১২১০

পরিচ্ছেদঃ ৫৭৩- কোন ব্যক্তি কি তার সংগীদের দিকে নিজের পদদ্বয় প্রসারিত করে দিতে পারে বা তাদের সামনে হেলান দিয়ে বসতে পারে?

১২১০। শিহাব ইবনে আব্বাদ আল-আসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলের কোন সদস্যকে বর্ণনা করতে শুনেছেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা আমাদের নিকট প্রতীয়মান হলে আমরা রওয়ানা হলাম। আমরা সফরের শেষপ্রান্তে উপনীত হলে রাস্তার মাথায় বসা এক ব্যক্তি আমাদের সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি সালাম দিলে আমরা তার উত্তর দিলাম। তিনি দণ্ডায়মান হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কারা? আমরা বললাম, আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দল। তিনি বলেন, স্বাগতম, তোমাদের সাদর সম্ভাষণ। আমি তোমাদের তালাশেই এসেছি তোমাদের সুসংবাদ পৌছে দেয়ার জন্য। গতকাল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেছিলেন।

তিনি পুবের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেছিলেনঃ “অবশ্যই আগামী কাল এদিক অর্থাৎ পূর্বদিক থেকে আরবের উত্তম প্রতিনিধিদল আসবে”। এপাশ ওপাশ করতে করতে আমার রাতটি অতিবাহিত হলো। ভোর হতেই আমি কাফেলা ও রাস্তার উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখতে থাকলাম। এভাবে বেশ বেলা হয়ে গেলো এবং আমি ফিরে আসার মনস্থ করলাম। ইত্যবসরে তোমাদের জন্তুযানের মাথা আমার দৃষ্টিগোচর হলো। একথা বলে লোকটি তার জন্তুযানের লাগাম ধরে তাকে ঘুরিয়ে নিয়ে দ্রুতবেগে ফিরে যেতে লাগলেন।

তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌছে তাকে মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণ পরিবেষ্টিত পেলেন। তিনি বলেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক! আমি আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদল সম্পর্কে আপনাকে সুসংবাদ দিতে এসেছি। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ হে উমার! তাদের সাথে কোথায় তোমার সাক্ষাত হয়েছে? তিনি বলেন, তারা আমার পেছনে আসছে এবং এখনই এসে পৌছবে। তিনি এটা উল্লেখ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দান করুন। লোকজন তাদের বসাবার ব্যবস্থা করতে লেগে গেলো। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা অবস্থায় ছিলেন। তিনি তার চাদরের প্রান্তভাগ তার হাতের নিচে রেখে তাতে ভর দিয়ে বসলেন এবং পদদ্বয় সামনে প্রসারিত করে দিলেন।

প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছলে তাদের দেখে মুহাজির ও আনাসরগণ আনন্দিত হলেন। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণকে দেখে আনন্দিত হয়ে রেকাবদানি বাজাতে থাকে এবং দ্রুতবেগে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে উপস্থিত হয়। লোকজন সরে গিয়ে তাদের বসার জায়গা করে দিলো এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ববৎ হাতে ভর দিয়ে বসে থাকলেন। (দলনেতা) আল-আশাজ্জের পৌছতে বিলম্ব হলো। তারা জন্তুযান একত্র করলো, সেগুলোকে বসালো এবং মালপত্র নামিয়ে একত্র করলো, অতঃপর একটি হাতবাক্স বের করে সফরের পোশাক পরিবর্তন করে চাদর পরিধান করে তার প্রান্তভাগ ঝুলিয়ে দিয়ে হেঁটে এসে উপস্থিত হলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করেনঃ তোমাদের নেতা কে, তোমাদের যাবতীয় কাজের দায়িত্বশীল কে? সকলে একসাথে আল-আশাজ্জের দিকে ইংগিত করলো। তিনি বলেনঃ সে কি তোমাদের নেতার পুত্র? তারা বললো, তার পূর্বপুরুষ জাহিলী যুগেও আমাদের নেতা ছিলো এবং ইনি ইসলামে আমাদের নেতা।

আশাজ এসে পৌছে এক প্রান্তে বসার ইচ্ছা করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোজা হয়ে বসে বলেনঃ হে আশাজ্জ! এখানে। শিশুকালে যেদিন একটি গর্দভীর ক্ষুরের আঘাতে তিনি আহত হন সেদিন থেকে তার নাম হয়েছে আশাজ্জ (আহত), যার চিহ্ন তার চেহারায় চাদের মত ভাস্কর ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিজের পাশে বসান, তার প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন এবং তাদের উপর তার মর্যাদার স্বীকৃতি দেন। প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করতে থাকে এবং তিনি তাদের অবহিত করতে থাকেন। সাথে অবশিষ্ট আছে কি? তারা বললো, হাঁ। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ সামানপত্রের দিকে দ্রুত অগ্রসর হলো এবং বস্তাভর্তি খেজুর নিয়ে এলো। সেগুলো তার সামনে একটি চামড়ার পাত্রের উপর রেখে দেয়া হলো।

