আল-আদাবুল মুফরাদ ঘুমানোর আদব-কায়দা
১১৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৫৬৫- শরীর এলিয়ে দেয়া।

১১৯৭। আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ ইবনে আসেম আল-মাযিনী (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর এক পা অপর পায়ের উপর রেখে শায়িত অবস্থায় দেখেছি। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, তাহাবী)

بَابُ الاسْتِلْقَاءِ

حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يُحَدِّثُهُ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ قَالَ‏:‏ رَأَيْتُهُ، قُلْتُ لِابْنِ عُيَيْنَةَ‏:‏ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏؟‏ قَالَ‏:‏ نَعَمْ مُسْتَلْقِيًا، وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى‏.‏

حدثنا مالك بن اسماعيل، قال‏:‏ حدثنا ابن عيينة قال‏:‏ سمعت الزهري يحدثه، عن عباد بن تميم، عن عمه قال‏:‏ رايته، قلت لابن عيينة‏:‏ النبي صلى الله عليه وسلم‏؟‏ قال‏:‏ نعم مستلقيا، واضعا احدى رجليه على الاخرى‏.‏


'Abdullah ibn Zayd ibn 'Asim al-Mazini said, "I saw him." Malik ibn Isma'il asked Ibn 'Uyayna (who had transmitted this to him), "The Prophet, may Allah bless him and grant him peace?" He replied, "Yes, lying down with one of his feet over the other."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১১৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৫৬৫- শরীর এলিয়ে দেয়া।

১১৯৮। মিসওয়ার (রাঃ)-র কন্যা উম্মু বাকর (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ)-কে তার এক পায়ের উপর অপর পা তুলে শুয়ে থাকতে দেখেছি।

بَابُ الاسْتِلْقَاءِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أُمِّ بَكْرٍ بِنْتِ الْمِسْوَرِ، عَنْ أَبِيهَا قَالَ‏:‏ رَأَيْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ مُسْتَلْقِيًا، رَافِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأخْرَى‏.‏

حدثنا اسحاق بن محمد، قال‏:‏ حدثنا عبد الله بن جعفر، عن ام بكر بنت المسور، عن ابيها قال‏:‏ رايت عبد الرحمن بن عوف مستلقيا، رافعا احدى رجليه على الاخرى‏.‏


Al-Miswar said, "I saw 'Abdu'r-Rahman ibn 'Awf lying down with one of his feet over the other."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১১৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৫৬৬- উপুড় হয়ে শোয়া।

১১৯৯। ইবনে তিখফা আল-গিফারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তার পিতা তাকে অবহিত করেন যে,তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। তিনি বলেন, একদা শেষ রাতে আমি মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমি উপুড় হয়ে ঘুমে বিভোর অবস্থায় একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন। তিনি আমাকে তাঁর পায়ের সাহায্যে নাড়া দিয়ে বলেনঃ ওঠো, এই উপুড় হয়ে শোয়ায় আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। আমি মাথা তুলে দেখি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে। (আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, আহমাদ)

بَابُ الضَّجْعَةِ عَلَى وَجْهِهِ

حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ مُوسَى بْنِ خَلَفٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنِ ابْنِ طِخْفَةَ الْغِفَارِيِّ، أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ، قَالَ‏:‏ بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ فِي الْمَسْجِدِ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ، أَتَانِي آتٍ وَأَنَا نَائِمٌ عَلَى بَطْنِي، فَحَرَّكَنِي بِرِجْلِهِ فَقَالَ‏:‏ قُمْ، هَذِهِ ضَجْعَةٌ يُبْغِضُهَا اللَّهُ، فَرَفَعْتُ رَأْسِي، فَإِذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ عَلَى رَأْسِي‏.‏

حدثنا خلف بن موسى بن خلف، قال‏:‏ حدثنا ابي، عن يحيى بن ابي كثير، عن ابي سلمة بن عبد الرحمن بن عوف، عن ابن طخفة الغفاري، ان اباه اخبره، انه كان من اصحاب الصفة، قال‏:‏ بينا انا ناىم في المسجد من اخر الليل، اتاني ات وانا ناىم على بطني، فحركني برجله فقال‏:‏ قم، هذه ضجعة يبغضها الله، فرفعت راسي، فاذا النبي صلى الله عليه وسلم قاىم على راسي‏.‏


Ibn Tikhfa al-Ghifari reported that his father told him that he had been one of the People of the Bench. He told him, "I was sleeping in the mosque during the last part of the night, lying on my stomach. Someone came to me and moved me with his foot, saying, 'Get up. This is a manner of lying down which Allah hates.' I raised my head and the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, was standing by my head."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০০

পরিচ্ছেদঃ ৫৬৬- উপুড় হয়ে শোয়া।

১২০০। আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যেতে তাকে নিজ পায়ের দ্বারা আঘাত করে বলেনঃ ওঠো, এটা তো জাহান্নামের অধিবাসীর শয়ন। (ইবনে মাজাহ)

بَابُ الضَّجْعَةِ عَلَى وَجْهِهِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ جَمِيلٍ الْكِنْدِيُّ، مِنْ أَهْلِ فِلَسْطِينَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِرَجُلٍ فِي الْمَسْجِدِ مُنْبَطِحًا لِوَجْهِهِ، فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ‏:‏ قُمْ، نَوْمَةٌ جَهَنَّمِيَّةٌ‏.‏

حدثنا محمود، قال‏:‏ حدثنا يزيد بن هارون، قال‏:‏ اخبرنا الوليد بن جميل الكندي، من اهل فلسطين، عن القاسم بن عبد الرحمن، عن ابي امامة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم مر برجل في المسجد منبطحا لوجهه، فضربه برجله وقال‏:‏ قم، نومة جهنمية‏.‏


Abu Umama reported that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, passed by a man in the mosque who was lying on his front. He kicked him with his foot and said, "Get up. It is the sleep of Jahannam."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০১

পরিচ্ছেদঃ ৫৬৭- কেবল ডান হাতেই আদান-প্রদান করবে।

১২০১। সালেম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যেন তার বাম হাতে পানাহার না করে? কেননা শয়তান তার বাম হাতে পানাহার করে। রাবী বলেন, নাফে (রহঃ) তাতে আরো যোগ করেন যে, বাম হাতে কিছু গ্রহণও করবে না এবং বাম হাত দ্বারা কিছু দিবেও না। (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী)

