পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১. ‘উশায়রাহ বা ‘উসাইরাহর যুদ্ধ।
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَوَّلُ مَا غَزَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْأَبْوَاءَ ثُمَّ بُوَاطَ ثُمَّ الْعُشَيْرَةَ.
ইবনু ইসহাক (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম আবওয়া-র যুদ্ধ করেন, অতঃপর তিনি বুওয়াত্ব, অতঃপর ‘উশায়রার যুদ্ধ করেন।
৩৯৪৯. আবূ ইসহাক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যায়দ ইবনু আরকামের পাশে ছিলাম। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়টি যুদ্ধ করেছেন? তিনি বললেন, ঊনিশটি। আবার জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কয়টি যুদ্ধে তাঁর সঙ্গে ছিলেন? তিনি বললেন, সতেরটিতে। বললাম, এসব যুদ্ধের কোনটি সর্বপ্রথম সংঘটিত হয়েছিল? তিনি বললেন, ‘উশাইরাহ বা ‘উশায়র। বিষয়টি আমি ক্বাতাদাহ (রহ.)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনিও বললেন, ‘উশায়র। [৪৪০৪, ৪৪৭১; মুসলিম ১৫/৩৫, হাঃ ১২৫৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬১)
بَاب غَزْوَةِ الْعُشَيْرَةِ أَوِ الْعُسَيْرَةِ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، كُنْتُ إِلَى جَنْبِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، فَقِيلَ لَهُ كَمْ غَزَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَزْوَةٍ قَالَ تِسْعَ عَشْرَةَ. قِيلَ كَمْ غَزَوْتَ أَنْتَ مَعَهُ قَالَ سَبْعَ عَشْرَةَ. قُلْتُ فَأَيُّهُمْ كَانَتْ أَوَّلَ قَالَ الْعُسَيْرَةُ أَوِ الْعُشَيْرُ. فَذَكَرْتُ لِقَتَادَةَ فَقَالَ الْعُشَيْرُ.
Narrated Abu 'Is-haq:
Once, while I was sitting beside Zaid bin Al-Arqam, he was asked, "How many Ghazwat did the Prophet undertake?" Zaid replied, "Nineteen." They said, "In how many Ghazwat did you join him?" He replied, "Seventeen." I asked, "Which of these was the first?" He replied, "Al-`Ashira or Al- `Ashiru."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/২. বদর যুদ্ধে নিহতদের ব্যাপারে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভবিষ্যদ্বাণী
৩৯৫০. সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তাঁর ও উমাইয়াহ ইবনু খালফের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। উমাইয়াহ মদিনা্য় আসলে সা‘দ ইবনু মু’আযের মেহমান হত এবং সা‘দ (রাঃ) মক্কা্য় গেলে উমাইয়াহর আতিথ্য গ্রহণ করতেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা্য় হিজরত করার পর একবার সা‘দ (রাঃ) ‘উমরাহ করার উদ্দেশে মক্কা গেলেন এবং উমাইয়াহর বাড়িতে অবস্থান করলেন। তিনি উমাইয়াহ্কে বললেন, আমাকে এমন একটি নিরিবিলি সময়ের কথা বল যখন আমি বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করতে পারব। তাই দুপুরের কাছাকাছি সময়ে একদিন উমাইয়াহ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বের হল, তখন তাদের সঙ্গে আবূ জাহলের দেখা হল। তখন সে (উমাইয়াহ্কে লক্ষ্য করে) বলল, হে আবূ সফ্ওয়ান! তোমার সঙ্গে ইনি কে? সে বলল, ইনি সা‘দ। তখন আবূ জাহ্ল তাকে (সা‘দ ইবনু মু‘আযকে) বলল, আমি তোমাকে নিরাপদে মক্কা্য় তাওয়াফ করতে দেখছি অথচ তোমরা ধর্মত্যাগীদের আশ্রয় দিয়েছ এবং তাদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে চলেছ। আল্লাহর কসম, তুমি আবূ সফওয়ানের (উমাইয়াহ) সঙ্গে না থাকলে তোমার পরিজনদের কাছে নিরাপদে ফিরে যেতে পারতে না। সা‘দ (রাঃ) এর চেয়েও উচ্চস্বরে বললেন, আল্লাহর কসম, তুমি এতে যদি আমাকে বাধা দাও তাহলে আমিও এমন একটি বিষয়ে তোমাকে বাধা দেব যা তোমার জন্য এর চেয়েও কঠিন হবে। মদিনার পার্শ্ব দিয়ে তোমার যাতায়াতের রাস্তা (বন্ধ করে দেব)। তখন উমাইয়াহ তাকে বলল, হে সা‘দ! এ উপত্যকার সর্দার আবুল হাকামের সঙ্গে এরূপ উচ্চস্বরে কথা বলো না। তখন সা‘দ (রাঃ) বললেন, হে উমাইয়াহ! তুমি চুপ কর। আল্লাহর কসম, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, তারা তোমার হত্যাকারী। ‘উমাইয়াহ জিজ্ঞেস করল, মক্কার বুকে? সা‘দ (রাঃ) বললেন, তা জানি না। উমাইয়াহ এতে অত্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। এরপর উমাইয়াহ বাড়ী গিয়ে তার (স্ত্রীকে) বলল, হে উম্মু সফওয়ান! সা‘দ আমার ব্যাপারে কী বলেছে জান? সে বলল, সা‘দ তোমাকে কী বলেছে? উমাইয়াহ বলল, সে বলেছে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জানিয়েছেন যে, তারা আমার হত্যাকারী। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তা কি মক্কা্য়? সে বলল, তা জানি না। অতঃপর ‘উমাইয়াহ বলল, আল্লাহর কসম, আমি কখনো মক্কা হতে বের হব না। কিন্তু বদর যুদ্ধের দিন আগত হলে আবূ জাহ্ল সকল জনসাধারণকে সদলবলে বের হওয়ার আহবান জানিয়ে বলল, তোমরা তোমাদের কাফেলা রক্ষা করার জন্য অগ্রসর হও। উমাইয়াহ বের হাওয়াকে অপছন্দ করলে আবূ জাহ্ল এসে তাকে বলল, হে আবূ সফ্ওয়ান। তুমি এ উপত্যকার অধিবাসীদের নেতা, তাই লোকেরা যখন দেখবে তুমি পেছনে রয়ে গেছ তখন তারাও তোমার সঙ্গে পেছনেই থেকে যাবে। এ বলে আবূ জাহ্ল তার সঙ্গে পীড়াপীড়ি করতে থাকলে সে বলল, তুমি যেহেতু আমাকে বাধ্য করে ফেলছ তাই আল্লাহর কসম! অবশ্যই আমি এমন একটি উষ্ট্র ক্রয় করব যা মক্কার মধ্যে সবচেয়ে ভাল। এরপর উমাইয়াহ (স্ত্রীকে) বলল, হে উম্মু সফ্ওয়ান! আমার সফরের ব্যবস্থা কর। স্ত্রী বলল, হে আবূ সফ্ওয়ান! তোমার মদিনাবাসী ভাই যা বলেছিলেন তা কি তুমি ভুলে গিয়েছ? সে বলল, না। আমি তাদের সঙ্গে মাত্র কিছু দূর যেতে চাই। রওয়ানা হওয়ার পর রাস্তায় যে মান্যিলেই উমাইয়াহ কিছুক্ষণ অবস্থান করেছে সেখানেই সে তার উট বেঁধে রেখেছে। সারা রাস্তায় সে এমন করল, শেষে বদর প্রান্তরে মহান আল্লাহ তাকে হত্যা করলেন। [৩৬৩২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬২)
بَاب ذِكْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَنْ يُقْتَلُ بِبَدْرٍ
أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ يُوْسُفَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ مَيْمُوْنٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُوْدٍ حَدَّثَ عَنْ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ أَنَّهُ قَالَ كَانَ صَدِيْقًا لِأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ وَكَانَ أُمَيَّةُ إِذَا مَرَّ بِالْمَدِيْنَةِ نَزَلَ عَلَى سَعْدٍ وَكَانَ سَعْدٌ إِذَا مَرَّ بِمَكَّةَ نَزَلَ عَلَى أُمَيَّةَ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ انْطَلَقَ سَعْدٌ مُعْتَمِرًا فَنَزَلَ عَلَى أُمَيَّةَ بِمَكَّةَ فَقَالَ لِأُمَيَّةَ انْظُرْ لِيْ سَاعَةَ خَلْوَةٍ لَعَلِّيْ أَنْ أَطُوْفَ بِالْبَيْتِ فَخَرَجَ بِهِ قَرِيْبًا مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ فَلَقِيَهُمَا أَبُوْ جَهْلٍ فَقَالَ يَا أَبَا صَفْوَانَ مَنْ هَذَا مَعَكَ فَقَالَ هَذَا سَعْدٌ فَقَالَ لَهُ أَبُوْ جَهْلٍ أَلَا أَرَاكَ تَطُوْفُ بِمَكَّةَ آمِنًا وَقَدْ أَوَيْتُمْ الصُّبَاةَ وَزَعَمْتُمْ أَنَّكُمْ تَنْصُرُوْنَهُمْ وَتُعِيْنُوْنَهُمْ أَمَا وَاللهِ لَوْلَا أَنَّكَ مَعَ أَبِيْ صَفْوَانَ مَا رَجَعْتَ إِلَى أَهْلِكَ سَالِمًا فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ وَرَفَعَ صَوْتَهُ عَلَيْهِ أَمَا وَاللهِ لَئِنْ مَنَعْتَنِيْ هَذَا َلأَمْنَعَنَّكَ مَا هُوَ أَشَدُّ عَلَيْكَ مِنْهُ طَرِيْقَكَ عَلَى الْمَدِيْنَةِ فَقَالَ لَهُ أُمَيَّةُ لَا تَرْفَعْ صَوْتَكَ يَا سَعْدُ عَلَى أَبِي الْحَكَمِ سَيِّدِ أَهْلِ الْوَادِيْ فَقَالَ سَعْدٌ دَعْنَا عَنْكَ يَا أُمَيَّةُ فَوَاللهِ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ إِنَّهُمْ قَاتِلُوْكَ قَالَ بِمَكَّةَ قَالَ لَا أَدْرِيْ فَفَزِعَ لِذَلِكَ أُمَيَّةُ فَزَعًا شَدِيْدًا فَلَمَّا رَجَعَ أُمَيَّةُ إِلَى أَهْلِهِ قَالَ يَا أُمَّ صَفْوَانَ أَلَمْ تَرَيْ مَا قَالَ لِيْ سَعْدٌ قَالَتْ وَمَا قَالَ لَكَ قَالَ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ قَاتِلِيَّ فَقُلْتُ لَهُ بِمَكَّةَ قَالَ لَا أَدْرِيْ فَقَالَ أُمَيَّةُ وَاللهِ لَا أَخْرُجُ مِنْ مَكَّةَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ اسْتَنْفَرَ أَبُوْ جَهْلٍ النَّاسَ قَالَ أَدْرِكُوْا عِيْرَكُمْ فَكَرِهَ أُمَيَّةُ أَنْ يَخْرُجَ فَأَتَاهُ أَبُوْ جَهْلٍ فَقَالَ يَا أَبَا صَفْوَانَ إِنَّكَ مَتَى مَا يَرَاكَ النَّاسُ قَدْ تَخَلَّفْتَ وَأَنْتَ سَيِّدُ أَهْلِ الْوَادِيْ تَخَلَّفُوْا مَعَكَ فَلَمْ يَزَلْ بِهِ أَبُوْ جَهْلٍ حَتَّى قَالَ أَمَّا إِذْ غَلَبْتَنِيْ فَوَاللهِ لَأَشْتَرِيَنَّ أَجْوَدَ بَعِيْرٍ بِمَكَّةَ ثُمَّ قَالَ أُمَيَّةُ يَا أُمَّ صَفْوَانَ جَهِّزِيْنِيْ فَقَالَتْ لَهُ يَا أَبَا صَفْوَانَ وَقَدْ نَسِيْتَ مَا قَالَ لَكَ أَخُوْكَ الْيَثْرِبِيُّ قَالَ لَا مَا أُرِيْدُ أَنْ أَجُوْزَ مَعَهُمْ إِلَّا قَرِيْبًا فَلَمَّا خَرَجَ أُمَيَّةُ أَخَذَ لَا يَنْزِلُ مَنْزِلًا إِلَّا عَقَلَ بَعِيْرَهُ فَلَمْ يَزَلْ بِذَلِكَ حَتَّى قَتَلَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِبَدْرٍ.