তাঁর সামনে ছিল দুই হাতের চেয়ে ক্ষুদ্র এবং এক হাতের চেয়ে বড় একটি খেজুরের ছড়ি। এটা তিনি নিজের কাছেই রাখতেন, তা খুব কমই তার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতো। তিনি সেটি দ্বারা খেজুরের স্তুপের দিকে ইশারা করে বলেনঃ তোমরা এর ’তাদূদ’ নামকরণ করেছো”? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ তোমরা এর ’সারাফান’ নামকরণ করেছো? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ তোমরা এর ’বারনী’ নামকরণ করেছো? তারা বললো, হাঁ। এটা তোমাদের সর্বোত্তম ও অধিক ফলনশীল খেজুর।

গোত্রের কোন কোন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, এটি ছিল সর্বাধিক বরকতপূর্ণ। কম ফলনশীল ও নিম্ন মানের খেজুরও আমাদের সাথে ছিল যা আমরা আমাদের উট ও গাধাকে খাওয়াই। আমরা আমাদের প্রতিনিধি দলের সাথে ফিরে আসার পর ঐ খেজুরের প্রতি আমাদের আকর্ষণ বেড়ে গেলো এবং আমরা তার চাষাবাদ করলাম। শেষে এটাই আমাদের উৎপাদিত শস্যে পরিণত হলো এবং তাতে আমরা পর্যাপ্ত বরকত লক্ষ্য করলাম। (আহমাদ হাঃ ১৫৬৪৪ ও ১৭৯৮৫)

بَابُ : هَلْ يُقَدِّمُ الرَّجُلُ رِجْلَهُ بَيْنَ أَيْدِي أَصْحَابِهِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَصَرِيُّ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ الْعَصَرِيُّ، أَنَّ بَعْضَ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ سَمِعَهُ يَذْكُرُ، قَالَ‏:‏ لَمَّا بَدَأْنَا فِي وِفَادَتِنَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سِرْنَا، حَتَّى إِذَا شَارَفْنَا الْقُدُومَ تَلَقَّانَا رَجُلٌ يُوضِعُ عَلَى قَعُودٍ لَهُ، فَسَلَّمَ، فَرَدَدْنَا عَلَيْهِ، ثُمَّ وَقَفَ فَقَالَ‏:‏ مِمَّنِ الْقَوْمُ‏؟‏ قُلْنَا‏:‏ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ، قَالَ‏:‏ مَرْحَبًا بِكُمْ وَأَهْلاً، إِيَّاكُمْ طَلَبْتُ، جِئْتُ لِأُبَشِّرَكُمْ، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالأَمْسِ لَنَا‏:‏ إِنَّهُ نَظَرَ إِلَى الْمَشْرِقِ فَقَالَ‏:‏ لَيَأْتِيَنَّ غَدًا مَنْ هَذَا الْوَجْهِ، يَعْنِي‏:‏ الْمَشْرِقَ، خَيْرُ وَفْدِ الْعَرَبِ، فَبَتُّ أَرُوغُ حَتَّى أَصْبَحْتُ، فَشَدَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي، فَأَمْعَنْتُ فِي الْمَسِيرِ حَتَّى ارْتَفَعَ النَّهَارُ، وَهَمَمْتُ بِالرُّجُوعِ، ثُمَّ رُفِعَتْ رُءُوسُ رَوَاحِلِكُمْ، ثُمَّ ثَنَى رَاحِلَتَهُ بِزِمَامِهَا رَاجِعًا يُوضِعُ عَوْدَهُ عَلَى بَدْئِهِ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏,‏ وَأَصْحَابُهُ حَوْلَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ، فَقَالَ‏:‏ بِأَبِيوَأُمِّي، جِئْتُ أُبَشِّرُكَ بِوَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ، فَقَالَ‏:‏ أَنَّى لَكَ بِهِمْ يَا عُمَرُ‏؟‏ قَالَ‏:‏ هُمْ أُولاَءِ عَلَى أَثَرِي، قَدْ أَظَلُّوا، فَذَكَرَ ذَلِكَ، فَقَالَ‏:‏ بَشَّرَكَ اللَّهُ بِخَيْرٍ، وَتَهَيَّأَ الْقَوْمُ فِي مَقَاعِدِهِمْ، وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا، فَأَلْقَى ذَيْلَ رِدَائِهِ تَحْتَ يَدِهِ فَاتَّكَأَ عَلَيْهِ، وَبَسَطَ رِجْلَيْهِ‏.‏ فَقَدِمَ الْوَفْدُ فَفَرِحَ بِهِمُ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ، فَلَمَّا رَأَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ أَمْرَحُوا رِكَابَهُمْ فَرَحًا بِهِمْ، وَأَقْبَلُوا سِرَاعًا، فَأَوْسَعَ الْقَوْمُ، وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئٌ عَلَى حَالِهِ، فَتَخَلَّفَ الأَشَجُّ، وَهُوَ‏:‏ مُنْذِرُ بْنُ عَائِذِ بْنِ مُنْذِرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ زِيَادِ بْنِ عَصَرَ، فَجَمَعَ رِكَابَهُمْ ثُمَّ أَنَاخَهَا، وَحَطَّ أَحْمَالَهَا، وَجَمَعَ مَتَاعَهَا، ثُمَّ أَخْرَجَ عَيْبَةً لَهُ وَأَلْقَى عَنْهُ ثِيَابَ السَّفَرِ وَلَبِسَ حُلَّةً، ثُمَّ أَقْبَلَ يَمْشِي مُتَرَسِّلاً، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَنْ سَيِّدُكُمْ وَزَعِيمُكُمْ، وَصَاحِبُ أَمْرِكُمْ‏؟‏ فَأَشَارُوا بِأَجْمَعِهِمْ إِلَيْهِ، وَقَالَ‏:‏ ابْنُ سَادَتِكُمْ هَذَا‏؟‏ قَالُوا‏:‏ كَانَ آبَاؤُهُ سَادَتَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَهُوَ قَائِدُنَا إِلَى الإِسْلاَمِ، فَلَمَّا انْتَهَى الأَشَجُّ أَرَادَ أَنْ يَقْعُدَ مِنْ نَاحِيَةٍ، اسْتَوَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا قَالَ‏:‏ هَا هُنَا يَا أَشَجُّ، وَكَانَ أَوَّلَ يَوْمٍ سُمِّيَ الأَشَجَّ ذَلِكَ الْيَوْمَ، أَصَابَتْهُ حِمَارَةٌ بِحَافِرِهَا وَهُوَ فَطِيمٌ، فَكَانَ فِي وَجْهِهِ مِثْلُ الْقَمَرِ، فَأَقْعَدَهُ إِلَى جَنْبِهِ، وَأَلْطَفَهُ، وَعَرَفَ فَضْلَهُ عَلَيْهِمْ، فَأَقْبَلَ الْقَوْمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُونَهُ وَيُخْبِرُهُمْ، حَتَّى كَانَ بِعَقِبِ الْحَدِيثِ قَالَ‏:‏ هَلْ مَعَكُمْ مِنْ أَزْوِدَتِكُمْ شَيْءٌ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، فَقَامُوا سِرَاعًا، كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ إِلَى ثِقَلِهِ فَجَاءُوا بِصُبَرِ التَّمْرِ فِي أَكُفِّهِمْ، فَوُضِعَتْ عَلَى نِطَعٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ جَرِيدَةٌ دُونَ الذِّرَاعَيْنِ وَفَوْقَ الذِّرَاعِ، فَكَانَ يَخْتَصِرُ بِهَا، قَلَّمَا يُفَارِقُهَا، فَأَوْمَأَ بِهَا إِلَى صُبْرَةٍ مِنْ ذَلِكَ التَّمْرِ فَقَالَ‏:‏ تُسَمُّونَ هَذَا التَّعْضُوضَ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ وَتُسَمُّونَ هَذَا الصَّرَفَانَ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، وَتُسَمُّونَ هَذَا الْبَرْنِيَّ‏؟