بَابُ لا يَأْخُذُ وَلا يُعْطِي إِلا بِالْيُمْنَى

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ , قَالَ : حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ، عَنْ سَالِمٍ ، عَنْ أَبِيهِ , قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لا يَأْكُلُ أَحَدُكُمْ بِشِمَالِهِ ، وَلا يَشْرَبَنَّ بِشِمَالِهِ ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ ، وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ " ، قَالَ : كَانَ نَافِعٌ يَزِيدُ فِيهَا : " وَلا يَأْخُذْ بِهَا ، وَلا يُعْطِي بِهَا

حدثنا يحيى بن سليمان , قال : حدثنا ابن وهب ، قال : حدثني عمر بن محمد , قال : حدثني القاسم بن عبيد الله بن عبد الله بن عمر ، عن سالم ، عن ابيه , قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : " لا ياكل احدكم بشماله ، ولا يشربن بشماله ، فان الشيطان ياكل بشماله ، ويشرب بشماله " ، قال : كان نافع يزيد فيها : " ولا ياخذ بها ، ولا يعطي بها


Ibn 'Umar said, "the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, 'None of you should eat with his left hand nor drink with his left hand. Shaytan eats and drinks with his left hand.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০২

পরিচ্ছেদঃ ৫৬৮- বসার সময় জুতাজোড়া কোথায় রাখবে?

১২০২। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যখন বসবে তখন তার জুতাজোড়া তার পাশেই (খুলে) রাখবে। এটাই সুন্নাত নিয়ম। (আবু দাউদ)

بَابُ : أَيْنَ يَضَعُ نَعْلَيْهِ إِذَا جَلَسَ ؟

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ هَارُونَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ نَهِيكٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ‏:‏ مِنَ السُّنَّةِ إِذَا جَلَسَ الرَّجُلُ أَنْ يَخْلَعَ نَعْلَيْهِ، فَيَضَعُهُمَا إِلَى جَنْبِهِ‏.‏

حدثنا قتيبة، قال‏:‏ حدثنا صفوان بن عيسى، قال‏:‏ حدثنا عبد الله بن هارون، عن زياد بن سعد، عن ابن نهيك، عن ابن عباس قال‏:‏ من السنة اذا جلس الرجل ان يخلع نعليه، فيضعهما الى جنبه‏.‏


Ibn 'Abbas said, "Part of the sunna is that when a man sits down, he removes his sandals and puts them at his side."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০৩

পরিচ্ছেদঃ ৫৬৯- শয়তান খড়কুটা ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে এসে তা বিছানার উপর ছড়িয়ে দেয় ।

১২০৩। আবু উমামা (রাঃ) বলেন, তোমাদের কারো স্ত্রী তার জন্য বিছানা পাতার পর শয়তান এসে তাতে খড়কুটা, নুড়িপাথর বা অন্য কিছু ছড়িয়ে দেয় যাতে সে তার স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট হয়। সে (তার বিছানায়) এগুলো দেখতে পেলে যেন তার স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট না হয়। কারণ এটা শয়তানের কারসাজি।

بَابُ الشَّيْطَانُ يَجِيءُ بِالْعُودِ وَالشَّيْءِ يَطْرَحُهُ عَلَى الْفِرَاشِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ أَزْهَرَ بْنِ سَعِيدٍ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ يَقُولُ‏:‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْتِي إِلَى فِرَاشِ أَحَدِكُمْ بَعْدَ مَا يَفْرِشُهُ أَهْلُهُ وَيُهَيِّئُونَهُ، فَيُلْقِي عَلَيْهِ الْعُودَ أَوِ الْحَجَرَ أَوِ الشَّيْءَ، لِيُغْضِبَهُ عَلَى أَهْلِهِ، فَإِذَا وَجَدَ ذَلِكَ فَلاَ يَغْضَبْ عَلَى أَهْلِهِ، قَالَ‏:‏ لأَنَّهُ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ‏.‏

حدثنا عبد الله بن صالح قال‏:‏ حدثني معاوية، عن ازهر بن سعيد قال‏:‏ سمعت ابا امامة يقول‏:‏ ان الشيطان ياتي الى فراش احدكم بعد ما يفرشه اهله ويهيىونه، فيلقي عليه العود او الحجر او الشيء، ليغضبه على اهله، فاذا وجد ذلك فلا يغضب على اهله، قال‏:‏ لانه من عمل الشيطان‏.‏


Abu Umama said, "Shaytan comes to one of you in bed after his family has covered him and wished him good night. He throws sticks, stones or other things on him to make him angry with his family. When he feels that, he should not get angry with his family.' He said, 'It is part of the work of Shaytan.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০৪

পরিচ্ছেদঃ ৫৭০- কেউ বেষ্টনীবিহীন ছাদে ঘুমালে।

১২০৪। আবদুর রহমান ইবনে আলী (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ বেষ্টনীবিহীন ছাদে রাতে ঘুমালে (এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে) তার সম্পর্কে (আল্লাহর) কোন যিম্মাদারি নাই। (আবু দাউদ হাঃ ৫০৪১)

بَابُ مَنْ بَاتَ عَلَى سَطْحٍ لَيْسَ لَهُ سُتْرَةٌ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا عُمَرُ، رَجُلٌ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ هُوَ ابْنُ جَابِرٍ، عَنْ وَعْلَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ مَنْ بَاتَ عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَيْسَ عَلَيْهِ حِجَابٌ فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، قال‏:‏ حدثنا سالم بن نوح، قال‏:‏ اخبرنا عمر، رجل من بني حنيفة هو ابن جابر، عن وعلة بن عبد الرحمن بن وثاب، عن عبد الرحمن بن علي، عن ابيه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ من بات على ظهر بيت ليس عليه حجاب فقد برىت منه الذمة‏.‏


'Ali reported that the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "If anyone spends the night on the top of his house without protection, Allah has no responsibility for (protecting) him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০৫

পরিচ্ছেদঃ ৫৭০- কেউ বেষ্টনীবিহীন ছাদে ঘুমালে।

১২০৫। আলী ইবনে উমারা (রহঃ) বলেন, আবু আইউব আনসারী (রাঃ) এলে আমি তাকে নিয়ে উন্মুক্ত ছাদে উঠলাম। তিনি নেমে এসে বলেন, আমি এখানে রাত কাটালে আমার ব্যাপারে (আল্লাহর) কোন যিম্মাদারি নাই।

