পরিচ্ছেদঃ ১৩৫৯. স্বর্ন ও রৌপ্যের বিনিময়ে গাছের মাথায় ফল বিক্রি করা
২০৫৩. আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং আরিয়্যা এর ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছেন। তা হল তাজা ফল অনুমানে বিক্রি করা, যাতে (ক্রেতা) তাজা খেজুর খাওয়ার সুযোগ লাভ করতে পারে। রাবী সুফিয়ান (রহঃ) আর একবার এভাবে বর্ননা করেছেন, অবশ্য তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরিয়্যা এর ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছেন যে, ফলের মালিক অনুমানে তাজা খেজুর বিক্রয় করে, যাতে তারা (ক্রেতাগন) তাজা খেজুর খেতে পারে। রাবী বলেন, এ কথা পূর্বের কথা একই এবং সুফিয়ান (রহঃ) বলেন, আমি তরুন বয়সে (আমার উস্তাদ) ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) কে বললাম, মক্কাবাসীগন তো বলে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরায়্যা এর ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বললেন, মক্কাবাসীদের তা কিসে অবহিত করল? আমি বললাম, তারা জাবির (রাঃ) থেকে বর্ননা করে থাকেন। এতে তিনি নীরব হয়ে গেলেন। সুফিয়ান (রহঃ) বলেন, আমার কথার মর্ম এই ছিল যে, জাবির (রাঃ) মদিনাবাসী। সুফিয়ান (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, এ হাদীসে এ কথাটুকু নাই যে, উপযোগিতা প্রকাশের আগে ফল বিক্রি নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, না।
باب بَيْعِ الثَّمَرِ عَلَى رُءُوسِ النَّخْلِ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ سَمِعْتُ بُشَيْرًا، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ، وَرَخَّصَ فِي الْعَرِيَّةِ أَنْ تُبَاعَ بِخَرْصِهَا يَأْكُلُهَا أَهْلُهَا رُطَبًا. وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً أُخْرَى إِلاَّ أَنَّهُ رَخَّصَ فِي الْعَرِيَّةِ يَبِيعُهَا أَهْلُهَا بِخَرْصِهَا، يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا. قَالَ هُوَ سَوَاءٌ. قَالَ سُفْيَانُ فَقُلْتُ لِيَحْيَى وَأَنَا غُلاَمٌ إِنَّ أَهْلَ مَكَّةَ يَقُولُونَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا. فَقَالَ وَمَا يُدْرِي أَهْلَ مَكَّةَ قُلْتُ إِنَّهُمْ يَرْوُونَهُ عَنْ جَابِرٍ. فَسَكَتَ. قَالَ سُفْيَانُ إِنَّمَا أَرَدْتُ أَنَّ جَابِرًا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ. قِيلَ لِسُفْيَانَ وَلَيْسَ فِيهِ نَهْىٌ عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ قَالَ لاَ.
Narrated Sahl bin Abu Hathma:
Allah's Messenger (ﷺ) forbade the selling of fruits (fresh dates) for dried dates but allowed the sale of fruits on the 'Araya by estimation and their new owners might eat their dates fresh. Sufyan (in another narration) said, "I told Yahya (a sub-narrator) when I was a mere boy, 'Meccans say that the Prophet (ﷺ) allowed them the sale of the fruits on 'Araya by estimation.' Yahya asked, 'How do the Meccans know about it?' I replied, 'They narrated it (from the Prophet (ﷺ) ) through Jabir.' On that, Yahya kept quiet." Sufyan said, "I meant that Jabir belonged to Medina." Sufyan was asked whether in Jabir's narration there was any prohibition of selling fruits before their benefit is evident (i.e. no dangers of being spoilt or blighted). He replied that there was none.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৭৯. মুশরিকেরদের সাথে সন্ধি।
২৫২১। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খায়বার সন্ধিবদ্ধ থাকাকালে আবদুল্লাহ ইবনু সাহল ও মুহাইয়াসা ইবনু মাসউদ ইবনু যায়দ (রাঃ) খায়বার গিয়েছিলেন।
باب الصُّلْحِ مَعَ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ انْطَلَقَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ زَيْدٍ إِلَى خَيْبَرَ، وَهْىَ يَوْمَئِذٍ صُلْحٌ.
Narrated Sahl bin Abu Hathma:
`Abdullah bin Sahl and Muhaiyisa bin Mas`ud bin Zaid went to Khaibar when it had a peace treaty (with the Muslims).
পরিচ্ছেদঃ ১৯৭২. মুশরিকদের সাথে পণ্য-সামগ্রী ইত্যাদির বিনিময়ে সন্ধিচুক্তি এবং যে অঙ্গীকার পূরণ করে না তার গুনাহ। আর (আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ) "তারা (কাফির) যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে তবে আপনিও সন্ধির দিকে ঝুঁকবেন এবং মহান আল্লাহর উপর নির্ভর করবেন, তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ (আনফালঃ ৬১)
بَابُ إِذَا قَالُوا صَبَأْنَا وَلَمْ يُحْسِنُوا أَسْلَمْنَا
وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ فَجَعَلَ خَالِدٌ يَقْتُلُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ خَالِدٌ
وَقَالَ عُمَرُ إِذَا قَالَ مَتْرَسْ. فَقَدْ آمَنَهُ، إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ الأَلْسِنَةَ كُلَّهَا
وَقَالَ تَكَلَّمْ لاَ بَأْسَ
১৯৭১. পরিচ্ছেদঃ যদি কাফিররা যুদ্ধকালে ভালরূপে “আমরা ইসলাম গ্রহন করেছি” বলতে না পারে এবং “আমরা দ্বীন পরিবর্তন করেছি” বলে।
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলেন, খাদিদ ইবন ওয়ালীদ (রাঃ) সে সব লোকদের কতল করলেন। (এ সংবাদ পৌছার পর) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয় আল্লাহ্! খালিদের একাজে আমি সম্পর্কহীন প্রকাশ করেছি। উমর (রাঃ) বলেন,
কেউ যদি বলে مترس (মারাতাস) ভয় করো না, তবে সে তাকে নিরাপত্তা দান করল। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা সকল ভাষা জানেন। উমর (রাঃ) (হারমুযান পারসীকে) বললেন, কথা বল, কোন অসুবিধা নেই। (এতে নিরাপত্তা দান করা হল)
২৯৪৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু সাহল মুহায়্যিসা ইবনু মাসউদ ইবনু যায়দ (রাঃ) খায়বারের দিকে গেলেন। তখন খায়বারের ইয়াহুদীদের সাথে সন্ধি ছিল। পরে তারা উভয়ে পৃথক হয়ে গেলেন। তারপর মুহায়্যিসা আবদুল্লাহ ইবনু সাহলে কাছে আসেন এবং বলেন যে, তিনি মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছেন। তখন মুহায়্যিসা তাকে দাফন করলেন। তারপর মদিনায় এলেন। আবদুর রাহমান ইবনু সাহল ও মাসউদের দুই পুত্র মুহায়্যিসা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলেন। আবদুর রহমান (রাঃ) কথা বলতে এগিয়ে এলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বড়কে আগে বলতে দাও, বড়কে আগে বলতে দাও। আর আবদুর রহমান ইবনু সাহল (রাঃ) ছিলেন সর্বকনিষ্ট। এতে তিনি চুপ রইলেন এবং মুহায়্যিসা ও হুওয়ায়্যিসা উভয় কথা বললেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি শপথ করে বলবে এবং তোমাদের হত্যাকারীর অথবা বলেছেন, তোমাদের সঙ্গীর রক্ত পানের অধিকারী হবে? তারা বললেন, আমরা কি রূপে শপথ করব? আমরা তো উপস্থিত ছিলাম না এবং স্বচক্ষে দেখিনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে ইয়াহুদীরা পঞ্চাশটি শপথের মাধ্যমে তোমাদের থেকে অব্যাহতি লাভ করবে। তারা বললেন, তারা তো কাফির সম্প্রদায়। আমরা কি রূপে তাদের শপথ গ্রহণ করতে পারি? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ থেকে আবদুর রহমানকে তার ভাইয়ের দীয়াত পরিশোধ করলেন।
