সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد)
১৮২১

পরিচ্ছেদঃ ২৮/২. মুহরিম নয় এমন ব্যক্তি যদি শিকার করে মুহরিমকে উপঢৌকন দেয় তাহলে মুহরিম তা খেতে পারবে ।

28/1. بَاب جَزَاءِ الصَّيْدِ وَنَحْوِهِ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

২৮/১. অধ্যায় : আর মহান আল্লাহর বাণীঃ

(لاَ تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءُ مِثْلِ مَا قَتَلَ مِنْ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَلِكَ صِيَامًا لِيَذُوقَ وَبَالَ أَمْرِهِ عَفَا اللهُ عَمَّا سَلَفَ وَمَنْ عَادَ فَيَنْتَقِمُ اللهُ مِنْهُ وَاللهُ عَزِيزٌ ذُو انْتِقَامٍ أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ مَتَاعًا لَكُمْ وَلِلسَّيَّارَةِ وَحُرِّمَ عَلَيْكُمْ صَيْدُ الْبَرِّ مَا دُمْتُمْ حُرُمًا وَاتَّقُوا اللهَ الَّذِي إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ)

’’ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা ইহরামে থাকা অবস্থায় শিকারকে হত্যা করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ ইচ্ছা করে শিকার হত্যা করলে তার উপর বিনিময় বর্তাবে, যা সমান হবে হত্যাকৃত জন্তুর, তোমাদের মধ্যের দু’জন ন্যায়বান লোক এর ফায়সালা করবে; সে জন্তুটি হাদিয়া হিসেবে কা’বায় পৌঁছাতে হবে। অথবা তার সমপরিমাণ রোযা রাখবে; যাতে সে আস্বাদন করে তার কৃতকর্মের প্রতিফল। যা গত হয়েছে আল্লাহ তা মাফ করেছেন। তবে কেউ তা পুনরায় করলে আল্লাহ তার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিবেন। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সমুদ্রের শিকার ধরা এবং তা খাওয়া, তোমাদের ও মুসাফিরদের ভোগের জন্য। আর তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে স্থলচর শিকার ধরা, যতক্ষণ তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাকবে। ভয় কর আল্লাহ্‌কে যাঁর কাছে তোমাদের একত্র করা হবে।’’ (আল-মায়িদাহ্ঃ ৯৫-৯৬)

وَلَمْ يَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَنَسٌ بِالذَّبْحِ بَأْسًا وَهُوَ غَيْرُ الصَّيْدِ نَحْوُ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ وَالْبَقَرِ وَالدَّجَاجِ وَالْخَيْلِ يُقَالُ (عَدْلُ ذَلِكَ) مِثْلُ فَإِذَا كُسِرَتْ عِدْلٌ فَهُوَ زِنَةُ ذَلِكَ (قِيَامًا) قِوَامًا (يَعْدِلُونَ) يَجْعَلُونَ عَدْلاً

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) ও আনাস (রাঃ) শিকার ব্যতীত অন্য কোন প্রাণী যবেহ করাতে মুহরিমের কোন অসুবিধা আছে বলে মনে করেন না। যেমন উট, বকরী, গরু, মুরগী ও ঘোড়া। বলা হয় عَدْلُ অর্থ مِثْلُ (অনুরূপ) এবং عِدْلٌ অর্থ زِنَةُ (সমান) قِيَامًا এর অর্থ  قِوَامًا (কল্যাণ) এবং يَعْدِلُونَ -এর অর্থ হল يَجْعَلُونَ عَدْلاً (সমকক্ষ দাঁড় করানো)


১৮২১. ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা হুদাইবিয়ার বছর (শত্রুদের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য) বের হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ ইহরাম বাঁধলেন কিন্তু তিনি ইহরাম বাঁধলেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলা হল, একটি শত্রুদল তাঁর সাথে যুদ্ধ করতে চায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন। এ সময় আমি তাঁর সাহাবীদের সাথে ছিলাম। হঠাৎ দেখি যে, তারা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করছে। আমি তাকাতেই একটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। অমনিই আমি বর্শা দিয়ে আক্রমণ করে তাকে ধরাশায়ী করে ফেলি। সঙ্গীদের নিকট সহযোগিতা কামনা করলে সকলে আমাকে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করল। এরপর আমরা সকলেই ঐ বন্য গাধার মাংস খেলাম। এতে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার আশঙ্কা করলাম। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সন্ধানে আমার ঘোড়াটিকে কখনো দ্রুত কখনো আস্তে চালাচ্ছিলাম। মাঝ রাতের দিকে গিফার গোত্রের এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কোথায় রেখে এসেছ? সে বললো, তা’হিন নামক স্থানে আমি তাঁকে রেখে এসেছি। এখন তিনি সুকয়া নামক স্থানে কায়লূলায় (দুপুরের বিশ্রামে) আছেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সাহাবীগণ আপনার প্রতি সালাম পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তাঁরা আপনার হতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তাই আপনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করুন। অতঃপর আমি পুনরায় বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একটি বন্য গাধা শিকার করেছি। এখনো তার বাকী অংশটুকু আমার নিকট রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাওমের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা খাও। অথচ তাঁরা সকলেই তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। (১৮২২, ১৮২৩, ১৮২৪, ২৫৭০, ২৮৫৪, ২৯১৪, ৪১৪৯, ৫৪০৬, ৫৪০৭, ৫৪৯০, ৫৪৯১, ৫৪৯২, মুসলিম ১৫/৮, হাঃ ১১৯৬, আহমাদ ২২৬৬৬)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯১. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭০১)

وَإِذَا صَادَ الْحَلاَلُ فَأَهْدَى لِلْمُحْرِمِ الصَّيْدَ أَكَلَهُ

حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ انْطَلَقَ أَبِي عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ يُحْرِمْ وَحُدِّثَ النَّبِيُّ أَنَّ عَدُوًّا يَغْزُوهُ فَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِهِ تَضَحَّكَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِحِمَارِ وَحْشٍ فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ فَطَعَنْتُهُ فَأَثْبَتُّهُ وَاسْتَعَنْتُ بِهِمْ فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ فَطَلَبْتُ النَّبِيَّ أَرْفَعُ فَرَسِي شَأْوًا وَأَسِيرُ شَأْوًا فَلَقِيتُ رَجُلاً مِنْ بَنِي غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ قُلْتُ أَيْنَ تَرَكْتَ النَّبِيَّ قَالَ تَرَكْتُهُ بِتَعْهَنَ وَهُوَ قَائِلٌ السُّقْيَا فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَهْلَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللهِ إِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ فَانْتَظِرْهُمْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَصَبْتُ حِمَارَ وَحْشٍ وَعِنْدِي مِنْهُ فَاضِلَةٌ فَقَالَ لِلْقَوْمِ كُلُوا وَهُمْ مُحْرِمُونَ

حدثنا معاذ بن فضالة حدثنا هشام عن يحيى عن عبد الله بن ابي قتادة قال انطلق ابي عام الحديبية فاحرم اصحابه ولم يحرم وحدث النبي ان عدوا يغزوه فانطلق النبي صلى الله عليه وسلم فبينما انا مع اصحابه تضحك بعضهم الى بعض فنظرت فاذا انا بحمار وحش فحملت عليه فطعنته فاثبته واستعنت بهم فابوا ان يعينوني فاكلنا من لحمه وخشينا ان نقتطع فطلبت النبي ارفع فرسي شاوا واسير شاوا فلقيت رجلا من بني غفار في جوف الليل قلت اين تركت النبي قال تركته بتعهن وهو قاىل السقيا فقلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اهلك يقرءون عليك السلام ورحمة الله انهم قد خشوا ان يقتطعوا دونك فانتظرهم قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم اصبت حمار وحش وعندي منه فاضلة فقال للقوم كلوا وهم محرمون


Narrated `Abdullah bin Abu Qatada:

My father set out (for Mecca) in the year of Al-Hudaibiya, and his companions assumed Ihram, but he did not. At that time the Prophet (ﷺ) was informed that an enemy wanted to attack him, so the Prophet (ﷺ) proceeded onwards. While my father was among his companions, some of them laughed among themselves. (My father said), "I looked up and saw an onager. I attacked, stabbed and caught it. I then sought my companions' help but they refused to help me. (Later) we all ate its meat. We were afraid that we might be left behind (separated) from the Prophet (ﷺ) so I went in search of the Prophet (ﷺ) and made my horse to run at a galloping speed at times and let it go slow at an ordinary speed at other times till I met a man from the tribe of Bani Ghifar at midnight. I asked him, "Where did you leave the Prophet (ﷺ) ?" He replied, "I left him at Ta'hun and he had the intention of having the midday rest at As-Suqya. I followed the trace and joined the Prophet (ﷺ) and said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Your people (companions) send you their compliments, and (ask for) Allah's Blessings upon you. They are afraid lest they may be left behind; so please wait for them.' I added, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! I hunted an onager and some of its meat is with me. The Prophet (ﷺ) told the people to eat it though all of them were in the state of Ihram."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮২২