بَابُ مَنْ بَاتَ عَلَى سَطْحٍ لَيْسَ لَهُ سُتْرَةٌ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ رِيَاحٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عُمَارَةَ قَالَ‏:‏ جَاءَ أَبُو أَيُّوبَ الأَنْصَارِيُّ، فَصَعِدْتُ بِهِ عَلَى سَطْحٍ أَجْلَحَ، فَنَزَلَ وَقَالَ‏:‏ كِدْتُ أَنْ أَبِيتَ اللَّيْلَةَ وَلاَ ذِمَّةَ لِي‏.‏

حدثنا محمد بن كثير، قال‏:‏ اخبرنا سفيان، عن عمران بن مسلم بن رياح الثقفي، عن علي بن عمارة قال‏:‏ جاء ابو ايوب الانصاري، فصعدت به على سطح اجلح، فنزل وقال‏:‏ كدت ان ابيت الليلة ولا ذمة لي‏.‏


'Ali ibn 'Umara said, "Abu Ayyub al-Ansari came and went up on the flat roof. He came down and said, 'I almost spent the night with no protection.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০৬

পরিচ্ছেদঃ ৫৭০- কেউ বেষ্টনীবিহীন ছাদে ঘুমালে।

১২০৬। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কেউ উন্মুক্ত ছাদে ঘুমালে এবং তা থেকে পতিত হয়ে নিহত হলে তার ব্যাপারে কোন দায়দায়িত্ব নাই। কেউ ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ অবস্থায় সমুদ্রভ্রমণে গিয়ে নিহত হলে তার ব্যাপারেও কোন দায়দায়িত্ব নাই। (আহমাদ)

بَابُ مَنْ بَاتَ عَلَى سَطْحٍ لَيْسَ لَهُ سُتْرَةٌ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي أَبُو عِمْرَانَ، عَنْ زُهَيْرٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ مَنْ بَاتَ عَلَى إِنْجَارٍ فَوَقَعَ مِنْهُ فَمَاتَ، بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ، وَمَنْ رَكِبَ الْبَحْرَ حِينَ يَرْتَجُّ، يَعْنِي‏:‏ يَغْتَلِمُ، فَهَلَكَ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، قال‏:‏ حدثنا الحارث بن عبيد قال‏:‏ حدثني ابو عمران، عن زهير، عن رجل من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ من بات على انجار فوقع منه فمات، برىت منه الذمة، ومن ركب البحر حين يرتج، يعني‏:‏ يغتلم، فهلك برىت منه الذمة‏.‏


Zuhayr reported that one of the Companions of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "If anyone spends the night on a flat roof (without walls) and then falls off of it and dies, no one bears any responsibility for him. If anyone embarks on the sea when it is fierce (i.e. stormy) and is destroyed, no one bears any responsibility for him."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০৭

পরিচ্ছেদঃ ৫৭১- পা ঝুলিয়ে দিয়ে বসা যাবে কি?

১২০৭। আবু মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার দেয়ালের অভ্যন্তরে এক কূপের মধ্যে তার পদদ্বয় ঝুলিয়ে দিয়ে এর বেষ্টনীর উপর বসেছিলেন। (বুখারী, মুসলিম, মুসনাদ আবু আওয়ানা)

بَابُ : هَلْ يُدْلِي رِجْلَيْهِ إِذَا جَلَسَ ؟

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ‏:‏ شَهِدَ عِنْدِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ الْخُزَاعِيُّ، أَنَّ أَبَا مُوسَى الأَشْعَرِيَّ أَخْبَرَهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي حَائِطٍ عَلَى قُفِّ الْبِئْرِ، مُدَلِّيًا رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ‏.‏

حدثنا اسماعيل قال‏:‏ حدثني عبد الرحمن بن ابي الزناد، عن ابيه قال‏:‏ شهد عندي ابو سلمة بن عبد الرحمن، اخبره عبد الرحمن بن نافع بن عبد الحارث الخزاعي، ان ابا موسى الاشعري اخبره، ان النبي صلى الله عليه وسلم كان في حاىط على قف البىر، مدليا رجليه في البىر‏.‏


Abu Musa al-Ash'ari related that the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, was sitting in a walled garden on the rim of a well, dangling his feet into the well.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০৮

পরিচ্ছেদঃ ৫৭২- কোন প্রয়োজনে ঘর থেকে রওয়ানা হওয়ার সময় কি বলবে?

১২০৮। মুসলিম ইবনে আবু মরিয়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাঃ) তার ঘর থেকে বাইরে রওয়ানা হওয়ার সময় বলতেন, “হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদ রাখো এবং আমার থেকে (অন্যদেরও) নিরাপদ রাখো”।

بَابُ مَا يَقُولُ إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ قَالَ‏:‏ اللَّهُمَّ سَلِّمْنِي وَسَلِّمْ مِنِّي‏.‏

حدثنا محمد، قال‏:‏ اخبرنا عبد الله، قال‏:‏ اخبرنا محمد بن ابراهيم قال‏:‏ حدثني مسلم بن ابي مريم، ان ابن عمر كان اذا خرج من بيته قال‏:‏ اللهم سلمني وسلم مني‏.‏


When Ibn 'Umar left his house, he used to say, "O Allah, keep me and those with me safe!"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২০৯

পরিচ্ছেদঃ ৫৭২- কোন প্রয়োজনে ঘর থেকে রওয়ানা হওয়ার সময় কি বলবে?

১২০৯। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘর থেকে বাইরে রওয়ানা হয়ে বলতেনঃ “বিসমিল্লাহি আত-তুকলানু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” (আল্লাহর নামে, আল্লাহর উপর ভরসা, আল্লাহ ছাড়া ক্ষতি রোধ করার বা কল্যাণ হাসিল করার শক্তি কারো নাই)। (ইবনে মাজাহ হাঃ ৩৮৮৫, আহমাদ, হাকিম, ইবনুস সুন্নী)

بَابُ مَا يَقُولُ إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ أَبُو يَعْلَى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ قَالَ‏:‏ بِسْمِ اللهِ، التُّكْلاَنُ عَلَى اللهِ، لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللَّهِ‏.‏

حدثنا محمد بن الصلت ابو يعلى، قال‏:‏ حدثنا حاتم بن اسماعيل، عن عبد الله بن حسين بن عطاء، عن سهيل بن ابي صالح، عن ابيه، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم انه كان اذا خرج من بيته قال‏:‏ بسم الله، التكلان على الله، لا حول ولا قوة الا بالله‏.‏


Abu Hurayra reported that the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, used to say when he left his house, "In the Name of Allah. Reliance is on Allah. There is no power nor strength except by Allah."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২১০

পরিচ্ছেদঃ ৫৭৩- কোন ব্যক্তি কি তার সংগীদের দিকে নিজের পদদ্বয় প্রসারিত করে দিতে পারে বা তাদের সামনে হেলান দিয়ে বসতে পারে?

