পরিচ্ছেদঃ ১৮/১. কসর সম্পর্কে বর্ণনা এবং কতদিন অবস্থান পর্যন্ত কসর করবে।
১০৮০. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান কালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ঊনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ সালাত আদায় করি। (৪২৯৮, ৪২৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০১৯)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّقْصِيرِ وَكَمْ يُقِيمُ حَتَّى يَقْصُرَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، وَحُصَيْنٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةَ عَشَرَ يَقْصُرُ، فَنَحْنُ إِذَا سَافَرْنَا تِسْعَةَ عَشَرَ قَصَرْنَا، وَإِنْ زِدْنَا أَتْمَمْنَا.
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) once stayed for nineteen days and prayed shortened prayers. So when we travel led (and stayed) for nineteen days, we used to shorten the prayer but if we traveled (and stayed) for a longer period we used to offer the full prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/১. কসর সম্পর্কে বর্ণনা এবং কতদিন অবস্থান পর্যন্ত কসর করবে।
১০৮১. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে মদিনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দু’রাক‘আত, দু’রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন। (রাবী বলেন) আমি (আনাস (রাযি.)-কে বললাম, আপনারা (হাজ্জকালীন সময়) মক্কা্য় কয় দিন অবস্থান করেছিলেন? তিনি বললেন, সেখানে আমরা দশ দিন অবস্থান করেছিলাম। (৪২৯৭; মুসলিম ৬/১ হাঃ ৬৯৩, আহমাদ ১২৯৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২০)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّقْصِيرِ وَكَمْ يُقِيمُ حَتَّى يَقْصُرَ
أَبُو مَعْمَرٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ فَكَانَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ حَتَّى رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ قُلْتُ أَقَمْتُمْ بِمَكَّةَ شَيْئًا قَالَ أَقَمْنَا بِهَا عَشْرًا.
Narrated Yahya bin 'Is-haq:
I heard Anas saying, "We traveled with the Prophet (ﷺ) from Medina to Mecca and offered two rak`at (for every prayer) till we returned to Medina." I said, "Did you stay for a while in Mecca?" He replied, "We stayed in Mecca for ten days."
পরিচ্ছেদঃ ১৮/২. মিনায় সালাত।
১০৮২. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর এবং ‘উমার (রাযি.)-এর সঙ্গে মিনায় দু’রাক‘আত সালাত আদায় করেছি। উসমান (রাযি.)-এর সঙ্গেও তাঁর খিলাফতের প্রথম দিকে দু‘রাক‘আত আদায় করেছি। অতঃপর তিনি পূর্ণ সালাত আদায় করতে লাগলেন। (১৬৫৫; মুসলিম ৬/২, হাঃ ৬৯৪, আহমাদ ৪৫৩৩, ৬৩৬০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২১)
بَاب الصَّلاَةِ بِمِنًى
مُسَدَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَمَعَ عُثْمَانَ صَدْرًا مِنْ إِمَارَتِهِ ثُمَّ أَتَمَّهَا.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
I offered the prayer with the Prophet, Abu Bakr and `Umar at Mina and it was of two rak`at. `Uthman in the early days of his caliphate did the same, but later on he started praying the full prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/২. মিনায় সালাত।
১০৮৩. হারিসাহ ইবনু ওয়াহব (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরাপদ অবস্থায় আমাদেরকে নিয়ে মিনায় দু‘রাক‘আত সালাত আদায় করেন। (১৬৫৬; মুসলিম ৬/২, হাঃ ৬৯৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২২)
بَاب الصَّلاَةِ بِمِنًى
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ حَارِثَةَ بْنَ وَهْبٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم آمَنَ مَا كَانَ بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ.
Narrated Haritha bin Wahab:
The Prophet (ﷺ) I led us in the prayer at Mina during the peace period by offering two rak`at.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/২. মিনায় সালাত।
১০৮৪. ইব্রাহীম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহ.)-কে বলতে শুনেছি, ‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাযি.) আমাদেরকে নিয়ে মিনায় চার রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন। অতঃপর এ সম্পর্কে ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.)-কে বলা হলো, তিনি প্রথমে ‘ইন্না লিল্লাহ্’ পড়লেন। অতঃপর বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে মিনায় দু‘ রাক‘আত পড়েছি এবং ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাযি.)-এর সঙ্গে মিনায় দু’রাক‘আত পড়েছি। কতই না ভাল হতো যদি চার রাক‘আতের পরিবর্তে দু’রাক‘আত মাকবূল সালাত হতো। (১৬৫৭; মুসলিম ৬/২, হাঃ ৬৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২৩)
بَاب الصَّلاَةِ بِمِنًى
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ صَلَّى بِنَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ ـ رضى الله عنه ـ بِمِنًى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، فَقِيلَ ذَلِكَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه ـ فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ، وَصَلَّيْتُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ، وَصَلَّيْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ، فَلَيْتَ حَظِّي مِنْ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ رَكْعَتَانِ مُتَقَبَّلَتَانِ.
Narrated `Abdur Rahman bin Yazid:
We offered a four rak`at prayer at Mina behind Ibn `Affan . `Abdullah bin Mas`ud was informed about it. He said sadly, "Truly to Allah we belong and truly to Him we shall return." And added, "I prayed two rak`at with Allah's Messenger (ﷺ) at Mina and similarly with Abu Bakr and with `Umar (during their caliphates)." He further said, "May I be lucky enough to have two of the four rak`at accepted (by Allah)."
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জে কত দিন অবস্থান করেছিলেন?
১০৮৫. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ (যুল হিজ্জার) ৪র্থ তারিখ সকালে (মক্কা্য়) আগমন করেন এবং তাঁরা হাজ্জের জন্য তালবীয়াহ পাঠ করতে থাকেন। অতঃপর তিনি তাঁদের হাজ্জকে ‘উমরাহ্য় পরিণত করার আদেশ দেন। তবে তারা ব্যতীত যাঁদের নিকট হাদী (কুরবানীর পশু) ছিল। হাদীস বর্ণনায় ‘আতা (রহ.) জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযি.)-এর অনুসরণ করেছেন। (১৫৬৪, ২৫০৫, ৩৭৩২; মুসলিম ১৫/৩১, হাঃ ১২৪০, আহমাদ ৩৫০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২৪)
بَاب كَمْ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّتِهِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ لِصُبْحِ رَابِعَةٍ يُلَبُّونَ بِالْحَجِّ، فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ مَعَهُ الْهَدْىُ. تَابَعَهُ عَطَاءٌ عَنْ جَابِرٍ.
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) and his companions reached Mecca in the morning of the 4th Dhul-Hijja reciting Talbiya (O Allah! We are obedient to your orders, we respond 4 to your call) . . . intending to perform Hajj. The Prophet (ﷺ) ordered his companions to assume the lhram for Umra instead of Hajj, excepting those who had Hadi (sacrifice) with them.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৪. কত দিনের সফরে সালাত ক্বাসর করবে।
وَسَمَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا وَلَيْلَةً سَفَرًا وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ يَقْصُرَانِ وَيُفْطِرَانِ فِي أَرْبَعَةِ بُرُدٍ وَهِيَ سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا.
এক দিন ও এক রাতের সফরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর বলে উল্লেখ করেছেন। ইবনু ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) চার ‘বুর্দ’ অর্থাৎ ষোল ফারসাখ(১) দূরত্বে কসর করতেন এবং সওম পালন করতেন না।
১০৮৬. ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন নারীই যেন মাহরামকে (২) সঙ্গে না নিয়ে তিন দিনের সফর না করে। (১০৮৭; মুসলিম ১৫/৭৪ হাঃ ১৩৩৮, আহমাদ ৪৬১৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২৫)
بَاب فِي كَمْ يَقْصُرُ الصَّلاَةَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي أُسَامَةَ حَدَّثَكُمْ عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ ".
