উত্তর: বল, বিশুদ্ধ মতে খিযির আলাইহিস সালাম একজন নবী ছিলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٖ مِّن قَبۡلِكَ ٱلۡخُلۡدَۖ أَفَإِيْن مِّتَّ فَهُمُ ٱلۡخَٰلِدُونَ ٣٤﴾ [الانبياء: ٣٤]
“আমি আপনার পূর্বে কাউকে চিরস্থায়ী করিনি, আপনি যদি মারা যান তারা কি স্থায়ী হবে”? [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৩৪] যদি তিনি জীবিত থাকতেন অবশ্যই আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করতেন এবং তার সাথে যুদ্ধে শরীক হতেন। কেননা, আমাদের নবীকে মানব ও জিন উভয় জাতির নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنِّي رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيۡكُمۡ جَمِيعًا ١٥٨﴾ [الاعراف: ١٥٧]
“বল, হে লোক সকল, আমি তোমাদের সকলের নিকট আল্লাহর রাসূল”। [সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ১৫৮] । অনুরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এ রাত সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? আজ পৃথিবীতে যারা জীবিত আছে, একশ বছরের মাথায় তাদের কেউ জীবিত থাকবে না”। (সহীহ বুখারী) এ হাদীসটি দলীল যে, খিযির মৃতদের অন্তর্ভুক্ত। অতএব যে তাকে ডাকে তিনি তার ডাক শুনেন না। অনুরূপ রাস্তা হারিয়ে যে তার কাছে পথের সন্ধান চায়, তিনি তাকে রাস্তা দেখান না। আর কতক মানুষের সাথে তার সাক্ষাতের সংবাদ, তাকে দেখা ও তার সাথে উঠবস করার ঘটনাসমূহ এবং তার কাছ থেকে ইলম অর্জন করা বিষয়ক আলোচনা ধারণা প্রসূত ও সুস্পষ্ট মিথ্যা ব্যতীত অন্য কিছু নয়। আল্লাহ যাকে ইলম, বিবেক-বুদ্ধি ও দূরদর্শিতা দিয়েছেন, তার ওপর তা কোন প্রভাব ফেলবে না।