নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর যুগে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণে প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতেন। যেমন:
১। উত্তম চরিত্র (حسن الأخلاق): আল্লাহ বলেন:
وَإِنَّكَ لَعَلَى خُلُقٍ عَظِيمٍ
‘অবশ্যই তুমি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত’(সূরা আল-ক্বলাম:৪)।
২। উত্তম কথার মাধ্যমে দা‘ওয়াত দেয়া (الدعوة باللسان)।
যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ বকর (রা.), খাদীজা (রা.), আলী (রা.) এবং অন্যকে সুন্দর কথার মাধ্যমে দা‘ওয়াত দিয়েছিলেন। ফলে, তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। আল্লাহ বলেন:
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
‘আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম,যিনি আল্লাহর দিকে দা‘ওয়াত দেন, সৎকর্ম করেন এবং বলেন যে, অবশ্যই ‘আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’(সূরা হা-মীম সাজদা: ৩৩)।
৩। দ্বীন শিক্ষা দেয়া (التعليم):
যেমনটি কতিপয় ছাহাবী মক্কার দারুল আরক্বামে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। অনুরূপভাবে, উসাইদ ইবনে হুযাইর (রা.), সা‘দ ইবনু মু‘আয মদীনায় মুছ‘আব ইবনে উমাইর (রা.)-এর প্রতিষ্ঠিত দ্বীন শিক্ষার মজলিস থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
৪। ইবাদতের মাধ্যমে দা‘ওয়াত (العبادة):
যেমন-হিনদ বিনতে উতবাহ (রা.) মক্কা বিজয়ের বছর মসজিদে হারামে মুসলিমদের ছালাত আদায় করতে দেখে ইসলাম গ্রহণ করেন। ছুমামা ইবনে উছাল আল-হানাফী (রা.) মসজিদে নববীতে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর চরিত্র ও ইবাদতেপ্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।
৫। ব্যয় ও দান করা (البذل والعطاء)।
মক্কা বিজয়ের বছর নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছাফওয়ান ইবনে উমাইয়াহ (রা.) ও মু‘আবিয়াহ ইবনে আবু সুফইয়ান (রা.) কে কিছু ছাগল দান করলে তারা ইসলাম গ্রহণ করেন। এভাবে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তিকে অনেকগুলি ছাগল উপহার দেন, এতে তিনি ও তার দলবল ইসলাম গ্রহণ করেন। এরকম আরো কারণ রয়েছে, যেগুলিকে আল্লাহ হেদায়াতের কারণ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।