পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১/১. সূরাতুল ফাতিহা (ফাতিহাতুল কিতাব) প্রসঙ্গে।
(الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ) اسْمَانِ مِنْ الرَّحْمَةِ الرَّحِيْمُ وَالرَّاحِمُ بِمَعْنًى وَاحِدٍ كَالْعَلِيْمِ وَالْعَالِمِ.
’’রহমান ও রহীম’’ শব্দদ্বয় ’রহমত’ শব্দ থেকে নিষ্পন্ন এবং রহীম ও র-হিম দু’টো শব্দই একই অর্ধবোধক যেমন ’আলীম ও আ-লিম।
(1) سورة الفاتحة
সূরাহ (১) : ফাতিহা*
وَسُمِّيَةْ أُمَّ الْكِةَابِ أَنَّهُ يُبْدَأُ بِكِةَابَةِهَا فِي الْمَصَاحِفِ وَيُبْدَأُ بِقِرَاءَةِهَا فِي الصَّلَاة.
وَ(الدِّيْنُ) الْجَزَاءُ فِي الْخَيْرِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (بِالدِّيْنِ) بِالْحِسَابِ (مَدِيْنِيْنَ) مُحَاسَبِيْنَ.
সূরাহ ফাতিহাকে উম্মুল কিতাব (কিতাবের মূল) হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, সূরাহ ফাতিহা লেখা দ্বারাই কুরআন গ্রন্থাকারে লেখা শুরু হয়েছে।
আর সূরাহ ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে সালাতও আরম্ভ করা হয়। ’’দ্বীন’’ অর্থ -ভাল ও মন্দের প্রতিফল। যেমন বলা হয়ে থাকে وَالشَّرِّ كَمَا تَدِيْنُ تُدَانُ ’’যেমন কর্ম তেমন ফল’’। আর মুজাহিদ (রহ.) বলেন, بِالدِّيْنِ হিসাব-নিকাশ। مَدِيْنِيْنَ যার হিসাব নেয়া হবে।
৪৪৭৪. আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’আল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে নাববীতে সালাত আদায় করছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকেন। কিন্তু ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সালাত আদায় করছিলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা সাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রাসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন- (সূরাহ আনফাল ৮/২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই তোমাকে আমি কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি বলেননি যে আমাকে কুরআনের অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিবেন? তিনি বললেন, الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ -সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল আমাকেই দেয়া হয়েছে। [৪৬৪৭, ৪৭০৩, ৫০০৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১১৯)
بَاب مَا جَاءَ فِيْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِيْ خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ كُنْتُ أُصَلِّيْ فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أُجِبْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ كُنْتُ أُصَلِّيْ فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللهُ (اسْتَجِيْبُوْا لِلهِ وَلِلرَّسُوْلِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيْكُمْ) ثُمَّ قَالَ لِيْ لَأُعَلِّمَنَّكَ سُوْرَةً هِيَ أَعْظَمُ السُّوَرِ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِيْ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قُلْتُ لَهُ أَلَمْ تَقُلْ لَأُعَلِّمَنَّكَ سُوْرَةً هِيَ أَعْظَمُ سُوْرَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَالَ (الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ)هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيْمُ الَّذِيْ أُوْتِيْتُهُ
وكان ذلك قبل الهجرة واخرج ابو بكر بن الانباري في المصاحف عن عبادة قال : فاتحة الكتاب نزلت المكة فهذا جملة ما استدل به من قال انها نزلت بمكة : واستدل من قال انها نزلت بالمدينة بما اخرجه ابن أبي شيبة في المصنف وأبو سعيد ابن الْأعرابي في معجمه والطبراني في الْأوسط من طرق مجاهد عن أبي هريرة رن ابليس حين انزلت فاتحة الكتاب وانزلت بالمدينت واخرج ابن أبي شيبت في المصنف وعبد بن حميد وابن المنذر وأبو نعيم في الحليت وغيرهم من طرق عن مجاهد قال : نزلت فاتحت الكتاب بالمدينت وقيل إنها نزلت مرتين مرت بمكت ومرت بالمدينت جمعًا بين هذه الروايات
প্রকাশ থাকে যে, ইমাম ইবনু কাসীর তাঁর বিখ্যাত তাফসীর ইবনু কাসীর ১ম খন্ড, ৮ম পৃষ্ঠায়ও সূরা ফাতিহা দু’বার নাযিল হওয়ার কথা সমর্থন করে ভিন্ন আসমাউর রিজাল সম্বলিত এক শক্তিশালী তথ্য উপস্থাপন করেছেনঃ
وهي مكية : قال ابن عباس (رض) وقتادة وأبو العالية وقيل مدنية قاله أبو هريرة (رض) ومجاهد وعطاء بن يسار والزهري ويقال نزلت مرتين : مرة بمكة ومرة بالمدينة والأول اشبه لقوله تعالى : وَلَقَدْ آتَيْنَكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِيْ والله تعالى اعلم منها
উল্লেখ্য, সূরায়ে ফাতিহা দু’ দু’বার নাযিল হওয়ার কারণে সূরাখানির গুরুত্ব, মহত্ব, আবশ্যকতা ও প্রয়োজনীয়তা অন্যান্য সূরা হতে এক স্বতন্ত্র মর্যাদা লাভ করেছে, যা খুব সহজেই অনুমেয় বটে। এতদ্ব্যতীত উক্ত সূরার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে স্বয়ং নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ سورة ما انزل في التوراة ولا في الانجيل ولا في الفرقان مثلها
অর্থাৎ এটা এমন একটি সূরা যা তাওরাত, ইঞ্জিল ও ফুরকানেও নাযিল করা হয়নি। অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কেই বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন উক্ত সূরাখানি প্রদান করা হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর ১ম খন্ড, ১৫ পৃষ্ঠা)
এখানে একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে, উক্ত সূরাখানির স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্যের আর একটি দিক এই যে, আলোচ্য সূরাখানির গুরুত্ব মানব জীবনের সব দিকে এতই বেশী পরিব্যপ্ত যে, স্থান বিশেষ ব্যাখ্যায় সম্মানিত তাফসীরকারগণ আলোচ্য সূরাখানির প্রায় ৪২টি নাম দিয়েছেন। যে নামগুলো তাফসীর ইবনু কাসীর, ইবনু জারীর, রুহুল মায়ানী, তাফসীর কবীর, তাফসীর খাযিন, তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর, তাফসীরে কুরতুবী সহ নির্ভরযোগ্য তাফসীরাতের কিতাবসমূহে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে এতদ সমূদয় হতে মাত্র কয়েকটি নাম চয়ন করা হলো। যথাক্রমেঃ (১) سورة مفتاح القرآن কুরআনের কুঞ্জিকা, (২) سورة أم القرآن কুরআনের মা বা আসল, (৩) سورة الدعاء দু‘আর সূরা, (৪) سورة الشفاءরোগ মুক্তির সূরা, (৫) سورة الحمد প্রশংসার সূরা, (৬) أساس القرآن কুরআনের ভিত্তি, (৭) سورة الرحمة রাহমাতের সূরা, (৮) سورة البركة বারকাতের সূরা, (৯) سورة النعمة নি‘আমাতের সূরা, (১০) سورة العبادة ‘ইবাদাতের সূরা, (১১) سورة الهداية হিদায়াত প্রাপ্তির সূরা, (১২) سورة الإسةقامة দৃঢ়তার সূরা, (১৩) سورة الإسةعانة সাহায্য প্রার্থনার সূরা, (১৪) سورة الكافية অত্যধিক ও বিপুলতা দানকারী সূরা, (১৫) سورة الوافية পূর্ণত্ব প্রাপ্ত সূরা, (১৬) سورة الكنـز খণির সূরা (জ্ঞানের খনি, রাহমাত, বারাকাত, নি‘আমাত ও যাবতীয় সাফল্যের খণি বলে এ সূরাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে), (১৭) سورة الشكر শুকর করার সূরা বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সূরা (১৮) سورة الصبر সবরের উৎসাহ দানকারী সূরা, (১৯) سورة التكرار বার বার পঠিতব্য সূরা, (২০) سورة التعلق مع الله আল্লাহর সাথে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সূরা, (২১) سورة الصراط المستقيم সরল সঠিক পথ লাভের সূরা, (২২) سورة الربوبية প্রভুত্ব সনাক্ত করণের সূরা, (২৩) سورة الوحدانية আল্লাহ তা‘আলার একত্ববাদের প্রতি স্বীকৃতি প্রকাশের সূরা, (২৪) سورة الاجةناب الغضب والضلالة আল্লাহর গযব ও গোমরাহী হতে আত্মরক্ষা করার সূরা, (২৫) سورة الصلاة সালাতে একান্তই পঠিতব্য সূরা।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ নামকরণ সালাত আদায়ে একান্তই পঠিতব্য সূরা নামকরণ থেকেও মনে হয়, উক্ত সূরা পাঠ ব্যতীত সালাত পূর্ণ হয় না। ইমাম মুক্তাদী সকলের জন্যই উক্ত সূরা পাঠ করা ওয়াজিব বটে। এ বিষয়ে চার মাযহাবের নিকট গ্রহণযোগ্য তাফসীরের কিতাব ইবনু কাসীর ১ম খন্ড ১১ পৃষ্ঠার যা বিবৃত হয়েছে তা সত্যিই প্রণিধানযোগ্য।
هل ةجب قرأة الفاةحة على المأموم ؟ فيه ثلاثة أقوال للعلماء أحدها أنه ةجب عليه قرأةها كما ةجب على امامه لعموم الْأحاديث المةقدمة-
প্রকাশ থাকে যে, উলামায়ে কিরামদের ৩টি قول এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী (أرجح)সিদ্ধান্ত যা তা-ই প্রথম সিদ্ধান্ত বলে ইবনু কাসীর (রহ.) স্বীয় তাফসীরে উদ্ধৃত করেছেন। অতঃপর দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। যেমন বলা হয়েছে,