بَابُ الْمُوَادَعَةِ وَالْمُصَالَحَةِ مَعَ الْمُشْرِكِينَ بِالْمَالِ وَغَيْرِهِ، وَإِثْمِ مَنْ لَمْ يَفِ بِالْعَهْدِ وَقَوْلِهِ: {وَإِنْ جَنَحُوا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا} الآيَةَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ ـ هُوَ ابْنُ الْمُفَضَّلِ ـ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ انْطَلَقَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ زَيْدٍ إِلَى خَيْبَرَ، وَهْىَ يَوْمَئِذٍ صُلْحٌ، فَتَفَرَّقَا، فَأَتَى مُحَيِّصَةُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ وَهْوَ يَتَشَحَّطُ فِي دَمٍ قَتِيلاً، فَدَفَنَهُ ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةُ وَحُوَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَتَكَلَّمُ فَقَالَ " كَبِّرْ كَبِّرْ ". وَهْوَ أَحْدَثُ الْقَوْمِ، فَسَكَتَ فَتَكَلَّمَا فَقَالَ " أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ قَاتِلَكُمْ أَوْ صَاحِبَكُمْ ". قَالُوا وَكَيْفَ نَحْلِفُ وَلَمْ نَشْهَدْ وَلَمْ نَرَ قَالَ " فَتُبْرِيكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ ". فَقَالُوا كَيْفَ نَأْخُذُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ فَعَقَلَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ.
Narrated Sahl bin Abi Hathma:
`Abdullah bin Sahl and Muhaiyisa bin Mas`ud bin Zaid set out to Khaibar, the inhabitants of which had a peace treaty with the Muslims at that time. They parted and later on Muhaiyisa came upon `Abdullah bin Sah! and found him murdered agitating in his blood. He buried him and returned to Medina. `Abdur Rahman bin Sahl, Muhaiyisa and Huwaiuisa, the sons of Mas`ud came to the Prophet (ﷺ) and `Abdur Rahman intended to talk, but the Prophet (ﷺ) said (to him), "Let the eldest of you speak." as `Abdur-Rahman was the youngest:. `Abdur-Rahman kept silent and the other two spoke. The Prophet (ﷺ) said, "If you swear as to who has committed the murder, you will have the right to take your right from the murderer." They said, "How should we swear if we did not witness the murder or see the murderer?" The Prophet (ﷺ) said, "Then the Jews can clear themselves from the charge by taking Alaska (an oath taken by men that it was not they who committed the murder)." The!y said, "How should we believe in the oaths of infidels?" So, the Prophet (ﷺ) himself paid the blood money (of `Abdullah).
পরিচ্ছেদঃ ২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ। গাতফানের শাখা গোত্র বনূ সালাবার অন্তর্গত খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের সাথে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (সা) নাখল নামক স্থানে অবতরণ করেছিলেন। খায়বার যুদ্ধের পর এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কেননা আবূ মুসা (রা) খায়বার যুদ্ধের পর (হাবশা থেকে ) এসেছিলেন। আবদুল্লাহ্ ইব্ন রাজা (র) ...... জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) সপ্তম যুদ্ধ তথা যাতুর রিকার যুদ্ধে তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইব্ন আব্বাস (র) বলেছেন, নবী (সা) যূকারাদের যুদ্ধে সালাতুল খাওফ আডায় করেছেন। বকর ইব্ন সাওয়াদা (র) ......জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাবির ও সালাবা গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় নবী (সা) সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইব্ন ইসহাক (র) ......... জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) নাখল নামক স্থান থেকে যাতুর রিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গাতফান গোত্রের একটি দলের সম্মুখীন হন। কিন্তু সেখানে কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। উভয় পক্ষ পরষ্পর ভীতি প্রদর্শন করেছিল মাত্র। তখন নবী (সা) দু’রাকাত সালাতুল খাওফ আদায় করেন। ইয়াযীদ (র) সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সা)-এর সংগে যুকারাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
৩৮২৬। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... সাহ্ল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন (সালাতুল খাওফে) ইমাম কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াবেন। মুকতাদীদের একদল থাকবেন তাঁর সাথে। এবং অন্যদল শত্রুদের মুখোমুখী হয়ে তাদের মুকাবিলায় দাঁড়িয়ে থাকবেন। তখন ইমাম তাঁর পেছনে ইকতেদাকারী লোকদের নিয়ে এক রাকাত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবেন। এরপর ইকতেদাকারীগণ নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে রুকূ ও দু’সিজদাসহ আরো এক রাকাত সালাত আদায় করে ঐ দলের স্থানে গিয়ে দাঁড়াবেন। এরপর তারা এসে একতেদা করার পর ইমাম তাদের নিয়ে আরো এক রাকাত সালাত আদায় করবেন। এভাবে ইমামের দু’রাকাত সালাত (নামায/নামাজ) পূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর মুকতাদিগণ রুকূ সিজদাসহ আরো এক রাকাত সালাত আদায় করবেন।
باب غزوة ذات الرقاع وهي غزوة محارب خصفة من بني ثعلبة من غطفان فنزل نخلا وهي بعد خيبر لأن أبا موسى جاء بعد خيبر و قال عبد الله بن رجاء أخبرنا عمران القطان عن يحيى بن أبي كثير عن أبي سلمة عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم صلى بأصحابه في الخوف في غزوة السابعة غزوة ذات الرقاع قال ابن عباس صلى النبي صلى الله عليه وسلم الخوف بذي قرد وقال ب
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ يَقُومُ الإِمَامُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ، وَطَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ مِنْ قِبَلِ الْعَدُوِّ، وُجُوهُهُمْ إِلَى الْعَدُوِّ، فَيُصَلِّي بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً، ثُمَّ يَقُومُونَ، فَيَرْكَعُونَ لأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً وَيَسْجُدُونَ سَجْدَتَيْنِ فِي مَكَانِهِمْ، ثُمَّ يَذْهَبُ هَؤُلاَءِ إِلَى مَقَامِ أُولَئِكَ فَيَرْكَعُ بِهِمْ رَكْعَةً، فَلَهُ ثِنْتَانِ، ثُمَّ يَرْكَعُونَ وَيَسْجُدُونَ سَجْدَتَيْنِ.
Narrated Sahl bin Abi Hathma:
(describing the Fear prayer): The Imam stands up facing the Qibla and one batch of them (i.e. the army) (out of the two) prays along with him and the other batch faces the enemy. The Imam offers one rak`a with the first batch they themselves stand up alone and offer one bowing and two prostrations while they are still in their place, and then go away to relieve the second batch, and the second batch comes (and takes the place of the first batch in the prayer behind the Imam) and he offers the second rak`a with them. So he completes his two-rak`at and then the second batch bows and prostrates two prostrations (i.e. complete their second rak`a and thus all complete their prayer).
পরিচ্ছেদঃ ২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ। গাতফানের শাখা গোত্র বনূ সালাবার অন্তর্গত খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের সাথে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (সা) নাখল নামক স্থানে অবতরণ করেছিলেন। খায়বার যুদ্ধের পর এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কেননা আবূ মুসা (রা) খায়বার যুদ্ধের পর (হাবশা থেকে ) এসেছিলেন। আবদুল্লাহ্ ইব্ন রাজা (র) ...... জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) সপ্তম যুদ্ধ তথা যাতুর রিকার যুদ্ধে তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইব্ন আব্বাস (র) বলেছেন, নবী (সা) যূকারাদের যুদ্ধে সালাতুল খাওফ আডায় করেছেন। বকর ইব্ন সাওয়াদা (র) ......জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাবির ও সালাবা গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় নবী (সা) সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইব্ন ইসহাক (র) ......... জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) নাখল নামক স্থান থেকে যাতুর রিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গাতফান গোত্রের একটি দলের সম্মুখীন হন। কিন্তু সেখানে কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। উভয় পক্ষ পরষ্পর ভীতি প্রদর্শন করেছিল মাত্র। তখন নবী (সা) দু’রাকাত সালাতুল খাওফ আদায় করেন। ইয়াযীদ (র) সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সা)-এর সংগে যুকারাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
৩৮২৭। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... সাহ্ল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب غزوة ذات الرقاع وهي غزوة محارب خصفة من بني ثعلبة من غطفان فنزل نخلا وهي بعد خيبر لأن أبا موسى جاء بعد خيبر و قال عبد الله بن رجاء أخبرنا عمران القطان عن يحيى بن أبي كثير عن أبي سلمة عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم صلى بأصحابه في الخوف في غزوة السابعة غزوة ذات الرقاع قال ابن عباس صلى النبي صلى الله عليه وسلم الخوف بذي قرد وقال ب
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
(This hadith has also been narrated through two other chain by Sahl b. Abi Hathma)
পরিচ্ছেদঃ ২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ। গাতফানের শাখা গোত্র বনূ সালাবার অন্তর্গত খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের সাথে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (সা) নাখল নামক স্থানে অবতরণ করেছিলেন। খায়বার যুদ্ধের পর এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কেননা আবূ মুসা (রা) খায়বার যুদ্ধের পর (হাবশা থেকে ) এসেছিলেন। আবদুল্লাহ্ ইব্ন রাজা (র) ...... জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) সপ্তম যুদ্ধ তথা যাতুর রিকার যুদ্ধে তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইব্ন আব্বাস (র) বলেছেন, নবী (সা) যূকারাদের যুদ্ধে সালাতুল খাওফ আডায় করেছেন। বকর ইব্ন সাওয়াদা (র) ......জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাবির ও সালাবা গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় নবী (সা) সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইব্ন ইসহাক (র) ......... জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) নাখল নামক স্থান থেকে যাতুর রিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গাতফান গোত্রের একটি দলের সম্মুখীন হন। কিন্তু সেখানে কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। উভয় পক্ষ পরষ্পর ভীতি প্রদর্শন করেছিল মাত্র। তখন নবী (সা) দু’রাকাত সালাতুল খাওফ আদায় করেন। ইয়াযীদ (র) সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সা)-এর সংগে যুকারাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
৩৮২৮। মুহাম্মদ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ (রহঃ) সাহল (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (পূর্ব বর্ণিত) হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب غزوة ذات الرقاع وهي غزوة محارب خصفة من بني ثعلبة من غطفان فنزل نخلا وهي بعد خيبر لأن أبا موسى جاء بعد خيبر و قال عبد الله بن رجاء أخبرنا عمران القطان عن يحيى بن أبي كثير عن أبي سلمة عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم صلى بأصحابه في الخوف في غزوة السابعة غزوة ذات الرقاع قال ابن عباس صلى النبي صلى الله عليه وسلم الخوف بذي قرد وقال ب
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ يَحْيَى، سَمِعَ الْقَاسِمَ، أَخْبَرَنِي صَالِحُ بْنُ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلٍ، حَدَّثَهُ قَوْلَهُ.
(This hadith has also been narrated through two other chain by Sahl b. Abi Hathma)
পরিচ্ছেদঃ ২৮৮৭. ‘কাসামাহ’ (শপথ)। আশআছ ইবনু কায়স (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) আমাকে বলেছেন, তুমি দু’জন সাক্ষী পেশ করবে, নতুবা তার কসম! ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) বলেন, মু’আবিয়া (রাঃ) কাসামা অনুযায়ী কিসাস গ্রহণ করতেন না। উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) তাঁর তরফ থেকে নিযুক্ত বসরার গভর্নর আদী ইবনু আরতাত (রহঃ) এর কাছে একজন নিহত ব্যক্তির ব্যাপারে পত্র লিখেন, যাকে তেল ব্যবসায়ীদের বাড়ীর কাছে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, যদি তার আত্মীয়-স্বজনরা প্রমান পেশ করতে পারে তবে দন্ড প্রদান করবে নতুবা লোকদের ওপর জুলম করবে না। কেননা, তা এমন ব্যাপার, যার কিয়ামত পর্যন্ত ফায়সালা করা যায় না।
৬৪৩১। আবু নূআয়ম (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার গোত্রের একদল লোক খায়বার গমন করল ও তথায় তারা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ল। তারা তাদের একজনকে নিহত অবস্থায় পেল। এবং যাদের কাছে তাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল তাদেরকে তারা বলল, তোমরা আমাদের সাথীকে হত্যা করেছ। তারা বলল, আমরা তাকে না হত্যা করেছি, না হত্যাকারীকে জানি। এরপর তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা খায়বার গিয়েছিলাম। আর আমাদের একজনকে তথায় নিহত অবস্থায় পেলাম। তখন তিনি বললেন, বায়োবৃদ্ধকে বলতে দাও। বায়োবৃদ্ধকে বলতে দাও। তারপর তিনি তাদেরকে বললেনঃ তোমাদেরকে তার হত্যাকারীর বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করতে হবে। তারা বলল আমাদের কাছে কোন প্রমাণ নেই। তিনি বললেনঃ তাহলে ওরা কসম করে নেবে। তারা বলল, ইহুদীদের কসমে আমাদের আস্থা নেই। এ নিহতের রক্ত মূল্যহীন হযে যাক তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করলেন না। তাই সাদাকার একশ উট প্রদান করে তার রক্তপণ আদায় করলেন।
باب القسامة وقال الأشعث بن قيس قال النبي صلى الله عليه وسلم شاهداك أو يمينه وقال ابن أبي مليكة لم يقد بها معاوية وكتب عمر بن عبد العزيز إلى عدي بن أرطاة وكان أمره على البصرة في قتيل وجد عند بيت من بيوت السمانين إن وجد أصحابه بينة وإلا فلا تظلم الناس فإن هذا لا يقضى فيه إلى يوم القيامة
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، زَعَمَ أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ نَفَرًا مِنْ قَوْمِهِ انْطَلَقُوا إِلَى خَيْبَرَ فَتَفَرَّقُوا فِيهَا، وَوَجَدُوا أَحَدَهُمْ قَتِيلاً، وَقَالُوا لِلَّذِي وُجِدَ فِيهِمْ قَتَلْتُمْ صَاحِبَنَا. قَالُوا مَا قَتَلْنَا وَلاَ عَلِمْنَا قَاتِلاً. فَانْطَلَقُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ انْطَلَقْنَا إِلَى خَيْبَرَ فَوَجَدْنَا أَحَدَنَا قَتِيلاً. فَقَالَ " الْكُبْرَ الْكُبْرَ ". فَقَالَ لَهُمْ " تَأْتُونَ بِالْبَيِّنَةِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ ". قَالُوا مَا لَنَا بَيِّنَةٌ. قَالَ " فَيَحْلِفُونَ ". قَالُوا لاَ نَرْضَى بِأَيْمَانِ الْيَهُودِ. فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُبْطِلَ دَمَهُ، فَوَدَاهُ مِائَةً مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ.
Narrated Sahl bin Abi Hathma:
(a man from the Ansar) that a number of people from his tribe went to Khaibar and dispersed, and then they found one of them murdered. They said to the people with whom the corpse had been found, "You have killed our companion!" Those people said, "Neither have we killed him, nor do we know his killer." The bereaved group went to the Prophet (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We went to Khaibar and found one of us murdered." The Prophet (ﷺ) said, "Let the older among you come forward and speak." Then the Prophet (ﷺ) said, to them, "Bring your proof against the killer." They said "We have no proof." The Prophet (ﷺ) said, "Then they (the defendants) will take an oath." They said, "We do not accept the oaths of the Jews." Allah's Messenger (ﷺ) did not like that the Blood-money of the killed one be lost without compensation, so he paid one-hundred camels out of the camels of Zakat (to the relatives of the deceased) as Diya (Blood-money).
পরিচ্ছেদঃ ৩০৪২. শাসকের পত্র কর্মকর্তাদের প্রতি এবং বিচারকের পত্র সচিবদের প্রতি
৬৭০২। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ ও ইসমাঈল (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ও তাঁর গোত্রের কতিপয় বড় বড় ব্যাক্তি বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবনু সাহল ও মুহাইয়াসা ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়ে খায়বারে আসেন। একদা মুহাইয়াসা জানতে পারেন যে, আবদুল্লাহ নিহত হয়েছে এবং তার লাশ একটি গর্তে অথবা কূপে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখন তিনি ইহুদীদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর শপথ! নিঃসন্দেহে তোমরাই তাকে হত্যা করেছ। তারা বলল, আল্লাহর কসম করে বলছি, আমরা তাকে হত্যা করিনি। তারপর তিনি তার গোত্রের নিকট এসে এ ঘটনা বর্ণনা করলেন। পরে তিনি, তার বড় ভাই হুওয়াইয়াসা এবং আবদুর রহমান ইবনু সাহল আসলেন। মুহাইয়াসা যিনি খায়বারে ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এ ঘটনা বলার জন্য অগ্রসর হলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বড়কে কথা বলতে দাও, বড়কে কথা বলতে দাও। তিনি এতে উদ্দেশ্য করেছেন বয়সে প্রবীণকে।
তখন হুওয়াইয়াসা প্রথমে ঘটনা বর্ণনা করলেন। এরপর কথা বললেন, মুহাইয়াসা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হয়ত তারা তোমাদের মৃত সঙ্গীর রক্তপণ আদায় করবে, না হয় তাদের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এ মর্মে চিঠি লিখলেন। জবাবে তাদের পক্ষ থেকে লেখা হল যে, আমরা তাকে হত্যা করিনি। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুওয়াইয়াসা, মুহাইয়াসা ও আবদুর রহমানকে বললেনঃ তোমরা কি কসম খেয়ে বলতে পারবে? তাহলে তোমরা তোমাদের সাথীর রক্তপণের অধিকারী হতে পারবে। তারা বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে ইহুদীরা কি তোমাদের সামনে কসম করবে? তাঁরা বলল, এরা তো মুসলিম নয়। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ থেকে একশ উট রক্তপণ হিসাবে আদায় করে দিলেন। শেষ পর্যন্ত উটগুলোকে ঘরে প্রবেশ করানো হল। সাহল বলেন, একটি উট আমাকে লাথি মেরেছিল।
باب كِتَابِ الْحَاكِمِ إِلَى عُمَّالِهِ، وَالْقَاضِي إِلَى أُمَنَائِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي لَيْلَى، ح حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ هُوَ، وَرِجَالٌ، مِنْ كُبَرَاءِ قَوْمِهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمْ، فَأُخْبِرَ مُحَيِّصَةُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ قُتِلَ وَطُرِحَ فِي فَقِيرٍ أَوْ عَيْنٍ، فَأَتَى يَهُودَ فَقَالَ أَنْتُمْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُوهُ. قَالُوا مَا قَتَلْنَاهُ وَاللَّهِ. ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَذَكَرَ لَهُمْ، وَأَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ ـ وَهْوَ أَكْبَرُ مِنْهُ ـ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ، فَذَهَبَ لِيَتَكَلَّمَ وَهْوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِمُحَيِّصَةَ " كَبِّرْ كَبِّرْ ". يُرِيدُ السِّنَّ، فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ يُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ ". فَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ بِهِ، فَكُتِبَ مَا قَتَلْنَاهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ " أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ ". قَالُوا لاَ. قَالَ " أَفَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ ". قَالُوا لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ. فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ مِائَةَ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتِ الدَّارَ. قَالَ سَهْلٌ فَرَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ.
Narrated Abu Laila bin `Abdullah bin `Abdur-Rahman bin Sahl:
Sahl bin Abi Hathma and some great men of his tribe said, `Abdullah bin 'Sahl and Muhaiyisa went out to Khaibar as they were struck with poverty and difficult living conditions. Then Muhaiyisa was informed that `Abdullah had been killed and thrown in a pit or a spring. Muhaiyisa went to the Jews and said, "By Allah, you have killed my companion." The Jews said, "By Allah, we have not killed him." Muhaiyisa then came back to his people and told them the story. He, his elder brother Huwaiyisa and `Abdur-Rahman bin Sahl came (to the Prophet) and he who had been at Khaibar, proceeded to speak, but the Prophet (ﷺ) said to Muhaiyisa, "The eldest! The eldest!" meaning, "Let the eldest of you speak." So Huwaiyisa spoke first and then Muhaiyisa. Allah's Messenger (ﷺ) said, "The Jews should either pay the blood money of your (deceased) companion or be ready for war." After that Allah's Messenger (ﷺ) wrote a letter to the Jews in that respect, and they wrote that they had not killed him. Then Allah's Messenger (ﷺ) said to Huwaiyisa, Muhaiyisa and `Abdur-Rahman, "Can you take an oath by which you will be entitled to take the blood money?" They said, "No." He said (to them), "Shall we ask the Jews to take an oath before you?" They replied, "But the Jews are not Muslims." So Allah's Apostle gave them one-hundred she-camels as blood money from himself. Sahl added: When those she-camels were made to enter the house, one of them kicked me with its leg.
পরিচ্ছেদঃ ১৪. শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করা হারাম কিন্তু 'আরায়া' হারাম নয়
৩৭৪৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা কানবী (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাছমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, এটাই সুদ, এটাই মুযাবানা। অবশ্য তিনি আরায়াকৃত বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছেন। অর্থাৎ একটি, দু’টি (বা অধিক) খেজুর গাছ (আরায়া রূপে দান করার পরে) বাড়ীর মালিক এর পরিমাণ অনুমান করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে রেখে দিবে এবং তাজা খেজুর খাবে।
باب تَحْرِيمِ بَيْعِ الرُّطَبِ بِالتَّمْرِ إِلاَّ فِي الْعَرَايَا
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ - عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ دَارِهِمْ مِنْهُمْ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ وَقَالَ " ذَلِكَ الرِّبَا تِلْكَ الْمُزَابَنَةُ " . إِلاَّ أَنَّهُ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ النَّخْلَةِ وَالنَّخْلَتَيْنِ يَأْخُذُهَا أَهْلُ الْبَيْتِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا .
Bashair b. Yasir reported on the authority of some of the Companions of Allah's Messenger (ﷺ) among the members of his family among whom one was Sahl b. Abu Hathma that Allah's Messenger (ﷺ) forbade buying of fresh dates against dry dates and that it is Riba and this is Muzabana, but he made an exemption of 'ariyya (donations) of a tree or two in which case the members of a family sell dry dates and buy fresh dates for eating them.
পরিচ্ছেদঃ ১৪. শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করা হারাম কিন্তু 'আরায়া' হারাম নয়
৩৭৪৬। আমরুন নাকিদ ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমার সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উপরোক্ত বর্ণনায় অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب تَحْرِيمِ بَيْعِ الرُّطَبِ بِالتَّمْرِ إِلاَّ فِي الْعَرَايَا
وَحَدَّثَنَاهُ عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ، سَعِيدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
A hadith like this has been narrated on the authority of Sahl b. Abu Hathma.
পরিচ্ছেদঃ ১. 'কাসামা' - খুনের ব্যাপারে হলফ করা
৪১৯৫। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... সাহল ইবন আবু হাসমা ও রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনু সাহল ইবন যায়দ (রাঃ) মুহায়্যিসা ইবনু মাসউদ ইবনু যায়িদ (রাঃ) বাড়ী থেকে বের হয়ে খায়বার পর্যন্ত এলেন। এরপর সেখান থেকে উভয়েই পৃথক হয়ে গেলন। তারপর হঠাৎ মুহায়্যিাসা (রাঃ) আবদুল্লাহ ইবনু সাহলকে একস্থানে নিহত অবস্থায় পেলেন। তখন তিনি তাঁকে দাফন করলেন। এরপর তিনি এবং হুওয়ায়্যিসা ইবনু মাসউদ (রাঃ) ও আবদুর রহমান ইবনু সাহল (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আগমন করলেন। আর তিনি হিলেন দলের সর্ব কনিষ্ঠ ব্যক্তি। আবদুর রহমান (রাঃ) তার উভয় সাথীর আগে কথা বলতে উদ্যত হলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমাদের মধ্যে যে (ব্যক্তি বয়সে বড়) তাকে কথা বলতে দাও। সুতরাং তিনি চুপ করে গেলেন এবং তার সঙ্গীদ্বয় কথা বললেন। আর তিনিও (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের দুজনের সাথে কথা বললেন।
তাঁরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আবদুল্লাহ ইবনু সাহল (রাঃ) এর নিহত হবার সম্পর্কে আলোচনা করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেনঃ তোমরা কি এ ব্যাপারে পঞ্চাশবার হলফ (শপখ) করতে পারবে? তা হলে তোমরা তোমাদের প্রতিপক্ষ অথবা হত্যাকারীর রক্তের অধিকার (কিসাস অথবা দিয়্যাত) দাবী করতে পারবে। প্রতি উত্তরে তারা বলল, আমরা কিভাবে এ ব্যাপারে হলফ (শপথ) করবো? আমরাতো সেখানে তখন উপস্থিত ছিলাম না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেনঃ তাহলে ইয়াহুদীরা পঞ্চাশবার হলফ করে তোমাদের দাবী থেকে দায়মুক্ত হবে। তাঁরা তখন বলল, আমরা কিভাবে কাফির সম্প্রদায়ের হলফ গ্রহণ করে নেব? (তারা তো মিথ্যা কসম করবে)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঐ অবস্থা অবলোকন করলেন, তখন তার ’দিয়্যাত’ দিয়ে দিলেন।
باب الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ - عَنْ بُشَيْرِ، بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، - قَالَ يَحْيَى وَحَسِبْتُ قَالَ - وَعَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّهُمَا قَالاَ خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلِ بْنِ زَيْدٍ وَمُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ زَيْدٍ حَتَّى إِذَا كَانَا بِخَيْبَرَ تَفَرَّقَا فِي بَعْضِ مَا هُنَالِكَ ثُمَّ إِذَا مُحَيِّصَةُ يَجِدُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَتِيلاً فَدَفَنَهُ ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ وَحُوَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَكَانَ أَصْغَرَ الْقَوْمِ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِيَتَكَلَّمَ قَبْلَ صَاحِبَيْهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَبِّرِ " . الْكُبْرَ فِي السِّنِّ فَصَمَتَ فَتَكَلَّمَ صَاحِبَاهُ وَتَكَلَّمَ مَعَهُمَا فَذَكَرُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقْتَلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ فَقَالَ لَهُمْ " أَتَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا فَتَسْتَحِقُّونَ صَاحِبَكُمْ " . أَوْ " قَاتِلَكُمْ " . قَالُوا وَكَيْفَ نَحْلِفُ وَلَمْ نَشْهَدْ قَالَ " فَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا " . قَالُوا وَكَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَى عَقْلَهُ .
Sahl b. Abu Hathma and Rafi' b. Khadij reported that 'Abdullah b. Sahl b. Zaid and Muhayyisa b. Mas'ud b. Zaid went out and as they reached Khaibar they were separated. Then Muhayyisa found 'Abdullah b. Sahl having been killed. He buried him, and then came to Allah's Messenger (ﷺ). They were Huwayyisa b. Mas'ud and 'Abd al-Rahman b. Sahl, and he (the latter one) was the youngest of the people (those three who had come to seek an interview with the Holy Prophet) began to talk before his Companions (had spoken). Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said:
The eldest one (eldest in regard to age should speak). So he kept quiet, and his companions (Muhayyisa and Huwayyisa) began to speak, and he ('Abd al Rahman) spoke along with them and they narrated to Allah's Messenger (ﷺ) the murder of 'Abdullah b. Sahl. Thereupon he said to them: Are you prepared to take fifty oaths so that you may be entitled (to blood-wit) of your companion (or your man who has murdered)? They said: How can we take an oath on a matter which we have not witnessed? He (the Holy Prophet) said: Then the Jews will exonerate themselves by fifty oaths. They said: How can we accept the oaths of people who are unbelievers? When Allah's Messenger (ﷺ) saw that, he himself paid his blood-wit.
পরিচ্ছেদঃ ১. 'কাসামা' - খুনের ব্যাপারে হলফ করা
৪১৯৭। আল-কাওয়ারিরী (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ননা করেছেন। আর তিনিفَعَقَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ (তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ হতে তার "দিয়্যাত" আদায় করে দেন) এই কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁর বর্ণিত হাদীসে فَرَكَضَتْنِي نَاقَةٌ (উটনী আমাকে লাথি মারল) একথা বলেন নি।
باب الْقَسَامَةِ
وَحَدَّثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ، يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . نَحْوَهُ . وَقَالَ فِي حَدِيثِهِ فَعَقَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ . وَلَمْ يَقُلْ فِي حَدِيثِهِ فَرَكَضَتْنِي نَاقَةٌ .
Sahl b. Abu Hathma has narrated this hadith through another chain of transmitters with a slight variation of words, but no mention has been made of the hitting by the she-camel.
পরিচ্ছেদঃ ১. 'কাসামা' - খুনের ব্যাপারে হলফ করা
৪২০১। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমা আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাদের মধ্য হতে একদল লোক খায়বারের দিকে গমন করল। এরপর তারা সেখান পৃথক হয়ে গেল। তারপর তারা তাদের একজনকে নিহত অবস্থায় পেল। এভাবে হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ননা করেন।
বর্ণনাকারী বলেন যে, এতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুনের বদলা (দিয়্যাত) বাতিল করে দেওয়াকে অপছন্দ মনে করলেন। অতএব, তিনি সাদাকার উট থেকে একশ উট ’দিয়্যাত’ হিসেবে প্রদান করলেন।
باب الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا بُشَيْرُ، بْنُ يَسَارٍ الأَنْصَارِيُّ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ نَفَرًا مِنْهُمُ انْطَلَقُوا إِلَى خَيْبَرَ فَتَفَرَّقُوا فِيهَا فَوَجَدُوا أَحَدَهُمْ قَتِيلاً . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ فِيهِ فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُبْطِلَ دَمَهُ فَوَدَاهُ مِائَةً مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ .
Bushair b. Yasar al-Ansari reported on the authority of Sahl b. Abu Hathma al-Ansari that some men (of his tribe went to Khaibar, and they were separated from one another, and they found one of them slain. The rest of the hadith is the same. And it was said in this connection:
Allah's Messenger (may peace be him) did not approve of his blood go waste. He paid blood-wit of one hundred camels of Sadaqa.
পরিচ্ছেদঃ ১. 'কাসামা' - খুনের ব্যাপারে হলফ করা
৪২০২। ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ... সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অন্তর্গত আবদুল্লাহ ইবনু সাহল এবং মুহায়্যিসা (রাঃ) অনটনগ্রস্ত হয়ে খায়বারের দিকে গমন করলেন। এরপর জনৈক ব্যক্তি মুহায়্যিসা (রাঃ) এর নিকট এসে খবর দিল যে, আবদুল্লাহ ইবনু সাহল (রাঃ) নিহত হয়েছেন এবং তাকে একটি পস্রবণ অথবা পরিত্যক্ত কূপের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে। সুতরাং তিনি সেখানকার ইয়াহুদী সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে বললেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই তোমরা তাকে হত্যা করেছ। তখন তারা বলল,আল্লাহর কসম! আমরা তাঁকে হত্যা করিনি। এরপর তিনি তার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে এলেন এবং তাদের কাছে ঐ ঘটনা বর্ননা করলেন।
পরিশেষে তিনি এবং তার বড় ভাই হুওয়ায়্যিসা ও আবদুর রহমান ইবনু সাহল (রাঃ) (নবীজীর কাছে) আগমন করলেন। এরপর মুহায়্যিসা (রাঃ) কথা বলাতে উদ্যত হলেন, যিনি (নিহত ব্যক্তির সঙ্গে) খায়বারে ছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহায়্যিসা (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেন, বড় জন! বড় জন! (অর্থাৎ বয়স্ক ব্যক্তির কথা বলা চাই)। তখন হুওয়ায়্যিসা (রাঃ) কথাবার্তা বললেন, এরপর মুহায়্যিসা (রাঃ) বললেন।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হয়ত তারা তোমাদের সাথীর খুনের বদলা (দিয়্যাত) আদায় করে দিবে নতুবা যুদ্ধের জন্য তৈরি হবে।তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে ঐ ব্যাপারে পত্র লিখলেন। তারা লিখল যে, আল্লাহর শপথ! নিশ্চয়ই আমরা তাকে হত্যা করিনি। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুওয়ায়্যিসা, মুহায়্যিসা এবং আবদুর রহমান (রাঃ) কে বললেন, তোমরা কি এ ব্যাপারে হলফ করে তোমাদের প্রতিপক্ষের (খুনের) হকদার হবে? তাবা বলল, না।
তখন তিনি বললেনঃ তাহলে ইয়াহুদীরা তোমাদের কাছে হলফ করবে। তারা তখন বলল, তারা তো (ইয়াহুদী) মুসলিম নয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ হতে তার “দিয়্যাত” (খুনের বদলা) আদায় করে দিলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের একশ উটনী পাঠিয়ে দিলেন এবং ঐগুলো তাদের বাড়ীতে পৌঁছিয়ে দেয়া হল। সাহল (রাঃ) বলেন, ঐগুলোর মধ্য হতে একটি লাল রংগের উটনী আমাকে লাথি মেরেছিল।
باب الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي أَبُو لَيْلَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ رِجَالٍ، مِنْ كُبَرَاءِ قَوْمِهِ أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمْ فَأَتَى مُحَيِّصَةُ فَأَخْبَرَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَدْ قُتِلَ وَطُرِحَ فِي عَيْنٍ أَوْ فَقِيرٍ فَأَتَى يَهُودَ فَقَالَ أَنْتُمْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُوهُ . قَالُوا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ . ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَذَكَرَ لَهُمْ ذَلِكَ ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ فَذَهَبَ مُحَيِّصَةُ لِيَتَكَلَّمَ وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمُحَيِّصَةَ " كَبِّرْ كَبِّرْ " . يُرِيدُ السِّنَّ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ وَإِمَّا أَنْ يُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ " . فَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ فَكَتَبُوا إِنَّا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ " أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " فَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ " . قَالُوا لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ . فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِائَةَ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمُ الدَّارَ . فَقَالَ سَهْلٌ فَلَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ .
Abu Laila 'Abdullah b. 'Abd al-Rahman b. Sahl reported that the elderly persons of (the tribe) had informed Sahl b. Abu Hathma that 'Abdullah b. Sahl and Muhayyisa went out to Khaibar under some distress which had afflicted them. Muhayyisa came and informed that Abdutlah b. Sahl had been killed, and (his dead body) had been thrown in a well or in a ditch. He came to the Jews and said:
By Allah, it is you who have killed him. They said: By Allah, we have not killed him. He then came to his people, and made mention of that to them. Then came he and his brother Huwayyisa, and he was older than he, and 'Abd al-Rahman b. Sahl. Then Muhayyisa went to speak, and it was he who had accompanied ('Abdullah) to Khaibar, whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said to Muhayyisa: Observe greatness of the great (he meant the seniority of age). Then Huwayyisa spoke and then Muhayyisa also spoke. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: They should either pay blood-wit for your companion, or be prepared for war. Allah's Messenger (ﷺ) wrote about it to them (to the Jews). They wrote: Verily, by Allah, we have not killed him. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said to Huwayyisa and Muhayyisa and Abd al-Rahman: Are you prepared to take oath in order to entitle yourselves for the blood-wit of your companion? They said: No. He (the Holy Prophet) said: Then the Jews will take oath (of their innocence). They said: They are not Muslims. Allah's Messenger (ﷺ), however, himself paid the blood-wit to them and sent to them one hundred camels until they entered into their houses, Sahl said: One red she-camel among them kicked me.
পরিচ্ছেদঃ ১১৩. সুতরার নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়ানো।
৬৯৫. মুহাম্মাদ ইবনুুনুস-সাব্বাহ ..... সাহল ইবনু আবূ হাছমা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন সুত্রা স্থাপন করে নামায পড়ে তখন সে যেন তার নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়ায়- যাতে শয়তান তার নামাযের মধ্যে কোনরূপ কুমন্ত্রণা দিতে না পারে। (নাসাঈ)।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীছ ওয়াকিদ থেকে মুহাম্মাদ ইবনু সাহলের সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। কেউ কেউ বলেন, হাদীছটি নাফে থেকে সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীছের সনদের মধ্যে মতানৈক্য আছে।
باب الدُّنُوِّ مِنَ السُّتْرَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَحَامِدُ بْنُ يَحْيَى، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى سُتْرَةٍ فَلْيَدْنُ مِنْهَا لاَ يَقْطَعُ الشَّيْطَانُ عَلَيْهِ صَلاَتَهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ وَاقِدُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ صَفْوَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَهْلٍ عَنْ أَبِيهِ أَوْ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَهْلٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَعْضُهُمْ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَاخْتُلِفَ فِي إِسْنَادِهِ .
Narrated Sahl ibn AbuHathmah:
The Prophet (ﷺ) said: When one of you prays facing a sutrah he should keep close to it, and not let the devil interrupt his prayer.
Abu Dawud said: This tradition has also been narrated by Waqid b. Muhammad from Safwan from Muhammad b. Sahl on the authority of his father, or on the authority of Muhammad b. Sahl from the Prophet (ﷺ). Some have narrated it from Nafi' b. Jubair on the authority of Sahl b. Sa'd. There is a variation in the chain of its narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১১৩. সুতরার নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়ানো।
৬৯৬. আল্-কানবী ও আন-নুফায়লী ..... সাহল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাঁড়ানোর স্থান ও কিবলার দেয়ালের মাঝখানে একাটি বকরী অতিক্রম করার মত ফাঁক থাকত। (বুখারী, মুসলিম)।
باب الدُّنُوِّ مِنَ السُّتْرَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، وَالنُّفَيْلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ وَكَانَ بَيْنَ مُقَامِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ مَمَرُّ عَنْزٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْخَبَرُ لِلنُّفَيْلِيِّ .
Sahl said:
The distance between the place where the Prophet (ﷺ) stood and the qiblah (i.e. the sutrah or the wall of the mosque) was as much as to allow a goat to pass.
পরিচ্ছেদঃ ২৮৭. যেসব বিশেষজ্ঞ আলেম বলেন, শংকাকালীন সময়ে এক কাতার (দল) ইমামের সাথে নামায পড়বে এবং অপর কাতার শত্রুর মোকাবিলায় দণ্ডায়মান থাকবে। তাঁদের অভিমত এই যে, যারা ইমামের নিকটবর্তী থাকবে, ইমাম তাদেরকে নিয়ে এক রাকাত (প্রথম রাকাত) নামায আদায় করে ততক্ষন দণ্ডায়মান থাকবেন, যতক্ষন না তাঁর সাথে নামায আদায়কারীরা নিজ নিজ দ্বিতীয় রাকাত নামায সম্পন্ন করবে। অতঃপর তাঁরা শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে যাবে, যারা ঐ দায়িত্বে নিয়োজিত তাঁরা এসে ইমামের পিছনে দাঁড়াবে। তখন ইমাম তাদেরকে নিয়ে এক রাকাত (অর্থাৎ ইমামের দ্বিতীয় রাকাত) নামাজ আদায় করে ততক্ষন বসবেন, যতক্ষন না পিছনে আগমনকারীরা তাঁদের দ্বিতীয় রাকাত নামায আদায় সম্পন্ন করে। অতঃপর ইমাম সকলকে (উভয় দলকে) নিয়ে সালাম ফিরাবে।
১২৩৭. উবায়দুল্লাহ ইবন মুয়ায (রহঃ) ..… সাহল ইবন আবী হাসমা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় নামায আদায় করেন। ঐ সময় তিনি তাঁর পিছনে দুই সারিতে লোকদের দাঁড় করান। অতঃপর তিনি তাঁর নিকটবর্তী সারির লোকদের নিয়ে এক রাকাত নামায আদায় করেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাঁর সাথে নামায আদায়কারীগন স্ব স্ব দ্বিতীয় রাকাত আদায় করেন। অতঃপর তাঁরা পশ্চাতে সরে গেলে পিছনের সারির লোকেরা সামনে এসে দাঁড়ালে তিনি তাদেরকে নিয়ে আরও এক রাকাত নামায আদায় করেন। অতঃপর তিনি বসে থাকা অবস্থায় পিছনে আগমনকারীরা তাঁদের দ্বিতীয় রাকাত আদায় করেন। অতঃপর তিনি সকলকে নিয়ে সালাম ফিরান। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিযি, ইবন মাজা, নাসাঈ)।
باب مَنْ قَالَ يَقُومُ صَفٌّ مَعَ الإِمَامِ وَصَفٌّ وِجَاهَ الْعَدُوِّ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِأَصْحَابِهِ فِي خَوْفٍ فَجَعَلَهُمْ خَلْفَهُ صَفَّيْنِ فَصَلَّى بِالَّذِينَ يَلُونَهُ رَكْعَةً ثُمَّ قَامَ فَلَمْ يَزَلْ قَائِمًا حَتَّى صَلَّى الَّذِينَ خَلْفَهُمْ رَكْعَةً ثُمَّ تَقَدَّمُوا وَتَأَخَّرَ الَّذِينَ كَانُوا قُدَّامَهُمْ فَصَلَّى بِهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً ثُمَّ قَعَدَ حَتَّى صَلَّى الَّذِينَ تَخَلَّفُوا رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ .
Narrated Sahl b. Abi Hathmah:
The Prophet (ﷺ) prayed in time of danger and divided them (the people) behind him in two rows. He then led those who were near him in one rak'ah. Then he stood and remained standing till those who were in second row offered one rak'ah. Thereafter they came forward and those who were in front of them (in the first row) stepped backward. The Prophet (ﷺ) led them in one rak'ah of prayer. He sat down till those who were in the second row completed on rak'ah. He then uttered the salutation.
পরিচ্ছেদঃ ২৮৮. যেসব বিশেষজ্ঞ আলেম বলেন, শংকাকালীন সময়ে ইমাম এক দলকে নিয়ে এক রাকাত আদায় করে দাঁড়িয়ে থাকবেন এবং তাঁর সাথীগণ নিজ নিজ দ্বিতীয় রাকাত আদায় করে সালাম ফিরিয়ে শত্রুর মুকাবিলায় চলে যাবে এবং সালামের ব্যপারে মতভেদ আছে।
১২৩৯. আল কানবী (রহঃ) ..... সাহল ইবন আবু হাসমা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ভয় ভীতির সময়ে নামাযের নিয়ম এই যে, ইমাম এক দল লোক নিয়ে নামাযে দাঁড়াবে এবং অপর দল দুশমনের মুকাবেলায় নিয়োজিত থাকবে। অতঃপর ইমাম তাঁর নিকটতম সাথীদের সাথে এক রাকাত নামায রুকু সিজদা সহ আদায় করবে এবং পরে ইমাম দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাঁর এই সঙ্গীগণ স্ব স্ব দ্বিতীয় রাকাত আদায় করবে এবং সালাম শেষে তাঁরা চলে গিয়ে দুশমনের মুকাবিলা করবে। ঐ সময় যারা দুশমনের মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিল তাঁরা এসে তাকবীর পাঠানতে ইমামের পশ্চাতে দণ্ডায়মান হবে। তখন ইমাম তাঁদের সাথে রুকু ও সিজদা করে (দ্বিতীয় রাকাত আদায়ের পর) সালাম ফিরাবে। ঐ সময় তাঁর সঙ্গীরা দণ্ডায়মান হয়ে স্ব স্ব বাকী নামায আদায় করে সালাম ফিরাবে। (বুখারি, তিরমিজি, নাসাঈ, ইবন মাজা)।
باب مَنْ قَالَ إِذَا صَلَّى رَكْعَةً وَثَبَتَ قَائِمًا أَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمُوا ثُمَّ انْصَرَفُوا فَكَانُوا وِجَاهَ الْعَدُوِّ وَاخْتُلِفَ فِي السَّلاَمِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ الأَنْصَارِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ صَلاَةَ الْخَوْفِ أَنْ يَقُومَ الإِمَامُ وَطَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَطَائِفَةٌ مُوَاجِهَةَ الْعَدُوِّ فَيَرْكَعُ الإِمَامُ رَكْعَةً وَيَسْجُدُ بِالَّذِينَ مَعَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَإِذَا اسْتَوَى قَائِمًا ثَبَتَ قَائِمًا وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمُ الرَّكْعَةَ الْبَاقِيَةَ ثُمَّ سَلَّمُوا وَانْصَرَفُوا وَالإِمَامُ قَائِمٌ فَكَانُوا وِجَاهَ الْعَدُوِّ ثُمَّ يُقْبِلُ الآخَرُونَ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا فَيُكَبِّرُونَ وَرَاءَ الإِمَامِ فَيَرْكَعُ بِهِمْ وَيَسْجُدُ بِهِمْ ثُمَّ يُسَلِّمُ فَيَقُومُونَ فَيَرْكَعُونَ لأَنْفُسِهِمُ الرَّكْعَةَ الْبَاقِيَةَ ثُمَّ يُسَلِّمُونَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَمَّا رِوَايَةُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنِ الْقَاسِمِ نَحْوُ رِوَايَةِ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ إِلاَّ أَنَّهُ خَالَفَهُ فِي السَّلاَمِ وَرِوَايَةُ عُبَيْدِ اللَّهِ نَحْوُ رِوَايَةِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ وَيَثْبُتُ قَائِمًا .
صحيح خ دون ذكر التسليم في الموضعين وهو موقوف ؤ ما قبله مزفوع, و فيه سلام الإمام بالطائفة الثانية وهو الآصح (الألباني
Narrated Sahl b. Abi Hathmah al-Ansari:
The prayer time of danger should be offered in the following way: The imam should stand (for prayer) and a section of the people should stand along with him. The other section should stand facing the enemy. The imam should perform bowing and prostrate himself along with those who are with him. He then should stand (after prostration) and, when he stands straight, he should remain standing. They (the people) should (in the meantime) complete their remaining rak'ah (i.e. the second one). They they should utter the salutation, and turn away while the imam should remain standing. They should go before the enemy. Thereafter those who did not pray should come forward and utter the takbir (Allah is most great) behind imam. He should bow and prostrate along with them and utter the salutation. Then they should stand and completed their remaining rak'ah, and utter the salutation.
Abu Dawud said: The tradition reported by Yahya b. Sa'id from al-Qasim is similar to the one transmitted by Yazid b. Ruman except that he differed with him in salutation. The tradition reported by 'Ubaid Allah is like the one reported by Yahya b. Sa'id, saying: He (the Prophet) remained standing.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০০. রাবী ইবন সুলায়মান মুআয্যিন (রহঃ) .... সাহল ইবন আবী হাছমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বর যুদ্ধে প্রাপ্ত সমস্ত মালামাল দু’ভাগে বিভক্ত করেন। যার একাংশ তিনি তাঁর নিজের প্রয়োজন পূরণের জন্য গ্রহণ করেন এবং বাকী অংশটি আঠার ভাগে বিভক্ত করে মুসলিমদের মাঝে বন্টন করে দেন।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنِي سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ نِصْفَيْنِ نِصْفًا لِنَوَائِبِهِ وَحَاجَتِهِ وَنِصْفًا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ قَسَمَهَا بَيْنَهُمْ عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا .
Sahl bin Abi Hathmah said “The Apostle of Allaah(ﷺ) divide Khaibar into two halves. One half was reserved for his emergency and needs, the other half was meant for the Muslims. He divided among them into eighteen portions.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১৪. আরায়া বা গাছের ফল পেড়ে বিক্রি করা।
৩৩৩০. উছমান ইবন আবী শায়বা (রহঃ) ...... সাহল ইবন আবী হাছমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুকনো খেজুরকে তাজা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং আরায়ার অনুমতি দিয়েছেন, যাতে অনুমান করে বিক্রি করা যায় এবং মালিক তাজা ফল খেতে পারে।
باب فِي بَيْعِ الْعَرَايَا
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا أَنْ تُبَاعَ بِخَرْصِهَا يَأْكُلُهَا أَهْلُهَا رُطَبًا .
Narrated Sahl b. Abi Khathmah:
The Messenger of Allah (ﷺ) forbade the sale of fruits for dried dates, but gave license regarding the 'araya for its sale on the basis of a calculation of their amount. But those who buy them can eat them when fresh.