[২] ইসলামের দৃষ্টিতে যাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম এমন পুরুষ ব্যক্তি।
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "A woman should not travel for more than three days except with a Dhi-Mahram (i.e. a male with whom she cannot marry at all, e.g. her brother, father, grandfather, etc.) or her own husband.)"
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৪. কত দিনের সফরে সালাত ক্বাসর করবে।
১০৮৭. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মহিলার সাথে কোন মাহরাম পুরুষ না থাকলে, সে যেন তিন দিনের সফর না করে। আহমাদ (রহ.)....ইবনু ‘উমার (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীস বর্ণনায় ‘উবাইদুল্লাহ্ (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। (১০৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২৬)
بَاب فِي كَمْ يَقْصُرُ الصَّلاَةَ
مُسَدَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تُسَافِرْ الْمَرْأَةُ ثَلاَثًا إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ تَابَعَهُ أَحْمَدُ عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "A woman should not travel for more than three days except with a Dhi-Mahram."
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৪. কত দিনের সফরে সালাত ক্বাসর করবে।
১০৮৮. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ্ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে কোন মাহরাম পুরুষকে সাথে না নিয়ে একদিন ও এক রাত্রির পথ সফর করা জায়িয নয়। ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর সুহায়ল ও মালিক (রহ.)....হাদীস বর্ণনায় ইবনু আবূ যিব (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। (মুসলিম ১৫/৭৪, হাঃ ১৩৩৯, আহমাদ ৮৪৯৭, ১০৪০৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২৭)
بَاب فِي كَمْ يَقْصُرُ الصَّلاَةَ
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ مَسِيرَةَ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ لَيْسَ مَعَهَا حُرْمَةٌ ". تَابَعَهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ وَسُهَيْلٌ وَمَالِكٌ عَنِ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (p.b.u.h) said, "It is not permissible for a woman who believes in Allah and the Last Day to travel for one day and night except with a Mahram."
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৫. যখন নিজ আবাসস্থল হতে বের হবে তখন হতেই ক্বাসর করবে।
وَخَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلاَم فَقَصَرَ وَهُوَ يَرَى الْبُيُوتَ فَلَمَّا رَجَعَ قِيلَ لَهُ هَذِهِ الْكُوفَةُ قَالَ لاَ حَتَّى نَدْخُلَهَا.
‘আলী (রাযি.) বের হবার পরই কসর করলেন। অথচ তিনি ঘর-বাড়ি দেখতেছিলেন, যখন তিনি ফিরলেন তখন তাঁকে বলা হল, এ তো কূফা। তিনি বললেন, না, যতক্ষণ কুফায় প্রবেশ না করি (ততক্ষণ কসর করব)।
১০৮৯. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে মদিনা্য় যুহরের সালাত চার রাক‘আত আদায় করেছি এবং যুল-হুলাইফায় আসরের সালাত দু’ রাক‘আত আদায় করেছি। (১৫৪৬, ১৫৪৭, ১৫৪৮, ১৫৫১, ১৭১২, ১৭১৩, ১৭১৫, ২৯৫১, ২৯৮৬; মুসলিম ৬/১, হাঃ ৬৯০, আহমাদ ২৩৭০৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২৮)
بَاب يَقْصُرُ إِذَا خَرَجَ مِنْ مَوْضِعِهِ
أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍقَالَ صَلَّيْتُ الظُّهْرَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَبِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ.
Narrated Anas bin Malik:
offered four rak`at of Zuhr prayer with the Prophet (p.b.u.h) at Medina and two rak`at at Dhul-Hulaifa. (i.e. shortened the `Asr prayer).
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৫. যখন নিজ আবাসস্থল হতে বের হবে তখন হতেই ক্বাসর করবে।
১০৯০. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় সালাত দু’ রাক‘আত করে ফরজ করা হয় অতঃপর সফরে সালাত সেভাবেই স্থায়ী থাকে এবং মুকীম অবস্থায় সালাত পূর্ণ (চার রাক‘আত) করা হয়েছে। যুহরী (রহ.) বলেন, আমি ‘উরওয়াহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, (মিনায়) ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) কেন সালাত পূর্ণ আদায় করতেন? তিনি বললেন, ‘উসমান (রাযি.) যে ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন, ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) তা গ্রহণ করেছেন। (৩৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০২৯)
بَاب يَقْصُرُ إِذَا خَرَجَ مِنْ مَوْضِعِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتِ الصَّلاَةُ أَوَّلُ مَا فُرِضَتْ رَكْعَتَيْنِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ، وَأُتِمَّتْ صَلاَةُ الْحَضَرِ. قَالَ الزُّهْرِيُّ فَقُلْتُ لِعُرْوَةَ مَا بَالُ عَائِشَةَ تُتِمُّ قَالَ تَأَوَّلَتْ مَا تَأَوَّلَ عُثْمَانُ.
Narrated `Aisha:
"When the prayers were first enjoined they were of two rak`at each. Later the prayer in a journey was kept as it was but the prayers for non-travelers were completed." Az-Zuhri said, "I asked `Urwa what made Aisha pray the full prayers (in journey)." He replied, "She did the same as `Uthman did."
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৬. সফরে মাগরিবের সালাত তিন রাক‘আত আদায় করা।
১০৯১. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি সফরে ব্যস্ততার কারণে তিনি মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করেছেন, এমনকি মাগরিব ও ‘ইশার সালাত একত্রে আদায় করেছেন। সালিম (রহ.) বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) সফরের ব্যস্ততার সময় এ রকমই করতেন। (১০৯২, ১১০৬, ১১০৯, ১২৬৮, ১২৭৩, ১৮০৫, ৩০০০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩০)
بَاب يُصَلِّي الْمَغْرِبَ ثَلاَثًا فِي السَّفَرِ
أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ فِي السَّفَرِ يُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ حَتَّى يَجْمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعِشَاءِ قَالَ سَالِمٌ وَكَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَفْعَلُهُ إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ.
"I saw Allah's Messenger (ﷺ) delaying the Maghrib prayer till he offered it along with the `Isha' prayer whenever he was in a hurry during the journey." Salim narrated, "Ibn `Umar used to do the same whenever he was in a hurry during the journey."
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৬. সফরে মাগরিবের সালাত তিন রাক‘আত আদায় করা।
১০৯২. অপর এক সূত্রে সালিম (রহ.) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাযি.) মুযদালিফায় মাগরিব ও ‘ইশা একত্রে আদায় করতেন। সালিম (রহ.) আরও বলেন, ইবনু ‘উমার (রাযি.) তাঁর স্ত্রী সফীয়্যাহ বিন্ত আবূ উবাইদ-এর দুঃসংবাদ পেয়ে মদিনা ফেরার সময় মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করেন। আমি তাঁকে বললাম, সালাতের সময় হয়ে গেছে। তিনি বললেন, চলতে থাক। আমি আবার বললাম, সালাত? তিনি বললেন, চলতে থাক। এমনকি দুই বা তিন মাইল অগ্রসর হলেন। অতঃপর নেমে সালাত আদায় করলেন। পরে বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে সফরের ব্যস্ততার সময় এমনভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছি। ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) আরো বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, সফরে যখনই তাঁর ব্যস্ততা ঘটেছে, তখন তিনি মাগরিবের সালাত (দেরী করে) আদায় করেছেন এবং তা তিন রাক‘আতই আদায় করেছেন। মাগরিবের সালাম ফিরিয়ে অল্প দেরি করেই ‘ইশার ইকামাত দেয়া হত এবং দু‘রাক‘আত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। কিন্তু ‘ইশার পরে গভীর রাত না হওয়া পর্যন্ত (নফল) সালাত আদায় করতেন না। (মুসলিম ৬/৫, হাঃ ৭০৩, আহমাদ ৪৪৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২৫ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩০ শেষাংশ)
بَاب يُصَلِّي الْمَغْرِبَ ثَلاَثًا فِي السَّفَرِ
وَزَادَ اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ سَالِمٌ كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِالْمُزْدَلِفَةِ قَالَ سَالِمٌ وَأَخَّرَ ابْنُ عُمَرَ الْمَغْرِبَ وَكَانَ اسْتُصْرِخَ عَلَى امْرَأَتِهِ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ فَقُلْتُ لَهُ الصَّلاَةَ فَقَالَ سِرْ فَقُلْتُ الصَّلاَةَ فَقَالَ سِرْ حَتَّى سَارَ مِيلَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ وَقَالَ عَبْدُ اللهِ رَأَيْتُ النَّبِيَّ إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ يُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ فَيُصَلِّيهَا ثَلاَثًا ثُمَّ يُسَلِّمُ ثُمَّ قَلَّمَا يَلْبَثُ حَتَّى يُقِيمَ الْعِشَاءَ فَيُصَلِّيهَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يُسَلِّمُ وَلاَ يُسَبِّحُ بَعْدَ الْعِشَاءِ حَتَّى يَقُومَ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ.