Narrated `Abdullah bin Mas`ud:
From Sa`d bin Mu`adh: Sa`d bin Mu`adh was an intimate friend of Umaiya bin Khalaf and whenever Umaiya passed through Medina, he used to stay with Sa`d, and whenever Sa`d went to Mecca, he used to stay with Umaiya. When Allah's Messenger (ﷺ) arrived at Medina, Sa`d went to perform `Umra and stayed at Umaiya's home in Mecca. He said to Umaiya, "Tell me of a time when (the Mosque) is empty so that I may be able to perform Tawaf around the Ka`ba." So Umaiya went with him about midday. Abu Jahl met them and said, "O Abu Safwan! Who is this man accompanying you?" He said, "He is Sa`d." Abu Jahl addressed Sa`d saying, "I see you wandering about safely in Mecca inspite of the fact that you have given shelter to the people who have changed their religion (i.e. became Muslims) and have claimed that you will help them and support them. By Allah, if you were not in the company of Abu Safwan, you would not be able to go your family safely." Sa`d, raising his voice, said to him, "By Allah, if you should stop me from doing this (i.e. performing Tawaf) I would certainly prevent you from something which is more valuable for you, that is, your passage through Medina." On this, Umaiya said to him, "O Sa`d do not raise your voice before Abu-l-Hakam, the chief of the people of the Valley (of Mecca)." Sa`d said, "O Umaiya, stop that! By Allah, I have heard Allah's Messenger (ﷺ) predicting that the Muslim will kill you." Umaiya asked, "In Mecca?" Sa`d said, "I do not know." Umaiya was greatly scared by that news. When Umaiya returned to his family, he said to his wife, "O Um Safwan! Don't you know what Sa`d told me? "She said, "What has he told you?" He replied, "He claims that Muhammad has informed them (i.e. companions that they will kill me. I asked him, 'In Mecca?' He replied, 'I do not know." Then Umaiya added, "By Allah, I will never go out of Mecca." But when the day of (the Ghazwa of) Badr came, Abu Jahl called the people to war, saying, "Go and protect your caravan." But Umaiya disliked to go out (of Mecca). Abu Jahl came to him and said, "O Abu Safwan! If the people see you staying behind though you are the chief of the people of the Valley, then they will remain behind with you." Abu Jahl kept on urging him to go until he (i.e. Umaiya) said, "As you have forced me to change my mind, by Allah, I will buy the best camel in Mecca. Then Umaiya said (to his wife). "O Um Safwan, prepare what I need (for the journey)." She said to him, "O Abu Safwan! Have you forgotten what your Yathribi brother told you?" He said, "No, but I do not want to go with them but for a short distance." So when Umaiya went out, he used to tie his camel wherever he camped. He kept on doing that till Allah caused him to be killed at Badr.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩. বদর যুদ্ধের ঘটনা ও মহান আল্লাহর বাণী
(وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللهُ بِبَدْرٍ وَّأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ ج فَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ - إِذْ تَقُوْلُ لِلْمُؤْمِنِيْنَ أَلَنْ يَّكْفِيَكُمْ أَنْ يُّمِدَّكُمْ رَبُّكُمْ بِثَلٰثَةِ اٰلٰفٍ مِّنَ الْمَلٰٓئِكَةِ مُنْزَلِيْنَ - بَلٰٓى لا إِنْ تَصْبِرُوْا وَتَتَّقُوْا وَيَأْتُوْكُمْ مِّنْ فَوْرِهِمْ هٰذَا يُمْدِدْكُمْ رَبُّكُمْ بِخَمْسَةِ اٰلٰفٍ مِّنَ الْمَلٰٓئِكَةِ مُسَوِّمِيْنَ- وَمَا جَعَلَهُ اللهُ إِلَّا بُشْرٰى لَكُمْ وَلِتَطْمَئِنَّ قُلُوْبُكُمْ بِهٰ - وَمَا النَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِنْدِ اللهِ الْعَزِيْزِ الْحَكِيْمِ لا - لِيَقْطَعَ طَرَفًا مِّنَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْآ أَوْ يَكْبِتَهُمْ فَيَنْقَلِبُوْا خَآئِبِيْنَ)
وَقَالَ وَحْشِيٌّ قَتَلَ حَمْزَةُ طُعَيْمَةَ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ يَوْمَ بَدْرٍ وَقَوْلُهُ تَعَالَى (وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللهُ إِحْدَى الطَّآئِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّوْنَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ الشَّوْكَةِ تَكُوْنُ لَكُمْ) الآيَةَ الشَّوْكَةُ الْحَدُّ
মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘আর এ তো সুনিশ্চিত যে, আল্লাহ বদর যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছিলেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেন তোমরা শুকরগুজারী করতে পার। স্মরণ কর, তুমি যখন মু’মিনদের বলছিলেঃ তোমাদের জন্য একি যথেষ্ট নয় যে, আসমান হতে অবতীর্ণ হওয়া তিন হাজার মালায়িকাহ দিয়ে তোমাদের রব তোমাদের সাহায্য করবেন? হ্যাঁ, অবশ্যই। যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং তাক্ওয়া অবলম্বন কর; তবে কাফির বাহিনী অতর্কিতে তোমাদের উপর আক্রমণ করলে আল্লাহ পাঁচ হাজার চিহ্নিত মালায়িকাহ দিয়ে তোমাদের সাহায্য করবেন। এটা তো আল্লাহ শুধু এজন্য করেছেন যেন তোমাদের জন্য সুসংবাদ হয়, যাতে তোমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। আর সাহায্য তো শুধুমাত্র পরাক্রমশালী মহাবিজ্ঞ আল্লাহর তরফ হতে হয়ে থাকে। যাতে ধ্বংস করে দেন কাফিরদের কোন দলকে অথবা লাঞ্ছিত করে দেন তাদের, যেন তারা নিরাশ হয়ে ফিরে যায়।’’ (সূরাহ আলে ‘ইমরান ৩/১২৩-১২৭)
ওয়াহশী (রাঃ) বলেন, বদর যুদ্ধের দিন হাম্যাহ (রাঃ) তু’আয়মা ইবনু আদী ইবনু খিয়ারকে হত্যা করেছিলেন। আল্লাহর বাণীঃ ‘‘স্মরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে ওয়াদা করেছিলেন যে, দু’টি দলের একটি তোমাদের করতলগত হবে।’’ (সূরাহ আনফাল ৮/৭)
