পরিচ্ছেদঃ ১. ইচ্ছাকৃত হত্যায় দিয়াত রয়েছে
২৩৯০. আবূ শুরায়হ আল-খুযাঈ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যার কেউ নিহত হয় অথবা যাকে আহত করা হয় তার তিনটি বিকল্প বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণ করার এখতিয়ার আছে। সে চতুর্থটি গ্রহণ করতে চাইলে তোমরা তার উভয় হাত ধরে রাখো (তাকে বাধা দাও)। সে হত্যাকারীকে হয় হত্যা করবে অথবা ক্ষমা করবে অথবা দিয়াত (আর্থিক ক্ষতিপূরণ) গ্রহণ করবে। যে ব্যক্তি এই (তিনটি বিকল্পের) কোন একটি গ্রহণ করার পর আরও কিছু (অতিরিক্ত) দাবি করবে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে সে স্থায়ী হবে।”[1]
بَاب الدِّيَةِ فِي قَتْلِ الْعَمْدِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ بْنِ فُضَيْلٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي الْعَوْجَاءِ السُّلَمِيِّ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ أُصِيبَ بِدَمٍ أَوْ خَبْلٍ وَالْخَبْلُ الْجُرْحُ فَهُوَ بِالْخِيَارِ بَيْنَ إِحْدَى ثَلَاثٍ فَإِنْ أَرَادَ الرَّابِعَةَ فَخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ بَيْنَ أَنْ يَقْتَصَّ أَوْ يَعْفُوَ أَوْ يَأْخُذَ الْعَقْلَ فَإِنْ أَخَذَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا ثُمَّ عَدَا بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ النَّارُ خَالِدًا فِيهَا مُخَلَّدًا
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৯/৪৪১ নং ৮০৪৫; ইবনু মাজাহ, দিয়াত ২৬২৩; আহমাদ ৪/৩১; আবূ দাউদ, দিয়াত ৪৪৯৬; বুখারী, কাবীর ৩/২২৪; দারুকুতনী ৩/৯৬; বাইহাকী, জানাইয়াত ৮/৫২; মারিফাহ নং ১৫৮৮৫; দেখুন, মীযানুল ই’তিদাল ২/১৬৯-১৭০।
পরিচ্ছেদঃ ১. ইচ্ছাকৃত হত্যায় দিয়াত রয়েছে
২৩৯১. আমর ইবনু হাযম তার পিতা হতে, তার দাদা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানবাসীদের নিকট একটি পত্র লিখেছিলেন যাতে ছিল: “যে ব্যক্তি বিনা কারণে কোনো মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, তবে কিসাস ওয়াজিব হবে । তবে সে যদি নিহত ব্যক্তির ওয়ালী বা অভিভাবকদেরকে (ক্ষমা করতে কিংবা রক্তমূল্য নিতে) রাজি করাতে পারে, তবে (সে রক্ষা পেতে পারে)।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’ই’তাবাত্বা’ অর্থ বিনা কারণে।
بَاب الدِّيَةِ فِي قَتْلِ الْعَمْدِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ وَكَانَ فِي كِتَابِهِ أَنَّ مَنْ اعْتَبَطَ مُؤْمِنًا قَتْلًا عَنْ بَيِّنَةٍ فَإِنَّهُ قَوَدُ يَدِهِ إِلَّا أَنْ يَرْضَى أَوْلِيَاءُ الْمَقْتُولِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد اعْتَبَطَ قَتَلَ مِنْ غَيْرِ عِلَّةٍ
তাখরীজ: এর অংশবিশেষ বর্ণনা করেছেন বুখারী, আল ইলম ১১২ ((নাসাঈ, কাসামাহ ৮/৫৭-৫৮-৫৯-৬০; মালিক, মুআত্তা, উকুল হা/১।))
পরিচ্ছেদঃ ২. কাসামাহ বা (বিভিন্ন কাজের ক্ষতিপূরণ হিসেবে) নির্ধারিত অংশ সম্পর্কে
২৩৯২. সাহল ইবনু আবু হাছমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। বনী হারিছা গোত্রের একব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবন সাহল তার গোত্রের কতক লোকের সঙ্গে রসদ-সামগ্রী আনতে খায়বারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এরপর আব্দুল্লাহ’র উপর অত্যাচার করা হয় এবং তিনি নিহত হন। আর তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়, যাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর তাকে খায়বারের একটি কুপে নিক্ষেপ করা হয়। তা দেখে তার সাথীরা চিৎকার করে উঠেন। এরপর তারা তাকে বের করে দাফন করেন। এরপর তারা মদীনায় ফিরে এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হন। তার ভাই আব্দুর রহমান ইবন সাহল আগে থেকেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার বিশেষ একটি সম্পর্ক ছিল।
এসময় তার সাথে তার চাচাতো ভাইদ্বয় হুওয়ায়্যিসা ইবন মাসউদ এবং মুহাইয়িসা ছিলেন। আব্দুর রহমান ছিলেন সকলের ছোট। আব্দুর রহমান, যিনি ছিলেন রক্তপণের হকদার এবং ক্বওমের মধ্যে সম্মানিত ব্যক্তি, তিনিই প্রথম কথা বলতে আরম্ভ করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে বয়সে বড় তাদেরকে (সম্মান কর)। তিনি চুপ হয়ে গেলে হুওয়ায়্যিসা ইবন মাসউদ এবং মুহাইয়িসা কথা আরম্ভ করলেন এবং তিনিও তাদের সাথে কথায় শরীক ছিলেন।
তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা হত্যাকারীর নাম বলো। এরপর তোমরা পঞ্চাশবার শপথ করো। তাহলে তাকে তোমাদের হাতে সোপর্দ করবো।” তারা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা যা জানি না, সে সম্পর্কে কিভাবে আমরা শপথ করতে পারি? তাকে কে হত্যা করেছে তাতো আমরা জানিনা। তবে ইয়াহুদীরা আমাদের শত্রু। আর সে তো তাদের শাখা গোত্রের মাঝেই নিহত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে তারা (ইয়াহুদীরা) তোমাদের সম্মুখে শপথ করবে যে, তারা নিশ্চয়ই তোমাদের এ সাথীর খুনের অভিযোগ হতে দায়মুক্ত। তবেই তারা এ অভিযোগ থেকে দায় মুক্ত হবে।” তারা বললেনঃকাফিরদের শপথ আমরা মেনে নিতে পারি না। তাদের মধ্যে পাপ কাজের ক্ষেত্রে শপথ করার মতো কতো লোকই তো রয়েছে। এ অবস্হায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ হতে তাদের দিয়াত একশত উট আদায় করে দেন।[1]
بَاب فِي الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ قَالَ خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ أَحَدُ بَنِي حَارِثَةَ إِلَى خَيْبَرَ مَعَ نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ يُرِيدُونَ الْمِيرَةَ بِخَيْبَرَ قَالَ فَعُدِيَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقُتِلَ فَتُلَّتْ عُنُقُهُ حَتَّى نُخِعَ ثُمَّ طُرِحَ فِي مَنْهَلٍ مِنْ مَنَاهِلِ خَيْبَرَ فَاسْتُصْرِخَ عَلَيْهِ أَصْحَابُهُ فَاسْتَخْرَجُوهُ فَغَيَّبُوهُ ثُمَّ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَتَقَدَّمَ أَخُوهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَكَانَ ذَا قِدَمٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَابْنَا عَمِّهِ مَعَهُ حُوَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَمُحَيِّصَةُ فَتَكَلَّمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَكَانَ أَحْدَثَهُمْ سِنًّا وَهُوَ صَاحِبُ الدَّمِ وَذَا قَدَمٍ فِي الْقَوْمِ فَلَمَّا تَكَلَّمَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكُبْرَ الْكُبْرَ قَالَ فَاسْتَأْخَرَ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ثُمَّ هُوَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُسَمُّونَ قَاتِلَكُمْ ثُمَّ تَحْلِفُونَ عَلَيْهِ خَمْسِينَ يَمِينًا ثُمَّ نُسَلِّمُهُ إِلَيْكُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كُنَّا لِنَحْلِفَ عَلَى مَا لَا نَعْلَمُ مَا نَدْرِي مَنْ قَتَلَهُ إِلَّا أَنَّ يَهُودَ عَدُوُّنَا وَبَيْنَ أَظْهُرِهِمْ قُتِلَ قَالَ فَيَحْلِفُونَ لَكُمْ بِاللَّهِ إِنَّهُمْ لَبُرَءَاءُ مِنْ دَمِ صَاحِبِكُمْ ثُمَّ يَبْرَءُونَ مِنْهُ قَالُوا مَا كُنَّا لِنَقْبَلَ أَيْمَانَ يَهُودَ مَا فِيهِمْ أَكْبَرُ مِنْ أَنْ يَحْلِفُوا عَلَى إِثْمٍ قَالَ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ بِمِائَةِ نَاقَةٍ
তাখরীজ: বুখারী, সুলহ ২৭০২; মুসলিম, কাসামাহ ১৬৬৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০০৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী ন্ং ৪০৭ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. নারীকে হত্যা করার শাস্তি হিসেবে পুরুষকে হত্যা করা হবে
২৩৯৩. আমর ইবনু হাযম তার পিতা হতে, তার দাদা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানবাসীদের নিকট একটি পত্র লিখেছিলেন যাতে ছিল: “নারীর (হত্যার) জন্য পুরুষকে হত্যা করা হবে।”[1]
بَاب الْقَوَدِ بَيْنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ وَكَانَ فِي كِتَابِهِ أَنَّ الرَّجُلَ يُقْتَلُ بِالْمَرْأَةِ
তাখরীজ: আমরা এর বিস্তারিত তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৫৫৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭৯৩ তে।
আমরা বলছি: তবে এ অংশের শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস থেকে যেটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ২৮১৮, ২৮৬৬, ৩১৪৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯৯১, ৫৯৯২, ৫৯৯৩ তে। এটি পরবর্তী হাদীস মুলত।
পরিচ্ছেদঃ ৪. কিসাসের প্রয়োগ পদ্ধতি
২৩৯৪. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, এক ইয়াহূদী একটি দাসীর মাথা দু’টি পাথরের মাঝখানে রেখে থেঁতলে দিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, কে তোমাকে এরূপ করেছে? অমুক ব্যক্তি, অমুক ব্যক্তি? যখন জনৈক ইয়াহূদীর নাম বলা হল- তখন সে দাসী মাথার দ্বারা হ্যাঁ সূচক ইশারা করল। ইয়াহূদীকে লোক পাঠিয়ে ধরে আনা হল। সে অপরাধ স্বীকার করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন। তখন তার মাথা দু’টি পাথরের মাঝখানে রেখে থেঁতলে দেয়া হল।[1]
بَاب كَيْفَ الْعَمَلُ فِي الْقَوَدِ
أَخْبَرَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ جَارِيَةً رُضَّ رَأْسُهَا بَيْنَ حَجَرَيْنِ فَقِيلَ لَهَا مَنْ فَعَلَ بِكِ هَذَا أَفُلَانٌ أَفُلَانٌ حَتَّى سُمِّيَ الْيَهُودِيُّ فَأَوْمَأَتْ بِرَأْسِهَا فَبُعِثَ إِلَيْهِ فَجِيءَ بِهِ فَاعْتَرَفَ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُضَّ رَأْسُهُ بَيْنَ حَجَرَيْنِ
তাখরীজ: বুখারী, খুসূমাত ২৪১৩; মুসলিম, কাসামাহ ১৬৭২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ২৮১৮, ২৮৬৬, ৩১৪৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯৯১, ৫৯৯২, ৫৯৯৩ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৫. (কিসাসের ক্ষেত্রে) কোনো মুসলিমকে কোনো কাফিরের হত্যার বিনিময়ে হত্যা করা যাবে না
২৩৯৫. আবূ জুহাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনাদের নিকট আল্লাহ্ তা’আলার কিতাব ব্যতীত ওয়াহীর কোনো কিছু আপনি জানেন কি? তিনি উত্তরে বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ, যিনি শস্য বিদীর্ণ করেছেন এবং প্রাণের সৃষ্টি করেছেন! আল্লাহ্ তা’আলা কুরআন সম্পর্কে একজন মানুষকে যে প্রজ্ঞা দেন এবং এই সহীফার মধ্যে যা কিছু আছে, তার বেশি কিছু আমি জানি না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, সহীফার মধ্যে কী আছে? তিনি বললেন, তাতে রক্তপণ এবং যুদ্ধবন্দী মুক্তি সম্পর্কিত বিধান আছে। তাতে আরো আছে, কোনো মুশরিকের (হত্যার) দায়ে কোন মুমিনকে (কিসাস স্বরূপ) হত্যা করা যাবে না।”[1]
بَاب لَا يُقْتَلُ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ قُلْتُ لِعَلِيٍّ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ عَلِمْتَ شَيْئًا مِنْ الْوَحْيِ إِلَّا مَا فِي كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى قَالَ لَا وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ مَا أَعْلَمُهُ إِلَّا فَهْمًا يُعْطِيهِ اللَّهُ الرَّجُلَ فِي الْقُرْآنِ وَمَا فِي الصَّحِيفَةِ قُلْتُ وَمَا فِي الصَّحِيفَةِ قَالَ الْعَقْلُ وَفِكَاكُ الْأَسِيرِ وَلَا يُقْتَلُ مُسْلِمٌ بِمُشْرِكٍ
তাখরীজ: বুখারী, ইলম ১১১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ৩৩৮, ৪৫১, ৫৬২, ৬২৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী ন্ং ৪০ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৬. ছেলেকে খুনের দায়ে বাবাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা
২৩৯৬. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মসজিদের ভিতর হদ্দ কার্যকর করা যাবে না এবং ছেলেকে খুনের দায়ে বাবাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা যাবে না।”[1]
بَاب فِي الْقَوَدِ بَيْنَ الْوَالِدِ وَالْوَلَدِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَونٍ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُقَامُ الْحُدُودُ فِي الْمَسَاجِدِ وَلَا يُقَادُ بِالْوَلَدِ الْوَالِدُ
আর আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি এবং এর সকল সনদ একত্র করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ ন্ং ২০৭৫ তে এহাদীসের শাহীদ হিসেবে জুবাইর ইবনু মুতঈম এর হাদীসটিতে। এছাড়াও: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৩ নং ৮৭০০; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৪/১৮; সাহমী, তারিখ জুরজান পৃ: ৪৩০ তে। দেখুন, মাজমাউয যাওয়াইদ ন্ং ২০৭৫, ২০৭৬, নাসবুর রায়াহ ৪/৩৪০, ৩৪১ ও তালখীসুল হাবীর ৪/৭৭। ((তিরমিযী, দিয়াত ১৪০১; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯৯, ২৬৬১।-অনুবাদক))
পরিচ্ছেদঃ ৭. ক্রীতদাসকে খুনের দায়ে মনিবকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা
২৩৯৭. সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার দাসকে হত্যা করে আমরা তাকে হত্যা করব; আর কেউ তার দাসের অঙ্গছেদন করলে আমরাও তার অঙ্গছেদন করব।” বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হাসান এ হাদীসটি ভুলে যান এবং বলতে থাকেন দাসের খুনের দায়ে মনিবকে হত্যা করা হবে না।[1]
بَاب فِي الْقَوَدِ بَيْنَ الْعَبْدِ وَسَيِّدِهِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ قَتَلْنَاهُ وَمَنْ جَدَعَهُ جَدَعْنَاهُ قَالَ ثُمَّ نَسِيَ الْحَسَنُ هَذَا الْحَدِيثَ وَكَانَ يَقُولُ لَا يُقْتَلُ حُرٌّ بِعَبْدٍ
তাখরীজ: আহমাদ ৫/১০-১১, ১২, ১৯ ; আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারু আসবাহান ১/১৮৬; ইবনু আবী শাইবা ৯/৩০৩ নং ৭৫৫৭; আবূ দাউদ, দিয়াত ৪৫১৫, ৪৫১৬, ৪৫১৭; তাবারাণী, কাবীর ৭/১৯৭ নং ৬৮০৮, ৬৮০৯; ইবনু আদী, কামিল ২/৭২৯; নাসাঈ, কাসামাহ ৮/২১; তিরমিযী, দিয়াত ১৪১৪; ইবনু মাজাহ, দিয়াত ২৬৬৩; তায়ালিসী ১/২৯৩ নং ১৪৯৩; হাকিম ৪/৩৬৭; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, ১০/১৭৭ নং ২৫৩৩।
পরিচ্ছেদঃ ৮. যে ব্যক্তি তার হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেয়
২৩৯৮. ওয়ায়েল ইবন হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন তাঁর কাছে একজন হত্যাকারীকে আনা হয়। যার গলায় চামড়ার রশি বাঁধা ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেনঃ “তুমি কি তাকে ক্ষমা করে দেবে?” সে বলেঃ না। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তুমি কি রক্তপণ গ্রহণ করবে?” সে বলেঃ না। তখন তিনিআবার তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ “তুমি কি তাকে হত্যা করবে?” সে বলেঃ হাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দেখ, যদি তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, তবে সে ব্যক্তি তোমার ও নিহত ব্যক্তির গুনাহ নিয়ে ফিরবে।” এ কথা শুনে সে ব্যক্তি তাকে ছেড়ে (ক্ষমা করে) দেয়।
রাবী বলেনঃ তখন আমি সে হত্যাকারী ব্যক্তিকে রশি টানতে টানতে যেতে দেখি অথচ তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছিল।[1]
بَاب لِمَنْ يَعْفُو عَنْ قَاتِلِهِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ عَوْفٍ عَنْ حَمْزَةَ أَبِي عُمَرَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ عَنْ أَبِيهِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ شَهِدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أُتِيَ بِالرَّجُلِ الْقَاتِلِ يُقَادُ فِي نِسْعَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَلِيِّ الْمَقْتُولِ أَتَعْفُو قَالَ لَا قَالَ فَتَأْخُذُ الدِّيَةَ قَالَ لَا قَالَ فَتَقْتُلُهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّكَ إِنْ عَفَوْتَ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَبُوءُ بِإِثْمِكَ وَإِثْمِ صَاحِبِكَ قَالَ فَتَرَكَهُ قَالَ فَأَنَا رَأَيْتُهُ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ قَدْ عَفَا عَنْهُ
তাখরীজ: আবূ দাউদ, দিয়াত ৪৫০০, ৪৫০১, ৪৫১৫, নাসাঈ, কাসামাহ ৮/১৫, ১৬, ১৭, ২১; বাইহাকী, জানাইয়াত ৮/৫৫; মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার নং ১৫৯০১; মুসলিম, কাসামাহ ১৬৮০ সনদ সহীহ।
বুখারী, আইমান ওয়ান নুযুর ৬৬৭৫, ইসতিতাবাহ মুরতাদীন ৬৯২০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, ১/৮৫ নং ৪৪।
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোনো মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যা করা সম্পর্কে ভয়াবহ হুঁশিয়ারী
২৩৯৯. আবদুল্লাহ্ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কবীরা গুনাহসমূহ হল, আল্লাহ্র সঙ্গে শরীক করা, পিতামাতার নাফরমানী করা, কাউকে হত্যা করা অথবা - ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কসম করা। এখানে শু’বা (র)-এর সন্দেহ হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে হত্যা করা না মিথ্যা কসমের কথা বলেছিলেন।[1]
بَاب التَّشْدِيدِ فِي قَتْلِ النَّفْسِ الْمُسْلِمَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ فِرَاسٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْكَبَائِرُ الْإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَقَتْلُ النَّفْسِ شُعْبَةُ الشَّاكُّ أَوْ الْيَمِينُ الْغَمُوسُ
তাখরীজ: বুখারী, দিয়াত ৬৮৭০; আইমান ওয়ান নুযূর ৬৬৭৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, ১/৮৫ নং ৪৪; নাসাঈ, তাহরীমুদ দাম ৭/৮৯; কাসামাহ ৮/৬৩; ইসতিতাবাহ মুরতাদীন ৬৯২০।
পরিচ্ছেদঃ ১০. আত্মহত্যাকারীর সম্পর্কে ভয়াবহ হুঁশিয়ারী
২৪০০. সাবিত ইবনু দাহহাক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “কোনো মু’মিন ব্যক্তিকে অভিশাপ দেওয়া তাকে হত্যা করার শামিল, আর যে ব্যক্তি কোন কিছু (অস্ত্র) দিয়ে দুনিয়াতে আত্মহত্যা করে, তাকে তা দিয়েই কিয়ামত দিবসে ’আযাব দেয়া হবে।”[1]
بَاب التَّشْدِيدِ عَلَى مَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ ثَابِتِ بْنِ الضَّحَّاكِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعْنُ الْمُؤْمِنِ كَقَتْلِهِ وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِشَيْءٍ فِي الدُّنْيَا عُذِّبَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
তাখরীজ: বুখারী, জানাইয ১৩৬৩; মুসলিম, ঈমান ১১০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ১৫৩৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৬৬, ৪৩৬৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী ন্ং ৮৭৩ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১০. আত্মহত্যাকারীর সম্পর্কে ভয়াবহ হুঁশিয়ারী
২৪০১. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে লোক লোহার ফলা দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে লোহার ফলা জাহান্নামের আগুনের ভিতরেও তার হাতেই থাকবে, চিরকাল সে তা দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। আর যে লোক বিষপানের মাধ্যমে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ জাহান্নামের আগুনের মধ্যেও তার হাতেই থাকবে, চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে। যে লোক পাহাড়ের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে চিরকাল সে জাহান্নামের ভিতর ঐভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে।”[1]
بَاب التَّشْدِيدِ عَلَى مَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ
حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِحَدِيدَةٍ فَحَدِيدَتُهُ فِي يَدِهِ يَتَوَجَّأُ بِهَا فِي بَطْنِهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِسُمٍّ فَسُمُّهُ فِي يَدِهِ يَتَحَسَّاهُ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا وَمَنْ تَرَدَّى مِنْ جَبَلٍ فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَهُوَ يَتَرَدَّى فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا
তাখরীজ: বুখারী, তিবব ৫৭৭৮; মুসলিম, ঈমান ১০৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯৮৬, ৫৯৮৭ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১১. দিয়াতে সোনা ও রূপার পরিমাণ কত হবে
২৪০২. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ (আদী গোত্রের) জনৈক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তি কর্তৃক নিহত হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বার হাযার দিরহাম ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করেন। আর এটাই মহান আল্লাহর বাণী’-(-র অর্থ): “আর তারা একমাত্র এ কারণেই দোষারোপ করেছিল যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাঁর স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করেছেন।” (সুরা তাওবা: ৭৪) তথা তাদের দিয়াত গ্রহণের মাধ্যমে (তাদেরকে অভাবমুক্ত করেছেন)।[1]
بَاب كَمْ الدِّيَةُ مِنْ الْوَرِقِ وَالذَّهَبِ
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَتَلَ رَجُلٌ رَجُلًا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِيَتَهُ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا فَذَلِكَ قَوْلُهُ وَمَا نَقَمُوا إِلَّا أَنْ أَغْنَاهُمْ اللَّهُ وَرَسُولُهُ مِنْ فَضْلِهِ بِأَخْذِهِمْ الدِّيَةَ
তাখরীজ: আবূ দাউদ, দিয়াত ৪৫৪৬; নাসাঈ, কুবরা ৭০০৬, ৭০০৭; তিরমিযী, দিয়াত ১৩৮৮; ইবনু মাজাহ, দিয়াত ২৬২৯, ২৬৩২; তাবারী ১০/১৮৭; দারুকুতনী ৩/১৩০ নং ১৫২; বাইহাকী ৮/৭৮; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ১০/৩৯৩। আরও দেখুন, তালখীসুল হাবীর ৪/২৩।
পরিচ্ছেদঃ ১১. দিয়াতে সোনা ও রূপার পরিমাণ কত হবে
২৪০৩. আমর ইবনু হাযম তার পিতা হতে, তার দাদা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানবাসীদের নিকট একটি পত্র লিখেছিলেন যাতে ছিল: “যার নিকট স্বর্ণ (মুদ্রা) রয়েছে, তাকে (দিয়াত হিসেবে) এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিতে হবে।”[1]
بَاب كَمْ الدِّيَةُ مِنْ الْوَرِقِ وَالذَّهَبِ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ وَعَلَى أَهْلِ الذَّهَبِ أَلْفُ دِينَارٍ
তাখরীজ: আমরা এটি বিস্তারিত উল্লেখ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৫৫৯ তে ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭৯৩ তে। দেখুন, নাইলূল আওতার ৭/১৬২-১৬৪।
পরিচ্ছেদঃ ১২. দিয়াতে উটের সংখ্যা কত হবে
২৪০৪. আমর ইবনু হাযম তার পিতা হতে, তার দাদা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানবাসীদের নিকট একটি পত্র লিখেছিলেন: “বিসমিল্লা-হির রহমানির রহীম। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ হতে যিরু’আইন, মু’আফির ও হামদানের শাসক যথাক্রমে শুরাহবীল ইবনু আবদি কুলাল, হারিছ ইবনু আবদি কুলাল এবং নু’আইম ইবনু আবদি কুলালের প্রতি।” আর তাঁর চিঠিতে ছিল: “কাউকে হত্যা করার দিয়াত হলো: একশত উট।”[1]
بَاب كَمْ الدِّيَةُ مِنْ الْإِبِلِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شُرَحْبِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَالْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَنُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ قِيَلِ ذِي رُعَيْنٍ وَمَعَافِرَ وَهَمَدَانَ فَكَانَ فِي كِتَابِهِ وَإِنَّ فِي النَّفْسِ الدِّيَةَ مِائَةٌ مِنْ الْإِبِلِ
তাখরীজ: দেখুন, আগের টীকাটি।
পরিচ্ছেদঃ ১২. দিয়াতে উটের সংখ্যা কত হবে
২৪০৫. আমর ইবনু হাযম তার পিতা হতে, তার দাদা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানবাসীদের নিকট একটি পত্র লিখেছিলেন, আর তাঁর চিঠিতে ছিল: যদি কারো নাক পুরোপুরি কাটা যায়, তবে এর ফলে সে পূর্ণ দিয়াত পাবে; আবার জিহবা কাটা গেলে সে পূর্ণ দিয়াত পাবে; আবার যার উভয় ঠোঁট কাটা যাবে, সেও পূর্ণ দিয়াত পাবে; যার অণ্ডকোষদ্বয় কাটা যাবে সেও পূর্ণ দিয়াত পাবে; যার পুরুষাঙ্গ কাটা যাবে সেও পূর্ণ দিয়াত পাবে, পিঠের (কিংবা মেরুদণ্ড বা কোমরের) আঘাতেও সে পূর্ণ দিয়াত পাবে; যার উভয় চোখ নষ্ট হবে, সেও পূর্ণ দিয়াত পাবে। আর কারো এক পা কাটা গেলে, সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। আর যদি কারো মাথার গভীরে পৌঁছে যায়, এমন যখম হয়, তবে তাকে এজন্য দিয়াতের এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করা হবে; এবং পেটের গভীর আঘাতের জন্য দিয়াতের এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করা হবে; আর হাড় বেরিয়ে পড়ে, এমন আঘাতের জন্য পনেরটি উট (দিয়াত হিসেবে) পাবে।”[1]
بَاب كَمْ الدِّيَةُ مِنْ الْإِبِلِ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ وَكَانَ فِي كِتَابِهِ وَفِي الْأَنْفِ إِذَا أُوعِبَ جَدْعُهُ الدِّيَةُ وَفِي اللِّسَانِ الدِّيَةُ وَفِي الشَّفَتَيْنِ الدِّيَةُ وَفِي الْبَيْضَتَيْنِ الدِّيَةُ وَفِي الذَّكَرِ الدِّيَةُ وَفِي الصُّلْبِ الدِّيَةُ وَفِي الْعَيْنَيْنِ الدِّيَةُ وَفِي الرِّجْلِ الْوَاحِدَةِ نِصْفُ الدِّيَةِ وَفِي الْمَأْمُومَةِ ثُلُثُ الدِّيَةِ وَفِي الْجَائِفَةِ ثُلُثُ الدِّيَةِ وَفِي الْمُنَقِّلَةِ خَمْسَ عَشَرَةَ مِنْ الْإِبِلِ
তাখরীজ: আমরা এ হাদীসটি পরিপূর্ণ ভাবে দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৫৫৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭৯৩ এ। আরও দেখুন, পূর্বের টীকাদু’টি।
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ভুলবশত: হত্যার দিয়াত গ্রহণের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কত হবে
২৪০৬. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, ভুল বশতঃ হত্যার দিয়াতের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচ প্রকারের উট নির্ধারণ করেছেন।[1] (সেগুলি হলো: দ্বিতীয় বর্ষে উপনীত বিশটি মাদি উট ও বিশটি নর উট এবং তৃতীয় বর্ষে উপনীত বিশটি মাদী উট, চতুর্থ বর্ষে উপনীত বিশটি মাদী উট এবং পঞ্চম বর্ষে উপনীত বিশটি মাদী উট।)
بَاب كَيْفَ الْعَمَلُ فِي أَخْذِ دِيَةِ الْخَطَإِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ خِشْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ الدِّيَةَ فِي الْخَطَإِ أَخْمَاسًا
তাখরীজ: আহমাদ ১/৩৮৪; বাইহাকী, দিয়াত ৮/৭৫।
তবে এটির ব্যাখ্যাসহ বর্ণনা করেছেন, আহমাদ ১/৪৫০; আবূ দাউদ, দিয়াত, ৪৫৪৫; তিরমিযী, দিয়াত ১৩৮৬; বাইহাকী, দিয়াত ৮/৭৫; নাসাঈ, কুবরা নং ৭০০৫; ইবনু মাজাহ, দিয়াত ২৬৩১; দারুকুতনী ৩/১৭৩।
পরিচ্ছেদঃ ১৪. ক্রীতদাস-দাসীদেরদের মাঝে কিসাস
২৪০৭. ইমরান ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “দরিদ্র লোকের একটি ক্রীতদাস ধনী ব্যক্তির একটি দাসের হাত কেটে দেয়। তখন তার পরিবারের লোকজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে তো একজন দরিদ্র লোক! তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উপর কোন দিয়াত নির্ধারণ করেননি।[1]
بَاب الْقِصَاصِ بَيْنَ الْعَبِيدِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ عَبْدًا لِأُنَاسٍ فُقَرَاءَ قَطَعَ يَدَ غُلَامٍ لِأُنَاسٍ أَغْنِيَاءَ فَأَتَى أَهْلُهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لِأُنَاسٍ فُقَرَاءَ فَلَمْ يَجْعَلْ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا
তাখরীজ: আহমাদ ৪/৪৩৮; আবূ দাউদ, দিয়াত, ৪৫৯০; বাইহাকী, দিয়াত ৮/১০৫; নাসাঈ, কুবরা নং ৬৯৫৩; তাবারাণী, কাবীর ১৮/২০৮ নং ৫১২ সহীহ সনদে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫. আঙ্গুলসমুহের দিয়াত প্রসঙ্গে
২৪০৮. আবূ মূসা আল আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “(দিয়াতের ক্ষেত্রে) সব আঙ্গুলই সমান।” তিনি বলেন, আমি বললাম, (প্রতিটি আঙ্গুলের জন্য দিয়াত কি) দশ-দশটি করে উট? তিনি বললেন: “হাঁ।”[1]
بَاب فِي دِيَةِ الْأَصَابِعِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ غَالِبٍ التَّمَّارِ عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ أَوْسٍ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْأَصَابِعُ سَوَاءٌ قَالَ فَقُلْتُ عَشْرٌ عَشْرٌ قَالَ نَعَمْ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৩৪, ৭৩৩৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০১৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫২৭ এ। এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা, ৯/১৯২ নং ৭০৪০। ((আবূ দাউদ, দিয়াত ৪৫৫৬; নাসাঈ, দিয়াত নং ৪৮৫০, ৪৮৫১; ইবনু মাজাহ, দিয়াত ২৬৫৩; আহমাদ ৬৬৪৩, ৬৭৩৩।– ফাওয়ায আহমাদের দারেমী হা/২৩৬৯ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))
পরিচ্ছেদঃ ১৫. আঙ্গুলসমুহের দিয়াত প্রসঙ্গে
২৪০৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “এটি ও এটি (দিয়াতের ক্ষেত্রে) সমান।” আর তিনি কনিষ্ঠাঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলির প্রতি ইঙ্গিত করে একথা বলেন।[1]
بَاب فِي دِيَةِ الْأَصَابِعِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ هَذَا وَهَذَا سَوَاءٌ وَقَالَ بِخِنْصِرِهِ وَإِبْهَامِهِ
তাখরীজ: বুখারী, দিয়াত ৬৮৯৫।
এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা, ৯/১৯০ নং ৭০৩৩; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৭৮২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০১২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫২৮ এ।