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৩. মুহরিম ব্যক্তিগণ শিকার জন্তু দেখে হাসাহাসি করার ফলে ইহরামবিহীন ব্যক্তিরা যদি তা বুঝে ফেলে।

১৮২২. আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুদাইবিয়ার বছর আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে যাত্রা করলাম। তাঁর সকল সাহাবীই ইহরাম বেঁধেছিলেন কিন্তু আমি ইহরাম বাঁধিনি। এরপর আমাদেরকে গায়কা নামক স্থানে শত্রুর উপস্থিতি সম্পর্কে খবর দেয়া হলে আমরা শত্রুর অভিমুখে রওয়ানা হলাম। আমার সঙ্গী সাহাবীগণ একটি বন্য গাধা দেখতে পেয়ে একে অন্যের দিকে চেয়ে হাসতে লাগলেন। আমি সেদিকে তাকাতেই তাকে দেখে ফেললাম। সাথে সাথে আমি ঘোড়ার পিঠে চড়ে বর্শা দিয়ে গাধাটিকে আঘাত করে ঐ জায়গাতেই ফেলে দিলাম। অতঃপর তাঁদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করলে তাঁরা সকলেই সাহায্য করতে অসম্মতি প্রকাশ করলেন। তবে আমরা সবাই এর মাংস খেলাম। এরপর গিয়ে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে মিলিত হলাম। (এর পূর্বে) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাবোধ করছিলাম। তাই আমি আমার ঘোড়াটি কখনো দ্রুতগতিতে আবার কখনো স্বাভাবিক গতিতে চালিয়ে যাচ্ছিলাম। মধ্যরাতে গিয়ে গিফার গোত্রীয় এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কোথায় রেখে এসেছেন? তিনি বললেন, আমি তা‘হিন নামক স্থানে তাঁকে রেখে এসেছি। তিনি এখন সুকয়া নামক স্থানে বিশ্রাম করছেন। এরপর আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে মিলিত হলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সাহাবীগণ আপনার প্রতি সালাম পাঠিয়েছেন এবং রহমতের দু‘আ করেছেন। শত্রুরা আপনার হতে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে এ ভয়ে তাঁরা আতংকিত হয়ে পড়েছিলেন। সুতরাং আপনি তাদের জন্য অপেক্ষা করুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাই করলেন। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমরা একটি বন্য গাধা শিকার করেছি। এর অবশিষ্ট কিছু অংশ এখনও আমাদের নিকট আছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদেরকে বললেনঃ তোমরা খাও। অথচ তাঁরা ছিলেন ইহরাম অবস্থায়। (১৮২১)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯২. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ১৭০২)

بَاب إِذَا رَأَى الْمُحْرِمُونَ صَيْدًا فَضَحِكُوا فَفَطِنَ الْحَلاَلُ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ قَالَ انْطَلَقْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ أُحْرِمْ فَأُنْبِئْنَا بِعَدُوٍّ بِغَيْقَةَ فَتَوَجَّهْنَا نَحْوَهُمْ فَبَصُرَ أَصْحَابِي بِحِمَارِ وَحْشٍ فَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَضْحَكُ إِلَى بَعْضٍ فَنَظَرْتُ فَرَأَيْتُهُ فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ الْفَرَسَ فَطَعَنْتُهُ فَأَثْبَتُّهُ فَاسْتَعَنْتُهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي فَأَكَلْنَا مِنْهُ ثُمَّ لَحِقْتُ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ أَرْفَعُ فَرَسِي شَأْوًا وَأَسِيرُ عَلَيْهِ شَأْوًا فَلَقِيتُ رَجُلاً مِنْ بَنِي غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ أَيْنَ تَرَكْتَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ تَرَكْتُهُ بِتَعْهَنَ وَهُوَ قَائِلٌ السُّقْيَا فَلَحِقْتُ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَصْحَابَكَ أَرْسَلُوا يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللهِ وَبَرَكَاتِهِ وَإِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يَقْتَطِعَهُمْ الْعَدُوُّ دُونَكَ فَانْظُرْهُمْ فَفَعَلَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا اصَّدْنَا حِمَارَ وَحْشٍ وَإِنَّ عِنْدَنَا فَاضِلَةً فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ كُلُوا وَهُمْ مُحْرِمُونَ

حدثنا سعيد بن الربيع حدثنا علي بن المبارك عن يحيى عن عبد الله بن ابي قتادة ان اباه حدثه قال انطلقنا مع النبي صلى الله عليه وسلم عام الحديبية فاحرم اصحابه ولم احرم فانبىنا بعدو بغيقة فتوجهنا نحوهم فبصر اصحابي بحمار وحش فجعل بعضهم يضحك الى بعض فنظرت فرايته فحملت عليه الفرس فطعنته فاثبته فاستعنتهم فابوا ان يعينوني فاكلنا منه ثم لحقت برسول الله صلى الله عليه وسلم وخشينا ان نقتطع ارفع فرسي شاوا واسير عليه شاوا فلقيت رجلا من بني غفار في جوف الليل فقلت اين تركت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال تركته بتعهن وهو قاىل السقيا فلحقت برسول الله صلى الله عليه وسلم حتى اتيته فقلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اصحابك ارسلوا يقرءون عليك السلام ورحمة الله وبركاته وانهم قد خشوا ان يقتطعهم العدو دونك فانظرهم ففعل فقلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انا اصدنا حمار وحش وان عندنا فاضلة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لاصحابه كلوا وهم محرمون


Narrated `Abdullah bin Abu Qatada:

That his father said "We proceeded with the Prophet (ﷺ) in the year of Al-Hudaibiya and his companions assumed Ihram but I did not. We were informed that some enemies were at Ghaiqa and so we went on towards them. My companions saw an onager and some of them started laughing among themselves. I looked and saw it. I chased it with my horse and stabbed and caught it. I wanted some help from my companions but they refused. (I slaughtered it all alone). We all ate from it (i.e. its meat). Then I followed Allah's Messenger (ﷺ) lest we should be left behind. At times I urged my horse to run at a galloping speed and at other times at an ordinary slow speed. On the way I met a man from the tribe of Bani Ghifar at midnight. I asked him where he had left Allah's Messenger (ﷺ) . The man replied that he had left the Prophet (ﷺ) at a place called Ta'hun and he had the intention of having the midday rest at As-Suqya. So, I followed Allah's Messenger (ﷺ) till I reached him and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have been sent by my companions who send you their greetings and compliments and ask for Allah's Mercy and Blessings upon you. They were afraid lest the enemy might intervene between you and them; so please wait for them." So he did. Then I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We have hunted an onager and have some of it (i.e. its meat) left over." Allah's Messenger (ﷺ) told his companions to eat the meat although all of them were in a state of Ihram."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮২৩

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৪. শিকার্য জন্তু হত্যা করার জন্য মুহরিম কোন গাইর মুহরিম ব্যক্তিকে সহযোগিতা করবে না।

১৮২৩. আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদিনা হতে তিন মারহালা দূরে অবস্থিত কাহা নামক স্থানে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আমাদের কেউ ইহরামধারী ছিলেন আর কেউ ছিলেন ইহরামবিহীন। এ সময় আমি আমার সাথী সাহাবীদেরকে দেখলাম তাঁরা একে অন্যকে কিছু দেখাচ্ছেন। আমি তাকাতেই একটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। (রাবী বলেন) এ সময় তার চাবুকটি পড়ে গেল। (তিনি আনিয়ে দেয়ার কথা বললে) সকলেই বললেন, আমরা মুহরিম। তাই এ কাজে আমরা তোমাকে সাহায্য করতে পারব না। অবশেষে আমি নিজেই তা উঠিয়ে নিলাম এরপর টিলার পিছন দিক হতে গাধাটির কাছে এসে তা শিকার করে সাহাবীদের কাছে নিয়ে আসলাম। তাদের কেউ বললেন, খাও, আবার কেউ বললেন, খেয়ো না। সুতরাং গাধাটি আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট নিয়ে আসলাম। তিনি আমাদের সকলের আগে ছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ খাও, এতো হালাল। সুফইয়ান (রাঃ) বলেন, আমাদেরকে ‘আমর ইবনু দ্বীনার বললেন, তোমরা সালিহ (রহ.) এবং অন্যান্যের নিকট গিয়ে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস কর। তিনি আমাদের এখানে আগমন করেছিলেন। (১৮২১)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৩. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ১৭০৩)