৩৯৫১. ‘আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে তাবূকের যুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোন যুদ্ধে আমি অনুপস্থিত ছিলাম না। তবে বদর যুদ্ধে আমি অনুপস্থিত ছিলাম। কিন্তু বদর যুদ্ধে যারা যোগদান করেননি তাদেরকে কোন প্রকার দোষারোপ করা হয়নি। আসলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশ কাফিলার উদ্দেশেই যাত্রা করেছিলেন। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা ব্যতীতই আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের (মুসলিমদের) সঙ্গে তাদের দুশমনদের মুকাবালা করিয়ে দেন। [২৭৫৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬৩)
بَاب قِصَّةِ غَزْوَةِ بَدْرٍ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يَقُوْلُ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةٍ غَزَاهَا إِلَّا فِيْ غَزْوَةِ تَبُوْكَ غَيْرَ أَنِّيْ تَخَلَّفْتُ عَنْ غَزْوَةِ بَدْرٍ وَلَمْ يُعَاتَبْ أَحَدٌ تَخَلَّفَ عَنْهَا إِنَّمَا خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرِيْدُ عِيْرَ قُرَيْشٍ حَتَّى جَمَعَ اللهُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ عَدُوِّهِمْ عَلَى غَيْرِ مِيْعَادٍ.
Narrated Ka`b bin Malik:
I never failed to join Allah's Messenger (ﷺ) in any of his Ghazawat except in the Ghazwa of Tabuk. However, I did not take part in the Ghazwa of Badr, but none who failed to take part in it, was blamed, for Allah's Messenger (ﷺ) had gone out to meet the caravans of (Quraish, but Allah caused them (i.e. Muslims) to meet their enemy unexpectedly (with no previous intention) .
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ
(إِذْ تَسْتَغِيْثُوْنَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّيْ مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِّنَ الْمَلٰٓئِكَةِ مُرْدِفِيْنَ (9) وَمَا جَعَلَهُ اللهُ إِلَّا بُشْرٰى وَلِتَطْمَئِنَّ بِهٰ قُلُوْبُكُمْ ط وَمَا النَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِنْدِ اللهِ ط إِنَّ اللهَ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ (10) إِذْ يُغَشِّيْكُمُ النُّعَاسَ أَمَنَةً مِّنْهُ وَيُنَزِّلُ عَلَيْكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً لِّيُطَهِّرَكُمْ بِهٰ وَيُذْهِبَ عَنْكُمْ رِجْزَ الشَّيْطٰنِ وَلِيَرْبِطَ عَلٰى قُلُوْبِكُمْ وَيُثَبِّتَ بِهِ الْأَقْدَامَ (11) إِذْ يُوْحِيْ رَبُّكَ إِلَى الْمَلٰٓئِكَةِ أَنِّيْ مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا ط سَأُلْقِيْ فِيْ قُلُوْبِ الَّذِيْنَ كَفَرُوا الرُّعْبَ فَاضْرِبُوْا فَوْقَ الْأَعْنَاقِ وَاضْرِبُوْا مِنْهُمْ كُلَّ بَنَانٍ (12) ذٰلِكَ بِأَنَّهُمْ شَآقُّوا اللهَ وَرَسُوْلَه” ج وَمَنْ يُّشَاقِقِ اللهَ وَرَسُوْلَه” فَإِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ (13))
স্মরণ কর, তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করছিলে তোমাদের রবের কাছে, তিনি তোমাদের প্রার্থনার জবাবে বললেনঃ অবশ্যই আমি তোমাদের সাহায্য করব এক হাজার মালায়িকাহ দিয়ে, যারা ক্রমান্বয়ে এসে পৌঁছবে। আর আল্লাহ্ এ সাহায্য করলেন শুধু সুসংবাদ দেয়ার জন্য এবং যেন তোমাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। আর সাহায্য তো কেবল আল্লাহর তরফ হতেই হয়। নিশ্চয় আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, হিকমাতওয়ালা। স্মরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে তন্দ্রাচ্ছন্ন করেন নিজের পক্ষ হতে স্বস্তি প্রদানের জন্য এবং তোমাদের উপর আসমান হতে পানি বর্ষণ করেন তা দিয়ে তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্য এবং যাতে তোমাদের হতে অপসারিত করে দেন শায়ত্বনের কুমন্ত্রণা, আর যাতে তোমাদের অন্তর সুদৃঢ় করেন এবং যার ফলে তোমাদের পা স্থির করে দিতে পারেন। স্মরণ কর, তোমার রব মালায়িকাহ্কে প্রত্যাদেশ করেন- নিশ্চয় আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, সুতরাং তোমরা মু’মিনদের দৃঢ়চিত্ত রাখ। অচিরেই আমি কাফিরদের অন্তরে আতংক সঞ্চার করে দেব, অতএব, আঘাত কর তাদের গর্দানের উপর এবং আঘাত কর তাদের অঙ্গুলির জোড়ায় জোড়ায়। (সূরাহ আনফাল ৮/৯-১৩)
৩৯৫২. ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মিকদাদ ইবনু আসওয়াদের এমন একটি বিষয় দেখেছি যা আমি করলে তা দুনিয়ার সব কিছুর তুলনায় আমার নিকট প্রিয় হত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন, তখন তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুশরিকদের বিরুদ্ধে দু’আ করছিলেন। এতে মিকদাদ ইবনু আসওয়াদ (রাঃ) বললেন, মূসা (আঃ) এর কাওম যেমন বলেছিল যে, ‘‘তুমি আর তোমার প্রতিপালক যাও এবং যুদ্ধ কর’’- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/২৪)। আমরা তেমন বলব না, বরং আমরা আপনার ডানে, বামে, সামনে, পেছনে সর্বদিক থেকে যুদ্ধ করব। ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) বলেন, আমি দেখলাম, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল এবং তার কথা তাঁকে খুব আনন্দিত করল। [৪৬০৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬৪)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ عَنْ مُخَارِقٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُوْدٍ يَقُوْلُ شَهِدْتُ مِنَ الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ مَشْهَدًا لَأَنْ أَكُوْنَ صَاحِبَهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا عُدِلَ بِهِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَدْعُوْ عَلَى الْمُشْرِكِيْنَ فَقَالَ لَا نَقُوْلُ كَمَا قَالَ قَوْمُ مُوْسَى (اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا) وَلَكِنَّا نُقَاتِلُ عَنْ يَمِيْنِكَ وَعَنْ شِمَالِكَ وَبَيْنَ يَدَيْكَ وَخَلْفَكَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَشْرَقَ وَجْهُهُ وَسَرَّهُ يَعْنِيْ قَوْلَهُ.