১২১০। শিহাব ইবনে আব্বাদ আল-আসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলের কোন সদস্যকে বর্ণনা করতে শুনেছেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা আমাদের নিকট প্রতীয়মান হলে আমরা রওয়ানা হলাম। আমরা সফরের শেষপ্রান্তে উপনীত হলে রাস্তার মাথায় বসা এক ব্যক্তি আমাদের সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি সালাম দিলে আমরা তার উত্তর দিলাম। তিনি দণ্ডায়মান হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কারা? আমরা বললাম, আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দল। তিনি বলেন, স্বাগতম, তোমাদের সাদর সম্ভাষণ। আমি তোমাদের তালাশেই এসেছি তোমাদের সুসংবাদ পৌছে দেয়ার জন্য। গতকাল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেছিলেন।

তিনি পুবের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেছিলেনঃ “অবশ্যই আগামী কাল এদিক অর্থাৎ পূর্বদিক থেকে আরবের উত্তম প্রতিনিধিদল আসবে”। এপাশ ওপাশ করতে করতে আমার রাতটি অতিবাহিত হলো। ভোর হতেই আমি কাফেলা ও রাস্তার উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখতে থাকলাম। এভাবে বেশ বেলা হয়ে গেলো এবং আমি ফিরে আসার মনস্থ করলাম। ইত্যবসরে তোমাদের জন্তুযানের মাথা আমার দৃষ্টিগোচর হলো। একথা বলে লোকটি তার জন্তুযানের লাগাম ধরে তাকে ঘুরিয়ে নিয়ে দ্রুতবেগে ফিরে যেতে লাগলেন।

তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌছে তাকে মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণ পরিবেষ্টিত পেলেন। তিনি বলেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক! আমি আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদল সম্পর্কে আপনাকে সুসংবাদ দিতে এসেছি। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ হে উমার! তাদের সাথে কোথায় তোমার সাক্ষাত হয়েছে? তিনি বলেন, তারা আমার পেছনে আসছে এবং এখনই এসে পৌছবে। তিনি এটা উল্লেখ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দান করুন। লোকজন তাদের বসাবার ব্যবস্থা করতে লেগে গেলো। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা অবস্থায় ছিলেন। তিনি তার চাদরের প্রান্তভাগ তার হাতের নিচে রেখে তাতে ভর দিয়ে বসলেন এবং পদদ্বয় সামনে প্রসারিত করে দিলেন।

প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছলে তাদের দেখে মুহাজির ও আনাসরগণ আনন্দিত হলেন। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণকে দেখে আনন্দিত হয়ে রেকাবদানি বাজাতে থাকে এবং দ্রুতবেগে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে উপস্থিত হয়। লোকজন সরে গিয়ে তাদের বসার জায়গা করে দিলো এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ববৎ হাতে ভর দিয়ে বসে থাকলেন। (দলনেতা) আল-আশাজ্জের পৌছতে বিলম্ব হলো। তারা জন্তুযান একত্র করলো, সেগুলোকে বসালো এবং মালপত্র নামিয়ে একত্র করলো, অতঃপর একটি হাতবাক্স বের করে সফরের পোশাক পরিবর্তন করে চাদর পরিধান করে তার প্রান্তভাগ ঝুলিয়ে দিয়ে হেঁটে এসে উপস্থিত হলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করেনঃ তোমাদের নেতা কে, তোমাদের যাবতীয় কাজের দায়িত্বশীল কে? সকলে একসাথে আল-আশাজ্জের দিকে ইংগিত করলো। তিনি বলেনঃ সে কি তোমাদের নেতার পুত্র? তারা বললো, তার পূর্বপুরুষ জাহিলী যুগেও আমাদের নেতা ছিলো এবং ইনি ইসলামে আমাদের নেতা।

আশাজ এসে পৌছে এক প্রান্তে বসার ইচ্ছা করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোজা হয়ে বসে বলেনঃ হে আশাজ্জ! এখানে। শিশুকালে যেদিন একটি গর্দভীর ক্ষুরের আঘাতে তিনি আহত হন সেদিন থেকে তার নাম হয়েছে আশাজ্জ (আহত), যার চিহ্ন তার চেহারায় চাদের মত ভাস্কর ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিজের পাশে বসান, তার প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন এবং তাদের উপর তার মর্যাদার স্বীকৃতি দেন। প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করতে থাকে এবং তিনি তাদের অবহিত করতে থাকেন। সাথে অবশিষ্ট আছে কি? তারা বললো, হাঁ। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ সামানপত্রের দিকে দ্রুত অগ্রসর হলো এবং বস্তাভর্তি খেজুর নিয়ে এলো। সেগুলো তার সামনে একটি চামড়ার পাত্রের উপর রেখে দেয়া হলো।

তাঁর সামনে ছিল দুই হাতের চেয়ে ক্ষুদ্র এবং এক হাতের চেয়ে বড় একটি খেজুরের ছড়ি। এটা তিনি নিজের কাছেই রাখতেন, তা খুব কমই তার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতো। তিনি সেটি দ্বারা খেজুরের স্তুপের দিকে ইশারা করে বলেনঃ তোমরা এর ’তাদূদ’ নামকরণ করেছো”? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ তোমরা এর ’সারাফান’ নামকরণ করেছো? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ তোমরা এর ’বারনী’ নামকরণ করেছো? তারা বললো, হাঁ। এটা তোমাদের সর্বোত্তম ও অধিক ফলনশীল খেজুর।

গোত্রের কোন কোন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, এটি ছিল সর্বাধিক বরকতপূর্ণ। কম ফলনশীল ও নিম্ন মানের খেজুরও আমাদের সাথে ছিল যা আমরা আমাদের উট ও গাধাকে খাওয়াই। আমরা আমাদের প্রতিনিধি দলের সাথে ফিরে আসার পর ঐ খেজুরের প্রতি আমাদের আকর্ষণ বেড়ে গেলো এবং আমরা তার চাষাবাদ করলাম। শেষে এটাই আমাদের উৎপাদিত শস্যে পরিণত হলো এবং তাতে আমরা পর্যাপ্ত বরকত লক্ষ্য করলাম। (আহমাদ হাঃ ১৫৬৪৪ ও ১৭৯৮৫)