بَاب لاَ يُعِينُ الْمُحْرِمُ الْحَلاَلَ فِي قَتْلِ الصَّيْدِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ نَافِعٍ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ سَمِعَ أَبَا قَتَادَةَ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْقَاحَةِ مِنْ الْمَدِينَةِ عَلَى ثَلاَثٍ ح و حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْقَاحَةِ وَمِنَّا الْمُحْرِمُ وَمِنَّا غَيْرُ الْمُحْرِمِ فَرَأَيْتُ أَصْحَابِي يَتَرَاءَوْنَ شَيْئًا فَنَظَرْتُ فَإِذَا حِمَارُ وَحْشٍ يَعْنِي وَقَعَ سَوْطُهُ فَقَالُوا لاَ نُعِينُكَ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ إِنَّا مُحْرِمُونَ فَتَنَاوَلْتُهُ فَأَخَذْتُهُ ثُمَّ أَتَيْتُ الْحِمَارَ مِنْ وَرَاءِ أَكَمَةٍ فَعَقَرْتُهُ فَأَتَيْتُ بِهِ أَصْحَابِي فَقَالَ بَعْضُهُمْ كُلُوا وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ تَأْكُلُوا فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ أَمَامَنَا فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ كُلُوهُ حَلاَلٌ قَالَ لَنَا عَمْرٌو اذْهَبُوا إِلَى صَالِحٍ فَسَلُوهُ عَنْ هَذَا وَغَيْرِهِ وَقَدِمَ عَلَيْنَا هَا

حدثنا عبد الله بن محمد حدثنا سفيان حدثنا صالح بن كيسان عن ابي محمد نافع مولى ابي قتادة سمع ابا قتادة قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم بالقاحة من المدينة على ثلاث ح و حدثنا علي بن عبد الله حدثنا سفيان حدثنا صالح بن كيسان عن ابي محمد عن ابي قتادة قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم بالقاحة ومنا المحرم ومنا غير المحرم فرايت اصحابي يتراءون شيىا فنظرت فاذا حمار وحش يعني وقع سوطه فقالوا لا نعينك عليه بشيء انا محرمون فتناولته فاخذته ثم اتيت الحمار من وراء اكمة فعقرته فاتيت به اصحابي فقال بعضهم كلوا وقال بعضهم لا تاكلوا فاتيت النبي صلى الله عليه وسلم وهو امامنا فسالته فقال كلوه حلال قال لنا عمرو اذهبوا الى صالح فسلوه عن هذا وغيره وقدم علينا ها


Narrated Abu Qatada:

We were in the company of the Prophet (ﷺ) at a place called Al-Qaha (which is at a distance of three stages of journey from Medina). Abu Qatada narrated through another group of narrators: We were in the company of the Prophet (ﷺ) at a place called Al-Qaha and some of us had assumed Ihram while the others had not. I noticed that some of my companions were watching something, so I looked up and saw an onager. (I rode my horse and took the spear and whip) but my whip fell down (and I asked them to pick it up for me) but they said, "We will not help you by any means as we are in a state of Ihram." So, I picked up the whip myself and attacked the onager from behind a hillock and slaughtered it and brought it to my companions. Some of them said, "Eat it." While some others said, "Do not eat it." So, I went to the Prophet (ﷺ) who was ahead of us and asked him about it, He replied, "Eat it as it is Halal (i.e. it is legal to eat it).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮২৪

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৫. গাইর মুহরিমের শিকারের জন্য মুহরিম ব্যক্তি শিকার্য জন্তুর দিকে ইঙ্গিত করবে না।

১৮২৪. ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদাহ্ (রহ.) হতে বর্ণিত। তাঁকে তাঁর পিতা বলেছেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জে যাত্রা করলে তাঁরাও সকলে যাত্রা করলেন। তাঁদের হতে একটি দলকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য পথে পাঠিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ)-ও ছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সমুদ্র তীরের রাস্তা ধরে অগ্রসর হবে আমাদের পরস্পর সাক্ষাৎ হওয়া পর্যন্ত। তাই তাঁরা সকলেই সমুদ্র তীরের পথ ধরে চলতে থাকেন। ফিরার পথে তাঁরা সবাই ইহরাম বাঁধলেন কিন্তু আবূ কাতাদা (রাঃ) ইহরাম বাঁধলেন না। পথ চলতে চলতে হঠাৎ তাঁরা কতগুলো বন্য গাধা দেখতে পেলেন। আবূ কাতাদাহ (রাঃ) গাধাগুলোর উপর হামলা করে একটি মাদী গাধাকে হত্যা করে ফেললেন। এরপর এক স্থানে অবতরণ করে তাঁরা সকলেই এর মাংস খেলেন। অতঃপর বললেন, আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় আমরা কি শিকার্য জন্তুর মাংস খেতে পারি? তাই আমরা গাধাটির অবশিষ্ট মাংস উঠিয়ে নিলাম। তাঁরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট পৌঁছে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা ইহরাম বেঁধেছিলাম কিন্তু আবূ কাতাদাহ (রাঃ) ইহরাম বাঁধেননি। এ সময় আমরা কতকগুলো বন্য গাধা দেখতে পেলাম। আবূ কাতাদাহ (রাঃ) এগুলোর উপর আক্রমণ করে একটি মাদী গাধা হত্যা করে ফেললেন। এক স্থানে অবতরণ করে আমরা সকলেই এর মাংস খেয়ে নিই। এরপর বললাম, আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় আমরা কি শিকারকৃত জানোয়ারের মাংস খেতে পারি? এখন আমরা এর অবশিষ্ট মাংস নিয়ে এসেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কেউ কি এর উপর আক্রমণ করতে তাকে আদেশ বা ইঙ্গিত করেছ? তাঁরা বললেন, না, আমরা তা করিনি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে বাকী মাংস তোমরা খেয়ে নাও। (১৮২১)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৪. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ১৭০৪)

بَاب لاَ يُشِيرُ الْمُحْرِمُ إِلَى الصَّيْدِ لِكَيْ يَصْطَادَهُ الْحَلاَلُ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ هُوَ ابْنُ مَوْهَبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ حَاجًّا فَخَرَجُوا مَعَهُ فَصَرَفَ طَائِفَةً مِنْهُمْ فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ فَقَالَ خُذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ حَتَّى نَلْتَقِيَ فَأَخَذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ فَلَمَّا انْصَرَفُوا أَحْرَمُوا كُلُّهُمْ إِلاَّ أَبُو قَتَادَةَ لَمْ يُحْرِمْ فَبَيْنَمَا هُمْ يَسِيرُونَ إِذْ رَأَوْا حُمُرَ وَحْشٍ فَحَمَلَ أَبُو قَتَادَةَ عَلَى الْحُمُرِ فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا فَنَزَلُوا فَأَكَلُوا مِنْ لَحْمِهَا وَقَالُوا أَنَأْكُلُ لَحْمَ صَيْدٍ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَحَمَلْنَا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِ الأَتَانِ فَلَمَّا أَتَوْا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا كُنَّا أَحْرَمْنَا وَقَدْ كَانَ أَبُو قَتَادَةَ لَمْ يُحْرِمْ فَرَأَيْنَا حُمُرَ وَحْشٍ فَحَمَلَ عَلَيْهَا أَبُو قَتَادَةَ فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا فَنَزَلْنَا فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهَا ثُمَّ قُلْنَا أَنَأْكُلُ لَحْمَ صَيْدٍ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَحَمَلْنَا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا قَالَ أَمِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا قَالُوا لاَ قَالَ فَكُلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا

حدثنا موسى بن اسماعيل حدثنا ابو عوانة حدثنا عثمان هو ابن موهب قال اخبرني عبد الله بن ابي قتادة ان اباه اخبره ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج حاجا فخرجوا معه فصرف طاىفة منهم فيهم ابو قتادة فقال خذوا ساحل البحر حتى نلتقي فاخذوا ساحل البحر فلما انصرفوا احرموا كلهم الا ابو قتادة لم يحرم فبينما هم يسيرون اذ راوا حمر وحش فحمل ابو قتادة على الحمر فعقر منها اتانا فنزلوا فاكلوا من لحمها وقالوا اناكل لحم صيد ونحن محرمون فحملنا ما بقي من لحم الاتان فلما اتوا رسول الله صلى الله عليه وسلم قالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انا كنا احرمنا وقد كان ابو قتادة لم يحرم فراينا حمر وحش فحمل عليها ابو قتادة فعقر منها اتانا فنزلنا فاكلنا من لحمها ثم قلنا اناكل لحم صيد ونحن محرمون فحملنا ما بقي من لحمها قال امنكم احد امره ان يحمل عليها او اشار اليها قالوا لا قال فكلوا ما بقي من لحمها