And Salim added, "Ibn `Umar used to pray the Maghrib and `Isha' prayers together in Al-Muzdalifa." Salim said, "Ibn `Umar delayed the Maghrib prayer because at that time he heard the news of the death of his wife Safiya bint Abi `Ubaid. I said to him, 'The prayer (is due).' He said, 'Go on.' Again I said, 'The prayer (is due).' He said, 'Go on,' till we covered two or three miles. Then he got down, prayed and said, 'I saw the Prophet (ﷺ) praying in this way, whenever he was in a hurry during the journey.' `Abdullah (bin `Umar) added, "Whenever the Prophet was in a hurry, he used to delay the Maghrib prayer and then offer three rak`at (of the Maghrib) and perform Taslim, and after waiting for a short while, Iqama used to be pronounced for the `Isha' prayer when he would offer two rak`at and perform Taslim. He would never offer any optional prayer till the middle of the night (when he used to pray the Tahajjud)."
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৭. সওয়ারীর উপরে সওয়ারী যে দিকে মুখ করে থাকবে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।
১০৯৩. ‘আমির (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, তাঁর সওয়ারী যে দিকেই ফিরেছে, তিনি সে দিকেই সালাত আদায় করেছেন। (১০৯৭, ১১০৪; মুসলিম ৬/৪, হাঃ ৭০১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩১)
بَاب صَلاَةِ التَّطَوُّعِ عَلَى الدَّابَّةِ وَحَيْثُمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ.
Narrated `Abdullah bin 'Amir from his father who said:
I saw the Prophet (p.b.u.h) offering the prayer on his mount (Rahila) whatever direction it took.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৭. সওয়ারীর উপরে সওয়ারী যে দিকে মুখ করে থাকবে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।
১০৯৪. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ার অবস্থায় কিবলাহ ছাড়া অন্য দিকে মুখ করে নফল সালাত আদায় করেছেন। (৪০০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩২)
بَاب صَلاَةِ التَّطَوُّعِ عَلَى الدَّابَّةِ وَحَيْثُمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي التَّطَوُّعَ وَهْوَ رَاكِبٌ فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) used to offer the Nawafil, while riding, facing a direction other than that of the Qibla.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৮. জন্তুর উপর ইঙ্গিতে সালাত আদায় করা।
১০৯৫. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাযি.) তাঁর সওয়ারীর উপর (নফল) সালাত আদায় করতেন এবং এর উপর বিতরও আদায় করতেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন করতেন। (৯৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩৩)
بَاب الإِيْمَاءِ عَلَى الدَّابَّةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ وَيُوتِرُ عَلَيْهَا، وَيُخْبِرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُهُ.
Narrated Nafi`:
Ibn `Umar (while on a journey) used to offer the prayer and the witr on his mount (Rahila). He said that the Prophet (ﷺ) used to do so.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৮. জন্তুর উপর ইঙ্গিতে সালাত আদায় করা।
১০৯৬. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু দ্বীনার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) সফরে সওয়ারী যে দিকেই ফিরেছে সে দিকেই মুখ ফিরে ইঙ্গিতে সালাত আদায় করতেন এবং ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন করতেন। (৯৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩৪)
بَاب الإِيْمَاءِ عَلَى الدَّابَّةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يُصَلِّي فِي السَّفَرِ عَلَى رَاحِلَتِهِ، أَيْنَمَا تَوَجَّهَتْ يُومِئُ. وَذَكَرَ عَبْدُ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُهُ.
