আল-লুলু ওয়াল মারজান ২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৮৫

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১. আল-কাসামাহ

১০৮৫. রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) ও সাহল ইবনু আবু হাসমাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার আবদুল্লাহ ইবনু সাহল ও মুহাইসাহ্ ইবনু মাসউদ খাইবারে পৌছে উভয়েই খেজুরের বাগানের ভিন্ন ভিন্ন পথে চলে গেলেন। সেখানে ’আবদুল্লাহ ইবনু সাহল (রাঃ)-কে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ’আবদুর রহমান ইবনু সাহল ও ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর দুই ছেলে হুওয়াইসাহ ও মুহাইসাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলেন এবং তাঁর কাছে নিহত ব্যক্তির কথা বলতে লাগলেন।

আবদুর রহমান (রাঃ) কথা শুরু করলেন। তিনি ছোট ছিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তুমি বড়দের সম্মান করবে। বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া বলেনঃ কথা বলার দায়িত্ব যেন বড়রা পালন করে। তখন তারা তাদের লোক সম্পর্কে কথা বললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তোমাদের পঞ্চাশ জন লোক কসমের মাধ্যমে তোমাদের নিহত ভাইয়ের হত্যার হক প্রমাণ কর। তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! ওরা তো কাফির সম্প্রদায়। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের তরফ থেকে তাদের নিহত ব্যক্তির ফিইয়া দিয়ে দিলেন।

সাহল (রাঃ) বললেনঃ আমি সেই উটগুলো থেকে একটি উট পেলাম। সেটি নিয়ে আমি যখন আস্তাবলে গেলাম তখন উটনীটি তার পা দিয়ে আমাকে লাথি মারলো।

القسامة

حديث رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَسَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَنْ بُشَيْرٍ بْنِ يَسَارِ، مَوْلَى الأَنْصَارِ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ: أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ أَتَيَا خَيْبَرَ، فَتَفَرَّقَا فِي النَّخْلِ، فَقُتِلَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَهْلٍ فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمنِ بْنُ سَهْلٍ، وَحُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَكَلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ، فَبَدَأَ عَبْدُ الرَّحْمنِ، وَكَانَ أَصْغَرَ الْقَوْمِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَبِّرِ الْكُبْرَ (قَالَ يَحْيى أَحَدُ رِجَالِ السَّنَدِ: لِيَلِيَ الْكَلاَمَ الأَكْبَرُ) فَتَكلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتَسْتَحِقُّون قَتِيلَكُمْ أُوْ قَالَ صَاحِبَكُمْ بِأَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْكُمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ أَمْرٌ لَمْ نَرَهُ قَالَ: فَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ فِي أَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْهُمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ قَوْمٌ كُفَّارٌ فَوَدَاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قِبَلِه
قَالَ سَهْلٌ: فَأَدْرَكْتُ نَاقَةً مِنْ تِلْكَ الإِبِلِ، فَدَخَلَتْ مِرْبَدًا لَهُمْ فَرَكَضَتْنِي بِرِجْلِهَا

حديث رافع بن خديج وسهل بن ابي حثمة عن بشير بن يسار، مولى الانصار، انهما حدثاه: ان عبد الله بن سهل ومحيصة بن مسعود اتيا خيبر، فتفرقا في النخل، فقتل عبد الله بن سهل فجاء عبد الرحمن بن سهل، وحويصة ومحيصة ابنا مسعود الى النبي صلى الله عليه وسلم، فتكلموا في امر صاحبهم، فبدا عبد الرحمن، وكان اصغر القوم، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: كبر الكبر (قال يحيى احد رجال السند: ليلي الكلام الاكبر) فتكلموا في امر صاحبهم، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: اتستحقون قتيلكم او قال صاحبكم بايمان خمسين منكم قالوا: يا رسول الله امر لم نره قال: فتبرىكم يهود في ايمان خمسين منهم قالوا: يا رسول الله قوم كفار فوداهم رسول الله صلى الله عليه وسلم من قبله قال سهل: فادركت ناقة من تلك الابل، فدخلت مربدا لهم فركضتني برجلها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৮৬