Narrated `Abdullah bin Abu Qatada:

That his father had told him that Allah's Messenger (ﷺ) set out for Hajj and so did his companions. He sent a batch of his companions by another route and Abu Qatada was one of them. The Prophet (ﷺ) said to them, "Proceed along the seashore till we meet all together." So, they took the route of the seashore, and when they started all of them assumed Ihram except Abu Qatada. While they were proceeding on, his companions saw a group of onagers. Abu Qatada chased the onagers and attacked and wounded a sheonager. They got down and ate some of its meat and said to each other: "How do we eat the meat of the game while we are in a state of Ihram?" So, we (they) carried the rest of the she-onager's meat, and when they met Allah's Messenger (ﷺ) they asked, saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We assumed Ihram with the exception of Abu Qatada and we saw (a group) of onagers. Abu Qatada attacked them and wounded a she-onager from them. Then we got down and ate from its meat. Later, we said, (to each other), 'How do we eat the meat of the game and we are in a state of Ihram?' So, we carried the rest of its meat. The Prophet asked, "Did anyone of you order Abu Qatada to attack it or point at it?" They replied in the negative. He said, "Then eat what is left of its meat."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮২৫

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৬. মুহরিমকে জীবিত বন্য গাধা হাদিয়া দেয়া হলে সে তা গ্রহণ করবে না।

১৮২৫. সা‘ব ইবনু জাসসামাহ লায়সী (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবওয়া বা ওয়াদ্দান নামক জায়গায় অবস্থানের সময় তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি বন্য গাধা উপঢৌকন দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চেহারায় মনোক্ষুণ্ণ ভাব দেখে বললেনঃ ওটা আমি কখনো তোমাকে ফিরিয়ে দিতাম না যদি আমি মুহরিম না হতাম। (২৫৭৩, ২৫৯৭, মুসলিম ১৫/৮, হাঃ ১১৯৩, আহমাদ ১৬৪২৩)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭০৫ )

بَاب إِذَا أَهْدَى لِلْمُحْرِمِ حِمَارًا وَحْشِيًّا حَيًّا لَمْ يَقْبَلْ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ اللَّيْثِيِّ أَنَّهُ أَهْدَى لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِمَارًا وَحْشِيًّا وَهُوَ بِالأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ فَرَدَّهُ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَأَى مَا فِي وَجْهِهِ قَالَ إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلاَّ أَنَّا حُرُمٌ

حدثنا عبد الله بن يوسف اخبرنا مالك عن ابن شهاب عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة بن مسعود عن عبد الله بن عباس عن الصعب بن جثامة الليثي انه اهدى لرسول الله صلى الله عليه وسلم حمارا وحشيا وهو بالابواء او بودان فرده عليه فلما راى ما في وجهه قال انا لم نرده عليك الا انا حرم


Narrated `Abdullah bin `Abbas:

From As-Sa'b bin Jath-thama Al-Laithi that the latter presented an onager to Allah's Messenger (ﷺ) while he was at Al-Abwa' or at Waddan, and he refused it. On noticing the signs of some unpleasant feeling of disappointment on his (As-Sab's) face, the Prophet (ﷺ) said to him, "I have only returned it because I am Muhrim."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮২৬

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৭. মুহরিম ব্যক্তি যে যে প্রাণী হত্যা করতে পারে।

১৮২৬. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ পাঁচ প্রকার প্রাণী হত্যা করা মুহরিমের জন্য দূষণীয় নয়। (৩৩১৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭০৬ )

’আবদুল্লাহ ইবনু দ্বীনার ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমারের বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ مِنْ الدَّوَابِّ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَمْسٌ مِنْ الدَّوَابِّ لَيْسَ عَلَى الْمُحْرِمِ فِي قَتْلِهِنَّ جُنَاحٌ

حدثنا عبد الله بن يوسف اخبرنا مالك عن نافع عن عبد الله بن عمران رسول الله صلى الله عليه وسلم قال خمس من الدواب ليس على المحرم في قتلهن جناح


Narrated `Abdullah bin `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "It is not sinful of a Muhrim to kill five kinds of animals."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮২৭

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৭. মুহরিম ব্যক্তি যে যে প্রাণী হত্যা করতে পারে।

১৮২৭. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহধর্মিণীগণের একজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আমার নিকট বলেন যে, মুহরিম ব্যক্তি (নির্দিষ্ট) প্রাণী হত্যা করতে পারবে। (১৮২৮, মুসলিম ১৫/৯, হাঃ ১২০০)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ নাই )

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ مِنْ الدَّوَابِّ

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ حَدَّثَتْنِي إِحْدَى نِسْوَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ النَّبِيِّ يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ

وعن عبد الله بن دينار عن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال حدثنا مسدد حدثنا ابو عوانة عن زيد بن جبير قال سمعت ابن عمر يقول حدثتني احدى نسوة النبي صلى الله عليه وسلم عن النبي يقتل المحرم


One of the wives of the Prophet (ﷺ) narrated:

The Prophet (ﷺ) said, "A Muhrim can kill (five kinds of animals.)"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮২৮

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৭. মুহরিম ব্যক্তি যে যে প্রাণী হত্যা করতে পারে।

১৮২৮. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, হাফসা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ প্রকার প্রাণী যে হত্যা করবে তার কোন দোষ নেই। (যেমন) কাক, চিল, ইঁদুর, বিচ্ছু ও হিংস্র কুকুর। (১৮২৭, মুসলিম ১৫/৯, হাঃ ১১৯৯, ১২০০)  [আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৬(২), ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ নাই]

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ مِنْ الدَّوَابِّ

حَدَّثَنَا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ قَالَتْ حَفْصَةُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمْسٌ مِنْ الدَّوَابِّ لاَ حَرَجَ عَلَى مَنْ قَتَلَهُنَّ الْغُرَابُ وَالْحِدَأَةُ وَالْفَأْرَةُ وَالْعَقْرَبُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ

حدثنا اصبغ بن الفرج قال اخبرني عبد الله بن وهب عن يونس عن ابن شهاب عن سالم قال قال عبد الله بن عمر قالت حفصة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خمس من الدواب لا حرج على من قتلهن الغراب والحداة والفارة والعقرب والكلب العقور


Narrated Hafsa:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "It is not sinful (of a Muhrim) to kill five kinds of animals, namely: the crow, the kite, the mouse, the scorpion and the rabid dog."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮২৯

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৭. মুহরিম ব্যক্তি যে যে প্রাণী হত্যা করতে পারে।

১৮২৯. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ প্রকার প্রাণী এত ক্ষতিকর যে, এগুলোকে হারামের মধ্যেও হত্যা করা যেতে পারে। (যেমন) কাক, চিল, বিচ্ছু, ইঁদুর ও হিংস্র কুকুর। (৩৩১৪, মুসলিম ১৫/৯, হাঃ ১১৯৮)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ১৭০৭)

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ مِنْ الدَّوَابِّ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَمْسٌ مِنْ الدَّوَابِّ كُلُّهُنَّ فَاسِقٌ يَقْتُلُهُنَّ فِي الْحَرَمِ الْغُرَابُ وَالْحِدَأَةُ وَالْعَقْرَبُ وَالْفَأْرَةُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ

حدثنا يحيى بن سليمان قال حدثني ابن وهب قال اخبرني يونس عن ابن شهاب عن عروة عن عاىشة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال خمس من الدواب كلهن فاسق يقتلهن في الحرم الغراب والحداة والعقرب والفارة والكلب العقور


Narrated Aisha:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Five kinds of animals are harmful and could be killed in the Haram (Sanctuary). These are: the crow, the kite, the scorpion, the mouse and the rabid dog."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩০

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৭. মুহরিম ব্যক্তি যে যে প্রাণী হত্যা করতে পারে।