‏، قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ هُوَ خَيْرُ تَمْرِكُمْ وَأَنْفَعُهُ لَكُمْ، وَقَالَ بَعْضُ شُيُوخِ الْحَيِّ‏:‏ وَأَعْظَمُهُ بَرَكَةً وَإِنَّمَا كَانَتْ عِنْدَنَا خَصِبَةٌ نَعْلِفُهَا إِبِلَنَا وَحَمِيرَنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ وِفَادَتِنَا تِلْكَ عَظُمَتْ رَغْبَتُنَا فِيهَا، وَفَسَلْنَاهَا حَتَّى تَحَوَّلَتْ ثِمَارُنَا مِنْهَا، وَرَأَيْنَا الْبَرَكَةَ فِيهَا‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، قال‏:‏ حدثنا يحيى بن عبد الرحمن العصري، قال‏:‏ حدثنا شهاب بن عباد العصري، ان بعض وفد عبد القيس سمعه يذكر، قال‏:‏ لما بدانا في وفادتنا الى النبي صلى الله عليه وسلم سرنا، حتى اذا شارفنا القدوم تلقانا رجل يوضع على قعود له، فسلم، فرددنا عليه، ثم وقف فقال‏:‏ ممن القوم‏؟‏ قلنا‏:‏ وفد عبد القيس، قال‏:‏ مرحبا بكم واهلا، اياكم طلبت، جىت لابشركم، قال النبي صلى الله عليه وسلم بالامس لنا‏:‏ انه نظر الى المشرق فقال‏:‏ لياتين غدا من هذا الوجه، يعني‏:‏ المشرق، خير وفد العرب، فبت اروغ حتى اصبحت، فشددت على راحلتي، فامعنت في المسير حتى ارتفع النهار، وهممت بالرجوع، ثم رفعت رءوس رواحلكم، ثم ثنى راحلته بزمامها راجعا يوضع عوده على بدىه، حتى انتهى الى النبي صلى الله عليه وسلم ‏,‏ واصحابه حوله من المهاجرين والانصار، فقال‏:‏ بابيوامي، جىت ابشرك بوفد عبد القيس، فقال‏:‏ انى لك بهم يا عمر‏؟‏ قال‏:‏ هم اولاء على اثري، قد اظلوا، فذكر ذلك، فقال‏:‏ بشرك الله بخير، وتهيا القوم في مقاعدهم، وكان النبي صلى الله عليه وسلم قاعدا، فالقى ذيل رداىه تحت يده فاتكا عليه، وبسط رجليه‏.‏ فقدم الوفد ففرح بهم المهاجرون والانصار، فلما راوا النبي صلى الله عليه وسلم واصحابه امرحوا ركابهم فرحا بهم، واقبلوا سراعا، فاوسع القوم، والنبي صلى الله عليه وسلم متكى على حاله، فتخلف الاشج، وهو‏:‏ منذر بن عاىذ بن منذر بن الحارث بن النعمان بن زياد بن عصر، فجمع ركابهم ثم اناخها، وحط احمالها، وجمع متاعها، ثم اخرج عيبة له والقى عنه ثياب السفر ولبس حلة، ثم اقبل يمشي مترسلا، فقال النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ من سيدكم وزعيمكم، وصاحب امركم‏؟‏ فاشاروا باجمعهم اليه، وقال‏:‏ ابن سادتكم هذا‏؟‏ قالوا‏:‏ كان اباوه سادتنا في الجاهلية، وهو قاىدنا الى الاسلام، فلما انتهى الاشج اراد ان يقعد من ناحية، استوى النبي صلى الله عليه وسلم قاعدا قال‏:‏ ها هنا يا اشج، وكان اول يوم سمي الاشج ذلك اليوم، اصابته حمارة بحافرها وهو فطيم، فكان في وجهه مثل القمر، فاقعده الى جنبه، والطفه، وعرف فضله عليهم، فاقبل القوم على النبي صلى الله عليه وسلم يسالونه ويخبرهم، حتى كان بعقب الحديث قال‏:‏ هل معكم من ازودتكم شيء‏؟‏ قالوا‏:‏ نعم، فقاموا سراعا، كل رجل منهم الى ثقله فجاءوا بصبر التمر في اكفهم، فوضعت على نطع بين يديه، وبين يديه جريدة دون الذراعين وفوق الذراع، فكان يختصر بها، قلما يفارقها، فاوما بها الى صبرة من ذلك التمر فقال‏:‏ تسمون هذا التعضوض‏؟‏ قالوا‏:‏ نعم، قال‏:‏ وتسمون هذا الصرفان‏؟‏ قالوا‏:‏ نعم، وتسمون هذا البرني‏؟‏، قالوا‏:‏ نعم، قال‏:‏ هو خير تمركم وانفعه لكم، وقال بعض شيوخ الحي‏:‏ واعظمه بركة وانما كانت عندنا خصبة نعلفها ابلنا وحميرنا، فلما رجعنا من وفادتنا تلك عظمت رغبتنا فيها، وفسلناها حتى تحولت ثمارنا منها، وراينا البركة فيها‏.‏



Some of the delegation of 'Abdu'l-Qays heard him mention the following:
"When it became clear to us that we should go to the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, we travelled until we were in sight of our destination. We were met by a man on a young camel. He greeted is and we returned the greeting. Then he stopped and asked, 'Which tribe are you from?' We replied, 'We are the delegation of 'Abdu'l-Qays.' The man said, 'Welcome. I was looking for you. I came to give you good news. Yesterday the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, looked towards the east and told us, "Tomorrow from that direction (i.e. the east) there will come the best delegation of the Arabs." I spent the night preparing to leave. This morning I rode long and hard on my camel until dawn rose. Then I thought of returning, but I caught sight of the heads of your mounts.'


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
ঘুমানোর আদব-কায়দা