Narrated Ibn Masud:
I witnessed Al-Miqdad bin Al-Aswad in a scene which would have been dearer to me than anything had I been the hero of that scene. He (i.e. Al-Miqdad) came to the Prophet (ﷺ) while the Prophet (ﷺ) was urging the Muslims to fight with the pagans. Al-Miqdad said, "We will not say as the People of Moses said: Go you and your Lord and fight you two. (5.27). But we shall fight on your right and on your left and in front of you and behind you." I saw the face of the Prophet (ﷺ) getting bright with happiness, for that saying delighted him.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ
৩৯৫৩. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদরের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, হে আল্লাহ্! আমি আপনার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্! আপনি যদি চান (কাফিররা জয়লাভ করুক) তাহলে আপনার ‘ইবাদাত আর হবে না। আবূ বকর (রাঃ) তাঁর হাত ধরে বললেন, যথেষ্ট হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত পড়তে পড়তে বের হলেনঃ ‘‘শীঘ্রই দুশমনরা পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে’’- (সূরাহ ক্বামার ৫৪/৪৫)। [২৯১৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬৫)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ حَوْشَبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ اللهُمَّ إِنِّيْ أَنْشُدُكَ عَهْدَكَ وَوَعْدَكَ اللهُمَّ إِنْ شِئْتَ لَمْ تُعْبَدْ فَأَخَذَ أَبُوْ بَكْرٍ بِيَدِهِ فَقَالَ حَسْبُكَ فَخَرَجَ وَهُوَ يَقُوْلُ (سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّوْنَ الدُّبُرَ).
Narrated Ibn `Abbas:
On the day of the battle of Badr, the Prophet (ﷺ) said, "O Allah! I appeal to You (to fulfill) Your Covenant and Promise. O Allah! If Your Will is that none should worship You (then give victory to the pagans)." Then Abu Bakr took hold of him by the hand and said, "This is sufficient for you." The Prophet came out saying, "Their multitude will be put to flight and they will show their backs." (54.45)
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৫. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৫৪. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘‘মু’মিনদের মধ্যে তারা সমান নয় যারা (বদরে না গিয়ে) বসে ছিল’’- (সূরাহ আন-নিসা ৪/৯৫)। এবং যারা বদরে হাজির হয়েছিল মর্মে (আয়াতটি) বাদর এবং তদুদ্দেশে ঘর ছেড়ে বের হওয়া সাহাবীদের ব্যাপারে (নাযিল হয়)। [৪৫৯৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬৬)
بَاب
إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى أَخْبَرَنَا هِشَامٌ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَبْدُ الْكَرِيْمِ أَنَّهُ سَمِعَ مِقْسَمًا مَوْلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُوْلُ (لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ) عَنْ بَدْرٍ وَالْخَارِجُوْنَ إِلَى بَدْرٍ.
Narrated Ibn `Abbas:
The believers who failed to join the Ghazwa of Badr and those who took part in it are not equal (in reward).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৬. বদর যুদ্ধে যোগদানকারীর সংখ্যা।
৩৯৫৫. বারা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদরের দিন আমাকে ও ইবনু ‘উমারকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক গণ্য করা হয়েছিল। [1] [৩৯৫৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ নেই)
بَاب عِدَّةِ أَصْحَابِ بَدْرٍ
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ اسْتُصْغِرْتُ أَنَا وَابْنُ عُمَرَ حَدَّثَنيِْ مَحْمُوْدٌ حَدَّثَنَا وَهْبٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ اسْتُصْغِرْتُ أَنَا وَابْنُ عُمَرَ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ الْمُهَاجِرُوْنَ يَوْمَ بَدْرٍ نَيِّفًا عَلَى سِتِّيْنَ وَالأَنْصَارُ نَيِّفًا وَأَرْبَعِيْنَ وَمِائَتَيْنِ.
Narrated Al-Bara:
I and Ibn `Umar were considered too young to take part in the battle of Badr.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৬. বদর যুদ্ধে যোগদানকারীর সংখ্যা।
৩৯৫৬. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদরের দিন আমাকে ও ইবনু ‘উমারকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক গণ্য করা হয়েছিল, এ যুদ্ধে মুহাজিরদের সংখ্যা ছিল ষাটের বেশী এবং আনসারদের সংখ্যা ছিল দুশ’ চল্লিশেরও অধিক। [1] [৩৯৫৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬৭)
بَاب عِدَّةِ أَصْحَابِ بَدْرٍ
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ اسْتُصْغِرْتُ أَنَا وَابْنُ عُمَرَ حَدَّثَنيِْ مَحْمُوْدٌ حَدَّثَنَا وَهْبٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ اسْتُصْغِرْتُ أَنَا وَابْنُ عُمَرَ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ الْمُهَاجِرُوْنَ يَوْمَ بَدْرٍ نَيِّفًا عَلَى سِتِّيْنَ وَالأَنْصَارُ نَيِّفًا وَأَرْبَعِيْنَ وَمِائَتَيْنِ.
Narrated Al-Bara:
I and Ibn `Umar were considered too young (to take part) in the battle of Badr, and the number of the Emigrant warriors were over sixty (men) and the Ansar were over 249.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৬. বদর যুদ্ধে যোগদানকারীর সংখ্যা।
৩৯৫৭. বারা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যে সব সাহাবী বদরে উপস্থিত ছিলেন তারা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, তাদের সংখ্যা তালুতের যে সব সঙ্গী নদী পার হয়েছিলেন তাদের সমান ছিল। তাদের সংখ্যা ছিল তিনশ’ দশেরও কিছু বেশী। বারা’ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, ঈমানদার ব্যতীত আর কেউই তাঁর সঙ্গে নদী পার হতে পারেনি। [৩৯৫৮-৩৯৫৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬৮)
بَاب عِدَّةِ أَصْحَابِ بَدْرٍ
عَمْرُوْ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا أَبُوْ إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ يَقُوْلُ حَدَّثَنِيْ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا أَنَّهُمْ كَانُوْا عِدَّةَ أَصْحَابِ طَالُوْتَ الَّذِيْنَ جَازُوْا مَعَهُ النَّهَرَ بِضْعَةَ عَشَرَ وَثَلَاثَ مِائَةٍ قَالَ الْبَرَاءُ لَا وَاللهِ مَا جَاوَزَ مَعَهُ النَّهَرَ إِلَّا مُؤْمِنٌ.
Narrated Al-Bara:
The companions of (the Prophet) Muhammad who took part in Badr, told me that their number was that of Saul's (i.e. Talut's) companions who crossed the river (of Jordan) with him and they were over three-hundred-and-ten men. By Allah, none crossed the river with him but a believer. (See Qur'an 2:249)
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৬. বদর যুদ্ধে যোগদানকারীর সংখ্যা।
৩৯৫৮. বারা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ পরস্পর আলোচনা করতাম যে, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের সংখ্যা তালুতের সঙ্গে যারা নদী পার হয়েছিলেন তাদের সমানই ছিল এবং তিনশ’ দশ জনের অধিক ঈমানদার ব্যতীত কেউ তাঁর সঙ্গে নদী পার হতে পারেনি। [৩৯৫৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬৯)
بَاب عِدَّةِ أَصْحَابِ بَدْرٍ
عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ كُنَّا أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ نَتَحَدَّثُ أَنَّ عِدَّةَ أَصْحَابِ بَدْرٍ عَلَى عِدَّةِ أَصْحَابِ طَالُوْتَ الَّذِيْنَ جَاوَزُوْا مَعَهُ النَّهَرَ وَلَمْ يُجَاوِزْ مَعَهُ إِلَّا مُؤْمِنٌ بِضْعَةَ عَشَرَ وَثَلَاثَ مِائَةٍ.
Narrated Al-Bara:
We, the Companions of Muhammad used to say that the number of the warriors of Badr was the same as the number of Saul's companions who crossed the river (of Jordan) with him, and none crossed the river with him but a believer, and the were over three-hundred-and-ten men.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৬. বদর যুদ্ধে যোগদানকারীর সংখ্যা।
৩৯৫৯. বারা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা পরস্পর আলোচনা করতাম যে, বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীগণের সংখ্যা তিনশ’ দশ জনেরও কিছু অধিক ছিল, তালুতের যে সংখ্যক সাথী তাঁর সঙ্গে নদী পার হয়েছিল; মু’মিন ব্যতীত কেউ তার সঙ্গে নদী পার হতে পারেনি। [৩৯৫৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭০)
بَاب عِدَّةِ أَصْحَابِ بَدْرٍ
عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ ح و حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيْرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّ أَصْحَابَ بَدْرٍ. ثَلَاثُ مِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ بِعِدَّةِ أَصْحَابِ طَالُوْتَ الَّذِيْنَ جَاوَزُوْا مَعَهُ النَّهَرَ وَمَا جَاوَزَ مَعَهُ إِلَّا مُؤْمِنٌ.
Narrated Al-Bara:
We used to say that the warriors of Badr were over three-hundred-and-ten, as many as the Companions of Saul who crossed the river with him; and none crossed the river with him but a believer.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭. কুরাইশ কাফির শায়বাহ, ‘উতবাহ, ওয়ালীদ এবং আবূ জাহল ইবনু হিশামের বিরুদ্ধে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু‘আ এবং এদের ধ্বংস হওয়ার বিবরণ।
৩৯৬০. ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বার দিকে মুখ করে কুরাইশের কতিপয় লোকের তথা- শায়বাহ্ ইবনু রাবী’আহ, ‘উত্বাহ ইবনু রাবী‘আ, ওয়ালীদ ইবনু ‘উত্বাহ এবং আবূ জাহ্ল ইবনু হিশামের বিরুদ্ধে দু’আ করেন। আমি আল্লাহর নামে সাক্ষ্য দিচ্ছি, অবশ্যই আমি এ সমস্ত লোকদেরকে (বদরের ময়দানে) নিহত হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখেছি। প্রচন্ড রোদ তাদের দেহগুলোকে বিকৃত করে দিয়েছিল। দিনটি ছিল প্রচন্ড গরম। [২৪০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭১)
بَاب دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى كُفَّارِ قُرَيْشٍ شَيْبَةَ وَعُتْبَةَ وَالْوَلِيْدِ وَأَبِيْ جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ وَهَلَاكِهِمْ
عَمْرُوْ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا أَبُوْ إِسْحَاقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُوْنٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ اسْتَقْبَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْكَعْبَةَ فَدَعَا عَلَى نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى شَيْبَةَ بْنِ رَبِيْعَةَ وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيْعَةَ وَالْوَلِيْدِ بْنِ عُتْبَةَ وَأَبِيْ جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ فَأَشْهَدُ بِاللهِ لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ صَرْعَى قَدْ غَيَّرَتْهُمْ الشَّمْسُ وَكَانَ يَوْمًا حَارًّا.