পরিচ্ছেদঃ ২৮/২. ধর্মত্যাগী মুরতাদ ও যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের বিধান।

১০৮৬. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ’উকল গোত্রের আটজন লোক রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল। তারা তাঁর হাতে ইসলামের বায়’আত গ্রহণ করল। কিন্তু সে এলাকার আবহাওয়া তাদের অনুকূলে হল না এবং তাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ল। তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এর অভিযোগ করল। তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা কি আমার রাখালের সঙ্গে তার উটপালের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করবে না? তারা বলল, হ্যাঁ। তারপর তারা তথায় গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করল। ফলে তারা সুস্থ হয়ে গেল।

এরপর তারা রাসূলুল্লাহ হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে চলল। এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের পশ্চাদ্ধাবনের লক্ষ্যে লোক পাঠালেন। তারা ধরা পড়ল এবং তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের সম্বন্ধে নির্দেশ প্রদান করা হল। তাদের হাত-পা কাটা হল, লৌহশলাকা দ্বারা তাদের চক্ষু ফুড়ে দেয়া হল। এরপর উত্তপ্ত রৌদ্রে তাদেরকে ফেলে রাখা হল। অবশেষে তারা মারা গেল।

حكم المحاربين والمرتدين

حَدِيث أَنَسٍ: أَنَّ نَفَرًا مِنْ عُكْلٍ ثَمَانِيَةً، قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَايَعُوهُ عَلَى الإِسْلاَمِ، فَاسْتَوْخَمُوا الأَرْضَ فَسَقِمَتْ أَجْسَامُهُمْ، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " أَفَلاَ تَخْرُجُونَ مَعَ رَاعِينَا فِي إِبِلِهِ، فَتُصِيبُونَ مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا " قَالُوا: بَلَى، فَخَرَجُوا فَشَرِبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَصَحُّوا، فَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَطْرَدُوا النَّعَمَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلَ فِي آثَارِهِمْ، فَأُدْرِكُوا فَجِيءَ بِهِمْ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَقُطِّعَتْ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ، وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ، ثُمَّ نَبَذَهُمْ فِي الشَّمْسِ حَتَّى مَاتُوا

حديث انس: ان نفرا من عكل ثمانية، قدموا على رسول الله صلى الله عليه وسلم فبايعوه على الاسلام، فاستوخموا الارض فسقمت اجسامهم، فشكوا ذلك الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: " افلا تخرجون مع راعينا في ابله، فتصيبون من البانها وابوالها " قالوا: بلى، فخرجوا فشربوا من البانها وابوالها، فصحوا، فقتلوا راعي رسول الله صلى الله عليه وسلم واطردوا النعم، فبلغ ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فارسل في اثارهم، فادركوا فجيء بهم، فامر بهم فقطعت ايديهم وارجلهم، وسمر اعينهم، ثم نبذهم في الشمس حتى ماتوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৮৭

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৩. পাথর বা কোন ভারী জিনিস দ্বারা কেউ নিহত হলে কিসাস নেয়ার প্রমাণ এবং মহিলাকে হত্যা করার অপরাধে পুরুষকে হত্যা করা।

১০৮৭. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক ইয়াহুদী একটি বালিকার উপর নির্যাতন করে তার অলঙ্কারাদি ছিনিয়ে নেয়। আর (পাথর দ্বারা) তার মস্তক চূর্ণ করে। সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্তে তার পরিবারের লোকরা তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে আসে। তখন সে নিশ্চুপ ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একজন নির্দোষ ব্যক্তির নাম উল্লেখ পূর্বক) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাকে সে হত্যা করেছে? অমুক? সে মাথার ইশারায় বললঃ না। তিনি অন্য এক নিরপরাধ ব্যক্তির নাম ধরে বললেন, তবে কি অমুক? সে ইশারায় জানাল, না। এবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হত্যাকারীর নাম উল্লেখ করে বললেন তবে অমুক ব্যক্তি মেরেছে কি? সে মাথা নেড়ে বললঃ জি, হ্যাঁ। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ উক্ত ব্যক্তির মাথা দু’পাথরের মাঝখানে রেখে চূর্ণ করা হলো।