১৮৩০. ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিনাতে পাহাড়ের কোন এক গর্তে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে অবস্থান করছিলাম। এমতাবস্থায় তাঁর উপর (وَالْمُرْسَلاَتِ) (الْمُرْسَلاَتِ : ১) সূরা ওয়াল মুরসালাত অবতীর্ণ হল। তিনি সূরাটি তিলাওয়াত করছিলেন। আর আমি তাঁর পবিত্র মুখ হতে গ্রহণ করছিলাম। তাঁর মুখ (তিলাওয়াতের ফলে) সিক্ত ছিল। এমতাবস্থায় আমাদের সম্মুখে একটি সাপ লাফিয়ে পড়ল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ একে হত্যা কর। আমরা দৌড়িয়ে গেলে সাপটি চলে গেল। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের অনিষ্ট হতে সাপটি যেমন রক্ষা পেল তোমরা তেমনি রক্ষা পেলে এর ক্ষতি হতে। (৩৩১৭, ৪৯৩০, ৪৯৩১, ৪৯৩৪)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭০৮ )

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ مِنْ الدَّوَابِّ

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ عَنْ الأَسْوَدِ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي غَارٍ بِمِنًى إِذْ نَزَلَ عَلَيْهِ وَالْمُرْسَلاَتِ وَإِنَّهُ لَيَتْلُوهَا وَإِنِّي لأتَلَقَّاهَا مِنْ فِيهِ وَإِنَّ فَاهُ لَرَطْبٌ بِهَا إِذْ وَثَبَتْ عَلَيْنَا حَيَّةٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اقْتُلُوهَا فَابْتَدَرْنَاهَا فَذَهَبَتْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وُقِيَتْ شَرَّكُمْ كَمَا وُقِيتُمْ شَرَّهَا

حدثنا عمر بن حفص بن غياث حدثنا ابي حدثنا الاعمش قال حدثني ابراهيم عن الاسود عن عبد الله قال بينما نحن مع النبي صلى الله عليه وسلم في غار بمنى اذ نزل عليه والمرسلات وانه ليتلوها واني لاتلقاها من فيه وان فاه لرطب بها اذ وثبت علينا حية فقال النبي صلى الله عليه وسلم اقتلوها فابتدرناها فذهبت فقال النبي صلى الله عليه وسلم وقيت شركم كما وقيتم شرها


Narrated `Abdullah:

While we were in the company of the Prophet (ﷺ) in a cave at Mina, when Surat-wal-Mursalat were revealed and he recited it and I heard it (directly) from his mouth as soon as he recited its revelation. Suddenly a snake sprang at us and the Prophet (ﷺ) said (ordered us): "Kill it." We ran to kill it but it escaped quickly. The Prophet (ﷺ) said, "It has escaped your evil and you too have escaped its evil."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩১

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৭. মুহরিম ব্যক্তি যে যে প্রাণী হত্যা করতে পারে।

১৮৩১. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গিরগিটিকে ক্ষতিকর  (রক্তচোষা) প্রাণী বলেছেন। কিন্তু একে হত্যা করার আদেশ দিতে আমি তাঁকে শুনিনি। (৩৩০৬, মুসলিম ২৯/৩৯, হাঃ ২২২৯)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭০৯)

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ مِنْ الدَّوَابِّ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلْوَزَغِ فُوَيْسِقٌ وَلَمْ أَسْمَعْهُ أَمَرَ بِقَتْلِهِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ إِنَّمَا أَرَدْنَا بِهَذَا أَنَّ مِنًى مِنْ الْحَرَمِ وَأَنَّهُمْ لَمْ يَرَوْا بِقَتْلِ الْحَيَّةِ بَأْسًا

حدثنا اسماعيل قال حدثني مالك عن ابن شهاب عن عروة بن الزبير عن عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال للوزغ فويسق ولم اسمعه امر بقتله قال ابو عبد الله انما اردنا بهذا ان منى من الحرم وانهم لم يروا بقتل الحية باسا


Narrated `Aisha the wife of the Prophet:

Allah's Messenger (ﷺ) called the salamander a bad animal, but I did not hear him ordering it to be killed."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩২

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৮. হারমের অন্তর্গত কোন গাছ কাটা যাবে না।

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ  لاَ يُعْضَدُ شَوْكُهُ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, হারাম শরীফের অভ্যন্তরের কাঁটাও কর্তন করা যাবে না।


১৮৩২. আবূ শুরায়হ ‘আদাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি ‘আমর ইবনু সা‘ঈদ (রহ.)-কে বললেন, যখন ‘আমর বিন সাঈদ মক্কা্য় সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিলেন, হে আমীর (মদিনার গভর্নর)! আমাকে অনুমতি দিন। আমি আপনাকে এমন কথা শুনাব যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের পরের দিন ইরশাদ করেছিলেন। আমার দু’টি কান ঐ কথাগুলো শুনেছে, হৃদয় সেগুলোকে ধারণ করে রেখেছে এবং আমার চোখ দু’টো তা প্রত্যক্ষ করেছে। যখন তিনি কথাগুলো বলেছিলেন, তখন তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও শুকরিয়া করার পর বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা মক্কাকে হারাম (মহাসম্মানিত) করেছেন। কোন মানুষ তাকে মহাসম্মানিত করেনি। সুতরাং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মানুষের জন্য মক্কায় রক্তপাত করা বা এর কোন গাছ কাটা বৈধ নয়। আল্লাহর রাসূল কর্তৃক লড়াই পরিচালনার কারণে যদি (হারামের ভিতরে) কেউ যুদ্ধ করার অনুমতি দেয় তা’হলে তাকে তোমরা বলে দিও, আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তো অনুমতি দিয়েছিলেন। তোমাদেরকে তো আর তিনি অনুমতি দেননি। আর এ অনুমতিও কেবল শুধু আমাকে দিনের কিছু সময়ের জন্য দেয়া হয়েছিল। আজ পুনরায় তার নিষিদ্ধতা পুনর্বহাল হয়েছে যেমনিভাবে অতীতে ছিল। অতএব প্রত্যেক উপস্থিত ব্যক্তি এ কথা যেন প্রত্যেক অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট পৌঁছিয়ে দেয়। আবূ শুরায়হ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, আপনাকে ‘আমর কি জবাব দিয়েছিলেন? তিনি বললেন, ‘আমর বলেছিলেন, হে আবূ শুরায়হ! এর বিষয়টি আমি তোমার থেকে ভাল জানি। হারাম কোন অপরাধীকে, হত্যা করে পলাতক ব্যক্তিকে এবং চুরি করে পলায়নকারী ব্যক্তিকে আশ্রয় দেয় না। আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন,  خُرْبَةٌ শব্দের অর্থ হল  بَلِيَّةٌবা ফিতনা-ফাসাদ। (১০৪)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ১৭১০)

 

بَاب لاَ يُعْضَدُ شَجَرُ الْحَرَمِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْعَدَوِيِّ أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلاً قَامَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِلْغَدِ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ فَسَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَايَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ إِنَّهُ حَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ فَلاَ يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ بِهَا دَمًا وَلاَ يَعْضُدَ بِهَا شَجَرَةً فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ لِقِتَالِ رَسُولِ اللهِ فَقُولُوا لَهُ إِنَّ اللهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ وَلَمْ يَأْذَنْ لَكُمْ وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالأَمْسِ وَلْيُبَلِّغْ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَقِيلَ لأَبِي شُرَيْحٍ مَا قَالَ لَكَ عَمْرٌو قَالَ أَنَا أَعْلَمُ بِذَلِكَ مِنْكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ إِنَّ الْحَرَمَ لاَ يُعِيذُ عَاصِيًا وَلاَ فَارًّا بِدَمٍ وَلاَ فَارًّا بِخُرْبَةٍ خُرْبَةٌ بَلِيَّةٌ

حدثنا قتيبة حدثنا الليث عن سعيد بن ابي سعيد المقبري عن ابي شريح العدوي انه قال لعمرو بن سعيد وهو يبعث البعوث الى مكة اىذن لي ايها الامير احدثك قولا قام به رسول الله صلى الله عليه وسلم للغد من يوم الفتح فسمعته اذناي ووعاه قلبي وابصرته عيناي حين تكلم به انه حمد الله واثنى عليه ثم قال ان مكة حرمها الله ولم يحرمها الناس فلا يحل لامرى يومن بالله واليوم الاخر ان يسفك بها دما ولا يعضد بها شجرة فان احد ترخص لقتال رسول الله فقولوا له ان الله اذن لرسوله ولم ياذن لكم وانما اذن لي ساعة من نهار وقد عادت حرمتها اليوم كحرمتها بالامس وليبلغ الشاهد الغاىب فقيل لابي شريح ما قال لك عمرو قال انا اعلم بذلك منك يا ابا شريح ان الحرم لا يعيذ عاصيا ولا فارا بدم ولا فارا بخربة خربة بلية