والثاني لا تجب على المأموم قرأة بالكلية للفاتحة ولا غيرها ولا في صلاة الجهرية ولا في صلاة السرية لـما رواه الإمام أحمد بن حنبل (رح) في سنده عن جابر بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال من كان له إمام فقرأة الإمام له قرأة ولكن في اسناده ضعيف ورواه مالك (رح) عن وهب ابن كسان عن جابر من كلامه وقد رواي هذا الحديث من طرق ولا يصح منها شيء عن النبي صلى الله عليه وسلم
অর্থাৎ দ্বিতীয় এই যে, সূরায়ে ফাতিহার পাঠ মুক্তাদীর উপর ওয়াজিব হবে না বা অন্য কিছু পাঠ করাও ওয়াজিব হবে না, তা জাহরী (প্রকাশ্য) ক্বিরাআতেই হোক, বা গোপন (سري) ক্বিরাআতেই হোক, যা আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.) স্বীয় কিতাব মুসনাদে আহমাদে রিওয়ায়াতে করেছেন জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে, আর তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের ইক্তিদায় আছে, ইমামের ক্বিরাআতই তার ক্বিরাআত বলে গণ্য হবে। এখানে ইমাম ইবনু কাসীর (রহ.) বলেছেন, উক্ত রিওয়ায়াতের সনদ যঈফ। ইমাম মালিক (রহ.) উক্ত হাদীস সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে উল্লেখ করেন যে, জাবির (রাযি.) উক্ত বাক্য দ্বারা নিজের মত পোষণ করেছেন, এ বাক্যটি রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী বা নির্দেশ এ কথা মোটেই সহীহ নয়।
والثالث أنه ةجب القرأة على الـماموم في السرية لـما ةقدم ولايحب ذلك في الجهرية-
তৃতীয় মত এই যে, সিররী (চুপি চুপি) সালাতে ফাতিহা পড়া ওয়াজিব হবে, প্রকাশ্য সালাতে ওয়াজিব হবে না।
সূরায়ে ফাতিহার বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসটি আমাদের যাবতীয় তর্কের মীমাংসা করে দিয়েছে যা আবূ দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযীর ক্বিরাআত অধ্যায়ে নির্ভরযোগ্য রিওয়ায়াতে দেখা যায় যে, রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন ফাজরের সালাতের ক্বিরাআত আদায় করছেন, পেছনে সহাবায়ে কিরামদের অনেকেই রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহিত সমস্ত ক্বিরাআত পাঠ করছিলেন। অতঃপর সালাত শেষে রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ
لا تفعلو إلَّا بأم القرأن فإنه لا صلاة لـمن لـم يقرأبها-
তোমরা সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত আর কোন সূরা পড়বে না। কেননা যে তা পড়ে না তার সালাত হয় না। এখানে ফাজরের ক্বিরাআত উচ্চ আওয়াজে পড়া হয়েছিল, এখানে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত পাওয়া গেল। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহাবায়ে কিরাম, অতঃপর ইমাম হাসান বাসরী, ইমাম জুহরী, ইমাম আওজা‘ঈ, ইমাম ইবরাহীম নাখ‘ঈ, ইমাম মালিক, ইমাম আবদুল্লাহ বিন আল মুবারক, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিযী, ইমাম নাসায়ী, ইবনু হাজার আসক্বালানী, হাফিয আস সাখাবী, ইমাম শাফি‘ঈ (রহ.), ইমাম নাবাবী, ইমাম শওকানী, হাফিয ইবনু কাসীর, ইমাম গাযযালী, বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহিমাহুমুল্লাহ আজমা‘ঈন) প্রমুখাত মনীষী সহ হিজাজ, নজদ, ‘আসির, ইয়ামান, সিরিয়া, মিশর, মরক্কো, আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মক্কাহ ও মদীনাহর লক্ষ লক্ষ উলামায়ে কিরাম শতাব্দীর পর শতাব্দী এমন কি আজ পর্যন্ত ইমামের পিছনে সর্বাবস্থায় সূরা ফাতিহা পাঠ করে এসেছেন এবং বর্তমানেও পাঠ করে থাকেন, উপরে যেসব মনীষীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের বদৌলতেই রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসশাস্ত্র, পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে অদ্যাবধি টিকে আছে। তাঁদের প্রত্যেকেই ইমাম মুক্তাদী উভয়ের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ অত্যাবশ্যক বলে মনে করেন, তাই আমরাও অবশ্য পঠিতব্য বলে মনে করছি। ইমামের পিছনে ফাতিহা পাঠকারীদেরকে যদি গোমরাহ মনে করা হয়, তবে নাউযুবিল্লাহ, উল্লেখিত ইসলামের মহামনীষীদেরকেও তো এই দৃষ্টিতে তারা প্রকারান্তরে গোমরাহ বলেই মনে করছে। তাঁদের রিওয়ায়াতকে অমান্য করে, উক্ত রিওয়ায়াত পালনকারীদের বিভ্রান্ত ও গোমরাহ বলেই মনে করে কেবল উক্ত মনীষীদের নামের শেষে (রহ.) বলে ভক্তি জাহির করা কি স্ববিরোধিতা নয়? অন্য কারো ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, ইজতিহাদ মানতে গিয়ে যেন রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এবং তাঁর রেখে যাওয়া সহীহ হাদীসকে অগ্রাহ্য করা না হয়, সে দিকে আমাদের সকলের যত্নবান হওয়া আবশ্যক।
Narrated Abu Sa`id bin Al-Mu'alla:
While I was praying in the Mosque, Allah's Messenger (ﷺ) called me but I did not respond to him. Later I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I was praying." He said, "Didn't Allah say'--"Give your response to Allah (by obeying Him) and to His Apostle when he calls you." (8.24) He then said to me, "I will teach you a Sura which is the greatest Sura in the Qur'an, before you leave the Mosque." Then he got hold of my hand, and when he intended to leave (the Mosque), I said to him, "Didn't you say to me, 'I will teach you a Sura which is the greatest Sura in the Qur'an?' He said, "Al-Hamdu-Li l-lah Rabbi-l-`alamin (i.e. Praise be to Allah, the Lord of the worlds) which is Al-Sab'a Al-Mathani (i.e. seven repeatedly recited Verses) and the Grand Qur'an which has been given to me."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১/২. যারা ক্রোধে পতিত নয়।
৪৪৭৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন ইমাম বলবে غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ آمِيْنَ -আল্লাহ আপনি কবূল করুন। যার পড়া মালায়িকাদের পড়ার সময় হবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [1] [৭৮২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২০)
بَاب {غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ}.
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ سُمَيٍّ عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا قَالَ الإِمَامُ (غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ) فَقُوْلُوْا آمِيْنَ فَمَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
والدليل على استحباب التأمين ما رواه الإمام أحمد وأبو داود والترمذي عن وائل بن حجر قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم قرأ "غير المغضوب عليهم ولا الضالين" فقال "آمين" مد بها صوته ولأبي داود رفع بها صوته وقال الترمذي هذا حديث حسن ورُوي عن علي وابن مسعود وغيرهم. وعن أبي هريرة قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا تلا "غير المغضوب عليهم ولا الضالين" قال "آمين" حتى يسمع من يليه من الصف الْأول رواه أبو داود وابن ماجه وزاد فيه: فيرتج بها المسجد. والدارقطني وقال: هذا إسناد حسن.
অর্থাৎ সূরায়ে ফাতিহার শেষে উচ্চ আওয়াজে আ-মীন বলা মুস্তাহাব- এ কথার দলীল এই যে, এ বিষয়ে মহামতি ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, আবূ দাউদ, তিরমিযী (রহ.) ওয়ায়িল বিন হুজর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট শুনেছি, যখন তিনি غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ পর্যন্ত পাঠ করলেন, তখন বললেন, আ-মীন ও স্বীয় আওয়াজকে বাড়িয়ে দিলেন (সশব্দে) এবং ইমাম আবূ দাউদ (রহ.) বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় আওয়াজকে উচ্চ করেই আ-মীন বলেছিলেন। ইমাম তিরমিযী (রহ.) বলেন, উক্ত হাদীসটি হাসান বটে। অতঃপর একই বিষয়ে একই রকম বর্ণনা করেছেন ইবনু মাস‘ঊদ ও ‘আলী (রাযি.) এবং আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ বলতেন, তখন আ-মীন বলতেন, যা এক কাতার পেছন থেকে শোনা যেত। আবূ দাউদ, ইবনু মাজাহ একটু বাড়িয়ে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তদীয় সহাবায়ে কিরামদের আ-মীন বলার কারণে মাসজিদ কেঁপে উঠত। দারাকুতনী বলেন, এ হাদীসের সনদও হাসান পর্যায়েভুক্ত বটে। উল্লেখ্য, উক্ত সহীহুল বুখারীর ১ম খন্ডে ‘কিতাবুস সালাত’-এর মধ্যে ইমাম বুখারী (রহ.) সহীহ সনদের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেছেনঃ إذا أمن الإمام فأمنوا
ইমাম যখন আ-মীন বলবে, তোমরা তখন আ-মীন বল। ইমাম যদি চুপে চুপে আ-মীন বলে তাহলে মুক্তাদীরা কীভাবে আ-মীন বলবে? সুতরাং فأمنوا শব্দটিকে ব্যাখ্যা করলেই দেখা যাচ্ছে যে, আ-মীন সশব্দেই বলতে হবে। অন্যথায় ইমাম যখন বলবে তখন মুক্তাদীদের আ-মীন বলা সম্ভব হবে না। বিস্তারিত জানার জন্য বুখারীর ১ম খন্ডের সালাত অধ্যায়ের টীকাটি পড়ে দেখুন। সহীহ হাদীস অনুযায়ী সালাত আদায় করলে মানুষ যদি গোমরাহ-বিভ্রান্ত হয়, তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য লোকদের মনগড়া ব্যাখ্যা মত ‘আমল করলে হিদায়াত পাওয়া কী করে সম্ভব?