ثبوت القصاص في القتل بالحجر وغيره من المحددات والمثقلات وقتل الرجل بالمرأة

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: عَدَا يَهُودِيٌّ، فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى جَارِيَةٍ، فَأَخَذَ أَوْضَاحًا كَانَتْ عَلَيْهَا، وَرَضَخَ رَأْسَهَا؛ فَأَتَى بِهَا أَهْلُهَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ فِي آخِرِ رَمَقٍ، وَقَدْ أُصْمِتَتْ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَتَلَكِ، فُلاَنٌ لِغَيْرِ الَّذِي قَتَلَهَا، فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ لاَ قَالَ، فَقَالَ لِرَجُلٍ آخَرَ غَيْرِ الَّذِي قَتَلَهَا فَأَشَارَتْ أَنْ لاَ، فَقَالَ: فَفُلاَنٌ لِقَاتِلِهَا فَأَشَارَتْ أَنْ نَعَمْ؛ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُضِخَ رَأْسُهُ بَيْنَ حَجَرَيْن

حديث انس بن مالك، قال: عدا يهودي، في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، على جارية، فاخذ اوضاحا كانت عليها، ورضخ راسها؛ فاتى بها اهلها رسول الله صلى الله عليه وسلم وهي في اخر رمق، وقد اصمتت فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم: من قتلك، فلان لغير الذي قتلها، فاشارت براسها ان لا قال، فقال لرجل اخر غير الذي قتلها فاشارت ان لا، فقال: ففلان لقاتلها فاشارت ان نعم؛ فامر به رسول الله صلى الله عليه وسلم فرضخ راسه بين حجرين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৮৮

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৪. কোন আক্রান্ত ব্যক্তি কোন আক্রমণকারীকে প্রতিহত করতে গিয়ে আক্রমণকারী যদি মারা যায় অথবা তার অঙ্গহানি হয় তাহলে কোন দায়-দায়িত্ব নেই।

১০৮৮. ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তির হাত দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরল। সে তার হাত ঐ ব্যক্তির মুখ থেকে টেনে বের করল। ফলে তার দু’টি দাঁত উপড়ে গেল। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তাদের মুকাদ্দমা পেশ করল। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ তার ভাইকে কি কামড়াবে যেমন উট কামড়ে থাকে? তোমার জন্য কোন রক্তপণ নেই।

الصائل على نفس الإنسان أو عضوه إِذا دفعه المصول عليه فأتلف نفسه أو عضوه لا ضمان عليه

حديث عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَجُلاً عَضَّ يَدَ رَجُل، فَنَزَعَ يَدَهُ مِنْ فَمِهِ فَوَقَعَتْ ثَنِيَّتَاهُ فَاخْتَصَمُوا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَعَضُّ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ كَمَا يَعَضُّ الْفَحْلُ لاَ دِيَةَ لَكَ

حديث عمران بن حصين، ان رجلا عض يد رجل، فنزع يده من فمه فوقعت ثنيتاه فاختصموا الى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يعض احدكم اخاه كما يعض الفحل لا دية لك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৮৯

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৪. কোন আক্রান্ত ব্যক্তি কোন আক্রমণকারীকে প্রতিহত করতে গিয়ে আক্রমণকারী যদি মারা যায় অথবা তার অঙ্গহানি হয় তাহলে কোন দায়-দায়িত্ব নেই।

১০৮৯. ইয়ালা ইবনু উমাইয়্যা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে জাইশ্‌ল উসরাত অর্থাৎ তাবুকের যুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। আমার ধারণায় এটাই ছিল আমার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ’আমল। আমার একজন মজদুর ছিল। সে একজন লোকের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং তাদের একজন আরেক জনের আঙ্গুল দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে। (বের করার জন্য) সে আঙ্গুল টান দেয়। এতে তার প্রতিপক্ষের একটি সামনের দাঁত পড়ে যায়। তখন লোকটি (অভিযোগ নিয়ে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেল। কিন্তু তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার দাঁতের ক্ষতি পূরণের দাবী বাতিল করে দিলেন এবং বললেন সে কি তোমার মুখে তার আঙ্গুল ছেড়ে রাখবে, আর তুমি তা (দাঁত দিয়ে) চিবুতে থাকবে? বর্ণনাকারী (ইয়া’লা] বলেন, আমার মনে পড়ে তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যেমন উট চিবায়।