Narrated Sa`id bin Abu Sa`id Al-Maqburi:

Abu Shuraih, Al-`Adawi said that he had said to `Amr bin Sa`id when he was sending the troops to Mecca (to fight `Abdullah bin Az-Zubair), "O Chief! Allow me to tell you what Allah's Messenger (ﷺ) said on the day following the Conquest of Mecca. My ears heard that and my heart understood it thoroughly and I saw with my own eyes the Prophet (ﷺ) when he, after Glorifying and Praising Allah, started saying, 'Allah, not the people, made Mecca a sanctuary, so anybody who has belief in Allah and the Last Day should neither shed blood in it, nor should he cut down its trees. If anybody tells (argues) that fighting in it is permissible on the basis that Allah's Messenger (ﷺ) did fight in Mecca, say to him, 'Allah allowed His Apostle and did not allow you.' "Allah allowed me only for a few hours on that day (of the conquest) and today its sanctity is valid as it was before. So, those who are present should inform those who are absent (concerning this fact." Abu Shuraih was asked, "What did `Amr reply?" He said, (`Amr said) 'O Abu Shuraih! I know better than you in this respect Mecca does not give protection to a sinner, a murderer or a thief."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ শুরায়হ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩৩

পরিচ্ছেদঃ ২৮/৯. হারামের (অভ্যন্তরে) কোন শিকার্য জন্তুকে তাড়ানো যাবে না।

১৮৩৩. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা মক্কাকে হারাম (সম্মানিত) করেছেন। সুতরাং তা আমার পূর্বে কারো জন্য হালাল ছিল না এবং আমার পরেও কারো জন্য হালাল হবে না। তবে আমার জন্য কেবল দিনের কিছু সময়ের জন্য হালাল করে দেয়া হয়েছিল। তাই এখানকার ঘাস, লতাপাতা কাটা যাবে না ও গাছ কাটা যাবে না। কোন শিকার্য জন্তুকে তাড়ানো যাবে না এবং কোন হারানো বস্তুকেও হস্তগত করা যাবে না। অবশ্য ঘোষণাকারী ব্যক্তি এ নিয়মের ব্যতিক্রম। ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! স্বর্ণকার এবং আমাদের কবরে ব্যবহারের জন্য ইযখির ঘাসগুলোকে বাদ রাখুন। তিনি বললেনঃ হাঁ ইযখিরকে বাদ দিয়েই। খালিদ (রহ.) ‘ইকরিমা (রহ.) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, হারামের শিকার্য জানোয়ারকে তাড়ান যাবে না, এর অর্থ তুমি কি জান? এর অর্থ হল ছায়া হতে তাকে তাড়িয়ে তার স্থানে নামিয়ে দেয়া। (১৩৪৯)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭১১ )

بَاب لاَ يُنَفَّرُ صَيْدُ الْحَرَمِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ حَرَّمَ مَكَّةَ فَلَمْ تَحِلَّ لأَحَدٍ قَبْلِي وَلاَ تَحِلُّ لأَحَدٍ بَعْدِي وَإِنَّمَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ لاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا وَلاَ يُعْضَدُ شَجَرُهَا وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلاَ تُلْتَقَطُ لُقَطَتُهَا إِلاَّ لِمُعَرِّفٍ وَقَالَ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الإِذْخِرَ لِصَاغَتِنَا وَقُبُورِنَا فَقَالَ إِلاَّ الإِذْخِرَ وَعَنْ خَالِدٍ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ هَلْ تَدْرِي مَا لاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا هُوَ أَنْ يُنَحِّيَهُ مِنْ الظِّلِّ يَنْزِلُ مَكَانَهُ

حدثنا محمد بن المثنى حدثنا عبد الوهاب حدثنا خالد عن عكرمة عن ابن عباس ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ان الله حرم مكة فلم تحل لاحد قبلي ولا تحل لاحد بعدي وانما احلت لي ساعة من نهار لا يختلى خلاها ولا يعضد شجرها ولا ينفر صيدها ولا تلتقط لقطتها الا لمعرف وقال العباس يا رسول الله صلى الله عليه وسلم الا الاذخر لصاغتنا وقبورنا فقال الا الاذخر وعن خالد عن عكرمة قال هل تدري ما لا ينفر صيدها هو ان ينحيه من الظل ينزل مكانه


Narrated Ibn `Abbas:

"The Prophet (ﷺ) said, 'Allah has made Mecca, a sanctuary, so it was a sanctuary before me and will continue to be a sanctuary after me. It was made legal for me (i.e. I was allowed to fight in it) for a few hours of a day. It is not allowed to uproot its shrubs or to cut its trees, or to chase (or disturb) its game, or to pick up its luqata (fallen things) except by a person who would announce that (what he has found) publicly.' Al-`Abbas said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Except Al-Idhkhir (a kind of grass) (for it is used) by our goldsmiths and for our graves.' The Prophet (ﷺ) then said, 'Except Al-Idhkhir.' " `Ikrima said, 'Do you know what "chasing or disturbing" the game means? It means driving it out of the shade to occupy its place."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩৪

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১০. মক্কাতে লড়াই করা হালাল নয়।

وَقَالَ أَبُو شُرَيْحٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَسْفِكُ بِهَا دَمًا

আবূ শুরাইহ্ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, মক্কাতে কোন রক্তপাত করা যাবে না।


১৮৩৪. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ এখন হতে আর হিজরত নেই, রয়েছে কেবল জিহাদ এবং নিয়ত। সুতরাং যখন তোমাদেরকে জিহাদের জন্য ডাকা হবে, এ ডাকে তোমরা সাড়া দিবে। আসমান-যমীন সৃষ্টির দিন হতেই আল্লাহ তা‘আলা এ শহরকে হারাম (মহাসম্মানিত) করে দিয়েছেন। আল্লাহ কর্তৃক সম্মানিত করার কারণেই কিয়ামত পর্যন্ত এ শহর থাকবে মহাসম্মানিত হিসেবে। এ শহরে লড়াই করা আমার পূর্বেও কারো জন্য বৈধ ছিল না এবং আমার জন্যও দিনের কিছু অংশ ব্যতীত বৈধ হয়নি। আল্লাহ কর্তৃক সম্মানিত করার কারণে তা থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত হিসেবে। এর কাঁটা উপড়িয়ে ফেলা যাবে না, তাড়ানো যাবে না এর শিকার্য জানোয়ারকে, ঘোষণা করার উদ্দেশ্য ব্যতীত কেউ এ স্থানে পড়ে থাকা কোন বস্তুকে উঠিয়ে নিতে পারবে না এবং কর্তন করা যাবে না এখানকার কাঁচা ঘাস ও তরুলতাগুলোকে। ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইযখির বাদ দিয়ে। কেননা এ তো তাদের কর্মকারদের জন্য এবং তাদের ঘরে ব্যবহারের জন্য। বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হাঁ, ইযখির বাদ দিয়ে। (১৩৪৯, মুসলিম ১৫/৮১, হাঃ ১৩৫৩)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭১২ )

 

بَاب لاَ يَحِلُّ الْقِتَالُ بِمَكَّةَ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ افْتَتَحَ مَكَّةَ لاَ هِجْرَةَ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ وَإِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فَانْفِرُوا فَإِنَّ هَذَا بَلَدٌ حَرَّمَ اللهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ وَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَإِنَّهُ لَمْ يَحِلَّ الْقِتَالُ فِيهِ لأَحَدٍ قَبْلِي وَلَمْ يَحِلَّ لِي إِلاَّ سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ فَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لاَ يُعْضَدُ شَوْكُهُ وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهُ وَلاَ يَلْتَقِطُ لُقَطَتَهُ إِلاَّ مَنْ عَرَّفَهَا وَلاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا قَالَ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الإِذْخِرَ فَإِنَّهُ لِقَيْنِهِمْ وَلِبُيُوتِهِمْ قَالَ قَالَ إِلاَّ الإِذْخِرَ

حدثنا عثمان بن ابي شيبة حدثنا جرير عن منصور عن مجاهد عن طاوس عن ابن عباس قال قال النبي صلى الله عليه وسلم يوم افتتح مكة لا هجرة ولكن جهاد ونية واذا استنفرتم فانفروا فان هذا بلد حرم الله يوم خلق السموات والارض وهو حرام بحرمة الله الى يوم القيامة وانه لم يحل القتال فيه لاحد قبلي ولم يحل لي الا ساعة من نهار فهو حرام بحرمة الله الى يوم القيامة لا يعضد شوكه ولا ينفر صيده ولا يلتقط لقطته الا من عرفها ولا يختلى خلاها قال العباس يا رسول الله صلى الله عليه وسلم الا الاذخر فانه لقينهم ولبيوتهم قال قال الا الاذخر