Narrated `Abdullah bin Mas`ud:
The Prophet (ﷺ) faced the Ka`ba and invoked evil on some people of Quraish, on Shaiba bin Rabi`a, `Utba bin Rabi`a, Al-Walid bin `Utba and Abu Jahl bin Hisham. I bear witness, by Allah, that I saw them all dead, putrefied by the sun as that day was a very hot day.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।
৩৯৬১. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, বদর যুদ্ধের দিন আবূ জাহ্ল যখন মৃত্যুর মুখোমুখী তখন তিনি (‘আবদুল্লাহ) তার কাছে গেলেন। তখন আবূ জাহ্ল বলল, (আজ) তোমরা যাকে হত্যা করলে তার চেয়ে নির্ভরযোগ্য লোক আর আছে কি? (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭২)
بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ
ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ أَخْبَرَنَا قَيْسٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ أَتَى أَبَا جَهْلٍ وَبِهِ رَمَقٌ يَوْمَ بَدْرٍ فَقَالَ أَبُوْ جَهْلٍ هَلْ أَعْمَدُ مِنْ رَجُلٍ قَتَلْتُمُوْهُ.
Narrated `Abdullah That he came across Abu Jahl while he was on the point of death on the day of:
Badr. Abu Jahl said, "You should not be proud that you have killed me nor I am ashamed of being killed by my own folk."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।
৩৯৬২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (বদরের দিন) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ জাহলের কী অবস্থা হল কেউ তা দেখতে পার কি? তখন ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বের হলেন এবং দেখতে পেলেন যে, ‘আফ্রার দুই পুত্র তাকে এমনিভাবে মেরেছে যে, মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বললেন, তুমিই কি আবূ জাহ্ল? রাবী বলেনঃ আবূ জাহ্ল বললঃ সেই লোকটির চেয়ে উত্তম আর কেউ আছে কি যাকে তার গোত্রের লোকেরা হত্যা করল অথবা বলল তোমরা যাকে হত্যা করলে? আহমাদ বিন ইউনুসের বর্ণনায় এসেছে, তুমি আবূ জাহ্ল। [৩৯৬৩, ৪০২০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৩)
بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ
أَحْمَدُ بْنُ يُوْنُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ أَنَّ أَنَسًا حَدَّثَهُمْ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ح و عَمْرُوْ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ يَنْظُرُ مَا صَنَعَ أَبُوْ جَهْلٍ فَانْطَلَقَ ابْنُ مَسْعُوْدٍ فَوَجَدَهُ قَدْ ضَرَبَهُ ابْنَا عَفْرَاءَ حَتَّى بَرَدَ قَالَ أَأَنْتَ أَبُوْ جَهْلٍ قَالَ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ قَالَ وَهَلْ فَوْقَ رَجُلٍ قَتَلْتُمُوْهُ أَوْ رَجُلٍ قَتَلَهُ قَوْمُهُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ يُوْنُسَ أَنْتَ أَبُوْ جَهْلٍ.
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) said, "Who will go and see what has happened to Abu Jahl?" Ibn Mas`ud went and found that the two sons of 'Afra had struck him fatally (and he was in his last breaths). `Abdullah bin Mas`ud said, "Are you Abu Jahl?" And took him by the beard. Abu Jahl said, "Can there be a man superior to one you have killed or one whom his own folk have killed?"
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।
৩৯৬৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, বদরের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ জাহ্ল কী করল, তোমাদের মধ্যে কে তা জেনে আসবে? তখন ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) চলে গেলেন এবং তিনি দেখতে পেলেন, ‘আফরার দুই পুত্র তাকে এমনিভাবে পিটিয়েছে যে, সে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তিনি তার দাড়ি ধরে বললেন,তুমি কি আবূ জাহ্ল? উত্তরে সে বলল, সেই লোকটির চেয়ে উত্তম আর কেউ আছে কি যাকে তার গোত্রের লোকেরা হত্যা করল অথবা বলল তোমরা যাকে হত্যা করলে? [1]
ইবনু মুসান্না (রহ.).....আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে অনুরূপ একটি রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। [৩৯৬২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৪)
بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ عَدِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ مَنْ يَنْظُرُ مَا فَعَلَ أَبُوْ جَهْلٍ فَانْطَلَقَ ابْنُ مَسْعُوْدٍ فَوَجَدَهُ قَدْ ضَرَبَهُ ابْنَا عَفْرَاءَ حَتَّى بَرَدَ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ فَقَالَ أَنْتَ أَبَا جَهْلٍ قَالَ وَهَلْ فَوْقَ رَجُلٍ قَتَلَهُ قَوْمُهُ أَوْ قَالَ قَتَلْتُمُوْهُ
حَدَّثَنِي ابْنُ الْمُثَنَّى أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ أَخْبَرَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ نَحْوَهُ
Narrated Anas:
On the day of Badr, the Prophet (ﷺ) said, "Who will go and see what has happened to Abu Jahl?" Ibn Mas`ud went and found that the two sons of 'Afra had struck him fatally. `Abdullah bin Mas`ud got hold of his beard and said, "'Are you Abu Jahl?" He replied, "Can there be a man more superior to one whom his own folk have killed (or you have killed)?"