الصائل على نفس الإنسان أو عضوه إِذا دفعه المصول عليه فأتلف نفسه أو عضوه لا ضمان عليه

حديث يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ رضي الله عنه، قَالَ: غَزَوْتُ مَعَ النَبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ، فَكَانَ مِنْ أَوْثَقِ أَعْمَالِي فِي نَفْسِي، فَكَانَ لِي أَجِيرٌ، فَقَاتَلَ إِنْسَانًا، فَعَضَّ أَحَدُهُمَا إِصْبَعَ صَاحِبهِ، فَانْتَزَعَ إِصْبَعَهُ، فَأَنْدَرَ ثَنِيَّتَهُ فَسَقَطَتْ فَانْطَلَقَ إِلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَهْدَرَ ثَنِيَّتَهُ، وَقَالَ: أَفَيَدَعُ إِصْبَعَهُ فِي فِيكَ تقْضَمُهَا قَالَ أَحْسِبُهُ قَالَ: كَمَا يَقْضَمُ الْفَحْلُ اخرجه البخاري في: 37 كتاب الإجارة: 5 باب الأجير في الغزو

حديث يعلى بن امية رضي الله عنه، قال: غزوت مع النبي صلى الله عليه وسلم جيش العسرة، فكان من اوثق اعمالي في نفسي، فكان لي اجير، فقاتل انسانا، فعض احدهما اصبع صاحبه، فانتزع اصبعه، فاندر ثنيته فسقطت فانطلق الى النبى صلى الله عليه وسلم، فاهدر ثنيته، وقال: افيدع اصبعه في فيك تقضمها قال احسبه قال: كما يقضم الفحل اخرجه البخاري في: 37 كتاب الاجارة: 5 باب الاجير في الغزو

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৯০

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৫. দাঁত ও এ জাতীয় ক্ষতি যাতে কিসাসের হুকুম বিদ্যমান।

১০৯০. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রুবাই- যিনি আনাস (রাঃ)-এর ফুফু- এক আনসার মহিলার সামনের একটি বড় দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। এরপর আহত মহিলার গোত্র এর কিসাস দাবী করে। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এললা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিসাসের নির্দেশ দিলেন, আনাস ইবনু মালিকের চাচা আনাস ইবনু নযর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ রুবাঈ এর দাঁত ভাঙ্গা হবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আনাস আল্লাহর কিতাব তো বদলার বিধান দেয়। পরবর্তীতে বিরোধীপক্ষ রাযী হয়ে মুক্তিপণ বা দিয়ত গ্রহণ করল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কতক বান্দা আছে যারা আল্লাহর নামে কসম করলে আল্লাহ তা’আলা তাদের কসম সত্যে পরিণত করেন।

إثبات القصاص في الأسنان وما في معناها

حديث أَنَسٍ، قَالَ: كَسَرَتِ الرُّبيِّعُ، وَهِيَ عَمَّةُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ثَنِيَّةَ جَارِيَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ، فَطَلَبَ الْقَوْمُ الْقِصَاصَ، فَأَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقِصَاصِ؛ فَقَالَ أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ، عَمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: لاَ وَاللهِ لاَ تُكْسَرُ سِنُّهَا يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَنَسُ كِتَابُ اللهِ الْقِصَاصُ فَرَضِيَ الْقَوْمُ وَقَبِلُوا الأَرْشَ؛ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللهِ مَنْ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللهِ لأَبَرَّهُ

حديث انس، قال: كسرت الربيع، وهي عمة انس بن مالك، ثنية جارية من الانصار، فطلب القوم القصاص، فاتوا النبي صلى الله عليه وسلم، فامر النبي صلى الله عليه وسلم بالقصاص؛ فقال انس بن النضر، عم انس بن مالك: لا والله لا تكسر سنها يا رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يا انس كتاب الله القصاص فرضي القوم وقبلوا الارش؛ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان من عباد الله من لو اقسم على الله لابره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৯১

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৬. কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে মুসলিমের রক্ত বৈধ।

