আয়েশা বললেন, ’আল্লাহর কসম! আমি এ ব্যাপারে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন,
إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ لَمْ أَرَهُ عَلَى صُورَتِهِ الَّتِى خُلِقَ عَلَيْهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ
তিনি হলেন জিবরীল। তাঁকে ঐ দুইবার ছাড়া অন্য বারে তাঁর সৃষ্টিগত আসল রূপে দর্শন করিনি। যখন তিনি আসমানে অবতরণরত ছিলেন, তাঁর বিরাট সৃষ্টি-আকৃতি আকাশ-পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানকে ঘিরে রেখেছিল!
(২) যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর অবতীর্ণ কিছু অহী গোপন করেছেন, সে আল্লাহর প্রতি বিরাট মিথ্যা আরোপ করে। অথচ আল্লাহ বলেন, হে রসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা প্রচার কর, (যদি তা না কর, তাহলে তো তুমি তাঁর বার্তা প্রচার করলে না।) (সূরা মা’য়িদাহ ৬৭ আয়াত)
(৩) যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, মুহাম্মাদ ভবিষ্যতের খবর জানেন, সে আল্লাহর প্রতি বিরাট মিথ্যা আরোপ করে। অথচ আল্লাহ বলেন, বল, আল্লাহ ব্যতীত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না। (নামলঃ ৬৫)
عَن مَسْرُوقٍ قَالَ كُنْتُ مُتَّكِئًا عَندَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ يَا أَبَا عَائِشَةَ ثَلاَثٌ مَنْ تَكَلَّمَ بِوَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللهِ الْفِرْيَةَ قُلْتُ مَا هُنَّ قَالَتْ مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا ﷺ رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللهِ الْفِرْيَةَ قَالَ وَكُنْتُ مُتَّكِئًا فَجَلَسْتُ فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْظِرِينِى وَلاَ تَعْجَلِينِى أَلَمْ يَقُلِ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَلَقَدْ رَآهُ بِالأُفُقِ الْمُبِينِ) (وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى فَقَالَتْ أَنَا أَوَّلُ هَذِهِ الأُمَّةِ سَأَلَ عَن ذَلِكَ رَسُول اللهِ ﷺ فَقَالَ إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ لَمْ أَرَهُ عَلَى صُورَتِهِ الَّتِى خُلِقَ عَلَيْهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ فَقَالَتْ أَوَلَمْ تَسْمَعْ أَنَّ اللهَ يَقُولُ (لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ) أَوَلَمْ تَسْمَعْ أَنَّ اللهَ يَقُولُ (وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللهُ إِلاَّ وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولاً فَيُوحِىَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاءُ إِنَّهُ عَلِىٌّ حَكِيمٌ) قَالَتْ وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَتَمَ شَيْئًا مِنْ كِتَابِ اللهِ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللهِ الْفِرْيَةَ وَاللهُ يَقُولُ يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ قَالَتْ وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهُ يُخْبِرُ بِمَا يَكُوْنُ فِى غَدٍ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللهِ الْفِرْيَةَ وَاللهُ يَقُولُ (قُلْ لاَ يَعْلَمُ مَنْ فِى السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ الْغَيْبَ إِلاَّ اللهُ)
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৪০) আবুত ত্বুফাইল বলেন, আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আপনাদেরকে কোন বিশেষ জ্ঞান দান করে গেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, তিনি আমাদেরকে বিশেষ কোন জ্ঞান দিয়ে যাননি, যা সাধারণ লোকে জানে না। তবে আমার এই তরবারির খাপে যা আছে, (তা হতে পারে।) অতঃপর তিনি খাপ থেকে একটি লিখিত কাগজ বের করলেন। তাতে লিখা ছিল, আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অভিশাপ করুন, যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ করে। আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অভিশাপ করুন, যে ব্যক্তি জমি-জায়গার চিহ্ন সরিয়ে ফেলে। আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অভিশাপ করুন, যে ব্যক্তি বিদআতীকে আশ্রয় দেয়।
عَن أَبِى الطُّفَيْلِ قَالَ سُئِلَ عَلِىٌّ أَخَصَّكُمْ رَسُولُ اللهِ ﷺ بِشَىْءٍ فَقَالَ مَا خَصَّنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ بِشَىْءٍ لَمْ يَعُمَّ بِهِ النَّاسَ كَافَّةً إِلاَّ مَا كَانَ فِى قِرَابِ سَيْفِى هَذَا قَالَ فَأَخْرَجَ صَحِيفَةً مَكْتُوبٌ فِيهَا لَعَن اللهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ وَلَعَن اللهُ مَنْ سَرَقَ مَنَارَ الأَرْضِ وَلَعَن اللهُ مَنْ لَعَن وَالِدَهُ وَلَعَن اللهُ مَنْ آوَى مُحْدِثًا
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৪১) আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) বলেন, একদা আমি আলী (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাদের নিকট এমন কিছু (ইলম) আছে কি, যা কুরআনে নেই? উত্তরে তিনি বললেন, সেই সত্তার কসম! যিনি বীজকে অঙ্কুরিত করেন এবং প্রাণ সৃষ্টি করেন, আমাদের নিকট কুরআনে যা আছে, তার বাড়তি কিছু নেই। তবে আল্লাহর কিতাবের সমঝ এবং এই সহীফাতে যা আছে তাই। আমি বললাম, সহীফাতে কি আছে? তিনি বললেন, রক্তপণ ও বন্দী মুক্তির ব্যাপার এবং এই যে, কোন কাফেরের খুনের বদলায় কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না।
عَنْ أَبيْ جُحَيْفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ قَالَ قُلْتُ لِعَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنهُ هَلْ عَندَكُمْ شَيْءٌ مِنْ الْوَحْيِ إِلَّا مَا فِي كِتَابِ اللهِ قَالَ لَا وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ مَا أَعْلَمُهُ إِلَّا فَهْمًا يُعْطِيهِ اللهُ رَجُلًا فِي الْقُرْآنِ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ
قُلْتُ وَمَا فِي الصَّحِيفَةِ قَالَ الْعَقْلُ وَفَكَاكُ الْأَسِيرِ وَأَنْ لَا يُقْتَلَ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন
(১৪২) আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আল্লাহর) আজ্ঞাবহ দাস ছিলেন। তাঁকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছিল, তা (উম্মতের নিকট) পৌঁছে দিয়েছেন। আর তিনটি জিনিস ছাড়া তিনি অন্যান্য মানুষকে ছেড়ে আমাদেরকে বিশেষ করে কোন কিছু দিয়ে যাননি। (১) তিনি আমাদেরকে পূর্ণরূপে ওযূ করতে আদেশ করেছেন, (২) আমাদেরকে সদকা খেতে নিষেধ করেছেন এবং (৩) ঘুড়ীর সাথে গাধার মিলন ঘটাতে নিষেধ করেছেন।
عَن ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ النبي ﷺ عَبْدًا مَأْمُورًا بَلَّغَ مَا أُرْسِلَ بِهِ وَمَا اخْتَصَّنَا دُونَ النَّاسِ بِشَىْءٍ إِلاَّ بِثَلاَثِ خِصَالٍ أَمَرَنَا أَنْ نُسْبِغَ الْوُضُوءَ وَأَنْ لاَ نَأْكُلَ الصَّدَقَةَ وَأَنْ لاَ نُنْزِىَ الْحِمَارَ عَلَى الْفَرَسِ
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
فَمَاذَا بَعْدَ الْحَقِّ إِلاَّ الضَّلال
অর্থাৎ, সত্যের পর ভ্রষ্টতা ছাড়া আর কি আছে? (সূরা ইউনুস ৩২ আয়াত) তিনি আরো বলেন,
مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِنْ شَيْء
অর্থাৎ, আমি কিতাবে কোন কিছু লিপিবদ্ধ করতে ত্রুটি করিনি। (সূরা আনআম ৩৮ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللهِ وَالرَّسُولِ
অর্থাৎ, আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সে বিষয়কে আল্লাহ ও রসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। (সূরা নিসা ৫৯ আয়াত) অর্থাৎ, কিতাব ও সুন্নাহর দিকে।
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيماً فَاتَّبِعُوهُ وَلا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَن سَبِيلِهِ
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই এটি আমার সরল পথ। সুতরাং এরই অনুসরণ কর এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরা আনআম ১৫৩ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ
অর্থাৎ, বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর। ফলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। (সূরা আলে ইমরান ৩১)
(এ ছাড়া এ প্রসঙ্গে আরো বহু আয়াত রয়েছে। আর হাদীসসমূহ নিম্নরূপঃ)
(১৪৩) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কথা উদ্ভাবন করল—যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।[১]
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশ নেই তা বর্জনীয়।[২]
عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنهَا قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ أحْدَثَ في أمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وفي رواية لمسلم مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيهِ أمرُنا فَهُوَ رَدٌّ
[২] মুসলিম ৪৫৯০।
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৪৪) জাবের (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিতেন, তখন তাঁর চক্ষুদ্বয় লাল হয়ে যেত এবং তাঁর আওয়াজ উঁচু হত ও তাঁর ক্রোধ কঠিন রূপ ধারণ করত। যেন তিনি (শত্রু) সেনা থেকে ভীতি প্রদর্শন করছেন। তিনি বলতেন, (সে শত্রু) তোমাদের উপর সকালে অথবা সন্ধ্যায় হামলা করতে পারে। আর তিনি তাঁর তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয় মিলিত করে বলতেন যে, আমাকে এবং কিয়ামতকে এ দু’টির মত (কাছাকাছি) পাঠানো হয়েছে। আর তিনি বলতেন, আম্মা বা’দ (আল্লাহর প্রশংসা ও সাক্ষ্য দান করার পর) নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম কথা আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম রীতি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রীতি। আর নিকৃষ্টতম কাজ (দ্বীনে) নব আবিষ্কৃত কর্মসমূহ এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা। অতঃপর তিনি বলতেন, আমি প্রত্যেক মু’মিনদের নিকট তার আত্মার চেয়েও নিকটতম। যে ব্যক্তি মাল ছেড়ে (মারা) যাবে, তা তার উত্তরাধিকারীদের জন্য এবং যে ঋণ অথবা অভাবী সন্তান-সন্ততি ছেড়ে যাবে, তার দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত।
وَعَن جَابِرٍ قَالَ : كَانَ رَسُولُ الله ﷺ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَينَاهُ وَعَلاَ صَوتُهُ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتَّى كَأنَّهُ مُنْذِرُ جَيشٍ يَقُولُ صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ وَيَقُولُ بُعِثتُ أنَا والسَّاعَةُ كَهَاتَينِ وَيَقْرِنُ بَيْنَ أُصبُعَيهِ السَّبَّابَةِ وَالوُسْطَى وَيَقُولُ أمَّا بَعْدُ فَإنَّ خَيْرَ الحَديثِ كِتَابُ الله وَخَيرَ الهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ ﷺ وَشَرَّ الأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ بِدْعَة ضَلالَةٌ ثُمَّ يَقُولُ أنَا أوْلَى بِكُلِّ مُؤمِنٍ مِنْ نَفسِهِ مَنْ تَرَكَ مَالاً فَلأَهْلِهِ وَمَنْ تَرَكَ دَيْناً أَوْ ضَيَاعاً فَإلَيَّ وَعَلَيَّ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৪৫) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "...আর ধ্বংসকারী কর্মাবলী হল; এমন কৃপণতা যার অনুসরণ করা হয়, এমন প্রবৃত্তি যার আনুগত্য করা হয় এবং মানুষের আত্মমুগ্ধতা।"
عَن أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ… وَأَمَّا الْمُهْلِكَاتُ فَشُحٌّ مُطَاعٌ , وَهَوًى مُتَّبَعٌ وَإِعْجَابُ الْمَرْءِ بِنَفْسِهِ
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৪৬) উক্ত আনাস (রাঃ) হতেই বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ প্রত্যেক বিদআতীর তওবা ততক্ষণ পর্যন্ত স্থগিত রাখেন (গ্রহণ করেন না), যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার বিদআত বর্জন না করেছে।
عَن أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ اللَّهَ حَجَبَ التَّوْبَةَ عَن كُلِّ صَاحِبِ بِدْعَةٍ حَتَّى يَدَع َبِدْعَتَهُ "
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৪৭) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রত্যেক কর্মের উদ্যম আছে এবং প্রত্যেক উদ্যমের আছে নিরুদ্যমতা। সুতরাং যার নিরুদ্যমতা আমার সুন্নাহর গণ্ডির ভিতরেই থাকে, সে হেদায়াতপ্রাপ্ত হয় এবং যার নিরুদ্যমতা এ ছাড়া অন্য কিছুতে (সুন্নত বর্জনে) অতিক্রম করে, সে ধ্বংস হয়ে যায়।
عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لِكُلِّ عَمَلٍ شِرَّةٌ وَلِكُلِّ شِرَّةٍ فَتْرَةٌ فَمَنْ كَانَتْ فَتْرَتُهُ إِلَى سُنَّتِي فَقَدْ أَفْلَحَ وَمَنْ كَانَتْ إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ فَقَدْ هَلَكَ
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৪৮) ইরবায বিন সারিয়াহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, অবশ্যই তোমাদেরকে উজ্জল (স্পষ্ট দ্বীন ও হুজ্জতের) উপর ছেড়ে যাচ্ছি; যার রাত্রিও দিনের মতই। ধ্বংসোন্মুখ ছাড়া তা হতে অন্য কেউ ভিন্নপথ অবলম্বন করবে না।