Narrated Ibn `Abbas:

On the day of the conquest of Mecca, the Prophet (ﷺ) said, "There is no more emigration (from Mecca) but Jihad and intentions, and whenever you are called for Jihad, you should go immediately. No doubt, Allah has made this place (Mecca) a sanctuary since the creation of the heavens and the earth and will remain a sanctuary till the Day of Resurrection as Allah has ordained its sanctity. Fighting was not permissible in it for anyone before me, and even for me it was allowed only for a portion of a day. So, it is a sanctuary with Allah's sanctity till the Day of Resurrection. Its thorns should not be uprooted and its game should not be chased; and its luqata (fallen things) should not be picked up except by one who would announce that publicly, and its vegetation (grass etc.) should not be cut." Al-`Abbas said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Except Al-Idhkhir, (for it is used by their blacksmiths and for their domestic purposes)." So, the Prophet (ﷺ) said, "Except Al-Idhkhir."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩৫

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১১. মুহরিম ব্যক্তির জন্য সিঙ্গা (রক্তমোক্ষম) লাগানো।

وَكَوَى ابْنُ عُمَرَ ابْنَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ وَيَتَدَاوَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ طِيبٌ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর ছেলেকে ইহরাম অবস্থায় লোহা গরম করে দাগ দিয়েছিলেন। মুহরিম সুগন্ধিবিহীন ঔষধ ব্যবহার করতে পারে।


১৮৩৫. সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ্ (রহ.) বলেন, আমর (বিন দিনার) বলেছেন যে, আমি সর্বপ্রথম ‘আতা ইবনু আব্বাস-কে বলতে শুনেছি তা হলো তিনি বলেছেন যে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় রক্তমোক্ষম (সিঙ্গা) লাগিয়েছিলেন। অপর এক সূত্রে সুফ্ইয়ান (রহ.) বলেন, অতঃপর আমি আমর (বিন দিনার)-কে বলতে শুনেছি যে, ত্বাউস (রহ.) আমাকে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, এ হাদীসটি ‘আমর (রাঃ) সম্ভবত ‘আতা এবং তাউস (রহ.) উভয়ের কাছ থেকে শুনেছেন। (১৯৩৮, ১৯৩৯, ২১০৩,২২৭৮, ২২৭৯, ৫৬৯১, ৫৬৯৪, ৫৬৯৫, ৫৬৯৯, ৫৭০০, ৫৭০১)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭১৩ )

 

بَاب الْحِجَامَةِ لِلْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ قَالَ لَنَا عَمْرٌو أَوَّلُ شَيْءٍ سَمِعْتُ عَطَاءً يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ احْتَجَمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُحْرِمٌ ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ حَدَّثَنِي طَاوُسٌ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ لَعَلَّهُ سَمِعَهُ مِنْهُمَا

حدثنا علي بن عبد الله حدثنا سفيان قال قال لنا عمرو اول شيء سمعت عطاء يقول سمعت ابن عباس يقول احتجم رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو محرم ثم سمعته يقول حدثني طاوس عن ابن عباس فقلت لعله سمعه منهما


Narrated Ibn `Abbas:

Allah's Messenger (ﷺ) was cupped while he was in a state of Ihram.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩৬

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১১. মুহরিম ব্যক্তির জন্য সিঙ্গা (রক্তমোক্ষম) লাগানো।

১৮৩৬. ইবনু বুহাইনা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় ‘লাহইয়ে জামাল’ নামক স্থানে তাঁর মাথার মধ্যখানে সিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। (৫৬৯৮, মুসলিম ১৫/১১, হাঃ ১২০৩)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭১৪ )

بَاب الْحِجَامَةِ لِلْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ الأَعْرَجِ عَنْ ابْنِ بُحَيْنَةَ قَالَ احْتَجَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُحْرِمٌ بِلَحْيِ جَمَلٍ فِي وَسَطِ رَأْسِهِ

حدثنا خالد بن مخلد حدثنا سليمان بن بلال عن علقمة بن ابي علقمة عن عبد الرحمن الاعرج عن ابن بحينة قال احتجم النبي صلى الله عليه وسلم وهو محرم بلحي جمل في وسط راسه


Narrated Ibn Buhaina:

The Prophet, while in the state of Ihram, was cupped at the middle of his head at Liha-Jamal.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩৭

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১২. ইহরাম অবস্থায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া।

১৮৩৭. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় মায়মূনাহ (রাযি.)-কে বিবাহ করেছেন। (৪২৫৮, ৪২৫৯, ৫১১৪, মুসলিম ১৬/৪, হাঃ ১৪১০)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭১৫ )

بَاب تَزْوِيجِ الْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ الْحَجَّاجِ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ مَيْمُونَةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ

حدثنا ابو المغيرة عبد القدوس بن الحجاج حدثنا الاوزاعي حدثني عطاء بن ابي رباح عن ابن عباس ان النبي صلى الله عليه وسلم تزوج ميمونة وهو محرم


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) married Maimuna while he was in the state of Ihram, (only the ceremonies of marriage were held).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩৮

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১৩. মুহরিম পুরুষ ও মুহরিম নারীর জন্য নিষিদ্ধ সুগন্ধিদ্রব্য।

وَقَالَتْ عَائِشَةُ  لاَ تَلْبَسْ الْمُحْرِمَةُ ثَوْبًا بِوَرْسٍ أَوْ زَعْفَرَانٍ

’আয়িশাহ (রাযি.) বলেন, মুহরিম নারী ওয়ারস্ কিংবা জাফরানে রঞ্জিত কাপড় পরিধান করবে না।


১৮৩৮. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইহরাম অবস্থায় আপনি আমাদেরকে কী ধরনের কাপড় পরতে আদেশ করেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জামা, পায়জামা, পাগড়ী ও টুপী পরিধান করবে না। তবে কারো যদি জুতা না থাকে তাহলে সে যেন মোজা পরিধান করে তার গিরার নীচ হতে এর উপরের অংশটুকু কেটে নিয়ে তোমরা জাফরান এবং ওয়ারস্ লাগানো কোন কাপড় পরিধান করবে না। মুহরিম মহিলাগণ মুখে নেকাব এবং হাতে হাত মোজা পরবে না। মূসা ইবনু ‘উকবাহ, ইসমা‘ঈল ইবনু ইবরাহীম ইবনু ‘উকবাহ, জুওয়ায়রিয়া এবং ইবনু ইসহাক (রহ.) নিকাব এবং হাত মোজার বর্ণনায় লায়স (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। ‘উবাইদুল্লাহ (রহ.) وَلاَ الْوَرْسُ এর স্থলে وَلاَ وَرْسُ বলেছেন এবং তিনি বলতেন, ইহরাম বাঁধা মেয়েরা নিকাব ও হাত মোজা ব্যবহার করবে না। মালিক (রহ.) নাফি‘ (রহ.)-এর মাধ্যমে ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, ইহরাম বাঁধা মেয়েরা নিকাব ব্যবহার করবে না। লায়স ইবনু আবূ সুলায়ম (রহ.) এ ক্ষেত্রে মালিক (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। (১৩৪)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭১৬ )

 

بَاب مَا يُنْهَى مِنْ الطِّيبِ لِلْمُحْرِمِ وَالْمُحْرِمَةِ

. حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ حَدَّثَنَا نَافِعٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَاذَا تَأْمُرُنَا أَنْ نَلْبَسَ مِنْ الثِّيَابِ فِي الإِحْرَامِ فَقَالَ النَّبِيُّ لاَ تَلْبَسُوا الْقَمِيصَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ الْبَرَانِسَ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ أَحَدٌ لَيْسَتْ لَهُ نَعْلاَنِ فَلْيَلْبَسْ الْخُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ وَلاَ تَلْبَسُوا شَيْئًا مَسَّهُ زَعْفَرَانٌ وَلاَ الْوَرْسُ وَلاَ تَنْتَقِبْ الْمَرْأَةُ الْمُحْرِمَةُ وَلاَ تَلْبَسْ الْقُفَّازَيْنِ تَابَعَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ وَجُوَيْرِيَةُ وَابْنُ إِسْحَاقَ فِي النِّقَابِ وَالْقُفَّازَيْنِ وَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ وَلاَ وَرْسٌ وَكَانَ يَقُولُ لاَ تَتَنَقَّبْ الْمُحْرِمَةُ وَلاَ تَلْبَسْ الْقُفَّازَيْنِ وَقَالَ مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ لاَ تَتَنَقَّبْ الْمُحْرِمَةُ وَتَابَعَهُ لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ

. حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا الليث حدثنا نافع عن عبد الله بن عمر قال قام رجل فقال يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ماذا تامرنا ان نلبس من الثياب في الاحرام فقال النبي لا تلبسوا القميص ولا السراويلات ولا العماىم ولا البرانس الا ان يكون احد ليست له نعلان فليلبس الخفين وليقطع اسفل من الكعبين ولا تلبسوا شيىا مسه زعفران ولا الورس ولا تنتقب المراة المحرمة ولا تلبس القفازين تابعه موسى بن عقبة واسماعيل بن ابراهيم بن عقبة وجويرية وابن اسحاق في النقاب والقفازين وقال عبيد الله ولا ورس وكان يقول لا تتنقب المحرمة ولا تلبس القفازين وقال مالك عن نافع عن ابن عمر لا تتنقب المحرمة وتابعه ليث بن ابي سليم


Narrated `Abdullah bin `Umar:

A person stood up and asked, "O Allah's: Apostle! What clothes may be worn in the state of Ihram?" The Prophet (ﷺ) replied, "Do not wear a shirt or trousers, or any headgear (e.g. a turban), or a hooded cloak; but if somebody has no shoes he can wear leather stockings provided they are cut short off the ankles, and also, do not wear anything perfumed with Wars or saffron, and the Muhrima (a woman in the state of Ihram) should not cover her face, or wear gloves."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৩৯

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১৩. মুহরিম পুরুষ ও মুহরিম নারীর জন্য নিষিদ্ধ সুগন্ধিদ্রব্য।

১৮৩৯. ইবনু ‘আব্বাস(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মুহরিম ব্যক্তিকে তার উষ্ট্রী ফেলে দেয়, ফলে তার ঘাড় ভেঙ্গে যায় এবং মারা যায়। তাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট আনা হয়। তিনি বললেনঃ তোমরা তাকে গোসল করাও এবং কাফন পরাও। তবে তার মাথা ঢেকে দিও না এবং সুগন্ধি লাগিও না। তাকে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় কিয়ামতের ময়দানে উঠানো হবে। (১২৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭১৭)

بَاب مَا يُنْهَى مِنْ الطِّيبِ لِلْمُحْرِمِ وَالْمُحْرِمَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ وَقَصَتْ بِرَجُلٍ مُحْرِمٍ نَاقَتُهُ فَقَتَلَتْهُ فَأُتِيَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اغْسِلُوهُ وَكَفِّنُوهُ وَلاَ تُغَطُّوا رَأْسَهُ وَلاَ تُقَرِّبُوهُ طِيبًا فَإِنَّهُ يُبْعَثُ يُهِلُّ

حدثنا قتيبة حدثنا جرير عن منصور عن الحكم عن سعيد بن جبير عن ابن عباس قال وقصت برجل محرم ناقته فقتلته فاتي به رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال اغسلوه وكفنوه ولا تغطوا راسه ولا تقربوه طيبا فانه يبعث يهل


Narrated Ibn `Abbas:

A man was crushed to death by his she-camel and was brought to Allah's Messenger (ﷺ) who said, "Give him a bath and shroud him, but do not cover his head, and do not bring any perfume near to him, as he will be resurrected reciting Talbiya."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
১৮৪০

পরিচ্ছেদঃ ২৮/১৪. মুহরিম ব্যক্তির গোসল করা।

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَدْخُلُ الْمُحْرِمُ الْحَمَّامَ وَلَمْ يَرَ ابْنُ عُمَرَ وَعَائِشَةُ بِالْحَكِّ بَأْسًا

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, মুহরিম ব্যক্তি গোসলখানায় প্রবেশ করতে পারবে। ইবনু ‘উমার এবং ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) মুহরিম ব্যক্তির শরীর চুলকানোতে কোন দোষ আছে বলে মনে করেন না।


১৮৪০. ‘আবদুল্লাহ ইবনু হুনায়ন (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আবাওয়া নামক জায়গায় ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ)-এর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, মুহরিম ব্যক্তি তার মাথা ধুতে পারবে আর মিসওয়ার (রাঃ) বললেন, মুহরিম তার মাথা ধুতে পারবে না। এরপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে আবূ আইউব আনসারী (রাঃ)-এর নিকট প্রেরণ করলেন। আমি তাঁকে কুয়া হতে পানি উঠানো চরকার দু’ খুঁটির মধ্যে কাপড় ঘেরা অবস্থায় গোসল করতে দেখতে পেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, কে? বললাম, আমি ‘আবদুল্লাহ ইব্ন হুনায়ন। মুহরিম অবস্থায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে তাঁর মাথা ধুতেন, এ বিষয়টি জিজ্ঞেস করার জন্য আমাকে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আপনার নিকট প্রেরণ করেছেন। এ কথা শুনে আবূ আইউব (রাঃ) তাঁর হাতটি কাপড়ের উপর রাখলেন এবং সরিয়ে দিলেন। ফলে তাঁর মাথাটি আমি সুস্পষ্টভাবে দেখতে পেলাম। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে, যে তার মাথায় পানি ঢালছিল, বললেন, পানি ঢাল। সে তাঁর মাথায় পানি ঢালতে থাকল। অতঃপর তিনি দু’ হাত দিয়ে মাথা নাড়া দিয়ে হাত দু’খানা একবার সামনে আনলেন আবার পেছনের দিকে টেনে নিলেন। এরপর বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এরকম করতে দেখেছি। (মুসলিম ১৫/১৩, হাঃ ১২০৫, আহমাদ ২৩৬০৭)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭১৮ )

 

بَاب الِاغْتِسَالِ لِلْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ حُنَيْنٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ الْعَبَّاسِ وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ اخْتَلَفَا بِالأَبْوَاءِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ وَقَالَ الْمِسْوَرُ لاَ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ فَأَرْسَلَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ الْعَبَّاسِ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ بَيْنَ الْقَرْنَيْنِ وَهُوَ يُسْتَرُ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذَا فَقُلْتُ أَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ حُنَيْنٍ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الْعَبَّاسِ أَسْأَلُكَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَوَضَعَ أَبُو أَيُّوبَ يَدَهُ عَلَى الثَّوْبِ فَطَأْطَأَهُ حَتَّى بَدَا لِي رَأْسُهُ ثُمَّ قَالَ لإِنْسَانٍ يَصُبُّ عَلَيْهِ اصْبُبْ فَصَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ثُمَّ حَرَّكَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ وَقَالَ هَكَذَا رَأَيْتُهُ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ

حدثنا عبد الله بن يوسف اخبرنا مالك عن زيد بن اسلم عن ابراهيم بن عبد الله بن حنين عن ابيه ان عبد الله بن العباس والمسور بن مخرمة اختلفا بالابواء فقال عبد الله بن عباس يغسل المحرم راسه وقال المسور لا يغسل المحرم راسه فارسلني عبد الله بن العباس الى ابي ايوب الانصاري فوجدته يغتسل بين القرنين وهو يستر بثوب فسلمت عليه فقال من هذا فقلت انا عبد الله بن حنين ارسلني اليك عبد الله بن العباس اسالك كيف كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يغسل راسه وهو محرم فوضع ابو ايوب يده على الثوب فطاطاه حتى بدا لي راسه ثم قال لانسان يصب عليه اصبب فصب على راسه ثم حرك راسه بيديه فاقبل بهما وادبر وقال هكذا رايته صلى الله عليه وسلم يفعل


Narrated `Abdullah bin Hunain:

`Abdullah bin Al-Abbas and Al-Miswar bin Makhrama differed at Al-Abwa'; Ibn `Abbas said that a Muhrim could wash his head; while Al-Miswar maintained that he should not do so. `Abdullah bin `Abbas sent me to Abu Aiyub Al-Ansari and I found him bathing between the two wooden posts (of the well) and was screened with a sheet of cloth. I greeted him and he asked who I was. I replied, "I am `Abdullah bin Hunain and I have been sent to you by Ibn `Abbas to ask you how Allah's Messenger (ﷺ) used to wash his head while in the state of lhram." Abu Aiyub Al-Ansari caught hold of the sheet of cloth and lowered it till his head appeared before me, and then told somebody to pour water on his head. He poured water on his head, and he (Abu Aiyub) rubbed his head with his hands by bringing them from back to front and from front to back and said, "I saw the Prophet (ﷺ) doing like this."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮/ ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা (كتاب جزاء الصيد) 28/ Penalty of Hunting while on Pilgrimage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »