পরিচ্ছেদঃ ১. কুকুর শিকারের উদ্দেশ্যে পাঠানোর সময় বিসমিল্লাহ বলা এবং কুকুরের শিকার (খাওয়া)
২০৪০. আদী ইবনু হাতীম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আমি কুকুরের দ্বারা প্রাপ্ত শিকার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে তিনি বললেনঃ যে শিকারকে কুকুর তোমার জন্য ধরে রাখে সেটি খাও। কেননা, কুকুরের শিকার করা যবেহর হুকুম রাখে। তবে তুমি যদি তোমার কুকুরের সঙ্গে অন্য কুকুর পাও এবং তুমি আশঙ্কা কর যে, অন্য কুকুরটিও তোমার কুকুরের শিকার ধরেছে এবং হত্যা করেছে, তাহলে তা খেও না। কারণ, তুমি তো কেবল নিজের কুকুর ছাড়ার সময় বিসমিল্লাহ বলেছ। অন্যের কুকুরের জন্য তা বলনি।”[1]
بَاب التَّسْمِيَةِ عِنْدَ إِرْسَالِ الْكَلْبِ وَصَيْدِ الْكِلَابِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا عَنْ عَامِرٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَيْدِ الْكَلْبِ فَقَالَ مَا أَمْسَكَ عَلَيْكَ فَكُلْ فَإِنَّ أَخْذَهُ ذَكَاتُهُ وَإِنْ وَجَدْتَ مَعَهُ كَلْبًا فَخَشِيتَ أَنْ يَكُونَ قَدْ أَخَذَهُ مَعَهُ وَقَدْ قَتَلَهُ فَلَا تَأْكُلْهُ فَإِنَّكَ إِنَّمَا ذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ عَلَى كَلْبِكَ وَلَمْ تَذْكُرْهُ عَلَى غَيْرِهِ
তাখরীজ: বুখারী, উযূ ১৭৫ অংশবিশেষ; মুসলিম, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ১৯২৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৮০, ৫৮৮১ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৩৮, ৯৩৯, ৯৪২ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১. কুকুর শিকারের উদ্দেশ্যে পাঠানোর সময় বিসমিল্লাহ বলা এবং কুকুরের শিকার (খাওয়া)
২০৪১. আদী ইবনু হাতীম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আমি ’মে’রায’ (পালকবিহীন তীরের ভোতা ফলক) দ্বারা শিকার করা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম।’ এরপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]
بَاب التَّسْمِيَةِ عِنْدَ إِرْسَالِ الْكَلْبِ وَصَيْدِ الْكِلَابِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا عَنْ عَامِرٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَيْدِ الْمِعْرَاضِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।
পরিচ্ছেদঃ ২. পশু রক্ষার জন্য কিংবা শিকারের জন্য কুকুর পালন সম্পর্কে
২০৪২. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি এমন কুকুর পালে যেটি পশু রক্ষার জন্যও নয় কিংবা শিকারের জন্যও নয়; তার ’আমল থেকে প্রত্যেহ দু’ কীরাত পরিমাণ কমে যাবে।”[1]
بَاب فِي اقْتِنَاءِ كَلْبِ الصَّيْدِ أَوْ الْمَاشِيَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اقْتَنَى كَلْبًا إِلَّا كَلْبَ صَيْدٍ أَوْ مَاشِيَةٍ نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ
তাখরীজ: বুখারী, যাবাইহ ওয়াস সাইদ নং ৫৪৮০.৫৪৮১, ৫৪৮২; মুসলিম, মুসাক্বাত ১৫৭৪।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪১৮, ৫৪৪১, ৫৫৩৮, ৫৫৫২; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৫৩ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৪৫, ৬৪৬ তে।
পরিচ্ছেদঃ ২. পশু রক্ষার জন্য কিংবা শিকারের জন্য কুকুর পালন সম্পর্কে
২০৪৩. সুফিয়ান ইবনে আবূ যুহাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি তার এক সঙ্গীর নিকট হাদীস বর্ণনা করলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি কুকুর পোষে এবং তা তার কৃষিক্ষেত বা পশুপাল পাহারায় প্রয়োজন হয় না, তার আমল থেকে প্রতিদিন এক কীরাত পরিমাণ হ্রাস পায়।” সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি এটি সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছেন? তিনি বলেন, হাঁ, এই মসজিদের প্রতিপালকের শপথ।[1]
بَاب فِي اقْتِنَاءِ كَلْبِ الصَّيْدِ أَوْ الْمَاشِيَةِ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّهُ سَمِعَ سُفْيَانَ بْنَ أَبِي زُهَيْرٍ يُحَدِّثُ نَاسًا مَعَهُ عِنْدَ بَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ اقْتَنَى كَلْبًا لَا يُغْنِي عَنْهُ زَرْعًا وَلَا ضَرْعًا نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ قَالُوا أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِي وَرَبِّ هَذَا الْمَسْجِدِ
তাখরীজ: মালিক, ইসতি’যান ১২; আহমাদ ৫/১১৯, ১২০; ইবনু আবী শাইবা, ৫/৪০৯, রদ্দু আলা আবী হানীফাহ ১৪/২০৮ নং ১৮১১০; ইবনু মাজাহ, সাইদ ৩২০৬; ইবনু আবী আসীম, আল আহাদ ওয়াল মাছানী নং ১৫৯৮; তাবারাণী, আল কাবীর ৭/৭৪ নং ৬৪১৪; বুখারী, হারছু ওয়াল মাযারা’আহ ২৩২৩, বাদাউল খালক ৩৩২৫; মুসলিম, মাসাকাহ ১৫৭৬; নাসাঈ, সাইদওয়ায যাবাইহ ৭/১৮৭, ১৮৮; ইবনুল কানি’ মু’জামুস সাহাবাহ তরজমাহ ৩৮৯।
পরিচ্ছেদঃ ২. পশু রক্ষার জন্য কিংবা শিকারের জন্য কুকুর পালন সম্পর্কে
২০৪৪. আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর হত্যার নির্দেশ দেন, অতঃপর বলেনঃ লোকেদের কুকুরের কী প্রয়োজন? এরপর তিনি তাদের কৃষিক্ষেত ও বাগান পাহারায় নিয়োজিত কুকুর পোষার অনুমতি দেন।[1]
بَاب فِي اقْتِنَاءِ كَلْبِ الصَّيْدِ أَوْ الْمَاشِيَةِ
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِقَتْلِ الْكِلَابِ ثُمَّ قَالَ مَا بَالِي وَلِلْكِلَابِ ثُمَّ رَخَّصَ فِي كَلْبِ الزَّرْعِ وَكَلْبِ الصَّيْدِ
তাখরীজ: আহমাদ ৪/৮৬; আবী দাউদ, তাহারাত ৭৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ২৭৮১; মুসলিম, তাহারাত ২৮০, মাসাকাহ ১৫৮৩;; ইবনু মাজাহ, সাইদ ৩২০১; ইবনু আবী শাইবা ৫/৪০৫-৪০৬।
পরিচ্ছেদঃ ৩. কুকুর হত্যা সম্পর্কে
২০৪৫. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর হত্যার নির্দেশ দেন।[1]
بَاب فِي قَتْلِ الْكِلَابِ
أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِ الْكِلَابِ
তাখরীজ: মালিক, ইসতি’যান ১৪; বুখারী, বাদাউল খালক ৩৩২৩; মুসলিম, মাসাকাহ ১৫৭০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৬৩০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৪৮ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. কুকুর হত্যা সম্পর্কে
২০৪৬. আবদুল্লাহ ইবন মুগাফফাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কুকুর যদি (আল্লাহর সৃষ্ট) জাতিসমূহের এক জাতি না হত তবে আমি এর সবগুলোকে হত্যা করতে নির্দেশ দিতাম। তবে, সকল ঘোর কালো কুকুরগুলিকে তোমরা হত্যা করবে।”সাঈদ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ঘোর’ তথা সকল কালোগুলিকে।[1]
بَاب فِي قَتْلِ الْكِلَابِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا عَوْفٌ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْلَا أَنَّ الْكِلَابَ أُمَّةٌ مِنْ الْأُمَمِ لَأَمَرْتُ بِقَتْلِهَا كُلِّهَا وَلَكِنْ اقْتُلُوا مِنْهَا كُلَّ أَسْوَدَ بَهِيمٍ قَالَ سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ الْبَهِيمُ الْأَسْوَدُ كُلُّهُ
তাখরীজ: মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৮৯৪ তে আমাদের টীকাটি দেখুন। আর আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৫০, ৫৬৫৫, ৫৬৫৬, ৫৬৫৭, ৫৬৫৯ তে। বিগত ২০৪৯ নং হাদীসটিও দেখুন।
পরিচ্ছেদঃ ৪. তীরের ফলার আঘাতে নিহত শিকারের ব্যাপারে
২০৪৭. আদী ইবনু হাতিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তীরের ফলার আঘাতে প্রাপ্ত শিকারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে তিনি বললেনঃ “তীরের ধারালো অংশের দ্বারা যেটি নিহত হয়েছে সেটি খাও। আর ফলকের ভোঁতা অংশের আঘাতে যেটি নিহত হয়েছে সেটি ’ওয়াকীয’ (অর্থাৎ থেতলে যাওয়া মৃতের মধ্যে গণ্য)। সুতরাং তুমি তা খাবে না।”[1]
بَاب فِي صَيْدِ الْمِعْرَاضِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْمِعْرَاضِ فَقَالَ إِذَا أَصَابَ بِحَدِّهِ فَكُلْ وَإِذَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَقَتَلَ فَإِنَّهُ وَقِيذٌ فَلَا تَأْكُلْ
তাখরীজ: বুখারী, যাবাইহ ওয়াস সাইদ নং ৫৪৭৫; মুসলিম, মুসাক্বাত ১৯২৯। আর এটি ২০৪৫, ২০৪৬ (অনুবাদে ২০৩৯, ২০৪০) নং এ গত হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ৫. ফড়িং (পঙ্গপাল) খাওয়া প্রসঙ্গে
২০৪৮. ইবনু আবূ আওফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমরা (তাঁর সঙ্গে) ফড়িংও খেয়েছি।[1]
بَاب فِي أَكْلِ الْجَرَادِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ نَأْكُلُ الْجَرَادَ
তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৫৩, ৩৮০; বুখারী, যাবাইহ ওয়াস সাইদ নং ৫৪৯৫; মুসলিম, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ১৯৫২; তিরমিযী, আত’আমাহ ১৮২২, ১৮২৩; আবী দাউদ, আত’আমাহ ৩৮১২; নাসাঈ, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ৭/২১০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৫৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৩০ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৬. সাগরের শিকার সম্পর্কে
২০৪৯. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে প্রশ্ন করলো। সে বললো: আমরা সমূদ্রে যাতায়াত করি, আমাদের সাথে সামান্য পরিমানে (খাওয়ার) পানি থাকে। ফলে আমরা যদি তা দিয়ে ওযু করি, তবে পিপাসায় কাতর হয়ে যাবো। এমতাবস্থায় আমরা কি সমুদ্রের পানি দ্বারা ওযু করতে পারবো? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “এর পানি তো পবিত্র এবং এর মৃত প্রাণীও হালাল।”[1]
بَاب فِي صَيْدِ الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ قِرَاءَةً عَنْ مَالِكٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَلَمَةَ مِنْ آلِ الْأَزْرَقِ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ أَبِي بُرْدَةَ وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّا نَرْكَبُ الْبَحْرَ وَنَحْمِلُ مَعَنَا الْقَلِيلَ مِنْ الْمَاءِ فَإِنْ تَوَضَّأْنَا بِهِ عَطِشْنَا أَفَنَتَوَضَّأُ مِنْ مَاءِ الْبَحْرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحِلُّ مَيْتَتُهُ
তাখরীজ: এটি ৭৫৫, ৭৫৬ (অনুবাদে ৭৫১, ৭৫২) নং এ গত হয়েছে।
((আবু দাউদ ৮৩; হাকিম ১/১৪০; ইবনু মাজাহ ৩৮৬; তিরমিযী ৬৯; আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২৪৩; মাওয়ারিদুয যামআন নং ১১৯ এ।
এছাড়া এটি বর্ণিত হয়েছে: বাইহাকী, আল মা’রেফাহ নং ৪৭৩; দারুকুতনী ১/৩৬ নং ১৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ২৮১; খতীব, তারীখে বাগদাদ ৭/১৩৯; হাকিম ১/১৪০-১৪২। আরও দেখুন, তালখীসুল হাবীর ১/৯-১২; নাইলুল আওতার ১/১৭-২১; দিরায়াহ ১/৫৩-৫৪ এবং ৭৫১ নং হাদীসের টীকাটিও।– আমরা ৭৫৬ (অনুবাদে ৭৫২) নং এর টীকাটি এখানে পুনরায় উল্লেখ করা হলো।–অনুবাদক))
পরিচ্ছেদঃ ৬. সাগরের শিকার সম্পর্কে
২০৫০. জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এক অভিযানে প্রেরণ করেন। আমরা ছিলাম তিনশত জন। এক সময় (আমাদের খাদ্য নিঃশেষ হওয়ায়) আমরা ক্ষুধায় কাতর হলাম। আমরা এভাবে সাগরে পৌঁছে গেলাম। সেখানে সাগর (এর ঢেউ) একটা মাছ পাড়ে নিক্ষেপ করলো। আমরা তা আহার করলাম এবং আমাদের দেহগুলি হৃষ্টপুষ্ট হয়ে গেলো। তারপর আবূ উবায়দাহ (রাঃ) সে মাছের পাঁজর হতে দু’টো কাঁটা নিয়ে দাঁড় করালেন। দলের সবচেয়ে লম্বা লোকটি দলের সবচেয়ে বড় উটটিকে তার পাঁজরের নীচ দিয়ে চালিয়ে নিয়ে গেল (কিন্তু উটের দেহ সে দু’টো কাঁটা স্পর্শ করল না)। এটি এর অর্থ।[1]
بَاب فِي صَيْدِ الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ثَلَاثِ مِائَةٍ فَأَصَابَنَا جُوعٌ حَتَّى أَتَيْنَا الْبَحْرَ وَقَدْ قَذَفَ دَابَّةً فَأَكَلْنَا مِنْهَا حَتَّى ثَابَتْ أَجْسَامُنَا فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ ضِلْعًا مِنْ أَضْلَاعِهَا فَوَضَعَهُ ثُمَّ حَمَلَ أَطْوَلَ رَجُلٍ فِي الْجَيْشِ عَلَى أَعْظَمِ بَعِيرٍ فِي الْجَيْشِ فَمَرَّ تَحْتَهُ هَذَا مَعْنَاهُ
তাখরীজ: বুখারী, শিরকাহ নং ২৪৮৩; মুসলিম, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ১৯৩৫;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৮৬, ১৯২০, ১৯৫৪, ১৯৫৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৫৯, ৫২৬০, ৫২৬১, ৫২৬২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৭৮ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৭. খরগোশের গোশত খাওয়া সম্পর্কে
২০৫১. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’মাররুয্ যাহরান’-এ একটি খরগোশকে ধাওয়া করলাম। তখন লোকেরাও এর পেছনে ছুটল এবং তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ল। এরপর আমি সেটিকে ধরে ফেললাম এবং আবূ ত্বলহার নিকট নিয়ে এলাম। তিনি এটিকে যবেহ করলেন এবং তার পিছনের অংশ -কিংবা শু’বার সন্দেহ- দু’ রান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন এবং তিনি তা গ্রহণ করলেন।[1]
بَاب فِي أَكْلِ الْأَرْنَبِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ هِشَامُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَنَسٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ أَنْفَجْنَا أَرْنَبًا وَنَحْنُ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَى الْقَوْمُ فَلَغِبُوا فَأَخَذْتُهَا وَجِئْتُ بِهَا إِلَى أَبِي طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا وَبَعَثَ بِوَرِكَيْهَا أَوْ فَخِذَيْهَا شَكَّ شُعْبَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَبِلَهَا
তাখরীজ: বুখারী, হিবাহ ২৫৭২, যাবাইহ ওয়াস সাইদ নং ৫৪৮৯, ৫৫৫৩; মুসলিম, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ১৯৫৩; তায়ালিসী ১/৩৪২ নং ১৭৪৩; তিরমিযী, আতআমাহ ১৭৯০; আহমাদ ৩/১১৮, ১৭১, ২৩২, ২৯১; ইবনু মাজাহ, সাইদ ৩২৪৩; নাসাঈ, সাইদ ৭/১৯৭; আবূ দাউদ, আত’ইমাহ ৩৭৯১।
পরিচ্ছেদঃ ৭. খরগোশের গোশত খাওয়া সম্পর্কে
২০৫২. মুহাম্মদ ইবনু সাফওয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি দুটি খরগোশকে ঝুলিয়ে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপর তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আমার পরিবারের ছাগলের নিকট যাওয়ার সময় এ খরগোশ দু’টি শিকার করি, অতঃপর সে দু’টি কে যবেহ করার মতো ছুরি জাতীয় কোনো কিছু না পাওয়ায় আমি সে দু’টিকে পাতলা সাদা পাথর দ্বারা যবাহ করি। আমি কি এ দু’টি খাবো? তখন তিনি বললেন: “হাঁ।”[1]
بَاب فِي أَكْلِ الْأَرْنَبِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ صَفْوَانَ أَنَّهُ مَرَّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَرْنَبَيْنِ مُعَلِّقُهُمَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي دَخَلْتُ غَنَمَ أَهْلِي فَاصْطَدْتُ هَذَيْنِ الْأَرْنَبَيْنِ فَلَمْ أَجِدْ حَدِيدَةً أُذَكِّيهِمَا بِهَا فَذَكَّيْتُهُمَا بِمَرْوَةٍ أَفَآكُلُ قَالَ نَعَمْ
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৮৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০৬৯ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৮. 'যব্ব' (গুইসাপ সদৃশ মরুভূমির একটি প্রানী) জাতীয় প্রাণী খাওয়া সম্পর্কে
২০৫৩. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ’দব্ব’ খাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃদব্ব আমি খাই না, তবে একে হারামও বলি না।[1]
بَاب فِي أَكْلِ الضَّبِّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الضَّبِّ فَقَالَ لَسْتُ بِآكِلِهِ وَلَا مُحَرِّمِهِ
তাখরীজ: বুখারী, যাবাইহ ওয়াস সাইদ নং ৫৫৩৬; মুসলিম, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ১৯৪৩;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৬৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৫৫ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৮. 'যব্ব' (গুইসাপ সদৃশ মরুভূমির একটি প্রানী) জাতীয় প্রাণী খাওয়া সম্পর্কে
২০৫৪. বারা’আ ইবনু আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছাবিত ইবনু ওয়াদিয়াহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ’দব্ব’ পেশ করা হলে তিনি বললেন: “(পূর্ববর্তী বনী ইসরাঈলীদের মধ্যকার) আকৃতি পরিবর্তিত একটি জাতি। আর আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।”[1]
بَاب فِي أَكْلِ الضَّبِّ
أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ وَهْبٍ يُحَدِّثُ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ عَنْ ثَابِتِ بْنِ وَدِيعَةَ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِضَبٍّ فَقَالَ أُمَّةٌ مُسِخَتْ وَاللَّهُ أَعْلَمُ
তাখরীজ: আহমাদ ৪/২২০; ইবনু আবী শাইবা ৮/২৬৭ নং ৩৪৯৬; বুখারী, তারীখুল কাবীর ২/১৭১; নাসাঈ, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ৭/,১৯৯, ২০০; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৪/১৯৮; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ, তরজমাহ ১৩১; আবূ দাউদ, আত’আমাহ ৩৭৯৫; ইবনু মাজাহ, সাইদ ৩২৩৮।
পরিচ্ছেদঃ ৮. 'যব্ব' (গুইসাপ সদৃশ মরুভূমির একটি প্রানী) জাতীয় প্রাণী খাওয়া সম্পর্কে
২০৫৫. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খালিদ ইবনু ওয়ালীদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যাঁকে ’সাইফুল্লাহ্’ বলা হতো তাঁর কাছে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মাইমূনাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর গৃহে প্রবেশ করলেন। মাইমূনাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর ও ইবনু ’আব্বাসের খালা ছিলেন। তিনি তাঁর কাছে একটি ভুনা যবব দেখতে পেলেন, যা নজদ থেকে তাঁর (মাইমূনাহর) বোন হুফাইদা বিন্ত হারিস নিয়ে এসে ছিলেন। মাইমূনাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যববটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে হাজির করলেন। তাঁর অভ্যাস ছিল, কোন খাদ্যের নাম ও তার বর্ণনা বলে না দেয়া পর্যন্ত তিনি খুব কমই তার প্রতি হাত বাড়াতেন।
তিনি দব্বের দিকে হাত বাড়ালে উপস্থিত মহিলাদের মধ্যে একজন বললঃ তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে যা পেশ করছ সে সম্বন্ধে তাঁকে অবহিত কর। তারা বললঃ (হে আল্লাহর রাসূল!) ওটা যবব।–এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত উঠিয়ে নিলেন। খালিদ ইবনু ওয়ালীদ জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! দব্ব খাওয়া কি হারাম করছেন? তিনি (রাবী) বলেন-আমার মনে হয়- তিনি বললেনঃ “না। কিন্তু যেহেতু এটি আমাদের এলাকায় নেই, তাই এটি খাওয়া আমি পছন্দ করি না।” খালিদ বলেনঃ আমি সেটি টেনে নিয়ে খেতে থাকলাম। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। কিন্তু আমাকে নিষেধ করলেন না।[1]
بَاب فِي أَكْلِ الضَّبِّ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ الَّذِي يُقَالُ لَهُ سَيْفُ اللَّهِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ خَالَتُهُ وَخَالَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ فَوَجَدَ عِنْدَهَا ضَبًّا مَحْنُوذًا قَدِمَتْ بِهِ أُخْتُهَا حُفَيْدَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ مِنْ نَجْدٍ فَقَدَّمَتْ الضَّبَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ قَلَّ مَا يُقَدِّمُ يَدَهُ لِطَعَامٍ حَتَّى يُحَدَّثَ بِهِ وَيُسَمَّى لَهُ فَأَهْوَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ إِلَى الضَّبِّ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ مِنْ نِسْوَةِ الْحُضُورِ أَخْبِرْنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدَّمْتُنَّ لَهُ قُلْنَ هَذَا الضَّبُّ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فَقَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ أَتُحَرِّمُ الضَّبَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ أُرَاهُ لَا وَلَكِنَّهُ لَمْ يَكُنْ بِأَرْضِ قَوْمِي فَأَجِدُنِي أَعَافُهُ قَالَ خَالِدٌ فَاجْتَرَرْتُهُ فَأَكَلْتُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ فَلَمْ يَنْهَنِي
তাখরীজ: বুখারী, আতআমাহ নং ৫৩৯১; মুসলিম, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ১৯৪৬; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৬৩, ৫২৬৭; মাইমুনা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীসটির উপর আমাদের টীকা ও এর শাহিদ হাদীসসমূহ দেখুন, মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৬১৪৬, ৬১৪৭ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোনো শিকারের কর্তিত অঙ্গ (-এর হুকুম)
২০৫৬. আবূ ওয়াকীদ লায়ছী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় যখন আগমন করলেন, সেইসময়ে সেখানকার লোকেরা (জীবন্ত) উটের কুজ ও মেষের পেছনের মাংস পিন্ড কেটে খেত। তিনি বললেন: কোন জীবন্ত পশুর কর্তিত অংশ মৃত বলে গণ্য।[1]
بَاب فِي الصَّيْدِ يَبِينُ مِنْهُ الْعُضْوُ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ أَحْسَبُهُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَالنَّاسُ يَجُبُّونَ أَسْنِمَةَ الْإِبِلِ وَأَلْيَاتِ الْغَنَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قُطِعَ مِنْ بَهِيمَةٍ وَهِيَ حَيَّةٌ فَهُوَ مَيْتَةٌ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৪৫০।
((আবূ দাউদ, আযাহি ২৮৫৮; তিরমিযী, সাইদ ১৪৮০; আহমাদ ৫/৩১৮; হাকিম ৪/১২৪, ২৩৯।- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ২০১৮ এর টীকা হতে।–অনুবাদক।))
এছাড়াও এটি বর্ণনা করেছেন, তাবারাণী, কাবীর ৩/২৪৮ নং ৩৩০৪; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/৪৯৬; বাইহাকী, তাহারাত ১/৩২; সাইদ ওয়ায যাবাইহ ৯/২৪৫; আরও দেখুন, নাসবুর রায়াহ ৪/৩১৭; তালখীসুল হাবীর ১/২৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ১১/২০৩; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২১৯-২২০; রাযী, ইলালুল হাদীস ১৪৭৯; মুসনা্নাফ আব্দুর রাযযাক নং ৮৬১১-৮৬১২।