عَن الْعِرْبَاضِ بْنَ سَارِيَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ قَدْ تَرَكْتُكُمْ عَلَى الْبَيْضَاءِ لَيْلُهَا كَنَهَارِهَا لَا يَزِيغُ عَنهَا بَعْدِي إِلَّا هَالِكٌ
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৪৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, হাওয কওসরের পানি পান করার জন্য পিপাসার্ত লোক (কিয়ামতের) দিন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হবে। কিন্তু তাদেরকে নিরুদ্দেশ উট বিতাড়িত করার ন্যায় বিতাড়িত করা হবে। তিনি বলবেন, ওরা আমার দলের। (বা ওরা তো আমার উম্মত)। বলা হবে, আপনি জানেন না, আপনার বিগত হওয়ার পর ওরা কি নবরচনা করেছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বলবেনঃ দূর হও, দূর হও।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ أَلاَ لَيُذَادَنَّ رِجَالٌ عَن حَوْضِى كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ أُنَادِيهِمْ أَلاَ هَلُمَّ فَيُقَالُ إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৫০) আলী বিন আবী ত্বালেব (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর অভিসম্পাত সেই ব্যক্তির উপর যে গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ করে, আল্লাহর অভিসম্পাত সেই ব্যক্তির উপর যে নিজ পিতামাতাকে অভিসম্পাত করে, আল্লাহর অভিসম্পাত সেই ব্যক্তির উপর যে কোন দুষ্কৃতকারী বা বিদআতীকে আশ্রয় দেয় এবং আল্লাহর অভিসম্পাত সেই ব্যক্তির উপর যে ভূমির (জমি-জায়গার) সীমা-চিহ্ন পরিবর্তন করে।
عَلِىِّ بْنِ أَبِى طَالِبٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ لَعَن اللهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ وَلَعَن اللهُ مَنْ آوَى مُحْدِثًا وَلَعَن اللهُ مَنْ لَعَن وَالِدَيْهِ وَلَعَن اللهُ مَنْ غَيَّرَ الْمَنَارَ
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৫১) নাওয়াস বিন সামআন আনসারী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ সরল পথের উপমা বর্ণনা করেছেন। তার দুই পাশে আছে দুটি প্রাচীর। তাতে আছে অনেক উন্মুক্ত দুয়ার। সকল দুয়ারে পর্দা ঝুলানো আছে। পথের মাথায় একজন আহবায়ক আছে। সে আহবান করে বলছে, হে লোক সকল! তোমরা সরল পথে চলতে থাকো। বাঁকা পথে যেয়ো না। তার উপরেও একজন আহবায়ক আছে। যখনই কোন বান্দা কোন দুয়ার খুলতে চাচ্ছে, তখনই সে আহবান করে বলছে, সর্বনাশ হোক তোমার! দুয়ারের পর্দা খুলো না। কারণ খুললেই তুমি তাতে প্রবেশ করে যাবে। সরল পথ হল ইসলাম। উন্মুক্ত দরজাসমূহ হল আল্লাহর হারামকৃত বস্তুসমূহ। প্রাচীর ও পর্দাসমূহ হল আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। পথের শেষ মাথায় আহবায়ক হল কুরআন। উপরের আহবায়ক হল প্রত্যেক মুসলিমের হৃদয়ে আল্লাহর আহবায়ক।
عَن النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْأَنْصَارِيِّ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ ضَرَبَ اللهُ مَثَلًا صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا وَعَلَى جَنْبَتَيْ الصِّرَاطِ سُورَانِ فِيهِمَا أَبْوَابٌ مُفَتَّحَةٌ وَعَلَى الْأَبْوَابِ سُتُورٌ مُرْخَاةٌ وَعَلَى بَابِ الصِّرَاطِ دَاعٍ يَقُولُ أَيُّهَا النَّاسُ ادْخُلُوا الصِّرَاطَ جَمِيعًا وَلَا تَتَفَرَّجُوا وَدَاعٍ يَدْعُو مِنْ جَوْفِ الصِّرَاطِ فَإِذَا أَرَادَ يَفْتَحُ شَيْئًا مِنْ تِلْكَ الْأَبْوَابِ قَالَ وَيْحَكَ لَا تَفْتَحْهُ فَإِنَّكَ إِنْ تَفْتَحْهُ تَلِجْهُ وَالصِّرَاطُ الْإِسْلَامُ وَالسُّورَانِ حُدُودُ اللهِ تَعَالَى وَالْأَبْوَابُ الْمُفَتَّحَةُ مَحَارِمُ اللهِ تَعَالَى وَذَلِكَ الدَّاعِي عَلَى رَأْسِ الصِّرَاطِ كِتَابُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَالدَّاعِي فَوْقَ الصِّرَاطِ وَاعِظُ اللهِ فِي قَلْبِ كُلِّ مُسْلِمٍ
পরিচ্ছেদঃ বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
(১৫২) ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, তোমরা অনুসরণ কর, নতুন কিছু রচনা করো না। কারণ তোমাদের জন্য তাই যথেষ্ট। আর তোমরা পুরাতন পন্থাই অবলম্বন কর।
قَالَ ابن مَسْعُودٍ: اتَّبِعُوا وَلا تَبْتَدِعُوا فَقَدْ كُفِيتُمْ عليكم بالأمر العتيق