Narrated `Abdullah bin Dinar:
On traveling, `Abdullah bin `Umar used to offer the prayer on his Mount by signs whatever direction it took. `Abdullah said that the Prophet (ﷺ) used to do so.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৯. ফার্য সালাতের জন্য সওয়ারী হতে অবতরণ করা।
১০৯৭. ‘আমির ইবনু রাবী‘আহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি,তিনি সওয়ারীতে উপবিষ্ট অবস্থায় মাথা দিয়ে ইঙ্গিত করে সে দিকেই সালাত আদায় করতেন যে দিকে সওয়ারী ফিরত। কিন্তু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ সালাতে এমন করতেন না। (১০৯৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩৫)
بَاب يَنْزِلُ لِلْمَكْتُوبَةِ.
يَحْيَى بْن بُكَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ عَامِرَ بْنَ رَبِيعَةَ أَخْبَرَهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الرَّاحِلَةِ يُسَبِّحُ يُومِئُ بِرَأْسِهِ قِبَلَ أَيِّ وَجْهٍ تَوَجَّهَ وَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ.
Narrated 'Amir bin Rabi`a:
I saw the Prophet (ﷺ) on his Mount praying Nawafil by nodding his head, whatever direction he faced, but Allah's Messenger (ﷺ) never did the same in offering the compulsory prayers.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৯. ফার্য সালাতের জন্য সওয়ারী হতে অবতরণ করা।
১০৯৮. সালিম (রহ.) হতে বর্ণিত। ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) সফরকালে রাতের বেলায় সওয়ারীর উপর থাকা অবস্থায় সালাত আদায় করতেন, কোন্ দিকে তাঁর মুখ রয়েছে সে দিকে লক্ষ্য করতেন না এবং ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারীর উপর নফল সালাত আদায় করেছেন, সওয়ারী যে দিকে মুখ ফিরিয়েছে সে দিকেই এবং তার উপর বিতরও আদায় করেছেন। কিন্তু সওয়ারীর উপর ফরজ সালাত আদায় করতেন না। (৯৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩৫)
بَاب يَنْزِلُ لِلْمَكْتُوبَةِ.
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ قَالَ سَالِمٌ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي عَلَى دَابَّتِهِ مِنَ اللَّيْلِ وَهْوَ مُسَافِرٌ، مَا يُبَالِي حَيْثُ مَا كَانَ وَجْهُهُ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَبِّحُ عَلَى الرَّاحِلَةِ قِبَلَ أَىِّ وَجْهٍ تَوَجَّهَ، وَيُوتِرُ عَلَيْهَا، غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يُصَلِّي عَلَيْهَا الْمَكْتُوبَةَ.
Narrated Salim:
At night `Abdullah bin `Umar used to offer the prayer on the back of his animal during the journey and never cared about the direction he faced. Ibn `Umar said, "Allah's Messenger (ﷺ) used to offer the optional prayer on the back of his Mount facing any direction and also used to pray the witr on it but never offered the compulsory prayer on it."
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৯. ফার্য সালাতের জন্য সওয়ারী হতে অবতরণ করা।
১০৯৯. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারীর উপর পূর্ব দিকে ফিরেও সালাত আদায় করেছেন। কিন্তু যখন তিনি ফরজ সালাত আদায় করার ইচ্ছা করতেন, তখন তিনি সওয়ারী হতে অবতরণ করতেন এবং কিবলামুখী হতেন। (৪০০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৩১ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৩৬)
بَاب يَنْزِلُ لِلْمَكْتُوبَةِ.
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُصَلِّيَ الْمَكْتُوبَةَ نَزَلَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) used to pray (the Nawafil) on his Mount facing east and whenever he wanted to offer the compulsory prayer, he used to dismount and face the Qibla.