১০৯১. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তি যিনি সাক্ষ্য দেন যে আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তিন-তিনটি কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করা বৈধ নয়। (যথা) প্রাণের বদলে প্ৰাণ। বিবাহিত ব্যভিচারী। আর আপন দীন পরিত্যাগকারী মুসলিম জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি।

ما يباح به دم المسلم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ يَحِلُّ دَمُ امْرِىءٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللهِ إِلاَّ بِإِحْدَى ثَلاَثٍ: النَّفْسُ بِالنَّفْسِ، وَالثَّيِّبُ الزَّانِي، وَالْمَارِقُ مِنَ الدِّينِ التَّارِكُ الْجَمَاعَةَ

حديث عبد الله بن مسعود، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا يحل دم امرىء مسلم يشهد ان لا اله الا الله واني رسول الله الا باحدى ثلاث: النفس بالنفس، والثيب الزاني، والمارق من الدين التارك الجماعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৯২

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৭. হত্যার প্রথম প্রচলনকারীর পাপের বর্ণনা।

১০৯২. ’আবদুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে, তার এ খুনের পাপের অংশ আদম (আঃ)-এর প্রথম ছেলের (কাবিলের) উপর বর্তায়। কারণ সেই সর্বপ্রথম হত্যার প্রচলন ঘটায়।

بيان إِثم من سنّ القتل

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ ُتقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا، لأَنَّهُ أَوَّلُ مَن سَنَّ الْقَتْلَ

حديث عبد الله بن مسعود رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا تقتل نفس ظلما الا كان على ابن ادم الاول كفل من دمها، لانه اول من سن القتل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৯৩

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৮. কিয়ামতের দিন রক্তের (বিনিময়ে) রক্ত দ্বারা প্রতিশোধ গ্রহণ এবং সেদিন মানুষের মাঝে সর্বপ্রথম রক্তের বিষয়ে ফায়সালা করা হবে।

১০৯৩. ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষের মাঝে সর্বপ্রথম হত্যার বিচার করা হবে।

المجازاة بالدماء في الآخرة، وأنها أول ما يقضى فيه بين الناس يوم القيامة

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَوَّلُ مَا يُقْضى بَيْنَ النَّاسِ بِالدِّمَاءِ

حديث عبد الله بن مسعود رضي الله عنه، قال النبي صلى الله عليه وسلم: اول ما يقضى بين الناس بالدماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৯৪

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৯. মুসলিমদের রক্ত, সমভ্রম ও সম্পদ (বিনষ্ট করা) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

১০৯৪. আবৃ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সময় ও কাল আবর্তিত হয় নিজ চক্রে যেদিন থেকে আল্লাহ আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। এক বছর হয় বার মাসে। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত। তিনমাস ক্রমান্বয়ে আসে-যেমন যিলকদ, যিলহাজ্জ ও মুহাররম এবং রজব মুদার বা জমাদিউল আখির ও শাবান মাসের মাঝে হয়ে থাকে। (এরপর তিনি প্রশ্ন করলেন) এটি কোন্ মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানেন। এরপর তিনি চুপ থাকলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, হয়তো তিনি এ মাসের অন্য কোন নাম রাখবেন। (তারপর) তিনি বললেন, এ কি যিলহাজ্জ মাস নয়? আমরা বললামঃ হ্যাঁ।

তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানেন। তারপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ধারণা করলাম যে, হয়তো তিনি এ শহরের অন্য কোন নাম রাখবেন। তারপর তিনি বললেন, এটি কি (মক্কাহ্) শহর নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, এটি কোন্ দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল-ই ভাল জানেন। তারপর তিনি চুপ থাকলেন। এতে আমরা মনে করলাম যে, তিনি এ দিনটির অন্য কোন নামকরণ করবেন। তারপর তিনি বললেন, এটি কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ।

এরপর তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত তোমাদের সম্পদ। রাবী মুহাম্মাদ বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি আরও বলেছিলেন, আমাদের মান-ইজ্জত- আমাদের উপর পবিত্র, যেমন পবিত্র আমাদের আজকের এই দিন, তোমাদের এই শহর ও তোমাদের এই মাস। তোমরা শীঘ্ৰই তোমাদের রবের সঙ্গে মিলিত হবে। তখন তিনি তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। খবরদার! তোমরা আমার ইন্তিকালের পরে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ােনা যে, একে অন্যের গর্দান উড়াবে। শোন, তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তি অনুপস্থিত ব্যক্তিকে আমার পয়গাম পৌছে দেবে। অনেক সময় যে প্রত্যক্ষভাবে শ্ৰবণ করেছে তার থেকেও তার মাধ্যমে খবর পাওয়া ব্যক্তি অধিকতর সংরক্ষণকারী হয়ে থাকে। রাবী মুহাম্মাদ [ইবনু সীরীন (রহঃ)] যখনই এ হাদীস বর্ণনা করতেন তখন তিনি বলতেন-মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই বলেছেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা শোন, আমি কি (আল্লাহর পয়গাম) পৌছে দিয়েছি? এভাবে দু’বার বললেন।

تغليظ تحريم الدماء والأعراض والأموال

حديث أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: الزَّمَانُ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَةِ يَوْمَ خَلَقَ السَّموَاتِ وَالأَرْضَ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا؛ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلاَثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ: ذو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مَضَرَ، الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ؛ أَيُّ شَهْرٍ هذَا قُلْنَا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: أَلَيْسَ ذُو الْحِجَّةِ قُلْنَا: بَلَى قَالَ: فَأَيُّ بَلَدٍ هذَا قُلْنَا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: أَلَيْسَ الْبَلْدَةَ قُلْنَا: بَلَى قَالَ: فَأَيُّ يَوْمٍ هذَا قُلْنَا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغيْرِ اسْمِهِ قَالَ: أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ قُلْنَا: بَلَى قَالَ: فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ قَالَ مُحَمَّدٌ (أَحَدُ رِجَالِ السَّنَدِ) وَأَحْسِبُهُ قَالَ: وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هذَا فِي بَلَدِكُمْ هذَا في شَهْرِكُمْ هذَا؛ وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ فَسَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ، أَلاَ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي ضُلاَّلاً يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ، أَلاَ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ، فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يُبَلَّغُهُ أَنْ يُكُونَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضِ مَن سَمِعهُ فَكَانَ مُحَمَّدٌ إِذَا ذَكَرَهُ يَقُولُ: صَدَقَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ مَرَّتَيْنِ

حديث ابي بكرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: الزمان قد استدار كهيىة يوم خلق السموات والارض، السنة اثنا عشر شهرا؛ منها اربعة حرم، ثلاثة متواليات: ذو القعدة وذو الحجة والمحرم، ورجب مضر، الذي بين جمادى وشعبان؛ اي شهر هذا قلنا: الله ورسوله اعلم فسكت حتى ظننا انه سيسميه بغير اسمه، قال: اليس ذو الحجة قلنا: بلى قال: فاي بلد هذا قلنا: الله ورسوله اعلم فسكت حتى ظننا انه سيسميه بغير اسمه، قال: اليس البلدة قلنا: بلى قال: فاي يوم هذا قلنا: الله ورسوله اعلم فسكت حتى ظننا انه سيسميه بغير اسمه قال: اليس يوم النحر قلنا: بلى قال: فان دماءكم واموالكم قال محمد (احد رجال السند) واحسبه قال: واعراضكم عليكم حرام كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا؛ وستلقون ربكم فسيسالكم عن اعمالكم، الا فلا ترجعوا بعدي ضلالا يضرب بعضكم رقاب بعض، الا ليبلغ الشاهد الغاىب، فلعل بعض من يبلغه ان يكون اوعى له من بعض من سمعه فكان محمد اذا ذكره يقول: صدق محمد صلى الله عليه وسلم ثم قال: الا هل بلغت مرتين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৯৫

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১১. পেটের বাচ্চার রক্তপণ, অনিচ্ছাকৃত হত্যার জন্য রক্তপণ প্রদানের অপরিহার্যতা ও শিবহে আমদের দিয়াত বা রক্তপণ অপরাধীর অভিভাবকের উপর ওয়াজিব।

১০৯৫. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার হুযাইল গোত্রের দু’জন মহিলার মধ্যে বিচার করেন। তারা উভয়ে মারামারি করেছিল। তাদের একজন অন্যজনের উপর পাথর নিক্ষেপ করে। পাথর গিয়ে তার পেটে লাগে। সে ছিল গর্ভবতী। ফলে তার পেটের বাচ্চাকে সে হত্যা করে। তারপর তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট অভিযোগ দায়ের করে। তিনি ফায়সালা দেন যে, এর পেটের সন্তানের বদলে একটি পূর্ণ দাস অথবা দাসী দিতে হবে। জরিমানা আরোপকৃত মহিলার অভিভাবক বললঃ হে আল্লাহর রসূল! এমন সন্তানের জন্য আমার উপর জরিমানা কেন হবে, যে পান করেনি, খাদ্য খায়নি, কথা বলেনি এবং কান্নাকাটিও করেনি। এ অবস্থায় জরিমানা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ তো (দেখছি) গণকদের ভাই।

دية الجنين ووجوب الدية في قتل الخطأ وشبه العمد على عاقلة الجاني

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضى فِي امْرَأَتَيْنِ مِنْ هُذَيْلٍ اقْتَتَلَتَا، فَرَمَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى بَحَجَرٍ، فَأَصَابَ بَطْنَهَا وَهِيَ حَامِلٌ، فَقَتَلَتْ وَلَدَهَا الَّذِي فِي بَطْنِهَا فَاخْتَصَمُوا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَضى أَنَّ دِيَةَ مَا فِي بَطْنِهَا غُرَّةٌ: عَبْدٌ أَوْ أَمَةٌ؛ فَقَالَ وَلِيُّ الْمَرْأَةِ الَّتِي غَرِمَتْ: كَيْفَ أَغْرَمُ، يَا رَسُولَ اللهِ مَنْ لاَ شَرِبَ وَلاَ أَكلَ، وَلاَ نَطَقَ وَلاَ اسْتَهَلَّ، فَمِثْلُ ذَلِكَ بطَلَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا هذَا مِنْ إِخْوَانِ الْكهَّانِ

حديث ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قضى في امراتين من هذيل اقتتلتا، فرمت احداهما الاخرى بحجر، فاصاب بطنها وهي حامل، فقتلت ولدها الذي في بطنها فاختصموا الى النبي صلى الله عليه وسلم، فقضى ان دية ما في بطنها غرة: عبد او امة؛ فقال ولي المراة التي غرمت: كيف اغرم، يا رسول الله من لا شرب ولا اكل، ولا نطق ولا استهل، فمثل ذلك بطل فقال النبي صلى الله عليه وسلم: انما هذا من اخوان الكهان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
১০৯৬

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১১. পেটের বাচ্চার রক্তপণ, অনিচ্ছাকৃত হত্যার জন্য রক্তপণ প্রদানের অপরিহার্যতা ও শিবহে আমদের দিয়াত বা রক্তপণ অপরাধীর অভিভাবকের উপর ওয়াজিব।

১০৯৬. ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি মহিলাদের গর্ভপাত সম্পর্কে সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তখন মুগীরাহ (রাঃ) বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে একটি গোলাম অথবা বাদী প্রদানের ফায়সালা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ফায়সালা করতে দেখেছেন।

دية الجنين ووجوب الدية في قتل الخطأ وشبه العمد على عاقلة الجاني

حديث الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ عَنْ عُمَرَ رضي الله عنه، أَنَّهُ اسْتَشَارَهُمْ فِي إِمْلاَصِ الْمَرْأَةِ؛ فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: قَضى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغُرَّةِ: عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ فَشَهِدَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ أَنَّهُ شَهِدَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضى بِهِ

حديث المغيرة بن شعبة ومحمد بن مسلمة عن عمر رضي الله عنه، انه استشارهم في املاص المراة؛ فقال المغيرة: قضى النبي صلى الله عليه وسلم بالغرة: عبد او امة فشهد محمد بن مسلمة انه شهد النبي صلى الله عليه وسلم قضى به

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ কাসামাহ (كتاب القسامة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১২ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে