পরিচ্ছেদঃ ১. আযানের সূচনা
৭২৩-(১/৩৭৭) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল হানযালী, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ও হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুসলিমরা মদীনায় আসার পর একত্রিত হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করতেন। এজন্যে কেউ আযান দিত না। একদিন ব্যাপারটি নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করল। তাদের একজন বলল, নাসারাদের নাকুসের অনুরূপ একটি নাকুস (ঘন্টা) ব্যবহার কর। তাদের অপরজন বলল, ইয়াহুদীদের শিঙ্গার অনুরূপ একটি শিঙ্গা ব্যবহার কর। উমার (রাযিঃ) বললেন, তোমরা সালাতের জন্যে ডাকতে একটি লোক পাঠাও না কেন? রাসূলুল্লাহ বললেন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হে বিলাল! উঠো এবং সালাতের জন্যে ডাক। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২১, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৩৬)
باب بَدْءِ الأَذَانِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ الْمُسْلِمُونَ حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ يَجْتَمِعُونَ فَيَتَحَيَّنُونَ الصَّلَوَاتِ وَلَيْسَ يُنَادِي بِهَا أَحَدٌ فَتَكَلَّمُوا يَوْمًا فِي ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُهُمُ اتَّخِذُوا نَاقُوسًا مِثْلَ نَاقُوسِ النَّصَارَى وَقَالَ بَعْضُهُمْ قَرْنًا مِثْلَ قَرْنِ الْيَهُودِ فَقَالَ عُمَرُ أَوَلاَ تَبْعَثُونَ رَجُلاً يُنَادِي بِالصَّلاَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا بِلاَلُ قُمْ فَنَادِ بِالصَّلاَةِ " .
Ibn Umar reported:
When the Muslims came to Medina, they gathered and sought to know the time of prayer but no one summoned them. One day they discussed the matter, and some of them said: Use something like the bell of the Christians and some of them said: Use horn like that of the Jews. Umar said: Why may not a be appointed who should call (people) to prayer? The Messenger of Allah (ﷺ) said: O Bilal, get up and summon (the people) to prayer.
পরিচ্ছেদঃ ২. আযানের শব্দগুলো দু’বার করে এবং ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে
৭২৪-(২/৩৭৮) খালাফ ইবনু হিশাম ও ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলাল (রাযিঃ) কে আযানের শব্দ জোড় সংখ্যায় এবং ইকামাতের শব্দ বেজোড় বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইয়াহইয়া তার বর্ণনায় ইবনু উলাইয়্যাহ এর সূত্রে বলেছেন, তিনি আইয়ূব এর কাছে এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি বললেন, কিন্তু ’কাদ্কা- মাতিস্ সলা-হ্’ শব্দটি ব্যতীত (এটি দু’বার বলবে) বাকী শব্দগুলো একবার করে বলবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২২, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৩৭)
باب الأَمْرِ بِشَفْعِ الأَذَانِ وَإِيتَارِ الإِقَامَةِ
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، جَمِيعًا عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ، الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ . زَادَ يَحْيَى فِي حَدِيثِهِ عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ فَحَدَّثْتُ بِهِ أَيُّوبَ فَقَالَ إِلاَّ الإِقَامَةَ .
Anas reported:
Bilal was commanded (by the Messenger of Allah) to repeat (the phrases of) Adhan twice and once in Iqama. The narrator said: I made a mention of it before Ayyub who said: Except for saying: Qamat-is-Salat [the time for prayer has come].
পরিচ্ছেদঃ ২. আযানের শব্দগুলো দু’বার করে এবং ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে
৭২৫-(৩/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (লোকেদের) সালাতের সময় জানানোর উদ্দেশে একটা কিছু নির্দিষ্ট করার জন্যে সাহাবাগণ পরস্পর আলোচনা করলেন। তারা বললেন, আগুন জ্বালানো হোক অথবা নাকুস (ঘণ্টা) বাজানো হোক। বিলালকে আযানের শব্দগুলো দু’বার এবং ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে উচ্চারণ করার নির্দেশ দেয়া হল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৩৮)
باب الأَمْرِ بِشَفْعِ الأَذَانِ وَإِيتَارِ الإِقَامَةِ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ ذَكَرُوا أَنْ يُعْلِمُوا، وَقْتَ الصَّلاَةِ بِشَىْءٍ يَعْرِفُونَهُ فَذَكَرُوا أَنْ يُنَوِّرُوا نَارًا أَوْ يَضْرِبُوا نَاقُوسًا فَأُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ .
Anas b. Malik reported:
They (the Companions) discussed that they should know the timings of prayer by means of something recognized by all. Some of them said that fire should be lighted or a bell should be rung. But Bilal was ordered to repeat the phrases twice in Adhan, and once in Iqama.
পরিচ্ছেদঃ ২. আযানের শব্দগুলো দু’বার করে এবং ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে
৭২৬-(৪/...) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... খালিদ আল হাযযা হতে উল্লেখিত সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন লোকসংখ্যা বেড়ে গেল, সাহাবাগণ সালাতের সময় জানানোর একটি উপায় খুঁজে বের করার জন্যে পরস্পর আলোচনা করলেন ..... অতঃপর সাকাকী-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। এ বর্ণনায় أَنْ يُنَوِّرُوا نَارًا শব্দের পরিবর্তেأَنْ يُورُوا نَارًا শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে। (অর্থাৎ "আগুন জ্বালানো হোক" উভয় শব্দের অর্থ একই)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৩৯)
باب الأَمْرِ بِشَفْعِ الأَذَانِ وَإِيتَارِ الإِقَامَةِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ لَمَّا كَثُرَ النَّاسُ ذَكَرُوا أَنْ يُعْلِمُوا . بِمِثْلِ حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ أَنْ يُورُوا نَارًا .
This hadith is transmitted by Khalid Hadhdha with the same chain of transmitters (and the words are):
When the majority of the people discussed they should know, like the hadith narrated by al-Thaqafi (mentioned above) except for the words:" They (the people) should kindle fire."
পরিচ্ছেদঃ ২. আযানের শব্দগুলো দু’বার করে এবং ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে
৭২৭-(৫/...) উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলাল (রাযিঃ) কে আযান জোড় সংখ্যায় এবং ইকামাত বেজোড় সংখ্যায় বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪০)
باب الأَمْرِ بِشَفْعِ الأَذَانِ وَإِيتَارِ الإِقَامَةِ
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ، الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ .
Anas reported:
Bilal was commanded (by the Holy Prophet) to repeat the phrases twice in Adhan, and once in lqama.
পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের বর্ণনা
৭২৮-(৬/৩৭৯) আবূ গাসসান আল মিসমাঈ, মালিক ইবনু আবদুল ওয়াহিদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... আবূ মাহযুরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে এ আযান শিক্ষা দিয়েছেনঃ "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার" (আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান)। পাঠে (চারবার)। "আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ" (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই), "আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্ল-হ" (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই)। "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ" (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল), "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ" (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল)। আবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ", "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ-" দু’বার। "হাইয়্যা আলাস সলা-হ" (সালাতের জন্যে এসো) দু’বার। "হাইয়্যা ’আলাল ফালা-হ" (কল্যাণের জন্যে এসো) দু’বার। ইসহাক তার বর্ণনায় আরো দুটি বাক্য উল্লেখ করেছেন, "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার" এবং “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ"। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪১)
باب صِفَةِ الأَذَانِ
حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، مَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَبُو غَسَّانَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَهُ هَذَا الأَذَانَ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ - ثُمَّ يَعُودُ فَيَقُولُ - أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ - مَرَّتَيْنِ - حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ - مَرَّتَيْنِ " . زَادَ إِسْحَاقُ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " .
Abu Mahdhura said that the Messenger of Allah (ﷺ) taught him Adhan like this:
Allah is the Greatest, Allah is the Greatest; I testify that there is no god but Allah, I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad Is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, and it should be again repeated: I testify that there is no god but Allah, I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad Is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah. Come to the prayer (twice). Come to success (twice). Ishaq added: Allah is the Greatest, Allah is the Greatest; there Is no god but Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৪. একই মসজিদে দু'জন মুওয়ায্যিন রাখা ভাল
৭২৯-(৭/৩৮০) ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দু’জন মুওয়াযযিন ছিলঃ বিলাল (রাযিঃ) এবং অন্ধ আবদুল্লাহ ইবনু উম্মু মাকতুম (রাযিঃ)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৭, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪২)
باب اسْتِحْبَابِ اتِّخَاذِ مُؤَذِّنَيْنِ لِلْمَسْجِدِ الْوَاحِدِ
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُؤَذِّنَانِ بِلاَلٌ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى .
Ibn Umar reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) had two Mu'adhdhins, Bilal and 'Abdullah b. Umm Maktum, who (latter) was blind.
পরিচ্ছেদঃ ৪. একই মসজিদে দু'জন মুওয়ায্যিন রাখা ভাল
৭৩০-(.../...) ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকেও (উপরের হাদীসের) অবিকল বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪৩)
باب اسْتِحْبَابِ اتِّخَاذِ مُؤَذِّنَيْنِ لِلْمَسْجِدِ الْوَاحِدِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ .
This hadith has been narrated on the authority of 'A'isha by another chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ৫. অন্ধ ব্যক্তির সাথে চক্ষুষ্মান লোক থাকলেও তার আযান দেয়া জায়িয
৭৩১-(৮/৩৮১) আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু মাকতুম (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মতিতে আযান দিতেন। তখন তিনি ছিলেন অন্ধ। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪৪)।
باب جَوَازِ أَذَانِ الأَعْمَى إِذَا كَانَ مَعَهُ بَصِيرٌ
حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ مَخْلَدٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ يُؤَذِّنُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ أَعْمَى .
A'isha reported:
Ibn Umm Maktum used to pronounce Adhan at the behest of the Messenger of Allah (ﷺ) (despite the fact) that he was blind.
পরিচ্ছেদঃ ৫. অন্ধ ব্যক্তির সাথে চক্ষুষ্মান লোক থাকলেও তার আযান দেয়া জায়িয
৭৩২-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ আল মুরাদী (রহঃ) ..... হিশাম (রহঃ) এর উল্লিখিত সনদ পরম্পরায় হিশাম থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩০, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪৫)
باب جَوَازِ أَذَانِ الأَعْمَى إِذَا كَانَ مَعَهُ بَصِيرٌ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
পরিচ্ছেদঃ ৬. অমুসলিম রাষ্ট্রের (বা এলাকার) কোন জনপদে আযানের শব্দ শুনা গেলে সেখানে আক্রমণ করা নিষেধ
৭৩৩-(৯/৩৮২) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রভাতে শত্রুর উপর আক্রমণ করতেন। তিনি আযানের শব্দ শুনার জন্যে কান পেতে অপেক্ষায় থাকতেন। তিনি আযান শুনতে পেলে আক্রমণ থেকে বিরত থাকতেন, অন্যথায় আক্রমণ করতেন। তিনি এক ব্যক্তিকে "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার" বলতে শুনেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ এ ব্যক্তি মুসলিম। সে পুনরায় বলল, "আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ"। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তুমি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলে। অতঃপর লোকটির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলেন, সে মেষপালের রাখাল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩১, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪৬)
باب الإِمْسَاكِ عَنِ الإِغَارَةِ، عَلَى قَوْمٍ فِي دَارِ الْكُفْرِ إِذَا سُمِعَ فِيهِمُ الأَذَانُ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُغِيرُ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ وَكَانَ يَسْتَمِعُ الأَذَانَ فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلاَّ أَغَارَ فَسَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَلَى الْفِطْرَةِ " . ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَرَجْتَ مِنَ النَّارِ " . فَنَظَرُوا فَإِذَا هُوَ رَاعِي مِعْزًى .
Anas b. Malik reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to attack the enemy when it was dawn. He would listen to the Adhan; so if he heard an Adhan, he stopped, otherwise made an attack. Once on hearing a man say: Allah is the Greatest, Allah is the Greatest, the Messenger of Allah (ﷺ) remarked: He is following al-Fitra (al-Islam). Then hearing him say: I testify that there is no god but Allah. there is no god but Allah, the Messenger of Allah (ﷺ) said: You have come out of the Fire (of Hell). They looked at him and found that he was a goat herd.
পরিচ্ছেদঃ ৭. মুওয়ায্যিনের আযান অনুরূপ শ্রবণকারীর বলা, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরূদ পাঠ করা এবং তার জন্যে ওয়াসীলাহ প্রার্থনা করা
৭৩৪-(১০/৩৮৩) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুওয়াযযিন যা বলে তোমরা তাই-ই বল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩২, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪৭)
باب اسْتِحْبَابِ الْقَوْلِ مِثْلَ قَوْلِ الْمُؤَذِّنِ لِمَنْ سَمِعَهُ ثُمَّ يُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَسْأَلُ اللَّهَ لَهُ الْوَسِيلَةَ
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ " .
Abu Sa'id al-Khudri reported:
When you hear the call (to prayer), repeat what the Mu'adhdhin pronounces.
পরিচ্ছেদঃ ৭. মুওয়ায্যিনের আযান অনুরূপ শ্রবণকারীর বলা, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরূদ পাঠ করা এবং তার জন্যে ওয়াসীলাহ প্রার্থনা করা
৭৩৫-(১১/৩৮৪) মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ্ আল মুরাদী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা যখন মুওয়াযযিনকে আযান দিতে শুন, তখন সে যা বলে তোমরা তাই বল। অতঃপর আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। কেননা, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। অতঃপর আমার জন্যে আল্লাহর কাছে ওয়াসীলাহ প্রার্থনা কর। কেননা, ওয়াসীলাহ জান্নাতের একটি সম্মানজনক স্থান। এটা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একজনকেই দেয়া হবে। আমি আশা করি, আমিই হব সে বান্দা। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আমার জন্যে ওয়াসীলাহ প্রার্থনা করবে তার জন্যে (আমার) শাফাআত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪৮)
باب اسْتِحْبَابِ الْقَوْلِ مِثْلَ قَوْلِ الْمُؤَذِّنِ لِمَنْ سَمِعَهُ ثُمَّ يُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَسْأَلُ اللَّهَ لَهُ الْوَسِيلَةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، وَغَيْرِهِمَا، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا اللَّهَ لِيَ الْوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الْجَنَّةِ لاَ تَنْبَغِي إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ فَمَنْ سَأَلَ لِيَ الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ " .
'Abdullah b. Amr b. al-As reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
When you hear the Mu'adhdhin, repeat what he says, then invoke a blessing on me, for everyone who invokes a blessing on me will receive ten blessings from Allah; then beg from Allah al-Wasila for me, which is a rank in Paradise fitting for only one of Allah's servants, and I hope that I may be that one. If anyone who asks that I be given the Wasila, he will be assured of my intercession.
পরিচ্ছেদঃ ৭. মুওয়ায্যিনের আযান অনুরূপ শ্রবণকারীর বলা, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরূদ পাঠ করা এবং তার জন্যে ওয়াসীলাহ প্রার্থনা করা
৭৩৬-(১২/৩৮৫) ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ..... উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুওয়াযযিন যখন “আল্লাহু আকবার, আল্লা-হু আকবার" বলে তখন তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তার জবাবে বলেঃ "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার"। যখন মুওয়াযযিন বলে "আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ" এর জবাবে সেও বলেঃ "আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ"। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ" এর জবাবে সে বলেঃ "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ”। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ "হাইয়্যা আলাস সলা-হ" এর জবাবে সে বলেঃ “লা-হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ"। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ "হাইয়্যা ’আলাল ফালা-হ" এর জবাবে সে বলেঃ “লা- হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়াৰ্যযিন বলেঃ "আল্লা-হু আকবার, আল্লাহু আকবার" এর জবাবে সে বলেঃ "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার"। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ" এর জবাবে সে বলেঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ"। আযানের এ জবাব দেয়ার কারণে সে বেহেশতে যাবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪৯)
باب اسْتِحْبَابِ الْقَوْلِ مِثْلَ قَوْلِ الْمُؤَذِّنِ لِمَنْ سَمِعَهُ ثُمَّ يُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَسْأَلُ اللَّهَ لَهُ الْوَسِيلَةَ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسَافٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . فَقَالَ أَحَدُكُمُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ . قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ . ثُمَّ قَالَ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ . قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ . ثُمَّ قَالَ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ . قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ . ثُمَّ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . ثُمَّ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ " .
'Umar b. al-Khattab reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: When the Mu'adhdhin says: Allah is the Greatest, Allah is the Greatest, and one of you should make this response: Allah is the Greatest, Allah is the Greatest; (and when the Mu'adhdhin) says: I testify that there is no god but Allah, one should respond: I testify that there is no god but Allah, and when he says: I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, one should make a response: I testify that Muhammad is Allah's Messenger. When he (the Mu'adhdhin) says: Come to prayer, one should make a response: There is no might and no power except with Allah. When he (the Mu'adhdhin) says: Come to salvation, one should respond: There is no might and no power except with Allah, and when he (the Mu'adhdhin) says: Allah is the Greatest, Allah is the Greatest, then make a response: Allah is the Greatest, Allah is the Greatest. When he (the Mu'adhdhin) says: There is no god but Allah, and he who makes a re- sponse from the heart: There is no god but Allah, he will enter Paradise.
পরিচ্ছেদঃ ৭. মুওয়ায্যিনের আযান অনুরূপ শ্রবণকারীর বলা, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরূদ পাঠ করা এবং তার জন্যে ওয়াসীলাহ প্রার্থনা করা
৭৩৭-(১৩/৩৮৬) মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ ও কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ মুওয়াযযিনের আযান শুনে যে ব্যক্তি বলে, "আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু, লা- শারীকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু, ওয়া রাসূলুহু, রাযীতু বিল্লা-হি রব্বান ওয়াবি মুহাম্মাদিন রসূলান ওয়াবিল ইসলামী দীনন" তার গুনাহ মাফ করা হবে। কুতাইবাহ তার হাদীসে وَأَنَا শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৫০)
باب اسْتِحْبَابِ الْقَوْلِ مِثْلَ قَوْلِ الْمُؤَذِّنِ لِمَنْ سَمِعَهُ ثُمَّ يُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَسْأَلُ اللَّهَ لَهُ الْوَسِيلَةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الْقُرَشِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا . غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ " . قَالَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ وَأَنَا أَشْهَدُ " . وَلَمْ يَذْكُرْ قُتَيْبَةُ قَوْلَهُ وَأَنَا .
Sa'd b. Abu Waqqas reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: If anyone says on hearing the Mu'adhdhin: I testify that there is no god but Allah alone. Who has no partner, and that Muhammad is His servant and His Messenger, (and that) I am satisfied with Allah as my Lord, with Muhammad as Messenger. and with Islam as din (code of life), his sins would be forgiven. In the narration transmitted by Ibn Rumh the words are:" He who said on hearing the Mu'adhdhin and verity I testify." ' Qutaiba has not mentioned his words:" And I."
পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের ফযীলত এবং আযান শুনে শয়তানের পলায়ন
৭৩৮-(১৪/৩৮৭) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... তালহাহ ইবনু ইয়াহইয়া তার চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুআবিয়াহ ইবনু আবূ সুফইয়ান (রাযিঃ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় মুওয়াযযিন তাকে সালাতের জন্য ডাকতে আসল। মু’আবিয়াহ (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন মুওয়াযযিনদের গর্দান সবচেয়ে বেশি উচু হবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৫১)
باب فَضْلِ الأَذَانِ وَهَرَبِ الشَّيْطَانِ عِنْدَ سَمَاعِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ يَدْعُوهُ إِلَى الصَّلاَةِ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْمُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ "
Yahya narrated it on the authority of his uncle that he had been sitting in the company of Mu'awiya b. Abu Sufyan when the Mu'adhdhin called (Muslims) to prayer. Mu'awiya said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying The Mu'adhdhins will have the longest necks on the Day of Resurrection.
পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের ফযীলত এবং আযান শুনে শয়তানের পলায়ন
৭৩৯-(.../...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... ঈসা ইবনু তালহাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুআবিয়াহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরোক্ত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩৭, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৫১)
باب فَضْلِ الأَذَانِ وَهَرَبِ الشَّيْطَانِ عِنْدَ سَمَاعِهِ
وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের ফযীলত এবং আযান শুনে শয়তানের পলায়ন
৭৪০-(১৫/৩৮৮) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ, উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ শয়তান সালাতের আযানের শব্দ শুনে পালাতে পালাতে রাওহা পর্যন্ত চলে যায়।
সুলাইমান (আমাশ) বলেন, আমি তাকে (আবূ সুফইয়ানকে) রাওহা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এ স্থানটি মদীনা থেকে ছত্রিশ মাইল দূরে অবস্থিত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৫২)
باب فَضْلِ الأَذَانِ وَهَرَبِ الشَّيْطَانِ عِنْدَ سَمَاعِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ ذَهَبَ حَتَّى يَكُونَ مَكَانَ الرَّوْحَاءِ " . قَالَ سُلَيْمَانُ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الرَّوْحَاءِ . فَقَالَ هِيَ مِنَ الْمَدِينَةِ سِتَّةٌ وَثَلاَثُونَ مِيلاً .
Abu Sufyan reported it on the authority of Jabir that he had heard the Messenger of Allah (ﷺ) say:
When Satan hears the call to prayer, he runs away to a distance like that of Rauha. Sulaimin said: I asked him about Rauha. He replied: It is at a distance of thirty-six miles from Medina.
পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের ফযীলত এবং আযান শুনে শয়তানের পলায়ন
৭৪১-(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আমাশ হতে এ সনদে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩৯, ইসলামিক সেন্টারঃ নেই)
باب فَضْلِ الأَذَانِ وَهَرَبِ الشَّيْطَانِ عِنْدَ سَمَاعِهِ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
Abu Mu'awiya narrated it on the authority of A'mash with the same chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের ফযীলত এবং আযান শুনে শয়তানের পলায়ন
৭৪২-(১৬/৩৮৯) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ, যুহায়র ইবনু হারব, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ শয়তান যখন সালাতের আযান শুনতে পায় তখন বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালাতে থাকে যেন আযানের শব্দ তার কানে পৌঁছতে না পারে। মুওয়াযযিন যখন আযান শেষ করে তখন সে ফিরে এসে (সালাত আদায়কারীর) সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। সে পুনরায় যখন ইকামাত শুনতে পায় আবার চলে যায় যেন এর শব্দ তার কানে না যেতে পারে। যখন ইকামাত শেষ হয় তখন সে ফিরে এসে (সালাত আদায়কারীদের অন্তরে) সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪০, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৫৩)
باب فَضْلِ الأَذَانِ وَهَرَبِ الشَّيْطَانِ عِنْدَ سَمَاعِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ أَحَالَ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ صَوْتَهُ فَإِذَا سَكَتَ رَجَعَ فَوَسْوَسَ فَإِذَا سَمِعَ الإِقَامَةَ ذَهَبَ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ صَوْتَهُ فَإِذَا سَكَتَ رَجَعَ فَوَسْوَسَ " .
Abu Huraira reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
When Satan hears the call to prayer, he turns back and breaks the wind so as not to hear the call being made, but when the call is finished he turns round and distracts (the minds of those who pray), and when he hears the Iqama, he again runs away so as not to hear its voice and when it subsides, he comes back and distracts (the minds of those who stand for prayer).