Narrated Anas bin Malik: see privious hadith
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।
৩৯৬৪. ইব্রাহীমের দাদা থেকে বাদর তথা ‘আফরার দুই ছেলের সম্পর্কে এক রেওয়ায়ত বর্ণনা করেছেন। [৩১৪১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ নেই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৫)
بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ كَتَبْتُ عَنْ يُوْسُفَ بْنِ الْمَاجِشُوْنِ عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ فِيْ بَدْرٍ يَعْنِيْ حَدِيْثَ ابْنَيْ عَفْرَاءَ.
Narrated `Abdur-Rahman bin `Auf:
(the grandfather of Salih bin Ibrahim) the story of Badr, namely, the narration regarding the sons of 'Afra'.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।
৩৯৬৫. ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সর্বপ্রথম আমিই কিয়ামতের দিন দয়াময়ের সামনে বিবাদ মীমাংসার জন্য হাঁটু গেড়ে বসব। ক্বায়স ইবনু ‘উবাদ (রাঃ) বলেন, এদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছেঃ هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ ‘‘এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিতর্ক করে’’- (সূরাহ হাজ্জ ২২/১৯)। তিনি বলেন, (মুসলিম পক্ষের) তারা হলেন হাম্যা, ‘আলী ও ‘উবাইদাহ অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আবূ ‘উবাইদাহ ইবনুল হারিস (রাঃ) (অপরপক্ষে) শায়বা বিন রাবী‘আহ, ‘উত্বাহ বিন রাবী‘আহ এবং ওয়ালীদ ইবনু ‘উত্বাহ যারা বদর যুদ্ধের দিন পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। [1] [৩৯৬৭, ৪৭৪৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৬)
بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ سَمِعْتُ أَبِيْ يَقُوْلُ حَدَّثَنَا أَبُوْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبٍ أَنَّهُ قَالَ أَنَا أَوَّلُ مَنْ يَجْثُوْ بَيْنَ يَدَيْ الرَّحْمَنِ لِلْخُصُوْمَةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَقَالَ قَيْسُ بْنُ عُبَادٍ وَفِيْهِمْ أُنْزِلَتْ (هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ) قَالَ هُمْ الَّذِيْنَ تَبَارَزُوْا يَوْمَ بَدْرٍ حَمْزَةُ وَعَلِيٌّ وَعُبَيْدَةُ أَوْ أَبُوْ عُبَيْدَةَ بْنُ الْحَارِثِ وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيْعَةَ وَعُتْبَةُ بْنُ رَبِيْعَةَ وَالْوَلِيْدُ بْنُ عُتْبَةَ.
Narrated Abu Mijlaz:
From Qais bin Ubad: `Ali bin Abi Talib said, "I shall be the first man to kneel down before (Allah), the Beneficent to receive His judgment on the day of Resurrection (in my favor)." Qais bin Ubad also said, "The following Verse was revealed in their connection:-- "These two opponents believers and disbelievers) Dispute with each other About their Lord." (22.19) Qais said that they were those who fought on the day of Badr, namely, Hamza, `Ali, 'Ubaida or Abu 'Ubaida bin Al-Harith, Shaiba bin Rabi`a, `Utba and Al-Wahd bin `Utba.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।
৩৯৬৬. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ‘‘এরা দু’টি বিবদমান দল তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে’’- (সূরাহ হাজ্জ ২২/১৯) আয়াতটি কুরাইশ গোত্রীয় ছয়জন লোক সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। তারা হলেন, (মুসলিম পক্ষ) ‘আলী, হামযাহ, ‘উবাইদাহ ইবনুল হারিস (রাঃ) ও (কাফির পক্ষে) শায়বা ইবনু রাবী‘আহ, ‘উত্বাহ ইবনু রাবী‘আহ এবং ওয়ালীদ ইবনু ‘উত্বাহ। [৩৯৬৮, ৩৯৬৯, ৪৭৪৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৭)
بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ
قَبِيْصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِيْ هَاشِمٍ عَنْ أَبِيْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ قَالَ نَزَلَتْ (هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ) فِيْ سِتَّةٍ مِنْ قُرَيْشٍ عَلِيٍّ وَحَمْزَةَ وَعُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيْعَةَ وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيْعَةَ وَالْوَلِيْدِ بْنِ عُتْبَةَ.
Narrated Abu Dhar:
The following Holy Verse:-- "These two opponents (believers & disbelievers) dispute with each other about their Lord," (22.19) was revealed concerning six men from Quraish, namely, `Ali, Hamza, 'Ubaida bin Al-Harith; Shaiba bin Rabi`a, `Utba bin Rabi`a and Al-Walid bin `Utba.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।
৩৯৬৭. কায়স ইবনু উবাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেনঃ ‘‘এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিতর্ক করে’’- (সূরাহ হাজ্জ ২২/১৯) আয়াতটি আমাদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে। [৩৯৬৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৮)
بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ الصَّوَّافُ حَدَّثَنَا يُوْسُفُ بْنُ يَعْقُوْبَ كَانَ يَنْزِلُ فِيْ بَنِيْ ضُبَيْعَةَ وَهُوَ مَوْلًى لِبَنِيْ سَدُوْسَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِيْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ قَالَ عَلِيٌّ فِيْنَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ (هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ).
Narrated `Ali:
The following Holy Verse:-- "These two opponents (believers and disbelievers) dispute with each other about their Lord." (22.19) was revealed concerning us.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।
৩৯৬৮. কায়স ইবনু উবাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেছেন) আমি আবূ যার (রাঃ)-কে কসম করে বলতে শুনেছি যে, উপর্যুক্ত আয়াতগুলো উল্লিখিত বদরের দিন ঐ ছয় ব্যক্তি সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিল। [৩৯৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৯)
بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ
يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ أَخْبَرَنَا وَكِيْعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيْ هَاشِمٍ عَنْ أَبِيْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ يُقْسِمُ لَنَزَلَتْ هَؤُلَاءِ الآيَاتُ فِيْ هَؤُلَاءِ الرَّهْطِ السِّتَّةِ يَوْمَ بَدْرٍ نَحْوَهُ.
Narrated Qais bin Ubad:
I heard Abu Dhar swearing that these Holy Verses were revealed in connection with those six persons on the day of Badr.