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "When the Imam says: 'Ghair-il-Maghdubi `alaihim Walad-Dallin (i.e. not the path of those who earn Your Anger, nor the path of those who went astray (1.7)), then you must say, 'Ameen', for if one's utterance of 'Ameen' coincides with that of the angels, then his past sins will be forgiven."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘আর তিনি শিখালেন আদমকে সব কিছুর নাম। (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/৩১)
৪৪৭৬. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন মু’মিনগণ একত্রিত হবে এবং তারা বলবে, আমরা যদি আমাদের রবের কাছে আমাদের জন্য একজন সুপারিশকারী পেতাম। এরপর তারা আদম (আঃ)-এর কাছে আসবে এবং তাঁকে বলবে, আপনি মানব জাতির পিতা। আপনাকে আল্লাহ তা‘আলা নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর মালায়িকাহ দ্বারা আপনাকে সিজদা্ করিয়েছেন এবং যাবতীয় বস্ত্তর নাম আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন, যেন আমাদের কঠিন স্থান থেকে আরাম দিতে পারেন। তিনি বলবেন, আমি এ কাজের যোগ্য নই। তিনি নিজ ভুলের কথা স্মরণ করে লজ্জাবোধ করবেন। (তিনি বলবেন) তোমরা নূহ (আঃ)-এর কাছে যাও। তিনিই প্রথম রাসূল (আঃ) যাকে আল্লাহ জগৎবাসীর কাছে পাঠিয়েছেন। তখন তারা তাঁর কাছে আসবে। তিনিও বলবেন, এ কাজ আমার দ্বারা হওয়ার নয়। তিনি তাঁর রবের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন এমন বিষয়ে যা তাঁর জানা ছিল না। সে কথা স্মরণ করে তিনি লজ্জাবোধ করবেন এবং বলবেন বরং তোমরা আল্লাহর খলীল (ইব্রাহীম) (আঃ)-এর কাছে যাও। তারা তখন তাঁর কাছে আসবে, তখন তিনি বলবেন, এ কাজ আমার দ্বারা হওয়ার নয়। তোমরা মূসা (আঃ)-এর কাছে যাও। তিনি এমন বান্দা যে, তাঁর সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন এবং তাঁকে তাওরাত গ্রন্থ দান করেছেন। তখন তারা তাঁর কাছে আসবে। তিনি বলবেন, তোমাদের এ কাজের জন্য আমার সাহস হচ্ছে না এবং তিনি এক কিবতীকে বিনা দোষে হত্যা করার কথা স্মরণ করে তাঁর রবের নিকট লজ্জাবোধ করবেন। তিনি বলবেন, তোমরা ঈসা (আঃ)-এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল এবং আল্লাহর বাণী ও রূহ্। (তারা সেখানে যাবে) তিনি বলবেন, এ কাজ আমার দ্বারা হওয়ার নয়। তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যাও। তিনি এমন এক বান্দা যার পূর্ব ও পরের ভুলত্রুটি আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তখন তারা আমার কাছে আসবে। তখন আমি আমার রবের কাছে যাব এবং অনুমতি চাব, আমাকে অনুমতি প্রদান করা হবে। আর আমি যখন আমার রবকে দেখব, তখন আমি সিজদা্য় লুটিয়ে পড়ব। আল্লাহ যতক্ষণ চান এ অবস্থায় আমাকে রাখবেন। তারপর বলা হবে, আপনার মাথা উঠান এবং চান দেয়া হবে, বলুন শোনা হবে, সুপারিশ করুন কবূল করা হবে। তখন আমি আমার মাথা উঠাব এবং আমাকে যে প্রশংসাসূচক বাক্য শিক্ষা দিবেন তা দ্বারা আমি তাঁর প্রশংসা করব। তারপর সুপারিশ করব। আমাকে একটি সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। (সেই সীমিত সংখ্যায়) আমি তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাব। আমি পুনরায় রবের সমীপে ফিরে আসব। যখন আমি আমার রবকে দেখব তখন আগের মত সবকিছু করব। তারপর আমি সুপারিশ করব। আর আমাকে একটি সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। তদনুসারে আমি তাদের জান্নাতে দাখিল করাব। (তারপর তৃতীয়বার) আমি আবার রবের নিকটে উপস্থিত হয়ে অনুরূপ করব। এরপর আমি চতুর্থবার ফিরে আসব এবং আরয করব এখন তারাই কেবল জাহান্নামে অবশিষ্ট রয়ে গেছে যারা কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী অনেক আছে যাদের উপর জাহান্নামে চিরবাস অবধারিত হয়ে গেছে।
আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন, কুরআনের যে ঘোষণায় তারা জাহান্নামে আবদ্ধ রয়েছে তা হল মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘তারা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।’’ [৪৪; মুসলিম ১/৮৪, হাঃ ১৯৩, আহমাদ ১২১৫৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২১)
بَاب قَوْلِ اللهِ تعالي : {وَعَلَّمَ اٰدَمَ الْأَسْمَآءَ كُلَّهَا}.
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح و قَالَ لِيْ خَلِيْفَةُ حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيْدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَجْتَمِعُ الْمُؤْمِنُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُوْلُوْنَ لَوْ اسْتَشْفَعْنَا إِلَى رَبِّنَا فَيَأْتُوْنَ آدَمَ فَيَقُوْلُوْنَ أَنْتَ أَبُو النَّاسِ خَلَقَكَ اللهُ بِيَدِهِ وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ وَعَلَّمَكَ أَسْمَاءَ كُلِّ شَيْءٍ فَاشْفَعْ لَنَا عِنْدَ رَبِّكَ حَتَّى يُرِيْحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا فَيَقُوْلُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَيَذْكُرُ ذَنْبَهُ فَيَسْتَحِي ائْتُوْا نُوْحًا فَإِنَّهُ أَوَّلُ رَسُوْلٍ بَعَثَهُ اللهُ إِلَى أَهْلِ الْأَرْضِ فَيَأْتُوْنَهُ فَيَقُوْلُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَيَذْكُرُ سُؤَالَهُ رَبَّهُ مَا لَيْسَ لَهُ بِهِ عِلْمٌ فَيَسْتَحِيْ فَيَقُوْلُ ائْتُوْا خَلِيْلَ الرَّحْمَنِ فَيَأْتُوْنَهُ فَيَقُوْلُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ائْتُوْا مُوْسَى عَبْدًا كَلَّمَهُ اللهُ وَأَعْطَاهُ التَّوْرَاةَ فَيَأْتُوْنَهُ فَيَقُوْلُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَيَذْكُرُ قَتْلَ النَّفْسِ بِغَيْرِ نَفْسٍ فَيَسْتَحِيْ مِنْ رَبِّهِ فَيَقُوْلُ ائْتُوْا عِيْسَى عَبْدَ اللهِ وَرَسُوْلَهُ وَكَلِمَةَ اللهِ وَرُوْحَهُ فَيَقُوْلُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ائْتُوْا مُحَمَّدًا عَبْدًا غَفَرَ اللهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ فَيَأْتُوْنِيْ فَأَنْطَلِقُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ عَلَى رَبِّيْ فَيُؤْذَنَ لِيْ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّيْ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِيْ مَا شَاءَ اللهُ ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَسَلْ تُعْطَهْ وَقُلْ يُسْمَعْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِيْ فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيْدٍ يُعَلِّمُنِيْهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِيْ حَدًّا فَأُدْخِلُهُمْ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُوْدُ إِلَيْهِ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّيْ مِثْلَهُ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِيْ حَدًّا فَأُدْخِلُهُمْ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُوْدُ الرَّابِعَةَ فَأَقُوْلُ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلَّا مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ وَوَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُوْدُ
قَالَ أَبُوْ عَبْد اللهِ إِلَّا مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ يَعْنِيْ قَوْلَ اللهِ تَعَالَى (خَالِدِيْنَ فِيْهَا)
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection the Believers will assemble and say, 'Let us ask somebody to intercede for us with our Lord.' So they will go to Adam and say, 'You are the father of all the people, and Allah created you with His Own Hands, and ordered the angels to prostrate to you, and taught you the names of all things; so please intercede for us with your Lord, so that He may relieve us from this place of ours.' Adam will say, 'I am not fit for this (i.e. intercession for you).' Then Adam will remember his sin and feel ashamed thereof. He will say, 'Go to Noah, for he was the first Apostle, Allah sent to the inhabitants of the earth.' They will go to him and Noah will say, 'I am not fit for this undertaking.' He will remember his appeal to his Lord to do what he had no knowledge of, then he will feel ashamed thereof and will say, 'Go to the Khalil--r-Rahman (i.e. Abraham).' They will go to him and he will say, 'I am not fit for this undertaking. Go to Moses, the slave to whom Allah spoke (directly) and gave him the Torah .' So they will go to him and he will say, 'I am not fit for this undertaking.' and he will mention (his) killing a person who was not a killer, and so he will feel ashamed thereof before his Lord, and he will say, 'Go to Jesus, Allah's Slave, His Apostle and Allah's Word and a Spirit coming from Him. Jesus will say, 'I am not fit for this undertaking, go to Muhammad the Slave of Allah whose past and future sins were forgiven by Allah.' So they will come to me and I will proceed till I will ask my Lord's Permission and I will be given permission. When I see my Lord, I will fall down in Prostration and He will let me remain in that state as long as He wishes and then I will be addressed.' (Muhammad!) Raise your head. Ask, and your request will be granted; say, and your saying will be listened to; intercede, and your intercession will be accepted.' I will raise my head and praise Allah with a saying (i.e. invocation) He will teach me, and then I will intercede. He will fix a limit for me (to intercede for) whom I will admit into Paradise. Then I will come back again to Allah, and when I see my Lord, the same thing will happen to me. And then I will intercede and Allah will fix a limit for me to intercede whom I will let into Paradise, then I will come back for the third time; and then I will come back for the fourth time, and will say, 'None remains in Hell but those whom the Qur'an has imprisoned (in Hell) and who have been destined to an eternal stay in Hell.' " (The compiler) Abu `Abdullah said: 'But those whom the Qur'an has imprisoned in Hell,' refers to the Statement of Allah: "They will dwell therein forever." (16.29)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ অতএব, তোমরা জেনে-বুঝে কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করো না। (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/২২)
