উত্তর: বল, তাবাররুক দুই প্রকার:
১) শরী‘আত সম্মত তাবাররুক: আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত দ্বারা এ জাতীয় তাবাররুকের বৈধতা প্রমাণিত ও তা দ্বারা মানুষ উপকৃত হওয়ার কথাও সু-সাব্যস্ত। কিতাব ও সুন্নাহের দলীল ব্যতীত কোনো বস্তুতে বরকত আছে বলে বিশ্বাস করা বৈধ নয়। এতে বিবেক ও পছন্দের কোনো দখল নেই। কোনো জিনিস বরকতপূর্ণ বা তাতে বরকত রয়েছে কি না, -প্রজ্ঞাময় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সংবাদ অথবা তার রাসূলের সংবাদ ব্যতীত আমরা জানি না। আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ করার মধ্যেই সব রবকত ও কল্যাণ রয়েছে। আমরা তার থেকেই জানতে পারি কোন জিনিসটি বরকতময় ও তার থেকে কিভাবে বরকত হাসিল করব। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সত্তা এবং তার নিঃসৃত জিনিস, যেমন, থুথু, চুল এবং তার শরীরের সাথে যুক্ত পোশাক। এটি শুধু তাঁর সাথে এবং তাঁর থেকে নিঃসৃতই বা তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট জিনিষের খাস। যেমন চুল ও পোশাক। কু-সংস্কারপন্থীরা মিথ্যা রচনা করে যে, তাদের নিকট তাঁর চুল ও কাপড় রয়েছে। এর উদ্দেশ্যে হচ্ছে কতক মুসলিমের বিবেক নিয়ে খেল-তামাশা করা এবং তাদের দীনকে ধ্বংস করা ও তাদের দুনিয়া ছিনিয়ে নেওয়া।
দ্বিতীয় প্রকার: নিষিদ্ধ তাবাররুক: এটি আল্লাহর সাথে শির্ক পর্যন্ত নিয়ে যায়। যেমন নেককার লোক ও তাদের উচ্ছিষ্টাংশ দ্বারা বরকতক হাসিল করা এবং তাদের কবরের নিকট সালাত ও দু‘আ করে বরকত হাসিল করা। তাদের কবরের মাটিকে ঔষধ হিসাবে বিশ্বাস করে তা দ্বারা বরকত হাসিল করা। অনুরূপ কোনো পাথর, গাছ, স্থান ও ভূ-খণ্ডের বিশেষ ফযীলতে বিশ্বাস করে তাতে কাপড় লটকানো অথবা তাওয়াফ করা ও তা দ্বারা বরকত হাসিল করা। এ কথা স্বীকৃত যে, কা‘বার হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত এমন কিছু নেই, যা স্পর্শ ও চুমু খাওয়া বৈধ। হাজারে আসওয়াদ ব্যতীত অন্য কিছুতে স্পর্শ, চুমু খাওয়া ও তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ। যে বিশ্বাস করবে এগুলো স্বয়ং বরকত দিতে পারে তার ক্ষেত্রে এটি বড় শির্ক আর যে এগুলোকে বরকতের কারণ মনে করবে তার ক্ষেত্রে এটি ছোট শির্ক হবে।