بَابُ : هَلْ يُقَدِّمُ الرَّجُلُ رِجْلَهُ بَيْنَ أَيْدِي أَصْحَابِهِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَصَرِيُّ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ الْعَصَرِيُّ، أَنَّ بَعْضَ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ سَمِعَهُ يَذْكُرُ، قَالَ‏:‏ لَمَّا بَدَأْنَا فِي وِفَادَتِنَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سِرْنَا، حَتَّى إِذَا شَارَفْنَا الْقُدُومَ تَلَقَّانَا رَجُلٌ يُوضِعُ عَلَى قَعُودٍ لَهُ، فَسَلَّمَ، فَرَدَدْنَا عَلَيْهِ، ثُمَّ وَقَفَ فَقَالَ‏:‏ مِمَّنِ الْقَوْمُ‏؟‏ قُلْنَا‏:‏ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ، قَالَ‏:‏ مَرْحَبًا بِكُمْ وَأَهْلاً، إِيَّاكُمْ طَلَبْتُ، جِئْتُ لِأُبَشِّرَكُمْ، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالأَمْسِ لَنَا‏:‏ إِنَّهُ نَظَرَ إِلَى الْمَشْرِقِ فَقَالَ‏:‏ لَيَأْتِيَنَّ غَدًا مَنْ هَذَا الْوَجْهِ، يَعْنِي‏:‏ الْمَشْرِقَ، خَيْرُ وَفْدِ الْعَرَبِ، فَبَتُّ أَرُوغُ حَتَّى أَصْبَحْتُ، فَشَدَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي، فَأَمْعَنْتُ فِي الْمَسِيرِ حَتَّى ارْتَفَعَ النَّهَارُ، وَهَمَمْتُ بِالرُّجُوعِ، ثُمَّ رُفِعَتْ رُءُوسُ رَوَاحِلِكُمْ، ثُمَّ ثَنَى رَاحِلَتَهُ بِزِمَامِهَا رَاجِعًا يُوضِعُ عَوْدَهُ عَلَى بَدْئِهِ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏,‏ وَأَصْحَابُهُ حَوْلَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ، فَقَالَ‏:‏ بِأَبِيوَأُمِّي، جِئْتُ أُبَشِّرُكَ بِوَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ، فَقَالَ‏:‏ أَنَّى لَكَ بِهِمْ يَا عُمَرُ‏؟‏ قَالَ‏:‏ هُمْ أُولاَءِ عَلَى أَثَرِي، قَدْ أَظَلُّوا، فَذَكَرَ ذَلِكَ، فَقَالَ‏:‏ بَشَّرَكَ اللَّهُ بِخَيْرٍ، وَتَهَيَّأَ الْقَوْمُ فِي مَقَاعِدِهِمْ، وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا، فَأَلْقَى ذَيْلَ رِدَائِهِ تَحْتَ يَدِهِ فَاتَّكَأَ عَلَيْهِ، وَبَسَطَ رِجْلَيْهِ‏.‏ فَقَدِمَ الْوَفْدُ فَفَرِحَ بِهِمُ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ، فَلَمَّا رَأَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ أَمْرَحُوا رِكَابَهُمْ فَرَحًا بِهِمْ، وَأَقْبَلُوا سِرَاعًا، فَأَوْسَعَ الْقَوْمُ، وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئٌ عَلَى حَالِهِ، فَتَخَلَّفَ الأَشَجُّ، وَهُوَ‏:‏ مُنْذِرُ بْنُ عَائِذِ بْنِ مُنْذِرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ زِيَادِ بْنِ عَصَرَ، فَجَمَعَ رِكَابَهُمْ ثُمَّ أَنَاخَهَا، وَحَطَّ أَحْمَالَهَا، وَجَمَعَ مَتَاعَهَا، ثُمَّ أَخْرَجَ عَيْبَةً لَهُ وَأَلْقَى عَنْهُ ثِيَابَ السَّفَرِ وَلَبِسَ حُلَّةً، ثُمَّ أَقْبَلَ يَمْشِي مُتَرَسِّلاً، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَنْ سَيِّدُكُمْ وَزَعِيمُكُمْ، وَصَاحِبُ أَمْرِكُمْ‏؟‏ فَأَشَارُوا بِأَجْمَعِهِمْ إِلَيْهِ، وَقَالَ‏:‏ ابْنُ سَادَتِكُمْ هَذَا‏؟‏ قَالُوا‏:‏ كَانَ آبَاؤُهُ سَادَتَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَهُوَ قَائِدُنَا إِلَى الإِسْلاَمِ، فَلَمَّا انْتَهَى الأَشَجُّ أَرَادَ أَنْ يَقْعُدَ مِنْ نَاحِيَةٍ، اسْتَوَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا قَالَ‏:‏ هَا هُنَا يَا أَشَجُّ، وَكَانَ أَوَّلَ يَوْمٍ سُمِّيَ الأَشَجَّ ذَلِكَ الْيَوْمَ، أَصَابَتْهُ حِمَارَةٌ بِحَافِرِهَا وَهُوَ فَطِيمٌ، فَكَانَ فِي وَجْهِهِ مِثْلُ الْقَمَرِ، فَأَقْعَدَهُ إِلَى جَنْبِهِ، وَأَلْطَفَهُ، وَعَرَفَ فَضْلَهُ عَلَيْهِمْ، فَأَقْبَلَ الْقَوْمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُونَهُ وَيُخْبِرُهُمْ، حَتَّى كَانَ بِعَقِبِ الْحَدِيثِ قَالَ‏:‏ هَلْ مَعَكُمْ مِنْ أَزْوِدَتِكُمْ شَيْءٌ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، فَقَامُوا سِرَاعًا، كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ إِلَى ثِقَلِهِ فَجَاءُوا بِصُبَرِ التَّمْرِ فِي أَكُفِّهِمْ، فَوُضِعَتْ عَلَى نِطَعٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ جَرِيدَةٌ دُونَ الذِّرَاعَيْنِ وَفَوْقَ الذِّرَاعِ، فَكَانَ يَخْتَصِرُ بِهَا، قَلَّمَا يُفَارِقُهَا، فَأَوْمَأَ بِهَا إِلَى صُبْرَةٍ مِنْ ذَلِكَ التَّمْرِ فَقَالَ‏:‏ تُسَمُّونَ هَذَا التَّعْضُوضَ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ وَتُسَمُّونَ هَذَا الصَّرَفَانَ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، وَتُسَمُّونَ هَذَا الْبَرْنِيَّ‏؟‏، قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ هُوَ خَيْرُ تَمْرِكُمْ وَأَنْفَعُهُ لَكُمْ، وَقَالَ بَعْضُ شُيُوخِ الْحَيِّ‏:‏ وَأَعْظَمُهُ بَرَكَةً وَإِنَّمَا كَانَتْ عِنْدَنَا خَصِبَةٌ نَعْلِفُهَا إِبِلَنَا وَحَمِيرَنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ وِفَادَتِنَا تِلْكَ عَظُمَتْ رَغْبَتُنَا فِيهَا، وَفَسَلْنَاهَا حَتَّى تَحَوَّلَتْ ثِمَارُنَا مِنْهَا، وَرَأَيْنَا الْبَرَكَةَ فِيهَا‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، قال‏:‏ حدثنا يحيى بن عبد الرحمن العصري، قال‏:‏ حدثنا شهاب بن عباد العصري، ان بعض وفد عبد القيس سمعه يذكر، قال‏:‏ لما بدانا في وفادتنا الى النبي صلى الله عليه وسلم سرنا، حتى اذا شارفنا القدوم تلقانا رجل يوضع على قعود له، فسلم، فرددنا عليه، ثم وقف فقال‏:‏ ممن القوم‏؟‏ قلنا‏:‏ وفد عبد القيس، قال‏:‏ مرحبا بكم واهلا، اياكم طلبت، جىت لابشركم، قال النبي صلى الله عليه وسلم بالامس لنا‏:‏ انه نظر الى المشرق فقال‏:‏ لياتين غدا من هذا الوجه، يعني‏:‏ المشرق، خير وفد العرب، فبت اروغ حتى اصبحت، فشددت على راحلتي، فامعنت في المسير حتى ارتفع النهار، وهممت بالرجوع، ثم رفعت رءوس رواحلكم، ثم ثنى راحلته بزمامها راجعا يوضع عوده على بدىه، حتى انتهى الى النبي صلى الله عليه وسلم ‏,‏ واصحابه حوله من المهاجرين والانصار، فقال‏:‏ بابيوامي، جىت ابشرك بوفد عبد القيس، فقال‏:‏ انى لك بهم يا عمر‏؟‏ قال‏:‏ هم اولاء على اثري، قد اظلوا، فذكر ذلك، فقال‏:‏ بشرك الله بخير، وتهيا القوم في مقاعدهم، وكان النبي صلى الله عليه وسلم قاعدا، فالقى ذيل رداىه تحت يده فاتكا عليه، وبسط رجليه‏.‏ فقدم الوفد ففرح بهم المهاجرون والانصار، فلما راوا النبي صلى الله عليه وسلم واصحابه امرحوا ركابهم فرحا بهم، واقبلوا سراعا، فاوسع القوم، والنبي صلى الله عليه وسلم متكى على حاله، فتخلف الاشج، وهو‏:‏ منذر بن عاىذ بن منذر بن الحارث بن النعمان بن زياد بن عصر، فجمع ركابهم ثم اناخها، وحط احمالها، وجمع متاعها، ثم اخرج عيبة له والقى عنه ثياب السفر ولبس حلة، ثم اقبل يمشي مترسلا، فقال النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ من سيدكم وزعيمكم، وصاحب امركم‏؟‏ فاشاروا باجمعهم اليه، وقال‏:‏ ابن سادتكم هذا‏؟‏ قالوا‏:‏ كان اباوه سادتنا في الجاهلية، وهو قاىدنا الى الاسلام، فلما انتهى الاشج اراد ان يقعد من ناحية، استوى النبي صلى الله عليه وسلم قاعدا قال‏:‏ ها هنا يا اشج، وكان اول يوم سمي الاشج ذلك اليوم، اصابته حمارة بحافرها وهو فطيم، فكان في وجهه مثل القمر، فاقعده الى جنبه، والطفه، وعرف فضله عليهم، فاقبل القوم على النبي صلى الله عليه وسلم يسالونه ويخبرهم، حتى كان بعقب الحديث قال‏:‏ هل معكم من ازودتكم شيء‏؟‏ قالوا‏:‏ نعم، فقاموا سراعا، كل رجل منهم الى ثقله فجاءوا بصبر التمر في اكفهم، فوضعت على نطع بين يديه، وبين يديه جريدة دون الذراعين وفوق الذراع، فكان يختصر بها، قلما يفارقها، فاوما بها الى صبرة من ذلك التمر فقال‏:‏ تسمون هذا التعضوض‏؟‏ قالوا‏:‏ نعم، قال‏:‏ وتسمون هذا الصرفان‏؟‏ قالوا‏:‏ نعم، وتسمون هذا البرني‏؟‏، قالوا‏:‏ نعم، قال‏:‏ هو خير تمركم وانفعه لكم، وقال بعض شيوخ الحي‏:‏ واعظمه بركة وانما كانت عندنا خصبة نعلفها ابلنا وحميرنا، فلما رجعنا من وفادتنا تلك عظمت رغبتنا فيها، وفسلناها حتى تحولت ثمارنا منها، وراينا البركة فيها‏.‏