65/(2/2). بَاب :
৬৫/২/২. অধ্যায়:
قَالَ مُجَاهِدٌ (إِلَى شَيَاطِيْنِهِمْ)أَصْحَابِهِمْ مِنْ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْمُشْرِكِيْنَ (مُحِيْطٌ بِالْكَافِرِيْنَ) اللهُ جَامِعُهُمْ (صِبْغَةَ) : دِيْنٌ (عَلَى الْخَاشِعِيْنَ)عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ حَقًّا قَالَ مُجَاهِدٌ (بِقُوَّةٍ)يَعْمَلُ بِمَا فِيْهِ وَقَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ (مَرَضٌ)شَكٌّ (وَمَا خَلْفَهَا)عِبْرَةٌ لِمَنْ بَقِيَ (لَا شِيَةَ) لَا بَيَاضَ وَقَالَ غَيْرُهُ (يَسُوْمُوْنَكُمْ) يُوْلُوْنَكُمْ (الْوَلَايَةُ)مَفْتُوْحَةٌ مَصْدَرُ الْوَلَاءِ وَهِيَ الرُّبُوْبِيَّةُ إِذَا كُسِرَتْ الْوَاوُ فَهِيَ الإِمَارَةُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ الْحُبُوْبُ الَّتِيْ تُؤْكَلُ كُلُّهَا (فُوْمٌ) وَقَالَ قَتَادَةُ (فَبَاءُوْا) فَانْقَلَبُوْا وَقَالَ غَيْرُهُ (يَسْتَفْتِحُوْنَ) يَسْتَنْصِرُوْنَ (شَرَوْا)بَاعُوْا (رَاعِنَا) مِنْ الرُّعُوْنَةِ إِذَا أَرَادُوْا أَنْ يُحَمِّقُوْا إِنْسَانًا قَالُوْا رَاعِنًا (لَا يَجْزِي) لَا يُغْنِيْ (خُطُوَاتِ) مِنْ الْخَطْوِ وَالْمَعْنَى آثَارَهُ (ابْتَلَى) اخْتَبَرَ
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, إِلَى شَيَاطِيْنِهِمْ তাদের সঙ্গী-সাথী মুনাফিক ও মুশরিক। مُحِيْطٌ بِالْكَافِرِيْنَ -আল্লাহ কাফিরদের পরিবেষ্টন করে আছেন- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৯)। অর্থাৎ আল্লাহ তাদের একত্রকারী। صِبْغَةَ অর্থাৎ দ্বীন। عَلَى الْخَاشِعِيْنَ-প্রকৃত মু’মিনদের নিকট। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, بِقُوَّةٍ-তাতে যা আছে তা ’আমল করে। আবুল আলিয়া (রহ.) বলেন, مَرَضٌ-সন্দেহ। وَمَا خَلْفَهَا -পরবর্তীদের জন্য নাসীহাত। لَا شِيَةَ -দাগ বিহীন। অন্যরা বলেন, يَسُوْمُوْنَكُمْ-তারা তোমাদের কষ্ট দিত- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/৪৯)। الْوَلَايَةُ-আল ওয়াও মাফতুহ্ অবস্থায় الْوَلَاء-আল-ওয়ালা এর ধাতু। অর্থাৎ প্রভুত্ব, আর যখন ’ওয়াও’-কে যের দেয়া হবে, তখন অর্থ দাঁড়াবে নেতৃত্ব। কেউ কেউ বলেন, যে সমস্ত বীজ খাওয়া হয় তাকে ফুম فُوْمٌ বলে। ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেন, فَبَاءُوْا তারা (আল্লাহর গযবের দিকে) ফিরে গেল। يَسْتَفْتِحُوْنَ তারা সাহায্য চাইতো। شَرَوْا-তারা বিক্রি করল। رَاعِنَا নির্গত হয়েছে الرُّعُوْنَةِ মাসদার থেকে। যখন তারা লোককে বোকা বানাতে চাইত তখন বলত, রায়িনা رَاعِنَا
لَا يَجْزِي অর্থাৎ কোন কাজে আসবে না। خُطُوَاتِ নির্গত হয়েছে الْخَطْوِ মাসদার হতে যার অর্থ পদচিহ্ন। ابْتَلَى -পরীক্ষা করলেন।
৪৪৭৭. ’আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, কোন্ গুনাহ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড়? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য অংশীদার দাঁড় করান। অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি বললাম, এতো সত্যিই বড় গুনাহ। আমি বললাম, তারপর কোন্ গুনাহ? তিনি উত্তর দিলেন, তুমি তোমার সন্তানকে এই ভয়ে হত্যা করবে যে, সে তোমার সঙ্গে আহার করবে। আমি আরয করলাম, এরপর কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা। [৪৭৬১, ৬০০১, ৬৮১১, ৬৮৬১, ৭৫২০, ৭৫৩২; মুসলিম ১/৩৭, হাঃ ৮৬০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২২)
بَاب قَوْلُهُ تَعَالَى : {فَلَا تَجْعَلُوْا لِلهِ أَنْدَادًا وَأَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ}
عُثْمَانُ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيْلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ قَالَ أَنْ تَجْعَلَ لِلهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ قُلْتُ إِنَّ ذَلِكَ لَعَظِيْمٌ قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ قَالَ وَأَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ تَخَافُ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ قَالَ أَنْ تُزَانِيَ حَلِيْلَةَ جَارِك
Narrated `Abdullah:
I asked the Prophet, "What is the greatest sin in the Sight of Allah?" He said, "That you set up a rival unto Allah though He Alone created you." I said, "That is indeed a great sin." Then asked, "What is next?" He said, "To kill your son lest he should share your food with you." I asked, "What is next?" He said, "To commit illegal sexual intercourse with the wife of your neighbor."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ
(وَظَلَّلْنَا عَلَيْكُمْ الْغَمَامَ وَأَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ الْمَنَّ وَالسَّلْوٰى كُلُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَمَا ظَلَمُوْنَا وَلٰكِنْ كَانُوْآ أَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُوْنَ)
وَقَالَ مُجَاهِدٌ (الْمَنُّ)صَمْغَةٌ (وَالسَّلْوَى) الطَّيْرُ.
‘‘আর আমি মেঘমালা দিয়ে তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি মান্না ও সালওয়া। তোমরা খাও সেসব পবিত্র বস্তু যা আমি তোমাদের দান করেছি। তারা আমার প্রতি কোন জুলুম করেনি, বরং তারা নিজেদের উপরই জুলুম করেছিল।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/৫৭)
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, মান্ন শিশির জাতীয় সুস্বাদু খাদ্য (যা পাথর ও গাছের উপর অবতীর্ণ হত পরে জমে গিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো হত) আর সাল্ওয়া-পাখি।
৪৪৭৮. সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...... -আল কামাআত (ব্যাঙের ছাতা) মান্ন জাতীয়। আর তার পানি চোখের রোগের প্রতিষেধক। [৪৬৩৯, ৫৭০৮; মুসলিম ৩৬/২৮, হাঃ ২০৪৯, আহমাদ ১৬২৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২৩)
بَاب وَقَوْلُهُ تَعَالَى
أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ
Narrated Sa`id bin Zaid:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The Kam'a (i.e. a kind of edible fungus) is like the Manna (in that it is obtained without effort) and its water is a (medicine) cure for eye trouble."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৫. পরিচ্ছেদ নাই।
(وَإِذْ قُلْنَا ادْخُلُوْا هٰذِهِ الْقَرْيَةَ فَكُلُوْا مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ رَغَدًا وَادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَّقُوْلُوْا حِطَّةٌ نَّغْفِرْ لَكُمْ خَطَايَاكُمْ وَسَنَزِيْدُ الْمُحْسِنِيْنَ) رَغَدًا وَاسِعٌ كَثِيْرٌ.
‘‘স্মরণ করুন, যখন আমি বললাম, এই জনপদে প্রবেশ কর, যেখানে ইচ্ছা স্বাচ্ছন্দে খাও, অবনত মস্তকে প্রবেশ কর দ্বার দিয়ে এবং বল حِطَّةٌ-‘ক্ষমা চাই’। আমি তোমাদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করব এবং সৎকর্মশীলদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করব’’- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/৫৮)। رَغَدًا প্রভূত স্বাচ্ছন্দ্য।
৪৪৭৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বনী ইসরাঈলকে বলা হয়েছিল যে, তোমরা সিজদা্ অবস্থায় নগর দ্বারে প্রবেশ কর এবং বল حِطَّةٌ (ক্ষমা চাই) কিন্তু তারা প্রবেশ করল নিতম্ব হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে এবং শব্দকে পরিবর্তন করে তদস্থলে বলল, গম ও যবের দানা। [৩৪০৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২৪)
بَاب
مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قِيْلَ لِبَنِيْ إِسْرَائِيْلَ (ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُوْلُوْا حِطَّةٌ) فَدَخَلُوْا يَزْحَفُوْنَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ فَبَدَّلُوْا وَقَالُوْا حِطَّةٌ حَبَّةٌ فِيْ شَعَرَةٍ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "It was said to the children of Israel, 'Enter the gate (of the town), prostrate (in humility) and say: Hittatun (i.e. repentance) i.e. O Allah! Forgive our sins.' But they entered by dragging themselves on their buttocks, so they did something different (from what they had been ordered to do) and said, 'Hittatun,' but added, "A grain in a hair."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৬. আল্লাহর বাণীঃ
(مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيْلَ) وَقَالَ عِكْرِمَةُ جَبْرَ وَمِيْكَ وَسَرَافِ عَبْدٌ إِيْلْ اللهُ.
’’যারা জিবরীলের শত্রুতা করবে।’’ ’ইকরিমাহ (রহ.) বলেন, জবর, মীক, সরাফ অর্থ ’আবদ-বান্দা, ঈল-আল্লাহ্। (অর্থ হল ’আবদুল্লাহ-আল্লাহর বান্দা) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২৪)
৪৪৮০. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শুভাগমনের খবর পেলেন। তখন তিনি (’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম) বাগানে ফল সংগ্রহ করছিলেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, আমি আপনাকে তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করব যা নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত অন্য কেউ জানেন না। তা হল কিয়ামতের প্রথম আলামাত কী? জান্নাতীদের প্রথম খাদ্য কী হবে? এবং সন্তান কখন পিতার মত হয় আর কখন মাতার মত হয়? নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে জিব্রীল (আঃ) এখনই এসব ব্যাপারে জানিয়ে গেলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম বললেন, জিবরীল? নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলল, হ্যাঁ। ইবনু সালাম বললেন, সে তো মালায়িকাদের মধ্যে ইয়াহূদীদের শত্রু। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত পাঠ করলেন, আপনি বলে দিনঃ যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু- এ কারণে যে, সে আল্লাহর নির্দেশে আপনার অন্তরে কুরআন অবতীর্ণ করেছে- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/৯৭)। কিয়ামতের প্রথম আলামাত হল, এক রকম আগুন মানুষদেরকে পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত একত্রিত করবে। আর জান্নাতীরা প্রথমে যা খাবেন তা হল মাছের কলিজার টুকরা। আর যখন পুরুষের বীর্য স্ত্রীর উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন সন্তান পিতার আকৃতি পায় এবং যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন সন্তান মাতার আকৃতি পায়। তখন ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল। হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহূদরা চরম মিথ্যারোপকারী। যদি তারা আপনার প্রশ্ন করার পূর্বেই আমার ইসলাম গ্রহণের সংবাদ জেনে যায় তবে তারা আমার প্রতি অপবাদ আরোপ করবে। ইতোমধ্যে ইয়াহূদীরা এসে গেল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহূদীদের জিজ্ঞেস করলেন, আবদুল্লাহ তোমাদের মধ্যে কেমন লোক? তারা উত্তর দিল, তিনি আমাদের মধ্যে উত্তম এবং আমাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির পুত্র। তিনি আমাদের নেতা এবং আমাদের নেতার ছেলে। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম ইসলাম গ্রহণ করেন, তাহলে তোমাদের অভিমত কী? তারা বলল, আল্লাহ তাকে এর থেকে রক্ষা করুন। তখন [’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)] বের হয়ে এসে বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। তখন তারা বলল, সে আমাদের মধ্যে মন্দ ব্যক্তি ও মন্দ ব্যক্তির ছেলে। তারপর তারা ইবনু সালাম (রাঃ)-কে দোষী সাব্যস্ত করে সমালোচনা করতে লাগল। তখন ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এটাই আমি আশঙ্কা করছিলাম। [৩৩২৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২৫)
بَاب قوله
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُنِيْرٍ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ بَكْرٍ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ قَالَ سَمِعَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ بِقُدُوْمِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِيْ أَرْضٍ يَخْتَرِفُ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّيْ سَائِلُكَ عَنْ ثَلَاثٍ لَا يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا نَبِيٌّ فَمَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَمَا أَوَّلُ طَعَامِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَمَا يَنْزِعُ الْوَلَدُ إِلَى أَبِيْهِ أَوْ إِلَى أُمِّهِ قَالَ أَخْبَرَنِيْ بِهِنَّ جِبْرِيْلُ آنِفًا قَالَ جِبْرِيْلُ قَالَ نَعَمْ قَالَ ذَاكَ عَدُوُّ الْيَهُوْدِ مِنَ الْمَلَائِكَةِ فَقَرَأَ هَذِهِ الْآيَةَ (مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيْلَ فَإِنَّه” نَزَّلَه” عَلٰى قَلْبِكَ) بِإِذْنِ اللهِ أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ حُوْتٍ وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ الْمَرْأَةِ نَزَعَ الْوَلَدَ وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الْمَرْأَةِ نَزَعَتْ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ الْيَهُوْدَ قَوْمٌ بُهُتٌ وَإِنَّهُمْ إِنْ يَعْلَمُوْا بِإِسْلَامِيْ قَبْلَ أَنْ تَسْأَلَهُمْ يَبْهَتُوْنِيْ فَجَاءَتْ الْيَهُوْدُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ رَجُلٍ عَبْدُ اللهِ فِيْكُمْ قَالُوْا خَيْرُنَا وَابْنُ خَيْرِنَا وَسَيِّدُنَا وَابْنُ سَيِّدِنَا قَالَ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ فَقَالُوْا أَعَاذَهُ اللهُ مِنْ ذَلِكَ فَخَرَجَ عَبْدُ اللهِ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ فَقَالُوْا شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا وَانْتَقَصُوْهُ قَالَ فَهَذَا الَّذِيْ كُنْتُ أَخَافُ يَا رَسُوْلَ اللهِ.
Narrated Anas:
`Abdullah bin Salam heard the news of the arrival of Allah's Messenger (ﷺ) (at Medina) while he was on a farm collecting its fruits. So he came to the Prophet (ﷺ) and said, "I will ask you about three things which nobody knows unless he be a prophet. Firstly, what is the first portent of the Hour? What is the first meal of the people of Paradise? And what makes a baby look like its father or mother?'. The Prophet (ﷺ) said, "Just now Gabriel has informed me about that." `Abdullah said, "Gabriel?" The Prophet (ﷺ) said, "Yes." `Abdullah said, "He, among the angels is the enemy of the Jews." On that the Prophet (ﷺ) recited this Holy Verse:-- "Whoever is an enemy to Gabriel (let him die in his fury!) for he has brought it (i.e. Qur'an) down to your heart by Allah's permission." (2.97) Then he added, "As for the first portent of the Hour, it will be a fire that will collect the people from the East to West. And as for the first meal of the people of Paradise, it will be the caudite (i.e. extra) lobe of the fish liver. And if a man's discharge proceeded that of the woman, then the child resembles the father, and if the woman's discharge proceeded that of the man, then the child resembles the mother." On hearing that, `Abdullah said, "I testify that None has the right to be worshipped but Allah, and that you are the Messenger of Allah, O, Allah's Messenger (ﷺ); the Jews are liars, and if they should come to know that I have embraced Islam, they would accuse me of being a liar." In the meantime some Jews came (to the Prophet) and he asked them, "What is `Abdullah's status amongst you?" They replied, "He is the best amongst us, and he is our chief and the son of our chief." The Prophet (ﷺ) said, "What would you think if `Abdullah bin Salam embraced Islam?" They replied, "May Allah protect him from this!" Then `Abdullah came out and said, "I testify that None has the right to be worshipped but Allah and that Muhammad is the Messenger of Allah." The Jews then said, "Abdullah is the worst of us and the son of the worst of us," and disparaged him. On that `Abdullah said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This is what I was afraid of!"
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিংবা ভুলিয়ে দিলে। (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১০৬)
৪৪৮১. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) বলেন, উবাই (রাঃ) আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ক্বারী, আর ‘আলী (রাঃ) আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বিচারক। কিন্তু আমরা উবাই (রাঃ)-এর কিছু কথা বাদ দেই। কারণ উবাই (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা শুনেছি তার কিছুই ছাড়ব না। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি যে আয়াত রহিত করি অথবা ভুলিয়ে দেই ........ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১০৬)। [৫০০৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২৬)
بَاب قَوْلِهِ : {مَا نَنْسَخْ مِنْ اٰيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا}.
عَمْرُوْ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ حَبِيْبٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَقْرَؤُنَا أُبَيٌّ وَأَقْضَانَا عَلِيٌّ وَإِنَّا لَنَدَعُ مِنْ قَوْلِ أُبَيٍّ وَذَاكَ أَنَّ أُبَيًّا يَقُوْلُ لَا أَدَعُ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ قَالَ اللهُ تَعَالَى (مَا نَنْسَخْ مِنْ اٰيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا)
Narrated Ibn `Abbas:
`Umar said, "Our best Qur'an reciter is Ubai and our best judge is `Ali; and in spite of this, we leave some of the statements of Ubai because Ubai says, 'I do not leave anything that I have heard from Allah's Messenger (ﷺ) while Allah: "Whatever verse (Revelations) do We abrogate or cause to be forgotten but We bring a better one or similar to it." (2.106)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তারা বলেঃ ‘আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি অতি পবিত্র। (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১১৬)
৪৪৮২. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আদম সন্তান আমার ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে। অথচ তার এ কাজ ঠিক নয়। আমাকে গালি দিয়েছে অথচ তার জন্য এটা ঠিক নয়। তার আমার প্রতি মিথ্যারোপ হল, সে বলে যে, আমি তাকে (মৃত্যুর) পূর্বের মত পুনরায় জীবিত করতে সক্ষম নই। আর আমাকে তার গালি দেয়া হল-তার এ কথা যে, আমার সন্তান আছে অথচ আমি স্ত্রী ও সন্তান গ্রহণ থেকে পবিত্র। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১১৭)
بَاب : {وَقَالُوا اتَّخَذَ اللهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ}.
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ اللهُ كَذَّبَنِي ابْنُ آدَمَ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ ذَلِكَ وَشَتَمَنِيْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ ذَلِكَ فَأَمَّا تَكْذِيْبُهُ إِيَّايَ فَزَعَمَ أَنِّيْ لَا أَقْدِرُ أَنْ أُعِيْدَهُ كَمَا كَانَ وَأَمَّا شَتْمُهُ إِيَّايَ فَقَوْلُهُ لِيْ وَلَدٌ فَسُبْحَانِيْ أَنْ أَتَّخِذَ صَاحِبَةً أَوْ وَلَدًا
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) said, "Allah said, 'The son of Adam tells a lie against me though he has no right to do so, and he abuses Me though he has no right to do so. As for his telling a lie against Me, it is that he claims that I cannot recreate him as I created him before; and as for his abusing Me, it is his statement that I have offspring. No! Glorified be Me! I am far from taking a wife or offspring.' "
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে সালাতের জায়গারূপে গ্রহণ কর। (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১২৫)
(مَثَابَةً) يَثُوْبُوْنَ يَرْجِعُوْنَ.
مَثَابَةً-ফিরে আসার স্থান। يَثُوْبُوْنَ লোকজন প্রত্যাবর্তন করে।
৪৪৮৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার (রাঃ) বলেছেন, তিনটি বিষয়ে আমার মতামত আল্লাহর ওয়াহীর অনুরূপ হয়েছে অথবা (তিনি বলেছেন) তিনটি বিষয়ে আমার মতামতের অনুকূলে আল্লাহ ওয়াহী অবতীর্ণ করেছেন। তা হল, আমি বলেছিলাম হে আল্লাহর রাসূল! যদি আপনি মাকামে ইব্রাহীমকে সালাতের স্থান হিসাবে গ্রহণ করতেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেন ....... তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে সালাতের জায়গারূপে গ্রহণ কর- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১২৫)। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছে ভাল ও মন্দ উভয় প্রকারের লোক আসে। কাজেই আপনি যদি উম্মাহাতুল মু’মিনীনদেরকে পর্দা করার আদেশ করবেন। তখন আল্লাহ তা’আলা পর্দার আয়াত অবতীর্ণ করেন। তিনি আরো বলেন, আমি জানতে পেরেছিলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কতক স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তখন আমি তাদের কাছে উপস্থিত হই এবং বলি যে, আপনারা এর থেকে বিরত থাকুন নচেৎ আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আপনাদের পরিবর্তে উত্তম স্ত্রী দান করবেন। এরপর আমি তাঁর কোন স্ত্রীর কাছে আসি, তখন তিনি বললেন, হে ’উমার! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারেও নাক গলাতে শুরু করেছ। তিনি সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীগণকে নাসীহাত করে থাকেন আর এখন তুমি তাদের নাসীহাত করতে আরম্ভ করেছ? তখন আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন عَسٰى رَبُّه إِنْ طَلَّقَكُنَّ أَنْ يُّبَدِّلَه أَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنْكُنَّ مُسْلِمٰتٍ ’’যদি নবী তোমাদের সবাইকে তালাক দেন, তবে তাঁর রব অচিরেই তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের চেয়ে উত্তম স্ত্রী তাঁকে দিবেন, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, অনুগত, তওবাকারিণী, ’ইবাদাতকারিণী, সিয়াম পালনকারী, অকুমারী ও কুমারী’’- (সূরাহ আত্-তাহরীম ৬৬/৫)।
ইবনু আবী মারইয়াম (রহ.) বলেন, আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ’উমার (রাঃ) আমার কাছে এরূপ বলেছেন। [৪০২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২৮)
بَابٌ قَوْلُهُ : {وَاتَّخِذُوْا مِنْ مَّقَامِ إِبْرَاهِيْمَ مُصَلًّى}
مُسَدَّدٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ عُمَرُ وَافَقْتُ اللهَ فِيْ ثَلَاثٍ أَوْ وَافَقَنِيْ رَبِّيْ فِيْ ثَلَاثٍ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ لَوْ اتَّخَذْتَ مَقَامَ إِبْرَاهِيْمَ مُصَلًّى وَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ يَدْخُلُ عَلَيْكَ الْبَرُّ وَالْفَاجِرُ فَلَوْ أَمَرْتَ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِيْنَ بِالْحِجَابِ فَأَنْزَلَ اللهُ آيَةَ الْحِجَابِ قَالَ وَبَلَغَنِيْ مُعَاتَبَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَعْضَ نِسَائِهِ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِنَّ قُلْتُ إِنْ انْتَهَيْتُنَّ أَوْ لَيُبَدِّلَنَّ اللهُ رَسُوْلَهُ صلى الله عليه وسلم خَيْرًا مِنْكُنَّ حَتَّى أَتَيْتُ إِحْدَى نِسَائِهِ قَالَتْ يَا عُمَرُ أَمَا فِيْ رَسُوْلِ اللهِ مَا يَعِظُ نِسَاءَهُ حَتَّى تَعِظَهُنَّ أَنْتَ فَأَنْزَلَ اللهُ : (عَسٰى رَبُّه” إِنْ طَلَّقَكُنَّ أَنْ يُّبَدِّلَه” أَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنْكُنَّ مُسْلِمٰتٍ)
وَقَالَ ابْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوْبَ حَدَّثَنِيْ حُمَيْدٌ سَمِعْتُ أَنَسًا عَنْ عُمَرَ
Narrated Anas:
`Umar said, "I agreed with Allah in three things," or said, "My Lord agreed with me in three things. I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Would that you took the station of Abraham as a place of prayer.' I also said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Good and bad persons visit you! Would that you ordered the Mothers of the believers to cover themselves with veils.' So the Divine Verses of Al-Hijab (i.e. veiling of the women) were revealed. I came to know that the Prophet (ﷺ) had blamed some of his wives so I entered upon them and said, 'You should either stop (troubling the Prophet (ﷺ) ) or else Allah will give His Apostle better wives than you.' When I came to one of his wives, she said to me, 'O `Umar! Does Allah's Messenger (ﷺ) haven't what he could advise his wives with, that you try to advise them?' " Thereupon Allah revealed:-- "It may be, if he divorced you (all) his Lord will give him instead of you, wives better than you Muslims (who submit to Allah).." (66.5)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১০. মহান আল্লাহর বাণীঃ
(وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيْمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيْلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ)
(الْقَوَاعِدُ) : أَسَاسُهُ وَاحِدَتُهَا، قَاعِدَةٌ، وَالْقَوَاعِدُ مِنْ النِّسَاءِ وَاحِدُهَا : قَاعِدٌ.
‘‘স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল কা‘বাঘরের ভিত নির্মাণ করছিল তখন তারা দু‘আ করেছিলঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের এ প্রয়াস ক্ববূল কর, নিশ্চয় তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১২৭)
الْقَوَاعِدُ ভিত্তি, একবচনে কায়িদাতু قَاعِدَةٌ। আল কাওয়ায়িদ মহিলাদের সম্পর্কে বলা হলে এর অর্থ বৃদ্ধা নারী, তখন এর একবচন قَاعِدٌ হবে।
৪৪৮৪. নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমার কি জানা নেই যে, তোমার সম্প্রদায় কুরাইশ কা‘বা তৈরী করেছে এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর ভিত্তির থেকে ছোট নির্মাণ করেছে? [‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন] আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি ইবরাহীম (আঃ)-এর ভিত্তির উপর কা‘বাকে আবার নির্মাণ করবেন না? তিনি বললেন, যদি তোমার গোত্রের কুফরীর যুগ নিকট অতীতে না হত। এ কথা শুনে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, যদি ‘আয়িশাহ (রাঃ) এ কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনে থাকেন, তবে আমার মনে হয় যে এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজরে আসওয়াদ সংলগ্ন দু’ রুকনকে চুম্বন করতেন না, বর্জন করেছেন, যেহেতু বাইতুল্লাহর নির্মাণ কাজ ইবরাহীম (আঃ)-এর ভিতের উপর সম্পূর্ণ করা হয়নি। [১২৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২৯)
بَابٌ قَوْلُهُ
إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِيْ بَكْرٍ أَخْبَرَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَلَمْ تَرَيْ أَنْ قَوْمَكِ بَنَوْا الْكَعْبَةَ وَاقْتَصَرُوْا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيْمَ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَا تَرُدُّهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيْمَ قَالَ لَوْلَا حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ لَئِنْ كَانَتْ عَائِشَةُ سَمِعَتْ هَذَا مِنْ رَسُوْلِ اللهِ مَا أُرَى رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَرَكَ اسْتِلَامَ الرُّكْنَيْنِ اللَّذَيْنِ يَلِيَانِ الْحِجْرَ إِلَّا أَنَّ الْبَيْتَ لَمْ يُتَمَّمْ عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيْمَ
Narrated `Aisha:
(The wife of the Prophet) Allah's Messenger (ﷺ) said, "Don't you see that when your people built the Ka`ba, they did not build it on all Abraham's foundations?" I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Why don't you rebuild it on Abraham's foundations?" He said, "Were your people not so close to (the period of Heathenism, i.e. the Period between their being Muslims and being infidels), I would do so." The sub-narrator, `Abdullah bin `Umar said, "Aisha had surely heard Allah's Messenger (ﷺ) saying that, for I do not think that Allah's Messenger (ﷺ) left touching the two corners of the Ka`ba facing Al-Hijr except because the Ka`ba was not built on all Abraham's foundations."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১১. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি। (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৩৬)
৪৪৮৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহলে কিতাব (ইয়াহূদী) ইবরানী ভাষায় তাওরাত পাঠ করে মুসলিমদের কাছে তা আরবী ভাষায় ব্যাখ্যা করত। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আহলে কিতাবকে বিশ্বাসও কর না আর অবিশ্বাসও কর না এবং (আল্লাহর বাণী) ‘‘তোমরা বল, আমরা আল্লাহ্তে ঈমান এনেছি এবং যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে . . . .’’- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৩৬)। [৭৩৬২, ৭৫৪২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩০)
بَاب : {قُوْلُوْآاٰمَنَّا بِاللهِ وَمَآ أُنْزِلَ إِلَيْنَا}.
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِيْ كَثِيْرٍ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَقْرَءُوْنَ التَّوْرَاةَ بِالْعِبْرَانِيَّةِ وَيُفَسِّرُوْنَهَا بِالْعَرَبِيَّةِ لِأَهْلِ الإِسْلَامِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تُصَدِّقُوْا أَهْلَ الْكِتَابِ وَلَا تُكَذِّبُوْهُمْ وَقُوْلُوْا (اٰٰمَنَّا بِاللهِ وَمَآ أُنْزِلَ إِلَيْنَا)
Narrated Abu Huraira:
The people of the Scripture (Jews) used to recite the Torah in Hebrew and they used to explain it in Arabic to the Muslims. On that Allah's Messenger (ﷺ) said, "Do not believe the people of the Scripture or disbelieve them, but say:-- "We believe in Allah and what is revealed to us." (2.136)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১২. পরিচ্ছেদ নাই।
(سَيَقُوْلُ السُّفَهَآءُ مِنَ النَّاسِ مَا وَلَّاهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمْ الَّتِيْ كَانُوْا عَلَيْهَا قُلْ لِّـلّٰهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَآءُ إِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ)
‘‘অচিরেই নির্বোধ লোকেরা বলবেঃ কিসে ফিরিয়ে দিল তাদের সে কিবলা থেকে, যে কিবলা তারা এ যাবৎ অনুসরণ করে আসছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪২)
৪৪৮৬. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা্তে ষোল অথবা সতের মাস যাবৎ বাইতুল মাকদাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেন। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহর দিকে তার কিবলা হওয়াকে পছন্দ করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসর এর সালাত (কা‘বার দিকে মুখ করে) আদায় করেন এবং লোকেরাও তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করেন। এরপর তাঁর সঙ্গে সালাত আদায়কারী একজন বের হন এবং তিনি একটি মসজিদের লোকেদের পার্শ্ব দিয়ে গেলেন তখন তারা রুকু অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেন, আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মক্কার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছি। এ কথা শোনার পর তাঁরা যে অবস্থায় ছিলেন, সে অবস্থায় বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে গেলেন। আর যারা কিবলা বাইতুল্লাহর দিকে পরিবর্তনের পূর্বে বাইতুল মাকদাসের দিকে সালাত আদায় অবস্থায় মারা গিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তাদের সম্পর্কে আমরা কী বলব তা আমাদের জানা ছিল না। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন- ‘‘আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি পরম মমতাময়, পরম দয়ালু’’- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪৩)। [৪০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩১)
بَاب
أَبُوْ نُعَيْمٍ سَمِعَ زُهَيْرًا عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَكَانَ يُعْجِبُهُ أَنْ تَكُوْنَ قِبْلَتُهُ قِبَلَ الْبَيْتِ وَأَنَّهُ صَلَّى أَوْ صَلَّاهَا صَلَاةَ الْعَصْرِ وَصَلَّى مَعَهُ قَوْمٌ فَخَرَجَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ صَلَّى مَعَهُ فَمَرَّ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ وَهُمْ رَاكِعُوْنَ قَالَ أَشْهَدُ بِاللهِ لَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ مَكَّةَ فَدَارُوْا كَمَا هُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ وَكَانَ الَّذِيْ مَاتَ عَلَى الْقِبْلَةِ قَبْلَ أَنْ تُحَوَّلَ قِبَلَ الْبَيْتِ رِجَالٌ قُتِلُوْا لَمْ نَدْرِ مَا نَقُوْلُ فِيْهِمْ فَأَنْزَلَ اللهُ (وَمَا كَانَ اللهُ لِيُضِيْعَ إِيْمَانَكُمْ إِنَّ اللهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ)
Narrated Al-Bara:
The Prophet (ﷺ) prayed facing Bait-ulMaqdis (i.e. Jerusalem) for sixteen or seventeen months but he wished that his Qibla would be the Ka`ba (at Mecca). (So Allah Revealed (2.144) and he offered `Asr prayers(in his Mosque facing Ka`ba at Mecca) and some people prayed with him. A man from among those who had prayed with him, went out and passed by some people offering prayer in another mosque, and they were in the state of bowing. He said, "I, (swearing by Allah,) testify that I have prayed with the Prophet (ﷺ) facing Mecca." Hearing that, they turned their faces to the Ka`ba while they were still bowing. Some men had died before the Qibla was changed towards the Ka`ba. They had been killed and we did not know what to say about them (i.e. whether their prayers towards Jerusalem were accepted or not). So Allah revealed:-- "And Allah would never make your faith (i.e. prayer) to be lost (i.e. your prayers offered (towards Jerusalem). Truly Allah is Full of Pity, Most Merciful towards mankind." (2.143)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১৩. আল্লাহর বাণীঃ
(وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَّسَطًا لِّتَكُوْنُوْا شُهَدَآءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ عَلَيْكُمْ شَهِيْدًا)
‘‘আর এভাবে আমি তোমদেরকে করেছি এক মধ্যপন্থী জাতি যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষ্যদাতা হও এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা হন।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/৪৩)
৪৪৮৭. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন নূহ্ (আঃ)-কে ডাকা হবে। তখন তিনি বলবেনঃ হে আমাদের রব! আমি আপনার পবিত্র নিকটে হাযির (তখন আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন) তুমি কি (আল্লাহর বাণী) পৌঁছে দিয়েছিলে? তিনি বলবেন, হ্যাঁ। এরপর তার উম্মতকে জিজ্ঞেস করা হবে, [নূহ (আঃ) কি] তোমাদের নিকট (আল্লাহর বাণী) পৌঁছে দিয়েছে? তারা তখন বলবে, আমাদের কাছে কোন ভয়প্রদর্শনকারী আসেনি। তখন আল্লাহ তা‘আলা [নূহ (আঃ)-কে] বলবেন, তোমার পক্ষে কে সাক্ষ্য দেবে? তিনি বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর উম্মতগণ। তখন তারা সাক্ষ্য দেবে যে, নূহ (আঃ) তাঁর উম্মতের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের জন্য সাক্ষী হবেন। এটাই মহান আল্লাহর বাণী ‘‘আর এ ভাবেই আমি তোমাদেরকে একটি মধ্যপন্থী উম্মাত করেছি যাতে তোমরা মানবজাতির সাক্ষী হতে পার আর রাসূল তোমাদের সাক্ষী হন।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪৩) ‘ওয়াসাত’ ন্যায়নিষ্ঠ। [৩৩৩৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩২)
بَاب قَوْلِهِ تَعَالَى
يُوْسُفُ بْنُ رَاشِدٍ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ وَأَبُوْ أُسَامَةَ وَاللَّفْظُ لِجَرِيْرٍ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ وَقَالَ أَبُوْ أُسَامَةَ حَدَّثَنَا أَبُوْ صَالِحٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُدْعَى نُوْحٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُوْلُ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ يَا رَبِّ فَيَقُوْلُ هَلْ بَلَّغْتَ فَيَقُوْلُ نَعَمْ فَيُقَالُ لِأُمَّتِهِ هَلْ بَلَّغَكُمْ فَيَقُوْلُوْنَ مَا أَتَانَا مِنْ نَذِيْرٍ فَيَقُوْلُ مَنْ يَشْهَدُ لَكَ فَيَقُوْلُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ فَتَشْهَدُوْنَ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ وَيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ عَلَيْكُمْ شَهِيْدًا فَذَلِكَ قَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ : (وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَّسَطًا لِّتَكُوْنُوْا شُهَدَآءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ عَلَيْكُمْ شَهِيْدً) وَالْوَسَطُ الْعَدْلُز.
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Noah will be called on the Day of Resurrection and he will say, 'Labbaik and Sa`daik, O my Lord!' Allah will say, 'Did you convey the Message?' Noah will say, 'Yes.' His nation will then be asked, 'Did he convey the Message to you?' They will say, 'No Warner came to us.' Then Allah will say (to Noah), 'Who will bear witness in your favor?' He will say, 'Muhammad and his followers. So they (i.e. Muslims) will testify that he conveyed the Message. And the Apostle (Muhammad) will be a witness over yourselves, and that is what is meant by the Statement of Allah "Thus We have made of you a just and the best nation that you may be witnesses over mankind and the Apostle (Muhammad) will be a witness over yourselves." (2.143)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১৪. আল্লাহর বাণীঃ
(وَمَا جَعَلْنَا الْقِبْلَةَ الَّتِيْ كُنْتَ عَلَيْهَآ إِلَّا لِنَعْلَمَ مَنْ يَّتَّبِعُ الرَّسُوْلَ مِمَّنْ يَّنْقَلِبُ عَلٰى عَقِبَيْهِ ط وَإِنْ كَانَتْ لَكَبِيْرَةً إِلَّا عَلَى الَّذِيْنَ هَدَى اللهُ ط وَمَا كَانَ اللهُ لِيُضِيْعَ إِيْمَانَكُمْ ط إِنَّ اللهَ بِالنَّاسِ لَرَؤُوْفٌ رَّحِيْمٌ (143).
আপনি যে কিবলার এ যাবত অনুসরণ করছিলেন তাকে আমি এজন্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যাতে জানতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে, আর কে পিঠটান দেয়? আল্লাহ যাদের সৎপথ প্রদর্শন করেছেন তাদের ব্যতীত অন্যদের কাছে এটা নিশ্চিত কঠোরতর বিষয়। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি পরম মমতাময়, পরম দয়ালু। (সূরাহ আল-বাকারাহ্ ২/১৪৩)
৪৪৮৮. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন লোকেরা কূবা মসজিদে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় এক আগন্তুক এসে বলল, আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি কুরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ করেছেন যে, তিনি যেন (সালাতে) কা‘বার দিকে মুখ করেন। কাজেই আপনারাও কা‘বার দিকে মুখ করুন। তখন লোকেরা কা‘বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নেন। [৪০৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩৩)
بَاب قَوْلِهِ تعالى :
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِيْنَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بَيْنَا النَّاسُ يُصَلُّوْنَ الصُّبْحَ فِيْ مَسْجِدِ قُبَاءٍ إِذْ جَاءَ جَاءٍ فَقَالَ أَنْزَلَ اللهُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُرْآنًا أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوْهَا فَتَوَجَّهُوْا إِلَى الْكَعْبَةِ.
Narrated Ibn `Umar:
While some people were offering Fajr prayer in the Quba' mosque, some-one came and said, "Allah has revealed to the Prophet (ﷺ) Qur'anic instructions that you should face the Ka`ba (while praying) so you too, should face it." Those people then turned towards the Ka`ba.
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ
(قَدْ نَرٰى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَآءِ ج فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضٰهَا ص فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ط) إِلَى قوله : (عَمَّا تَعْمَلُوْنَ).
‘‘বার বার আকাশের দিকে আপনার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করছি..... আল্লাহ সে সম্বন্ধে বেখবর নন যা তারা করে।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪৪)
৪৪৮৯. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যারা উভয় কিবলার (বাইতুল মাকদাস কা‘বা-এর) দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছেন তাদের মধ্যে আমি ব্যতীত আর কেউ বেঁচে নেই। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩৪)
بَاب قَوْلِ الله تعالى
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ لَمْ يَبْقَ مِمَّنْ صَلَّى الْقِبْلَتَيْنِ غَيْرِي
Narrated Anas:
None remains of those who prayed facing both Qiblas (that is, Jerusalem and Mecca) except myself.
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১৬. পরিচ্ছেদ নাই।
(وَلَئِنْ أَتَيْتَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتٰبَ بِكُلِّ اٰيَةٍ مَّا تَبِعُوْا قِبْلَتَكَ) إِلَى قَوْلِهِ : (إِنَّكَ إِذًا لَّمِنَ الظَّالِمِيْنَ).
‘‘যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের কাছে আপনি সমস্ত প্রমাণ পেশ করলেও তারা আপনার কিবলার অনুসরণ করবে না, আর আপনি তাদের কিবলা অনুসরণ করার নন। আর তারা একে অন্যের কিবলা অনুসরণ করে না। আপনি যদি আপনার কাছে জ্ঞান আসার পর তাদের বাসনার অনুসরণ করেন, তবে নিশ্চয়ই আপনি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বেন।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪৫)
৪৪৯০. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা লোকেরা মসজিদে কুবায় ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের কাছে একজন লোক এসে বলল, এ রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে এবং কা‘বার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করার জন্য তিনি নির্দেশিত হয়েছেন। অতএব আপনারা কা‘বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিন। আর তখন লোকেদের চেহারা শামের দিকে ছিল। তখন তারা তাদের চেহারা কা‘বার দিকে ঘুরিয়ে নিলেন। [৪০৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩৫)
بَاب
َدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ دِيْنَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بَيْنَمَا النَّاسُ فِي الصُّبْحِ بِقُبَاءٍ جَاءَهُمْ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ وَأُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ أَلَا فَاسْتَقْبِلُوْهَا وَكَانَ وَجْهُ النَّاسِ إِلَى الشَّأْمِ فَاسْتَدَارُوْا بِوُجُوْهِهِمْ إِلَى الْكَعْبَةِ.
Narrated Ibn `Umar:
While some people were offering morning prayer at Quba' a man came to them and said, "A Qur'anic Order has been revealed to Allah's Messenger (ﷺ) tonight that he should face the Ka`ba at Mecca (in prayer), so you too should turn your faces towards it." At that moment their faces were towards Sham (i.e. Jerusalem) (and on hearing that) they turned towards the Ka`ba (at Mecca).
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১৭. পরিচ্ছেদ নাই।
(اَلَّذِيْنَ اٰتَيْنَاهُمُ الْكِتٰبَ يَعْرِفُوْنَه” كَمَا يَعْرِفُوْنَ أَبْنَآءَهُمْ ط وَإِنَّ فَرِيْقًا مِّنْهُمْ لَيَكْتُمُوْنَ الْحَقَّ) إِلَى قَوْلِهِ : (فَلَا تَكُوْنَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِيْنَ).
’’যাদের আমি কিতাব দিয়েছি তারা তাকে সেরূপ চেনে, যেরূপ তারা তাদের পুত্রদের চেনে। আর তাদের একদল জেনেশুনে নিশ্চিতভাবে সত্য গোপন করে। প্রকৃত সত্য তো তা, যা তোমার পালনকর্তার তরফ থেকে প্রাপ্ত। কাজেই তুমি সন্দিহানদের দলভুক্ত হয়ো না।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪৬-১৪৭)
৪৪৯১. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা লোকেরা কুবা মসজিদে ফজরের সালাতে ছিলেন, তখন তাদের কাছে একজন আগন্তুক এসে বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি এ রাতে কুরআন (এর আয়াত) অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর এতে তিনি কা’বার দিকে মুখ ফিরানোর জন্য নির্দেশিত হয়েছেন। কাজেই আপনারা কা’বার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিন। আর তখন তাদের মুখ শামের দিকে ছিল। তখন তারা কা’বার দিকে ঘুরে গেলেন। [৪০৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩৬)
بَاب
يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِيْنَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ بَيْنَا النَّاسُ بِقُبَاءٍ فِيْ صَلَاةِ الصُّبْحِ إِذْ جَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوْهَا وَكَانَتْ وُجُوْهُهُمْ إِلَى الشَّأْمِ فَاسْتَدَارُوْا إِلَى الْكَعْبَةِ.
Narrated Ibn `Umar:
While some people were offering Fajr prayer at Quba' (mosque), some-one came to them and said, "Tonight some Qur'anic Verses have been revealed to the Prophet (ﷺ) and he has been ordered to face the Ka`ba (at Mecca) (during prayers), so you too should turn your faces towards it." At that time their faces were towards Sham (Jerusalem) so they turned towards the Ka`ba (at Mecca).
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১৮. পরিচ্ছেদ নাই।
(وَلِكُلٍّ وِّجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيْهَا فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرٰتِ ط صـ أَيْنَ مَا تَكُوْنُوْا يَأْتِ بِكُمُ اللهُ جَمِيْعًا ط إِنَّ اللهَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ (148)).
‘‘আর প্রত্যেকেরই রয়েছে একটি দিক, যেদিকে সে মুখ করে। সুতরাং তোমরা সৎকাজে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাও। যেখানেই তোমরা থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সবাইকে একত্র সমবেত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪৮)
৪৪৯২. বারাআ (ইবনু ‘আযিব) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ষোল অথবা সতের মাস ব্যাপী (মদিনা্তে) বাইতুল মাকদাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছি। তারপর আল্লাহ তাঁকে কা‘বার পানে ফিরিয়ে দেন। [৪০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩৭)
بَاب
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا ثُمَّ صَرَفَهُ نَحْوَ الْقِبْلَةِ
Narrated Al-Bara:
We prayed along with the Prophet (ﷺ) facing Jerusalem for sixteen or seventeen months. Then Allah ordered him to turn his face towards the Qibla (in Mecca):-- "And from whence-so-ever you start forth (for prayers) turn your face in the direction of (the Sacred Mosque of Mecca) Al-Masjid-ul Haram.." (2.149)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১৯. পরিচ্ছেদ নাই।
(وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ط وَإِنَّه” لَلْحَقُّ مِنْ رَّبِّكَ ط وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ (149)) شَطْرُهُ تِلْقَاؤُهُ.
’যেখান থেকেই তুমি বের হও না কেন, তোমার মুখ আল-মাসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও। নিশ্চয় এটা হল তোমার পালনকর্তার তরফ থেকে অবধারিত সত্য। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখবর নন’- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪৯)। شَطْرُهُ সেই দিকে।
৪৪৯৩. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কূবা মসজিদে সাহাবীগণ ফজরের সালাত সম্পাদন করছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, আজ রাতে [নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি] কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, তাতে কা’বার দিকে মুখ ফিরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই আপনারা সেদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিন। তখন তারা আপন আপন অবস্থায় মুখ ঘুরিয়ে নেন এবং কা’বার দিকে মুখ করেন। তখন তাদের মুখ সিরিয়ার দিকে ছিল। [৪০৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩৮)
بَاب
مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دِيْنَارٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُوْلُ بَيْنَا النَّاسُ فِي الصُّبْحِ بِقُبَاءٍ إِذْ جَاءَهُمْ رَجُلٌ فَقَالَ أُنْزِلَ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ فَأُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوْهَا وَاسْتَدَارُوْا كَهَيْئَتِهِمْ فَتَوَجَّهُوْا إِلَى الْكَعْبَةِ وَكَانَ وَجْهُ النَّاس إِلَى الشَّأْمِ.
Narrated Ibn `Umar:
While some people were at Quba (offering) morning prayer, a man came to them and said, "Last night Qur'anic Verses have been revealed whereby the Prophet (ﷺ) has been ordered to face the Ka`ba (at Mecca), so you too should face it." So they, keeping their postures, turned towards the Ka`ba. Formerly the people were facing Sham (Jerusalem) (Allah said):-- "And from whence-so-ever you start forth (for prayers), turn your face in the direction of the Sacred Mosque of Mecca (Al-Masjid-ul-Haram), and whence-so-ever you are, turn your face towards it (when you pray)" (2.150)