Some of the delegation of 'Abdu'l-Qays heard him mention the following:
"When it became clear to us that we should go to the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, we travelled until we were in sight of our destination. We were met by a man on a young camel. He greeted is and we returned the greeting. Then he stopped and asked, 'Which tribe are you from?' We replied, 'We are the delegation of 'Abdu'l-Qays.' The man said, 'Welcome. I was looking for you. I came to give you good news. Yesterday the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, looked towards the east and told us, "Tomorrow from that direction (i.e. the east) there will come the best delegation of the Arabs." I spent the night preparing to leave. This morning I rode long and hard on my camel until dawn rose. Then I thought of returning, but I caught sight of the heads of your mounts.'


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২১১

পরিচ্ছেদঃ ৫৭৪- ভোরে উপনীত হয়ে যে দোয়া পড়বে।

১২১১। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে উপনীত হয়ে বলতেনঃ "হে আল্লাহ! আমরা তোমার হুকুমে ভোরে উপনত হই এবং সন্ধ্যায় উপনীত হই। তোমার হুকুমে আমরা জীবিত আছি এবং মৃত্যুবরণ করবো। আমরা তোমার নিকটই পুনর্জীবিত হয়ে প্রত্যানীত হবো"। তিনি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলতেনঃ "হে আল্লাহ! আমরা তোমার হুকুমে সন্ধ্যায় উপনীত হই এবং ভোরে উপনীত হই। তোমার হুকুমে আমরা জীবিত আছি এবং মৃত্যুবরণ করবো। তোমার নিকটই প্রত্যাবর্তন"। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান, আবু আওয়ানা)

بَابُ مَا يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ

حَدَّثَنَا مُعَلَّى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ‏:‏ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَصْبَحَ قَالَ‏:‏ اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ، وَإِلَيْكَ النُّشُورُ، وَإِذَا أَمْسَى قَالَ‏:‏ اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ، وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ‏.‏

حدثنا معلى، قال‏:‏ حدثنا وهيب، قال‏:‏ حدثنا سهيل بن ابي صالح، عن ابيه، عن ابي هريرة قال‏:‏ كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا اصبح قال‏:‏ اللهم بك اصبحنا، وبك امسينا، وبك نحيا، وبك نموت، واليك النشور، واذا امسى قال‏:‏ اللهم بك امسينا، وبك اصبحنا، وبك نحيا، وبك نموت، واليك المصير‏.‏


Abu Hurayra said, "In the morning, the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, would say, 'O Allah, We enter the morning by You and we enter the evening by You. We live by You and we die by You and to You is gathering.' In the evening, he would say, 'O Allah, we enter the evening by You and we enter the morning by You and we live by You and we die by You and to You is the return.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২১২

পরিচ্ছেদঃ ৫৭৪- ভোরে উপনীত হয়ে যে দোয়া পড়বে।

১২১২। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালে ও সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে কখনো এই দোয়া পড়া ত্যাগ করতেন নাঃ "হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের স্বস্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার দীন, আমার দুনিয়া, আমার পরিবার ও আমার সম্পদের নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমার লজ্জাস্থানকে গোপন রাখো এবং আমার ভয়কে নিরাপত্তায় পরিণত করো। হে আল্লাহ! আমাকে হেফাজত করো আমার সম্মুখভাগ থেকে, আমার পশ্চাদভাগ থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আমি তোমার মহানত্বের উসীলায় আমার নিচের দিক থেকে আমাকে ধ্বসিয়ে দেয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি"। -(আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, আহমাদ, হাকিম, ইবনে হিব্বান)

بَابُ مَا يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ مُسْلِمٍ الْفَزَارِيِّ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي جُبَيْرُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ‏:‏ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَعُ هَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى‏:‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ‏.‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ، وَأَهْلِي وَمَالِي‏.‏ اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي، وَآمِنْ رَوْعَاتِي‏.‏ اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِي، وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي، وَمِنْ فَوْقِي، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ مِنْ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي‏.‏

حدثنا محمد بن سلام، قال‏:‏ حدثنا وكيع، عن عبادة بن مسلم الفزاري قال‏:‏ حدثني جبير بن ابي سليمان بن جبير بن مطعم قال‏:‏ سمعت ابن عمر يقول‏:‏ لم يكن رسول الله صلى الله عليه وسلم يدع هولاء الكلمات اذا اصبح واذا امسى‏:‏ اللهم اني اسالك العافية في الدنيا والاخرة‏.‏ اللهم اني اسالك العفو والعافية في ديني ودنياي، واهلي ومالي‏.‏ اللهم استر عوراتي، وامن روعاتي‏.‏ اللهم احفظني من بين يدي ومن خلفي، وعن يميني وعن شمالي، ومن فوقي، واعوذ بعظمتك من ان اغتال من تحتي‏.‏



Ibn 'Umar said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did not omit saying the following words in the morning and evening:
'O Allah, I ask you for well-being in this world and the Next. O Allah, I ask you for forgiveness and well-being in my deen and in this world and in my family and my property. O Allah, veil my faults and calm my fears. O Allah, give me protection in front of me and behind me, on my right and my left and above me. I seek refuge by Your might from being overwhelmed from under me.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২১৩

পরিচ্ছেদঃ ৫৭৪- ভোরে উপনীত হয়ে যে দোয়া পড়বে।

১২১৩। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ ভোরে উপনীত হয়ে নিম্নোক্ত দোয়া একবার পড়লে আল্লাহ তাকে দোযখ থেকে সেদিনের এক-চতুর্থাংশ সময় মুক্ত করে দিবেনঃ “হে আল্লাহ! আমরা ভোরে উপনীত হয়েছি। আমরা তোমাকে সাক্ষী রেখে, তোমার আরশ বহনকারীদের, তোমার ফেরেশতাদের এবং তোমার সমস্ত সৃষ্টিকে সাক্ষী রেখে স্বীকার করছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ। তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তুমি এক, তোমার কোন শরীক নাই এবং মুহাম্মদ তোমার বান্দা ও রাসূল”। যে ব্যক্তি উপরোক্ত দোয়া দুইবার পড়বে আল্লাহ সেদিনের অর্ধেক সময় তাকে দোযখ থেকে নিষ্কৃতি দিবেন। আর যে ব্যক্তি তা চারবার পড়বে, আল্লাহ তাকে সারাটি দিন দোযখ থেকে নিষ্কৃতি দিবেন। (আবু দাউদ)

بَابُ مَا يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ زِيَادٍ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ‏:‏ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ‏:‏ اللَّهُ إِنَّا أَصْبَحْنَا نُشْهِدُكَ، وَنُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ، وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ، أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ، إِلاَّ أَعْتَقَ اللَّهُ رُبُعَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، وَمَنْ قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَعْتَقَ اللَّهُ نِصْفَهُ مِنَ النَّارِ، وَمَنْ قَالَهَا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ أَعْتَقَهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ‏.‏

حدثنا اسحاق، قال‏:‏ حدثنا بقية، عن مسلم بن زياد، مولى ميمونة زوج النبي صلى الله عليه وسلم، قال‏:‏ سمعت انس بن مالك قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ من قال حين يصبح‏:‏ الله انا اصبحنا نشهدك، ونشهد حملة عرشك، وملاىكتك وجميع خلقك، انك انت الله لا اله الا انت وحدك لا شريك لك، وان محمدا عبدك ورسولك، الا اعتق الله ربعه في ذلك اليوم، ومن قالها مرتين اعتق الله نصفه من النار، ومن قالها اربع مرات اعتقه الله من النار في ذلك اليوم‏.‏


Maymuna, the wife of the Prophet, said, "I heard Anas ibn Malik say that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Whoever says in the morning, "O Allah, we bear witness to you and we bear witness to the bearers of You Throne and Your angels and all Your creation. You are Allah. There is no god but You alone with no partner and Muhammad is your slave and Messenger", by that Allah will free a quarter of him from the Fire on that day. If someone says it twice, Allah will free half of him from the Fire. If he says it four times, Allah will free him completely from the Fire on that day.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২১৪

পরিচ্ছেদঃ ৫৭৫- সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে যা বলবে।

১২১৪। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আবু বাকর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সকাল-সন্ধ্যায় আমার বলার জন্য আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ তুমি বলো,"হে আল্লাহ, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা প্রতিটি জিনিস তোমার দুই হাতের মুঠোয়। আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নফসের ক্ষতি থেকে এবং শয়তানের ক্ষতি ও তার শিরক থেকে"। তুমি সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে এবং বিছানায় ঘুমানোর সময় এই দোয়া বলো। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, দারিমী, আহমাদ, হাকিম, ইবনে হিব্বান)

بَابُ مَا يَقُولُ إِذَا أَمْسَى

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ عَاصِمٍ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ‏:‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، عَلِّمْنِي شَيْئًا أَقُولُهُ إِذَا أَصْبَحْتُ وَأَمْسَيْتُ، قَالَ‏:‏ قُلِ‏:‏ اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ، قُلْهُ إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ، وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ‏.‏

حدثنا سعيد بن الربيع، قال‏:‏ حدثنا شعبة، عن يعلى بن عطاء قال‏:‏ سمعت عمرو بن عاصم قال‏:‏ سمعت ابا هريرة يقول‏:‏ قال ابو بكر‏:‏ يا رسول الله، علمني شيىا اقوله اذا اصبحت وامسيت، قال‏:‏ قل‏:‏ اللهم عالم الغيب والشهادة، فاطر السماوات والارض، رب كل شيء ومليكه، اشهد ان لا اله الا انت، اعوذ بك من شر نفسي، ومن شر الشيطان وشركه، قله اذا اصبحت واذا امسيت، واذا اخذت مضجعك‏.‏


Abu Hurayra reported that Abu Bakr said, "Messenger of Allah, teach me something that I can say morning and evening." The Prophet said, "O Allah, Knower of the Unseen and the Visible, Creator of the heavens and the earth, everything is in Your hands. I testify that there is no god but You. I seek refuge with You from the evil of myself and the evil of shaytan and his (encouragement to) associate others (with You)." Say it in the morning and the evening and when you go to sleep."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২১৫

পরিচ্ছেদঃ ৫৭৫- সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে যা বলবে।

১২১৫। আবু হুরায়রা (রাঃ)... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এই বর্ণনায় আরো আছে, “প্রত্যেক জিনিসের প্রভু ও তার মালিক” এবং “শয়তানের অনিষ্ট ও তার শিরক (থেকে আশ্রয় চাই)”।

بَابُ مَا يَقُولُ إِذَا أَمْسَى

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَعْلَى، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ‏.‏ وَقَالَ‏:‏ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، وَقَالَ‏:‏ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ‏.‏

حدثنا مسدد، قال‏:‏ حدثنا هشيم، عن يعلى، عن عمرو، عن ابي هريرة مثله‏.‏ وقال‏:‏ رب كل شيء ومليكه، وقال‏:‏ شر الشيطان وشركه‏.‏


A similar report from Abu Hurayra in which he said, "The Lord of everything and its Master." He said, "The evil of shaytan and his encouragement to associate."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
১২১৬

পরিচ্ছেদঃ ৫৭৫- সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে যা বলবে।

১২১৬। আবু রাশেদ আল-হিবরানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আমি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)-র নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যা শুনেছেন তা আমাকে বর্ণনা করে শুনান। তিনি আমার সামনে একটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা পেশ করে বলেন, এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে লিখিয়ে দিয়েছেন। আমি তাতে চোখ বুলিয়ে দেখতে পেলাম যে, আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞাসার সুরে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সকাল-সন্ধ্যায় আমার বলার জন্য আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ হে আবু বাকর! তুমি বলো, “হে আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞাতা, প্রতিটি জিনিসের প্রতিপালক ও মালিক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার প্রবৃত্তির ক্ষতি থেকে, শয়তানের অনিষ্ট ও তার অংশীবাদিতা থেকে, আমার নিজের অনিষ্ট করা থেকে এবং কোন মুসলিমের ক্ষতি করা থেকে”। (তিরমিযী, হাকিম, ইবনে হিব্বান)

بَابُ مَا يَقُولُ إِذَا أَمْسَى

حَدَّثَنَا خَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي رَاشِدٍ الْحُبْرَانِيِّ‏:‏ أَتَيْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو فَقُلْتُ لَهُ‏:‏ حَدِّثْنَا بِمَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَأَلْقَى إِلَيَّ صَحِيفَةً فَقَالَ‏:‏ هَذَا مَا كَتَبَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرْتُ فِيهَا، فَإِذَا فِيهَا‏:‏ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، عَلِّمْنِي مَا أَقُولُ إِذَا أَصْبَحْتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُ، فَقَالَ‏:‏ يَا أَبَا بَكْرٍ، قُلِ‏:‏ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ، عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَشَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءًا أَوْ أَجُرُّهُ إِلَى مُسْلِمٍ‏.‏

حدثنا خطاب بن عثمان، قال‏:‏ حدثنا اسماعيل، عن محمد بن زياد، عن ابي راشد الحبراني‏:‏ اتيت عبد الله بن عمرو فقلت له‏:‏ حدثنا بما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم، فالقى الي صحيفة فقال‏:‏ هذا ما كتب لي النبي صلى الله عليه وسلم فنظرت فيها، فاذا فيها‏:‏ ان ابا بكر الصديق رضي الله عنه سال النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ يا رسول الله، علمني ما اقول اذا اصبحت واذا امسيت، فقال‏:‏ يا ابا بكر، قل‏:‏ اللهم فاطر السماوات والارض، عالم الغيب والشهادة، رب كل شيء ومليكه، اعوذ بك من شر نفسي، وشر الشيطان وشركه، وان اقترف على نفسي سوءا او اجره الى مسلم‏.‏


Abu Rashid al-Hubrani said, "I came to 'Abdullah ibn 'Umar and asked him to relate to us what he had heard from the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. He handed me a paper and said, 'This is what the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, wrote for me.' I looked at it and it read:
'Abu Bakr as-Siddiq asked the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, "Messenger of Allah, teach me what to say in the mornings and evenings." He said, "Abu Bakr, say, 'O Allah, the Creator of the heavens and the earth, the Knower of the Unseen and Visible. the Lord of all things and their Master. I seek refuge with You from the evil of shaytan and his encouragement to associate and that I bring evil on myself or bring it on another Muslim.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঘুমানোর আদব-কায়দা
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »